���������������������������������-������������������-���������������������
মেলবোর্নে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পবিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জনগণ ও অর্থনীতির জন্য সহায়ক নীতির ক্ষেত্রে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সরকারের চিফ হুইপ জোয়ান রায়ান।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পবিষয়ক সম্মেলনে তিনি এ আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) উদ্যোগে এবং অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সহযোগী পার্টনার ছিল এইচএসবিসি ব্যাংক।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভিক্টোরিয়া রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার ম্যাট ফ্রেগন এবং এ রাজ্যের বিরোধী দলের বাণিজ্য ও বিনিযোগবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী ডেভিড সাউথ উইক।
এ ছাড়াও সম্মেলনে অংশ নেন তৈরি পোশাক শিল্পের ক্রেতা, বিক্রেতা, সরবরাহকারী, উন্নয়ন সহযোগী এবং অস্ট্রেলিয়া সরকারের নীতি নির্ধারকসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ১৩০ জন। সম্মেলনের শুরুতে প্লিনারি সেশন এবং দু'টি প্যানেল আলোচনায় বক্তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্যানেল আলোচনার শিরোনাম ছিল যথাক্রমে ‘অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বাণিজ্য: পরবর্তী দশকের পথ চলার পরিকল্পনা’ এবং ‘টেকসই উপাদান: ভবিষ্যৎ ফ্যাশন সৃষ্টিতে ইএসজির সহযোগিতা।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পতাকার রঙে সাজল ক্যানবেরা
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অপার সম্ভাবনা ও সরবরাহ ব্যবস্থার স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীল সোর্সিং এবং নৈতিক উৎপাদন পদ্ধতিসহ এখাতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন। সামাজিক পরিবেশ এবং দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আদর্শ ও মানের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বিকাশমান ফ্যাশন শিল্পের ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং এ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের উপর জোর দেন।
এ সম্মেলনে তৈরি পোশাক শিল্পবিষয়ক ফলপ্রসু আলোচনার পাশাপাশি তথ্য আদান প্রদান এবং মতবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করে। এতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রেতাদের মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়। সম্মেলনে করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার বাজারের অবদানের উপর আলোকপাত করা হয়। এ ছাড়া দুদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থে বাণিজ্যনীতি, বিশেষ করে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণকালীন সময়ে সহায়তার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বহু ভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে অমর একুশে উদযাপন
কেমার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়ান বেইলি বাংলাদেশের সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্পবিষয়ক তথ্য উপাত্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তৈরি পোশাক শিল্পের সরবরাহ ব্যবস্থার দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতার উপর জোর দেন। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের কারখানাগুলোকে প্রথম স্তরে উন্নয়নের বিষয়ে তার মতামত তুলে ধরেন।
এইচএসবিসি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী অ্যান্টনি শঁ বাংলাদেশের শিল্পসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অবকাঠামো উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি উল্লেখ করেন বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে এইচএসবিসি গর্ববোধ করে এবং ভবিষ্যতে এ অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে।
এসময় বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও প্রকৃতির উপর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য সামগ্রীর সর্বশেষ সংগ্রহ প্রদর্শন করা হয় যাতে বাংলাদেশের উৎপাদন ক্ষেত্রে সক্ষমতার ছাপ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
দেশীয় পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণায় সহযোগিতার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাজ্যের বিজনেস এন্ড ট্রেড স্টেট মিনিস্টার নাইজেল হাডলস্টোনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি আহ্বান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম আরএমজি রপ্তানিকারক, তৃতীয় বৃহত্তম সবজি উৎপাদনকারী, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ধান উৎপাদক এবং অভ্যন্তরীণ স্বাদু পানির মৎস্য উৎপাদনে পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। এছাড়া উচ্চ মানের ওষুধ, জেনেরিক ওষুধ, অনন্য পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, সিরামিক, আসবাবপত্র, খেলনা এবং ইলেকট্রনিক পণ্যসহ অনেক বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদন হচ্ছে দেশে। এসব পণ্য আমদানির জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদে সমালোচনার মুখে বাণিজ্যমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য বর্তমানে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য উল্লেখ করে টিপু মুনশি জানান ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পণ্য রপ্তানি করেছে এবং যুক্তরাজ্য থেকে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।
তিনি বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে বিনিয়োগের উত্তম জায়গা জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু নির্মাণ, ঢাকা মেট্রোরেলের উদ্বোধন, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, কক্সবাজারে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতি অঞ্চল নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে দেশভিত্তিক আলাদা অর্থনৈতিক জোন বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ইতোমধ্যে দুই দফা বৈঠক করেছে এবং খুব শিগগিরই তৃতীয় বৈঠকে বসবে। ঢাকায় প্রথম ও দ্বিতীয় বাংলাদেশ-ইউনাইটেড কিংডম ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগের অনুষ্ঠিত হবে। এই নিয়মিত সংলাপ আমাদের যৌথ মূল্যবোধ এবং মানদণ্ডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগকে আরও শক্তিশালী করতে অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, ডেভেলপিং কান্ট্রি ট্রেডিং স্কিম-ডিসিটিএস এর অধীনে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা যুক্তরাজ্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমরা দীর্ঘতম সম্ভাব্য সময় পর্যন্ত আমাদের ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি সুবিধার স্থিতি অব্যাহত রাখতে চাই। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বাংলাদেশ উত্তরণের পর পরবর্তী আরও ছয় বছর শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখতে পাশে থাকারও আহ্বান জানান।
এসময় সফররত যুক্তরাজ্যের বিজনেস এন্ড ট্রেড স্টেট মিনিস্টার নাইজেল হাডলস্টোন তার দেশ বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশিাপশি এভিয়েশন, শিক্ষা এবং প্রতিরক্ষার বিষয়ে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যকার চমৎকার বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাজ্যে রেডিমেড গার্মেন্টস ছাড়াও বাংলাদেশী পণ্যের বিশাল বাজার রয়েছে। ভবিষ্যতে এ বাজার বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় তিনি বাংলাদেশে তার দেশের ব্যবসায়ীরা নানা ধরণের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জে মোকাবেলা করছেন বলে বাণিজ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং সেগুলো সমাধানের জন্য অনুরোধ জানান। নির্দিষ্ট করে সমস্যার কথা জানালে সেগুলো দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বৈঠককালে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা চলছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য ও ট্রানজিট চুক্তির সুবিধা কাজে লাগাতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩ দিনে এলো ১২৩ টন কাঁচা মরিচ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে গত তিন দিনে এলো ১২৩ টন আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ। মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) বিকালে পাঁচটি ট্রাকে ৩৩ টন কাঁচা মরিচ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
এর আগে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত রবিবার ৪৫ টন এবং সোমবার ৪৫ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়।
ঢাকা ও খুলনার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানরা এসব কাঁচা মরিচ আমদানি করে নিয়ে আসে। কাঁচা মরিচের চালানগুলো দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে চলে যাচ্ছে।
বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, আজ ভারত থেকে ৫টি ট্রাকে ৩৩ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ বেনাপোল বন্দরে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৬টি ট্রাকে এল কাঁচা মরিচ
তিনি জানান, এগুলো দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সীমান্তের ওপারে আরও কয়েক ট্রাক কাঁচা মরিচ এপারে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
তিনি আরও জানান, গত তিনদিনে এ বন্দর দিয়ে ১২৩ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে।
এ বন্দর দিয়ে বেনাপোলের মেসার্স ঊষা ট্রেডিং ঢাকার এন এস এন্টারপ্রাইজ ও খুলনার এস এম করপোরেশনসহ আরও কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কাঁচা মরিচ আমদানি করছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা কলিমুল্লাহ্ জানান, জরুরি ও পচনশীল পণ্য হওয়ায় কাঁচা মরিচের চালানগুলো ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত খালাসের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও জানান, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের আমদানি মূল্য দশমিক ২১৫ মার্কিন ডলার (২২ সেন্ট)। টাকার অঙ্কে ২৩ টাকা ৯৩ পয়সা। আর প্রতিকেজির বিপরীতে কাস্টম শুল্ক দিতে হয়েছে দশমিক ৫ মার্কিন ডলার (৫০ সেন্ট), যা টাকার অঙ্কে ৩৮ টাকা ৮২ পয়সা।
বেনাপোলের আমদানিকারক ঊষা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, আমদানি হওয়া কাঁচামরিচ তাদের রপ্তানিকারকরা বনগাঁসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজার থেকে সংগ্রহ করে। আমদানি মূল্য ও কাস্টম শুল্ক ছাড়াও পরিবহনসহ দুই দেশের অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তাদের আর ও অতিরিক্ত টাকা গুণতে হয়।
তিনি আরও বলেন, সব মিলিয়ে ঢাকার পাইকারের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচের দাম পড়ে যায় ১৫০-১৬০ টাকার মতো। এর সঙ্গে বাজারের টোল ও সামান্য লাভ যোগ করে পণ্য বিক্রি করবেন।
সীমান্তের ওপারের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর রপ্তানিকারক ফিরোজ বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার বনগাঁর স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের পাইকারি দর ছিল ১৬০ থেকে ২৮০ রুপি কেজি। আর খুচরা বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৩০০ রুপিতে।
তিনি আরও বলেন, এদিন ভারতের নাগপুরে কেজি প্রতি পাইকারি দর ছিল ৭০ রুপি।
প্রসঙ্গত, দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভারত থেকে মরিচ আমদানি করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ঘাটতি ও উচ্চমূল্য ঠেকাতে ভারত থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম
ঊর্ধ্বমুখী দামের মধ্যে দেশে ৯৪ টন কাঁচা মরিচ আমদানি
ঊর্ধ্বমুখী দামের মধ্যে দেশে ৯৪ টন কাঁচা মরিচ আমদানি
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৯৪ টন কাঁচা মরিচ দেশে এসেছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
ক্রমবর্ধমান মূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে, কৃষি মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত মোট ৩৬ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
রবিবার (২ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু
এদিকে ইউএনবি সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর রবিবার (২ জুলাই) থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধির মধ্যে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে এসেছে ছয় ট্রাকভর্তি ৬০ টন কাঁচা মরিচ। রবিবার প্রথম পণ্যবোঝাই ট্রাক-লরিগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
ছুটি শেষে সকল আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন কাঁচা মরিচবোঝাই ছয়টি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
ট্রাকপ্রতি ১০ টন করে মোট ৬০টন কাঁচা মরিচ রয়েছে। আজ সন্ধ্যায় আরও কিছু কাঁচা মরিচের ট্রাক প্রবেশ করতে পারে বলে জানিয়েছেন সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্তৃপক্ষ।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম মাকসুদ খান বলেন, ঈদুল আজহার কারণে গত মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত পাঁচদিন ছুটি ছিল ভোমরা স্থল বন্দরে। রবিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রবিবার মোট কাঁচা মরিচবাহী ছয়টি ট্রাক প্রবেশ করেছে। সন্ধ্যায় আরও কিছু কাঁচা মরিচ বন্দরে প্রবেশ করতে পারে।
কাঁচা মরিচের আমদানির ফলে স্থানীয় বাজারসহ দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমবে বলে তার আশা।
ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা ইফতেখার উদ্দীন বলেন, রবিবার সকাল থেকে কয়েকটি কাঁচা মরিচের ট্রাক প্রবেশ করেছে। ধীরে ধীরে আরও করবে। একটু সময় লাগবে।
সাতক্ষীরা কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু বলেন, সাতক্ষীরার বাজারে কাঁচা মরিচ ৪শ’ থেকে ৪৫০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু
তিনি বলেন, আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ পড়েছে বিপাকে। তাদেও ক্রয় ক্ষমতার বাইওে চলে গেছে।
রবিবার দুপুরে ভোমরা দিয়ে কিছু কাঁচা মরিচের ট্রাক প্রবেশের পর ইতোমধ্যে দাম কমতে শুরু হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ১ জুলাই (শনিবার) পর্যন্ত টানা ৫ দিন ঈদের ছুটিতে বন্দরের সবধরনের আমাদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিলো। তবে এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করেছেন।
অন্যদিকে ইউএনবি’র বেনাপোল সংবাদদাতা জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রবিবার ভারত থেকে ৩৪ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ দেশে এসেছে। ৫টি ট্রাকে করে ভারতীয় এসব কাঁচা মরিচ বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রবেশ করে।
এদিকে বেনাপোলের মেসার্স উষা ট্রেডিং, এন এস এন্টারপ্রাইজ ও এস এম করপোরেশনসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য অনুমতিপত্র (আইপি) পেয়েছে।
শুধুমাত্র এসব অনুমতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স উষা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, দেশে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। ২৫ জুন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে (খামারবাড়ী) কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য আইপি প্রদান করে।
বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, দেশের বাজারে ঈদের আগে থেকে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়ায় আজ থেকে আমদানি শুরু হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহমেদ বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ শূন্য দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন করে খালাশ করছে।
তিনি বলেন, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতিকেজির মূল্য ৩২ দশমিক ২০ টাকা পড়ে। মোট শুল্ক হার ৫৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, কাঁচা মরিচ বন্দর থেকে দ্রুত খালাস দেওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে প্রতিকেজি মরিচ ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়ার পর, সরকার ভারত থেকে কাচামরিচ আমদানির অনুমতি প্রদান করে।
আরও পড়ুন: দাম বৃদ্ধির কারণে দেশে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১১৩৭ টন মালামাল মোংলায় পৌঁছেছে
পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১ হাজার ১৩৭ দশমিক ৪৪৯ মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এমভি লিবার্টি হারভেস্ট। রবিবার (২ জুলাই) দুপুরে বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়ে জাহাজটি।
এর আগে গত ৩ মে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর থেকে সরাসরি মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে জাহাজটি।
জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এইচএসআর ওসান ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক বিপ্লব খান বলেন, জাহাজটিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ হাজার ১৩৭ দশমিক ৪৪৯ মেট্রিক টন মেশিনারি রয়েছে। জাহাজ থেকে এ সব পণ্য খালাস করে জেটির সেডে রাখা হচ্ছে।
খালাস শেষে এসব মেশিনারিজ সড়ক পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে ২৯ মে রাশিয়া থেকে সরাসরি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছিল এমভি আনকা স্কাই।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে জাহাজ মোংলা বন্দরে
তারও আগে গত ৬ মে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে রাশিয়া থেকে সরাসরি মোংলা বন্দরে এসেছিল বিদেশি জাহাজ এমভি আনকা সান।
এছাড়া ২৫ এপ্রিল রাশিয়া থেকে রূপপুরের মালামাল নিয়ে সরাসরি মোংলা বন্দরে এসেছিল এমভি ইয়ামাল অরলান। আর ইয়ামাল অরলানের আগে এসেছিল এমভি ড্রাগনবল ও এমভি কামিল্লা।
সাম্প্রতিককালে সাতটি জাহাজ কোম্পানির ৬৯টি জাহাজে রূপপুরের পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার ফলে নিষেধাজ্ঞার বাহিরে থাকা জাহাজগুলো রাশিয়া থেকে রূপপুরের পণ্য নিয়ে সরাসরি মোংলা বন্দরে আসছে।
আর নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা জাহাজগুলো রাশিয়া থেকে পণ্য নিয়ে ভারত ট্রানজিট হয়ে আসছে মোংলা বন্দরে।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে ভারত হয়ে মোংলায় এসেছে এমভি সেজুতি
মোংলা বন্দরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ও রূপপুরের মেশিনারি পণ্যবাহী ৩ জাহাজ
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু
হঠাৎ করেই দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দামে অস্থিরতা দেখা দেওয়ায় অবশেষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে।
দীর্ঘ ১০ মাস পর সোমবার (২৬ জুন) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়েকটি কাঁচা মরিচবোঝাই ভারতীয় ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
এরপর বেলা সাড়ে তিনটার মধ্যে তিনটি ট্রাকে করে মোট ২১ মেট্রিক টন ৬২০ কেজি ভারতীয় কাঁচা মরিচ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়, বিকে ট্রেডা, প্রমি এন্টারপ্রাইজ এবং রয়েল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল কাচামরিচ আমদানির জন্য অনুমতিপত্র (আইপি) পেয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ১৯’শ মেট্রিকটন কাঁচা মরিচ আমদানি করবেন।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী বাবলুর রহমান জানান, দেশে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার ভারত থেকে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর ফলে গতকাল রবিবার (২৫ জুন) আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে (খামারবাড়ী) আমদানি করার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু, কেজিতে কমল ২০ টাকা
সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। এতে বাজারে দাম অনেক কমে আসবে।
বন্দরের হিলি বাজারে কাঁচামালের খুচরা ব্যবসায়ী সাকিল জানান, প্রতিদিনই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে সোমবার সকালে বিক্রি হয়েছে ১৬০-২০০ টাকা কেজিতে।
হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
দীর্ঘ ২ মাস ২০ দিন বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার থেকে আবারও দিনাজপুরের হাকিমপুরে হিলি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
সোমবার (৫ জুন) হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ এবং সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ১৫ মার্চের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ জানান, সরকারের অনুমতির সঙ্গে সঙ্গে দিনাজপুরের হাকিমপুরে স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, দীর্ঘ আড়াই মাস পর আজ সোমবার বিকাল পৌনে ৬ টার দিকে ৪০ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজবাহি ২টি ট্রাক হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা ল্যান্ডেপার্টে প্রবেশ করেছে।
তিনি আরও জানান, সোমবার দুপুরে ১৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র হাতে পার হিলির সততা বাণিজ্যালয়, রায়হান ট্রেডার্স, এন আলম ট্রেডার্স, সালাম ট্রেডার্স, সালেহা ট্রেডার্স, বিকে ট্রেডার্স ও বিএস ট্রেডিং নামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ৭ জন আমদানিকারক।
এছাড়া দেশীয় কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছিল সরকার।
তিনি আরও জানান, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামারবাড়ি থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতিপত্র পেয়েছেন কয়েকজন আমদানিকারন প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা এলসি খুলেছেন৷ এলসির পেঁয়াজ বাজারে পৌঁছালে দাম অর্ধেকে নেমে আসবে।
এছাড়া দুই-একদিনের মধ্যে কয়েকশ’ পেঁয়াজবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করবেন বলে আশা করছেন তারা।
অপরদিকে, সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ জানান, দীর্ঘ দুই মাস ২০ দিন পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকাল থেকে পেঁয়াজবোঝাই ভারতীয় ট্রাক বন্দর দিয়ে আসতে শুরু করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত পেঁয়াজ ভর্তি ৫৭ টি ভারতীয় ট্রাক সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে।
তিনি জানান, পেঁয়াজবাহী ৫৭ টি ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ শুরু করেছে। এতে মোট ১ হাজার ৯৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। আইপি অনুমোদন পাওয়া নথিপত্র পেলেই বন্দরে ট্রাক প্রেবেশের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, ২ মাস ২০ দিন বন্ধ ছিল পেঁয়াজ আমদানি। তবে আজ সোমবার বিকালের পর থেকে স্থল বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে সর্বশেষ গত ১৫ মার্চ পেঁয়াজ এসেছিল সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে। এরপরই বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আমদানির অনুমতি না দেওয়ায় ফের পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা
হিলিতে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম
১১ মাসে রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৫০.৫২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: ইপিবি
বাংলাদেশ মে মাসে পণ্য রপ্তানি করে ৪ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা বছরে ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশে ২০২২ সালের মে মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যে রপ্তানি খাত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে।
রবিবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের এপ্রিলে পণ্য রপ্তানি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়, কারণ হঠাৎ করেই রপ্তানি ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৩ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। তবে মে মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৮৯০ মিলিয়ন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের ২০২২-২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৫০ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ রপ্তানি ৭ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৪৭ দমমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের।
আরও পড়ুন: আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি আয় ১.৭ বিলিয়ন ডলার: প্রধানমন্ত্রী
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, নন-লেদার জুতা ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে।
তবে পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছর ২০২১-২২ এর একই সময়ের তুলনায় ১০ দমমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি পণ্য ছিল ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এইখাতে প্রবৃদ্ধি ৪২ শতাংশ।
তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকৃত পণ্য হল ১ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের হোম টেক্সটাইল পণ্য। এ খাতের রপ্তানি কমেছে ৩০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাধার সম্মুখীন হতে পারে: বাণিজ্য সচিব
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৮.৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে
ঢাকায় আসছেন এয়ারএশিয়া’র প্রধান নির্বাহী বো লিংগাম
তিন দিনের দাপ্তরিক সফরে ৩০ মে ঢাকায় আসছেন প্রেসিডেন্ট (এভিয়েশন), ক্যাপিটাল এ এবং এয়ারএশিয়া এভিয়েশন গ্রুপ লিমিটেডের গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বো লিংগাম।
সফরকালে তিনি এয়ারএশিয়ার স্থানীয় অংশীদার এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে যোগ দিবেন।
বাংলাদেশের বিমান শিল্পের আরও সম্ভাবনা বোঝার জন্য তিনি এভিয়েশন সংস্থার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
এয়ারএশিয়া এভিয়েশন লিমিটেডের গ্রুপ সিইও হিসেবে বো লিংগাম এয়ারএশিয়া গ্রুপের চারটি এয়ারলাইনসের ব্যবসার (এয়ারএশিয়া মালয়েশিয়া, এয়ারএশিয়া ফিলিপাইনস, এয়ারএশিয়া থাইল্যান্ড এবং এয়ারএশিয়া ইন্দোনেশিয়া) পাশাপাশি এয়ারএশিয়ার পরামর্শক, কর্পোরেশন বিভাগসহ শেয়ার পরিষেবা এবং সান্টান ফুড গ্রুপ ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিষেবার যৌথ উদ্যোগের ব্যবসা গ্রাউন্ড টিম রেড পরিচালনা করছেন।
সিআইপি সম্মাননা পাচ্ছেন ৪৪ ব্যক্তি
বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকারের ‘সিআইপি (শিল্প) নীতিমালা ২০১৪’ অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪৪ জন ব্যক্তিকে ২০২১ সালের জন্য বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (শিল্প) তথা সিআইপি (শিল্প) হিসেবে সম্মাননা দেবে শিল্প মন্ত্রণালয়।
আগামী ২২ মে (সোমবার) বিকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মো. মাহবুর হোসেন ও এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ইউএনবি সাংবাদিকসহ ৮ জন পেলেন গুণিজন সম্মাননা
এর মধ্যে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট (এনসিআইডি) ক্যাটাগরিতে ছয়জন, বৃহৎ শিল্প (উৎপাদন) ক্যাটাগরিতে ২০ জন, বৃহৎ শিল্প (সেবা) ক্যাটাগরিতে ৫ জন, মাঝারি শিল্প (উৎপাদন) ক্যাটাগরিতে ১০ জন, ক্ষুদ্র শিল্প (উৎপাদন) ২ জন এবং মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ১জন সম্মাননা পাবেন।
সিআইপি (শিল্প) হিসেবে নির্বাচিত ব্যক্তিদের শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিচয়পত্র (সিআইপি কার্ড) দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে তারা আগামী এক বছরের জন্য জাতীয় ও সিটি করপোরেশনের অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় দাওয়াত, ব্যবসাসংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
এছাড়া সরকারের শিল্পবিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে জয়িতা সম্মাননা পেলেন ১০ নারী