ব্যবসা-বাণিজ্য
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা
পাঁচ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর।
পঞ্চগড় আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
যাত্রী পারাপার না হলেও আমদানি-রপ্তানির কাজে পণ্য পরিবহণে নিয়োজিত যানবাহন ও চালকরা যাতায়াত করছেন। এতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসসহ ভারতীয় করোনা ভেরিয়েন্টে আক্রান্তের আশঙ্কায় স্থানীয়দের চাপের মুখে ৫ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আগামী ৪ জুন থেকে বন্দরের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। ব্যবসায়ীদের এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত হয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।
আরও পড়ুন:বাংলাবান্ধার সাথে ৪ দেশের রেল যোগাযোগ চালু হবে: মন্ত্রী
দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান রয়েছে। করোনাকালে বর্তমানে যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি রপ্তানি চলছে। প্রতিদিন ভারত, নেপাল ও ভুটানের শত শত পণ্যবাহী যানবাহন ও চালক প্রবেশ করছে।
বিশেষ এই পরিস্থিতিতে তেঁতুলিয়া উপজেলা করোনা প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বন্দরের জন্য ১৪টি নির্দেশনা জারি করলেও অধিকাংশই ঠিকমত মানা হচ্ছে না। এর ফলে স্থানীয়দের চাপের মুখে পড়েন বন্দর কর্তৃপক্ষসহ ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা চান রেলমন্ত্রী
বেশ কিছুদিন ধরে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বন্দর সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিশৃংখল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্দর বন্ধ রাখা ও চালু রাখার বিষয়ে বন্দর সংশ্লিস্টরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। বন্দর সংশ্লিষ্টদের দুটি পক্ষ দু রকম কথা বলছেন।
ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরসহ পুরো তেঁতুলিয়া উপজেলাটি ভারতের তিন দিকে অবস্থিত। ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকদের মাধ্যমে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক, চালকসহ কর্মজীবি মানুষজন এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ভারতের করোনা ভেরিয়েন্ট ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাবান্ধার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বাসিন্দারা স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
অপরদিকে ব্যবসায়ীদের অপর পক্ষটি জানান, বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর আমদানি রপ্তানিকারক এসোসিয়েসনের দুটি পক্ষের আত্নসম্মান বজায় রাখার প্রতিযোগিতায় এমনটি ঘটছে। বন্দর খোলা রাখার পক্ষ্যের ব্যবসায়িদের অভিযোগ গত ১০ মে ঈদের ছুটির জন্য ১১ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত আমদানি রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি চিঠি দেয় বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েসনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা। ঈদ উপলক্ষে দশ দিন আমদানি রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তটি মানতে পারেনি ব্যবসায়িদের একটি পক্ষ। তাদের দাবি সারাদেশের অন্যান্য বন্দর যে কয়েকদিন বন্ধ রাখা হবে সেভাবেই এই বন্দরও বন্ধ রাখা হোক। পরে সিনিয়র সভাপতি তফিজুল ইসলাম ১২ মে থেকে ১৬ মে ৫ দিন আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে একটি সংশোধনী চিঠি প্রদান করে। এই চিঠির প্রেক্ষিতেই ১৭ মে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। এ নিয়ে শুরু হয় দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত ২৭ মে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনসহ স্থানীয় অধিবাসীরা ভারত থেকে আসা কয়েকটি পাথর বোঝাই ট্রাককে ফিরিয়ে দেয়। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম। পরবর্তীতে গত ২৯ মে আবার আমাদানি কার্যক্রম শুরু হলে ব্যবসায়িদের একটি পক্ষ আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। তারা চান স্থলবন্দরের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাক। ওই দিনই কোভিড-১৯ এবং ভারতীয় ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে কুদরতি-খুদা-মিলনের নেতৃত্বে কিছু ব্যাবসায়ী জেলা প্রশাসকের কাছে বন্দরটি বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানান। পরে আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েসন একটি চিঠির মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য সকল ব্যবসায়ীকে আহ্বান জানান। তবে এই সিদ্ধান্ত মানতে চান না কিছু ব্যাবসায়ী সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং শ্রমিকরা। তারা চান বন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালু থাক।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েসনের সিনিয়র সহ-সভাপতি তফিজুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় বাস্তব সম্মত নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে এখনো কোন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। কয়েকজন ব্যাবসায়ী নেতার ব্যক্তিগত ইগো রক্ষার্থে বন্দরটি অচল হয়ে পড়েছে।
বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, দেশে গত কয়েকদিন আগে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সীমান্ত উপজেলা তেঁতুলিয়ার মানুষজন, বিশেষ করে বন্দর সংশ্লিষ্ট স্থানীয়রা। তাই নিজের ও এলাকার সুরক্ষার কথা ভেবে একাধিকবার তারা বিষয়টি আমাকে জানায়। পরে ২৫ মে রাতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বন্দর সংশ্লিষ্ট লোকজনদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের চাপে রবিবার (৩০ মে) থেকে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তিনি বলেন কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ি এসি রুমে বসে আমদানি রপ্তানি করতে চান। তাদের জন্য অন্য ব্যবসায়িরা বা স্থানীয় মানুষ ঝুকিতে পড়বে এটা হতে পারেনা। দেশের অন্যান্য সীমান্ত এলাকাগুলোতে করোনা সংক্রমন বাড়ছে। আমরা আতংকে আছি। তাই স্থানীয় ব্যবসায়িরাই আমদানি রপ্তানি বন্ধ করেছে। বন্দর খোলা আছে। তারপরও যদি কেউ আমদানি-রপ্তানি করতে চায়, করতে পারে।
আমদানিকারক ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল লথিব তারিন জানান, যেহেতু সীমান্ত জেলাগুলোতে করোনা ভাইরাস এবং ভারতীয় ব্লাক ফাঙ্গাসের সংক্রমন বাড়ছে তাই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখাই ভালো। কয়েকদিন দেখা দরকার। যদি স্বাভাবিক হয় তবে আবার না হয় শুরু করা যাবে।
পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশন থেকে কার্যক্রম পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত, রবিবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ছে। বিষয়টি ভারতের পশ্চিবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ি ইম্পোর্টার এক্সপোর্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বন্দর খোলা আছে। ব্যবসায়িরা আমদানি-রপ্তানি করতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। করোনা ঝুঁকি কমাতে বন্দরে আমরা নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি।’
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আজ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
বুদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটি উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বুধবার সকাল থেকে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে দূতাবাস থেকে ছাড়পত্র নিয়ে আটকে পড়া পাসপোর্টযাত্রীরা নিজ নিজ দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে আটকা পড়ে আছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক। এসবের মধ্যে পচনশীল পণ্যসহ শতভাগ রপ্তিানিমুখী প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালও রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এই বন্ধের মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শশঙ্ক শেখর ভট্রাচার্য জানান, বুধবার উভয় দেশে সরকারি ছুটি থাকায় পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, এ পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও নিষেধাজ্ঞার আগে যারা আটকা পড়েছিল, তারা দূতাবাস থেকে ছাত্রপত্র নিয়ে যাওয়া-আসা করতে পারবেন। তাদের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে যারা ফেরত আসবে তাদের অবশ্যই ১৪ দিন নিজ খরচে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৪০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করা হয়ে থাকে। এছড়া ভারতে রপ্তানি হয় ১৫০ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য। আমদানি বাণিজ্য থেকে প্রতিদিন সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ২০ থেকে ৪০ কোটি টাকা।
সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের প্রণোদনার চেক বিতরণ শুরু
মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের ৩০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা এবং পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারের দ্বিতীয় দফার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এই কার্যক্রম শুরু করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: সরকারি ক্রয়ে এসএমই খাতের জন্য কোটা নির্ধারণের চেষ্টা চলছে: শিল্পমন্ত্রী
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো: মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনলাইনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, সরকারের দ্বিতীয় দফা প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। চলমান লকডাউনের মধ্যেও যে তিনটি ব্যাংক (ব্র্যাক ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক) এবং একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান (আইডিএলসি) ঋণ বিতরণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদেরকে আমি বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: রূপকল্প ২০৪১-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ শিল্পমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, মনে রাখতে হবে যে সারাদেশে লাখ লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এসব উদ্যোক্তাদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। যেসব উদ্যোক্তা প্রথম প্যাকেজের আওতায় সুবিধা পাননি তাদের খুঁজে বের করে ঋণের আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে নারী-উদ্যোক্তাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় উদ্যোক্তাগণ ৪% সুদে ঋণ পাবেন। গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের পরিমাণ হবে সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ২৪টি সমান মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করা যাবে। মোট ঋণের ২৫-৩০% নারী-উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশিয় ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে: শিল্পমন্ত্রী
ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো: মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব রিয়াজুল করিম।
এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক পর্ষদের সদস্যরা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আইপিডিসির রিটেইল বিজনেসের প্রধান হলেন সাভরিনা আরিফিন
আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের রিটেইল বিজনেসের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন সাভরিনা আরিফিন।
আইপিডিসি-তে এর আগে তিনি রিটেইল বিজনেসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ও হেড অব ডিস্ট্রিবিউশনের দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক বিমান পরিসেবা চালু করেছে সরকার
ব্যাংকিং এবং আর্থিক খাতে সাভরিনা আরিফিনের ১৫ বছরের সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ২০০০ সালে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রায়োরিটি ব্যাংকিং বিভাগে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৮ সালে তিনি আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডে যোগদান করেন।
তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিং: সেন্ড মানি ফ্রিসহ সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি
নিয়োগ সম্পর্কে আইপিডিসি ফিনান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, 'রিটেইল বিজনেস নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা সবসময়ই ছিল অনেক বেশি, কারণ আমরা সদাপরিবর্তনশীল গ্রাহক ও নিত্য-পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি, এই উচ্চ প্রত্যাশার বাস্তবায়ন দেখতে হলে আমাদেরকে সবসময়ই নতুনকে আলিঙ্গন করতে হবে। সাভরিনার দৃঢ়তা ও রিটেইল অর্থায়নে আমূল পরিবর্তন আনার তীব্র আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস রয়েছে। নতুন ভূমিকায় দায়িত্বগ্রহণের জন্য আমি সাভরিনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই।'
আরও পড়ুন: তামাকের ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে হবে: প্রজ্ঞা
রিটেইল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, বিক্রয় ও বিপণন, কৌশলগত ব্যবসা পরিকল্পনা, রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্টের মতো ব্যাংকিংয়ের নানান ক্ষেত্রে সাভরিনা আরিফিনের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে।
মোবাইল ব্যাংকিং: সেন্ড মানি ফ্রিসহ সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি
আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (এমএফএস) সার্ভিস চার্জ হাজারে ১০ টাকা ও সেন্ড মানি ফ্রি করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
অপোর ঈদ ‘ধামাকা অফারে’ বাইকসহ নানা উপহার
এই ঈদে উৎসবের আয়োজনকে আরও আনন্দময় করতে ‘ধামাকা অফার’ নিয়ে এসেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো। এই অফারে রয়েছে অপো এফ১৯ প্রো কিনলে ভাগ্যবান বিজয়ীরা পাবেন জিক্সার মোটরবাইক, ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক ও বাই ওয়ান গেট ওয়ান সহ নানা পুরস্কার।
অফারটি পেতে অপোর যে কোন মডেলের হ্যান্ডসেট কিনে এই লিংকে www.oppoluckycampaign.com ভিজিট করে ফরম ফিলাপ করে ‘চেক ইউর লাক’ অপশন ক্লিক করলে ভাগ্যবান পুরস্কার বিজয়ী কিনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ‘অপো লাইকি চ্যালেঞ্জে’ জিতুন অপো এফ১৯ প্রো
শুধু তাই নয় নিশ্চিত উপহার হিসাবে লাকি ড্র ছাড়াও অপো এ১৫ এবং এ১৫এস ক্রেতারা পেতে পারেন সীমিত সংখ্যক হেডফোন। আরও থাকছে বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে এ৫৩ হ্যান্ডসেটের সাথে টি-শার্ট এবং এফ১৭, এফ১৭ প্রো, এফ১৯ প্রো এবং রেনো৫ কিনলে অপো ট্রাভেল ব্যাকপ্যাক জিতে নেয়ার সুযোগ।
ঈদের আগে গ্রাহকদের সাথে উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই অপোর এই আয়োজন।
আরও পড়ুন: ছবি তুলে পোস্ট দিয়ে অপো এফ ১৯ প্রো জেতার সুযোগ
শুভেচ্ছা উপহার হিসাবে প্রতিটি হেডফোনের সাথে রয়েছে অপো লিমিটেড গিফট স্টিকার। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে অপোর আউটলেটগুলো বিশেষ সাজে সজ্জিত হবে যাতে গ্রাহকরা পাবেন ঈদের ভিন্নরকম আমেজ।
আরও পড়ুন: রমজানে ব্র্যান্ড সার্ভিস অফার নিয়ে এলো অপো
ধামাকা অফার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে অপো বাংলাদেশের ফেসবুক পেজ এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে।
সকল পণ্যে ওয়ারেন্টির মেয়াদ বাড়াল স্যামসাং
ক্রেতাদের সুবিধা বিবেচনায় স্যামসাং পণ্যে ওয়ারেন্টি সেবার সময়সীমা বাড়াচ্ছে স্যামসাং বাংলাদেশ।
গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে যেসব স্যামসাং পণ্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং শেষ হবে, সেসকল পণ্যের ওয়ারেন্টির মেয়াদ বাড়িয়েছে প্রযুক্তি পণ্যের বৃহৎ এই প্রতিষ্ঠানটি।
স্যামসাং এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, লকডাউন শেষ হবার দিন থেকে অতিরিক্ত ১৪ দিন পর্যন্ত ওয়ারেন্টি সেবার সময় বাড়বে।
আরও পড়ুন: মাত্র ৫,৯৯৯ টাকায় স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন!
করোনার সংক্রমণ এবং ভাইরাসের কারণে মৃত্যু কমাতে সরকার দেশজুড়ে লকডাউন আরোপ করে। লকডাউন চলাকালে চলাফেরায় বিধি-নিষেধের কারণে ক্রেতারা ওয়ারেন্টি সেবা গ্রহণ করতে পারছেন না। তাই, ক্রেতাদের এ সমস্যা লাঘবে এবং তাদের জীবনযাত্রাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে ওয়ারেন্টি সেবার সময় বাড়িয়েছে স্যামসাং।
আরও পড়ুন: স্যামসাং বাজারে নিয়ে এলো বাজেটবান্ধব গ্যালাক্সি এম০২এস
এ নিয়ে স্যামসাং বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোয়ানসাং উ বলেন, ‘বাংলাদেশ ও দেশের নাগরিকরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ দেশব্যাপী বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায়, মানুষ এমনিতেই নানা বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন, এ সময়ে আমরা চাই না ক্রেতারা ওয়ারেন্টির সময় শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তা করুক। এজন্য, কিছুটা হলেও তাদের দুশ্চিন্তা কমাতে এবং তাদের জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে আমরা ওয়ারেন্টির সময় বাড়াতে পেরে আনন্দিত। আমাদের বিশ্বাস, ক্রেতারা এর থেকে উপকৃত হবেন। এ প্রতিকূল অবস্থায়, আমরা সবাইকে বাসায় থেকে নিরাপদ ও সুস্থ থাকার অনুরোধ জানাই।’
আরও পড়ুন: বছর শেষে অফার নিয়ে এসেছে স্যামসাং বাংলাদেশ
গত বছর সাধারণ ছুটি চলাকালেও স্যামসাং এর সকল পণ্যে ওয়ারেন্টি সেবার সময় বাড়িয়েছিল।
ইডেন কলেজের সকল ফি বিকাশে পরিশোধ করা যাচ্ছে
ইডেন মহিলা কলেজের সব ধরনের ফি বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।
এর ফলে শতাব্দী প্রাচীন কলেজেটির ২০ হাজার শিক্ষার্থী তাদের সুবিধাজনক সময়ে যেকোন স্থান থেকে মাসিক বেতনসহ সব ধরনের ফি সহজে, নিরাপদে বিকাশে পরিশোধ করতে পারছেন। বিশেষ করে করোনার এই সময়ে সেবাটি আরও উপযোগী হল এবং শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষের বেতন ব্যবস্থাপনাকেও আরও সহজ এবং সাশ্রয়ী করল।
আরও পড়ুন: বিকাশ পে-রোল সল্যুশন ব্যবহার করবে সেবা প্ল্যাটফর্ম
শিক্ষার্থীরা এখন বিকাশ অ্যাপ অথবা *২৪৭# ডায়াল করে কলেজ ফি ও অন্যান্য ফি পরিশোধ করতে পারছেন।
আরও পড়ুন:করোনা টিকার নিবন্ধন এখন বিকাশ অ্যাপে
ফি পরিশোধ করতে বিকাশ অ্যাপের পে বিল আইকন থেকে এডুকেশনে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে ইডেন কলেজ নির্বাচন করে শিক্ষার্থীর তথ্য, টাকার পরিমান ও পিন দিয়ে বেতন পরিশোধ সম্পন্ন করা যাচ্ছে। ফি দেয়া হয়ে গেলে ডিজিটাল রিসিটও ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি, ভবিষ্যৎ ফি পরিশোধ সহজ করার জন্য ফি পরিশোধের প্রয়োজনীয় তথ্য অ্যাপে সেভ করে রাখার সুযোগও পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, কর্মদিবসে ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকের বিল পরিশোধের ঝামেলা দূর করে সময় ও খরচ সাশ্রয় করতে সারাদেশের ৬০০ প্রতিষ্ঠানকে ফি পরিশোধ সেবা দিয়ে আসছে বিকাশ। এই ডিজিটাল ফি পরিশোধ ব্যবস্থা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেতন ব্যবস্থাপনায়ও বাড়তি গতিশীলতা নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন:পাঁচটি বিকাশ নম্বরে সেন্ড মানি করা যাবে কোন খরচ ছাড়াই
বাংলাদেশে ইফাদের নতুন কান্ট্রি ডিরেক্টর নিয়োগ
আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) বাংলাদেশের নতুন কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. আর্নো হ্যামেলিয়ার্স।
ডাচ নাগরিক ড. হ্যামেলিয়ার্স গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগ্রিকালচার সিস্টেমস বিষয়ে পি.এইচ.ডি ডিগ্রিধারী। তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং নেদারল্যান্ডসের ট্রপিকাল এগ্রিকালচারাল কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
হ্যামেলিয়ার্স বলেন, ‘বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং সামজিক অন্তর্ভুক্তিকরণ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশের ৮৬ শতাংশ প্রতিবন্ধী মানুষ প্রত্যক্ষভাবে কৃষিতে জড়িত: গবেষণা
তিনি বলেন, ‘আমি এমন একটি সময়ে কাজ শুরু করছি যখন বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি এবং মানুষের জীবনে এর প্রভাব মোকাবিলায় ব্যস্ত।’
‘বৈশ্বিক মহামারির কারণে সৃষ্ট খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় গ্রামীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে ইফাদ থাকবে এবং তাদের জীবিকার নতুন সুযোগ তৈরিতে কাজ করে যাবে। একই সাথে ইফাদ গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে জাতীয় প্রচেষ্টার পরিপূরক হিসেবে কাজ করে যাবে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: কৃষি নিয়ে জানতে পারেন সামাজিক মাধ্যম থেকে
বাংলাদেশে কাজ শুরুর আগে হ্যামেলিয়ার্স বলিভিয়া এবং হন্ডুরাসের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ড্যানিডা’র কৃষি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসুচীর সিনিয়র টেকনিক্যাল এ্যডভাইজার হিসেবে বলিভিয়াতে কাজ করেছেন।
এছাড়াও তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ডের কৃষি মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র ডেইরি সায়েন্টিস্ট পদে এবং স্কটল্যান্ডের স্কটিশ এগ্রিকালচারাল কলেজের ডেইরী রিসার্চ প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজি তৈরি, কৃষি গবেষণায় নেতৃত্ব প্রদান এবং গ্রামীন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে হ্যামেলিয়ার্সের রয়েছে ব্যাপক অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: বাংলাদেশকে ইফাদের অতিরিক্ত ১৮.০৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা
ইফাদ বাংলাদেশে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে এবং এ পর্যন্ত ৩৪টিরও বেশি প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে। এই প্রকল্পগুলোর ক্রমসঞ্চিত বিনিয়োগের পরিমান ২.৩১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে ইফাদের অর্থায়ন ৯১৩.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।এই প্রকল্পগুলো থেকে সরাসরি উপকৃত হয়েছে ৫২.৭৮ মিলিয়ন লোক।
ইফাদের বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে অভিযোজনে সাহায্য করা, বাজারে ক্ষুদ্র উৎপাদক এবং উদ্যোক্তাদের অভিগম্যতা বাড়ানো এবং ভ্যালু চেইন শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে তাদের উপকার করা এবং দরিদ্র গ্রামীণ নারীসহ অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে।
বিশ্বে কৃষি, গ্রামীণ অর্থনীতি এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনা রুপান্তরে ইফাদ একমাত্র নিবেদিত বিশেষায়িত বৈশ্বিক উন্নয়ন সংস্থা।
করোনাকালে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে নগদ টাকার প্রবাহ আবশ্যক
করোনাকালে ব্যবসা-বাণিজ্যকে সচল রাখতে ঋণ নয় মানুষের হাতে নগদ টাকা পৌঁছে দিতে হবে, তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে অভিমত দেন আলোচকরা।
কানাডার টিভি মেট্রো মেইল (টিএমএম) আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ অভিমত দেন আলোচকরা।
আলোচকরা আরও বলেন, বৈশ্বিকভাবে করোনা মহামারি দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তিগুলোকে প্রভাবিত করছে। এ জন্যে আনুষ্ঠানিক ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক খাতকে গুরুত্ব দিয়ে করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের দামে কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না: ক্যাব
টিভি মেট্রো মেইল কানাডার নির্বাহী পরিচালক ইমামুল হকের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন, এপেক্স ফুটওয়্যার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবসায়ী নাসিম মনজুর, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি'র (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম এবং জি টিভির প্রধান সম্পাদক সাংবাদিক ইশতিয়াক রেজা।
'করোনাকালে বাংলাদেশের ব্যবস্যা-বাণিজ্য কেমন চলছে' শীর্ষক এক আলোচনায় বর্তমান মহামারির ফলে বিরাজমান সংকট ও আসন্ন সংকটের বিভিন্ন আঙ্গিক ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বক্তারা কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের দাবি ক্যাবের
টিএমএম এর চিটচ্যাট অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ মহামারি বর্তমানে কতটুকু প্রভাব ফেলছে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কিনা বা দাঁড়ালেও নিকট ভবিষ্যতে এ অর্থনীতির চেহারা কেমন হবে, ভারত ও চীনের সাথে ঋণচুক্তি এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে অর্থিনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন বাংলাদেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো নেই বলে মনে করেন এবং বলেন, "উৎপাদনশীল কাজের কারণে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু তা কীভাবে হচ্ছে? তা কি অন্তর্ভুক্তিমূলক? প্রবৃদ্ধির গুণগত মান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রবৃদ্ধির সুফল সবাই পাচ্ছে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। নিম্ন আয়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এই সময়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, নতুন দরিদ্র জনগোষ্ঠী সৃষ্টি হচ্ছে, এর ফলে আমাদের অর্থনীতির উপর চাপ পড়ছে।"
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী দিলো প্রাণ-আরএফএল
করোনার প্রভাব বিষয়ে তিনি বলেন, গত বছরে মহামারির প্রথম পর্যায়ে আমাদের কৃষি, শিল্প ও সেবা খাত চাঙ্গা হয়ে উঠছিল, ঘুরে দাড়াচ্ছিল যখন অনেক বড় অর্থনীতিতে ও ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি ছিল কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে।
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে নাসিম মনজুর বলেন, মানুষের কর্মসংস্থান, আয়, দারিদ্র্য, অসাম্যের বিষয়টিকে এই মুহূর্তে গুরুত্ব দিতে হবে। সংখ্যাগত প্রবৃদ্ধির দিকে লক্ষ্য না রেখে অন্তর্ভুক্তির দিকে বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করতে হবে। প্রবৃদ্ধি ছাড়াও অন্যান্য সূচক, যা দেশের মানুষের প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরে, সেগুলো বিবেচনায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, "কর কতটা আদায় করতে পারল এমন অসুস্থ মানসিকতা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বেরিয়ে আসতে হবে, তাদের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার। কর্মসংস্থান তৈরি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতেও তাদের মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।"
তিনি আরও মনে করেন যে শিল্পের বহুমুখীকরণের উপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং রপ্তানি খাতের পণ্যে বর্তমানের বৈষম্যমূলক কর ব্যবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন।
মহামারিকালে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বিষয়ে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম বলেন, "মহামারিকালেও বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, নতুন বিনিয়োগে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছি আমরা। এমন বিনিয়োগ আমাদের অর্থনীতিকে করোনা পরবর্তীকালে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।"
বিশ্ব বিনিয়োগের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ যখন হ্ৰাস পেয়েছে ৪২% তখন বাংলাদেশে হ্রাস পেয়েছে মাত্র ১৯.৫%, এই বিবেচনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো পর্যায়ে আছে।
সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বাংলাদেশ অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কৃষি খাত, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স, ও ব্যক্তি খাতের রেসিলিয়েন্স বা সহনশীলতার প্রশংসা করে বলেন, "কর কাঠামো যদি অতিমাত্রায় নিবর্তনমূলক হয় এবং ব্যবসায়ীদের গলায় চাপ দিয়ে যদি কর আদায়ের টার্গেট পূরণ করতে হয় তাহলে একসময় বড় ব্যবসায়ীরাও মুখ থুবড়ে পড়বে।"
চলতি আয় যখন কমাতে পারছে না সরকার তখন সরকার বিষয়ে তিনি বলেন, "আয়ের সাথে সঙ্গতি না রেখে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।"
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টির সাথে সাথে সামাজিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টিকেও সমান্তরালভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, "আমাদের সক্ষমতা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। অতিমারীর সময় সাধারণত বাজেটে ভর্তুকির পরামর্শ দেয়া হয়, কিন্তু আমরা দেখছি বরাদ্দকৃত বাজেটই আমরা খরচ করতে পারছি না। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মানুষের হাতে নগত অর্থ প্রয়োজন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে ঋণ প্রয়োজন।"
করোনা পরবর্তীকালে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে নগদ প্রণোদনার পাশাপাশি অন্য বিকল্পগুলোও ভাবা প্রয়োজন বলে বক্তারা মনে করেন।