কারাদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার, ২ বছরের কারাদণ্ড
ভ্রাম্যমাণ আদালত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে প্রতারণার অভিযোগে এক ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ কার্যক্রম প্রতিরোধে শুক্রবার বিকালে ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় নাজ ডায়াগনোস্টিক অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ৫ ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার
ভুয়া চিকিৎসক আব্দুর রশিদ সরকারের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার পীর কাশিমপুর এলাকায়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইলোরা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে এনএসআই-এর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইলোরা ইয়াসমিন জানান, আব্দুর রশিদ সরকার ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বগুড়া জেলার আমদীঘি এলাকায় আল সাফা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার থেকে ভূয়া চিকিৎসক হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে গ্রেপ্তার হন।
দুই বছরের কারাদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে সেখানে দুই মাস কারাভোগ করেন।
পরবর্তীতে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে সেখানকার প্রতারণার ব্যবসা গুটিয়ে নারায়ণগঞ্জে এসে পুনরায় একই ধরনের কার্যক্রম শুরু করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, আব্দুর রশিদ নিজেকে মেডিসিন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় পদ্মা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার এবং পঞ্চবটি এলাকায় নাজ ডায়াগনোস্টিক জেনারেল হাসপাতালে ব্যবস্থাপত্রের মাধ্যমে রোগীদের ভুল চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তিনি বৈধ সনদ ও আইডি দেখাতে ব্যর্থ হন এবং নিজের অপরাধের কথা স্বীকারও করেন।
পরে তাকে গ্রেপ্তার করে সাজা প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৯ম
বরিশালে শেবাচিম হাসপাতাল থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক
দুদকের মামলায় সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ড
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং আইনে দুদকের করা মামলায় অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানকে পৃথক দুই ধারায় আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভুইয়ার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দুই সহযোগীসহ সেলিম প্রধান আবারও রিমান্ডে
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে সেলিম প্রধানকে চার বছর কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে তাকে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
এছাড়া মানিলন্ডারিংয়ের দায়ে চার বছর কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে তাকে আরএ ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে পৃথক দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। সেক্ষেত্রে তাকে চার বছর কারাভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থেকে সেলিম প্রধানকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তার স্ত্রীও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, রায় দিয়ে সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করা সম্ভব না। তাই দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেবেন না। দাওয়াত দিলে যাবেন না। জেনেশুনে কারও দাওয়াতে যাওয়া মানে রাষ্ট্রবিরোধী অবস্থান নেওয়া। দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান।
চার্জশিটে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকার জ্ঞাতআয় বর্হিভুত সম্পদ অর্জন এবং ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও ইউএসএতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: অনলাইন ক্যাসিনো: সেলিম প্রধানের বাসা, অফিস থেকে ১ কোটি টাকা জব্দ
অনলাইন ক্যাসিনো: সেলিম প্রধানসহ রিমান্ডে ৩ জন
২০০২ সালে হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ৪ জনের যাবজ্জীবন, ৪৪ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা পৃথক দু’টি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪৪ জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সাতক্ষীরার আদালত।
আসামিদের মধ্যে হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবদুল কাদের বাচ্চু ও রঞ্জুকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং হাবিউল ইসলাম হাবিব, আবদুল কাদের বাচ্চু, রঞ্জু ও রিপনকে বিস্ফোরক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ সময় দু’টি মামলায় বাকি ৪৪ আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: পলাতক আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ মোট ৩৫ আসামি উপস্থিত ছিলেন। মোট ৫০ জন আসামির মধ্যে ইতোমধ্যেই দু’জন মারা গেছেন এবং ১৩ জন পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ, জিপি অ্যাডভোকেট. শম্ভুনাথ সিং, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু, হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন, অপরদিকে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শাহানারা আক্তার বকুল ও অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে মাগুরায় ফেরার সময় হামলার শিকার হয়।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় শেখ হাসিনা তুলনামূলকভাবে অক্ষত অবস্থায় বেঁচে গেলেও, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিকসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হামলার আরেকটি মামলায় বিএনপি নেতা ও অন্যান্য আসামিদের চার থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ১০ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ১২ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে ১০ জেলেকে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বাকি দুই জেলের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় (অপ্রাপ্ত বয়স্ক) তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ২৩ জেলেকে কারাদণ্ড
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- জাহাঙ্গীর বেপারী (৩০), মো. আলমগীর (২৫), মাইনুদ্দীন (৩৬), মনসুর (২৯), আবুল সরদার (৫০), আক্কাছ আলী প্রধানিয়া (৩৫), সুমন পাটওয়ারী (২৩), আবুল হোসেন (২৩), মো. সালমান (৩০) ও জাহাঙ্গীর (৪৫)।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে এসব তথ্য জানান, চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
এর আগে শনিবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মেঘনা মোহনা এলাকায় এ অভিযান চালায় টাস্কফোর্স।
অভিযান শেষে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান মানিক।
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, অভিযানের সময় ৪০ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও তিনটি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়। রাতেই জব্দকৃত কারেন্টজাল কোস্টগার্ড স্টেশন এলাকায় আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
আর নৌকা তিনটি মামলার আলামত হিসেবে কোস্টগার্ড হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ২৫ জেলে আটক, ১৯ জনকে কারাদণ্ড
মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৩ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ২৫ জেলে আটক, ১৯ জনকে কারাদণ্ড
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অপরাধে ২৫ জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স টীম। এ সময় ১৯ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং কিশোর ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৬ জেলেকে শাসন করে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর সদর উপজেলার দাসাদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাটকা ধরা অবস্থায় হাতেনাতে তাদেরকে আটক করা হয়।
অভিযানকালে সাতটি মাছ ধরার নৌকা, এক লাখ ২০ হাজার মিটার কারেন্টজাল, চারটি বেহুন্দি জাল ও ২০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় অভিযানে অংশগ্রহণকারী চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
অভিযান শেষে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেদায়েত উল্লাহ।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৩ জেলের কারাদণ্ড
কারাদণ্ড প্রাপ্ত জেলেদের মধ্যে এক বছর কারাদণ্ড প্রাপ্ত জেলে হলেন-মো. সোহেল (২০)। এক মাস করে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- লক্ষণ চন্দ্র বর্মন (৩০), রতন চন্দ্র বর্মন (৩৫), নুরুল হক দেওয়ান (৬৫), বাসুদেব চন্দ্র বর্মন (৪০), স্বপন চন্দ্র বর্মন (৪৮), ইকবাল হোসেন বেপারী (৩৫), বিশ্বজিৎ চন্দ্র বর্মন (৩৫), আরিফ হোসেন (১৪), বিল্লাল হোসেন (৩০), মো. সেলিম হোসেন (২৪), সাইফুল ইসলাম (২২), শিপন (২০), সুকান্ত চন্দ্র বর্মন (২০), বাদল চন্দ্র বর্মন (২২), মো. আল-আমিন হোসেন (২০), অপু চন্দ্র বর্মন (২০), হৃদয় চন্দ্র বর্মন, (২২) ও মো. মেহেদী হাসান (২৫)। এরা সবাই শরিয়তপুর ও চাঁদপুর সদরের নদীর পাড় এলাকার বাসিন্দা।
কিশোর ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক জেলেরা হলেন-নিত্য চন্দ্র বর্মন (১৪), মো. সাকিল (১৫), রাজন (১৪), মো. সিয়াম (১৪), মো. ইয়াছিন (১৭) ও রাব্বি (১২)।
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, জব্দকৃত কারেন্ট ও বেহুন্দি জাল আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। জব্দকৃত মাছ ধরার নৌকা কোস্টগার্ড হেফাজতে এবং জাটকাগুলো স্থানীয় গরীব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কোস্টগার্ড জেটি অফিসার মনিরুজ্জামান ও সঙ্গীয় ফোর্স, চাঁদপুর নৌ থানার এএসআই মো. শামীম ও সঙ্গীয় ফোর্স ও জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তছলিম বেপারী।
প্রসঙ্গত, জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরণের মাছ আহরণ, বেচা-কেনা, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় মাছ শিকারে দায়ে ১৩ জেলে আটক
মিথ্যা গণধর্ষণ মামলা করায় নারীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
কক্সবাজার আদালত চত্বরে সংঘটিত বহুল আলোচিত গণধর্ষণ মামলার বাদী রুনা আক্তারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মুসলেম উদ্দীন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা আক্তার কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ আউলিয়াবাদ এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৩ জেলের কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে কক্সবাজার আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে তাকে গণধর্ষণ করা হয় দাবি করে মামলা করেন রুনা আক্তার। পরে মামলাটি আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সব আসামিকে খালাস দেন আদালত।
মামলা থেকে খালাস পেয়ে আসামি রাসেল উদ্দিন বাদী হয়ে রুনার বিরুদ্ধে আদালতে পাল্টা মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর এপিপি বদিউল আলম জানান, রুনা আক্তারের দায়ের করা ধর্ষণ মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। আদালত আসামিদের খালাস দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দেন। কিন্তু তার আগে আসামিরা দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন। তাই সংক্ষুব্ধ হয়ে আসামিদের একজন হয়রানির অভিযোগে একটি মামলা করেন। ওই মামলাটি স্বল্প সময়ের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি রুনা আক্তারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ১৭ জেলের বিরুদ্ধে মামলা
ঈদের আগে ৩ দিন মহাসড়কে নির্মাণসামগ্রীবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৩ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৯ জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটক জেলেদের মধ্যে ২৩ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং ছয়জন শিশু হওয়ায় এক হাজার টাকা করে জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় তাদের কাছ থেকে এক লাখ ৯৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ৫০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ১৭ জেলের বিরুদ্ধে মামলা
সোমবার বিকালে এসব তথ্য জানান অভিযানে অংশগ্রহনকারী হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব রশীদ।
তিনি বলেন, ৯ এপ্রিল দিনগত রাত ৮ থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ড সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করে ২৯ জেলেকে আটক করে। এ সময় কয়েকজন জেলে অভিযানে থাকা নৌকার মাঝির ওপর আক্রমণ চালায়। তবে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা হয়নি।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন হাইমচর উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ২৩ জেলেকে কারাদণ্ড
চাঁদপুরে সেমাই কারখানাসহ ৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
রাজশাহীতে নবজাতক চুরির দায়ে স্ত্রীর-স্বামীর কারাদণ্ড
রাজশাহীতে নবজাতক চুরির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এক স্বামী ও স্ত্রীকে যথাক্রমে পাঁচ ও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহী মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ছয় মাসে কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজশাহীর মানবপাচার ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মো. অয়েজ উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রায়ের পর রাজশাহী মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে সিজারিয়ানের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন শ্রী মাসুম রবির স্ত্রী শ্রীমতি শিল্পী রানী দাস। সন্তান জন্মের পরের দিন রাত দশটার দিকে ওয়ার্ড থেকে নবজাতকটি চুরি হয়ে যায়।
এই ঘটনার পরের দিন মাসুম রবি বাদী হয়ে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের কারেন। মামলার একদিন পরে শিশুটিকে নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পানির ট্যাংকি এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই সময় সজীব ও মৌসুমিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই বছরের ২৩ জানুয়ারি মামলা দায়ের করা হয়। এর পর ওই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বাগেরহাটে ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এবার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করবেন রাহুল গান্ধী
ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী দেশটির প্রধানমন্ত্রীর উপাধি নিয়ে ‘উপহাস’ করার জন্য ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে সোমবার আপিল করবেন।
কেননা রাহুলের বহিষ্কারাদেশ আগামী সাধারণ নির্বাচনে তার দল কংগ্রেসের জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা।
রাহুল গান্ধী ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির কট্টর সমালোচক এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
২০১৯ সালের নির্বাচনী বক্তৃতায় ‘মোদি’ উপাধি নিয়ে উপহাস করার জন্য একটি আদালত তাকে মানহানির অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয় এবং এরপর তার সংসদ সদস্যপদ স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: কারাদণ্ডের পর এবার লোকসভার সদস্যপদ হারালেন রাহুল গান্ধী
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রপৌত্র এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এই কারাদণ্ড ও লোকসভার সদস্যপদ প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা করেছেন মোদি বিরোধীরা।
তারা এটিকে ক্ষমতাসীন সরকারের করা গণতন্ত্রের ওপর সর্বশেষ হামলা এবং ভিন্নমতকে দমন করার পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেছেন।
রাহুলের আইনজীবীরা ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, রাহুল আজ তাকে কারাদণ্ড দেওয়া গুজরাটের সুরাটের ওই আদালতে হাজির হবেন। সেখানে তিনি তার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ বা সাময়িক স্থগিতাদেশ চাইবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর ২ বছরের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে জাটকা ধরায় ২৪ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা ধরায় শুক্রবার ২৭ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ। আটকদের মধ্যে ২৪ জনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয় এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তিনজনকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তদের ৬ জন শরিয়তপুরের, ৮জন চাঁদপুরের, চারজন মতলব উত্তরের এবং ৬ জন মুন্সীগঞ্জের।
নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ৩৩ জেলে আটক
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় অভিযানে অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা আহরণকালে ২৭ জনকে আটক করা হয়। কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মতলব উত্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান খান।
তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত ২টি মাছ ধরার নৌকা নষ্ট করা হয়। ৩টি কোস্টগার্ড হেফাজতে এবং ৩টি নৌ থানার হেফাজতে রয়েছে। জব্দকৃত কারেন্ট জাল প্রায় ৫ লাখ মিটার আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। জব্দকৃত ৩৯ কেজি জাটকা দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
অভিযানে চাঁদপুর সদর মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলো।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জাটকা ধরার অভিযোগে আটক ৯
জাটকা ধরার অপরাধে চাঁদপুর-শরীয়তপুরের ১৭ জেলে গ্রেপ্তার