ক্রিকেট
দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে রবিবার দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩টি ওয়ানডে এবং সমান সংখ্যক টি২০ ম্যাচে অংশ নেয় বাংলাদেশ। তবে একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা।
বাংলাদেশের পরবর্তী সফর শ্রীলঙ্কায়। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: এক ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে চান তামিম ইকবাল
এক ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে চান তামিম ইকবাল
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যে কোন একটি ফরম্যাট থেকে অবসর নেয়ার পরিকল্পনা করছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলেই তিনি দেশে ফিরেছেন।
আরও পড়ুন: শচীন টেন্ডুলকার হাসপাতালে ভর্তি
শুক্রবার ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে তামিম বলেন, ‘এমন অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন যারা ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে একটি ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন। তাই আমি যদি আরও পাঁচ বা ছয় বছর খেলতে চাই, তবে আমি তিনটি ফরম্যাটে খেলতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘আরও অনেক ক্রিকেটারের মতো আমাকেও কমপক্ষে একটি ফরম্যাট ছেড়ে দিতে হবে, যাতে আমি অন্য দুটি ফরম্যাটে আমার সেরাটা দিতে পারি।’
সীমিত ওভারের ম্যাচে ধীর ব্যাটিংয়ের জন্য গত কয়েক বছর ধরে প্রচুর সমালোচনার মুখে পড়েছেন তামিম। তাই ধারণা করা হচ্ছে যে বাঁহাতি ওপেনার প্রথমে টি-টোয়েন্টি ছাড়তে পারেন। তবে তিনি ভিন্ন কথাও বলেছেন।
তামিম বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এখনও আমার মনের বাইরে নেই। আমি প্রথমে কোন ফরম্যাটটি ছেড়ে দিতে চাই তা কাউকে এখনই জানাতে চাই না। এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যে কোনো ফরম্যাট হতে পারে।’
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে টি-টোয়েন্টি ছাড়বেন কিনা এমন প্রশ্নে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই ২০২১ সালের ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমার মনে আছে। আমি ৩৬ বা ৩৭ বছর বয়সী নই? আমার ক্যারিয়ারের জন্য আমার পরিকল্পনা আছে।’
আরও পড়ুন: টি-টুয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশ টাইগাররা
‘আমি জানি যে আমি কোন ফরম্যাটটি খেলতে চাই এবং কোন ফরম্যাটটি আমি খুব তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে চাই, তবে আপাতত সবার কাছে সবকিছু প্রকাশ করতে চাই না,’ বলেন তামিম।
শচীন টেন্ডুলকার হাসপাতালে ভর্তি
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পর ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে’ মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন ৪৭ বছর বয়সী এই সাবেক ক্রিকেটার।
টুইটে তিনি লেখেন, ‘আপনাদের সবার ভালোবাসা ও প্রার্থনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী হাসাপাতালে ভর্তি হলাম। আশা করি কিছু দিনের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসব । সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।’
আরও পড়ুন:শচীন টেন্ডুলকার করোনায় আক্রান্ত
ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত শচীন টেন্ডুলকার ২৭ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তখন থেকেই তিনি মুম্বাইয়ের বাসায় হোম আইসোলেশনে ছিলেন।
তিনি ভারতের ঐতিহাসিক দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের ১০ম বার্ষিকীতে তার সতীর্থদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শচীন ২০১১ সালের ২ এপ্রিলের সেই বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে ১০ বছর আগে ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিল। সকল ভারতীয় ও আমার বিশ্বকাপ জয়ী সতীর্থদের অভিনন্দন।‘
২০১৩ সালের অক্টোবরে ২০০ টেস্ট খেলার পর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন শচীন। ১৯৮৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান দুবার অধিনায়ক হিসেবে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন।
ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বাধিক ৩০ হাজারেরও বেশি রানের মালিক শচীন। তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি ২০০ টেস্ট ম্যাচ খেলেন এবং ১০০টি আন্তর্জাতিক শতক করেন। ৪৬৩টি ওয়ানডে ম্যাচে তিনি ১৮ হাজার ৪২৬ রান করেন। ২০০ টেস্টে করেন ১৫ হাজার ৯২১ রান।
২০১৪ সালে তত্কালীন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় শচীনকে ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘ভারতরত্ন’দিয়ে ভূষিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের ২০১০ সালের প্রচ্ছদে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় ছিল শচীনের নাম।
টি-টুয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশ টাইগাররা
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১০ ওভারে ১৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অকল্যান্ডে বৃহস্পতিবার ৯.৩ ওভারে ৭৬ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করল কিইউরা।
এর আগে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিণত হয়েছিল ১০ ওভারের ম্যাচে। রান তাড়ায় নেমে ১০ ওভারও টিকতে পারল না টাইগাররা। কার্টেল ওভারের ম্যাচে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সব সংস্করণ মিলিয়ে নিউজ্যিলান্ডের মাটিতে টানা ৩২ ম্যাচ হারল টাইগাররা।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের নেতৃত্বে লিটন দাস
ঊরুর চোটে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ’র অনুপস্থিতিতে আজকে দলকে নেতৃত্ব দেন লিটন দাস।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০ সিরিজও হারল বাংলাদেশ
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মার্টিন গাপটিল ও ফিন অ্যালেনের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় নিউজিল্যান্ড। ৩ ওভারের পাওয়ার প্লেতে স্বাগতিকরা তুলে নেন ৪৩ রান। শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান তুলে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল, তাসকিন, মেহেদি একটি করে উইকেট নেন।
১৪২ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই টিম সাউদির ফিরতি ক্যাচের শিকার সৌম্য সরকার। উড়ন্ত সূচনা করতে গিয়ে ৪ বলে ২ বাউন্ডারিতে সৌম্য তখন ১০ রানে। তার ঠিক পরের বলেই সাউদির বলে বোল্ড হন অধিনায়ক লিটন (১ বলে ০)। এরপর ১৯ রান করা মোহাম্মদ নাঈমকে ফেরান স্পিনার টড অ্যাস্টল।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টি২০: ১৭১ রানের টার্গেট পেল বাংলাদেশ
পরে অ্যাস্টল একে একে নাজমুল হোসেন শান্ত (৬ বলে ৮), আফিফ হোসেন ধ্রুব (৬ বলে ৮), মাহেদি হাসানকে (২ বলে ০) ফিরিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ৯.৩ ওভারে ৭৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ১০ ওভারে ১৪১/৪ (গাপটিল ৪৪, অ্যালেন ৭১, ফিলিপস ১৪, মিচেল ১১*, তাসকিন ২৪/১, শরিফুল ২১/১, মেহেদি ৩৪/১)।
বাংলাদেশ: ৯.৩ ওভারে ৭৬ (নাঈম ১৯, সৌম্য ১০, মোসাদ্দেক ১৩, সাউদি ১৫/৩, ফার্গুসন ১৩/১, অ্যাস্টল ১৩/৪, ফিলিপস ১১/১)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ৬৫ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ফিন অ্যালেন
ম্যান অব দা সিরিজ: গ্লেন ফিলিপস
প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের নেতৃত্বে লিটন দাস
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন দাস।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি২০ ম্যাচে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ইনজুরিতে থাকায় দলের নেতৃত্ব লিটনের ওপর পড়েছে। বৃহস্পতিবার শেষ টি২০ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
লিটন দাস টাইগারদের হয়ে ২২ টেস্ট, ৪২ ওয়ানডে ও ৩২ টি২০ ম্যাচ খেলেছেন।
আরও পড়ুন: যে কোনো পজিশনে ব্যাট করতে প্রস্তুত লিটন দাস
নিউজিল্যান্ড ইতিমধ্যেই ৩ ম্যাচের টি২০ সিরিজ ২-০তে জিতে নিয়েছে।
এর আগে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও ধবলধোলাই হয়েছে সফরকারীরা।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার জন্য আহত লিটন দাস হাসপাতালে
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০ সিরিজও হারল বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচ মঙ্গলবার ২৮ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
বৃষ্টির কারণে ডিএল মেথডে ১৬ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭১। তবে সফরকারীরা নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে।
বাংলাদেশের পক্ষে সৌম্য সরকার সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন। ২৭ বলে খেলা তার ইনিংসটি ৩টি বিশাল ছক্কা ও ৫টি চারে সাজানো। এছাড়া মোহাম্মাদ নাঈম ৩৫ বলে ৪টি চারে খেলেন ৩৮ রানের ইনিংস। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। ১২ বল মোকাবিলায় ৪টি চারে এই রান করেন রিয়াদ।
কিউইদের পক্ষে এডাম মিলনে, হামেশ বিনেট ও টিম সাউদি ২টি করে এবং গ্লেন ফিলিপস ১টি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে। এরপর দ্বিতীয় দফা বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে ১২.২ ওভারে নিউজিল্যান্ডের রান যখন ৪ উইকেটে ১০২, তখন প্রথম দফা বৃষ্টি শুরু হয়।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ফিলিপস মাত্র ৩১ বলে ২টি ছয় ও ৫টি চারে ৫৮* এবং ড্যারেল মিচেল ১৬ বলে ৬টি চারে খেলেন ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী হাসান ২টি, সাঈফউদ্দিন, তাসকিন ও শরিফুল ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এই জয়ের ফলে ৩ ম্যাচের টি২০ সিরিজ এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিজেদের করে নিল স্বাগতিকরা।
প্রসঙ্গত, প্রথম টি২০ ম্যাচে ৬৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে টি২০ সিরিজ শুরু করেছে সফরকারীরা।
এর আগে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সিরিজ হারল বাংলাদেশ
বড় হার দিয়ে টি২০ সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ
শচীন টেন্ডুলকার করোনায় আক্রান্ত
দ্বিতীয় টি২০: ১৭১ রানের টার্গেট পেল বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে মঙ্গলবার জয়ের জন্য বাংলাদেশ ১৭১ রানের টার্গেট পেয়েছে।
দুই দফা বৃষ্টির কারণে ম্যাচ নেমে এসেছে ১৬ ওভারে। বাংলাদেশকে ১৬ ওভারে এই রান করতে হবে।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ড ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করলে দ্বিতীয় দফা বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে ১২.২ ওভারে নিউজিল্যান্ডের রান যখন ৪ উইকেটে ১০২, তখন প্রথম দফা বৃষ্টি শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, প্রথম টি২০ ম্যাচে ৬৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে টি২০ সিরিজ শুরু করেছে সফরকারীরা।
এর আগে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হয় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সিরিজ হারল বাংলাদেশ
বড় হার দিয়ে টি২০ সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ
শচীন টেন্ডুলকার করোনায় আক্রান্ত
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈম, সৌম্য সরকার, মোহাম্মাদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মোহাম্মাদ সাঈফউদ্দিন, মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ।
দ্বিতীয় টি২০: টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে মঙ্গলবার টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে প্রথম টি২০ ম্যাচে ৬৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে সফরকারীরা।
বাংলাদেশের একাদশে মুস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে জায়গা পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
এর আগে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হয় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সিরিজ হারল বাংলাদেশ
বড় হার দিয়ে টি২০ সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ
শচীন টেন্ডুলকার করোনায় আক্রান্ত
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈম, সৌম্য সরকার, মোহাম্মাদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মোহাম্মাদ সাঈফউদ্দিন, মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ।
বড় হার দিয়ে টি২০ সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হারের পর টি২০ সিরিজও হার দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ।
রবিবার প্রথম টি২০ ম্যাচটি ৬৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে সফরকারীরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ংয়ের অপরাজিত ৯২ ও ৫৩ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান করে নিউজিল্যান্ড।
জবাব দিতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সিরিজ হারল বাংলাদেশ
আফিফ ৩৩, সাইফউদ্দিন ৩৪ ও নাইম ২৭ রান করেন।
কিউইদের পক্ষে ইশ সৌদি ৪টি উইকেট লাভ করেন।
শচীন টেন্ডুলকার করোনায় আক্রান্ত
ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত শচীন টেন্ডুলকার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তিনি বর্তমানে মুম্বাইয়ে হোম আইসোলেশনে আছেন।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই এ ঘোষণা দিয়েছেন শচীন। তবে তার পরিবারের সদস্যরা করোনা নেগেটিভ বলে জানিয়েছেন তিনি।
টুইটারে সাবেক এ ক্রিকেটার বলেছেন, ‘মৃদু উপসর্গের পর আজ আমার করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে বাড়ির বাকিরা করোনা নেগেটিভ হয়েছে। আমি বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছি এবং চিকিতসকের পরামর্শ অনুযায়ী সকল সতর্কতা মেনে চলছি।’
২০১৩ সালের অক্টোবরে ২০০ টেস্ট খেলার পর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন শচীন। ১৯৮৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান দুইবার অধিনায়ক হিসেবে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন।
ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বাধিক ৩০ হাজারেরও বেশি রানের মালিক শচীন। তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি ২০০ টেস্ট ম্যাচ খেলেন এবং ১০০টি আন্তর্জাতিক শতক করেন। ৪৬৩টি ওয়ানডে ম্যাচে তিনি ১৮ হাজার ৪২৬ রান করেন। ২০০ টেস্টে করেন ১৫ হাজার ৯২১ রান।