স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সড়ক-মহাসড়কে কোনো পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সারাদেশে সড়ক-মহাসড়কে কোনো প্রকার পশুর হাট যাতে না বসে আমরা সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখব বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে সড়ক-মহাসড়কে কোনো প্রকার পশুর হাট যাতে না বসে আমরা সেটা লক্ষ্য রাখব। পশুর হাটে হাসিলের সাইনবোর্ড দৃশ্যমান রাখতে হবে। পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প থাকবে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীও নিয়োজিত থাকবে। পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন ও এটিএম বুথ থাকবে।’
রবিবার (১৮ জুন) সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৯ বা ৩০ জুন দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
মন্ত্রী জানান, ‘সারাদেশে ৪ হাজার ৩৯৯টি পশুর হাট বসবে বলে আমাদের কাছে এ পর্যন্ত খবর এসেছে। এসব হাটে নিরাপত্তা দিতে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি বলেন, ‘মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পশুর হাট বসলে তা যেন কোনোক্রমেই যেন মহাসড়কের ভেতর না আসতে পারে, সেজন্য ওই হাটের কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: পাহাড়ে কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘কোরবানির পশু ঠিকমত যাতে শহরে ঢুকতে পারে এবং পরিবহন যাতে সুন্দর হয় সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় ও কোরবানির পশুর হাটে ওয়াচ টাওয়ার বসাবো। পশুর হাটগুলো সিসি ক্যামেরায় আবৃত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু পুলিশ নয়, অনেকেই পশুবাহী গাড়ি থামিয়ে থাকে। যদি কেউ পশুবাহী গাড়ি থামায় তাহলে স্থানীয় এসপিকে জানাতে হবে। এরপর তিনি ব্যবস্থা নেবেন।’
আসাদুজ্জামান বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া পথে কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা অন্য কেউ কোরবানির পশুবাহী যানবাহন থামাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘কোনো পশুবাহী নৌযান ও ট্রাক পরিবহনের সময় জোরপূর্বক নির্দিষ্ট কোনো হাটে যাতে বাধ্য করা না হয়, থামানো না হয়। সেজন্য ট্রাক বা যানে সামনে ব্যানারে লেখা থাকবে পশুবাহী যান কোন হাটে যাচ্ছে। পশুবাহী যানবাহন সড়ক, মহাসড়ক বা নদীতে কেউ থামাতে পারবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও থামাতে পারবে না। কেউ যান থামালে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাস, লঞ্চ টার্মিনাল, রেল স্টেশন ও ফেরিঘাটে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থায় থাকবে। মলম ও অজ্ঞান পার্টি যাতে কোনো কার্যক্রম করতে না পারে সেজন্য গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর থাকবে। পশুর হাটে ভেটেরিনারি চিকিৎসক থাকবেন।’
আরও পড়ুন: ঈদের আগে ৩ দিন মহাসড়কে নির্মাণসামগ্রীবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দিলেও নীতি পরিবর্তন করেনি আ. লীগ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, এক দশক পর জামায়াতকে সমাবেশ করার অনুমতি দিলেও আওয়ামী লীগের নীতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ইনডোর ইভেন্ট করার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে তাদের অবশ্যই কিছু নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। এই ক্ষেত্রে, কমিশনার নিশ্চিত করেছেন যে জামায়াত একটি ইনডোর ইভেন্ট করতে চেয়েছিল।’
রবিবার বিকালে রাজারবাগে হাইওয়ে পুলিশের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, জামায়াত একটি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবং দেশের বিভিন্ন অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল প্রায়ই বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ইনডোর ইভেন্ট করতে পারে।’
আরও পড়ুন: জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ও সন্ত্রাস ঠেকাতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা ফেরত দিতে পারেন, তার জন্য অর্থ দিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন জামায়াতে ইসলামীর প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে বলেছেন, রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের সভা-সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে।‘তারা তাদের মতামত প্রকাশ করবে এটাই স্বাভাবিক।’
তিনি বলেন, তবে জামায়াত বর্তমানে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃত নয়। ‘তাই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ডিএমপি কমিশনার। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভাঙচুর বা বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা বিবেচনা করা হবে।’
বুধবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের আলোচনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং রাষ্ট্রদূতরা কূটনৈতিক প্রোটোকল মেনে চলবেন এবং তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন বলে আশা করছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ও সন্ত্রাস ঠেকাতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা ফেরত দিতে পারেন, তার জন্য অর্থ দিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাহাড়ে কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ও সন্ত্রাস ঠেকাতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদকরোধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ অভিযানে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও থাকতে পারে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে রোহিঙ্গা সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভায় অংশগ্রহণ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রক্তপাত হচ্ছে। তাদের অপতৎপরতা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে ঢাকার রাজপথ দখলের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, সেজন্য সভায় এভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা যেন ক্যাম্পের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের অপতৎপরতা চালাতে না পারে; সেই লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল, চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা হবে। আরসা ও আরাকান আর্মির কেউ যেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে না ঢুকতে পারে, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সেজন্য প্রয়োজন মোতাবেক সেনাবাহিনীসহ যৌথ অভিযান হতে পারে।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে ব্যাপক অভিযান চলবে। প্রয়োজনে যৌথ অভিযান চলবে। ক্যাম্প থেকে যেন কোনো রোহিঙ্গা বের হয়ে না আসতে পারেন, সেজন্য কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছি, ওয়াচ টাওয়ার হয়েছে, সেখানে নিয়মিত টহলের ব্যবস্থাও আছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেগুলো আরও জোরদার করা হবে। যাতে তারা বাইরে না আসতে পারেন। যৌথ টহলসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় তৎপর থাকবে।
আরও পড়ুন: বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা ফেরত দিতে পারেন, তার জন্য অর্থ দিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাহাড়ে কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সিরাজগঞ্জে ৭ জেলার ৩১৫ জন চরমপন্থীর আত্মসমর্পণ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় রবিবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনের প্রায় ৩১৫ জন সদস্য স্বেচ্ছায় অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।
আত্মসমর্পণকারীরা পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা), পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি (এমবিআরএম) এবং পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি’র (জনযুদ্ধ)। সদস্য।
র্যাব-১২ সদর দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উপস্থিতিতে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও টাঙ্গাইল- এই ৭ জেলার জঙ্গিরা ২১৬টি অস্ত্র হস্তান্তর করে।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আশ্বস্ত করেন, বর্তমান সরকার আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে। তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আইনগত সহযোগীতাসহ স্বাভাবিক জীবনযাপন করার প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা হবে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে স্বামীকে খুন, ৯৯৯-এ ফোন করে স্ত্রীর আত্মসমর্পণ!
তিনি আরও বলেন, এ অনুষ্ঠানে আসার আগে প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, আপনারা যারা অন্ধকার পথ ছেড়ে আত্মসমর্পণ করে আজ আলোর পথে ফিরে আসছেন, তাদের আর্থিক সহযোগিতাসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
আসাদুজ্জামান বলেন, আপনারা জানেন ৮০'র দশক থেকে এই এলাকার কয়েকটি জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় সর্বহারা ও চরমপন্থীরা ঘাঁটি তৈরি করে। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ‘সন্ত্রাসের জীবন ছাড়ি, আলোকিত জীবন গড়ি’ স্লোগানে অনেক সর্বহারা চরমপন্থী আলোর পথে ফিরে আসে। কেউ যদি মনে করেন আমরা দেশের চরাঞ্চল বা দুর্গম এলাকায় বসে অপরাধ করবো। আমাদের কেউ ধরতে পারবে না। তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। তাদের আলোর পথে ফেরাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং আর্থিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকেও দস্যু মুক্ত ঘোষণা করেছেন। র্যাব নানাবিধ ভালো কাজ করে আস্থা অর্জন করেছে। এ জন্যই চরমপন্থীরা আত্মসমর্পণের জন্য র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। র্যাব আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি মাদক ও সন্ত্রাস নির্মুলে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ মহা-পরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিআইজি (রাজশাহী রেঞ্জ) মো. আব্দুল বাতেন, র্যাব-১২ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ
ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে খুনের পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মসমর্পণ!
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র আগমন উপলক্ষে বেনাপোলে ২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভারতের পেট্রাপোল বন্দর পরিদর্শনে আসবেন মঙ্গলবার। সেখানে একাধিক কর্মসূচি ও স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সোমবার ও মঙ্গলবার বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে।
ভারতের পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শশাঙ্ক শেখর ভট্টাচার্য জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় হেলিকপ্টারে করে ভারতের কালিয়ানি বিএসএফ ক্যাম্পে এসে নামবেন অমিত শাহ। তারপরে সড়কপথে আসবেন পেট্রাপোল বন্দরে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকছে চারদিন
বন্দর ঘুরে দেখার পাশাপাশি পেট্রাপোল থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন। এতদিন পেট্রাপোল থানা ছিল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি কর্তৃপক্ষের একটি ভবনে।
থানার জন্য এবার পেট্রাপোল বন্দরের যশোর রোডের পাশে নতুন করে ভবন তৈরি করা হয়েছে। এই ভবনটি তৈরি করে দিয়েছে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া।
এছাড়াও পেট্রাপোল বন্দরের দ্বিতীয় কার্গো গেট তৈরির ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করবেন তিনি।
পেট্রাপোল বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য একটি মাত্র গেট রয়েছে। ওই গেটের পাশে আরও একটি নতুন গেট তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সেই মূল ফটক তৈরির ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করবেন অমিত শাহ।
পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, একটি মাত্র গেট থাকায় মাঝেমধ্যেই আমদানি-রপ্তানির পণ্য নিয়ে দীর্ঘ সময় ট্রাকগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
নতুন গেট তৈরি হলে আমদানি-রপ্তানিতে গতিশীলতা বাড়বে।
কার্গো গেটের উদ্বোধন শেষে একটি জনসভায় যোগ দেয়ার কথা রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ'র। সেখানে তার ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া দুপুর ২টার দিকে তিনি পেট্রাপোল বন্দর ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবেন।
অমিত শাহ’র আগমন উপলক্ষে গোটা পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভারতীয় বিএসএফ ও পুলিশ বাহিনীকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। সঙ্গে ডগ স্কোয়ার্ড বাহিনীও রয়েছে। পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পেট্রাপোল বন্দরে আসবেন। তাই সোমবার ও মঙ্গলবার পেট্রাপোল বন্দরে সমস্ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
বিষয়টি বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, মঙ্গলবার পেট্রাপোল বন্দরে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসবেন বলে ভারতের সঙ্গে কোনও কার্যক্রম হবে না।
তবে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। পাশাপাশি দেশের বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
আরও পড়ুন: ঈদে ৬ দিন সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা
নিউ সুপার মার্কেটে আগুন নাশকতা কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন জানিয়েছেন, রাজধানীর নিউমার্কেটের পাশে নিউ সুপার মার্কেটে যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, তাতে কোনো নাশকতা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রবিবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কলোনী বাজারে দরিদ্রদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগুন নাশকতা ছিল কি না তা আমরা এখনও নিশ্চিত নই, আমরা তদন্ত করছি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সবার মনে একটা প্রশ্ন জাগে, কেন এত ঘনঘন এবং গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে? এটাই সবার মনে প্রশ্ন। কিন্তু সঠিক তদন্তের আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এর আগে শনিবার সকালে রাজধানীর নিউমার্কেটের পাশে নিউ সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নিউ সুপার মার্কেটে আগুন: ডিএসসিসির ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর মোট ২৮টি ফায়ার ফাইটিং ইউনিট এবং দল আগুন নেভাতে অংশ নিয়েছিল।
এদিকে, দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করার সময় প্রচণ্ড ধোঁয়ায় দমকলকর্মীসহ ৩২ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: ঢাকার ৫৮টি মার্কেট আগুনের ঝুঁকিতে, ৯টি 'অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ': ফায়ার সার্ভিস
ঈদের আগে ৩ দিন মহাসড়কে নির্মাণসামগ্রীবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, ঈদের আগের তিনদিন মহাসড়কে রড, সিমেন্ট, বালুসহ নির্মাণসামগ্রী বহনকারী ট্রাক ও লং ভেহিকেল বা ট্রেইলার চলাচল বন্ধ থাকবে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে কোনো সংস্থার গাফিলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ঈদের তিন দিন আগে থেকে মালবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্মাণ সামগ্রী যেমন রড, সিমেন্ট, বালু ঈদের তিন দিন আগে থেকেই পরিবহন করা বন্ধ থাকবে।
তিনি জানান, এসব ছাড়া পণ্যবাহী অন্যান্য ট্রাক চলবে। নিত্য পণ্যবাহী কিংবা রপ্তানিমুখী পণ্যের ট্রাক চলবে। একই সঙ্গে লং ভেহিকেল বন্ধ থাকবে। ঈদের পরের দিন থেকে এগুলো আবার চালু হয়ে যাবে।
এছাড়া ঈদুল ফিতরের ছুটির সময় ১৯, ২০, ২১ এপ্রিল শিল্পাঞ্চলের ব্যাংকের যে সমস্ত শাখা প্রয়োজন, সেগুলো খোলা থাকবে।
তিনি আরও জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরুর আগেই মার্চ মাসের বেতন বোনাস পরিশোধ করার জন্য বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা অঙ্গীকার করে গেছেন।
যদি তারা পারেন তবে এপ্রিল মাসের বেতন দিয়ে দেবেন। এটার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
আরও পড়ুন: ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, ঈদের আগে শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না। তিনি বলেন, সেই সঙ্গে ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাসও দিতে হবে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটির আগেই শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমই ও নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা অঙ্গীকার করে গেছেন।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
এছাড়া তারা এই বেতন-বোনাস পরিশোধ করে দেবেন। যদি পারেন, তাহলে এপ্রিল মাসের বেতনও দিয়ে দেবেন।
মন্ত্রী বলেন, ঈদে জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে, এজন্য মার্কেট-শপিংমলগুলোতে রাত্রিকালীন নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
এছাড়া ঘরমুখী মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করতে বাস, লঞ্চ ও রেল স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। র্যাবের টহলও দৃশ্যমান রাখা হবে।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত দিয়েছি, ঈদের আগে শ্রমিকদের কোনো ধরনের ছাঁটাই করা যাবে না। যানজট এড়াতে পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের একই দিনে ছুটি না দিয়ে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
সাভার, আশুলিয়াসহ অন্য শিল্পাঞ্চল এলাকায় কেউ যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিল্পপুলিশ এ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।
এরআগে ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে সমগ্র দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, ঈদের পূর্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ ও ছুটি প্রদান, সড়ক মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের সাক্ষর-সিল জালিয়াতির অভিযোগে নাপিত গ্রেপ্তার
এ সময়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাজাহান খান, পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও জননিরাপত্তা সচিব মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঈদের আগেই দেশের বড় বড় মার্কেটগুলোতে দরকার অনুসারে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা মহড়া প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে ফায়ার সার্ভিস। বঙ্গবাজারের মতো যাতে আর কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস মার্কেটগুলোতে যাচ্ছে।
এছাড়া আগুন ধরলে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তাদের সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলোর তালিকাও তারা প্রেস নোটের মাধ্যমে জানাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বাস, লঞ্চ ও ট্রেন যাতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি আটকানো যাবে না। যাতে গাড়ি চলাচলে গতি বাধাগ্রস্ত না হয়। যদি কোনো গাড়িতে সমস্যা থাকে, যা আগে থেকেই জানা, সেগুলোই কেবল আটকানো হবে।
এছাড়া যেহেতু পদ্মাসেতুতে আমরা মোটরসাইকেল চলাচল করতে দিচ্ছি না, তাই বিকল্প হিসেবে সেখানে একটি ফেরি চালু থাকবে।
যেটি দিয়ে শুধু মোটরসাইকেলগুলো পারাপার করবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে কোনো সংস্থার গাফিলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে মঙ্গলবার গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
এক বার্তায় মন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ৮১ বছর বয়সে মঙ্গলবার রাতে মারা যান।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান, রাত ১১টার দিকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে সোমবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রবীণ এই চিকিৎসককে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ লাইফ সাপোর্টে
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই