স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, দেশে যদি কেউ নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ম মেনে রাজনীতি করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফারদিন নূর: র্যাব, ডিবি'র তদন্তে আস্থা প্রকাশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক এবং পুলিশ বাহিনী দেশপ্রেম ও সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করছে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ম না মানলে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
‘প্রতিটি বাহিনী দক্ষতার সাথে কাজ করছে। তাদের মধ্যে আনসার ও ভিডিপি রয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন নির্বাচনে পুলিশ মোতায়েন করা যায় না, তখন আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে যখন অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল তখন প্রায় দুই লাখ আনসার সদস্য সাহসিকতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।’
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্তে হত্যা বন্ধে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারাও (ভারত) এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে না।’
এছাড়া ভারত বাংলাদেশ সরকারকে সীমান্ত এলাকায় অবাধ চলাচলের বিষয়টি খেয়াল রাখতে অনুরোধ করেছে। সরকারও সেদিকে নজর রাখছে।
সীমান্তে কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক পতাকা বৈঠক হচ্ছে। বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট সমাধানে উভয় দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের ১৩টি উপজেলায় উপজেলা আনসার ও ভিডিপি মডেল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।
৯টি উপজেলায় আনসার ও ভিডিপি ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাস্তা কিংবা ফ্লাইওভারে কোনো কনসার্ট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাস্তা কিংবা ফ্লাইওভারে কোনো কনসার্ট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাস্তায় কিংবা ফ্লাইওভারে কোনো কনসার্ট ও নাচগানের আয়োজন করা যাবে না।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এর আগে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইনশৃঙ্খলা ও আনুষঙ্গিক বিষয় সংক্রান্ত সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রী বলেন, সবসময় এ ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা জাতীয় দিবসগুলো উদযাপনের সময় আমরা বসি। আমরা দুর্গোৎসবের সময় বসেছিলাম, আমাদের ধারণা ছিল, ৩১ হাজারের বেশি পূজামণ্ডপ হবে। সেই অনুযায়ী প্রায় ৩২ হাজারের কাছাকাছি দুর্গোৎসবের পূজামণ্ডপ হয়েছে।
এছাড়া এবার তেজাগাঁও ও রমনাসহ পাঁচ হাজার ৬৮২টি (দু-একটি বেশি-কম হতে পারে) গির্জায় বড়দিন পালন হতে পারে।
আরও পড়ুন: কোনোভাবেই রাজপথে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সবগুলো গির্জার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
বড় গির্জাগুলোতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি খ্রিস্টান সম্প্রদায় থেকে স্বেচ্ছাসেবী থাকার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
কূটনৈতিক পাড়ায় বেশিরভাগ কূটনীতিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বিশেষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
গির্জাগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানো থাকবে।
গুরুত্বপূর্ণ গির্জাগুলোতে সুইপিং করা হবে, ভিআইপিদের চলাচলের সময় যেটা করা হয়। ডগ স্কোয়াডও থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত গির্জা পার্শ্ববর্তী এলাকায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকের গোয়েন্দারাও থাকবে। প্রতিটি শহরে র্যাবের টহল থাকবে। খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে র্যাবের টহল জোরদার করা হবে।
এছাড়া কোনো অঘটন ঘটলে ৯৯৯-এ ফোন দেয়া যাবে। সেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন, ২৫ ডিসেম্বরের পরে থার্টি ফার্স্ট নাইট হয়ে থাকে। এদিন আতশবাজি, ভুভুজেলা, পটকা না-ফোটাতে আমরা অনুরোধ রাখছি। এগুলো ফুটিয়ে জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি না করতে বলা হয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফ্লাইওভার ও রাস্তায় কোনো কনসার্ট কিংবা নাচগানের আায়োজন করা যাবে না।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনো বহিরাগত ব্যক্তি যাতে ঢুকতে না পারেন, সে জন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেখানে প্রবেশ সীমিত করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে,’ জানান আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য অপব্যহাররোধে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চলবে। যে কোনো নাশকতারোধে সারা দেশে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হবে। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উৎযাপনে গির্জা ও ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে, তার ব্যবস্থা থাকবে।
‘৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা সব বার বন্ধ থাকবে। দেশের পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এ সময় অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় উদ্ধার টিমসহ অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি ও অগ্নিনির্বাপণ কর্মী সতর্ক থাকবেন।’
মাঠে কনসার্ট করা যাবে কিনা; প্রশ্নে তিনি বলেন, মহানগর পুলিশের অনুমতি নিয়ে কনসার্ট করা যাবে। কোনো রাস্তায় যানজট করা যাবে না। কেউ যাতে অবৈধভাবে মাদক কারবারী করতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা রাখা হবে।
তবে এই উৎসব উপলক্ষ্যে কোনো থ্রেট (হুমকি) আছে কিনা; জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এমন কিছু নেই। আমরা মনে করছি, জঙ্গিবাদের উত্থানের একটি চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা আগেই তা চিহ্নিত করেছি।
তারপরেও আমরা সবাই সজাগ থাকবো, যাতে কোনো অঘটনা না ঘটে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ফারদিন নূর: র্যাব, ডিবি'র তদন্তে আস্থা প্রকাশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা অনেক আগ থেকেই তা লক্ষ্য করে আসছি। সেটাকে নিরুৎসাহিত করতে আমরা একটা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা শিগগিরই একটা সমাধান বের করবেন। রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন এবং আমাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন, সেই ব্যবস্থা করবেন।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।
আজ ‘বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন শৃঙ্খলা’ সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির ষষ্ঠ সভা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন আসাদুজ্জামান খাঁন।
সভা শেষে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে আমাদের নেটওয়ার্কে ঢুকতে পারে, তার ব্যবস্থা করা নিয়েও বিস্তারিত আলাপ হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী ও টহল রাস্তা নির্মাণ প্রায় শেষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চতুর্দিকে আমরা কাঁটাতারের বেষ্টনী, টহল রাস্তা ও ওয়াচটাওয়ার নির্মাণে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা এরইমধ্যে প্রকল্পের কাজ ৯৫ শতাংশ শেষ করে দিয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় ৯৯ শতাংশ কাজও শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি কেন নয়াপল্টনে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে চায়, পুলিশ তা খতিয়ে দেখবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের এপিবিএনের কাছে পর্যায়ক্রমে তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন। শুধু নিয়ন্ত্রণ কক্ষগুলো তৈরি বাকি রয়েছে। বাকি সব কাজ শেষ হয়েছে।’
তিনি জানান, রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও বিকাশ নিয়ে আমরা কাজ করছি। তাদের দক্ষতা বাড়ানো, বিশেষ করে তারা নিজ দেশে ফিরে গিয়ে কিংবা তাদের জীবিকা অর্জনে যা যা করা দরকার, তা নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্মনিয়ন্ত্রণ, পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বিভিন্ন এনজিও, সরকার, মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সবাই কাজ করেছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আজ আমরা যে রিপোর্ট দেখতে পেলাম, সে অনুসারে আমরা ৬৫ শতাংশ রোহিঙ্গাকে জন্ম নিয়ন্ত্রণের আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছি। এটা আরও ভালো জায়গায় অর্থাৎ আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বাইরে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে। সেখানে কিছু কিছু অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তা নজরদারিতে আনা হচ্ছে। আমাদের এপিবিএনও কাজ করছে।’
তিনি জানান, ভাসানচরে একটা দীর্ঘ দাবি ছিল যে সেখানে স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতে হবে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আমাদের ভাসানচরে ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা কমিউনিটি গেছে। এনজিও, পুলিশও সেখানে গেছে। সেখানে একটি ভালো হাসপাতাল হওয়া দরকার। আজ বৈঠক তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
হাসপাতালটি যাতে আরও সমৃদ্ধ করা হয় ও শিগগিরই তা কার্যকারিতায় নিয়ে আসতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যাতে কাজ করে খেতে পারে, সেজন্য সেখানে বিভিন্ন এনজিও সক্রিয় রয়েছে। তাদের আমরা আরও সহযোগিতা করবো। তারা (রোহিঙ্গারা) যাতে সেখানে কৃষিপণ্য উৎপাদন করতে পারে, সে জন্য ছোটো ছোটো লেক করে দেয়া হয়েছে। সেখানে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক কাজ করছে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ব্যবহারিকভাবে মৎস্য ও কৃষি উৎপাদনে দক্ষ করে তুলতে ব্র্যাক কাজ করছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মাঝিদের (রোহিঙ্গা নেতা) কয়েকজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামনে যাতে আর এ ধরনের ঘটনা না-ঘটে, সে জন্য সেনাবাহিনী থেকে প্রশাসন সবাইকে আরও বেশি সতর্ক হতে বলা হয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাবাসনে আমরা কাজ করছি। ক্যাম্পের পাশে থাকা বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দাসংস্থাকে ভালোভাবে কাজ করতে নির্দেশনা দেয়া হবে। যাতে অপরাধ হ্রাসের পাশাপাশি মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দ্বিপক্ষীয়, ত্রিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় আলোচনা করেছি। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বন্ধু দেশগুলোও কাজ করছে। আমাদের আশা, শিগগিরই এর সমাধান হবে।
যুক্তরাষ্ট্র কী পরিমাণ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে নিতে চায় জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিজেদের ভিসা দিয়েই বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গাদের নিচ্ছে। বছর তিনেক আগে আমার সঙ্গে জাতিসংঘে নেদারল্যান্ডসের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয়েছিল। তিনি তখন রোহিঙ্গা নেয়ার জন্য উৎসাহ প্রকাশ করেছিলেন। আজ জানতে পারলাম তিনি মাত্র সাতজন নিয়েছেন। আর অস্ট্রেলিয়া নিয়েছে ২৪। এটা সংখ্যায় খুবই কম। এ নিয়ে কথা বলে সবার মনোযোগ টানতে চাই না।
তবে আমেরিকা কতজন রোহিঙ্গা নেবে, কীভাবে নেবে; তা নিয়ে বাংলাদেশকে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ফারদিন নূর: র্যাব, ডিবি'র তদন্তে আস্থা প্রকাশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
কোনোভাবেই রাজপথে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি কেন নয়াপল্টনে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে চায়, পুলিশ তা খতিয়ে দেখবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বিএনপি কেন নয়াপল্টনে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা সমাবেশ করতে চায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা খতিয়ে দেখছে।
ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির উচিত সব নিয়ম-কানুন মেনে তাদের সমাবেশ করা এবং শহরে পাঁচ লাখের বেশি লোক বসার জায়গার অভাব রয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল সমাবেশ করতে পারে এবং সেখানে কোনো বাধা নেই।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেবে কি না, তা পুলিশ কমিশনারের ব্যাপার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, তারা বলেছিল ২৫-৩০ লাখ লোকের জমায়েত হবে। কিন্তু এত লোকের জায়গা কোথায়? এ কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বলেছেন ডিএমপি কমিশনার। কিন্তু বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে নারাজ।’
সরকার বিকল্প স্থান নির্ধারণ না করলে ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছে বিএনপি। বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নিবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পলাতক জঙ্গিদের অবস্থান শিগগিরই খুঁজে বের করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেবে কি না, তা পুলিশ কমিশনারের ব্যাপার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিবে কি না তা পুলিশ কমিশনারের ব্যাপার।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কিংবা সংসদ ভবনের সামনের রাস্তায় সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়েছিল। যুক্তিসঙ্গত কারণেই সংসদের সামনের রাস্তা দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম ছিল। বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম দুদিন আগে এগিয়ে এনে স্থানটি খালি করার ব্যবস্থা করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জের নবনির্মিত শায়েস্তাগঞ্জ থানা ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পলাতক জঙ্গিদের অবস্থান শিগগিরই খুঁজে বের করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, এখন শুনছি বিএনপি তাদের কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়। তারা বলছে সারাদেশ থেকে অনেক মানুষ সমাগম ঘটবে ঢাকায়। এমনিতেই দুই কোটি মানুষ বসবাস করেন ঢাকায়। এমতাবস্থায় বাইরে থেকে মানুষের সমাগম হলে রাজধানীর পরিবেশ কী হবে তা সহজে বুঝা যায়।
তিনি বলেন, রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সচল, যানজটমুক্ত রাখতে পুলিশ কমিশনার যা যা করণীয় তাই করবেন। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি নাকি লাখ লাখ লোক নিয়ে আসবে। ঢাকাকে অচল করে দিবে। সরকার পতনের দাবি তুলবে। সেজন্যই তারা চাল-ডাল নিয়ে ওখানেই (দলীয় কার্যালয়ে) বসবাস করবেন। ওখানেই থাকবেন।
বিএনপির মুখপাত্র বলেছেন, ওখান থেকেই তারা নাকি সরকার পতনের ডাক দিবেন।
তিনি বলেন, তারা বন্দুকের নলের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। সেজন্যই তারা নানা ধরনের ফন্দিফিকির, নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের চিন্তা করেন। চাল-ডাল নিয়ে আসা ইঙ্গিতও সে রকমেরই। আমরা তা ভালো করে পর্যবেক্ষণ করছি। যেটা আওয়ামী লীগ কখনোই এধরনের চিন্তা করে না। আওয়ালীগ সবসময়ই জনগণের মেন্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, সরকার নতুন ও পুরাতন মিলে ১০১টি থানা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এরমধ্যে শায়েস্তাগঞ্জ একটি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-বিমান প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান, সিলেটের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান ও পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি প্রমুখ।
প্রায় দেড় একর জমিতে সোয়া আট কোটি টাকা ব্যয়ে থানা ভবন নির্মাণ করেছে গণপূর্ত বিভাগ। এর আগে মন্ত্রী মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়ায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নিবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপিকে এখনও নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়া ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নিবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া যদি ঢাকায় দলের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দেন, তাহলে আদালত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার রাজারবাগ এলাকায় বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্কের বার্ষিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় মন্ত্রী এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া শর্তসাপেক্ষে কারাগারের বাইরে আছেন এবং তিনি জনসভায় যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নিবে।’
বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে এবং সরকার তাদের সুষ্ঠুভাবে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যদি কোনো ধরনের সহিংসতার সূচনা করে তাহলে সেটা হবে বড় ভুল।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে খালেদার অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে নেয়া হবে: সিইসি
প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা মানিক মিয়া এভিনিউতে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি। তিনি বলেন, মানিক মিয়া এভিনিউ, যেখানে জাতীয় সংসদ অবস্থিত, একটি সীমাবদ্ধ এলাকা হওয়ায় তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠান করার অনুমতি পেয়েছে।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, ‘আমরা তাদের বলেছি যে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে কারণ এটি তাদের রাজনৈতিক অধিকার, তবে সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে আর কারাগারে পাঠাবে না সরকার: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়া ও তারেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার: শিল্পমন্ত্রী
পলাতক জঙ্গিদের অবস্থান শিগগিরই খুঁজে বের করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিগগিরই পলাতক জঙ্গিদের অবস্থান খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার রাজধানীতে দ্বিতীয় শেখ কামাল সার্ক স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কাজ করছে এবং আশা করছি আমরা শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন পাব।’
আনসার আল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মেজর (অব.) সৈয়দ জিয়াউল হক সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি জিয়া ঘন ঘন তার অবস্থান পরিবর্তন করছে এবং সে কারণে তাকে গ্রেপ্তার করতে একটু বেশি সময় লাগছে। তবে শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
এর আগে ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকা মহানগর পুলিশ পৃথক দুটি কমিটি গঠন করে।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার রাফির ৭ দিনের রিমান্ড
গত রবিবার আদালত প্রাঙ্গন থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা করে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড এই দুই জঙ্গি পরিচয়- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর নগরীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় নিজ কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার পর পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যেকের তথ্য দেয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
তাদের গ্রেপ্তারে দেশের সব প্রবেশ ও বাহিরের পয়েন্টে রেড অ্যালার্ট জারি করে সরকার।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার ১
ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার এক জঙ্গির জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
বিএনপিকে এখনও নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ঢাকার পল্টন এলাকায় বিএনপিকে সমাবেশ করার আনুষ্ঠানিক অনুমতি এখনও দেয়া হয়নি।
শনিবার রাজধানীতে দ্বিতীয় শেখ কামাল সার্ক স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া অন্য কোথাও বড় সমাবেশ সম্ভব নয় বিধায় বিএনপিকে সেখানে আয়োজনের অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’
তিনি বলেন যে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশাপাশি আরও দুটি ভেন্যু চেয়েছিল। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারও এটি (সিদ্ধান্তটি) উপযুক্ত বলে মনে করেন।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আ.লীগের ফাঁদে পা দিবে না বিএনপি: গয়েশ্বর
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সেখানে আওয়ামী লীগের কিছু কর্মসূচি হওয়ার কথা রয়েছে, এরপর বিএনপি তাদের সমাবেশ করতে পারবে।’
পল্টনে তাদের সমাবেশের অনুমতি দিতে সরকার বাধ্য হবে বলে বিএনপির মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে উপযুক্ত সেখানেই সরকার অনুমতি দেয়। নয়াপল্টন এলাকায় সমাবেশ করার জন্য এখনও তাদের আনুষ্ঠানিক কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি।’
বিএনপি অন্য কোথাও সমাবেশ করতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ এত বিশাল সমাবেশ আর কোথায় হতে পারে? বিএনপি সংসদের সামনে ভেন্যুর জন্য অনুরোধ করলেও সেখানে কাউকে সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: আপেক্ষিক স্বস্তির মধ্যেই কুমিল্লায় বিএনপির অষ্টম বিভাগীয় সমাবেশ শুরু
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে পারে বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জননিরাপত্তায় সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও সাইপ্রাস
বাংলাদেশ ও সাইপ্রাস জননিরাপত্তা বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে।
শনিবার নয়াদিল্লির তাজ প্যালেসে এক বৈঠকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং সাইপ্রাসের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস নুরিস এ বিষয়ে তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
‘সন্ত্রাসের জন্য কোনো অর্থ নয়’-বিষয়ে দুই দিনের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশ নিতে ভারতের রাজধানীতে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পুলিশ এখন নির্ভরতা ও আস্থার প্রতীক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু হেনা ও মন্ত্রী (কনস্যুলার) সেলিম জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতে আয়োজিত সম্মেলনে ৭৬টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
রাশিয়া, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ও সিঙ্গাপুরসহ প্রায় ২০টি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সম্মেলনে যোগ দেন।
মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের লক্ষ্য ছিল ২০১৮ সালে প্যারিসে এবং ২০১৯ সালে মেলবোর্নে আগের দুটি সম্মেলনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কর্তৃক সন্ত্রাসী অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আলোচনার অগ্রগতি করা।
আরও পড়ুন: তুমব্রুতে ডিজিএফআই অফিসারকে মাদককারবারীদের গুলির সত্যতা প্রকাশ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ঢাকা থেকেই সম্পন্ন হবে: সৌদি উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস
বুয়েটের ফারদিন হত্যার কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও কোনও সুস্পষ্ট প্রমাণ পায়নি।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে নৌ পুলিশের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ কোনও তথ্য পাইনি। ‘আমরা শুধুমাত্র তথ্যের ওপর কথা বলি।’
নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর ফারদিনের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর ৮ নভেম্বর ময়নাতদন্ত করা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানান, ফারদিনের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফারদিনের বাবা কাজী নুরুদ্দিন রানা রামপুরা থানায় তার ছেলের বন্ধু ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আমাতুল্লাহ বুশরাসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলা দায়েরের কয়েক ঘণ্টা পরই পুলিশ আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করে।
কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা উদঘাটনে মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।