কারাদণ্ড
ফরিদপুরে স্ত্রীর করা মামলায় পুলিশ পরিদর্শকের কারাদণ্ড
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারপিট ও নির্যাতনের অপরাধে দায়ের করা মামলায় চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামসুদ্দোহাকে (৪০) দুই বছর ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১১(গ) ধারায় অপরাধের অভিযোগ প্রমাণীত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচার জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায়ের আদালত এই রায় প্রদান করেন।
রায় ঘোষণার সময় পুলিশ কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা আদালত উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মো. শামসুদ্দোহা গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের নুরুদ্দিন আহম্মেদের ছেলে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট স্বপন পাল জানান, পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহা চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায়। তার স্ত্রী ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় ফারজানা খন্দকার তুলির দায়ের করা নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান মামলার বাদী ফারজানা খন্দকার তুলি জানান, গত ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট পারিবারিকভাবে শামসুদ্দোহার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের পর ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত আমি ফরিদপুরে আমার বাবার বাড়িতেই অবস্থান করি। পরবর্তীতে ওই বছরের নভেম্বর মাসে তার চাকরি করার কারণে যশোরে নিয়ে যায় আমাকে। সেখানে ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করি। এর কয়েকদিন পর থেকেই তার আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করি।
তিনি আরও জানান, `ওই সময় জানতে পারি অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত সে। আমি বাধা দিলে ওই সময় থেকেই আমার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। বিভিন্ন সময় আমাকে মারপিট করতো শামসুদ্দোহা।'
পাবলিক প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘এর কিছুদিন পর ফারজানার কাছে তার প্রমোশনের জন্য ৭০ লাখ টাকা বাবার কাছ থেকে এনে দিতে বলে। আমি ওই সময় ১৫ লাখ টাকা এনে দিই, কিন্তু তিনি তাতে খুশি হননি। এরপর আরও নির্যাতন বাড়তে থাকেন। প্রতিদিন নেশা করে এসে আমাকে মারপিট করতেন। ওই সময় আমি সেখান থেকে বাবার বাড়ি চলে আসি। তখন আমি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাবার বাড়িতেই আমি পুত্র সন্তানের মা হই। সন্তানের বয়স এখন দুই বছর। সন্তানের মুখ দেখেননি তিনি।
অ্যাড. স্বপন পাল বলেন, মঙ্গলবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচার জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ সাজা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পরকীয়ার জেরে যুবককে এসিড নিক্ষেপ
খেলায় বাধা দেয়া নিয়ে ফরিদপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০
খসড়া আইন অনুমোদন: ওষুধ সংক্রান্ত অনিয়মে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড
ওষুধ সংক্রান্ত অনিয়ম ও অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখে ওষুধ আইন-২০২২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
খসড়া আইনের আওতায় এ ধরনের অপরাধের শাস্তি হবে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ ১০ লাখ টাকা জরিমানা। বর্তমান আইনে এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডসহ দুই লাখ টাকা জরিমানা বিধান রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে তিনি গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া: গণমাধ্যমকর্মীদের মত দেয়ার জন্য ১০ দিন সময়
মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে যুক্ত ছিলেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খসড়া আইনের বিভিন্ন ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়ই রাখা হয়েছে।
খসড়া আইনে যেসব অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা রাখা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে- লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ উৎপাদন বা আমদানি; নিবন্ধন ছাড়া ওষুধ উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, বিপণন, মজুত, বিক্রয় বা প্রদর্শন; ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, বিক্রয়, মজুত বা বাজারজাতকরণ এবং সরকারি ওষুধ চুরি ও বিক্রয়।
খুলনায় আ.লীগ নেতা হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
খুলনায় বহুল আলোচিত মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খান ইবনে জামান হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন - শেখ তৈয়েবুর রহমান ওরফে ইরান, অপূর্ব কুমার বিশ্বাস ও মো. সোহাগ শেখ। অপরদিকে এ মামলার অন্য আসামি আশুতোষ ব্যাপারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট কে এম ইকবাল হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৩ অক্টোবর রাতে নগরীর খালিশপুরে নিজ বাড়িতে শ্বাসরোধ ও মাথায় আঘাত করে আওয়ামী লীগ নেতা খান ইবনে জামানকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার দুই পা দড়ি দিয়ে এবং এক হাত লুঙ্গি দিয়ে বাধা ছিল। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. শাহাব উদ্দিন খান বাদি হয়ে ১৪ অক্টোবর অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: খুলনার খাদ্য পরিদর্শক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
২০০৮ সালের ২১ অক্টোবর র্যাব সদস্যরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ তৈয়েবুর রহমান ওরফে ইরান, অপূর্ব কুমার বিশ্বাস ওরফে অপু ও মো. সোহাগ নামে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে। তারা জামানকে হত্যা করে বলে ওই দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ইন্সপেক্টর নিখিল চন্দ্র মন্ডল ওই তিনজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বলা হয়, খান ইবনে জামান চিরকুমার এবং সমকামী ছিলেন। তিনি জোরপূর্বক সমকামিতা করতে গেলে আসামিরা তাকে হত্যা করে।
২০০৯ সালের ৩ জুন মামলার বাদি মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। ওই বছরের ২৭ আগস্ট মুখ্য মহানগর হাকিম মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।
২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার অধিকতর তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই আবদুল গফুর চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা ছিলেন শেখ তৈয়েবুর রহমান ওরফে ইরান, অপূর্ব কুমার বিশ্বাস ওরফে অপু, মো. সোহাগ ও আশুতোষ ব্যাপারী।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধের দায়ে খুলনার ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনায় স্ত্রীর করা মামলায় স্বামীর ৭ বছর কারাদণ্ড
খুলনায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে স্ত্রীর করা মামলায় স্বামীর সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে খুলনার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কণিকা বিশ্বাস এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আমিনুর রহমান (৬০) নগরীর ৪ পুরাতন টিবি হাসপাতাল রোড এলাকার বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও বিশেষ পিপি এম এম সাজ্জাদ আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে দুর্নীতির মামলায় বিদ্যুৎ বিভাগের ২ প্রকৌশলীর কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৮৫ সালের মে মাসে পারিবারিকভাবে নিরালা আবাসিক এলাকার এক নারীর সঙ্গে আমিনুর রহমানের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু আমিনুর রহমান স্ত্রী-সন্তানদের না জানিয়ে ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে আবারও বিয়ে করেন। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। তারপর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকেন স্ত্রী।
২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আমিনুর রহমান ফেসবুকে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেন। এ ঘটনায় আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেন স্ত্রী।
২০১৬ সালের ৩১ জুলাই আমিনুরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সৈয়দ মোশাররফ হোসেন।
দুর্নীতির মামলায় প্রদীপের ২০ ও স্ত্রী চুমকির ২১ বছর কারাদণ্ড
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের দায়ের করা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া আলোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকি কারণকে ২১ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৭ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে তাদের এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ।
তিনি বলেন, আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।
দণ্ডিত প্রদীপ কুমার দাশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
এর আগে গত ১৮ জুলাই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। এদিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদ যুক্তিতর্ক শেষে আজ ২৭ জুলাই রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়,চট্টগ্রাম-২-এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন এ মামলা করেন।
মামলায় তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর এই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। মামলার পর থেকে পলাতক ছিলেন চুমকি। গত ২৩ মে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে রয়েছেন। তার স্ত্রীও দুদকের মামলায় কারাগারে আছেন।
প্রদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের উত্তর সারোয়াতলী গ্রামের মৃত হরেন্দ্র লাল দাশের ছেলে। নগরীর কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা আর সি চার্চ রোডে তাদের নিজস্ব একটি আবাসিক ভবন আছে। সেই ভবনে তার স্ত্রী চুমকি কারণ ও সন্তানদের নিয়ে তিনি বসবাস করতেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এরপর টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ওই বছরের ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন প্রদীপ কুমার দাশ। ওই মামলায় চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি দেয়া রায়ে প্রদীপকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন
ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুনানি ২০ জুন
বরিশালে দুর্নীতির মামলায় বিদ্যুৎ বিভাগের ২ প্রকৌশলীর কারাদণ্ড
দুর্নীতির মামলায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ দুই প্রকৌশলীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে বরিশালের একটি আদালত।
মঙ্গলবার বরিশালের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদি আল মাসুদ আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
একই মামলায় আরও একজনকে খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে মাদক ও অস্ত্র মামলায় ২ জনের কারাদণ্ড
দণ্ডিতরা হলেন- তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া গ্রামের সত্য নারায়ন ভূঁয়ার ছেলে লক্ষ্মী নারায়ন ভূঁয়া এবং পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া গ্রিড উপ কেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও বরিশাল নগরীর কাজীপাড়া এলাকার হাসমত আলী গাজীর ছেলে মো. হানিফ হোসেন গাজী।
খালাসপ্রাপ্ত মো. আনোয়ার হোসেন পিজিবি খুলনার সিকিউরিটি পরিদর্শক বর্তমানে ঢাকা রামপুরা আফতাব নগরের ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের কর্মরত আছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) একেএম নুরুউদ্দীন আহমেদ জানান, মামলায় রায়ে দুজনকে কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণা সময় আদালতে তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডিত দুজনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া খালাসপ্রাপ্তকে মুক্তি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার অভিযোগ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী লক্ষ্মী নারায়ন ভূঁয়া বরিশাল গ্রিড সংরক্ষণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকাকালীন সময়ে ভান্ডারিয়া গ্রিড উপ কেন্দ্র থেকে কচা নদীর পূর্ব পাড় পর্যন্ত পরিত্যক্ত সঞ্চালন লাইনের এক কোটি ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪৭ টাকার মালামাল আত্মসাৎ করে। এই ঘটনায় দুদকের বরিশাল জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মতিউর রহমান বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট তিনজনকে আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা করেন। ওই কর্মকর্তা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি তিন জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু হত্যা মামলায় চাচাসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিয়ায় চায়না খাতুন (১১) নামে এক বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে হত্যার দায়ে চাচাসহ দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এর পাশাপাশি তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে ধর্ষণের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বেলকুচি উপজেলার ছোট বেড়া খারুয়া গ্রামের বাসিন্দা শিশুটির চাচা সাদ্দাম হোসেন (৩৩) ও একই গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আকবর আলী (৪৪)।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইদের ফাঁসাতে সাদ্দাম হোসেন তার আপন বড় ভাই জহুরুল প্রামাণিকের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে চায়নাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। বাকপ্রতিবন্ধী চায়না ২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে বেড়াতে যায় এবং রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে সাদ্দাম তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা টিপে হত্যা করেন। পরে বেড়া খারুয়া চরে নিয়ে চাকু দিয়ে চায়নার গলা কেটে সেখানেই লাশ ফেলে রেখে আসে। তার এ নৃশংস হত্যাকান্ডে স্থানীয় ইউপি সদস্য আকবর আলী সহযোগিতা করেন। পরদিন ২৬ ডিসেম্বর সকালে বেড়া খারুয়া চর থেকে চায়নার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্তে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য সাদ্দাম ইউপি সদস্য আকবর আলীর প্ররোচনায় আপন ভাতিজি চায়নাকে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। এ নির্মম হত্যাকান্ডের অভিযোগে সাদ্দাম হোসেন ও আকবর আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তারা দু’জন হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
বাল্যবিয়ে: বাগেরহাটে কাজী ও ২ অভিভাবকের ৬ মাসের কারাদণ্ড
বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকায় বাল্যবিয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিবাহ নিবন্ধক কাজী এবং ছেলে ও মেয়ের দুই অভিভাবককে ছয়মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম নাগেরবাজার এলাকার ওই কাজী অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে ওই তিনজনকে ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকার বিবাহ নিবন্ধক কাজী আতাউল বারী ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বাবা সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের কবির সরদার এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের বাবা গোবরদিয়া এলাকার সজিব হাওলাদার।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম জানান, নাগেরবাজার বিবাহ নিবন্ধক কাজী অফিসে বাল্যবিবাহ দেয়া হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, কাজী আতাউল বারী এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৭ বছর বয়সের এক মেয়ে ও ২০ বছর বয়সী এক ছেলের বিয়ে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিয়ে
তিনি জানান, বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ এর আওতায় কাজী আতাউল বারী এবং ছেলে ও মেয়ের ওই দুই অভিভাবককে ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তিনজনকে এদিন রাতেই বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিচারক আরও জানান, আইন অমান্য করে বিবাহ নিবন্ধক কাজী আতাউল বারী দীর্ঘদিন ধরে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে ও মেয়েদের বিয়ে দিয়ে আসছেন। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে ও মেয়েদের জন্ম তারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সাদা কাগজে লিপিবদ্ধ করে কাজী তাদের বিবাহ সম্পাদন করেন। পরে কাগপত্র অনুসারে তাদের বয়স পূর্ণ হলে রেজিস্ট্রারভুক্ত করা। অভিযান চলাকালে এমন প্রমাণ মিলেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলামের তথ্য মতে, গত এক বছরে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ না দেয়ার জন্য নানা ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কেউ আইন অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বাগেরহাট জেলায় বিভিন্ন সময় বাল্যবিবাহ হয়ে আসছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা খবর পেলেই ছুটে গিয়ে বাল্যবিয়ে ভেঙ্গে দিচ্ছেন। এর পরেও থেমে নেই বাল্যবিয়ে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যক্রমে বাল্যবিয়ের কুফল অন্তর্ভূক্ত করা হবে
বাল্যবিয়ে পড়াতে গিয়ে কাজীর জেল, বরের জরিমানা
ফেসবুকে ধর্ম অবমাননা, শিক্ষক দেবব্রতের ৮ বছর কারাদণ্ড
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে দেবব্রত দাস নামে এক স্কুল শিক্ষকের আট বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত।সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালত এ রায় দেন।রায় ঘোষণার সময় স্কুল শিক্ষক দেবব্রত দাস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দেবব্রত নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দক্ষিণ চরইশ্বর এলাকার সুবল চন্দ্র দাশের ছেলে। তিনি স্থানীয় চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির থাকা আসামিকে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মোট আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়।’আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের অক্টোবরের ১৫ ও ২৮ তারিখে নোয়াখালীর হাতিয়ায় ইসলাম ধর্ম নিয়ে ফেসবুকে অবমাননাকর পোস্টের অভিযোগ ওঠে দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় হাতিয়া থানা পুলিশ সদস্য হুমায়ূন কবীর বাদী হয়ে তাকে আসামি করে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করে।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শিক্ষক দেবব্রত ১৫ অক্টোবর রাত ৯টা ১২ মিনিটে ও ২৮ অক্টোবর রাত ৮টা ৫৯ মিনিটে তার ফেসবুক আইডি থেকে দেয়া পৃথক দুটি পোস্টে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি করে নানা বক্তব্য লিখেন। এতে ইসলাম ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত সৃষ্টি হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ওইদিনই পুলিশ দেবব্রত দাসকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: সঙ্গীত শিল্পী আব্দুল মান্নান রানার কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সঙ্গীত শিল্পী আব্দুল মান্নান রানার কারাদণ্ড
প্রায় দুই কোটি টাকার চেক প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আব্দুল মান্নান রানাকে দুই বছরের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে সম পরিমাণ অর্থদণ্ডেরও আদেশ দেয়া হয়।
সোমবার চট্টগ্রামের চতুর্থ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আফরোজা জেসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
আব্দুল মান্নান রানা চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানার মধ্যম গোসাইলডাঙ্গা আব্দুল আজিজের ছেলে এবং দেশের জনপ্রিয় একজন সঙ্গীত শিল্পী এবং জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) কেন্দ্রীয় নেতা।
আরও পড়ুন: ওমর সানিকে পিস্তল দেখিয়ে হুমকির অভিযোগ অস্বীকার জায়েদ খানের
বাদী পক্ষের আইনজীবী তপন কুমার দাশ বলেন, মামলার বাদী ও আসামি পরস্পরের আত্মীয়। সে সূত্রে নগরীর কোতোয়ালি থানার চৈতন্য গলি জিন্নাহ পাড়ার আবদুল্লাহ আল হারুন চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ২০১৪ সালে আব্দুল মান্নান রানার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করেন। একটি চেকে ৯৪ লাখ ৮৯ হাজার ৮২৯ টাকা, অন্য একটি চেকে ৯৪ লাখ টাকা অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে ডিজঅনার হয়। পরে রানার বিরুদ্ধে আইনজীবীর মাধ্যমে আইনি নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার পরও আসামি চেকের টাকা পরিশোধ না করায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
বাদী আব্দুল্লাহ আল হারুণ বলেন, আমি রানার ছোট বোনের স্বামী হই। আমরা এক সঙ্গে ব্যবসা করতাম। ব্যবসায়িক কারণে তিনি আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেরত দেয়নি। এবং টাকার বিপরীতে যেসব চেক দিয়েছে তা ব্যাংকে ডিজ অনার হয়েছে। বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধান করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। তাই আমি মামলা করেছি।
আরও পড়ুন: প্রথমবার মিউজিক ভিডিওর মডেল হলেন ছোট পর্দার সারিকা
তবে এই বিষয়ে কথা বলতে শিল্পী আব্দুল মান্নান রানার সঙ্গে যোগাযোগের অনেকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।