কারাদণ্ড
সাইফুল আলম নীরবসহ বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীর তিন বছরের কারাদণ্ড
১০ বছর আগে রাজধানীর তেজগাঁও থানার নাশকতার মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে পৃথক দুই ধারায় তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- আনোয়ারুজ্জামান ওরফে আনোয়ার কমিশনার, লুৎফর রহমান, শাহীন ওরফে গান্ডু শাহীন, তরিকুল ইসলাম ওরফে ঝন্টু, আমিনুল ইসলাম জাকির, গোলাম কিবরিয়া শিমুল, বিল্লাল হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও জাকির হোসেন।
এক ধারায় তাদের ৬ মাস এবং আরেক ধারায় আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এদের মধ্যে সাইফুল আলম নীরব ও আনোয়ার কমিশনার রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন।
রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
পলাতক ৮ আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
জানা যায়, ট্যাক্সিচালক বাবুল ২০১৩ সালের ২৬ মার্চ রাত সাড়ে ৭টার দিকে মহাখালী থেকে তিনজন যাত্রী নিয়ে কারওয়ান বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। রাত ৮টার দিকে ওয়াসা ভবনের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন গাড়ি থামিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় বাবুল তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে তেজগাঁও থানার সাব-ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে এভারকেয়ারের সিসিইউতে স্থানান্তর
শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ ১০ জনের কারাদণ্ড
১০ বছর আগের পল্টন থানার নাশকতার মামলায় জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম মজনুসহ ১০ জনের দুই বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শেখ শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৯ নেতা-কর্মীর কারাদণ্ড
শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও মজনু ছাড়াও এ মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, যুবদল নেতা খন্দকার এনামুল হক এনাম, মো. এরশাদুল, জোনাইদ, আব্দুল কাদের খন্দকার, মো. দুলাল হোসেন, মো. হুমায়ুন কবির রওশন ও মিজানুর রহমান টিপু।
এছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ৪৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়।
এসময় তারা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এছাড়াও ঘটনাস্থলে থাকা গাড়ি ভাঙচুর করে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপির ১১ নেতা-কর্মীকে ৪ বছরের কারাদণ্ড
নাশকতা মামলায় বিএনপির ২৫ নেতা-কর্মীর ৩ বছরের কারাদণ্ড
নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৯ নেতা-কর্মীর কারাদণ্ড
নাশকতার দুটি মামলায় বিএনপির ২৯ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার দুটি আদালত।
এর মধ্যে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ ২০ জনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০১৭ সালে শাহজাহানপুর থানায় দায়ের করা এ মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, ভাসানী চাকলাদার, মহসিন, হানিফ হোসেন বাবু, বেলাল উদ্দিন, তরিকুল ইসলাম জিকির, মো. বাতেন, কাজী মো. জামাল, ইমরান খান ইমন, সোহাগ ভূঁইয়া, এ সালাম খান, আরিফুর রহমান সুজন, শেখ শহীদুল্লাহ টিপু, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, আবদুল্লাহ জামাল চৌধুরী, মো. সেলিম, আহমেদ ও হুমায়ুন কবির নাহিদ।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
আদালত ১৪৮ ও ৩৪ ধারায় ২০ জনকে দুই বছর এবং ৪২৭ ও ৩৪ ধারায় আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন। যেহেতু উভয় দণ্ড একযোগে চলবে, তাই দোষীদের কেবল দুই বছর কারাগারে থাকতে হবে। আর এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় ৪৪ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
এদিকে ২০১৮ সালে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন বিএনপির ৯ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন।
তারা হলেন- মেহেদী বাপ্পি, মাইনুল হাসান ওরফে মিশু, শরিফুল, জাকির হোসেন, মজিবুর রহমান, মামুন চৌধুরী, রুবেল হোসেন, আতিকুর রহমান ও বিল্লাল হোসেন।
একই সঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় আমিনুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় নকলে সহায়তার ডিভাইসসহ গ্রেপ্তার ২
বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা
বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৩-এর বিচারক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: সাকিবকে নিয়ে সমালোচনা: ধারাভাষ্য থেকে ওয়াকারের নাম প্রত্যাহারে হাইকোর্টের রুল
দণ্ডিত ব্যক্তি সবুজ মিয়া বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জালশুকা দহপাড়া এলাকার হাকিম উদ্দিনের ছেলে।
এই মামলায় সবুজের বাবা-মাসহ অপর চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এপিপি আইনজীবী বিনয় কুমার দাস বিশু।
তিনি জানান, ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট সবুজ মিয়া তার স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে মারপিট করে বালিশ চাপায় গুরুতর আহত করে। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় কোহিনুরের বড় ভাই লিটন বাবু মামলা করলে ১১ বছর পর আদালত এই হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তারেকের বক্তব্য মুছে ফেলতে বিটিআরসিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে হাইকোর্টে তলব
হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায় এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইয়াছির আরাফাত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
আসামিরা হলেন— মাধবপুর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের জিয়াউদ্দিনের দুই ছেলে জসিমউদদীন (৩৪) ও সালাউদ্দীন (৩৬) বহরা, গ্রামের আজিজুর রহমান উরফে ফরিদ মেম্বার (৫২), আক্তার মিয়া (৪৪) ও রফিজ উদ্দিন (৪৫)।
২০০৬ সালের ২১ মার্চ রাত অনুমান সোয়া ৯টায় কালিকাপুর চৌরাস্তা মোড় থেকে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিদর্শক আফজালুর রহমান (৪৮) বহরা গ্রামে তার বাড়িতে ফিরছিলেন।
তিনি ডরাছড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে আসামিরা জমিসংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। মাধবপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী সখিনা বেগম বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় মামলা করেন।
নিহতের একমাত্র ছেলে আইনজীবী সাইফুল আলম বলেন, তিনি এ রায়ে সন্তুষ্ট নন। তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
আদালতের রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেঞ্চ সহকারী তপন সিং।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
ফরিদপুরে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ নারীর মৃত্যু, আক্রান্ত ৩২৬
রাঙ্গামাটিতে শিশু বলাৎকার: যুবককে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড
রাঙ্গামাটিতে এক শিশুকে বলাৎকারের দায়ে এক যুবককে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাঙ্গামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নিার্যাতন দমন ট্রাইব্যুলাল এর বিচারক এ.ই.এম. ইসমাইল হোসেনের আদালত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
তিনি জানান, বলাৎকারের ঘটনায় শিশুর বাবার দায়ের করা মামলায় যুবক মো. ওমর সাদেক রিয়াদ ওরফে ওমর ফারুককে দোষি সাব্যস্ত করে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্র পক্ষে আইনজীবী ছিলেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সাইুফুল ইসলাম অভি।
আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী শফিউল আলম মিয়া, আইনজীবী রাশেদ ইকবাল এবং আইনজীবী কামাল হোসেন সুজন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের ৯ তারিখে রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে রাঙ্গামাটি শহরের শান্তিনগর বাস টার্মিনাল এলাকায় ওমর সাদেক রিয়াদ ওরফে ওমর ফারুক ওই কিশোরকে বলাৎকার করেন।
এরপর কিশোরের বাবা ওই বছরের ১০ অক্টোবর রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে রবিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন এবং জেল হাজতে পাঠান।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
ছাত্রকে বলাৎকারের দায়ে মাদরাসা শিক্ষকের যাবজ্জীবন
যুবদলনেতা ইসহাক সরকারসহ ১২ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
রাজধানীর কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ১২ জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১০ এর বিচারক মো. মামুনুর রহমান ছিদ্দিকীর আদালত এ রায় দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আতাউর রহমান এ তথ্য জানান।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- ইমরান নাহিদ, শাহিন, সেন্টু, মাসুম, হায়দার আলী বাবলা ও রিয়াজ উদ্দিন।
ছাত্রদল দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৮ মার্চ কোতোয়ালি থানার বাবুবাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় আসামিরা বিএনপির হরতাল সফল করতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে রিকশাচালক কামাল হোসেন আহত হন।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার সাব-ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান ১৩ জনের নামোল্লেখ করে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে শেষে সাব-ইন্সপেক্টর নাজিম উদ্দিন ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত আট জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: আপিলে আমৃত্যু সাজা কমিয়ে শামসুল হকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
বিচারপতিকে নিয়ে কটূক্তি: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে ৫ মাসের কারাদণ্ড
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার জেরে আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ তার উপস্থিতিতে সাজার এ আদেশ দেন।
আদালত বলেছেন, হাবিবুর রহমান দেশের জনগণের কাছে ভুল মেসেজ দিয়েছেন। বিচার বিভাগকে তিনি হেয় করেছেন। এই অবস্থায় আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারেন না। কোর্টকে কবর দেওয়া মানে দেশকে কবর দেওয়া, বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আদালতে হাবিবুর রহমান হাবিবের পক্ষে আদালতে আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী কামরুল ইসলাম সজল, আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব, ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদক মামলায় নারীর ৫ বছর কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি। সাজা দিয়ে আদেশ ঘোষণার আগে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ বুধবার দুপুরে তাকে হাইকোর্টে হাজির করে।
টকশোতে হাবিবুর রহমান হাবিব যে বক্তব্য দিয়েছিলেন শুনানির শুরুতে ল্যাপটপের মাধ্যমে তা আদালতকে দেখানো হয়।
এসময় আদালতের প্রশ্নের জবাবে পাবনা জেলা বিএনপির এই সভাপতি আদালতকে বলেন, আমি শপথ করে বলছি আমি এই বক্তব্য দিয়েছি। আমি আদালতের কাছে কিছু কথা বলতে চাই। তখন হাইকোর্ট তাকে কথা বলার অনুমতি দেন।
হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, খালেদা জিয়ার জীবন বিপন্ন। আমি তার জন্য আমার লিভার প্রয়োজনে দিয়ে দেব। খালেদা জিয়া এমন এক মহীয়শী নেত্রী। তিনি আমার মা। আমার মাকে যদি কেউ কটু কথা বলে সে মারা গেলেও তো তাকে ছাড়ব না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ভক্ত। তিনি বাংলাদেশে নারী শিক্ষায় জাগরণ সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন, আমার মমতাময়ী মা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আমার লিভার, কিডনি, এমনকি জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি। আমার ১০০ বছরের সাজা হলেও আমি ভয় পাই না।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে তলব করেন হাইকোর্ট।
৬ নভেম্বর তাকে হাজির হতে বলা হয়। একইসঙ্গে আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
ওই আদেশ অনুযায়ী ৬ নভেম্বর আদালতে হাজির হননি তিনি। যে কারণে ৮ নভেম্বরের মধ্যে তার বর্তমান অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে এ তথ্য জানাতে বলা হয়।
৮ নভেম্বরও আদালতের তলবে হাজির না হওয়ায় হাবিবকে হাইকোর্টে হাজির করতে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে হাজির করতে পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর মধ্যে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর পল্লবী থানার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: আপিলে আমৃত্যু সাজা কমিয়ে শামসুল হকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
নাটোরে একটি হত্যা মামলার রায়ে বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী জোসনা খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, দণ্ডপ্রাপ্ত উভয়কে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। এ সময় জোসনা খাতুন উপস্থিত থাকলেও পলাতক রয়েছেন বেলাল।
বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অনিসুর রহমান জানান, ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি নাটোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা এলাকার একটি আম বাগান থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে জোসনার ব্যক্তিগত কিছু কাগজপত্র লাশের কাছে পাওয়ায় তাকে আটক করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন জোসনার স্বামী বেলাল। তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক পলাতক বেলাল ও তার স্ত্রী জোসনাকে ওই দণ্ডাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে দুর্বৃত্তের আগুন
নাটোরে ইসলামী আন্দোলন কর্মীর হাত ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা
নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের সিংড়ায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী ও শাশুড়িকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সদরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুর রহিম পর্যায়ক্রমে রায় দুটি ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিংড়া উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের দুলাল চন্দ্র মহন্ত ও তার মা গীতা রানী মহন্ত।
আরও পড়ুন: বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
আদালতের বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, যৌতুকের টাকা না পেয়ে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ গৃহবধূ রুবি রানী মহন্ত ও তার বাবা তপন চন্দ্র মহন্তকে মারধর করে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রুবির বাবা পালিয়ে বাঁচলেও রুবিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এ ঘটনায় রুবির বাবার দায়ের করা মামলায় বিচারক রুবির স্বামী দুলাল চন্দ্র মহন্ত ও শাশুড়ি গীতা রানী মহন্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে উভয়কে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে তা বাদীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর একই আদালত নাটোর সদর উপজেলার জালালাবাদ গ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণের অপরাধে ওয়াজেদ আলী নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। ২০১২ সালের ১৪ জুন সদর উপজেলার জালাবাদ গ্রামের প্রতিবন্ধী গৃহবধূ পার্শ্ববর্তী গ্রামে যাওয়ার সময় মাঝখানের ফাঁকা মাঠ থেকে তাকে অপহরণ করেন ওয়াজেদ। পাশের পাট খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে একই এলাকার ওয়াজেদ আলী। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বনফুলের দুই কর্মী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন