বাংলাদেশে
ইসরায়েল ভ্রমণের চেষ্টা করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে কেউ ইসরায়েল ভ্রমণের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশ ইসরায়েলকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি বলে ইসরায়েল ভ্রমণকে বেআইনি হিসেবে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার আহ্বান বাংলাদেশের
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস.ওয়াই. রামাদানের হাতে ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী তুলে দেয়ার সময় একথা বলেন। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট হতে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শব্দ দু’টি বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ বিষয়ে আলোকপাত করেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘আমাদের আইন আছে এবং আইন কঠোরভাবে মেনে চলি। কেউ যদি বাংলাদেশ থেকে ইসরায়েল যেতে চায়, তবে দেশে ইমিগ্রেশন সেই বিষয়গুলো দেখবে এবং বাঁধা প্রদান করবে। এর আগেও ইমিগ্রেশন এমন ঘটনায় পদক্ষেপ নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েল সম্পর্কে বাংলাদেশের নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে বাংলাদেশ নিজেদের নীতির কোনও পরিবর্তন করেনি। কেউ ইসরায়েল ভ্রমণ করলে, সরকার অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পূর্বেও এমন নজির আছে বলে উল্লেখ করেন ড. মোমেন।
আজ পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা
আজ পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা। বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম উৎসবের দিন আজ।
বুধবার করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ বা ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ উদযাপন করবে।
এই দিনেই, অর্থাৎ বৈশাখী পূর্ণিমার তিথিতেই গৌতমবুদ্ধের জন্ম, মহাপ্রয়াণ ও বোধিলাভ হয়েছিল বলে এর অপর নাম বৈশাখী পূর্ণিমা। আজকের এই তিথিতেই খ্রীষ্টপূর্ভ ৫৬৩ সালে হিমালয়ের পাদদেশে কপিলাবস্তুতে সিদ্ধার্থ গৌতম হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন।
গৌতম বুদ্ধ ৩৫ বছর বয়সে কঠিন তপস্যার ফলে দিব্য জ্ঞান লাভ করে বোধী প্রাপ্ত হন। এরপরই তার প্রচারিত বুদ্ধ ধর্মের প্রসার ঘটে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক দিনটি উপলক্ষে আলাদ বাণী দিয়েছেন।
কিভাবে নেবেন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি
গত দশক জুড়ে বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার কারণে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার ব্যাপারটি এখন অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া চলমান করোনাভাইরাস মহামারির দরুণ দেশবাসী প্রচন্ড বিপজ্জনক সময়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সেই ভয়াবহতা আরও বাড়িয়ে দিতেই যেন বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস।
ভারত মহাসাগরের অন্তর্গত উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি। এখানে সৃষ্ট নিম্নচাপ ক্রমাগত শক্তিশালী হয়ে ২৪ মে-এর মধ্যে প্রবল এক ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অতঃপর উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬মে বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌছতে পারে বলে জানিয়েছে আবাহাওয়া অধিদপ্তর।
এমতাবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়-ক্ষতি যেন কম হয়, সেজন্যে আগে থেকেই যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিতে হবে, চলুন জেনে নেই।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পূর্ব প্রস্তুতি
গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে
১। ঘর তৈরির সময় খেয়াল রাখুন যেন তা মাটি থেকে যথাসম্ভব উচু স্থানে হয়। মজবুত ভিত্তির ওপর লোহার বা কাঠের পিলার এবং ফ্রেম দিন। অতঃপর তা ছাউনি দিয়ে ঢেকে দিন। ছাউনিতে টিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হউন কারণ ঝড়ের সময় টিন উড়ে মানুষ ও গবাদিপশু আহত করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ০.৫ মিলিমিটার পুরুত্ববিশিষ্ট টিন ও জেহুক ব্যবহার করতে পারেন।
২। ঝড়ের কথা মাথায় রেখেই বাড়ির আঙ্গিনায় নারকেল, কলা, বাঁশ, তাল, কড়ইসহ অন্যান্য শক্ত গাছপালা লাগান।
৩। জেলে নৌকা, লঞ্চ ও ট্রলারসহ সকল জলযানগুলোতে রেডিও রাখুন। নদী বা সাগরে থাকার পুরোটা সময় আবহাওয়ার পূর্বাভাস শোনার অভ্যাস করুন।
৪। ঘূর্ণিঝড়ের সিজনে বাড়িতে কয়েক দিন মজুদ করে রাখা যায় এরকম শুকনো খাবার যেমন মুড়ি, চিড়া, বিস্কুট ইত্যাদি রাখবেন।
৫। ঘূর্ণিঝড়ের সময় কোন এলাকার লোক কোন আশ্রয়ে যাবে, গবাদিপশু কোথায় থাকবে, সব কিছু আগে থেকে ঠিক করে রাখুন। কাছে এবং দূরে যথা সম্ভব সব সুরক্ষিত জায়গাগুলো সবাই আগেই চিনে রাখুন। করোনার কারণে সামাজিক দূরত্বের ব্যাপারটা এ সময় ভুলে যাবেন না। আশ্রয় দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোরও খেয়াল রাখতে হবে যেনো, প্রতিটি আশ্রয়স্থলে যথেষ্ঠ দূরত্ব বজায় রেখে লোক সমাগম হয়।
৬। সম্ভব হলে সব সময় কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম যেমন ব্যান্ডেজ, ডেটল প্রভৃতি সাথে রাখুন।
৭। আশ্রয়কেন্দ্রে বা অন্য আশ্রয়ে যাওয়ার সময় কী কী জিনিস সঙ্গে নিবেন আর কী কী জিনিস মাটিতে পুঁতে রাখবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন। অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী যেমন—চাল, ডাল, দেশলাই, শুকনো কাঠ, পানি ফিটকিরি, চিনি, নিয়মিত ব্যবহৃত ওষুধ, বইপত্র, ব্যান্ডেজ, তুলা, ওরস্যালাইন, দলিলপত্র, টাকা-পয়সা ইত্যাদি পানি নিরোধক পলিথিন ব্যাগে ভরে মাটিতে পুঁতে রেখে যেতে পারেন।
৮। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার পর সাথে সাথেই আপনার ঘরগুলোর অবস্থা একবার পরীক্ষা করে নিন। আরো মজবুত করার জন্য মাটিতে খুঁটি পুঁতে দড়ি দিয়ে ঘরের বিভিন্ন অংশ বেঁধে রাখতে পারেন।
৯। পূর্বাভাস পাওয়ার সাথে সাথে সিপিপির (সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম) স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করুন।
১০। বাড়ি ছাড়ার পূর্বে অবশ্যই আগুন নিভিয়ে যাবেন।
১১। টিউবওয়েলের মাথা খুলে নিন। অতঃপর সেই খোলা অংশ পলিথিন দিয়ে ভালোভাবে আটকে রাখুন যাতে টিউবওয়েলের মধ্যে ময়লা ঢুকতে পারবে না।
আরও পড়ুন: সাইক্লোন ইয়াস: উপকূলবর্তী বন্দরসমূহকে ২ নম্বর বিশেষ সংকেত জারি
১২। বৃষ্টির পানি বিশুদ্ধ ও খাওয়ার উপযোগী। তাই ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা করে রাখুন। মাটির বড় হাঁড়িতে বা ড্রামে পানি রেখে তার মুখ ভালোভাবে আটকিয়ে দিন, যেন পোকা-মাকড় বা ময়লা-আবর্জনা ঢুকতে না পারে।
শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে
১। অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টিভি ও রেডিও তে ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেয়ে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থেকে নির্দেশনা শুনুন এবং সে অনুযায়ী কাজ করুন।
২। আপনার পাওয়ার ব্যাংক, চার্জার লাইট, টর্চ লাইট ফুল চার্জ দিয়ে নিন। মোমবাতি এবং লাইটার সাথে রাখুন।
৩। আপনার বাসা যদি টিন শেড হয় বা আপনি যদি নিচ তলায় থাকেন তাহলে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পানিরোধক বাক্সে টেপ এবং পলিথিন দিয়ে পেঁচিয়ে রাখুন। মেঝেতে অবশ্যই মাল্টিপ্লাগ রাখবেন না।
৪। নিরাপত্তার জন্য শহর জুড়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকতে পারে। রাস্তা বন্ধ থাকতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার সংগ্রহে রাখুন।
৫। রেলিংয়ের ওপর ফুলের টব, সানশেডে থাকা এসির বাইরের যন্ত্র, কনস্ট্রাকশন এর জিনিস নিরাপদ স্থানে রাখুন। আপনার বাসার পাশে নির্মাণাধীন ভবন থাকলে আপনাকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
করোনা: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও শনাক্ত বাড়ছেই
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহমারি করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমলেও বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বিবৃতি থেকে জানা যায় করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু সংখ্যা ১২ হাজার ৪০১ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪৪১ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৯০ হাজার ৫২১ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়নু: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ১৬ কোটি ৭১ লাখ ছাড়াল
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৬৮৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৮.১৫ শতাংশ। নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৩৪ জন। মোট সুস্থ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৫৩১ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৭ শতাংশ।
এর আগে রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জন মারা গিয়েছে এবং ১ হাজার ৩৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্ব জুড়ে করোনার টিকা কার্যক্রম পরিচালনার পরও দিন-দিন বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। ইতোমধ্যেই বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ কোটি ৭১ লাখ ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ কোটি ৭১ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৩৪ লাখ ৬৩ হাজার ৮১৩ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ভারতের, অবনতি চলমান
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৬৫৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮৯৩ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলমান করোনার প্রকোপে বিগত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ২২ হজারা ৩১৫ জন এবং এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৩ লাখ ৩ হাজার ৭২০ জন।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৮৩ হাজার ২৫৮ জন।
সাইক্লোন ইয়াস: উপকূলবর্তী বন্দরসমূহকে ২ নম্বর বিশেষ সংকেত জারি
চট্টগ্রাম,কক্সবাজার,মংলা এবং পায়রা উপকূলবর্তী সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেতের বদলে ২ নম্বর বিশেষ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সোমবার বঙ্গপোসগারের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এবং আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট নিম্নচাপটির তীব্রতার ফলে ধীরে ধীরে সাইক্লোন ইয়াশে ঘণীভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ নিয়ে সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
নিম্নচাপটি সাগরের পূর্ব-মধ্য এবং ততসংলগ্ন এলাকা দিয়ে এসে উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে একই এলাকায় তীব্র ঘূর্ণিঝড় ইয়াশে পরিণত হয়েছে।
এক বিশেষ বুলেটিনে বলা হয় আজ সকাল ৬ টার দিকে এটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বদিকে, কক্সবাজার বন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে, মংলা বন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
এটি পরবর্তীতে তীব্র হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে সরে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ৫৪ কিলোমিটার যা প্রতি ঘন্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার দমকা বা মাঝারি হাওয়া আকারে বয়ে যেতে পারে বলে বুলেটিনে বলা হয়। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকট সাগর উত্তাল থাকবে বলে জানা গেছে।
এছাড়া সকল মাছ ধরার নৌকা এবং ভ্রমণকারীদের সতর্কতা অবলম্বনসহ উপকূলের নিকটে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। তাছাড়া তদেরকে গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এবার ‘লকডাউন’ বাড়লো ৩০ মে পর্যন্ত
করোনা সংক্রমণ রোধে নতুন দু’টি নির্দেশনা দিয়ে চলমান লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরেকদফা বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
রবিবার সপ্তাহের শুরুর দিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে আরও ৩৮ প্রাণহানি, শনাক্ত ৮.৪১ শতাংশ
এর আগে ১৬ মে সরকার দেশব্যাপী লকডাউন ২৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছিল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সোমাবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে পারবে।
এছাড়া খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা ও রেস্টুরেন্টে বসেই খাবার খাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
চলতি বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। পরে আবার তা ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়, এরপর আবাও বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়।
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স এবং পশ্চাদগামী বাংলাদেশ
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স এই বছর বাংলাদেশকে ১৫২ তম স্থানে রেখেছে। বরাবরের মত এবারো ছিল মোট ১৮০ টি দেশ। হন্ডুরাসের পরে ৪৯.৭১ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুরস্কের ঠিক আগেই।
গত ২০ এপ্রিল রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সারণী থেকে এ তথ্যটি জানা যায়। এর কারণ দর্শানোর সময় তারা ‘কঠিনতর রাজনীতি’ শব্দটি উল্লেখ করেছিল। এছাড়াও, তারা কোভিড-১৯ মহামারির পরিণতির কথাও উল্লেখ করেছে। তারই সূত্র ধরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও বেসামরিক সহিংসতার বিষয়টিও সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ করেছে আরএসএফ। এভাবে, ৭৩ টি দেশে সাংবাদিকতা সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ বা গুরুতরভাবে প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হয়ে পড়েছে। বিষয়টি দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে কঠিনভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। কেননা এটি করোনাভাইরাসের মতোই ধ্বংসাত্মক।
আরও পড়ুন: জামিনে মুক্তি পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইমলাম
এক নজরে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স
প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স মুক্ত সাংবাদিকতার ভিত্তিতে দেশগুলোর র্যাঙ্কিংয়ের একটি বাৎসরিক তালিকা। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার নামে একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা, সংক্ষেপে আরএসএফ, তালিকাটি সংকলন এবং প্রকাশ করে। সংগঠনটি ২০০২ সাল থেকে তথ্য স্বাধীনতা অধিকার রক্ষার লক্ষ্য নিয়ে তালিকাটি প্রকাশ করে আসছে। এরা মূলত ১৮০ টি দেশকে র্যাঙ্ক করে মুক্ত সাংবাদিকতার নীরিখে।
জরিপ প্রশ্নাবলী
আরএসএফ ৭ টি সাধারণ মানদণ্ড অনুসরণ করে ৮৭ টি প্রশ্নাবলি সমন্বিত একটি জরিপের মাধ্যমে ইনডেক্সটি তৈরি করে।
এগুলো হল- বহুত্ত্ববাদ (মিডিয়া জুড়ে মতামত), মিডিয়া স্বাধীনতা, পরিবেশ এবং স্ব-বিবাচন, আইনগত কাঠামো, স্বচ্ছতা, অবকাঠামো, গালাগালি।
জরিপের উত্তরদাতারা হলেন আরএসএফের অংশীদার প্রতিষ্ঠানসমূহ। এরা হলেন পাঁচটি মহাদেশের ১৮ টি বেসরকারি সংস্থার ১৫০ জন সংবাদদাতা যারা বিশ্ব জুড়ে স্বাধীন মত প্রকাশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাংবাদিক, গবেষক, আইনবিদ এবং মানবাধিকারকর্মীরাও এই জরিপে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন: সিএনএনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্কোরিং
চূড়ান্ত স্কোরটি মূল্যায়নের জন্য আরএসএফ কর্মীরা প্রেস অপরাধের শিকার ও অপরাধী উভয়কেই পর্যবেক্ষণ করে। ভুক্তভোগীরা হলেন সাংবাদিক, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং মিডিয়া সহকারী, অন্যদিকে নাশকতাসমূহ আসতে পারে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামরিক ও বেসামরিক বাহিনী, গোপন সংস্থা বা ত্রাস সৃষ্টিকারী গ্রুপ থেকে।
আরএসএফ ২০ টি ভাষায় অনুবাদ করে জরিপ প্রশ্নগুলো সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে পাঠিয়ে দেয়। অতঃপর প্রাপ্ত উত্তরের ভিত্তিতে প্রতিটি দেশকে স্কোর দেয়া হয়।
সবচেয়ে ভালো বুঝাতে শূন্য পয়েন্ট এবং সবচেয়ে খারাপের বুঝাতে ১০০ পয়েন্ট দেয়া হয় । তদনুসারে, আরএসএফের একটি রঙিন স্কোরিং পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে দেশগুলোর প্রেসের স্বাধীনতার অবস্থানকে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০২১ এর প্রথম সারির দেশগুলো হলো যথাক্রমে- নরওয়ে- ৬.৭২, ফিনল্যান্ড- ৬.৯৯, সুইডেন-৭.২৪, ডেনমার্ক - ৮.৫৭, কোস্টারিকা-৮.৭৬, নেদারল্যান্ডস- ৯.৬৭, জামাইকা - ৯.৯৬, নিউজিল্যান্ড - ১০.০৪, পর্তুগাল- ১০.১১, সুইজারল্যান্ড - ১০.৫৫।
অপরদিকে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০২১ এ সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশগুলো হলো যথাক্রমে- ইরিত্রিয়া - ৮১.৪৫, উত্তর কোরিয়া - ৮১.২৮, তুর্কমেনিস্তান - ৮০.০৩, চীন- ৭৮.৭২, জিবুতি - ৭৮.৬২, ভিয়েতনাম - ৭৮.৪৬, ইরান- ৭২.৭০, সিরিয়া - ৭০.৬৩, লাওস - ৭০.৫৬, কিউবা - ৬৩.৯৪।
বাংলাদেশের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স
৪০.১১ স্কোর নিয়ে ১৮০ টি দেশের ভীড়ে ১৫২ সংখ্যাটি মূলত বাংলাদেশী সাংবাদিকদের স্বাধীনতার অবস্থা প্রতিনিধিত্ব করছে। গত দশ বছরে, প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে বাংলাদেশের সম্পূর্ণ চিত্রটি তুলে ধরা হলো যথাক্রমে-
২০১১- র্যাঙ্কিং ১১২
২০১২- র্যাঙ্কিং ১২৯
২০১৩- র্যাঙ্কিং ১৪৪
২০১৪- র্যাঙ্কিং ১৪৬
২০১৫- র্যাঙ্কিং ১৪৬
২০১৬- র্যাঙ্কিং ১৪৪
২০১৭- র্যাঙ্কিং ১৪৬
২০১৮- র্যাঙ্কিং ১৪৬
২০১৯- র্যাঙ্কিং ১৫০
২০২০- র্যাঙ্কিং ১৫১
গত বছর, করোনভাইরাস মহামারী এবং তাৎক্ষণিক লকডাউনের কারণে উদ্বেগজনকভাবে পুলিশ এবং বেসামরিক সহিংসতার বৃদ্ধি পেয়েছিল সংবাদমাধ্যমগুলো কেন্দ্র করে। মহামারী এবং সমাজে এর প্রভাব সম্পর্কে রিপোর্ট করার কারণে অনেক সাংবাদিক, ব্লগার এবং কার্টুনিস্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ ভার্চুয়াল সুরক্ষা আইনে "অপপ্রচার" এর জন্য কমপক্ষে চৌদ্দ বছরের কারাদণ্ডের দণ্ডিত করা হবে। ফলস্বরূপ, স্ব-সেন্সরশিপটি অথবা স্ব-বিবাচনটি তুলনামূলকভাবে একটি অসামঞ্জস্য পর্যায়ে পৌছে গিয়েছিলো কারণ সম্পাদকরা কারাবাস বা তাদের মিডিয়া আউটলেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছিলো।
আশার বিষয় হলো, বাংলাদেশের মিডিয়া মার্কেটপ্লেসের জন্য দ্রুত উন্নতির একটি সম্ভাবনা আছে। কারণ অনেক অফলাইন ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যম শিল্পের অবদানে অংশ নিয়েছে এবং যা বর্ধমান বাজারে প্রভাব ফেলছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে, বেসরকারী মালিকানায় থাকা বড় বড় বাংলাদেশী এজেন্সিগুলি মুল ধারায় চলে এসেছে। অতঃপর দেশব্যাপী প্রচুর মিডিয়া এখন দেশের অভ্যন্তরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলির নাগালের মধ্যে রয়েছে।
তাই প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের একটি সামঞ্জস্য অবস্থান ধরে রাখতে প্রয়োজন সুষ্ঠু আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পারস্পরিক শ্রদ্ধার সাথে মত প্রকাশের চর্চা।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স: এক ধাপ পিছিয়ে ১৫১তম স্থানে বাংলাদেশ
সমাপনী
ওয়াল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের নির্বিশেষে সমালোচনা সত্ত্বেও, তথ্যের প্রচলন শর্তহীন স্বাধীনতার দাবি করে। তবে এটি বলাই বাহুল্য যে, পেশাদার প্রতিবেদনের জন্য ন্যূনতম নৈতিকতা প্রয়োজন। অন্যথায়, জ্ঞান সত্যতার বাইরে চলে যেতে পারে। একজন সাংবাদিকের অবশ্যই তাকে প্রদত্ত ক্ষমতাটি যত্ন সহকারে পরিচালনা করা প্রয়োজন। একইভাবে, তাদের সহযোগিতা করার লক্ষ্যে প্রতিটি সরকারী ও বেসরকারী মহলগুলোর স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসা উচিত। একমাত্র এ অবস্থাতেই সাধারণ মানুষ সত্যটা জানার আশা করতে পারেন।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজে করোনার থাবা
বাংলাদেশের মাঠে বাঘ-সিংহের লড়াই শুরু হবার কথা রবিবার দুপুরে। অনেকদিন পর দেশের মাটিতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) ম্যাচ দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে ক্রিকেট প্রেমীরা।
কিন্তু এরই মধ্যে সফররত ২ জন লঙ্কান খেলোয়াড় ও ১ কোচের করোনা শনাক্তের খবরে ওডিআই সিরিজের রথের চাকা থমকে গেছে।
আরও পড়ুন: খালেদ মাহমুদ করোনা পজিটিভ
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, লঙ্কান ক্রিকেটার ইসুরু উদানা, শিরান ফারনান্দো এবং লঙ্কান বোলিং কোচ চামিন্দা ভাসের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক বিসিবি কর্মকর্তা জানান, বিসিবি পরবর্তী করোনা টেস্টের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই করোনা টেস্টের রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: আইসিসি র্যাংকিং: নেতৃত্বে আছেন সাকিব, বাবর আর বোল্ট
করোনার থাবায় বর্তমানে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ। সিরিজটি চলবে নাকি স্থগিত হবে সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
তবে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বিসিবির কোনও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা সিরিজের ২ ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা, বাদ পড়লেন শান্ত
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচটি আজ দুপুর ১টায় শুরু হবার কথা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হবার কথা ২৫ মে এবং শেষ ও তৃতীয় ম্যাচটি ২৮ মে হবার কথা রয়েছে।
জামিনে মুক্তি পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইমলাম
অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনের আওতায় গ্রেপ্তারকৃত প্রথম আলো পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামকে জামিন দিয়েছে আদালত।
রবিবার ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত জামিন শুনানি শেষে তাকে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত জামিন প্রদানের আদেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন: সিএনএনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তবে তাকে ৫ হাজার টাকা মুচলেকা ও পাসপোর্ট জমা দেয়ার শর্তে জামিন প্রদান করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবর তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হলেও, তাকে তাৎক্ষণিকভাবে জামিন না দিয়ে রবিবার রায় প্রদানের দিন ধার্য করা হয়।
আরও পড়ুন: মন্ত্রী, সচিব বা রোজিনা ইসলাম কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন: তথ্যমন্ত্রী
৪২ বছর বয়সী এই নারী সাংবাদিক অত্যন্ত সুপরিচিত তার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য। সোমবার দুপুর থেকে প্রায় ৫ ঘণ্টা তাকে সচিবালয়ে আটকে রাখার পর গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে করোনা টিকা ক্রয় সংক্রান্ত নথিপত্রের অবৈধভাবে ছবি তোলার অভিযোগ করা হয়েছে।
গত সোমবার রাতেই রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৭৯, ৪১১ ধারা এবং অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট এর আওতায় মামলা দায়ের করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক মামলা বাতিলে দাবি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের
মঙ্গলবার অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের মামলায় অভিযুক্ত রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠায় আদালত। অপরদিকে পুলিশের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনও বাতিল করে দেয়া হয়। ওইদিন ই তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের নারী সেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকে রাখা এবং ৫ ঘণ্টা পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করার বিষয়টি তদন্ত করতে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।
তবে বুধবার রোজিনার বিরুদ্ধে করা মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোজিনার মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেল গোয়েন্দা পুলিশ
সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তার প্রতিবাদ, তার বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিল এবং তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সারাদেশের সাংবাদিকরা মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করে আসছিল। এরমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন বয়কটের ঘটানও ঘটে।
এদিকে এই ঘটনায় জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, টিআইব, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করে।
বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনে আগ্রহী চীন
বাংলাদেশের করোনা মোকাবিলায় সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছে চীন। এছাড়া যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে চীন এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আলোচনার আয়োজন করতে আগ্রহী দেশটি।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি বন্ধুত্ব ও প্রতিবেশী হিসেবে নিজেদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চীন সদা প্রস্তুত আছে বলেও জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আরও ৬ লাখ টিকা উপহার দেবে চীন
শনিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে এক ফোনালাপে যুক্ত হয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া বর্তমানে করোনার এক নতুন ধাক্কা মোকাবিলা করছে। করোনাভাইরাস মহামারি মানবতার শত্রু। তাই প্রতিবেশী দেশগুলোর উচিৎ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া।’
এ সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত মার্চ মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০বছর পূর্তি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানের চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং একটি ভিডিও বার্তা প্রেরণ করেন। সেই ভিডিও বার্তায় চীনা রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ও চীনের দৃঢ় সম্পর্কের দিকগুলো তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: যে কোন দেশ থেকে টিকার চালান এলে গ্রহণ করা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ওয়াং ই আরও বলেন, ‘চীন এবং বাংলাদেশ সবসময়ই একে অপরের প্রয়োজনে সহযোগিতা করেছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে সহযোগিতা করবে।’
ফোনালাপে তিনি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ আরও দৃঢ় ও জোরদার হবে বলে আশাব্যক্ত করেন।
অপরদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন চীনের সফল মঙ্গল গ্রহে অবতরণের প্রশংসা ও শুভেচ্ছা জানান। এর পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য চীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
আরও পড়ুন: টিকা উপহার: বন্ধু চীনের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হংকং ও তাইওয়ানের বিষয়ে চীনকে বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা জানান।
ড. আব্দুল মোমেন ফোনালাপে চীনের সাথে মহামারি নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য যৌথ অংশীদারিত্বমূলক কাজের মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নের আশাবাদ জানান।