বই
যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই দেখে পরীক্ষা দেয় শিক্ষার্থীরা!
শিক্ষকদের কেউ আড্ডা দিচ্ছেন, কেউবা ঘুমাচ্ছেন। আর শিক্ষার্থীরা বই দেখে পরীক্ষা দিচ্ছে। এটি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া দাখিল মাদরাসার চিত্র।
দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো এখানেও চলছে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষায় মাদরাসার সব ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ নেয়ার কথা থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাত্র সাতজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে।
ভরনিয়া দাখিল মাদরাসা উপজেলা শহর থেকে দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। ১৯৬৪ সালে ভরনিয়া দাখিল মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আর এমপিওভূক্ত হয় ১৯৮৫ সালে। একসময় নামডাক থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি এখন পরিণত হয়েছে সাত শিক্ষার্থীর পাঠশালায়। শিক্ষক, কর্মচারীও আছেন ১৮ জন।
নিয়মিত বেতনও নিচ্ছেন তারা। ইবতেদায়ী থেকে দাখিল পর্যন্ত রয়েছে দশটি শ্রেণি কক্ষ। কাগজ-কলমে শিক্ষার্থী রয়েছে ২৪৫ জন। কিন্তু বাস্তবে এর চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগ ডের নামে অশ্লীলতা বন্ধ করতে নির্দেশ
অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নেয়া সাত শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছেন ৬ষ্ঠ শ্রেণির একজন, ৭ম শ্রেণির একজন এবং নবম শ্রেণির পাঁচজন। পরীক্ষা চলাকালে দেখা গেছে, শিক্ষকরা অফিসে বসে আড্ডা মারছেন, আর সাত পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন বই খুলে!
এদিকে, শিক্ষার্থী না থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণের বরাদ্দও পেয়েছে। মাদরাসার নামে ১৫ বিঘা আবাদি জমি থাকলেও সেগুলো লিজ দেয়া হয়েছে।
ভরনিয়া গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, ‘মাদরাসায় নতুন সুপার আসার পর থেকে মাদরাসার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দেয়। কিন্তু সব ফেল করে। প্রতিষ্ঠানের অনেক পুরাতন গাছ ছিল, সেগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। মাদারাসায় এখন কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই। মাদরাসার জমি আছে সেগুলোও বন্ধক দেয়া হয়েছে।’
একই গ্রামের বাবুল হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকরা ঠিকভাবে ডিউটি করে না। তাই ছাত্রছাত্রীরা অন্য বিদ্যালয়ে চলে গেছে।’
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘যেখানে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতি বাড়াতে কারও কোনো পদক্ষেপ নেই। সেখানে কর্মচারী নিয়োগে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য এবং মাদরাসার জন্য ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন বরাদ্দ হয় কিভাবে ?’
মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির অভিভাবক সদস্য আব্দুল করিম বলেন, ‘কমিটির কোনো মিটিং হয় না। ছাত্র-ছাত্রী এখন ৬-৭ জন। শিক্ষকরা সময়মতো আসেন না।
আরও পড়ুন: বরিশালের ২২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
৬০ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পায়। এই টাকা কোথায় যায়, কে পায়? একদিন মাদরাসায় গিয়ে দেখি পাঁচজন শিক্ষক এসেছে, এর মধ্যে একজন ঘুমাচ্ছে।’
ভরনিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আতাউর রহমান বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের আসার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু কাজ-কামের জন্য ছাত্ররা আসছে না। করোনার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা আসেনি। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, ‘স্থানীয় জনগণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখি কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই। কয়েকজন শিক্ষক আছেন, সুপারও ছিল না। একটি ক্লাস রুমে প্রবেশ করে দেখি সেখানে ছাগল ও বাদুরের মল। যা আমাকে হতবাক করেছে। পড়ালেখাও হয় না, বিষয়টি আমি মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাতে অবগত করেছি।’ এই পরিণতির জন্য তিনি শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেন।
রাণীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৈয়ব আলী মাদারাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি যোগদান করার প্রায় এক মাস হলো। এসে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে মত বিনিময় করেছি। কিন্তু মাদরাসা পর্যায় তা করা সম্ভব হয়নি। তবে খুব তাড়াতাড়ি এই পরিস্থিতি উত্তরণের উপায় খোঁজা হবে। প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করে যদি অনিয়ম পাওয়া যায়, তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রকাশ হলো আসিফ আকবরের জীবনীগ্রন্থ
প্রকাশ হলো কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের জীবনী গ্রন্থ। ‘আকবর ফিফটি নট আউট’-শিরোনামে বইটি লিখেছেন সোহেল অটল। শনিবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এক প্রকাশনা উৎসবের মাধ্যমে বইয়ের মোড়ক উন্মচন করা হয়।সেখানে আসিফ আকবর ও লেখক সোহেল অটল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গীতিকবি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবী, গীতিকবি গোলাম মোর্শেদ, ক্রিকেট কোচ এমদাদুল হক এমদু, ক্রিকেটার জাভেদ ওমর বেলিম গুল্লু, প্রকাশক নাজমুল হুদা রতন, আসিফ আকবরের বড় ভাই আনিস আকবর, কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী, আতিক বাবু, সোহেল মেহেদীসহ সঙ্গীত ও সাহিত্যাঙ্গনের অনেকেই।সূচনা বক্তব্যে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘জীবনীগ্রন্থ লেখা কঠিন কাজ। কারণ, জীবনীগ্রন্থে সত্যি কথা বলতে হয়। সে সত্যি কখনো কখনো অন্যের কিংবা নিজের বিরুদ্ধেও চলে যায়। সত্য গ্রহণের জন্য মানসিক প্রস্তুতিও থাকতে হয়।’
আরও পড়ুন: আসিফের বিরুদ্ধে মামলা হাইকোর্টে স্থগিতলেখক সোহেল অটল বলেন, ‘আকবর ফিফটি নট আউট’ লিখতে গিয়ে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। অবশেষে বইটি প্রকাশ পেল। বইতে অনেক ঘটনা ও তথ্য অনেকের বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে। আশা করব, সত্যকে সহজভাবে গ্রহণ করার মতো সাবালকত্বের প্রমাণ রাখবেন সংশ্লিষ্টরা।’আসিফ আকবর বলেন, ‘সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পাইনি কখনো। আমি জানতাম জীবনীগ্রন্থ প্রকাশ হলে অনেক কঠিন সত্য প্রকাশ করতে হবে। সেসব সত্য কখনো কখনো আমার নিজের বিরুদ্ধেও চলে যাবে। তবুও আমি চেয়েছি আমার জীবনের, ক্যারিয়ারের সত্য কথাগুলোই প্রকাশ পাক।’‘আকবর ফিফটি নট আউট‘ বইটি প্রকাশ করেছে সাহস পাবলিকেশন্স। চব্বিশ ফর্মার বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর। অনুষ্ঠানে প্রকাশক নাজমুল হুদা রতন জানান, রকমারিসহ সব অনলাইন প্লাটফর্মেই বইটি পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বইটির ইংরেজি সংস্করণ শিগগিরই প্রকাশ হবে।
আরও পড়ুন: আইসিটি আইনে মামলায় কণ্ঠশিল্পী আসিফের বিচার শুরু
আসিফের ‘গহীনের গান’ ১৩ হলে
বই মেলার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ক্লাউড সার্ভিস দিচ্ছে হুয়াওয়ে
আইসিটি প্রযুক্তি, সেবা ও অবকাঠামো প্রদানকারী হুয়াওয়ে ভার্চুয়াল অমর একুশে বইমেলা চালু করার জন্য বাংলা একাডেমিকে ক্লাউড সল্যুশন দিয়েছে। এখন থেকে বইপ্রেমীরা বইমেলা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য দেখতে পারবেন এই ওয়েবসাইটে।
বর্তমান পরিস্থিতির কথা আমলে নিয়ে, অমর একুশে বইমেলা ২০২২ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি এই ওয়েবসাইটটি চালু করেছে যাতে করে দর্শক ও আগ্রহী বইপ্রেমীরা ভার্চুয়ালি বইমেলা উপভোগ করতে পারেন এবং বইমেলা সম্পর্কিত তথ্য ও অন্যান্য সুবিধা পান। ওয়েবসাইটটির জন্য ক্লাউড সাপোর্ট দিচ্ছে হুয়াওয়ে আর ভার্চুয়াল প্লাটফর্মটি পরিচালনা করবে সিইএমএস।
বইপ্রেমীরা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বইমেলা, স্টল, বই, অনুষ্ঠান, কার্যক্রম ও স্টলগুলোর অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়া তথ্য সঞ্চয় করে রাখা, প্রিয় লেখক কখন মেলায় আসবেন তা জানতে এবং স্টলের সঙ্গে সরাসরি চ্যাটও করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
আরও পড়ুন: বাজারে উন্মোচিত ‘স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা’
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) কবি নুরুল হুদা বলেন, ‘পুরো দেশ ডিজিটাল সেবার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এবং সরকার এই রূপান্তরের সাহায্যে এগিয়ে আসছে। তদানুসারে, বাংলা একাডেমি এই বছর অমর একুশে বইমেলার জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে যাতে প্রত্যেকে বইমেলা বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য ডিজিটালভাবে অ্যাক্সেস করতে পারেন। এটাকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।’
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক, ইউয়িং কার্ল বলেন, ‘বরাবরই বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরের উন্নয়নে কাজ করছে হয়াওয়ে এবং হয়াওয়ে ক্লাউড প্ল্যাটফর্মের মতো বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে দেশের সেবা করছে। আমাদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, অমর একুশে বইমেলা ভার্চুয়াল সাইটের সুবিধার্থে ক্লাউড পরিষেবা প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি এই ওয়েবসাইট বইমেলায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং বাংলা একাডেমিকে নানাভাবে সাহায্য করবে।’
পুরো অভিজ্ঞতা পেতে এই ওয়েবসাইটে নিজের নাম, ঠিকানা, ইমেইল এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে যার জন্য কোন চার্জ হবে না। যে কোন বই অনলাইনে অর্ডার করার সুযোগও থাকছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। তবে আপাতত ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা থাকলেও খুব শিগগিরই অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা সংযুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: হুয়াওয়ে মালয়েশিয়ার ইনোভেশন সেন্টার উদ্বোধন
নীলক্ষেতে বইয়ের মার্কেটে আগুন
রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় বইয়ের মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যা ৭টা ৪৩ মিনিটে মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় লাভলী হোটেলে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) শাহজাহান সিকদার জানান, ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। আগুন মার্কেটের নিচতলার অন্যান্য দোকানেও ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখনও জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কলাবাগানে রেস্তোরাঁয় গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ ৬
ফতুল্লায় বিসিকের নিটওয়ার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ফার্নিচার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
বই মানুষকে সৃজনশীল হতে সহায়তা করে: পলক
জ্ঞানভিত্তিক, সৃজনশীল বাংলাদেশ গড়তে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বই মানুষের কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি ও সৃজনশীল হতে সহায়তা করে। একটি বই বা কবিতা মানুষকে যতটুকু প্রভাবিত করতে পারে অন্য কিছু তা পারে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ‘ডিজিটাল বুক আর্কাইভ’ অ্যাপ ‘বই চিত্র’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের পর আামাদের পরবর্তী লক্ষ্য উদ্ভাবনী বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার কথা উল্লেখ করে পলক বলেন, যেখানেই সমস্যা, সেখানে সমাধান; সেখানেই সম্ভাবনা, সেখানেই উদ্ভাবন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলনে ভাষা শহীদেরা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে ভাষার মর্যাদার আসন অধিষ্ঠিত করেছে।
আরও পড়ুন: ই-কমার্সে আস্থা ফেরাতে ফেব্রুয়ারিতে চালু হচ্ছে ইউবিআইডি: পলক
তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ছাত্র অবস্থায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতিত্ব করে বাংলা ভাষার আন্দোলন শুরু করেন এবং গ্রেপ্তার হন।
ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি (ইউএনবি)- জ্ঞানভিত্তিক, সৃজনশীল বাংলাদেশ গড়তে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বই মানুষের কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি ও সৃজনশীল হতে সহায়তা করে। একটি বই বা কবিতা মানুষকে যতটুকু প্রভাবিত করতে পারে অন্য কিছু তা পারে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ‘ডিজিটাল বুক আর্কাইভ’ অ্যাপ ‘বই চিত্র’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের পর আামাদের পরবর্তী লক্ষ্য উদ্ভাবনী বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার কথা উল্লেখ করে পলক বলেন, যেখানেই সমস্যা, সেখানে সমাধান; সেখানেই সম্ভাবনা, সেখানেই উদ্ভাবন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলনে ভাষা শহীদেরা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে ভাষার মর্যাদার আসন অধিষ্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ছাত্র অবস্থায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতিত্ব করে বাংলা ভাষার আন্দোলন শুরু করেন এবং গ্রেপ্তার হন।
পলক বলেন, আইসিটিতে বাংলাকে সমৃদ্ধ করার লক্ষে আইসিটি বিভাগের বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে অপটিক্যাল ক্যারেকটার রিকগনাইজার (ওসিআর), টেক্সট টু স্পিসসহ ১৫টি টোল তৈরি করা হচ্ছে। সারাদেশে ৭১টি লাইব্রেরিকে ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে। একটি ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরি করা হবে যেখানে মানুষ লাখ লাখ বই নিজ নিজ গ্রামে বসে সাবসক্রাইব করতে পারবে বলে।
তিনি আলোকিত মানুষ হতে বই পড়ার অভ্যাস গড়তে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্লিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, ধানসিঁড়ি ডিজিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শমী কায়সার।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু একজন দার্শনিক ছিলেন: পলক
পলক বলেন, আইসিটিতে বাংলাকে সমৃদ্ধ করার লক্ষে আইসিটি বিভাগের বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে অপটিক্যাল ক্যারেকটার রিকগনাইজার (ওসিআর), টেক্সট টু স্পিসসহ ১৫টি টোল তৈরি করা হচ্ছে। সারাদেশে ৭১টি লাইব্রেরিকে ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে। একটি ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরি করা হবে যেখানে মানুষ লাখ লাখ বই নিজ নিজ গ্রামে বসে সাবসক্রাইব করতে পারবে বলে।
তিনি আলোকিত মানুষ হতে বই পড়ার অভ্যাস গড়তে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্লিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, ধানসিঁড়ি ডিজিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শমী কায়সার।
সারাদেশে বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু
মহামারির কারণে নতুন বছরের প্রথম দিনে কোনো বই উৎসব না হলেও শনিবার সারাদেশে বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু হয়েছে।
২০২২ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশে প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত প্রায় ৪১.৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৩৪৭ মিলিয়ন কপি পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শ্রেণিকক্ষে বই বিতরণ করা হচ্ছে।
রাঙামাটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফরিদপুর, বরিশাল, নাটোর ও মাগুরাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ইউএনবি সংবাদদাতারা জানিয়েছেন ২০২২ সালের প্রথম দিনে উক্ত জেলার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’ শুরু বৃহস্পতিবার
বছরের শুরুতে নতুন বই পাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী আনন্দ প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেন।
আরও পড়ুন: গলাচিপায় সরকারি বই উদ্ধার, আটক ২
শিক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে নতুন বই পাবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীরা নতুন বছরেও সঠিক সময়ে বই হাতে পাবে বলে আশা করছি। বইগুলো মুদ্রণের ক্ষেত্রে যদি কোনও ভুলত্রুটি থাকে সেগুলোর বিষয়েও যথেষ্ট সতর্কতা মানা হচ্ছে। তারপরেও যদি ভুল থাকে, তাহলে অবশ্যই তা সংশোধনের ব্যবস্থা করা হবে।
শনিবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট এলাকায় সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বিএনপি নিজেদেরকে রাজনৈতিক দল হিসেবে দাবি করলেও, তারা মূলত অপরাজনীতি করে। এরমধ্যে মানুষ হত্যাসহ যত ধরনের অপরাধ আছে সবকিছুর সাথে বিএনপি জড়িত। বিএনপি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে সেটিও অপরাজনীতি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও বিএনপি সবসময় নেতিবাচক ভূমিকায় থাকে। এটিও তাদের চরিত্রের একটি অংশ।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, একদিকে তারা বলছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না, অপরদিকে আমরা দেখছি সব জায়গায় তাদের প্রার্থী দেয়া হচ্ছে। বিএনপি'র জন্য এটি নতুন কিছু না। বিএনপি সব সময়ই মুখে বলে একরকম, কাজে আরেক রকম করে।
আরও পড়ুন:ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখনও নিশ্চিত না: শিক্ষামন্ত্রী
এরপর শিক্ষামন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস এর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম চিশতী, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ইউনুস বিশ্বাস, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড.জাহিদুল ইসলাম রোমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে চাঁদপুর জেলা সদরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:সংক্রমণ কমে গেলে ক্লাস বাড়ানো হবে: শিক্ষামন্ত্রী
১২ বছরের অধিক শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে: শিক্ষামন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন বই ‘জাতির উদ্দেশে ভাষণ: শেখ হাসিনা’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন লেখা নতুন বই ‘জাতির উদ্দেশে ভাষণ: শেখ হাসিনা’ তুলে দিয়েছেন। জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে নিজে বইটি তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে এসময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন বই ‘শেখ হাসিনা: বিমুগ্ধ বিস্ময়’
‘অন্য প্রকাশ’ থেকে প্রকাশিত বিশ্লেষণধর্মী এই বইয়ে জাতির উদ্দেশে দেয়া শেখ হাসিনার ৩২টি ভাষণের পরিপ্রেক্ষিত বিশ্লেষণ এবং মূল ভাষণ তুলে ধরা হয়েছে। এতে গত চার দশকের বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের একটি সুস্পষ্ট চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। এসব ভাষণের বিশ্লেষণে রয়েছে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কাঙ্খিত অভিযাত্রার গল্প, স্বপ্ন ও দর্শন।
এ গ্রন্থ সম্পর্কে ড. মোমেন বলেন, জাতির উদ্দেশে দেয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতিটি ভাষণে তার রাজনৈতিক চিন্তা-দর্শন, দেশ ও জাতিকে নিয়ে তার পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এই ভাষণগুলো দেশের অনাগত প্রজন্মেরও জন্যও দিক নির্দেশনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরিসীম ত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বহু বছরের সামরিক ও স্বৈরাচারী দুঃশাসনে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রকে পুননির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তরের কাজ বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বই ‘বাংলাদেশ-একুশ শতকের পররাষ্ট্রনীতি: উন্নয়ন ও নেতৃত্ব’ প্রকাশিত
ড. মোমেনের গ্রন্থিত ও সম্পাদিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ শেখ হাসিনা: বিমুগ্ধ বিস্ময়’, ‘বাংলাদেশ- একুশ শতকের পররাষ্ট্রনীতি: উন্নয়ন ও নেতৃত্ব’, ‘বাংলাদেশ: রোড টু ডেভেলপমেন্ট’, ‘বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি নয়’, ‘বাংলাদেশ মার্চিং ফরোয়ার্ড’, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ: উন্নয়ন ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা’, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সমগ্র ১৯৫৫-১৯৭৫’, ‘বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা: বাংলাদেশের উন্নয়ন ভাবনা ও কূটনীতি’, ‘টেকসই উন্নয়নের পথে অভিযাত্রা: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’, ‘সাউথ সাউথ কো-অপারেশন: ফাইন্যান্সিং এসডিজি’, ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি অব এমপাওয়ারিং পিপল’, এবং ‘বাংলাদেশ: ফোরটি ইয়ারস ইন দ্যা ইউএন’। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা গবেষণাগ্রন্থে তাঁর প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা আড়াইশ’রও বেশি।
আরও পড়ুন: ১২ বাংলাদেশি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বই দিয়ে নির্মিত কলেজের প্রধান ‘ফটক’
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ব্যতিক্রমি ও অসাধারণ একটি কাজ করেছেন দইখাওয়া আদর্শ কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারা দেশ-বিদেশের কথাসাহিত্যিক ও লেখকদের ৫০ বই দিয়ে প্রধান ফটক নির্মাণ করেছেন। দৃষ্টিনন্দন এই ফটক দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাতীবান্ধা-চাপারহাট আঞ্চলিক সড়কের পাশেই চোখে পড়বে বইয়ের আদলে গড়ে তোলা আদর্শ কলেজের প্রধান ফটকটি। দেশ-বিদেশের কথাসাহিত্যিক ও লেখকদের ৫০ বই দিয়ে দুই সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে রয়েছে ফটকটি।
ঠিক ওপরে রয়েছে হাতের মুঠোয় গ্লোব। যে কারণে বইয়ের কারুকাজে মন কাড়ছে দর্শনার্থীদের। এক নজর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন তারা। অনেকেই দাঁড়িয়ে কথাসাহিত্যিকদের নামগুলো পড়ছেন। আবার এসব বইগুলো লাইব্রেরিতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ছেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
এছাড়াও কলেজের ভেতরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন এক শহীদ মিনার। শহীদ মিনারটিকে আগলে ধরে রেখেছে একটি বই। বইয়ের মলাটে রয়েছে বর্ণ। রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প।
কলেজের সৌন্দর্য বাড়াতে দৃষ্টিনন্দন ফটক তৈরি করতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা কাজ করছেন বলে জানালেন শিক্ষকরা। চারুকলার শিক্ষার্থীরা ফটক নির্মাণের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। কলেজের অধ্যক্ষ, কলেজ ফান্ড থেকে কিছু টাকা বরাদ্দ দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। টানা ১ বছর কাজ করে তৈরি করা হয়েছে ৫০ বই দিয়ে ফটকটি।
মূলত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই দৃষ্টি নন্দন ফটকটি নির্মাণ করা হয়েছে। তাই বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের ৫০ বই দিয়ে তৈরি করা হয় এটি।
কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মমতাজ সাথি বলেন, শিক্ষকদের পরিকল্পিত চিন্তাভাবনার কারণে এ ধরনের একটি ফটক তৈরি হয়েছে। বই হচ্ছে জ্ঞানের ভাণ্ডার, ফটকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বুঝানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিশাল আকৃতির অজগর সাপ উদ্ধার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল-আমিন ইসলাম বলেন, মূলত শিক্ষার্থীদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এই ফটকটি তৈরি করা হয়।
ফটকটির বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ফটকটি তৈরি করা হয়েছে। সে কারণে দেশ-বিদেশের কথাসাহিত্যিক ও লেখকদের ৫০টি বই দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানে অনেক কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
করোনা: বইমেলায় প্রবেশে সময়সীমা কমলো
দেশের কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিস্থিতি বিবেচনা করে একুশে বইমেলা -২০২১ এর দৈনিক সময়সূচি কমানো হয়েছে।
বাংলা একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এখন থেক বইমেলা বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এর আগে রাত ৮টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা ছিল।
সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে তবে এ বছর ১৮ মার্চ থেকে বইমেলা শুরু হয়েছে যা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: শওকত আলীর অনুবাদ গ্রন্থ ‘থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ’ প্রকাশিত
গত ১৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে বইমেলা-২০২১ উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলা একাডেমিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন।
রাজধানীতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলারে আয়োজন করা হয়েছে।
এবছর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বইমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে। ২০২১ বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার ওয়েবসাইট উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
করোনা মহামারিতে সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গায় এবারের বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় থাকছে ৩৩টি প্যাভিলিয়ন।
এ বছর ‘শিশু প্রহর’ থাকছে না। শিশু কর্নার সোহরাওয়ার্দীতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এবার ‘লিটল ম্যাগাজিন কর্নার’ স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়া্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে।
আরও পড়ুন: অবশেষে বইমেলা শুরু
প্রবেশপথে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে মেলায় ঢুকতে দেয়া হবে না।