%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD-%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD-%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
এলডিসি উত্তোরণে বাংলাদেশকে সহায়তায় ইইউ’র প্রতি বিজিএমইএ প্রধানের আহ্বান
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান জিএসপির পরিবর্তনের মেয়াদ বর্তমান তিন বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই সম্প্রসারণ বাংলাদেশকে এলডিসি বিভাগ থেকে মসৃণ গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুত করতে এবং এলডিসি-পরবর্তী যুগেও প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবে।
গত ১০ মে ঢাকায় ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক সমস্যা বিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হেলেনা কোনিগের সঙ্গে বৈঠকে বিজিএমইএ প্রধান এ অনুরোধ জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন-ইইএএস এর সাউথ এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন মনিকা বাইলাইট; বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি; বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধি দলের ডেপুটি হেড ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার; মিনিস্টার কাউন্সেলর এবং হেড অফ কোঅপারেশন মাউরিজিও সিয়ান; এবং কাউন্সেলর এবং টিম লিডার- শিক্ষা, মানব উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের পিএফএম জুরেট স্মালস্কাইট মারভিল এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি সমীর সাত্তার।
আরও পড়ুন: ঈদের আগেই বিজিএমইএ আওতাধীন কারখানার মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ: বিজিএমইএ
বৈঠকে তারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ), এলডিসি-পরবর্তী সময়ে ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং দ্বিপক্ষীয় গুরুত্বসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান হেলেনা কোনিগকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রধান অগ্রগতি, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা, পরিবেশগত টেকসইতা এবং শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণের বিষয়ে অবহিত করেন।
তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে, বিশেষ করে দেশের লাখ লাখ মানুষের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন, মেয়েদের স্কুলে ভর্তি বৃদ্ধি এবং বাল্যবিবাহ কমানোর ক্ষেত্রে কীভাবে আরএমজি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণও দেন।
ফারুক হাসান এসব ক্ষেত্রে এ পর্যন্ত যে অর্জনগুলো অর্জন করেছেন তা ধরে রাখতে শিল্পের অব্যাহত প্রবৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ইইউকে বাংলাদেশের আরএমজি রপ্তানির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি ইইউর জিএসপি স্কিমের আওতায় শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সুনির্দিষ্ট বাণিজ্য পছন্দ সম্প্রসারণের গুরুত্ব তুলে ধরেন, যার ফলে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ইইউকে ইইউ-এর সুরক্ষা টেক্সটাইল থ্রেশহোল্ড মানদণ্ড পরিত্যাগ বা ২০২৪-২০৩৪ সালের জন্য প্রস্তাবিত জিএসপি স্কিমে বাংলাদেশের জন্য প্রক্রিয়াটি পুনর্বিন্যাস করার কথা বিবেচনা করারও আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরে জিএসপি প্লাস থেকে উপকৃত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে হাইকমিশনের সহায়তা চায় বিজিএমইএ
তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
জাপান-সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ১ হাজার ২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি
জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে আমদানিকৃত এক হাজার ২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি। ডলার সংকটে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ৫০০ কোটি টাকার এসব গাড়িবোঝাই ‘এমভি মালয়েশিয়া স্টার’ নামের জাহাজটি সম্প্রতি বন্দরে নোঙ্গর ফেলেছে। রেকর্ড পরিমাণ গাড়ির চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের ৭ এবং ৮ নম্বর জেটিতে বার্থিং করেছে এমভি মালেয়শিয়া স্টার নামের এই জাহাজ।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এর মধ্যে ৫৬৯টি গাড়ি খালাস হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। বাকিটা হবে মোংলা বন্দরে।
আরও পড়ুন: ঈদের পর হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
তিনি আরও বলেন, দেশে বিলাশবহুল গাড়ির আমদানি বাড়ছে। সর্বশেষ বন্দরে আমদানিকৃত গাড়ি নিয়ে আসা জাহাজ থেকে খালাস কার্যক্রম চলছে। এই জাহাজে করেই জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয়েছে ১ হাজার ২৬৫টি গাড়ি।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, ডলার সঙ্কটের কারণে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে দীর্ঘদিন গাড়ির এলসি খোলা বন্ধ ছিল। সম্প্রতি অর্থনীতির পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় ফের গাড়ির এলসি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরেই গাড়ি আমদানিকারকরা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে সক্রিয় হয়। সর্বশেষ জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে ১২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে এমভি মালয়েশিয়া স্টার নামক একটি জাহাজ। এই জাহাজ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে ৫৬৯টি গাড়ি। বাকি গাড়ি খালাস হবে মোংলা বন্দরে।
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হওয়া গাড়িগুলো বর্তমানে শুল্কায়ন পর্যায়ে রয়েছে। এসব গাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
গাড়ির বিশাল এই চালান আমদানির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১২ থেকে ১৫ জন ব্যবসায়ী।
বিশেষ করে আসন্ন বাজেটে আমদানি করা গাড়িতে শুল্কহার বাড়তে পারে- এই তথ্য থেকেই বেশি লাভের আশায় বাড়ছে গাড়ি আমদানি।
গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস্ ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে হলে গাড়ির ব্যবহার সচল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হওয়া এলসিগুলোতে এসব গাড়ি এসেছে। নতুন করে বাজেটকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কোনো গাড়ি আসেনি।
আরও পড়ুন: জাপান-সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ১ হাজার ২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি
চট্টগ্রাম বন্দরে শিপ হ্যান্ডেলিং এ নতুন অপারেটরদের নিয়োগ ৬ মাসের জন্য স্থগিত
বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক ৫ প্রকল্পে সমন্বিত ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই
আঞ্চলিক বাণিজ্য ও সংযোগ, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং পরিবেশ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে দুই দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেবে।
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সোমবার একটি ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এই অর্থায়ন চুক্তি বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এই ঋণ চুক্তিতে পাঁচটি প্রকল্প রয়েছে:
- পূর্ব দক্ষিণ এশিয়ায় পরিবহন ও বাণিজ্য সংযোগ ত্বরান্বিতকরণ (অ্যাকসেস) – বাংলাদেশ ফেজ-১ প্রকল্প, যার মূল্য ৭৫৩ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
- স্থিতিস্থাপকতা, অভিযোজন ও দুর্বলতা হ্রাসের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল্ডিং প্রজেক্ট (রিভার), যা বাংলাদেশের ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ কে সমর্থন করার জন্য প্রথম বড় বিনিয়োগ হবে। এটি অভ্যন্তরীণ বন্যার বিরুদ্ধে দুর্যোগ প্রস্তুতি উন্নত করতে সহায়তা করবে।
- ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফার্স্ট বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট (জিসিআরডি), প্রকল্পটি এ ধরনের প্রথম ঋণ যা দেশের স্থিতিস্থাপক উন্নয়নে রূপান্তরে সহায়তা করবে।
- ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাসটেইনেবল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশন (স্মার্ট) প্রকল্পের লক্ষ্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা খাতকে আরও গতিশীল, কম দূষণকারী, সম্পদ দক্ষ এবং জলবায়ু সহনশীল প্রবৃদ্ধি খাতে রূপান্তর করতে সহায়তা করা।
- ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (বেস্ট) প্রকল্পটি পরিবেশ ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে এবং সবুজ বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ৩টি প্রকল্পে ১.২৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
মে দিবস উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
আজ ১লা মে দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রবিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দুই দেশের ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্ত নেন।
তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টে যাত্রী পারাপার চালু আছে।
বাংলাহিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, আজ সারাবিশে^ আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত হচ্ছে। তাই পরিবহন-শ্রমিক নির্ভর আমদানি-রপ্তানি হওয়ায় এবং সরকারি ছুটি থাকায় আজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে পুনরায় শুরু হবে বন্দরের সকল কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক মে দিবস আজ
বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের সহ-ব্যবস্থাপক এসএম হায়দার জানান, দিবসটির কারণে বন্দরের ওয়্যারহাউজে পণ্য উঠা-নামা সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে পানামা পোর্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে শ্রমিকদের নিয়ে সকাল ১১টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দোয়া মাহফিল সহ শ্রমিকদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, সপ্তাহের প্রতিদিনই সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে। ফলে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সরকারি ছুটির আওতামুক্ত। তাই মে দিবসে স্থলবন্দরের কার্যক্রম সহ পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এই চেকপোস্ট ব্যবহার করে পাসপোর্ট যাত্রীরা ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ঈদের পর হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
হিলি সীমান্তে মিষ্টি উপহার দিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারে এফবিসিসিআই- জেসিসিআই সমঝোতা স্মারক সই
দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং জাপান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেসিসিআই) একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
বৃহস্পতিবার জাপানের ওয়েস্টিন টোকিওতে দু’দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন দুটির নেতারা সমঝোতা স্মারক সই করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং জেসিসিআই চেয়ারম্যান কেন কোবায়শি তাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
জাপানের ওয়েস্টিন টোকিওতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুযোগ বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার আহ্বান এফবিসিসিআই’র
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমঝোতা স্মারকের অধীনে পক্ষগুলো দুই দেশের ব্যবসার মধ্যে আরও উৎপাদনশীল যোগাযোগ বৃদ্ধি, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত জ্ঞান এবং তথ্য বিনিময় করতে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) এমপি, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, আমিনুল হক শামীম, মো. আমিন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালকমন্ডলী, বিডা-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব শেখ ইউসুফ হারুন প্রমুখ, দুই দেশের রাষ্ট্রদূত, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সৌদি, অন্যান্য তেল জায়ান্টদের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা, বাড়তে পারে দাম
সৌদি, অন্যান্য তেল জায়ান্টদের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা, বাড়তে পারে দাম
সৌদি আরব এবং অন্যান্য প্রধান তেল উৎপাদনকারীরা মে থেকে বছরের শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন মোট এক দশমিক ১৫ মিলিয়ন ব্যারেল পর্যন্ত আশ্চর্যজনক হ্রাস ঘোষণা করেছে। এই পদক্ষেপে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বাড়তে পারে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কোষাগার পূরণ করতে তেলের উচ্চমূল্য সাহায্য করবে। কারণ, তার দেশ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি আমেরিকান ও অন্যদের পাম্পে আরও বেশি অর্থ প্রদান করতে বাধ্য করবে।
এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও টেনে আনতে পারে, যেটি সৌদি আরব এবং অন্যান্য মিত্রদের উৎপাদন বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছে। কারণ, এটির দাম কমিয়ে আনতে এবং রাশিয়ার অর্থনীতিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করে।
ক্লিয়ারভিউ এনার্জি পার্টনারস এলএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেভিন বুক বলেছেন, শুধুমাত্র উৎপাদন কমানোর ফলেই মার্কিন পেট্রোলের দাম প্রতি গ্যালনে প্রায় ২৬ সেন্ট বাড়তে পারে।
সাধারণ বৃদ্ধির পাশাপাশি যখন রিফাইনারিগুলো গ্রীষ্মকালীন ড্রাইভিং মৌসুমে গ্যাসোলিনের মিশ্রণ পরিবর্তন করে তখন এনার্জি ডিপার্টমেন্ট প্রতি গ্যালন গড়ে ৩২ সেন্টে মৌসুমী বৃদ্ধির হিসাব করে, বলেন বুক।
তাই গড় মার্কিন মূল্যের সঙ্গে এখন প্রায় তিন দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার প্রতি গ্যালন রেগুলার। এএএ অনুসারে, এর অর্থ গ্রীষ্মকালে প্রতি গ্যালন গ্যাসোলিন ৪ ডলারের বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুন: রমজানের আগে ওএমএসের ১ কোটি ৬০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে টিসিবি
তবে বুক বলেছে, তেল ও গ্যাসের দামে বেশ কিছু জটিল পরিবর্তন রয়েছে। প্রতিটি দেশের উৎপাদন হ্রাসের আকার নির্ভর করে বেসলাইন উৎপাদন সংখ্যার উপর যেটি ব্যবহার করছে, তাই হ্রাসটি এক দশমিক ১৫ মিলিয়ন নাও হতে পারে। হ্রাসগুলো কার্যকর হতে বছরের অনেক সময় লাগতে পারে৷ ব্যাংকিং সঙ্কটের কারণে মার্কিন মন্দা দেখা দিলে চাহিদা কমতে পারে। তবে গ্রীষ্মকালে এটি আরও বাড়তে পারে, কারণ এসময়টিতে আরও বেশি লোক ভ্রমণ করে।
বুক বলেন, যদিও সারা বিশ্বে প্রতিদিন ব্যবহৃত প্রায় ১০০ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের মাত্র এক শতাংশ উৎপাদন কম হয়। তবুও দামের উপর প্রভাব বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, তেলের দাম যেভাবে কাজ করে তার জন্য এটা একটা বড় ব্যাপার। ‘আপনি এমন একটি বাজারে আছেন যা তুলনামূলকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ। আপনি একটি অল্প দূরে নিয়ে যান, চাহিদা কী তার উপর নির্ভর করে, আপনি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ মূল্য প্রতিক্রিয়া পেতে পারেন।’
সৌদি আরব ওপেক সদস্যদের মধ্যে প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। হ্রাসকৃত পরিমাণগুলো গত অক্টোবরে ঘোষিত একটি হ্রাস ছাড়াও যা বাইডেন প্রশাসনকে ক্ষুব্ধ করেছিল।
সৌদি জ্বালানি মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপকে তেলের বাজার স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একটি ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা’ হিসাবে বর্ণনা করেছে। ২০২২ সালে সৌদি আরবের প্রতিদিন সাড়ে ১১ মিলিয়ন ব্যারেল গড় উৎপাদনের পাঁচ শতাংশেরও কম এই ঘাটতি দেখায়।
ইরাক বলেছে যে তারা প্রতিদিন দুই লাখ ১১ হাজার ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরাত এক লাখ ৪৪ হাজার, কুয়েত এক লাখ ২৮ হাজার, কাজাখস্তান ৭৮ হাজার, আলজেরিয়া ৪৮ হাজার ব্যারেল এবং ওমান ৪০ হাজার ব্যারেল উৎপাদন হ্রাস করবে। ঘোষণাগুলো প্রতিটি দেশের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানায়, রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেছেন যে মস্কো বছরের শেষ পর্যন্ত স্বেচ্চায় হ্রাস বাড়াবে পাঁচ লাখ । পশ্চিমা দেশগুলো মূল্যসীমা আরোপের পর রাশিয়া ফেব্রুয়ারিতে একতরফাভাবে কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
সকলেই তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর তথাকথিত ওপেক+ গ্রুপের সদস্য, যার মধ্যে রয়েছে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর মূল সংস্থার পাশাপাশি রাশিয়া এবং অন্যান্য প্রধান উৎপাদক৷ তাৎক্ষণিকভাবে ওপেকের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রেলের বগি লাইনচ্যুত: ২৩ ঘন্টায়ও উদ্ধার হয়নি, তেল ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের কৃষিজমিতে
বিজনেস সামিট: প্রথম দিনেই সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি ও এমওইউ সই
বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এর উদ্বোধনী দিনে শনিবার (১১ মার্চ) সৌদি আরব ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ একটি চুক্তি এবং ৩টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের জন্য সৌদি কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি সই হয়েছে এবং রংপুর চিনিকল ও পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের উন্নয়নে সৌদি আরবের সঙ্গে দুটি এমওইউ সই হয়।
অন্যদিকে, অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের সঙ্গে আরেকটি এমওইউ সই হয়।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) চীন কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের (সিসিপিইটি) সঙ্গে একটি এমওইউ সই করেছে।
এফবিসিসিআই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ৩ দিনব্যাপী বিজনেস সামিটের আয়োজন করছে, যা আগামী সোমবার শেষ হবে।
সামিটের কারিগরি উপদেষ্টা ড.এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, এই সামিট; বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস প্রমোশন ইভেন্টে পরিণত হওয়ার পরিকল্পনা করে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাজারের সক্ষমতা এবং বাংলাদেশে সুনির্দিষ্ট বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরতে চায়।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক আস্থা সমীক্ষা: ব্যবসাগুলো সম্প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখছে
তিনি বলেন, শীর্ষ সম্মেলনটি জাতীয় ও বৈশ্বিক ব্যবসায়ী নেতা, বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক, অনুশীলনকারী, নীতি ও বাজার বিশ্লেষক, একাডেমিয়া এবং উদ্ভাবকদের সঙ্গে ব্যবসায়-টু-ব্যবসায় নেতাদের মিথস্ক্রিয়া করার একটি সুযোগ তৈরি করে।
সৌদি আরব, চীন ও ভুটানের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সৌদি আরব, চীন ও ভুটান বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে জ্বালানি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মুন্সি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, সৌদি আরব একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ, যারা বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ ছাড়া সৌদি আরব কৃষিভিত্তিক শিল্প ও খাদ্য খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
ভুটানও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। এ জন্য তারা সমুদ্র ও স্থলবন্দরের নানা সমস্যা দূর করে দ্রুত বাণিজ্য বাড়াতে চায় বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
মুন্সী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান এবং অর্থনীতি আগের চেয়ে শক্তিশালী। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বিভিন্ন দেশ এগিয়ে আসছে।’
রবিবার, বিআিইসিসি-এর সামিট সেন্টারে মূল সেক্টর, কনজিউমার গুডস, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, লং টার্ম ফাইন্যান্স, অ্যাপারেল ও টেক্সটাইল, ডিজিটাল ইকোনমি, এনার্জি সিকিউরিটি, জাপান বাংলাদেশ বিজনেস এবং এগ্রো বিজনেস-এ বিনিয়োগের সুযোগের ওপর ৯টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বিকাশমান সমুদ্র অর্থনীতির সফলতা নির্ভর করছে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর
বিজিএমইএ’র আরও দুটি সবুজ কারখানার স্বীকৃতি ইউএসজিবিসি’র
আদানি প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুত সঞ্চালন শুরু
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে আদানির এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পরীক্ষামূলক সরবরাহ শুরু হয়েছে। যদিও বিদ্যুতের শুল্কের সমস্যাগুলো এখনও সমাধান করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৮মিনিটে এটি শুরু হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ফেসবুক স্ট্যাটাস অনুযায়ী, পরীক্ষার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে একই সময়ে চালু করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
পিজিসিবি বলেছে, ‘আদানি প্ল্যান্ট থেকে কমবেশি ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবনির্মিত ট্রান্সমিশন লাইন এবং সাবস্টেশনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের জন্য রাত ৯টায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।’
সংস্থাটি বলেছে যে তারা সীমান্তবর্তী মানকাশা এলাকা থেকে রোহনপুর হয়ে বগুড়া পর্যন্ত ১৩৪ কিলোমিটার ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন তৈরি করেছে। ‘এছাড়াও, বিদ্যুৎ সরানোর সুবিধার্থে বগুড়ায় একটি ৪০০/২৩০কেভি সাবস্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি বাতিলের দাবি বিএনপির
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন দারাজ বাংলাদেশের
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩ উদযাপন করল দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি তার প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক ড.সুতপা ভট্টাচার্য, ম্যারিকো বাংলাদেশের ডিরেক্টর এইচআর শ্যামল কিশোর এবং ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিস ফাহমিদা।
এবারের উদযাপনের বিশেষত্ব ছিলো প্রতিষ্ঠানটি তাদের ৬ জন নারী উদ্যোক্তাকে নিয়ে আসে যারা তাদের পণ্য বিক্রি করার জন্য দারাজ বাংলাদেশ অফিস প্রাঙ্গণে আসার সুযোগ পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: দারাজের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন নিশো ও মেহজাবীন
দারাজ মাস্টারকার্ড ‘সেভ স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইন ২০২৩ শুরু
দারাজ নিয়ে আসছে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ক্যাম্পেইন
ব্যবসায়িক আস্থা সমীক্ষা: ব্যবসাগুলো সম্প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখছে
বাংলাদেশ বিজনেস কনফিডেন্স সার্ভে রিপোর্ট ২০২২-২০২৩ অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য সামগ্রিক ব্যবসায়িক আস্থা সূচক (বিসিআই) ৭৪ দশমিক চারে এ দাঁড়িয়েছে। এটি পরবর্তী ছয় মাসের ব্যবসায়িক অবস্থার জন্য একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত
বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সংস্থাগুলো নিশ্চিত যে আগামী ছয় মাসে উৎপাদন খাতের জন্য অর্ডারের পরিমাণ, পরিষেবা খাতে পরিষেবার চাহিদা, বিক্রয় মূল্য এবং ব্যবসায়িক কার্যকলাপ বাড়বে।
ফলস্বরূপ, ব্যবসাগুলো একই সময়ের মধ্যে তাদের কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ প্রসারিত করতে ইচ্ছুক।
এছাড়া, ব্যবসায়িক সত্তা, বিশেষ করে উৎপাদন খাতে, খরচের প্রতি কম আস্থা রয়েছে, যা বিদ্যুৎ,পানি, গ্যাস, ভাড়া এবং উপকরণের খরচসহ ব্যবসার খরচের বোঝা মোকাবিলায় অবিলম্বে পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়।
রবিবার ঢাকার একটি হোটেলে বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) এবং ইউএসএআইডি-র অর্থায়নে ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ট্রেড অ্যাক্টিভিটি যৌথভাবে ‘৫ম বিজনেস কনফিডেন্স সার্ভে রিপোর্ট ২০২২’ চালু করেছে।
গত ছয় মাসে (মার্চ ২০২২- আগস্ট ২০২২) বিদ্যমান ব্যবসায়িক অবস্থা বিশ্লেষণ করতে এবং পরবর্তী ছয় মাসের জন্য (ডিসেম্বর ২০২২ –জুন ২০২৩) অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে টার্নিং পয়েন্টের পূর্বাভাস দেয়ার জন্য ৫৬৭টি ব্যবসায়িক সংস্থাকে কভার করে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর ২০২২-এর মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। ঝুঁকি কমানোর জন্য ব্যবসাগুলোকে প্রস্তুত করতে এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে সক্ষম করা।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, ৫ম বিজনেস কনফিডেন্স জরিপ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এতে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের সুপারিশকৃত সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবসায়িক আস্থা জরিপের পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নিউইয়র্কে বিসিআইইউয়ের বাণিজ্যবিষয়ক বৈঠক
তিনি বলেন, ‘আমরা জেনে আনন্দিত যে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ বর্তমানে যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তা সত্ত্বেও ব্যবসায়িক অবস্থার একটি আশাবাদী ধারণা দিয়েছে বিল্ড পরিচালিত সামগ্রিক ব্যবসায়িক আস্থা সূচক (বিসিআই)।’
‘জরিপের অন্যান্য স্কোরগুলো ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং উদীয়মান ব্যবসায়িক আত্মবিশ্বাসের কিছু দৃশ্যমান পুনরুদ্ধার দেখায়৷
এছাড়াও, আগামী ছয় মাসে ব্যয়ের আস্থা ২২ দশমিক চার-এর মতো নিচে নেমে গেছে এবং সরকারকে অবশ্যই আর্থিক ও আর্থিক ব্যবস্থায় এটিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে৷’
বিল্ডের সিইও ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, বিসিআই-এর সাতটি উপাদানের মধ্যে ছয়টি বিষয়, যেমন, কর্মসংস্থান, সেবার চাহিদা, ব্যবসায়িক কার্যকলাপ, বিক্রয়মূল্য এবং বিনিয়োগের অনুভূতির উন্নতির কারণে বিসিআই-এর ঊর্ধ্বমুখী আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে।
সাতটি উপাদানের মধ্যে কেবলমাত্র সামগ্রিক ব্যবসায়িক ব্যয় সূচকটি একটি হতাশাবাদী প্রদান করে। এই গবেষণায় ৫০ এর মধ্যবিন্দুর সঙ্গে শূন্য থেকে ১০০ পর্যন্ত বিস্তৃতি সূচক যেখানে ৫০ এর কম মানে সংকোচন বা কম আশাবাদ এবং ৫০ এর বেশি মানে সম্প্রসারণ বা আশাবাদ।
গত ছয় মাসে (মার্চ ২০২২ - আগস্ট ২০২২) সামগ্রিক ব্যবসায়িক ব্যয় সূচক ৩৫ দশমিক আট-এ দাঁড়িয়েছে এবং পরবর্তী ছয় মাসে (ডিসেম্বর ২০২২ - জুন ২০২৩) ২২ দশমিক চার -এ পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সমীক্ষায় প্রায় 72 শতাংশ ব্যবসায়িক সংস্থা জানিয়েছে যে আগামী ছয় মাসে সামগ্রিক ব্যবসায়িক ব্যয় বাড়বে।
বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হোল্টম্যান বলেছেন, ‘ব্যবসায়িক আস্থার সমীক্ষা হলো ব্যবসাগুলো কেমন চলছে তার সংক্ষিপ্ত সূচক। এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক ব্যবসার অবস্থার একটি পৃথক পরিমাপ।’
‘বিসিএস হলো সকালের কয়েকটি চিহ্ন। আমরা আশা করি যে এই লক্ষণগুলো ব্যবসায়িকদের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। তবে, স্থিতাবস্থার পক্ষপাতিত্বের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আমাদের প্রবণতাগুলো দেখতে হবে। আমাদের কণ্ঠস্বরহীনদের কথা বলতে হবে। এই ক্ষেত্রে, তারা সিএমএসএমই, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তা। এটা ভালোভাবে স্বীকৃত যে বাংলাদেশ প্রতিটি সূচকে ভালো করছে।’
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সমীর সাত্তার বলেন, বিজনেস কনফিডেন্স সার্ভে ২০২২-২৩ থেকে একটি আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছে।
‘এই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে আমাদের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় আস্থা এবং স্থিতিস্থাপকতা দেখাচ্ছে। সরকারকে বিবেচনা করতে হবে এমন একটি প্রধান সুপারিশ হলো যে ব্যবসা করার খরচ কমানো দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিএমএসএমইগুলো একাধিক সমস্যায় ভুগছে৷ সিএমএসএমইগুলোর জন্য অর্থ পাওয়া অন্যতম চ্যালেঞ্জ৷ আমরা সিএমএসএমই বিভাগ থেকে মাধ্যমটিকে সরানোর সুপারিশ করব৷ একটি ধারণা হলো যে এই সমীক্ষাটি আরও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে৷ আরও কোম্পানি এবং সেক্টরকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন৷ জরিপটিকে আরও অন্তর্ভুক্ত করুন।’
আরও পড়ুন: বিসিআই সভাপতি হিসেবে আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পুননির্বাচিত