������������������
বৈশ্বিক গ্রুপ এক্সিকিউটিভ কমিটিতে সেগওয়ার্ক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট আশীষ প্রধান
বৈশ্বিক গ্রুপ এক্সিকিউটিভ কমিটিতে যোগ দেবেন সেগওয়ার্ক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট আশীষ প্রধান।
বর্তমান ম্যানেজমেন্ট টিমকে সম্প্রসারিত করছে সেগওয়ার্ক। বিশ্বজুড়ে প্যাকেজিং অ্যাপ্লিকেশন ও লেবেলের জন্য প্রিন্টিং ইংক ও কোটিং সরবরাহকারী শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানটির এই কৌশলগত পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে একটি গ্রুপ এক্সিকিউটিভ কমিটি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এই প্রতিষ্ঠানের বৈশ্বিক উপস্থিতি আরও জোরদার করা এবং বৈশ্বিক ইংক ও কোটিং শিল্পের পরিবর্তিত ধরনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ায় লক্ষেই এই পরিবর্ধন।
আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর এই গ্রুপ এক্সিকিউটিভ কমিটি কোম্পানিটির প্রধান প্রধান সিদ্ধান্ত ও কৌশল গঠন, বাস্তবায়ন ও তত্ত্বাবধান করবে।
বোর্ড অব ম্যানেজমেন্টের বর্তমান সদস্যরা হলেন- চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ড. নিকোলাস উইডমান, প্রেসিডেন্ট ইএমইএ ড. জান ব্রেইটকপ, প্রেসিডেন্ট আমেরিকাস রালফ হিলডেনব্র্যান্ড এবং চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ড. অলিভার উইটমান।
আরও পড়ুন: চাঁদের হাটে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচিত
নতুন কমিটিতে তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন এশিয়া প্রেসিডেন্ট আশীষ প্রধান।
ম্যানেজমেন্ট টিমে এশীয় প্রতিনিধিত্ব আরও শক্তিশালী হওয়ায় সেগওয়ার্কের পক্ষে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক ব্যবসার পরিবর্তিত চাহিদার প্রতি কার্যকরভাবে সাড়া দেওয়া সহজ হবে। গ্রুপ এক্সিকিউটিভ কমিটিতে প্রধানের অন্তর্ভুক্তি সেগওয়ার্কের বৈশ্বিক কৌশলে এশিয়া অঞ্চলের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
এশিয়ার আছে অপরিসীম প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে অন্য দুটি প্রধান অঞ্চল, ইএমইএ ও আমেরিকাসের সঙ্গে এশিয়াও কোম্পানির ভবিষ্যৎ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
নতুন এই কাঠামো সেগওয়ার্ককে উদ্ভাবন কৌশলগুলো আরও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা ও বিভিন্ন স্থানে সহজে পণ্য স্থানান্তরে সাহায্য করবে। এছাড়া কোম্পানিটি সার্কুলার ও ডিজিটাল প্যাকেজিং সমাধানের কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাবে।
নতুন গ্রুপ এক্সিকিউটিভ কমিটি ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা অর্জন করবে এবং দায়িত্ববোধের সঙ্গে সেগওয়ার্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করে কোম্পানিটি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু পরিষদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা
সেগওয়ার্কের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ড. নিকোলাস উইডমান বলেন, ‘নতুন ব্যবস্থাপনা কাঠামো সেগওয়ার্ককে আরও ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আমাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও নিবেদনের চমৎকার একটি সমন্বয় আছে। এর সাহায্যে আমরা আমাদের ব্যবসাকে আরও প্রসারিত করতে এবং প্যাকেজিং শিল্পে উদ্ভাবন চালাতে প্রস্তুত।’
২০১৫ সালে আশীষ প্রধান সেগওয়ার্কে যোগদান করেন। তিনি সেগওয়ার্ক ভারতের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) এবং ভারত ও বৃহত্তর চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের শুরুতে তিনি প্রেসিডেন্ট এশিয়া হিসেবে নিযুক্ত হন। ভারত, বাংলাদেশ, বৃহত্তর চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ব্যবসা দেখাশোনা করা এই পদে তার দায়িত্ব।
সেগওয়ার্কে যোগদানের আগে তিনি বৈশ্বিক প্যাকেজিং শিল্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা পদে কর্মরত ছিলেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ইন্টারন্যাশনাল পেপার, হেনকেল, পজিটিভ প্যাকেজিং এবং হাহতামাকি।
প্রধানের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি এবং ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি আছে।
আরও পড়ুন: নর্থ বেঙ্গল জার্নালিস্ট ফোরামের নব নির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ
ভারতীয় সমাজকর্মী নিখিলকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের
ভারতীয় সমাজকর্মী নিখিল দে’কে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী চ্যাম্পিয়ন মনোনীত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
ইউএস ব্যুরো অব ইন্টারন্যাশনাল নারকোটিক্স অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্ট অ্যাফেয়ার্স বলেছে, ভারতে সরকারি কল্যাণমূলক কর্মসূচিতে দুর্নীতি প্রতিরোধে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য নিখিল দেকে দুর্নীতিবিরোধী চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
মজদুর কিষাণ শক্তি সংগঠনের (এমকেএসএস) সহপ্রতিষ্ঠাতা নিখিল দে ভারতে স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি-বিরোধী সংস্কারের কাজ করেছেন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়াতে জনসাধারণের নীতি বাস্তবায়নে রাজস্থান রাজ্যকে সহায়তা করেছেন।
মজদুর কিষাণ শক্তি সংগঠন একটি গণসংগঠন, যা মধ্য রাজস্থানের গ্রামে শ্রমিক ও কৃষকদের নিয়ে কাজ করে।
এটি ১৯৯০ সালে অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার জন্য এটি গঠিত হয়। যাতে সাধারণ নাগরিকরা মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের সঙ্গে নিজেদের জীবনযাপন করতে পারে।
জমিদারদের অবৈধভাবে দখল করা জমির জন্য সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির জন্ম হয়েছিল।
ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি এক্সে লিখেছেন: ‘স্টেট ডিপার্টমেন্ট আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী চ্যাম্পিয়ন মনোনীত হওয়ায় মজদুর কিষাণ শক্তি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নিখিল দেকে অভিনন্দন।’
গারসেটি বলেন, ‘নিখিল দের মতো চ্যাম্পিয়ন, যারা স্বচ্ছতা, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের জন্য কাজ করে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে আছে।’
ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টি-করাপশন চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস (এসিসিএ) এমন ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেয়, যারা জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা প্রচারে কাজ করে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার (মার্কিন স্থানীয় সময়) বলেছেন, স্টেট ডিপার্টমেন্ট দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং বিদেশি নীতির অগ্রাধিকার এবং মূল জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ হিসেবে অখণ্ডতা প্রচার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গ্লোবাল অ্যান্টি-করাপশন চ্যাম্পিয়নদের সম্মাননা দেওয়ার সময় ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের প্রাক্কালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সততা ও সুশাসনের চ্যাম্পিয়ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মান জানাতে পেরে গর্বিত।’
যারা দুর্নীতি প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং এই বীর অংশীদারদের সঙ্গে মার্কিন সংহতি প্রদর্শনের জন্য তাদের স্বীকৃতি দিতে মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড চালু করেছে।
বৃহস্পতিবার (মার্কিন স্থানীয় সময়) ২০২৩ সালের জন্য ১১টি আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী চ্যাম্পিয়নকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা ২০২৩ সালের জন্য ১১ আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী চ্যাম্পিয়ন এবং যারা জবাবদিহি, আইনের শাসন, স্বচ্ছতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে তাদের সবাইকে স্বীকৃতি দিই।’
সম্মানিতরা হলেন- বেলারুশের স্ট্যানিসলাউ ইভাশকেভিচ, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের জিন-ক্লদ এমপুতু, ইকুয়েডরের আর্তুরো টরেস, ভারতের নিখিল দে, কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের আলি (মুখাম্মেদালি) টোকতাকুনভ, লাইবেরিয়ার মার্ক এন কোলি, মলদোভার ভেরোনিকা মিহাইলভ-মোরারু, মন্টিনিগ্রোর ভ্লাদিমির নোভিচ, পানামার অ্যানেট প্লেনেলস, ফ্রান্সিসকো দা সিম বেলো তিমুর-লেস্তের কোস্টা এবং সেশেলসের মে ডি সিলভা।
বৃহস্পতিবার ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘দুর্নীতিকে পরাস্ত করতে এই ধরনের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা সম্মানিত।’
ফিলিপাইনে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলীয় এন্টিক প্রদেশে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে হ্যামটিক শহরের খাদে পড়ে যায় বাসটি।
৫৩ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি ইলোইলো সিটি থেকে প্রাচীন প্রদেশের সান জোসে দে বুয়েনাভিস্তা যাচ্ছিল। এ সময় রাস্তার কংক্রিটের বেষ্টনীর সঙ্গে ধাক্কা লেগে হ্যামটিক শহরের ১৫ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়।
প্রাদেশিক তথ্য দপ্তরের প্রধান জুনলি সায়লো রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ঘটনাস্থলেই ২৫ জন এবং স্থানীয় একটি হাসপাতালে আরও চারজন মারা গেছেন।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এবিএস-সিবিএন জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বাসচালক ও তার সহকারীও রয়েছেন।
প্রাচীন প্রাদেশিক সরকারের বরাত দিয়ে আঞ্চলিক সংবাদপত্র পানায় নিউজ জানিয়েছে, কেনিয়ার এক ব্যক্তিসহ গুরুতর আহত দুই যাত্রীকে চিকিৎসার জন্য ইলোইলো সিটির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জরুরী কর্মীরা জীবিতদের উদ্ধার করছে এবং খাদে পড়ে থাকা লোকজনের লাশ উদ্ধার করছে।
ফের আন্দামান সাগরে ভাসমান ৪০০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধারের আহ্বান জাতিসংঘের
শিগগিরই উদ্ধারকাজ শুরু না করা হলে আন্দামান সাগরে ভাসমান ৪০০ রোহিঙ্গা মুসলমান মারা যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।
সাধারণত বাংলাদেশের অস্বচ্ছল ও জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবির থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশী এসব রোহিঙ্গা মুসলমান ইঞ্জিনের নৌকায় চড়ে সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্ট করে।
গত বছর থেকে খাদ্য রেশনে ঘাটতি এবং শিবিরের অভ্যন্তরে সহিংসতার কারণে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ বেড়ে গেছে।
মঙ্গলবার ইউএনএইচসিআরের ব্যাংককভিত্তিক আঞ্চলিক মুখপাত্র বাবর বালোচ দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ‘এই হতাশ মানুষদের বাঁচানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ না নিলে কমপক্ষে ৪০০ শিশু, নারী ও পুরুষ নিশ্চিতভাবে মারা পড়বে।’
তিনি বলেন, নৌকাগুলো বাংলাদেশ থেকে এসেছে এবং প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সমুদ্রে ভাসছে বলে জানা গেছে।
একটি নৌকার ক্যাপ্টেনের সঙ্গে এপির কথা হয়েছে।
মান নকিম নামের ওই ক্যাপ্টেন বলেন, তার নৌকায় ১৮০ থেকে ১৯০ জন রয়েছে। তাদের কাছে খাবার ও পানি নেই এবং ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সাহায্য না পেলে তার নৌকায় থাকা সবাই মারা পড়বে বলে ভয় পাচ্ছেন তিনি।
রবিবার নকিম বলেন, নৌকাটি থাইল্যান্ডের পশ্চিম উপকূল থেকে ৩২০ কিলোমিটার (২০০ মাইল) দূরে ছিল।
সোমবার থাই নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র অবশ্য বলেছেন, তার কাছে নৌকাগুলো সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।
আঞ্চলিক মুখপাত্র বাবর বালোচ বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ার উত্তরতম প্রদেশ আচেহ থেকে প্রায় একই দূরত্বে ১৩৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীবাহী আরেকটি নৌকা শনিবার সুমাত্রার উপকূলে সাবাং দ্বীপে অবতরণ করেছে। নৌকাটিতে ৫৮ জন শিশু, ৪৫ জন নারী এবং ৩৬ জন পুরুষ ছিল। গত মাসে আরও শতাধিক রোহিঙ্গা আচেহ এসেছে।
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম জাতিগত নিধনের হাত থেকে বাঁচতে বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, হত্যা এবং হাজার হাজার রোহিঙ্গার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এবং তাদের কর্মকাণ্ড গণহত্যা কি না আন্তর্জাতিক আদালত তা বিবেচনা করছে।
সমুদ্রপথে শিবির ছেড়ে যাওয়া বেশিরভাগ অভিবাসনপ্রত্যাশী কাজ পাওয়ার আশায় মুসলিম অধ্যুষিত মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে।
কারণ থাইল্যান্ড তাদের ফিরিয়ে দেয় বা আটক করে এবং আরেক মুসলিম-অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়াও তাদের আটকে রাখে।
বালোচ বলেন, সমুদ্রে ভাসমান নৌকা দুটিকে সহায়তা না করা হলে বিশ্ব ‘আরেকটি ট্র্যাজেডির সাক্ষী হতে পারে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যেমন হয়েছিল। সেসময় এই অঞ্চলের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনাগুলোর একটিতে ১৮০ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা নিখোঁজ হয়েছিল।’
সাহায্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন ২২ নভেম্বর এক প্রতিবেদনে বলেছে, আগের সপ্তাহে ৪৬৫জন রোহিঙ্গা শিশু নৌকায় করে ইন্দোনেশিয়ায় এসেছে এবং সমুদ্র পাড়ি দেওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ৮০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই বছর ৩ হাজার ৫৭০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ত্যাগ করেছে। ২০২২ সালের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২ হাজার। এই বছর ২২৫ রোহিঙ্গা অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে।
যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হয়।
থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৪
থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে মঙ্গলবার বাস দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রাজধানী ব্যাংকক থেকে দক্ষিণের সংখলা প্রদেশের দিকে যাওয়ার পথে প্রাচুয়াপ খিরি খান প্রদেশে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ৪৯ জনকে বহনকারী বাসটি হাট ওয়ানাকর্ন জাতীয় উদ্যানের কাছে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
প্রাচুয়াপ খিরি খান প্রদেশ থাইল্যান্ড উপসাগর ও মিয়ানমার উপসাগরের মধ্যবর্তী একটি উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত।
হুয়ে ইয়াং পুলিশ স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট উইরাপাট কেতেসা বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, চালক হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া চালকের রক্ত পরীক্ষার ফলাফলের জন্য কর্মকর্তারা অপেক্ষা করছেন।’
তিনি আরও বলেন, কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, নিহতদের অধিকাংশই থাই এবং কয়েকজন বার্মিজ।
সাওয়াং রুংরুয়েং রেসকিউ ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, আহত ৩৫ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ফের নিহত ২
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে যাত্রীবাহী বাসে গুলি, নিহত ৯
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে ভারতের চেন্নাইয়ে ভারী বৃষ্টিপাত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ভারতের চেন্নাইয়ে ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দক্ষিণে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে এবং পূর্বে ওড়িশার রাজ্য কর্তৃপক্ষ বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ৯০-১০০ কিলোমিটার (৫৬-৬২ মাইল) বেগে দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
আইএমডির প্রধান কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, মঙ্গলবার বিকালে অন্ধ্র প্রদেশের বাপটলার কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে মিগজাউম।
অন্ধ্র প্রদেশে সরকার সোমবার স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং তামিলনাড়ুর কর্তৃপক্ষ চার জেলায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওড়িশার পূর্ব রাজ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। মঙ্গলবার বৃষ্টিপাত আরও তীব্র হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩০
হিন্দু সংবাদপত্র জানিয়েছে, কর্মকর্তারা অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের উপকূলীয় এবং নিচু গ্রাম থেকে প্রায় ২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে, আরও ৭ হাজার মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরানোর নির্দেশ দিয়েছে।
তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইতে ভারী বৃষ্টিতে রাস্তা ও গাড়ি ডুবে গেছে এবং শহরের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। ট্রেন ও বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের সদস্যরা শহরের নিচু এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিচ্ছে।
রাজ্য সরকার শনিবার জানিয়েছে, নিজস্ব দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী মোতায়েন করেছে তারা। উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ হাজার ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিন বলেছেন, রাজ্য কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে প্রস্তুত এবং জনসাধারণকে ঝড়ের প্রভাব শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে অবস্থান করতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের হরিয়ানায় বিষাক্ত মদ পানে ১৯ জনের মৃত্যু
ভারতে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ৪০
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে যাত্রীবাহী বাসে গুলি, নিহত ৯
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে একটি বাসে জঙ্গিদের গুলিতে দুই সেনাসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এ ঘটনায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আজমত শাহ জানান, শনিবার রাতে উত্তর গিলগিট বালতিস্তান অঞ্চলের কারাকোরাম হাইওয়েতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: আন্দামান সাগরে দুর্ঘটনাকবলিত রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে আঞ্চলিক উদ্যোগের আহ্বান ইউএনএইচসিআরের
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের সংযোগ স্থাপনকারী মহাসড়ক এটি। এ ছাড়া এই মহাসড়কটি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মধ্য দিয়ে চলে গেছে। আগে পাকিস্তানি তালেবান ও অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর উপস্থিতির কারণে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই এলাকা।
বাসটি যাত্রীদের নিয়ে গিলগিট থেকে রাওয়ালপিন্ডি শহরে যাচ্ছিল। এ সময় গুলি করলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয় এবং আগুন লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই চালক নিহত হন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় আলেম মুফতি শের জামানসহ অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গিলগিট বালতিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শামস লোন এই ঘটনাকে 'সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড' বলে অভিহিত করেছেন।
পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার এক বিবৃতিতে এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গিলগিট বালতিস্তানের শান্তি বিঘ্নিত করতে দেওয়া হবে না।’
গিলগিট বালতিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী গুলবার খান জানিয়েছেন, হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখতে এবং এর পেছনে যারা রয়েছে তাদের ধরতে বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি। এদিকে রবিবার এক বিবৃতিতে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপি নামে পরিচিত পাকিস্তানি তালেবানের মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানি এই হামলার পেছনে তার দল জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন।
টিটিপি একটি পৃথক গোষ্ঠী, তবে আফগান তালেবানের মিত্র। তারা গত ১৫ বছর ধরে পাকিস্তানে বিদ্রোহ চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের পরিবর্তে পিটিআইয়ের নতুন প্রধান নির্বাচিত
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ফের নিহত ২
ইমরান খানের পরিবর্তে পিটিআইয়ের নতুন প্রধান নির্বাচিত
কারাবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো নতুন প্রধান নির্বাচিত করা হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) ইমরান খানের সুপারিশের ভিত্তিতে দলীয় প্রধান নির্বাচন করা হয়েছে।
১৯৯৬ সালে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ইমরান খান।
বর্তমানে তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত বুধবার তার আইনজীবী গহর খানকে দলের শীর্ষ পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন।
দলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়াজুল্লাহ নিয়াজি নিশ্চিত করেছেন যে, গহর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এবং দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে ইমরান খানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে উচ্চ-নিরাপত্তা সম্পন্ন কারাগারে স্থানান্তর
পিটিআইয়ের নব নির্বাচিত দলীয় প্রধান উত্তরাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারে সমর্থকদের বলেন, তিনি ইমরান খানের অনুগত প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘ইমরান খানের সাজা বাতিল হলে আমি পদত্যাগ করব।’
গহর খান পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। তার ওয়েবসাইট দেওয়া তথ্যানুসারে তিনি যুক্তরাজ্যের উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন এবং বর্তমানে ইমরান খানের আইনি প্রতিরক্ষা দলের অংশ।
পিটিআইয়ের এক জ্যেষ্ঠ নেতা ওমর আইয়ুব খান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী আত্মীয়ের পরিবর্তে দলের একজন সদস্যকে তার উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা পাকিস্তানের রাজনীতিতে প্রচলিত রীতি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ইমরান খানের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া মানার আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
তিনি এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘তিনি অত্যন্ত উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করেছেন।’
গত বছর ইমরান খানকে দলীয় প্রধান হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত করার পর গত মাসে দলীয় নির্বাচন বাতিল করে পিটিআইকে নেতা নির্বাচনের জন্য ২০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।
দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির দায়ে গত আগস্টে দোষী সাব্যস্ত হন এবং তার দলের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তিনি ২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন। সেই তখন থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা প্রকাশসহ অন্যান্য বিষয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন।
ইমরান খান সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেছিলেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার সঙ্গে জড়িত পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত
কপ-২৮: বিশ্বব্যাপী জলবায়ু প্রতিক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান
জাতিসংঘের (ইউএন) ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (কপ-২৮) সম্মেলনের ২৮তম অধিবেশন শুরু হয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এবার সম্মেলনের আয়োজক। দেশটির দুবাই শহরে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে শুরু হওয়া এ সম্মেলন চলবে আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এই বছরের জলবায়ু সম্মেলনটি বিশেষভাবে বিশ্ববাসীর মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। কারণ গ্লোবাল স্টকটেকের মূল্যায়নের সময় এসে গেছে। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অনুযায়ী এবারই প্রথম বিশ্বের সামগ্রিক অগ্রগতির দ্বিবার্ষিক মূল্যায়নই (স্টকটেক) হচ্ছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে কপ-২৮ এর সভাপতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ আল জাবের বলেন, ‘গ্লোবাল স্টকটেকের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নতুন পথচলা শুরু হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎ কী হবে, এটা থাকবে এবারের সম্মেলনে আলোচনার মূল বিষয়। এটি এমন একটি সিদ্ধান্ত যা কার্যকর করতে, ত্রুটিগুলো সংশোধন করতে এবং ২০৩০ পর্যন্ত পদক্ষেপ নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে।’
আল জাবের বিশ্ব নেতাদের কাছে একটি সমাবেশের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎ বিষয়ে বৈশ্বিক মূল্যায়নের উপর দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এবং এজেন্ডাগুলোতে ঐকমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল কপ-২৮ সম্মেলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এই প্রেসিডেন্সি (সবুজ) অর্থায়ন শুরু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বের দক্ষিণাংশের দেশগুলোর আর উন্নয়ন ও জলবায়ু কর্মকাণ্ডের মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে না।’
তিনি সমাধানের জন্য সব পক্ষকে এগিয়ে আসার এবং ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনের নির্বাহী সেক্রেটারি সাইমন স্টিয়েল বলেন, ‘আমরা ছোট ছোট পদক্ষেপ নিচ্ছি। অস্থিতিশীল বিশ্ব থেকে খুব ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে, বর্তমানে আমরা যে জটিল প্রভাবগুলোর (জলবায়ু পরিবর্তনের) সম্মুখীন হচ্ছি তা সমাধানের সর্বোত্তম প্রতিক্রিয়া তৈরি করার জন্য স্থিতিস্থাপকতার অভাব রয়েছে।’
তিনি দ্রুত প্রাসঙ্গিক পদক্ষেপ নেওয়ার এবং একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সবুজ জ্বালানিতে রূপান্তরের জন্য দৃঢ় আহ্বান জানানোর সময় জাতিসংঘের এই জলবায়ু কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, ‘দেশের মধ্যে এবং এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পর্কে ন্যায়বিচার’ নিশ্চিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও সতর্ক করেছেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫-ডিগ্রি সীমা অতিক্রম করার আগে পৃথিবীর কার্বন নির্গমন সহ্য করার ক্ষমতা শেষ হওয়ার আগে আমাদের হাতে এখনও প্রায় ছয় বছর আছে।’
এবারের কপ-২৮ সম্মেলন পৃথিবী ও সমস্ত মানবজাতির মুখোমুখি থাকা জলবায়ু সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ৭০ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধিকে স্বাগত জানাবে।
আরও পড়ুন: কপ-২৮ এর আগেই জলবায়ু ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
সংসদ সদস্যদের গোলটেবিল বৈঠক: কপ-২৮ এর আগে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ককাস গঠনের প্রস্তাব
ভারতে টানেলে ৪১ শ্রমিক আটকা: খননকাজে ব্যবহৃত যন্ত্র বিকল হওয়ায় উদ্ধারকাজ বন্ধ
ভারতের উত্তরাঞ্চলে একটি ধসে পড়া টানেলে দুই সপ্তাহ ধরে আটকে থাকা ৪১ জন নির্মাণশ্রমিকের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা শনিবার (২৫ নভেম্বর) ফের বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
একদিন আগে নুড়ি পাথর ও ধাতুর ধ্বংসাবশেষের মধ্যে দিয়ে খনন করার সময় ড্রিলিং মেশিনটি ভেঙে যায়। এরপর হাত দিয়ে ধ্বংসাবশেষ অপসারণের কাজ করছিলেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু শনিবার অভিযানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উত্তরাখণ্ড রাজ্যের দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দলকে সহায়তাকারী আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স বলেছেন, কবে আবার খনন কাজ শুরু করা যাবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যন্ত্রটি ভেঙে গেছে। এটা আর মেরামত করা সম্ভব নয়।’
গত ১২ নভেম্বর ভূমিধসে ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের একটি অংশ প্রবেশদ্বার থেকে প্রায় ২০০ মিটার (৬৫০ ফুট) ধসে পড়ে শ্রমিকরা টানেলে আটকা পড়েছেন।
এলাকাটি পাথুরে হওয়ায় ড্রিলিং মেশিন চালানো চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। এর আগে দুবার মেশিন ভেঙে যাওয়ায় উদ্ধারকারী দল আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে পারেনি।
১২ মিটার (৪০ ফুট) ধ্বংসাবশেষের প্রায় ২ মিটার (৬ দশমিক ৫ ফুট) ড্রিল করার পরে মেশিনটি বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩০
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা দেবেন্দ্র পাটওয়াল জানান, উদ্ধারকারীরা খনন করা চ্যানেলে পাইপ ঢুকিয়েছে এবং একটি প্যাসেজওয়ে হিসেবে ব্যবহার করার জন্য ঢালাই করেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬ মিটার (১৫১ ফুট) পাইপ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, শনিবার দুর্ঘটনাস্থলে খাড়াভাবে খননের জন্য ব্যবহৃত একটি নতুন ড্রিলিং মেশিন আনা হয়েছে।
আটকে পড়া লোকদের কাছে পৌঁছানোর বিকল্প পরিকল্পনা হিসেবে খাড়াভাবে খনন করা হচ্ছে এবং উদ্ধারকারীরা পাহাড়ের চূড়ায় যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে ফেলেছে। উদ্ধারকারী দলগুলো আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ১০৩ মিটার (৩৩৮ ফুট) গভীর পর্যন্ত খনন করতে হবে।
কর্তৃপক্ষ আটকে পড়া শ্রমিকদের ৬ ইঞ্চি (১৫-সেন্টিমিটার) পাইপের মাধ্যমে চাল ও মসুর ডাল দিয়ে তৈরি গরম খাবার সরবরাহ করেছে। এর আগে তারা একটি সংকীর্ণ পাইপের মাধ্যমে পাঠানো শুকনো খাবার খেয়ে বেঁচে ছিলেন।
একটি পৃথক পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞসহ এক ডজনেরও বেশি চিকিৎসক দুর্ঘটনাস্থলে তাদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করছেন।
আটকে পড়া শ্রমিকদের বেশিরভাগই সারাদেশ থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক। তাদের অনেকের পরিবার দুর্ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পটি ফেডারেল সরকারের একটি ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ। এটি হিমালয়ের ভঙ্গুর অবস্থাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে, যেখানে ধ্বংসাবশেষের উপরে বেশ কয়েকটি শহর তৈরি করা হয়েছে।
বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রী ও পর্যটক উত্তরাখণ্ডের অনেক হিন্দু মন্দির পরিদর্শন করে। ভবন ও রাস্তাঘাট নির্মাণ অব্যাহত থাকার কারণে বছরের পর বছর এই সংখ্যা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ভারতের হরিয়ানায় বিষাক্ত মদ পানে ১৯ জনের মৃত্যু
ভারতের শ্রীনগরে হাউজবোটে অগ্নিকাণ্ডে ৩ বাংলাদেশি পর্যটক নিহত