������������������-���������������������
ঋণ পেতে আইএমএফের শর্ত মেনে কাজ করছে সরকার
আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ সাড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা পেতে সংস্থাটির দেয়া শর্ত মেনে কাজ করছে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈশ্বিক ঋণদাতার বোর্ড সভার আগে আর্থিক ও জ্বালানি খাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) কর্তৃক নির্ধারিত কিছু শর্ত বাস্তবায়ন শুরু করেছে সরকার।
এর অংশ হিসেবে ঋণের সুদের সীমা শিগগিরই প্রত্যাহার করা হবে এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১২ শতাংশ কমিয়ে আনতে বলা হয়েছে। যা বর্তমান গড় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ রয়েছে।
রবিবার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: জিডিপি প্রতিবেদন প্রতি ৩ মাসে হালনাগাদ করার পরামর্শ আইএমএফের
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তিনি এবং অন্যান্য সূত্র এসব কথা বলেছেন, কারণ গণমাধ্যমের সঙ্গে তাদের কথা বলার অনুমতি নেই।
সরকার রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল এবং শ্রীলঙ্কার ঋণ বাদ দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব সংশোধন করেছে। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর বলেছেন যে মোট রিজার্ভ এখন ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সূত্র জানায়, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি আইএমএফের অন্যতম শর্ত। তাই বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সম্প্রতি বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়িয়েছে। এটি বিতরণ কোম্পানিগুলোকে ভোক্তা পর্যায়ে ২০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করেছে।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় বোর্ড সভায় বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের ঋণ অনুমোদনের কথা রয়েছে।
এর আগে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিয়ে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আইএমএফের একটি দল চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর ঢাকা সফর করেছেন।
দলটি অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ(এনবিআর), বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি), বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং আরও কিছু সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছে।
ফলে ঋণের চূড়ান্ত অনুমোদনের আগেই এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। বিশদভাবে বলতে গেলে, আইএমএফের দাবির মধ্যে ব্যাংকিং খাতে সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যার মধ্যে খেলাপি ঋণ হ্রাস করা, সরকারি ভর্তুকি ব্যয় হ্রাস এবং রাজস্ব খাতের সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা ও গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর এ প্রসঙ্গে ইউএনবিকে বলেন, ‘আইএমএফের শর্ত মেনে নেয়া উচিত। এগুলোর সঙ্গে কারো দ্বিমত করা ঠিক নয়।’
তিনি বলেন, ‘এবারের শর্তগুলো খুবই নমনীয়। আমরা যদি এগুলো মেনে নিতে না পারি, তাহলে বুঝতে হবে আমরা সমস্যার সমাধান করতে চাই না।’
আরও পড়ুন: আইএমএফ’র সঙ্গে বাংলাদেশের সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক ঋণচুক্তি
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিলো আইএমএফ
আরও ২০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিতে চিঠি
বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে আরও ছয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য অনুমতি দিতে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে ১৩ হাজার টন সিদ্ধ চাল এবং সাত হাজার টন আতপ চাল আমদানি করার কথা বলা হয়েছে।
চিঠিতে সই করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মজিবর রহমান।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে ঊর্মি গ্রুপের নতুন পণ্য ‘টুর্যাগ অ্যাক্টিভ’
এতে বলা হয়েছে, এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে উল্লেখিত পরিমাণ (সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ ভাংগাদানা বিশিষ্ট) সিদ্ধ চাল ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদেরকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে।
এছাড়া বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু করা যাবে না বলেও চিঠিতে শর্ত দেয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, আমদানি করা চাল সত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না এবং আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে।
এর আগে প্রথম দফায় ৩০ জুন বেসরকারিভাবে চার লাখ ৯ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল।
আর ৪ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ১২৫টি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ৪৬ হাজার টন এবং তৃতীয় দফায় ৭ জুলাই ৬২টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৮২ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য অনুমতি দিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘বৈধ পথে আরও বেশি রেমিট্যান্সের জন্য ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি’
আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারিতে পাওয়া যাবে: অর্থমন্ত্রী
দেশের বাজারে ঊর্মি গ্রুপের নতুন পণ্য ‘টুর্যাগ অ্যাক্টিভ’
ঊর্মি গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওয়েভ রাইডার্স লিমিটেডের নতুন পণ্য টুর্যাগ অ্যাক্টিভ উন্মোচন করা হয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বিজিএমইএ কাপের ফাইনাল খেলা চলাকালীন সময়ে জমকালো এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন এ পণ্য উন্মোচন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির নতুন এ পণ্য প্রাথমিকভাবে কোম্পানির অনলাইন আউটলেটে পাওয়া যাবে।
অ্যাকটিভওয়্যার খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় ও উপযুক্ত পোশাক। অ্যাথলেট ও যারা ফিট থাকতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এ পোশাক মানানসই। অ্যাকটিভওয়্যার পড়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জিম ও অন্যান্য এক্সারসাইজ করা যাবে; পাশাপাশি, অ্যাকটিভওয়্যার দেখতেও স্টাইলিশ। এক্সারসাইজ করার সময় ছাড়াও ক্যাজুয়াল পরিবেশেও এ পোশাক চমৎকারভাবে খাপ খেয়ে নেয়।
প্রতিষ্ঠানটির নতুন এ পণ্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে ঊর্মি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ এবং বিজিএমইএ ও ঊর্মি গ্রুপের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এডেলউইসের পণ্যের সমাহার নিয়ে এলো দ্য বডি শপ
স্থানীয় ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ঊর্মি গ্রুপ প্রতিনিয়ত বাজারে বিভিন্ন ধরনের পণ্য উন্মোচন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি তরুণ ও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের জন্য নতুন পণ্য অ্যাক্টিভ ওয়্যার উন্মোচন করেছে যা টেকসই উপাদান দ্বারা তৈরি এবং পারফরম্যান্স বৃদ্ধিতে সহায়ক।
বিজিএমইএ এর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক খাতের গুরুত্ব ও অবদান অপরিসীম। পোশাক রপ্তানির দিক থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম।
দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) খাতটির অবদান ১১ শতাংশ। এ অর্জনে আমাদের দেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি, তারা স্থানীয় মানুষের চাহিদা পূরণেও বিভিন্ন ধরনের পণ্য বাজারে নিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদের নতুন পণ্য ‘টুর্যাগ অ্যাক্টিভ’ উন্মোচন করল।’
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ এর পরিচালক ও ঊর্মি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ বলেন, ‘জীবনে সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকতে ও লক্ষ্য অর্জন করতে হলে শরীরচর্চা খুবই জরুরি। তাই, মানুষ যেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন ধরনের পণ্য বাজারে নিয়ে আসি। আামাদের নতুন এ পণ্যটিই এর প্রমাণ।
খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রফুল্ল থাকতে খেলাধুলা ও শরীরচর্চার বিকল্প নেই। তাই, আমাদের ব্যস্ত জীবনে সুযোগ পেলেই সবাইকে খেলাধুলা ও শরীরচর্চার প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত। এমন সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: আমরা বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, তবে রপ্তানি বাড়াতে চাই: বিজিএমইএ সভাপতি
‘বৈধ পথে আরও বেশি রেমিট্যান্সের জন্য ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি’
টেকসই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের জন্য বৈধ পথে আরও বেশি রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করার জন্য সুবিধাজনক ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বুধবার রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত 'বৈধ চ্যানেল: ডিজিটাল প্লাটফর্মের প্রসপেক্টস' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এই অভিমত দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার এবং বিশেষজ্ঞরা বৈদেশিক মুদ্রার ক্রমহ্রাসমান স্টক নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আরও বেশি রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করার জন্য আরও ভাল কৌশলের জন্য বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন।
আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে ফি দিতে হবে না প্রবাসীদের
মান্নান বলেন, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ যারা রেমিট্যান্স গ্রহণ করেন,তাঁদের ব্যাংকে গিয়ে লেনদেনের বিষয়ে এক ধরনের সামাজিক ও মনস্তাত্বিক দূরত্ব আছে। ফলে ঘরে বসেই অবৈধ পথে রেমিট্যান্স গ্রহণ করাকেও তাঁরা অপেক্ষাকৃত সহজ মনে করেন। বৈধ পথে রেমিট্যান্স আনতে যারা কাজ করছে তাদের সঙ্গে প্রবাসীদের দূরত্ব কমাতে না পারলে রেমিট্যান্স বাড়ানো যাবে না। এ জন্য সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যম কার্যকারী ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে সপ্তাহে তিন দিন বিদেশের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ থাকে। এ কারণে অনেকেই সুবিধাজনক বিকল্প হিসেবে হুন্ডিকে বেছে নিচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার এসব ঐতিহ্য ভেঙে একটি ধারা শুরু করতে চায়। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বাড়াতে ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘অভিবাসী শ্রমিকরা হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে বেশি আগ্রহী, যখন অবৈধ চ্যানেলগুলিতে ডলারের বিনিময় হারের পার্থক্য বৈধ উপায়ের চেয়ে বেশি হয়।’
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মওলা বলেন, দেশে প্রবাসীদের স্বজনদের কাছে টাকা পাঠানোর সমস্যা দূর হলে বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রা ও রিজার্ভ সংকট মোকাবিলা করা সহজ হবে।
তিনি বলেন, 'ডিজিটাল পদ্ধতিতে রেমিট্যান্স পাঠানো সম্ভব হলে আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেমের চেয়ারম্যান ড. বজলুল এইচ খোন্দকার এ বিষয়ে একটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শারমিন নীলরমী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিএফআইইউ'র সাবেক উপ-প্রধান ইস্কান্দার মিয়া, বিকাশ প্রধান পররাষ্ট্র ও করপোরেট বিষয়ক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম এবং অর্থনীতিবিদ খোন্দকার শাখাওয়াত আলী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ডলারের অভিন্ন দাম: রেমিট্যান্সের জন্য সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা ও রপ্তানি আয়ের জন্য ৯৯ টাকা
২৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার
আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারিতে পাওয়া যাবে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নিশ্চিত করেছেন যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে সাড়ে ৪শ’ কোটি ডলার পাবে। এই ঋণের প্রথম কিস্তি সংস্থাটি আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে দিবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
আইএমএফ জানিয়েছে, তারা এই ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছে। সফররত আইএমএফের একটি দল ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই সপ্তাহ ধরে আলোচনা বুধবার শেষ হওয়ার পর এই চুক্তি হয়।
ঋণের পরিমাণ সাড়ে ৪শ’ কোটি ডলার নিশ্চিত করে কামাল বলেন, '২০২৬ সাল পর্যন্ত সাত কিস্তিতে এই ঋণ পাওয়া যাবে।’
‘আমি আশা করি, আইএমএফ আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসডিআর ৩৫২.৩৫ মিলিয়নের প্রথম কিস্তির অর্থ দিতে সক্ষম হবে। অবশিষ্ট ঋণ স্পেশাল ড্রয়িং রাইটসের (এসডিআর) অধীনে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি ছয় মাসে এসডিআর ৫১৯ মিলিয়নের ছয়টি সমান কিস্তিতে পাওয়া যাবে,’ তিনি যোগ করেন।
আইএমএফের প্রতিটি সদস্য দেশের কোটার পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে এসডিআর বরাদ্দ করা হয়। কোটার পরিমাণ যত বেশি হবে, একটি দেশ তত বেশি এসডিআর বরাদ্দ পাবে। সাধারণভাবে, শক্তিশালী অর্থনীতিতে উচ্চতর কোটা রয়েছে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে বিশ্ব নেতাদের প্রতি অর্থমন্ত্রীর আহ্বান
অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ মিশন তাদের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এ তথ্য জানিয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ঋণ প্রস্তাবের সকল আনুষ্ঠানিকতা ও চূড়ান্ত বোর্ড অনুমোদন সম্পন্ন করা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সরকারি নথি অনুসারে, বর্ধিত ঋণ সুবিধার (ইসিএফ) আওতায় বাংলাদেশ সুদমুক্ত এসডিআর ৮২২ দশমিক ৮২ মিলিয়ন পাবে। বর্ধিত তহবিল সুবিধা (ইএফএফ) এর অধীনে একটি উন্মুক্ত (ফ্লোটিং) এসডিআর ১ শতাংশ সুদের হারে এসডিআর ১৬৪৫ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন পাবে। অন্যদিকে এসডিআর রেটের সঙ্গে শুন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করে যা দাঁড়াবে তাই হবে রেজিলিয়েন্স ট্রাস্ট ফ্যাসিলিটি বা আরসিএফের ১০০ কোটি ডলার ঋণের সুদহার।
কামাল বলেন, সারা বিশ্বের অর্থনীতি একটি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সমস্ত উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে অস্বাভাবিক মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছে। ডলারের তুলনায় প্রায় সব দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে বলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা আইএমএফকে এই অস্থিতিশীলতা যাতে সংকটে পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য একটি পূর্বনির্ধারিত পদক্ষেপ হিসেবে ঋণের জন্য অনুরোধ করেছি। এর আগেও বেশ কয়েকবার তাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমরা চলমান ঋণ আলোচনা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি।’
সফররত আইএমএফ টিম বাংলাদেশ সরকারের সকল স্টেকহোল্ডারদের, বিশেষ করে আর্থিক খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
‘তারা (আইএমএফ) আমাদের বলেছে, আমাদের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা অন্যান্য অনেক দেশের চেয়ে ভালো। আইএমএফ টিম আমাদের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে একমত হয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা চার বছরের জন্য ঋণ কর্মসূচি নিতে যাচ্ছি,’ বলেন কামাল।
চলতি বছরের জুলাই মাসে ঢাকা ঋণ চাওয়ার পর ঋণের আবেদন নিয়ে আলোচনা করতে এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ওয়াশিংটনভিত্তিক বৈশ্বিক ঋণদাতার প্রতিনিধি দল গত ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশে আসে।
এটি আইএমএফের কাছ থেকে চাওয়া বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ। কারণ কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে।
সফরকালে আইএমএফের দলটি অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বিদ্যুৎ বিভাগ, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), ইআরডি, এনবিআর, বিডা এবং অন্যান্য আর্থিক সংস্থার সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার হার বাজারভিত্তিক করা হবে: অর্থমন্ত্রী
বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়াতে আইএমএফের কোনো প্রস্তাব পাইনি: অর্থমন্ত্রী
আইএমএফ’র সঙ্গে বাংলাদেশের সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক ঋণচুক্তি
আইএমএমএফ থেকে বাংলাদেশের চাওয়া ঋণের বিষয়ে বুধবার একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়েছে।
বাড়তি ঋণ সুবিধা এবং বাড়তি তহবিল সুবিধার অধীনে প্রায় তিন দশমিক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং সেইসঙ্গে স্থিতিস্থাপকতা এবং স্থায়িত্বের অধীনে এক দশমিক তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার সুবিধা দিতে ৪২ মাসের জন্য আইএমএফ প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ দেশের অর্থনৈতিক নীতিগুলোকে সহযোগিতা করতে এই প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছে।
আইএমএফের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নতুন তহবিল-সমর্থিত কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা এবং দুর্বলদের রক্ষা করার পাশাপাশি শক্তিশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ইতিবাচক উন্নয়নকে সহযোগিতা করা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিলো আইএমএফ
স্থিতিস্থাপকতা এবং স্থায়িত্ব সুবিধা (আরএসএফ) বাংলাদেশের জলবায়ু বিনিয়োগের চাহিদাকে সমর্থন করতে, জলবায়ু অর্থায়নকে অনুঘটক করতে এবং আমদানি-নিবিড় জলবায়ু বিনিয়োগ থেকে অর্থপ্রদানের ভারসাম্যের চাপ কমাতে সাশ্রয়ী, দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে, রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মিশন বাংলাদেশের জন্য আইএমএফ-এর সমর্থন এবং কর্তৃপক্ষের ব্যাপক অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতে চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা সফর করে।
মিশন শেষে, রাহুল আনন্দ নিম্নলিখিত বিবৃতি দেন:
‘বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এবং আইএমএফ টিম প্রায় তিন দশমিক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার (এসডিআর দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়ন, কোটার ২৩১ দশমিক ৪ শতাংশের সমতুল্য) ৪২ মাসের নতুন ইসিএফ বা ইএফএফ ব্যবস্থার অধীনে কর্তৃপক্ষের সংস্কার নীতিগুলোকে সমর্থনের জন্য একটি কর্মী পর্যায়ের চুক্তিতে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে সংঘটিত আএসএফ ব্যবস্থার প্রায় এক দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার (এসডিআর এক বিলিয়ন, কোটার ৯৩ দশমিক ৮০ শতাংশের সমতুল্য)।
‘নতুন ইসিএফ বা ইএফএফ ব্যবস্থার লক্ষ্য হলো সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা এবং দুর্বলদের রক্ষায় বিঘ্নিত সমন্বয় প্রতিরোধ করা, যেখানে শক্তিশালী অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ইতিবাচক উন্নয়নকে সহযোগিতার জন্য কাঠামোগত পরিবর্তনে জোর দেয়া। বাংলাদেশের বৃহৎ জলবায়ু অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা প্রতিফলিত করে, সমসাময়িক আরএসএফ। যা ইসিএফ বা ইএফএফ -এর অধীনে উপলব্ধ সংস্থাগুলোর পরিপূরক করে। অন্যান্য অর্থায়নের অনুঘটকসহ কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনায় চিহ্নিত জলবায়ু অগ্রাধিকারগুলোর অর্থায়নের জন্য আর্থিক খাতকে প্রসারিত করে এবং জলবায়ুর আমদানি বিনিয়োগের বাহ্যিক চাপ হ্রাস করবে।আশা করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহে কর্মকর্তা-পর্যায়ের চুক্তিটি আইএমএফ ব্যবস্থাপনার অনুমোদন এবং নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে।
বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে, ‘মহামারি থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে চলতি হিসাবের ঘাটতি তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দ্রুত পতন, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তুলতে আইএমএফ এর ঋণ দরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
মর্যাদা ক্ষুন্ন হলে বাংলাদেশকে আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়ার দরকার নেই: এফবিসিসিআই
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঋণের সীমা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) এক নির্দেশনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণের সীমা প্রত্যাহার করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ৫ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে পারবে।
মঙ্গলবার ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগের পরিচালক মো. আলী আকবর ফরাজি এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেলের দাম বৃদ্ধির মধ্যে বাংলাদেশ গ্যাস-ভিত্তিক এবং ডিজেল-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য সংগ্রাম করছে।
এতে বলা হয়েছে, জমি ক্রয়, যন্ত্রপাতি আমদানি ও ক্রয়, যন্ত্রপাতি স্থাপন সংক্রান্ত ব্যয় এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণসহ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ব্যাংকগুলো প্রয়োজনীয় ঋণ দিতে পারে।
ফলে ব্যাংক ঋণ পেতে সংরক্ষিত মূলধনের ২৫ শতাংশ ঋণ দেয়ার হিসাব আগামী পাঁচ বছর কার্যকর হবে না।
জুলাই মাসে ছয় মাসের জন্য এ নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিলো আইএমএফ
বাংলাদেশে সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন। তারা এমনভাবে কাজ করতে পরামর্শ দিয়েছেন যাতে বাজারে বিভিন্ন স্তরের লোকদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
সোমবার (০৭ নভেম্বর) একটি বৈঠকে এই পরার্মশ দেন আইএমএফ প্রতিনিধি দল।
বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম ইউএনবিকে বলেন, নির্ধারিত বৈঠকে আইএমএফ দলটি সমাজের সব অংশের মানুষের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে শেয়ারবাজারে পণ্য বৈচিত্র্যের পরামর্শ দিয়েছে।
তারা (আইএমএফ) কমোডিটি এক্সচেঞ্জ মার্কেট, রিয়েল এস্টেট এবং শেয়ার মার্কেটে অন্যান্য সেক্টরের তালিকাভুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তুলতে আইএমএফ এর ঋণ দরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আইএমএফ পুঁজিবাজারের প্রযুক্তিগত মানোন্নয়ন এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন উভয় ক্ষেত্রেই সহায়তা করবে। যাতে বিশ্ব মান বজায় রেখে বাজার কাজ করতে পারে।
বাংলাদেশে আইএমএফ মিশন চিফ রাহুল আনন্দ আইএমএফের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবং বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং বিএসইসির সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেন।
এর আগে, আইএমএফ দল অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বিদ্যুৎ বিভাগ, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সঙ্গে আলোচনার জন্য বৈঠক করেন।
সোমবার চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে আইএমএফ দল বিএসইসির শীর্ষ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে দেখা করে এবং নিয়ন্ত্রকের সক্ষমতা বাড়াতে কিছু পরামর্শ দেয়।
ওয়াশিংটন-ভিত্তিক বৈশ্বিক ঋণদাতার প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে এবং উপলব্ধি করতে ২৬ অক্টোবর সফর শুরু করে। কারণ দেশটি বাজেট সহায়তা হিসাবে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছিল।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোন বৈশ্বিক ঋণদাতার কাছে এত বড় ঋণ চায়নি। কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে প্রভাবিত করেছে।
ফলস্বরূপ, বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় চলতি বছরের জুলাই মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে আইএমএফ-এর কাছে সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের জন্য আবেদন করে।
আরও পড়ুন: মর্যাদা ক্ষুন্ন হলে বাংলাদেশকে আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়ার দরকার নেই: এফবিসিসিআই
জিডিপি প্রতিবেদন প্রতি ৩ মাসে হালনাগাদ করার পরামর্শ আইএমএফের
এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ: পণ্য বৈচিত্র্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে জোর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পণ্য বৈচিত্র্যের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ওপর জোর দিয়েছে। একইসঙ্গে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ কর্মী প্রয়োজন বলে জানিয়েছে।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ দক্ষ কর্মীদের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, সুস্বাস্থ্য ও টেকসই কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন, যা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার যুগে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএফটিআই এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী বাণিজ্য সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলো শনাক্তকরণ ও মোকাবিলায় চারটি খাত নিয়ে গবেষণা করছে।
খাতগুলো হচ্ছে- তৈরি পোশাক, জাহাজ নির্মাণ, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ। পাশাপাশি এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য রোডম্যাপে মৎস্য ও পশুসম্পদকেও উল্লেখ করা হয়েছে।
সভায় আরও যারা উপস্থিত ছিলেন- রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক আসিফ আশরাফ।
আরও পড়ুন: আইএমএফের সঙ্গে ঋণ নিয়ে আলোচনা সন্তোষজনক: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র
ব্যাংকগুলোকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এসিইউ লেনদেন বন্ধের নির্দেশ বিবি’র
ইভ্যালি‘র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু: ২৮ অক্টোবর ‘ধন্যবাদ উৎসব’
রেমিটেন্স: প্রতি ডলার ১০৭ টাকা নির্ধারণ করল কেদ্রীয় ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১০৭ টাকা করে রেমিটেন্স দিতে দেশের সিডিউল ব্যাংকগুলোকে বলেছে।
একজন রেমিটেন্স প্রেরণকারী এখন ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি রেমিটেন্স পাঠালেও প্রতি ডলার ১০৭ টাকা পাবেন।
সোমবার (৩১ অক্টোবর, ২০২২) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন(বাফেডা)-এর মধ্যে এক বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রতি ডলারে প্রেরকরা পাচ্ছেন ৯৯ দশমিক ৫০ টাকা। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রবাহ ব্যাপকভাবে কমেছে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের দুই সপ্তাহে দেশে ৭৬৯.৮৮ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে
এ ছাড়া এখন থেকে রেমিটেন্স সংগ্রহের জন্য ব্যাংকগুলো কোন প্রকার ফি নেবে না। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বর্তমান বাস্তবতায় ব্যাংকগুলোকে তাদের নিজস্ব উৎস থেকে ডলার নিয়ে এলসি খুলতে হবে বলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল ও কাজী সায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) সেলিম আরএফ হোসেন, ব্যাংকগুলোর পক্ষে বাফেডার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স সংগ্রহকে উৎসাহিত করতে দেশের বাইরে এক্সচেঞ্জ হাউসের সংখ্যা বাড়াতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
ব্যাংকগুলো এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৩৫৭.৭৬ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে বাংলাদেশে
২৫% রেমিটেন্স কমেছে সেপ্টেম্বরে, স্থির বিনিময় হারকে দায়ী করছেন ব্যাংকাররা