এশিয়া
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির যৌথভাবে ১ম ইউনিট সম্পন্নের ঘোষণা
বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ খাতে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার অংশ হিসেবে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি অক্টোবরের শুরুতে বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
১৩২৯ (২x৬৬০) মেগাওয়াট কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ সফলভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।
প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এর কাজ শেষ হওয়া এবং ‘সফল সমন্বয়’ এর পরে বর্তমানে আরও সমন্বয় সম্পর্কিত কার্যক্রম হাতে নেয়া হচ্ছে। এরপরে ইউনিট-১ বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন:গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় তিনি এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম ইউনিটের নির্মাণ কাজ শেষ করার ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে নয়াদিল্লি রওনা হবেন
পাকিস্তানে বন্যা: ৩ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
পাকিস্তানে চলমান বন্যার কারণে তিন কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ এবং ৭২টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জুনের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া মৌসুমী বৃষ্টির কারণে এই দুর্যোগের সৃষ্টি। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) বিষয়টি জানিয়েছে।
রবিবার গভীর রাতে এনডিএমএ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানকার ২৩টি জেলা এবং এক কোটি ৪৫ লাখেরও বেশি মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিমের বেলুচিস্তান দ্বিতীয় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশ। সেখানকার ৯০ লাখেরও বেশি মানুষ এবং ৩১টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যা: পাকিস্তানে মৃত্যু হাজার ছাড়াল
গত তিন দশকের তুলনায় দেশটিতে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পায় ১৮৮ শতাংশ। তিন দশকে বৃষ্টিপাতের পরিমাপ ছিল ১৩৫ মিলিমিটার। কিন্তু এ মৌসুমে তা দাঁড়িয়ে হয়েছে ৩৯০ মিলিমিটার।
এনডিএমএ জানিয়েছে, সিন্ধু প্রদেশে এবার বৃষ্টিপাত ৪৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬৯৭ মিলিমিটার। যা গত তিন দশকে গড়ে ছিল ১২২ মিলিমিটার। অন্যদিকে বেলুচিস্তানে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেয়েছে ৪১১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার
বন্যা: পাকিস্তানে মৃত্যু হাজার ছাড়াল
পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। রবিবার দেশটির জলবায়ুমন্ত্রী এই বর্ষা মৌসুমকে ‘একটি মারাত্মক জলবায়ু বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় গত মধ্য জুন থেকে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পানির তোড়ে শস্য ও অনেক গ্রাম ভেসে গেছে। সেনাবাহিনী ও উদ্ধারকর্মীরা হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত পাকিস্তানিদের নিরাপদে সরিয়ে আশ্রয় শিবিরে নিচ্ছে এবং খাদ্য সরবরাহ করছে।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি বছরের মধ্য জুনে বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে মানুষের প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে
এক হাজার ৩৩ জনে। এছাড়া খাইবার পাখতুন ও সিন্ধু প্রদেশে নতুন করে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
পাকিস্তানি সিনেটর ও দেশের জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ কর্মকতা শেরি রেহমান টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে তার অভিজ্ঞতা বর্নণা করে বলেন, ‘এই দশকে সবচেয়ে কঠিনতর একটি মারাত্মক জলবায়ু বিপর্যয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে চরম আবহাওয়া বিপর্যয়ের সামনে অবস্থান করছি, অবিরাম তীব্র দাবদাহ, দাবানল, আকস্মিক বন্যা, বহু হিমবাহ গলে যাওয়া, বন্যা পরিস্থিতি ও সারাদেশে দশকের দানব বন্যা অবিরাম ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।’ ইউরোপীয় ইউনিয়নে দেশটির রাষ্ট্রদূত একটি ভিডিও বিবৃতি পুনরায় টুইট করেছেন।
প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র কামরান বঙ্গশ বলেন, রাতভর সোয়াত নদীর প্লাবনে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুন প্রদেশের হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- বিশেষ করে চরসদ্দা ও নওশেরা জেলা। তাদেরকে বাড়ি থেকে সরিয়ে সরকারি ভবনের আশ্রয় শিবিরে নেয়া হয়েছে। তাদের অনেকে রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এই অভূতপূর্ব বর্ষা মৌসুম দেশের চারটি প্রদেশকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এতে প্রায় তিন লাখ বাড়িঘর, অসংখ্য রাস্তাঘাট ধ্বংস এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তুর্কি সংবাদ সংস্থা টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে রেহমান বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই আমাদের পাকিস্তানের চারভাগের একভাগ বা তিন ভাগের একভাগ পানিতে তলিয়ে যায়।
পড়ুন: ‘ভুল’ করে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ: ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত
তিনি বলেন, ‘এটি কিছুটা বৈশ্বিক সংকট এবং ভূমির টেকসই উন্নয়নে অবশ্যই ভালো পরিকল্পনা দরকার।পাশাপাশি জলবায়ু সহনশীল ফসলের পাশাপাশি ভালো কাঠামো থাকতে হবে।’
সরকার সারাদেশে বেসামরিক কর্তৃপক্ষের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে।
ইতোমধ্যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী একটি বিবৃতিতে বলেছেন, তারা দেশের উত্তরাঞ্চলের একটি দ্বীপে আটকে পড়া ২২ পর্যটককে আকাশপথে সরিয়ে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার
পাকিস্তানে মৌসুমী বৃষ্টিতে নিহত ৩৫৭, আহত ৪ শতাধিক
গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে নয়ডার টুইন টাওয়ার
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কাছে নয়ডা শহরে নয় বছর আগে স্থাপিত দুটি আকাশচুম্বী ভবন রবিবার দুপুর আড়াইটায় নিয়ন্ত্রিত এক বিস্ফোরকের সহায়তায় গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গত বছরের আগস্টে ৪০ তলা বিশিষ্ট জোড়া এই বহুতল ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। একটি বেসরকারি ডেভেলপার সুপারটেকের তৈরি ‘অ্যাপেক্স’ ও ‘সিয়ানে’ নামের এই বহুতল ভবন দুটিতে স্থাপনার নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে এ আদেশ দেয়া হয়েছিল।
তিন হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করে জোড়া বহুতল ভবন দুটি ভেঙে ফেলা হয়। ভারতে এই প্রথম এতো উঁচু ভবন ভেঙে ফেলা হল।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে ভেঙে ফেলার কাজে নিয়োজিত কোম্পানি এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উৎকর্ষ মেহতা বলেন, ‘যেমনটা ভেবেছিলাম ঠিক সেরকমই স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আমরা ১০০ শতাংশ সফলতা অর্জন করেছি।’
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা পূর্বেই স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরে সরিয়ে নেয় এবং বিপথগামী কুকুরগুলোকে পশু কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আজ গুঁড়িয়ে দেয়া হবে নয়ডার টুইন টাওয়ার
একজন পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ভেঙে ফেলার সময় কাছাকাছি নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে ৪৫ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখা হয়। শহরের হাসপাতালগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য ৮-১০টি অ্যাম্বুলেন্স পাশেই প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
ভারতে বহুতল ভবন ভেঙে ফেলার ঘটনা বিরল। দুই বছর আগে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার কর্তৃপক্ষ পরিবেশগত নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমুদ্রের কাছে দুটি বিলাসবহুল আকাশচুম্বী ভবন ভেঙ্গে ফেলে।
আরও পড়ুন: নদীর মাঝখানে সরকারি বহুতল ভবন!
আজ গুঁড়িয়ে দেয়া হবে নয়ডার টুইন টাওয়ার
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কাছে নয়ডা শহরে নয় বছর আগে স্থাপিত দুটি আকাশচুম্বী ভবন আজ (রবিবার) দুপুরে নিয়ন্ত্রিত এক বিস্ফোরকের সহায়তায় গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গত বছরের আগস্টে ৪০ তলা বিশিষ্ট জোড়া এই বহুতল ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। একটি বেসরকারি ডেভেলপার সুপারটেকের তৈরি ‘অ্যাপেক্স’ ও ‘সিয়ানে’ নামের এই বহুতল ভবন দুটিতে স্থাপনার নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে এ আদেশ দেয়া হয়েছিল।
স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় তিন হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করে জোড়া বহুতল ভবন দুটি ভেঙে ফেলা হবে। ভারতে এই প্রথম এতো উঁচু ভবন ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে ভেঙে ফেলার কাজে নিয়োজিত কোম্পানি এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উৎকর্ষ মেহতা বলেন, ‘আমার লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে। আমি কিছুটা নার্ভাস, সেইসাথে আত্মবিশ্বাসী।’
মেহতা আরও বলেন, বিস্ফোরণের সময় ৩০-৪০ মিটার ব্যাসার্ধে স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্পের মতো কম্পন অনুভূত হতে পারে।
ধুলাবালি ঠিক হতে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগতে পারে। তবে পুরো ভবনের ধ্বংসাবশেষ সড়াতে তিন থেকে চার মাস সময় লেগে যেতে পারে। নয়ডার আকাশ পরিষ্কার করতে ‘অ্যান্টি স্মোক’ বন্দুক প্রস্তুত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্থানীয় নাগরিক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে যমজ বহুতল ভবনের আশেপাশের সমস্ত হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছে। বিপথগামী কুকুরদেরও পশু আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নগরীর বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
একজন পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ভেঙে ফেলার সময় কাছাকাছি নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে ৪৫ মিনিটের জন্য বন্ধ থাকবে। শহরের হাসপাতালগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য ৮-১০টি অ্যাম্বুলেন্স পাশেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ভারতে বহুতল ভবন ভেঙে ফেলার ঘটনা বিরল। দুই বছর আগে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার কর্তৃপক্ষ পরিবেশগত নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমুদ্রের কাছে দুটি বিলাসবহুল আকাশচুম্বী ভবন ভেঙ্গে ফেলে।
আরও পড়ুন: নদীর মাঝখানে সরকারি বহুতল ভবন!
গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
২০০২ সালে ভারতের গুজরাটের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় এক মুসলিম নারীর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১১ আসামির মুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শনিবার শত শত মানুষ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করে।
দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেয় এবং গুজরাট সরকারের কাছে এই মুক্তির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানায়। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে গানও গায় বিক্ষোভকারীরা।
অন্যান্য রাজ্যেও একই ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পড়ুন: নূপুর শর্মার দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
১৫ আগস্ট যখন ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করে, তখন সাজা স্থগিত করে এই ১১ জনকে মুক্তি দেয়া হয়। ধর্ষণ, হত্যা এবং বেআইনি সমাবেশের জন্য ২০০৮ সালে তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল।
ভুক্তভোগী, যার বয়স এখন ৪০, তিনিও আদালতের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গুজরাট রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত তাকে অসাড় করেছে এবং ন্যায়বিচারের প্রতি তার বিশ্বাসকে নড়বড়ে করে দিয়েছে।
২০০২ সালে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নির্মমভাবে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সময় ওই ভুক্তভোগী গর্ভবতী ছিলেন।
১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ছিল এই গুজরাট দাঙ্গা। এই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই মুসলমান ছিল। এই সহিংসতায় ভুগভোগী নারীর তিন বছরের মেয়েসহ পুরো পরিবারও নিহত হয়েছে।
সমাজকর্মী কবিতা কৃষ্ণান বলেন, ‘পুরো দেশের উচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি উত্তর চাওয়া।’
গুজরাটের কর্মকর্তারা, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)ক্ষমতায় রয়েছে, তারা বলেছে যে অপরাধীদের ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। কারণ তারা ১৪ বছরেরও বেশি জেল খেটেছে। ১৯৯২ সালের ক্ষমা নীতির অধীনে তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে।
ফেডারেল সরকার কর্তৃক ২০১৪ সালে গৃহীত নীতির একটি নতুন সংস্করণে ধর্ষণ এবং হত্যাসহ কিছু অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের সাজা মওকুফ ও মুক্তি দেয়ার বিধান বাতিল করা হয়েছে।
এই দাঙ্গার জন্য গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এই দাঙ্গার অনুমতি দিয়েছেন এবং এমনকি উস্কানি দিয়েছেন। কিন্তু মোদি বারবার এ ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ বলে আসছেন। তিনি দাঙ্গায় ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করেছেন এবং সুপ্রিম কোর্টও বলেছে যে তার বিরুদ্ধে মামলা করার কোনও প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নয়াদিল্লির তরুণ বিক্ষোভকারী আছিয়া কুরেশি জানান, তিনি ভুক্তভোগীর জন্য ন্যায়বিচারের নিশ্চিতে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মোদি ১৫ আগস্ট ভারতের নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে একটি ভাষণ দিয়েছিলেন এবং একই দিনে তারা ধর্ষকদের মুক্তি দেয়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা কীভাবে নিরাপদ?’
আরও পড়ুন: ভারতে মন্দিরে পদদলিত হয়ে নিহত ৩
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সঙ্গে অন্য কোনো সম্পর্কের তুলনা হয়না: তথ্যমন্ত্রী
পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার
পাকিস্তানে ভারী বর্ষণে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার জনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা বন্যায় এই মৃতের সংখ্যার পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষ আহত ও বাস্তুচ্যুত হওয়ার কথা জানায়।
দরিদ্র ইসলামিক জাতিটি মারাত্মক বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাওয়ার একদিন পরই নতুন করে মৃত্যুহার বাড়ল।
এই সংকট সরকারকে জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য করেছে।
চরসদ্দার একজন উচ্চ কর্মকর্তা সানিয়া সাফি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ খায়বার পাখতুনে বন্যায় সোয়াত নদীর পানি নিয়ন্ত্রণের প্রধান
গেটটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় চরসদ্দা ও নওশেরা জেলা প্লাবিত হয়েছে।
দেশটির তথ্যমন্ত্রী মারিয়াম আওরঙ্গজেব বলেন, সিন্ধু, খায়বার পাখতুন ও পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বেলুচিস্তান প্রদেশের অনেক জেলায় সেনাবাহিনী ও উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো আক্রান্ত মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল ঘোষণা করেছে।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অসীম ইফতেখার বলেন, শাহবাজ শরীফের সহযোগিতার আহ্বানের পর জাতিসংঘ বন্যার্তদের জন্য ১৬০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার ও শনিবার পর্যন্ত বন্যায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৪৫ জন। যা এখন দাঁড়িয়েছে ৯৮২ জনে, আহত হয়েছেন আরও ১৪৫৬ জন।
প্রবল বর্ষণ পরবর্তী আকস্মিক বন্যায় সেতু, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় গোটা পাকিস্তানে ফল ও সবজি বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ভুল’ করে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ: ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত
পাকিস্তানে মৌসুমী বৃষ্টিতে নিহত ৩৫৭, আহত ৪ শতাধিক
পাকিস্তানে নৌকাডুবিতে ১৯ নারীর মৃত্যু
ফিলিপাইনে ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডে ৮০ জনের বেশি মানুষ উদ্ধার
ফিলিপাইনের ম্যানিলার দক্ষিণের একটি বন্দরের কাছে ‘এমভি এশিয়া ফিলিপাইন’ নামের একটি ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ওই ফেরি থেকে যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে ৮০ জনের বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করেছে দেশটির উপকূলরক্ষী কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা। তবে এখনও দুজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা যায়, এমভি এশিয়া ফিলিপাইন ৪৯ জন যাত্রী ও ৩৮ জন ক্রু নিয়ে যাত্রা করেছিল।
শনিবার কর্মকর্তারা জানায়, ঝোড়ো বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচায়। দুইজন যাত্রীর খোঁজে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত না দুজন নিখোঁজ আছেন নাকি ইতোমধ্যেই তারা অন্য যাত্রীদের সঙ্গে পাড়ে উঠে এসে কর্মকর্তাদের না জানিয়েই তাৎক্ষণিকভাবে বাড়ি চলে গেছেন।
উদ্ধারকৃত যাত্রীদের একজন জানান, ফেরিটি ওরিয়েন্টাল মিন্ডোরো প্রদেশের কালাপান শহর থেকে যাত্রা শুরু করে। বাটাঙ্গাস বন্দর থেকে প্রায় এক মাইল দূরে থাকার সময় দ্বিতীয় ডেক থেকে ধোঁয়া বের হয় এবং তারপরে আগুন ধরে যায়।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
বন্দরের কাছাকাছি চলে আসায় উপকূলরক্ষী কর্মকর্তারা দ্রুত জাহাজ, মোটর ব্যাঙ্কাস ও টাগবোট নিয়ে গিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের উদ্ধার করে।
উপকূলরক্ষী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোস্টগার্ড একটি জাহাজ নিয়ে গিয়ে ফেরিটির আগুন নেভাতে সমর্থ হয়। ফেরিটিতে অন্তত ১৬টি গাড়ি ও ট্রাক ছিল।
অপর এক যাত্রী বেনেডিক্ট ফার্নান্দেজ শুক্রবার রাতে ডিজেডএমএম রেডিওকে জানান, ফেরিটি বন্দরের কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রু সদস্যরা একটি ইঞ্জিন চালু ও বন্ধ করার চেষ্টা করার সময় দ্বিতীয় ডেক থেকে ধোঁয়া ও আগুনের শিখা দেখা যায়।
তিনি আরও জানান, তিনি অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে তৃতীয় ডেক থেকে তার দুই সন্তানকে নিয়ে পানিতে ঝাঁপ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
উপকূলরক্ষীরা বলেছেন, সাধারণত এমন ঘটনা ঘটে যখন ফেরিগুলো নিয়ম অমান্য করে অধিক যাত্রী বহন করে। তবে এই ফেরিটি প্রায় ৪০০ যাত্রী বহন করতে সক্ষম। এখনও তদন্ত চলছে।
ঘন ঘন ঝড়, খারাপভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা নৌযান ও অতিরিক্ত ভিড় প্রভৃতি কারণে ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে প্রায়ই সমুদ্র দুর্ঘটনা ঘটে।
১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে, ফেরি ডোনা পাজ একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারের সঙ্গে সংঘর্ষের পরে ডুবে যায়। শান্ত সমুদ্রে হওয়া বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ সামুদ্রিক বিপর্যয় এটি। এ ঘটনায় প্রায় ৪৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭, নিখোঁজ ১১০
ফিলিপাইনে টাইফুন ‘রাই’য়ের তাণ্ডবে নিহত বেড়ে ২০৮
কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করলেন গোলাম নবি আজাদ
ভারতের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ গোলাম নবি আজাদ। তার এই পদত্যাগ প্রধান বিরোধী দলটির জন্য একটি বড় ধাক্কা।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) পাঁচ পৃষ্ঠার পদত্যাগ পত্র দলটির অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী বরারবর লেখেন তিনি।
আজাদ গান্ধী পুত্র রাহুলকে ‘শিশুসুলভ’, ‘চকচকে অপরিপক্ক’ এবং দলকে পরিচালনায় ‘অনভিজ্ঞ মানসিক রোগী’ বলে আক্রমণ করেছেন।
২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের জন্য রাহুলকে দায়ী করে ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিক দাবি করেন, ‘দল এখন এমন জায়গায়, ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।’
সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও চরমভাবে একটি ‘দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণ ধারণায়’ চলছিলেন, যার মাধ্যমে দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধন্ত নেয়া হতো ‘রাহুল গান্ধীর মাধ্যমে কিংবা তার খারাপ নিরাপত্তারক্ষী কিংবা সহকারী ব্যক্তিদের দ্বারা।’
বিগত তিন বছরে দলটির অনেক নেতা চলে যাওয়ার পর দলটি যখন অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি তখন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে, সেসময়ই আকস্মিক বের হয়ে গেলেন আজাদ।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছিলেন আজাদ। এছাড়া তিনি ২০০৫ সালের ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মহমোহন সিং-এর সংসদীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ২০২২ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘পদ্মভূষণ’ খেতাবপ্রাপ্ত হন।
আরও পড়ুন: আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা
রাহুলের বিকল্প না পেয়ে সোনিয়ার কাঁধেই কংগ্রেসের ভার
করোনা জটিলতায় হাসপাতালে কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী
যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা: মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সমর্থনে আইনি পদক্ষেপ
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় স্টার শিপ গ্রুপ অব কোম্পানিজ, ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়েস গ্রুপ কোম্পানিস লিমিডেট(আইজিজি) ও স্কাই কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিডেট রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, সামরিক বাহিনীর অস্ত্রের তৎপরতা ও রাজস্ব আয় সীমিত করতে তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এশিয়া বিষয়ক মন্ত্রী আমান্ডা মিলিং যুক্তরাজ্যের এই মনোভাবের কথা নিশ্চিত করেছেন। আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মামলায় হস্তক্ষেপ করতে এটি করছেন।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মিয়ানমার জেনোসাইড কনভেনশনের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে কিনা তা এই মামলার রায়ে নির্ধারণ হবে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে।
পড়ুন: মিয়ানমারে সহিংসতায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০ হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা ও সাত লাখ ৪০ হাজার মানুষকে উচ্ছেদ করে প্রতিবেশী বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী যৌন নির্যাতন, শিশুদের নির্যাতন করে মাটিতে পুঁতে ফেলা এবং গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়ার মতো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
এগুলো হলো সেনাবাহিনীর দায়মুক্তির জন্য কর্মকান্ড এবং যুক্তরাজ্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে মিয়ানমারের বিরোধী গণতন্ত্রপন্থীদের দমন করতে তারা একই কৌশল নিয়েছে।
যুক্তরাজ্য নিশ্চিত যে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে জাতিগত নিধন করা হয়েছে, এবং এখনও মিয়ানমারে যে বর্বরতা চলছে তা বন্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে দায় নিতে হবে।
আমান্ডা মিলিং বলেন, যারা আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ছোট ও ধ্বংস করতে চায় যুক্তরাজ্য সব সময় তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
‘পাঁচ বছর ধরে আমরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করে পাশে আছি এবং ভয়ানক জাতিগত ধ্বংসযজ্ঞের জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিন্দা জানিয়েছি।
মন্ত্রী মিলিং বলেন, আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মামলায় মধ্যস্থতা এবং নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ২০১৭ সালের নৃশংসতার জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তার অর্থনীতি ও অস্ত্র
সরবরাহ সীমিত করাতে যুক্তরাজ্যের অব্যাহত সমর্থনের ব্যাপারে শক্তিশালী বার্তা দেয়। ২০১৭ সালের সহিংসতার লক্ষ্য ছিল রোহিঙ্গাদের পরিচয় ও ভবিষ্যৎ বংশধর ধ্বংস করা।
রাখাইন রাজ্যে থাকা ৬ লাখ রোহিঙ্গার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয়েছে এবং নিয়মিত বৈষম্যের মাধ্যমে তাদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা সীমিত করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্য আবারও ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনকে উদ্ধৃত করে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্য ২০১৭ সাল থেকে শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্রয়োজনীয় খাবার, তাবু, পয়নিষ্কাশন, শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা খাতে ৩৩০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সত্য আড়ালের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
মিয়ানমারে ৪ গণতন্ত্রপন্থীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর