���������������������������������-������������������-���������������������
৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ: আইএমএফ অনুমোদন করতে পারে সোমবার
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত পেয়েছেন যে, বহুপক্ষীয় ঋণদাতার বোর্ড দেশটির ঋণের অনুরোধ অনুমোদন করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার (৩০ জানুয়ারি) আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ঋণ অনুমোদন করবে।
রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একটি আইএমএফ দল প্রোগ্রামের বিশদ বিবরণ বের করতে গত ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর ঢাকা সফর করেছেন।
এরপর আইএমএফ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্তোয়েনেট মনসিও সায়েহ ১৪-১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেন এবং তার সফরের সময় তিনি যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক অগ্রগতির প্রত্যক্ষ করেছেন তার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্খাকে সমর্থন দেবে আইএমএফ: ডিএমডি
তিনি বলেন, এটি সারা বিশ্বে একটি প্রভাব ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন সায়েহ।
আইএমএফ এর সাবেক অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং অন্যদের সঙ্গে যে পরিদর্শন ও আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়।
এছাড়া বৈশ্বিক ঋণদাতা দেশটিকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, আইএমএফ ঋণের প্রথম কিস্তি শুধু আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষায় রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এর আগে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম ঠিক সেভাবে ঋণ পাচ্ছি। বাংলাদেশের জন্য মোট ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়া হবে।’
২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতটি কিস্তিতে এই পরিমাণ অর্থ বিতরণ করা হবে।
এছাড়া ৪৪৭.৭৮ মিলিয়ন ডলারের প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারিতে দেয়া হবে। অবশিষ্ট পরিমাণ ৬৫৯.১৮ মিলিয়ন ডলার ছয়টি সমান কিস্তিতে দেয়া হবে।
সূত্র জানিয়েছে, ঋণের সুদের হার ম্যাচুরিটির সময় বাজারের হারের ওপর নির্ভর করবে। এছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয় হিসাব করেছে যে এই হার প্রায় ২.২ শতাংশ হবে।
আইএমএফ এর আগে বলেছিল যে, রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে তার প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বর্ধিত ক্রেডিট সুবিধা (ইসিএফ) এবং বর্ধিত তহবিল সুবিধা (ইএফএফ) এর অধীনে প্রায় ৩.২ বিলিয়ন ডলারের ৪২ মাসের ব্যবস্থা সহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতিগুলিকে সমর্থন করার একটি কর্মসূচিতে সম্মত হয়েছে। পাশাপাশি স্থিতিস্থাপকতা এবং টেকসই সুবিধা আরএসএফ এর অধীনে প্রায় ১.৩ বিলিয়ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
আইএমএফের ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফান্ড’ থেকে ঋণ নেয়ায় এশিয়ায় প্রথম বাংলাদেশ
বিকাশমান সমুদ্র অর্থনীতির সফলতা নির্ভর করছে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর
বাংলাদেশে বিকাশমান সমুদ্র অর্থনীতির সফলতা নির্ভর করছে এ খাতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর।
সোমবার কক্সবাজার জেলার সামুদ্রিক শুকনো মাছের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ওপর বিশ্লেষণ এবং নীল অর্থনীতি অর্জনে সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জসমূহের ওপর গবেষক ও বিশেষজ্ঞ সমেত তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেছেন।
তারা কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ওপর জোর দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত সামুদ্রিকখাদ্য, শুকনো মাছ উৎপাদন, অন্তঃদেশীয় ও বৈদেশিক বিপণনের ক্ষেত্রে সকল বাধা ও প্রতিবন্ধকতা দূর করার আহ্বান জানান।
এতে সভাপতিত্ব করেন কানাডা প্রবাসী লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক, বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহিদ।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. আব্দুল জলিল চৌধুরী, ডিপার্টমেন্ট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং সাবেক মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।
প্রধান আলোচক ছিলেন, প্রফেসর ড. এস.এম. রফিকুজ্জামান, ডিন, ফিশারিজ অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: নৌবাহিনীকে সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
অধ্যাপক, গবেষক, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক এবং স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. জে আনোয়ার জাহিদ, প্রশিকার প্রোগ্রাম পরিচালক, সাঈদ হাসান, উন্নয়ন কনসালটেন্ট বাবু অশোক সরকার, আবেদ আহসান সাগর, মাহবুব উল আলম এবং অংশগ্রহণ করেন খায়রুল আহসান মানিক, কৃষিবিদ মোয়াজ্জেম হোসাইন, নজরুল ইসলাম বাবুল, শামসুল হাবিব, শিরিন ফেরদৌসী, নাজমা রেশমী, ইভানা হোসাইন ও এসরার জাহিদ।
সম্মানিত অতিথি কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী তার ভাষণে বলেন, সমুদ্র অর্থনীতির সদ্ব্যবহার বাংলাদেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে পারে যদি আমরা এ খাতে প্রথাগত পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারকে নিশ্চিত করতে পারি।
ইতোমধ্যে সরকার কৌশলগত নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং বিদেশি কয়েকটি সংস্থা তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। এগুলোর মাঝে সমন্বয় সাধন ও চ্যালেঞ্জের বিষয়।
বাংলাদেশে খাদ্য সংস্কৃতি পরিবর্তনের ওপর আমাদের জোরারোপ করতে হবে এবং সামুদ্রিক-খাদ্যকে আমাদের খাদ্য তালিকায় নিতে হবে।
মূল প্রবন্ধে প্রফেসর ড. আব্দুল জলিল চৌধুরী বলেন, কক্সবাজারে মার্কেট ভ্যালু চেইন এর ওপর গবেষণা ও প্রশিক্ষণ দান বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে এর সুফলতা আসতে শুরু করেছে।
সাসটেইনেবল ব্লু ইকোনমির জন্য পরিবেশগত অবক্ষয় এবং সমুদ্রের পানির দূষণ কমাতে প্রয়োজনীয় নীতিনির্ধারণের ওপর বাংলাদেশের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
প্রধান আলোচক প্রফেসর ড. এস.এম. রফিকুজ্জামান বলেন, কক্সবাজার জেলার সামুদ্রিক খাদ্য ও শুকনো মাছের স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদন ও এগুলো বাজারজাতকরণের ওপর নিবিড় গবেষণা করার প্রয়োজন রয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এর ওপর কাজ হচ্ছে, দেশে বিচ্ছিন্নভাবে প্রযুক্তি ও আসছে কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি এর ডিমান্ড যথাযথভাবে আলোচনায় উঠে আসছে না।
এছাড়া দেশে মৎস্যখাত নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে একে অগ্রাধিকার তালিকায় নিতে হবে।
বার্ড এর সাবেক পরিচালক ড. আনোয়ার জাহিদ আলোচকদের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ বিশেষ করে শুকনো মাছের উৎপাদনের অতীত ও বর্তমান অবস্থার ওপর কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের পরিচালিত গবেষণা ও সমীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর আলোকপাত করেন। ভেলু চেঞ্জ এনালাইসিস সমীক্ষার মাধ্যমে যারা মৎসজীবী, ট্রলার মালিক, মাছ ও শুঁটকি বিক্রয়কারী মার্চেন্ট এজেন্ট মধ্যস্বত্ব ভোগী যেমন: আড়ৎদার, পাইকার, খুচরা ব্যবসায়ী, সংরক্ষণকারী ও মহাজন তাদের প্রতি কেজি বা ১০০ কেজিতে মুনাফা বা লাভের অংশ নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
এতে মার্কেটিং চ্যানেলে জড়িত অধিক সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করা যাবে এবং এতে সরকারি বিভাগ ও বাজার নিয়ন্ত্রণকারীরা তাদের ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। মাছ ধরার এলাকায় মাছ সংরক্ষণ (স্টোরেজ) এবং স্থানীয়ভাবে শুঁটকি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে তা অভ্যন্তরীণ ক্রেতা-ভোক্তার সাশ্রয় ও রপ্তানি বাজারে এর অধিক সুফল পাওয়া যাবে, প্রশিকার প্রোগ্রাম, পরিচালক, সাঈদ হাসান পরিবেশগত অবক্ষয় এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে সমুদ্র উপকূলের আদিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নের ওপর জোরারোপ করেন।
কনসালটেন্ট বাবু অশোক সরকার বলেন, মৎস্যখাতের মার্কেটিং চেইনে মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে প্রোডাক্টের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এর প্রভাব পড়ছে ভোক্তাদের ওপর। এ খাতে শ্রমিক কল্যাণ অনেক অবহেলিত এবং নারী শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এর পরিচালক আবেদ আহসান সাগর বলেন, বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় মাছের বাজার প্রায় ৮০ ভাগ। টেকনোলজি ব্যবহার, প্রক্রিয়া ও গুদামজাত করণে মধ্যস্বত্ব ভোগীদের কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, প্রোডাক্টের মূল্য পেতে ও দীর্ঘ সঙ্কট তৈরি হয়।
এছাড়া সরকারের সাবসিডি ছাড়া এ খাতের টেকসই উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
মাহবুব উল আলম বলেন, স্থানীয়রা মৎস খাতের ব্যবসায় পারিবারিকভাবে এ পেশাকে গ্রহণ করে। এখনও শিক্ষিত লোকজন এ পেশায় আসছেন না তাই প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ ও বিলম্বিত হচ্ছে, মেটেরিয়ালের দাম বৃদ্ধির কারণে মূল্যও বেড়ে যাচ্ছে এবং এগুলো মনিটরিং এর কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই।
এছাড়া মৎস্যখাতকে দেশে বিদেশে ব্র্যান্ডিং করতে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা দরকার।
সভাপতি দেলোয়ার জাহিদ বলেন, দারিদ্র্য বিলোপ, ক্ষুধা মুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ, জলবায়ু কার্যক্রম এবং জলজ জীবনকে অর্থবহ ও সমুদ্র অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে কানাডার মতো উন্নত দেশের অংশীদারিত্ব গ্রহণের ওপর জোর দিতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ ও আলোচনার ওপর ভিত্তি করে সমস্যা সমাধানে কিছু সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়। বাংলাদেশে সামদ্রিক খাদ্য ও শুঁটকি উৎপাদন গতানুগতিকভাবে চলে আসছে। দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে তাদের চাহিদা ও অনেক বেড়েছে। অতীতে শুঁটকি খোলা জায়গায় শুকানো হতো এবং রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে মৎস্য অধিদপ্তর, চেম্বার অব কমার্স ও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নানাবিদ উদ্যোগ নেয়ার ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়া ও বিপণন ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটছে। দেশের অভ্যন্তরে শুঁটকির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কিছু সংখ্যক শুঁটকি যেমন চিংড়ি, ছুড়ি, লোট্টা, রূপচাঁদা প্রভৃতি চায়না হংকং হয়ে আমেরিকা, কানাডায় রপ্তানি হচ্ছে।
উপলব্ধ কতিপয় বিষয়ে সুপারিশমালা তোলে ধরা হলো-
১. বাংলাদেশের বিশাল সুমুদ্র সীমার মধ্যে প্রায় ৮০ মিলিয়ন মেট্রিকটন মাছের মুজুদ রয়েছে। এর থেকে আহরণের পরিমাণ মাত্র ৩.৫৫ মিলিয়ন মেট্রিকটনের প্রেক্ষিতে বেশি মৎস আহরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
২, মৎস্য আহরণে আধুনিক প্রযুক্তি ও জনবল বৃদ্ধি, বিদেশি শুঁটকিতে করারোপসহ উন্নত মানের উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়া ও বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।
৩. সরকারি উদ্যোগে প্রধান মৎস আহরণ, শুঁটকি উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে সংরক্ষণাগার তৈরি করাও প্রয়োজন।
৪. সমন্বিত উদ্যোগ, টেকসই প্রযুক্তি, অ্যাকশন রিসার্চ ও ভ্যালু চেইন এনালিসিস করে সমীক্ষা প্রকাশ করাও প্রয়োজন।
৫. উৎপাদন ও রপ্তানিকে বেগবান ও উৎসাহিত করতে স্বল্প সুদে ঋণদান ও প্রয়োজনে ভূর্তকি প্রদান করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সমুদ্র অর্থনীতির ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
যোগাযোগ প্রযুক্তি ও সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজে আগ্রহী মাদাগাস্কার
দারাজ মাস্টারকার্ড ‘সেভ স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইন ২০২৩ শুরু
দেশের বৃহত্তম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশ মাস্টারকার্ড-এর সহযোগিতায় ‘সেভ, স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইন-২০২৩ এর ঘোষণা দিয়েছে। কেনাকাটার মৌসুমে ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে নগদহীন লেনদেন বাড়াতে ক্যাম্পেইনের ডিজাইন করেছে দারাজ।
ক্যাম্পেইনটি ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ এ শুরু হয়ে চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ক্যাম্পেইনের সময়কালে, যে কোনো বাংলাদেশি ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত মাস্টারকার্ড-ব্র্যান্ডেড ডেবিট, ক্রেডিট বা প্রিপেইড কার্ড সহ যেকোনো কার্ডধারীকে প্রতিবার ন্যূনতম ১০০০ টাকা দিয়ে কমপক্ষে পাঁচটি (৫) লেনদেন করতে হবে। সর্বোচ্চ ব্যয় করা শীর্ষ ১৩ কার্ডধারীরা আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় দম্পতি ভ্রমণ ভাউচার এবং স্মার্টফোন জেতার সুযোগ পাবেন।
ক্যাম্পেইনের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ীরা যথাক্রমে দুবাই, ব্যাংকক এবং কক্সবাজারে এক্সক্লুসিভ ট্রাভেল ভাউচার পাবেন। এই তিনদিন এবং দুই রাত্রির প্রতিটি ভাউচারের মধ্যে দুইজনের জন্য বাসস্থান এবং বিমান ভাড়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাকি দশটির (১০) প্রত্যেকে ১০টি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাবেন।
আরও পড়ুন: দারাজ নিয়ে আসছে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ক্যাম্পেইন
এছাড়াও শুধুমাত্র খুচরা লেনদেন এই ক্যাম্পেইনের জন্য যোগ্য হবেন, এবং সর্বোচ্চ খরচের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে ১৩ (১৩) বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে।
অন্যদিকে বাণিজ্যিক ক্রয়ের জন্য লেনদেন ক্যাম্পেইনের যোগ্য হবে না।
ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের জন্য মাস্টারকার্ড, ডেবিট, ক্রেডিট বা প্রিপেইড কার্ডধারীদের দারাজে তাদের মাস্টারকার্ড সংরক্ষণ করতে হবে এবং দারাজ মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে কেনাকাটা করার সময় তাদের মাস্টারকার্ড ব্যবহার করে অর্থপ্রদান করতে হবে।
উল্লেখ্য, দারাজ গ্রুপ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে। প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং মায়ানমারে শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম।
এটি বিশ্বমানের মার্কেটপ্লেস প্রযুক্তিসহ এক লাখেরও বেশি সক্রিয় বিক্রেতাকে ৫০০ মিলিয়ন লোকের একটি অঞ্চলে দ্রুত বর্ধনশীল ভোক্তা শ্রেণির কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা দেয়৷
দারাজ এক্সপ্রেসের মাধ্যমে, এটি তার বাজারে সবচেয়ে দক্ষ এবং ডিজিটালাইজড লজিস্টিক অবকাঠামো পরিচালনা করে। দারাজের দৃষ্টিভঙ্গি হলো দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ হওয়া এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন গ্রাহক ও ব্যবসায়ীকে সেবা দেয়া।
আরও পড়ুন: বর্ণিল আয়োজনে রিয়েলমি ফ্যান ফেস্ট উদযাপিত, দারাজে বিক্রির রেকর্ড!
অফুরান উল্লাসে ৮ বছরে দারাজ
বিজিএমইএ’র আরও দুটি সবুজ কারখানার স্বীকৃতি ইউএসজিবিসি’র
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) অধীনে পরিচালিত দু’টি নতুন তৈরি পোশাক (আরএমজি) কারখানা ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এলইইডি সার্টিফিকেশন তথা সবুজ কারখানার (নিরাপদ কারখানার সনদ) স্বীকৃতি পেয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের বর্ণালী কালেকশনস লিমিটেড ১১০ এর মধ্যে ৬৪ পয়েন্ট এবং গাজীপুরের বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) ১১০ এর মধ্যে ৮৫ পয়েন্ট পেয়ে সবুজ কারখানার সনদ পায়।
শনিবার বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: পোশাক কারখানায় দিনে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে: বিজিএমইএ সভাপতি
রুবেল বলেন, ‘দুটি নতুন কারখানা এলইইডি সার্টিফিকেশন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে এখন মোট নিরাপদ হিসেবে স্বীকৃত সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৮টি। এই অর্জন আমাদের আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে আমাদের ব্র্যান্ডের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। মোট ৫৮টির মধ্যে ১৩টি কারখানা ইতোমধ্যে এই বছর প্ল্যাটিনাম সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।
রুবেল আরও বলেছেন, সবুজ কারখানাগুলো বাংলাদেশ থেকে আরএমজি পণ্য কেনার ব্যাপারে ক্রেতাদের আস্থা বাড়ায়।
রুবেল বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আমাদের অর্ডার যখন ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমেছে, ঠিক সেসময়ে আমাদেরকে আবার নিরাপদ কারখানার জন্য স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। যা আমাদের ব্যবসাকে বাড়িয়ে তুলবে। এছাড়াও সবুজ কারখানাগুলোতে অন্যান্য সাধারণ কারখানার তুলনায় কম জ্বালানি খরচ হয়।’
রুবেল আরও বলেন, এলইইডি সার্টিফিকেশন দেশের আরএমজি উৎপাদকদের বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করতে এবং সেরা দাম পেতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: আমরা বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, তবে রপ্তানি বাড়াতে চাই: বিজিএমইএ সভাপতি
৩০ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের সুস্থতায় বিজিএমইএ-আয়াত এডুকেশনের চুক্তি
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার ঢাকা আসছেন
দেশকে স্থিতিস্থাপক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সাহায্য করতে পারে সেসব বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার শনিবার ঢাকায় আসছেন।
এ সফরের ব্যাপারে রাইজার বলেছেন, ‘আমি আবারও বাংলাদেশে আসতে পেরে এবং সরকারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারমূলক কিছু বিসয় আলোচনা করার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। যা দেশটিকে স্থিতিস্থাপক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে এবং জনগণের জন্য সুযোগ তৈরিতে সাহায্য করতে পারে।’
শুক্রবার বিশ্বব্যাপী ঋণ দানকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, তার সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলায়ে সেকও থাকবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংককে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান নসরুল হামিদের
তিন দিনের সফরে রাইজার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এসময় রাইজার সেকের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেবেন, যিনি ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের পদে নিযুক্ত হবেন। তারা বিশ্বব্যাংকের-সহায়তায় চলমান একটি প্রকল্পও পরিদর্শন করবেন।
সেক বলেন, ‘দারিদ্র্য হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন ও দুর্যোগ-ঝুঁকির প্রস্তুতি এবং স্কুলে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতাসহ উন্নয়নের অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের একটি অভাবনীয় রেকর্ড রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে উন্মুখ। কারণ দেশটি ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে।’
সেনেগালের নাগরিক সেক ১৯৫৫ সালে একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে বিশ্বব্যাংকে যোগ দেন। তারপর থেকে বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এই দায়িত্ব নেয়ার আগে সেক ক্যামেরুন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, নিরক্ষীয় গিনি, গ্যাবন ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি আফগানিস্তান, মিয়ানমার ও মলদোভার জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করেছেন।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক প্রথম সহায়তাকারী।
সেই তখন থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৩৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান, সুদ-মুক্ত ও রেয়াতি ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে বড় চলমান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) প্রোগ্রাম চালু রয়েছে এবং দেশে বর্তমানে ১৫ দশমিক সাত বিলিয়ন ডলারের মোট ৫৫টি প্রকল্প চলমান।
আরও পড়ুন: মন্দার ‘খুব কাছাকাছি’ বিশ্ব অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক প্রধান
২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি ৪% কমতে পারে: বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষা
ভারতে ইলিশ রপ্তানি: চলতি বছর এক কোটি ৩৬ লাখ ডলার আয় বাংলাদেশের
চলতি বছরে ভারতে এক হাজার ৩৫২ টন ইলিশ রপ্তানি করে বাংলাদেশ সরকার মোট এক কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ডলার আয় করেছে বলে জানিয়েছন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সমন্বিতভাবে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করায় ইলিশের উৎপাদন আশাতীতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১২ বছরে দেশে ইলিশ আহরণ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এ সময়ে দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির হার প্রায় ৯০ শতাংশ।’
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২' বাস্তবায়ন উপলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
রেজাউল করিম বলেন, গত বছর মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় প্রায় ৫১ দশমিক ৭৬ শতাংশ মা ইলিশ ডিম ছাড়তে সক্ষম হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৩৯ হাজার ৩১৫ কোটি জাটকা ইলিশ সম্পদে যুক্ত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরের ন্যয় এ বছরও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২'-এর আওতায় ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন উপকূলীয় ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রের অন্তর্গত ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাসহ দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ আইন কেউ অমান্য করলে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
শ ম রেজাউল বলেন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে বাধা প্রদান করলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে ইলিশ আহরণের চেষ্টা করলে কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।
পড়ুন: শুক্রবার থেকে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
তিনি বলেন, চলতি বছর মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমসমূহ হচ্ছে-৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের ২০ জেলা যথা: চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার,বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, ঢাকা, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ি, মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলার নদ-নদী ও মোহনায় ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ আহরণ, পরিবহণ, ক্রয় বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় বন্ধ থাকবে এবং এসব জেলার বরফকলসমূহ বন্ধ থাকবে।
এ সময় অপর ১৮টি জেলা যথা গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, কুষ্টিয়া, নড়াইল এবং জামালপুর জেলায় শুধু ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, দেশের ৩৮ জেলার সকল নদ-নদী ও মোহনায় মা ইলিশ আহরণ বন্ধে দিনে ও রাতে অভিযান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং সারাদেশের মাছ ঘাট, মৎস্য আড়ৎ, হাট-বাজার, চেইনশপ ও অন্যান্য বিক্রয়কেন্দ্রে ইলিশ ক্রয় বিক্রয়, পরিবহন, মজুদ ও বিনিময় বন্ধে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করা হবে।
স্থানীয় জেলা-উপজেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ, নৌ-পুলিশ এবং মৎস্য অধিদপ্তর সম্মিলিতভাবে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করবে বলে মন্ত্রী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে পড়ে ফেরির লষ্কর নিখোঁজ
বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের স্থান: তুর্কি বাণিজ্যমন্ত্রী
তুরস্কে সফররত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল আঙ্কারায় দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মেহমুত মুস এর সঙ্গে তার মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে করেছেন। এসময় দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
মঙ্গলবারের ওই বৈঠকে তুরস্কে ব্যবসায়ী দলের নেতৃত্ব দেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রহমান।
বৈঠকে রিজওয়ান রহমান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা মোটেও সন্তোষজনক নয়। আরও বাণিজ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ-তুরস্ক ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যত’ গড়বে: রাষ্ট্রদূত তুরান
তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি এবং বিটুবি অংশীদারিত্বের অগ্রগতি কম। তুর্কি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৮টি হাই-টেক পার্ককে তাদের পছন্দের বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।
রিজওয়ান আরও বলেন, দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ইস্যুতে কার্যকর যৌথ প্রদর্শনী ও সেমিনারের ব্যবস্থা করতে এবং বাণিজ্য সমস্যা সমাধানের জন্য যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভা নিয়মিত হওয়া উচিত। তদুপরি, বাংলাদেশ এবং তুরস্ক একটি কার্যকর ডি-৮ অর্থনৈতিক ব্লক গঠনের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে এবং সমর্থন করতে পারে।
আরও পড়ুন: তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের আলোচনা সভা
দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রত্যাশিত পর্যায়ে না থাকার বিষয়ে একমত হয়েছেন তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী।
এসময় তিনি বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবেও অভিহিত করেন। এই বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে উভয় দেশেরই একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
মেহমুত বলেন, কয়েকটি তুর্কি কোম্পানি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা করছে এবং তারা খুব ভালো করছে। আর এই সাফল্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
বৈঠকে আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নানও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজতে তুরস্ক যাচ্ছে ডিসিসিআই’র প্রতিনিধি দল
রবির নতুন সিইও রাজীব শেঠি
রাজীব শেঠিকে চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। মিয়ানমারের শীর্ষ অপারেটর উরিডুতে সিইও হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পর রবিতে যোগ দিলেন তিনি। এর আগে তিনি এয়ারটেল আফ্রিকার চিফ কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার প্রতিষ্ঠানটির এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২১ সালের আগস্ট থেকে রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে দায়িত্বপালকারী এম. রিয়াজ রশীদের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। এখন থেকে চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার হিসেবে তার নিজস্ব ভূমিকা পালন করবেন রিয়াজ রশীদ।
আরও পড়ুন: ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য টাটা পাওয়ার ডিডিএল ও ব্লকনটসের মধ্যে চুক্তি
আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের যৌথ ভারপ্রাপ্ত গ্রুপ সিইও ড. হানস বিজয়াসুরিয়া এবং বিবেক সুদ বলেন, ‘আজিয়াটা গ্রুপ ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে রবি পরিবারে রাজীবকে স্বাগত জানাই। ফোরজি সেবা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনের দিক থেকে বর্তমানে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে রবি এবং পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়ার জন্য সামগ্রিকভাবে প্রস্তুত অপারেটরটি। এমন সময় রবিতে রাজীবের মতো বলিষ্ঠ ও দক্ষ নেতৃত্ব পেয়ে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনার ২৫ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছে রবি। এই মুহূর্তে রাজীবের নেতৃত্ব বাংলাদেশের বাজারে রবির প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে নতুন মাত্রা দেবে।’
দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ব্যবসায়িক লক্ষ্যে দৃঢ় থাকার জন্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিইও ও বর্তমান সিএফও এম. রিয়াজ রশীদের প্রশংসা করেন ড. বিজয়াসুরিয়া।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়ে রবি টিমকে সংঘবদ্ধ রাখতে দারুণ ভূমিকা পালন করেছেন রিয়াজ। পাশাপাশি তিনি যে পাঁচ প্রান্তিক দায়িত্ব পালন করেছেন সেই সময়টিতে রবির ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে তার অবদান অসামান্য। কোম্পানিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানকে সঠিক অবস্থানে রেখে রাজীবের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন তিনি।’
স্টার্টআপ থেকে শুরু করে সুপ্রতিষ্ঠিত দেশি-বিদেশি কোম্পানিতে কাজের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ রাজীব শেঠি; বৈচিত্র্যময় ও চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মার্কিন কোম্পানির জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই’র
রবির সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে রাজীব শেঠি বলেন, ‘বাংলাদেশের শীর্ষ ডিজিটাল কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। বছরের পর বছর ধরে উদ্ভাবনী শক্তির বদৌলতে সত্যিকার অর্থে একটি ডিজিটাল টেলকোতে রূপান্তরিত হয়েছে রবি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই উদ্ভাবনই মূল শক্তি যা রবির কাজের সংস্কৃতিতে মিশে গেছে। টিম রবির সহায়তায় আগামী দিনগুলোতে আমরা বাজারে নিজেদের অবস্থান আরো সৃদৃঢ় করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।’
তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পে কাজের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ রাজীব ভোডাফোন, এইচপি, হাচিসন টেলিকম ও এশিয়া পেইন্টসের মতো কোম্পানিতে নেতৃত্বস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। লখনৌয়ের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে মার্কেটিং, ফিন্যান্স অ্যান্ড অপারেশনস-এ এমবিএ করেছেন শেঠি।
বাংলাদেশে রাজীব টেলিনরের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন স্মার্ট টিভিতে ব্যাপক সাড়া
আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন স্মার্ট টিভিতে ব্যাপক সাড়া
চলতি বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন আয়ারল্যান্ডে নিজস্ব ব্র্যান্ড লোগোতে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভি রপ্তানি শুরু করে।
আরও পড়ুন: জাপানি স্ট্যান্ডার্ডে ব্যাটারি উৎপাদন করছে ওয়ালটন
এছাড়া উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে ইতোমধ্যে ওয়ালটন টিভি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এদিকে আয়ারল্যান্ডের অন্যতম বৃহৎ রিটেইল স্টোর ‘ডিড ইলেকট্রিক্যাল’ এ প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে ওয়ালটনের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভি। যা ইউরোপের বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেই শুধু নয়; বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্যে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বিশাল মাইলফলক।
ইউরোপে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাঈদ আল ইমরান জানান, ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন ব্র্যান্ড লোগোতে টেলিভিশন রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এছাড়া এপ্রিলে ওয়ালটনের ৩২, ৪৩ ও ৫৫ ইঞ্চি অ্যান্ড্রয়েড টিভির প্রথম শিপমেন্ট পাঠানো হয়।
এদিকে আয়ারল্যন্ডের খ্যাতনামা কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স অ্যাপ্লায়েন্সে বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ‘সোমার লিমিটেড’ ওয়ালটন টিভির পরিবেশক হিসেবে বাজারজাত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: ওয়ালটনের নতুন ফোনের অনলাইন প্রি-বুকে ১০০০ টাকা ছাড়
ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, আয়ারল্যান্ডে টিভি রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ নিঃসন্দেহে ওয়ালটনের ভিশন ‘গো গ্লোবাল ২০৩০’ অর্জনের পথে এক বিশাল মাইলফলক।
ভৌগোলিক দিক থেকে আয়ারল্যান্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক বাজার। দেশটির প্রতিবেশি হচ্ছে গ্রেট বিটেন। তাই আয়ারল্যান্ডে রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর ফলে গ্রেট ব্রিটেনে ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ টেলিভিশন প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার মিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। এই মিশন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে ৫টি মহাদেশীয় অঞ্চলের সবগুলো দেশে ওয়ালটন টিভি রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাজ করছেন তারা।
সূত্রমতে, ৩৫টিরও বেশি দেশে শতাধিক বিজনেস পার্টনারের মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত টিভি রপ্তানি করছে ওয়ালটন। এছাড়া ওয়ালটন টিভির মোট রপ্তানির প্রায় ৯৫ শতাংশই যাচ্ছে ইউরোপের উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে।
আরও পড়ুন: ওয়ালটনের নতুন অল-ইন-ওয়ান পিসি বাজারে
মার্কিন কোম্পানির জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই’র
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য একটি নিবেদিত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়ার পর ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) দেশটির উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের আইসিটি খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এফবিসিসিআই জানিয়েছে, ২২ সেপ্টেম্বর ইউএস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভায় প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ালে তা আত্মঘাতী হবে: এফবিসিসিআই
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এছাড়াও হাইটেক পার্ক ও ৬ লাখের বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার থাকায় তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ স্থান।
এছাড়াও গত ১৩ বছরে আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অভুতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে দ্রুত সম্প্রসারণশীল অর্থনীতি বাংলাদেশ। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সাপ্লাই চেইনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম তরুণরাও যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য বাড়তি সুবিধা বয়ে আনবে।
ব্যবসা বাণিজ্যের প্রচলিত খাতগুলোর বাইরেও নতুন নতুন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিকশিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সভাপতি। ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, রোবোটিকস, ব্লকচেইন, স্পেস, বায়ো-হেলথসহ তথ্যপ্রযুক্তির নানা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বছরে ৩০ নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে এফবিসিসিআই
বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই