স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
টার্মিনাল বাদে অন্য কোথাও টোল নেয়া যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, টার্মিনাল বাদে অন্য কোথাও টোল নেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, বাস কিংবা ট্রাকের মালিক ও শ্রমিক সমিতি একটা টোল নিয়ে থাকেন, তারাই সেটা নির্ধারণ করেন। সেটা টার্মিনাল ছাড়া কোনো জায়গা থেকে নেয়া যাবে না। এ বিষয়ে সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশমালা বাস্তবায়নের জন্য টাস্কফোর্সের সভা হয়। এ সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরাও মাদক সাপ্লাই করেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পৌর ও সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন হবে। প্রজ্ঞাপন দেয়ার পর টোল আদায়ের বিধি না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি চাঁদাবাজির মামলাও করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ড্রাইভার ও শ্রমিকদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এছাড়া বিআরটিএ’র জনবল বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ অবৈধ ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল গুলোকে বিআরটিএ’র আওতায় আনা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হেলমেটের মান নির্ধারণের জন্য বিআরটিএ ও বিএসটিআইয়ের সমন্বয়ে নির্ধারিত হেলমেটের বাইরে কেউ অন্য হেলমেট পরতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বাস মালিকদের ধর্মঘট কেন তা আমাদের জানার বিষয় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সমাবেশে বিএনপির কর্মীরা লাঠি নিয়ে আসছে, এটা আইনসিদ্ধ নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাস মালিকদের ধর্মঘট কেন তা আমাদের জানার বিষয় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে দলটির কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
শনিবার ঢাকার বিয়াম ফাউন্ডেশনে বিএসসি উইমেনস নেটওয়ার্কের বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। যারা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরাও মাদক সাপ্লাই করেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি কর্মীরা বাধার সম্মুখীন হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ কাউকে বাধা দেয়নি এবং বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনার কোনও তথ্য নেই।
বাস ধর্মঘটের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বাস মালিকরা কেন ধর্মঘট করেছে তা আমাদের জানার বিষয় নয়। আমি যতদূর জানি, ধর্মঘটের পিছনে বাস মালিকদের কিছু দাবির কারণ রয়েছে, যদিও আমি সে বিষয়ে নিশ্চিত নই।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার খুলনা মহানগরীতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী দলটির বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছে।
বিএনপির খুলনা মহানগর শাখার আয়োজনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সোনালী ব্যাংক চত্বরে নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা আগে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়।
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের আশপাশে এবং শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
কিছু পুলিশ কর্মীকে আগাম অবসরে পাঠানোর বিষয়ে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া এবং যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে তাদের একটি তালিকা পুলিশ সদর দপ্তর তৈরি করেছে এবং তাদের দ্রুত অবসরে পাঠানো হচ্ছে।’
পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
১৮ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন সাক্ষরিত এই বিষয়ে ইতোমধ্যে তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: সমাবেশে বিএনপির কর্মীরা লাঠি নিয়ে আসছে, এটা আইনসিদ্ধ নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে র্যাবের সংস্কার শুরু হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সমাবেশে বিএনপির কর্মীরা লাঠি নিয়ে আসছে, এটা আইনসিদ্ধ নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সমাবেশে বিএনপির কর্মীরা লাঠি নিয়ে আসছে, এটা আইনসিদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে লাঠি-সোটা নিয়ে আসার জন্য ঘোষণা দিয়ে বলা হয়েছিল। ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় তারা লাঠি নিয়ে এসেছে। এটি আইন সিদ্ধ নয়।
শনিবার সচিবালয়ে জননিরাপত্তা বিভাগ আয়োজিত মিনি ম্যারাথন ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে র্যাবের সংস্কার শুরু হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ঘোষণা দিয়ে বলে দেয়া হয়েছিল, তারা যেন লাঠি-সোটা নিয়ে আসে। এটা কী ইঙ্গিত বহন করেছিল, আমরা সেটা জানতাম না, জানিও না। আমরা লক্ষ্য করেছি, ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় তারা পেছনে লাঠি এবং সামনে লাঠির ওপরে তাদের দলীয় পতাকা উড়িয়ে এসেছে। এগুলো কী মিন করে। আমরা তাদেরকে বলি, আপনারা নির্বিঘ্নে আপনাদের পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিটিস করুন, সেখানে আমাদের কিছু ভাবার নেই, কিন্তু লাঠি-সোটা নিয়ে আসা, এটা আইন সিদ্ধ নয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরাও মাদক সাপ্লাই করেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'আপনারা যেটা বলছেন, জায়গায় জায়গায় তাদের ওপর ইয়ে (হামলা) করা হচ্ছে। আমি সবাইকে বলব, তাদের ভাষা, তাদের বাক্য এবং তাদের সবকিছু যেন পরিমিতভাবে ব্যবহার করেন। কারও ওপরে এমন কিছু যাতে না বলেন, যাতে করে তারাও বিক্ষোভ প্রকাশ করে কিংবা প্রতিরোধ তৈরি করে। যত ঘটনাগুলো ঘটেছে আমাদের দুদলের মধ্যে, এমন ধরনের স্লোগান কিংবা বাকবিতণ্ডা হয়েছে, সে জন্যই এই ঘটনাগুলো ঘটছে আমরা যতটুকু শুনেছি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপিকে আইনশৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। তারা যদি রাস্তা অবরোধ করেন কিংবা ভাঙচুর করেন, জনজীবনে দুঃসহ অবস্থা তৈরি করেন তাহলে আমাদের করার কিছু আছে।
মন্ত্রী বলেন,তারা যাতে কোনো ভাঙচুর অথবা কোনো বিশৃঙ্খলায় লিপ্ত না হয় এই জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পাশেই থাকবে।
মার্কিন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে র্যাবের সংস্কার শুরু হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিষয়ে মার্কিন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংস্কার শুরু করা যেতে পারে।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি যে সংস্কারের কথা বলেন- আমরা সব সময় করে যাচ্ছি। আমরা সবকিছু আধুনিকায়ন করছি। যা করা দরকার আমরা তা করছি।’
‘র্যাব একটি বিশেষ বাহিনী; আমরা মাঝে মাঝে তাদের বিশেষ কাজ দেই। র্যাব তার নীতি অনুযায়ী কাজ করে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরাও মাদক সাপ্লাই করেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, শাস্তিযোগ্য অপরাধ করলে র্যাব বা পুলিশ কেউই রেহাই পায় না। ‘অনেক পুলিশ ও র্যাব সদস্য কারাগারে। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা মার্কিন প্রতিবেদনের ওপর নজর রাখছি। কোনো ভুল থাকলে অবশ্যই দেখব।’
গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। জবাবদিহিতা ও সংস্কার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে শনিবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদ্য-নিযুক্ত মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জঙ্গিবাদ ও গুরুতর অপরাধ মোকাবিলায় কৃতিত্ব অর্জনকারী বিশেষ বাহিনী র্যাবের সংস্কারের প্রশ্নই আসে না।
ধানমন্ডি-৩২-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এমন কিছু করছি না যার জন্য সংস্কার প্রয়োজন। আমরা আমাদের জন্য নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছি। আমরা আইন লঙ্ঘন করে কিছু করি না। সেক্ষেত্রে সংস্কারের প্রশ্নই আসে না’।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং সরকার সরকারি পর্যায়ে এর জবাব দেয়া হয়েছে এটা (আমাদের জন্য) কোনো চ্যালেঞ্জ নয়। বিশেষ বাহিনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক মোকাবিলা করে তাদের ভূমিকা অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরাও মাদক সাপ্লাই করেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরা মাদক সাপ্লাই করেন। যারা করেন তাদের সবাইকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসি। কেউ বাদ যায় না।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মাদকাসক্তি নিরাময়ে বেসরকারি খাতের ভূমিকা’- শীর্ষক গোলটেবিল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনি জেলখানায় গিয়ে দেখুন মাদকের মামলায় পুলিশের সদস্য যেমন আছে, র্যাবের সদস্যও আছে। তেমন অন্য ব্যবসায়ীরাও রয়েছে। পুলিশ বলে তার জন্য আইন আলাদা হবে বিষয়টি এমন নয়।
ডোপ টেস্টের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশে যারা মাদক নেয়, তদেরকে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে তাকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। এই জায়গাটাতে আমরা খুব কঠিন অবস্থানে চলে আসছি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, চাকরির শুরুতে যারা সিলেক্টেড হবে তাদেরকে ডোপ টেস্ট করার প্রচলন পুরোপুরি নিতে যাচ্ছি। পুলিশ-বিজিবি সব জায়গায় ডোপ টেস্টের প্রচলন রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হচ্ছে।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, চিকিৎসরা নাকি সবচেয়ে বেশি মাদক গ্রহণ করেন। তবে বিষয়টি আমার জানা নেই। নেশা করে মাদক নেন চিকিৎসক, সাংবাদিক, ইঞ্জিনিয়ার, আমরাও নিয়ে থাকি। চিকিৎসরা মাদক নেবে না এমনতো কথা নেই। তারাতো আলাদা জাতি না। দু-একজন পথভ্রষ্ট হতে পারে।
মাদকের চাহিদা হ্রাস করতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে যে স্বপ্ন দেখছি, এই যে আমাদের উন্নয়ন, তার সব বরবাদ হয়ে যাবে যদি মাদকের ভয়াবহতা থেকে আমাদের ভব্যিষৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে না পারি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সন্তানেরা অত্যন্ত মেধাবী। সেই প্রজন্মকে যদি মাদকাসক্তি থেকে রক্ষা করতে না পারি তাহলে আমাদের স্বপ্ন অবাস্তবই থেকে যাবে। মাদকের চাহিদা কমাতে হলে গণমাধ্যমের অনেকখানি গুরুত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মাদকের চাহিদা হ্রাসে শুধু ক্রোড়পত্র দেই না, আমরা ছোট ছোট টিভিসি বানাচ্ছি। প্রত্যেকটি জেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনবল ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। ল্যাবও হয়েছে।
সবক্ষেত্রেই অসাধু লোক সব জায়গাতেই আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হেরোইন উদ্ধারের পর নাকি পরীক্ষা করার পর পাউডার হয়ে যায়। হুম অস্বীকার করছি না। কারণ শুধু পোর্টে কিংবা পুলিশে নয়, সব জায়গাতেই খারাপ অসাধু মানুষ আছে। আমরা শক্তিশালী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন করেছি।
সারা বাংলাদেশে জেলখানার ক্যাপাসিটি আছে ৪১ হাজার প্লাস। কিছুদিনের মধ্যে এটা আরও বাড়বে। কিন্তু সব সময় থাকেই ৮০ থেকে লাখের বেশি। এরমধ্যে ৬০ শতাংশই মাদক ব্যবসায়ী। বিচারের সময় সাক্ষী পাওয়া যায় না। আর আমাদের লম্বা জট লেগেছে মামলার। সেখানে এই মাদক মামলা হারিয়ে যায়। আমরা চেয়েছিলাম বিশেষ ট্রাইব্যুনাল চাইছিলাম মাদক মামলার জন্য, যদিও আমরা সেটা এখনও পাইনি। যদি শাস্তিটা দৃশ্যমান হতো তাহলে ডিমান্ড হ্রাস ও সাপ্লাই কমে যেতো।
মাদকের সাপ্লাই কমাতে বিজিবি, কোস্টগার্ডের সক্ষমতা ও জনবল বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বর্ডারে আমরা এখন অনেক কিছু করতেছি। টেকনাফে দেখেন নাফ নদীর যে বর্ডার তা দুর্গম। সেখানে বিওপি থেকে বিওপি যেতে সময় লাগে। আমরা সেন্সর লাগাচ্ছি সমস্ত বর্ডারে। হেলিকপ্টার টহলের ব্যবস্থা করছি, যাতে মাদকের সাপ্লাই বন্ধ করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশে ৬০ থেকে ৭০ লাখ মাদকাসক্ত। এজন্য ভাল হাসপাতাল নেই। আমাদের মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে অভিজ্ঞ ডাক্তার নাই, সাইক্রিয়াটিস্ট নাই। তেজগাঁও সরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে উচ্চ ও মধ্যবিত্তের কেউ যায় না।
বেসরকারি খাতে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র চালুর জন্য সরকারিভাবে সহায়তা করার আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দুর্গাপূজায় পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা বাধ্যতামূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কক্সবাজার লং বিচ হোটেলের বলরুমে ‘নবজাগরণ : ‘অপরাধকে না বলুন’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আজ মধ্য আয়ের দেশে। শুধু তাই নয় বিশ্বের অনেক দেশ আজকে বাংলাদেশকে রুল মডেল হিসেবে ধরে রাখেন। সম্প্রতি ভারত সফরে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এমন প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, জঙ্গী দমনে র্যাব পুলিশ একযযোগে কাজ করেছে। তাই সফলতা এসেছে। শুধু জঙ্গী দমন নয় দেশের সব ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। বিশেষ করে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়াদের বিরুদ্ধে। নানাভাবে যারা এসব অপরাধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে তাদের নিয়েই এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
প্রশিক্ষণের পর তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে মন্ত্রী জানান।
পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে ২৪ দেশের সেনাপ্রধান
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে এসময় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল কামরুল হাসান, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য জাফর আলম, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ব লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার, পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
গেল ২৯ আগস্ট ১৫ দিনব্যাপী এই কর্মশালা শুরু হয়েছিল। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে অপরাধ রোধে র্যাব ফোর্সেস ১৫ দিনব্যাপী “নবজাগরণ : অপরাধকে না বলুন” কর্মশালার আয়োজন করে। এতে ১০ জন নারীসহ অংশ নেয় ৩৬ জন প্রশিক্ষাণার্থী। তাদের ১৫ জন প্রশিক্ষক ৬টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। বিষয় সমূহ হলো-সেলাই, ড্রাইভিং, ফটোগ্রাফি, ট্যুরিস্ট গাইড, সার্ফিং ও হোটেল মোটেল রেস্তোরাঁয় বয় এবং হাউজ কিপিং। শেষে তাদের সনদ ছাড়াও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ হত্যা: ২৯ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠন
প্রত্যাবাসন ছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না
সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, ‘মাদকদ্রব্য আমাদের দেশে তৈরি না হলেও পাশের দেশ থেকে সেগুলো আসছে। মাদকের ছোবল থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। এটি শুধু সরকার বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষ করার সম্ভব নয়। সমাজ মাদকমুক্ত করতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে ‘রাজশাহী পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি জাদুঘর’ উদ্বোধনকালে এ তথ্য জানান তিনি। পরে তিনি জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইয়ে সাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন:দুর্গাপূজায় পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা বাধ্যতামূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আরাকান আর্মিদের সঙ্গে সে দেশের সরকারের যুদ্ধ হচ্ছে। এ কারণে মাঝে মাঝে আমাদের সীমান্তেও গোলা পড়ছে। এর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবাদ জানিয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, অচিরেই সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধ হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘রাজশাহীতে বিএমডিএর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় যিনিই জড়িত থাকনা কেন; তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তদন্ত করে সবাইকে আইনের মুখোমুখি করা হবে।’
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহী অঞ্চলে শতাধিক পুলিশ সদস্য শহীদ হয়েছেন। তাদের বীরত্বগাঁথা ও দেশপ্রেমের স্মৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার করা হলো। এর মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে। তাদের অবদান কখনো ভুলবে না বাংলাদেশ।’
জাদুঘর উদ্বোধন শেষে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী পুলিশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। পরে শহীদ পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করেন তিনি।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের দিকে গুলি চালানোর বিরুদ্ধে মিয়ানমারকে সতর্ক করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে এমআরপি পুনরায় চালুর বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দুর্গাপূজায় পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা বাধ্যতামূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, আসন্ন দুর্গাপূজায় দেশের প্রতিটি পূজা মণ্ডপে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পূজা মণ্ডপে স্থায়ীভাবে আনসার সদস্যরা পাহারায় থাকবেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপে সিসি টিভি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এসব পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পূজা মণ্ডপের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী; এটা পুলিশ হতে পারে, হতে পারে আনসার, যেখানে যেটা প্রয়োজন সেখানে সেই ভাবে ব্যবস্থা করা হবে।
রবিবার সচিবালয়ে আসন্ন দূর্গাপূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হবে। এবার পূজা মণ্ডপের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ৩২ হাজার ১৬৮টি। আমি অনুরোধ করেছি, এটা যেন আর না বাড়ে। যদি কমে আমাদের জন্য সুবিধা। তবে তারা (পূজা উদযাপন কমিটি)জানিয়েছেন দুই-চারটা কমাতে-বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, আমরা বলে দিয়েছি, প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপে যেন তাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকেন। স্বেচ্ছ্বাসেবক নিশ্চিত চেনার জন্য তাদের বাহুতে যাতে আর্ম ব্যান্ড থাকে। পুলিশ যাতে দেখে নিশ্চিত হতে পারে যে তারা (স্বেচ্ছাসেবক) সেখানে আছেন।
মন্ত্রী বলেন, গত বছর কোভিডের জন্য আমরা ভ্রাম্যমাণ পুলিশ রেখেছিলাম। এবার আমরা বলছি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিশেষ করে আনসার বাহিনী স্থায়ীভাবে থাকবে। তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পূজা উদযাপনকারীরা সমস্ত মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক রাখবেন। তাদের আর্ম ব্যান্ড থাকবে, যাতে আমরা নিশ্চিত হতে পারি কারা স্বেচ্ছাসেবক। সে জন্য আর্ম ব্যান্ড পরার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের দিকে গুলি চালানোর বিরুদ্ধে মিয়ানমারকে সতর্ক করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গত বছর কুমিল্লার একটি পূজা মণ্ডপে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল, তার প্রেক্ষিতে এ বছর পূজা উপলক্ষে বিশেষ কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি মনে করি কোন পূজামণ্ডপে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, সেখানে আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নেবো।
তিনি আরও বলেন, ‘বড় বড় পূজা মণ্ডপে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী টহলে থাকবে। পূজা মণ্ডপে আসা নারী ও শিশু দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। নারী ও শিশুদের উত্ত্যক্তকরণ, ইভটিজিং, মাদক সেবন রোধে এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার রোধে পূজা উদযাপন কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলবে। যে কোনো ইমারজেন্সিতে ৯৯৯ জাতীয় জরুরি সেবায় ফোন করতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পূজা মণ্ডপকে কেন্দ্র করে; বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার নবাবপুরসহ সারাদেশে যেন যানজট সৃষ্টি না হয়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার ও গুজব রোধে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হবে। এই ধরনের অপচেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থার মুখোমুখি হবে।
তিনি বলেন, প্রতি মণ্ডপে পুরুষ-নারীদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও নির্গমন পথ রাখতে হবে। পুলিশ সদর দপ্তর বিভাগীয় জেলা পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন নাম্বার পূজা উদযাপন কমিটি এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে থাকবে। আজান ও নামাজের সময় মসজিদের পার্শ্ববর্তী মণ্ডপগুলোতে পূজা চলাকালীন এবং বিসর্জনের সময় যন্ত্রের ব্যবহার সীমিত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পূজা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জুয়া ও মাদক সেবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পূজা মণ্ডপে অগ্নি নির্বাপকসহ যে কোন দুর্ঘটনা রোধে ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত থাকবে। শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব চলাকালে ঢাকাসহ সারাদেশে বিসর্জনের সময় ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও ডুবুরি থাকবে। উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত পূজা মণ্ডপে কোস্টগার্ড নিরাপত্তা প্রদান করবে, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের সঙ্গে থাকবে। দুষ্কৃতিকারীদের অশুভ তৎপরতারোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত সক্রিয় থাকবে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রে এমআরপি পুনরায় চালুর বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসংঘ পুলিশ, সংস্থা ও জাতীয় কর্তৃপক্ষসহ সকলের সমন্বয় প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের দিকে গুলি চালানোর বিরুদ্ধে মিয়ানমারকে সতর্ক করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, সরকার মিয়ানমারকে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে গুলি চালানো থেকে বিরত থাকতে বলেছে।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের দিকে কয়েকটি মর্টার শেল পড়েছে। আমরা এ ঘটনার বিরুদ্ধে সরকারের প্রতিটি স্তর থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারে নিযুক্ত আমাদের রাষ্ট্রদূতকেও একটি বার্তা পাঠিয়েছি। আমি আশা করি মিয়ানমার শিগগিরই সংযম দেখাবে।’
জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শেষ না করা পর্যন্ত বাবুল আক্তারের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে চান না।
আরও পড়ুন:ইউএনসিওপিএস’এ যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বাবুলের অভিযোগ সত্য কি না তা পিবিআইয়ের তদন্তে জানা যাবে। পিবিআইয়ের ওপর আমাদের আস্থা আছে। তারা সর্বদা পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত পরিচালনা করে। পিবিআই তদন্ত শেষ হলেই সব বিভ্রান্তি দূর হবে।’
হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার।
মামলার অন্য পাঁচ আসামি হলেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা ও জেলা পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, পিবিআই পরিদর্শক একে মহিউদ্দিন সেলিম, সন্তোষ চাকমা ও এনায়েত কবির।
আরও পড়ুন:জাতিসংঘ পুলিশ, সংস্থা ও জাতীয় কর্তৃপক্ষসহ সকলের সমন্বয় প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে এমআরপি পুনরায় চালুর বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে এমআরপি পুনরায় চালুর বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশি নাগরিকদের সুবিধার্থে বর্তমানে প্রচলিত ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) পুনরায় চালু করা যায় কি না তা পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
শুক্রবার (যুক্তরাষ্ট্র সময়) বিকালে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এখন জাতিসংঘের তৃতীয় চিফ অব পুলিশ সামিট (ইউএনকপস) ও অন্যান্য কর্মসূচিতে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
শিগগিরই ই-ভিসা চালু করা হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব শিগগিরই একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি এবং এমওইউ স্বাক্ষরিত হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে ই-ভিসা প্রদান শুরু করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, দেশের সকল নাগরিক যাতে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সুবিধা পায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এনআইডি বিতরণ কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পড়ুন: জাতিসংঘ পুলিশ, সংস্থা ও জাতীয় কর্তৃপক্ষসহ সকলের সমন্বয় প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি নিয়ে শিগগিরই পুরোদমে কাজ শুরু করবে এবং প্রবাসীরা যাতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশন থেকে এনআইডি কার্ড পেতে পারে তার পরিকল্পনাও হাতে নেবে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন দূতাবাসের চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স মো. মেহেদি হাসান। বৈঠকে মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাহেদুল ইসলামও বক্তব্য দেন।
ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা) মোহাম্মদ আবদুল হাই মিল্টন পাসপোর্ট ও ভিসাসহ সার্বিক কনস্যুলার কার্যক্রম, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য করণীয় বিষয়ের ওপর একটি উপস্থাপনা পেশ করেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতার ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দূতাবাস আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীও পরিদর্শন করেন।
পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পেছনে ১০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প: আইজিপি