স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউএনসিওপিএস’এ যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ চিফস অব পুলিশ সামিটে (ইউএনসিওপিএ) যোগ দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল নিউইয়র্কে পৌঁছেছে।
শীর্ষ সৈন্য ও পুলিশ যোগানদাতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন স্থাপত্যকে শক্তিশালী করার বিষয়ে অবদান রাখতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউইয়র্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদও সামিটে যোগ দেবেন।
সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হবে যৌথ অভিযান, থাকবে সেনাবাহিনী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদক, হত্যা বিস্তার রোধে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
রবিবার সচিবালয়ে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির পঞ্চম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ব্যাচেলেটে সঙ্গে সাক্ষাতের পর ‘গুম’ নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে আমরা মাঝে মাঝেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করছি। বিনা কারণে আমরা রক্তপাতও দেখছি। মাঝে মাঝে মিয়ানমার থেকে মাদকের আনাগোনাও লক্ষ্য করছি। এটার জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা এবং অভ্যন্তরে গোয়েন্দা কার্যক্রম বন্ধের লক্ষ্যে আমরা তথ্যভিত্তিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া সেসব অভিযানে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার তো আছেই; যদি প্রয়োজন হয় সেখানে আমাদের সেনাবাহিনীর সদস্যরাও যুক্ত হবেন। ওখানে এপিবিএন কাজ করছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে বাস্তবতার নিরিখে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, আনসার, পুলিশ, এপিবিএন যৌথভাবে ক্যাম্পের ভেতরে ও বাইরে অভিযান পরিচালনা করবেন।’
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হবে যৌথ অভিযান, থাকবে সেনাবাহিনী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা (স্যাংশন) দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার দুপুরে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ইনার হুইল ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত ‘পঞ্চম দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলন’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘অনেকেই অনেক কথা বলেন। আমি সব সময় বলে থাকি তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া কিছু বললে তা কেউ বিশ্বাস করে না। জনগণও তাতে আস্থা রাখে না ।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি আমাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন। আমাদেরকে কিছু প্রশ্ন আগেই দিয়েছিলেন। তার প্রশ্নের ৭৬ জন গুমসহ অন্যান্য বিষয় আমরা ভিডিও প্রেজেন্টেশন তাকে দেখিয়েছিলাম এবং কোনদিন কী হয়েছে বিস্তারিত বিষয় তার কাছে তুলে ধরেছি। এসব দেখে তিনি কোনো প্রশ্ন আমাদেরকে করেননি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি তারা (বিএনপি) একটা অবস্থার সৃষ্টির জন্য বিভিন্নভাবে রটনা করে যাচ্ছে। যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই এবং সত্যতা দেখাতে পারেনি। ভিত্তি না থাকার কারণে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শিগগিরই দেশে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্যাচেলেটে সঙ্গে সাক্ষাতের পর ‘গুম’ নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, দেশে যারা ‘গুম দিবস’ পালন করে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন তারা একটি উদ্দেশ্য নিয়েই করে থাকেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে তুলে নিয়ে গেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করে থাকে।
রবিবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট সাক্ষাৎ করেন। এই সাক্ষাতের পর গুম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় গুম হওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জাতিসংঘের অভিযোগের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এদের বিভিন্নজনের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক অভিযোগ রয়েছে। অনেকে পারিবারিক অশান্তিতে রয়েছে। অনেকে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে রয়েছেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে ভালো করতে না পেরে, ঋণে জর্জরিত হয়ে ও নানা ঝামেলায় অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কেউ ইচ্ছাকৃত গুম হলে তাকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
এর আগে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকোচন, সুশীল সমাজসহ মানবাধিকারের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়েও কথা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গা নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে কোনো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।
তিনি জানান, মিশেল ব্যাচেলেট বলেছেন মিয়ানমারের অবস্থা ভালো নয় বলে রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে পারছে না দেশটিতে। তাদের ফিরিয়ে নিতে কাজ করছে জাতিসংঘ।
আরও পড়ুন: ব্যাচেলেটে সঙ্গে সাক্ষাতের পর ‘গুম’ নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শিগগিরই দেশে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের কোনো বাধা থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শিগগিরই দেশে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের বাইরে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শিগগিরই দেশে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অনেককেই এর মধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যারা বাইরে আছেন তাদের মধ্যে দু’একজনকে শিগগিরই দেশে আনা হবে।’
শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিটের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষির্কী উপলক্ষে ৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল, কারণ তারা ভালো করেই জানতো, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যাদের ধমনীতে প্রবাহিত, তাদের কেউ বেঁচে থাকলে খুনিদের বিচার একদিন হবে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেত। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তা হতে দেয়নি। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা অসীম সাহসিকতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ডাকে সাড়া দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা তাদের সেই ত্যাগের প্রতিদান দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধের সরকারি ভাতাসহ নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় প্রমাণ করেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনা মোকাবিলা করছেন। ২১ আগস্টের বোমা হামলা আপনারা দেখেছেন, সেই দিনের হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যাকে মহান রব্বুল আলামিন বাঁচিয়েছেন, বাঁচার কোনো উপায় ছিল না। বঙ্গবন্ধু যেটা করে যেতে পারেননি, সেটা মহান রব্বুল আলামিন বঙ্গবন্ধুর কন্যার মাধ্যমে করিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহাগরের কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
পড়ুন: বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের কোনো বাধা থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীন আক্তার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান ও চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার রাশেদুল হকসহ মুক্তিযোদ্ধারা বক্তব্য দেন।
এর আগে দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বঙ্গোপসাগরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সমুদ্র মহড়া পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি বলেন, কোস্টগার্ড মানব ও মাদক পাচার রোধেও সফল ভূমিকা রাখছে। যার জন্য আমরা মনে করি কোস্টগার্ড দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়। ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে লাল তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। আমাদের এত বড় বন্দর সেখানে সেই সময় জাহাজ আসতে নানান ধরনের প্রশ্ন তুলতো। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই।
মহড়ায় কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহের স্টিম পোস্ট, ভিবিএসএস এক্সারসাইজ, ২০ মিটার রেসকিউ বোট, মেটাল শার্ক এবং জাহাজ কামরুজ্জামান দ্বারা পলিউশন কন্ট্রোল এক্সারসাইজ, ডিসপারসেন্ট ডেলিভারি ও ওয়াটার গান অপারেশন প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের কোনো বাধা থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো বাধা দেবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।রবিবার সচিবালয়ে জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। তার রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। সে কৌশলে তারা নির্বাচনে যাবে কি যাবে না এটা তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু রাস্তাঘাট বন্ধ করবে জানমালের ক্ষতি করবে এটা আমরা করতে দেবো না। তারা প্রেসক্লাবে রোজ মিটিং করছে আমরা বাঁধা দিচ্ছি না।তিনি বলেন, ‘তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে যে সভা বা প্রচার করবে তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তারা যখনই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে বা জানমালে আঘাত করবে, সেখানে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চুপ থাকবে না; তাদের কাজ তারা করবে। বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ আন্দোলনে নামবে কিনা এটা জনগণের ওপর। জনগণ নামলে তো নামবে। তার এটা নিশ্চিত যে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আলোকিত হচ্ছে, সেখানে এদেশের মানুষ আর কখনই অন্ধকারে ফিরে যাবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সভায় ১৫ আগস্টকে সামনে রেখে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হবে। ধানমন্ডি লেকেও নৌপুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। ওই এলাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ডিএমপির নির্দেশনায় হবে। বিদেশি মিশনের কূটনীতিবিদরা ধানমন্ডি ও বনানী কবরস্থানে পুস্পস্তবক অর্পণের জন্য যাওয়া আসার জন্য তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের ব্যবস্থা থাকবে।ঢাকায় বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শ্রদ্ধা নিবদেনস্থলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গোপালগঞ্জে জাতির পিতার সমাধিতে সব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা থাকবে। সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সারাদেশে গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হবে। কেউ যাতে কোনো রকমের নাশকতা না করতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এটাও আলোচনা হয়েছে, যতগুলো নাশকতা হয়েছে এই ১৫ আগস্টের পরে। ২১ আগস্ট নিশ্চয়ই ভুলে যান নাই বা ১৭ আগস্টের কথাও নিশ্চয়ই ভুলে যান নাই। সেটা মাথায় রেখে যাতে এ ধরনের নাশকতা না হয় আমাদের গোয়েন্দারা সেই দিকে নজর রাখবে।অনুষ্ঠানস্থলে অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবল নিয়ে ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত থাকবে। কেউ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাতে গুজব ছড়াতে না পারে এ জন্য আমরা লক্ষ্য রাখবো। এ ব্যাপারে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো যাতে কোনো প্রচেষ্টা ফলপ্রসু না হয়।’তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এ ক্ষেত্রে ফ্ল্যাগ রুলস যথাযথ অনুসরণ করতে হবে। যারা পতাকা উড়াবেন তাদের নিয়ম মেনে উড়াবেন এবং যথাসময়েই নামাবেন। সব অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে আমরা অনুরোধ করেছি।’তিনি আরও বলেন, ‘সব অনুষ্ঠানস্থলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে।’
আরও পড়ুন: মাদকের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নড়াইলে শিক্ষক হেনস্থা ঠেকাতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সম্প্রতি নড়াইলে এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কোনো গাফিলতি আছে কি না তা কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
নড়াইলের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সামনে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই আকস্মিক ঘটনায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কয়েকজন উত্তেজিত ব্যক্তি শিক্ষককে হেনস্থা করেছে। আমাদের ডিসি ও এসপি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তবে বিস্তারিতভাবে প্রকৃত তথ্য পাওয়ার পর আপনাদের (সাংবাদিকদের) জানাব।’
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে শিল্পাঞ্চলসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সাভারে এক শিক্ষককে হত্যার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে অভিযুক্ত ছাত্রের বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং অবশ্যই অভিযুক্ত খুনিকে গ্রেপ্তার করবে। অপরাধীকে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে।
পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ও এর ওপর মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। সেতুর দুই পাশে দুটি নতুন থানা স্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, সেতুতে যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে এবং পুরো সেতু পর্যবেক্ষণে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে সারাদেশে ৪৪০০টির বেশি পশুর হাট বসবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সারাদেশের পশুর হাটে মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
তিনি বলেন, ‘এ বছর মোট চার হাজার ৪০৭টি পশুর হাট বসবে। এসব হাটে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।’
বুধবার ঈদকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১০টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২টি পশুর হাট বসবে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের নিরাপত্তা দিতে গরুর হাটে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ব্যবসায়ীদের টাকা নিরাপদে স্থানান্তর করতে সহায়তা করবে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা কবে, জানা যাবে বৃহস্পতিবার
সড়ক ও মহাসড়কে কোনো পশুর হাট থাকবে না উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান বলেন, ব্যবসায়ীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো হাটে পশুবোঝাই গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না।
কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিদেশে পাচার রোধে কঠোর নজরদারি করা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইন সংশোধন করে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ডোপ টেস্ট (মাদক গ্রহণ করেন কি না সেই পরীক্ষা) বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন তৈরি করা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী তাদের ডোপ টেস্ট করা হবে। তাদের ভর্তির সময় মেডিকেল টেস্ট করা হবে, সেই টেস্টের মধ্যে এই ডোপ টেস্ট থাকবে।
রবিবার সচিবালয়ে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মাদকের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকারি চাকরিজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রদের ডোপ টেস্টের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছিলেন, এর আগেই আমরা পুলিশের ডোপ টেস্ট শুরু করে দিয়েছিলাম।
বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়া মানতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে চাইলে তাকে আইনি প্রক্রিয়া মানতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আদালত নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া শুধু দেশের মধ্যেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। যদি তিনি আরও কিছু চান তবে তাকে অবশ্যই আদালতকে জানাতে হবে এবং আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানো হয়েছে: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তার হার্টে শনিবার একটি রিং বসানো হয়েছে।
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় শনিবার ভোররাতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদাকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয় সরকার। শর্তগুলো হলো- তিনি তার গুলশানের বাসায় থাকবেন এবং দেশ ছাড়তে পারবেন না।