������������������������
তারুণ্যের প্রতিভা বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারুণ্যের প্রতিভা বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা যেমন শরীরকে সুস্থ-সবল রাখে, তেমনি মনকেও প্রফুল্ল রাখে, প্রশস্ত করে।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর কুড়িলে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এআইইউবি মাঠে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের কাবাডি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রী
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এআইইউবি'র ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাসানুল এ. হাসান, প্রকৌশল বিভাগের ডিন ড. সিদ্দিক হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ প্রয়োজন। আর দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধ, গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, মেধা-মনন-শিল্প-ক্রীড়াচর্চা সোনার মানুষ গড়ার হাতিয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি এই মানবিক মূল্যবোধের চর্চাতেও অগ্রণী হতে হবে।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পর্যন্ত আমরা রাষ্ট্রীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আওতায় এনেছি। এবছর বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়নশিপের বিভিন্ন খেলাধুলায় দেশের ১২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাত হাজার প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছে।
এ দিন সমাপ্ত আন্তবিশ্ববিদ্যালয় কাবাডি প্রতিযোগিতায় ছাত্র বিভাগে চ্যাম্পিয়ন গণবিশ্ববিদ্যালয় ও রানার আপ ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি এবং ছাত্রী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ও রানার আপ গণবিশ্ববিদ্যালয় দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
আরও পড়ুন: ফখরুল সাহেবদের হৃদয়ে যে পাকিস্তান সেটিই বেরিয়ে এসেছে: তথ্যমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে মৈত্রী রক্তের বন্ধন: তথ্যমন্ত্রী
২০ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী রজার ফেদেরারের অবসরের ঘোষণা
২০ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী রজার ফেদেরার ৪১ বছর বয়সে পেশাদার টেনিস থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।
হাঁটুর অপারেশনের পর এই বিখ্যাত তারকা খেলোয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জোকোভিচ এর সঙ্গে পুরুষদের টেনিসে একটি সোনালী যুগ তৈরি করেছেন।
ফেদেরার বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া এক পোস্টে অবসরের ঘোষণাকে একটি ‘তিক্ত মধুর সিদ্ধান্ত’ বলে পোস্ট করেছেন।
এর আগে গত এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে ২৩ বারের চ্যাম্পিয়ন সেরেনা উইলিয়ামসও তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এক্ষেত্রে, খেলাধূলার ইতিহাসে দুজন সেরা ক্রীড়াবিদের প্রস্থান একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোম্যাটিক টেনিস টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
ফেদেরার টুইটারে লিখেছেন, ‘আপনারা অনেকেই জানেন গত তিন বছর আমাকে ইনজুরি ও অস্ত্রোপচারের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমি সম্পূর্ণ ফর্মে ফিরে আসার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমি আমার শরীরের ক্ষমতা ও সীমাও জানি এবং ইদানীং আমার কাছে এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।’
ফেদেরার ২০২১ সালের জুলাই মাসে উইম্বলডনের পর থেকে আর কোনো ম্যাচে খেলেননি।
তবে তিনি এই জুলাইয়ে অল ইংল্যান্ড ক্লাবে সেন্টার কোর্টের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি ইভেন্টে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং তিনি ‘আরও একবার’ সেখানে খেলতে ফেরার আশা ব্যক্ত করেছিলেন।
ফেদেরার আরও বলেছিলেন যে তিনি অক্টোবরে সুইস ইনডোরে নিজ দেশে টুর্নামেন্ট অ্যাকশনে ফিরবেন।
বৃহস্পতিবারের ঘোষণায়, ফেদেরার বলেন যে তার বিদায় অনুষ্ঠানটি পরের সপ্তাহে লন্ডনে ল্যাভার কাপ হবে। এটি তার পরিচালনা সংস্থার দ্বারা পরিচালিত একটি টিম ইভেন্ট।
ফেদেরারের স্ত্রী মিরকাও একজন টেনিস খেলোয়াড়; এক অলিম্পিকে ক্রীড়াবিদ হিসেবে তাদের দেখা হয়েছিল। তাদের দুটি যমজ সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: গর্ভাবস্থা থেকে টেনিসে ফেরা নিয়ে নিয়ম পরিবর্তনকে স্বাগত জানালেন সেরেনা
এশিয়ান গেমস হকি বাছাইপর্ব: ইন্দোনেশিয়াকে ৩-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নয় দেশের পুরুষদের এশিয়ান গেমস হকির বাছাইপর্বে শনিবার ইন্দোনেশিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ভালো সূচনা করেছে বাংলাদেশের জাতীয় হকি দল।
গত বছর মার্চেও এএইচএফ কাপ হকি টুর্নামেন্টে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়াকে ৭-২ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
পুরুষদের এশিয়ান গেমসের বাছাইপর্বে শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের সাথে চার দলের পুল বি-তে রয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে ১০ মে শ্রীলঙ্কা এবং ১২ মে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
ম্যাচের ১০ মিনিটের মধ্যে সারওয়ার হোসেন গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন।
দ্বিতীয় কোয়ার্টারের আট মিনিটে ফরোয়ার্ড পুস্কর খিশা মিমো ফিল্ড গোল করে বাংলাদেশের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
তৃতীয় কোয়ার্টারের ৯ মিনিটে ইন্দোনেশিয়া গোল করে ব্যবধান ২-১ করে।
তবে সর্বশেষ কোয়ার্টারের ১০ মিনিটে ফিল্ড গোলে ম্যাচের জয় নিশ্চিত করেন মিডফিল্ডার ফজলে হোসেন রাব্বি।
দারুণ খেলে বাংলাদেশের অধিনায়ক রেজাউল করিম বাবু ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন।
পড়ুন: শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াড ঘোষণা
বাংলাদেশ স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: বিপ্লব কুজুর, আবু সাঈদ নিপ্পন
ডিফেন্ডার: খোরশেদুর রহমান, ফরহাদ আহমেদ শীতল, আশরাফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, রেজাউল করিম বাবু, সোহানুর রহমান সবুজ।
মিডফিল্ডার: সারোয়ার হোসেন, রোমন সরকার, নাইম উদ্দিন, ফজলে হোসেন রাব্বি, প্রিন্স লাল সামন্ত।
ফরোয়ার্ড: রাসেল মাহমুদ জিমি, মিলন হোসেন, পুষ্কর খিশা মিমো, আরশাদ হোসেন, রাকিবুল হাসান রকি (জুনিয়র)।
পড়ুন: বিপিএল ফুটবলের ১৪তম রাউন্ড শুরু শনিবার
বিএফএসএ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট শুরু
বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএসএ) ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি চত্বরে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্যাডমিন্টন খেলা শারীরিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খেলা।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির এই সময়ে আমাদের শারীরিক সুস্থতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসকরা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের তাগিদ দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে ব্যাডমিন্টনের মতো খেলা শারীরিক সুস্থতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। দাপ্তরিক অনেক কাজের মধ্যেও ফরেন সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের উদ্যোগের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, কোভিড-১৯ আসার পরে ২০২০ সালে আমাদের উপলব্ধি হয়েছে, কোভিড থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে; শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। আর এজন্য শারীরিক ব্যায়াম; বিশেষ করে খেলাধুলার বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল মেমোরিয়াল র্যাপিড দাবা টুর্নামেন্ট আয়োজন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সবচেয়ে কম সময়ে আয়রনম্যান ট্রায়াথলন শেষ করলেন আরিফুর রহমান বেলাল
সুস্থ জীবনের জন্য শরীর ও মনের সুস্থতা দুটোই প্রয়োজন। দুটোর জন্য নিয়মানুবর্তিতার পাশাপাশি প্রয়োজন নিজের আরাম-আয়েশের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসা। কিন্তু যাদের ক্ষেত্রে শরীরকে ঠিক রাখার মাধ্যমটাই মনের ইচ্ছার সাথে মিলে যায় তাদের জন্য জীবনের সেই সুস্থতা আরও সুগম হয়ে আসে। এরকম এক স্বপ্ন লালন করে চলেছেন বাংলাদেশের আয়রনম্যান খ্যাত আরিফুর রহমান বেলাল। জেনে নিই তার স্বপ্নে কথা।
আয়রনম্যান ট্রায়াথলন
আয়রনম্যান ট্রায়াথলন হলো বিশ্ব ট্রায়াথলন করপোরেশন (ডব্লিউটিসি) দ্বারা সংগঠিত দীর্ঘ-দূরত্বের ট্রায়াথলন রেসের একটি, যার মধ্যে ৩.৮৬ কিলোমিটার সাঁতার, ১৮০.২৫ কিলোমিটার সাইকেল রাইড ও ৪২.২০ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড় রয়েছে। ঠিক এই ক্রমানুসারেই পুরো রেসটা সম্পন্ন করা হয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন একদিনের ক্রীড়া ইভেন্টগুলোর মধ্যে একটি।
ট্রায়াথলন রেসটি সম্পূর্ণ করার জন্য নির্ধারিত সময় ১৭ ঘণ্ট। ৩.৮৬ কিলোমিটার সাঁতার সম্পূর্ণ করার জন্য বাধ্যতামূলক সময় হল ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট। সাঁতার শেষ হওয়ার পর থেকে বাইক চালিয়ে ১৮০.২৫ কিলোমিটার শেষ করতে হবে ১০ থেকে সাড়ে ১০ ঘণ্টার মধ্যে। পুরো ১৭ ঘণ্টা থেকে এই দুই ট্র্যাকে অতিবাহিত সময় বাদ দিয়ে বাকি সময়ের মধ্যে শেষ করতে হয় ৪২.২০ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড়। যে এই সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ট্রায়াথলন ট্র্যাক পাড়ি দিতে পারে তাকে ‘আয়রনম্যান’ উপাধি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মোটর বাইক রাইডারদের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গিয়ার
উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম এই স্পোর্টিং ইভেন্টটি শুরু করেন এভারেস্ট জয়ী মুসা ইব্রাহীম।
বারটেক ওস্টালোভস্কি: বিশ্বে একমাত্র হাত বিহীন কার রেসার
কিছু মানুষ স্বপ্নের পেছনে ছোটা এবং জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার ঐকতানকে অনুনাদে রূপ দিতে পারে। কোন রকম প্রতিবন্ধকতাই সেখানে টিকতে পারে না। সেরকম একজন মানুষ বারটেক ওস্টালোভস্কি।
যিনি সার্কিট রেসিংয়ের পাশাপাশি সফলতার সাথে কার রেসিংয়ের সবচেয়ে ভয়াবহ ক্যাটাগরি-ড্রিফট রেসিং সম্পন্ন করেছেন। রেস ট্র্যাকের বাকগুলোতে দ্রুত মোড় নেয়ার সময় হাত ও চোখের সমন্বয় সাধনের পাশাপাশি এখানে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজন হয়। সেখানে হাত বিহীন একজন চালকের উতরে যাবার বিষয়টা সত্যিই বিস্ময়কর! তাহলে এবার এই বাস্তব জীবনের সুপার হিরোর সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া যাক।
স্বপ্ন যখন রেসের পথে ছোটা
পোলিশ রেসার বারটেক ওস্টালোভস্কির জন্ম ১৯৮৬ সালে। ছেলেবেলায় বাবা কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে শেষ ২০ মিটার গাড়ি চালাতে দিতেন ছেলেকে। ১৮ বছর বয়সে প্রথম একা একা গাড়ি চালানো শুরু করেন। মোটর ইঞ্জিন, ট্র্যাকের উপযুক্ত করে গাড়িকে প্রস্তুত করা, এবং অবেশেষে রেসিং; এসবের মধ্যেই তার বেড়ে ওঠা। আর এরই মাঝে ধীরে ধীরে পরিণত হয়েছে পেশাদার রেসার হবার স্বপ্ন।
আরও পড়ুন: আপন ঠিকানা : হারানো স্বজনদের খুঁজে পেতে আরজে কিবরিয়ার মহৎ উদ্যোগ
২০০৬ সালে এক ভয়াবহ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুটো হাতই হারান বিশ বছর বয়সী বারটেক। স্বভাবতই মুখ থুবড়ে পড়তে যায় তার রেসের গাড়ি চালনার ক্যারিয়ার।
কিন্তু একদা পোল্যান্ডের রাস্তায় তারই মত হাত বিহীন এক গাড়ি চালককে দেখে তার উপলব্ধি হয়। মনের ভেতর রেসের পথে ফিরে যাবার ইচ্ছের অকেজো গাড়িটা যেন জ্বালানি পেয়ে গর্জে উঠে।
দুটি পা দিয়ে শুরু করেন রেস কার ড্রাইভিং চর্চা। মস্তিষ্কে থাকা গাড়ি চালনাটা তখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। আত্মবিশ্বাসের পাশাপাশি স্বপ্ন ও টিকে থাকার অনুরণন তাকে রেস কারের স্টিয়ারিঙ ধরতে ধাবিত করেছে। সার্কিট রেসের ট্র্যাকে ফিরে যেতে দুঃসাহস যোগিয়েছে।
আরও পড়ুন: নাজমুন নাহার: পৃথিবীর ১৫০তম দেশ ভ্রমণ করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী বাংলাদেশি পরিব্রাজক
বারটেক ওস্টালোভস্কির অর্জন
২৩ বছর বয়সে দু’হাত না থাকাটা বারটেকের আন্তর্জাতিক রেসিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি। র্যালি ক্রসের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ানশিপে একজন সপ্রতিভ প্রতিযোগী ছিলেন এই জন্মগত রেসিং কার ড্রাইভার। ২০১৮ সালে দক্ষ দক্ষ সব পেশাদার রেসারদের হারিয়ে আন্তর্জাতিক চেক ড্রিফ্ট সিরিজ জয় করেছেন। এই বিস্ময়ের ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে সমগ্র ইউরোপের সবচেয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ ও বিপজ্জনক চ্যাম্পিয়ানশিপ সিরিজ পোলিশ ড্রিফটে পঞ্চাশ জন চালকদের মধ্যে নবম স্থান অর্জন করেন ওস্তালোভস্কি।
শারীরিক সীমাবদ্ধতাকে উপেক্ষা করে নিজের যতটুকু আছে ততটুকু নিয়েই গাড়িকে এমনভাবে রেসের রাস্তায় ছুটিয়েছেন যে তা দেখে বোঝার উপায় নেই- স্টিয়ারিঙের পেছনে কোন হাত বিহীন চালক বসে আছেন।
টিকে থাকার এক অনন্য অনুপ্রেরণা বারটেক ওস্টালোভস্কি।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল: অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার প্রতীকী নিশান
শেখ রাসেল মেমোরিয়াল র্যাপিড দাবা টুর্নামেন্ট আয়োজন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে দিনব্যাপী শেখ রাসেল মেমোরিয়াল র্যাপিড দাবা টুর্নামেন্ট-২০২১ এর আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শনিবার সকালে ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং গ্রান্ড মাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ একটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাব উদ্দিন শামীম, গ্রান্ড মাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ ও গ্রান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শেখ রাসেলের ওপর প্রকাশিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শূন্য গ্যালারিতেই পর্দা উঠলো টোকিও অলিম্পিকের
অবশেষে পর্দা উঠেছে টোকিও অলিম্পিকের। করোনা মহামারির কারণে দেরিতে শুরু হওয়া এই অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুক্রবার রাতে জাপানের রাজধানী টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শূন্য গ্যালারিতে আতশবাজি এবং এথলেটদের একটি ভিডিও প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে এবারের অলিম্পিকের যাত্রা শুরু হয়।
জাপানের সম্রাট নারুহিতো অলিম্পিকের এই আসরের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: টোকিও অলম্পিকে বাংলাদেশের ৬ অ্যাথলেট
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) প্রেসিডেন্ট থমাস বাখ বলেন, 'আজ একটি আশার মুহুর্ত, যদিও আমরা যা আশা করেছিলাম এটা তার থেকে খুব ভিন্ন। কিন্তু চলুন আমরা এই সময়টি ধারণ করি। কেননা অবশেষে আমরা একসঙ্গে হতে পেরেছি।'
তিনি আরও বলেন 'একসঙ্গে হওয়ার এই অনূভুতি মহামারির অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষে আলোর মতো।'
আরও পড়ুন: ২০৩২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস ব্রিসবেনে
পরে জাপানের টেনিস তারকা নাওমি ওসাকা মশাল প্রজ্জ্বালন করে পুরো স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করেন।
এথলেটদের অনেকেই মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব মেনে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। তবে অনেকেই আবার সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেননি।
অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে করোনা মহামারিতে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের স্মরণ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন আয়োজকরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়া
দেশে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যারাথন শুরু রবিবার
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু ফেডারেশন কাপ হ্যান্ডবল: বুধবার ফাইনালে মুখোমুখি পুলিশ ও আনসার
বঙ্গবন্ধু ফেডারেশন কাপ হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা (পুরুষ) ২০২০-এর ফাইনালে বুধবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি এবং বাংলাদেশ পুলিশ হ্যান্ডবল ক্লাব।