������������������
হামাসের আকস্মিক হামলায় ২২ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ফিলিস্তিনের ইসলামিক প্রতিরোধ আন্দোলনের (হামাস) করা আকস্মিক হামলায় কমপক্ষে ২২ ইসরায়েলি নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিন সকাল থেকে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে এবং একইসঙ্গে তাদের কয়েক ডজন সদস্য ইসরায়েলের সীমান্ত শহরে ঢুকে হামলা চালায়।
মিডিয়া আউটলেটগুলো জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন ইসরায়েলিকে হামাস বন্দি করেছে।
যদিও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই তথ্যগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেননি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার অফিস থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে ঘোষণা করেছেন, ‘আমরা যুদ্ধে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমনভাবে এই আঘাত ফিরিয়ে দেব, শত্রুরা যা কল্পনাও করতে পারবে না। শত্রুদের অভূতপূর্ব মূল্য দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: গাজায় বিমান হামলায় আরেক সশস্ত্র কমান্ডার নিহত হয়েছে: ইসরায়েল
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট দেশটির সামরিক রিজার্ভ বাহিনীর একটি গণ খসড়া ঘোষণা করেছেন।
এই ঘটনার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করার জন্য ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ডাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জবাবে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী গাজা উপত্যকার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি এলাকা হামাস জঙ্গিদের দখলে রয়েছে। এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে।’
সোশ্যাল মিডিয়ার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মুখোশধারী সশস্ত্র যোদ্ধারা বন্দুক ও হাতে থাকা রকেট নিয়ে ইসরায়েলের শহরগুলোতে গাড়ি চালাচ্ছে এবং ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ড ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে যে রবিবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: পাসওভারেও থেমে নেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ
গাজায় হামাসের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলা
আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প
জিএফজেড জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস জানিয়েছে, শনিবার আফগানিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
ভূমিকেন্দ্রটির কেন্দ্র ১০ কিলোমিটার গভীরে এবং এর অবস্থান ৩৪ দশমিক ৬২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৬২ দশমিক ০৪ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে বলে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেপালে জোড়া ভূমিকম্পের আঘাত, দিল্লিতেও কম্পন অনুভূত
দেশে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প
মুম্বাইয়ের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৬, আহত ৩৮
ভারতের মুম্বাইয়ে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) একটি ছয়তলা আবাসিক ভবনে আগুন লেগে কমপক্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ অগ্নিকাণ্ডে ৩৮ জন আহত হয়েছেন।
দেশটির ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা অশোক তারাপদে জানিয়েছেন, গোরেগাঁও পশ্চিম জেলার ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আহতদের দুটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগুনের সূত্রপাত নিচতলায় কয়েকটি দোকানে এবং মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়া কয়েকটি ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতের হিমালয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৩১ জনের মৃত্যু
চিফ ফায়ার অফিসার রবীন্দ্র আম্বুলগেকারকে উদ্ধৃত করে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভবনটি ২০০৬ সালে মুম্বাইয়ের একটি বস্তি থেকে স্থানান্তরিত লোকদের থাকার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল এবং এতে সঠিক অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ছিল না।
তিনি বলেন, লিফটের ফাঁকা জায়গা দিয়ে ধোঁয়া ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
ভারতে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। কারণ দেশটির ডেভেলপার ও বাসিন্দারা ভবন নির্মাণ আইন ও নিরাপত্তার নিয়মগুলো লঙ্ঘন করে নির্মাণকাজ করে।
২০২২ সালে নয়াদিল্লিতে একটি চারতলা বাণিজ্যিক ভবনে একটি বিশাল অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০১৯ সালে নয়াদিল্লির একটি ভবনে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে লাগা অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভারতের সিকিমে আকস্মিক বন্যায় নিহত ১৪, নিখোঁজ শতাধিক
ভারতের শিমলায় ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু: মুখ্যমন্ত্রী সুখু
ভারতের হিমালয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৩১ জনের মৃত্যু
ভারতের হিমালয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি শহরগুলোতে বরফ-ঠাণ্ডা বন্যার পানিতে ডুবে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভেসে গেছে ঘরবাড়ি ও সেতু। হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
বুধবার মধ্যরাতের হিমবাহ হ্রদের পানি উপচে পড়ার পর পরই বন্যা শুরু হয়। এতে সিকিম রাজ্যের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধটি ভেঙে যায় এবং তারপরে উপত্যকার নীচের শহরগুলোতে ঢুকে পড়া পানিতে তলিয়ে যায়।
অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাতের এক বছরের মধ্যে এটি উত্তর-পূর্ব ভারতে আঘাত হানা সর্বশেষ প্রাণঘাতী বন্যা ছিল। গত আগস্টে হিমাচল প্রদেশে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে প্রায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। জুলাইয়ে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তর ভারতে দুই সপ্তাহে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
সিকিম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুধবারের বন্যার পর দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং রাজ্য কর্তৃপক্ষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২২ হাজারেরও বেশি মানুষের জন্য ২৬টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করেছে।
উদ্ধারকর্মীরা বৃহস্পতিবারও ২২ জন সৈন্যসহ প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজছেন বলে জানিয়েছে সিকিম রাজ্য সরকার।
রাজ্যের শীর্ষ কর্মকর্তা বিনয় ভূষণ পাঠক জানিয়েছেন, ২৬ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং প্রায় ৩ হাজার পর্যটক এবং ৭০০ ট্যাক্সি চালক বন্যাকবলিত এলাকায় আটকা পড়েছেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারের সহায়তায় আমরা তাদের সরিয়ে নিচ্ছি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ লোনাক হ্রদের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ উষ্ণ জলবায়ু হিমবাহগুলোকে গলিয়ে ফেলছে। ফলে এটি ধারণকারী বাঁধের উপর চাপ সৃষ্টি করে। তবে বুধবার কী কারণে ভাঙনের সূত্রপাত হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিবেদনে ওই এলাকায় আকস্মিক, তীব্র বৃষ্টিপাত এবং মঙ্গলবার বিকালে নেপালের নিকটবর্তী এলাকায় ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পকে কারণ হিসেবে তুলে ধরছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যার পানিতে লাচান উপত্যকার ১১টি সেতু ভেসে গেছে, যার ফলে পাইপলাইনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং চারটি জেলায় ২৭০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
তিস্তা অববাহিকার ডিক্চু ও রংপোসহ বেশ কয়েকটি শহর প্লাবিত হয়েছে এবং চারটি জেলার স্কুল রোববার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ।
রাজ্যের রাজধানী সিকিমকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্তকারী একটি মহাসড়কের কিছু অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বন্যায় বেশ কয়েকটি সেনা ছাউনিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে বেনাপোলে এল ৫০ হাজার ২৮০ ব্যাগ স্যালাইন
সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (পিটিআই) প্রতিবেশি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, চার জন সৈন্যের লাশ পাওয়া গেছে। তবে তারা নিখোঁজ ২২ সৈন্যের মধ্যে ছিলেন নাকি আলাদাভাবে মারা গেছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
বুধবার নিখোঁজ হওয়া এক সৈন্যকে কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করেছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
সেনা বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী উত্তর সিকিমের চুংথাং, লাচুং এবং লাচেন এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের চিকিৎসা সহায়তা এবং ফোন সংযোগ স্থাপন করছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বন্যার পরে রাজ্য কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবে সরকার।
আরও পড়ুন: ভারতের সিকিমে আকস্মিক বন্যায় নিহত ১৪, নিখোঁজ শতাধিক
ভারতের সিকিমে আকস্মিক বন্যায় নিহত ১৪, নিখোঁজ শতাধিক
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য সিকিমের বেশ কয়েকটি শহরে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ নিখোঁজ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সিকিম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবারের বন্যার পরে দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্য কর্তৃপক্ষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২২ হাজারেরও বেশি মানুষের জন্য ২৬টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করেছে।
বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানিয়েছে, ১০২ জন নিখোঁজ রয়েছে।
রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, বন্যায় ১৪ জন মারা গেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিখোঁজদের মধ্যে ২২ জন সেনা সদস্য রয়েছে। বন্যার কারণে কিছু সেনা ক্যাম্প ও যানবাহন কাদায় তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবার নিখোঁজ হওয়া এক সেনা সদস্যকে কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করেছে।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ১১টি সেতু বন্যার পানিতে ভেসে গেছে এবং চারটি জেলার ২৭০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের শিমলায় ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু: মুখ্যমন্ত্রী সুখু
সিকিম রাজ্যের লাচেন উপত্যকায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এবং একটি বাঁধের কিছু অংশ ভেসে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে পড়েছে।
রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, তিস্তার পাড়ের ডিকচু ও রংপোসহ বেশ কয়েকটি শহর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এবং রবিবার পর্যন্ত চারটি জেলার স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের রাজধানী সিকিমের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযোগকারী একটি মহাসড়কের কিছু অংশ ভেসে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বন্যার পরে সরকার রাজ্য কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবে।
আকস্মিক ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধস হতে পারে, যা হাজার হাজার মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। রাজ্যের ১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে এক ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
নিকটবর্তী হিমাচল প্রদেশে গত আগস্টে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
জুলাই মাসে রেকর্ড বৃষ্টিতে উত্তর ভারতে জলাবদ্ধ ও বাড়িঘর ধসে পড়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।
জুন-সেপ্টেম্বরে বর্ষা মৌসুমে ভারতের হিমালয় অঞ্চলে ভূমিধস ও বন্যায় প্রায়ই প্রাণহানি ঘটে।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে এ অঞ্চলে আরও ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানছে।
বুধবারের আকস্মিক বন্যার বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্টের জলবায়ু বিজ্ঞানী জ্যাকব স্টেইনার বলেছেন, ‘এটি দুঃখজনকভাবে সত্যি যে অনিবার্যভাবে এ ধরনের দুর্যোগ বাড়তেই থাকবে।’
এই বছরের শুরুতে স্টেইনারের সংস্থা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, যদি বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তবে হিমালয়ের হিমবাহগুলোর আয়তন ৮০ শতাংশ কমতে পারে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ২০০ মানুষ মারা যায় এবং বিপুল সংখ্যক ঘরবাড়ি পানিতে ভেসে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতে সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত ক্রেন ধসে ১৬ শ্রমিক নিহত
২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ১ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে, ২০২৩ সালে দেশটির অর্থনীতি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হয়।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংক তার ষান্মাষিক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, ঋণ পুনর্গঠন এবং জটিল কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নের অগ্রগতির উপর প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা নির্ভর করে।
বিশ্বব্যাংক মঙ্গলবার তার সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য উন্নত রাজস্ব সংহতি গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২০২৪ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল বিশ্বব্যাংক
দেশটিতে একটি সরকার-নেতৃত্বাধীন কর সংস্কার প্যাকেজ ২০২২ সালের মে থেকে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- নতুন করের প্রবর্তন, বিস্তৃত পরিসরে করের হার ও ভিত্তিগুলো সমন্বয়, কর সংগ্রহের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রভৃতি।
মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারিস এইচ হাদাদ-জারভোস বলেছেন, ‘অর্থনৈতিক সংকটের শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেছে। পুনরুদ্ধারের জন্য আর্থিক ঝুঁকিগুলো মোকাবিলা করার সময় সংস্কারমূলক একটি টেকসই প্রবৃদ্ধির পথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, জনগণের আস্থা তৈরি করতে এবং উন্নততর জনসেবা প্রদানের সঙ্গে ব্যয়ের স্বচ্ছতা এবং ক্রমাগত সংস্কারের মাধ্যমে কর রাজস্ব সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই
দ্বীপপুঞ্জ থেকে ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে সরাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু
দ্বীপপুঞ্জে নিযুক্ত ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অপসারণের বিষয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের অটল থাকবেন এবং প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে নির্বাচনী বিজয় উদযাপনে জড়ো হওয়া তার সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
মুইজ্জু বলেন, তিনি তার নাগরিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মালদ্বীপে থাকা বিদেশি সামরিক বাহিনীর পক্ষে দাঁড়াবেন না।
তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাদের বলেছে যে তারা এখানে বিদেশি সেনার উপস্থিতি চায় না।’
আরও পড়ুন: দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর কারাগারের পরিবর্তে গৃহবন্দী হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন
ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারতের জন্য এটি একটি গুরুতর আঘাত। যেখানে শনিবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনকে ভার্চুয়াল গণভোট হিসাবে দেখা হয়েছিল এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে দ্বীপপুঞ্জে কোনটি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে তাও নির্ধারণের বিষয় ভাবা হয়েছিল।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। দেশের অভ্যন্তরে ভারতকে একটি অনিয়ন্ত্রিত উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছেন মোহাম্মদ মুইজ্জুর এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন তিনি। মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসকে অধিকহারে চীনপন্থী হিসেবে মনে করা হয়।
মালদ্বীপের একটি দ্বীপে সার্বভৌমত্বের প্রতি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর কথিত হুমকি ছিল মুইজ্জুর প্রচারণায় প্রধান বিষয়বস্তু , যা দলটির পক্ষ থেকে বছরের পর বছর ধরে ‘ভারত তাড়ানোর’ কৌশলের অংশ।
অপরদিকে সোলিহ জোর দিয়েছিলেন যে মালদ্বীপে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি শুধুমাত্র দুই সরকারের মধ্যে একটি চুক্তির অধীনে একটি ডকইয়ার্ড তৈরি করার জন্য এবং তার দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা নয়।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী বিরোধী দলীয় প্রার্থী মোহামেদ মুইজ্জু: স্থানীয় গণমাধ্যম
পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাঁর প্রেসিডেন্টের মেয়াদকালে মালদ্বীপকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভের একটি অংশ করে তোলেন। এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপ জুড়ে বাণিজ্য এবং চীনের প্রভাব সম্প্রসারণের জন্য রেলপথ, বন্দর এবং মহাসড়ক নির্মাণের উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইয়ামিনকে রবিবার কারাগার থেকে গৃহবন্দীতে স্থানান্তরিত করা হয়েচে। যা আগামী ১৭ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ইতোমধ্যেই মুইজ্জের প্রচারাভিযানের একটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে।
মালদ্বীপ ভারত মহাসাগরে এক হাজার ২০০টি প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যা পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে প্রধান শিপিং রুটে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
৪০ জনেরও বেশি কানাডীয় কূটনৈতিককে প্রত্যাহার করতে বলেছে ভারত
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, কানাডাকে তার ৪০ জনেরও বেশি কূটনীতিককে প্রত্যাহার করতে বলেছে ভারত সরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লি প্রত্যাহারের জন্য ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে কানাডার ৬২ জন কূটনীতিক রয়েছে এবং এর আগেও নয়াদিল্লি বলেছিল মোট সংখ্যা কমিয়ে ৪১ জনে নামানো উচিত।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কানাডা: ট্রুডো
কানাডার মাটিতে একজন খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার বিষয়ে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে অটোয়ার অভিযোগের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে, ভারত কানাডাকে তার দেশে কূটনৈতিক উপস্থিতি কমাতে বলেছিল।
যদিও ভারত এই দাবিকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সম্প্রতি বলেছেন, কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে ‘হিংসার পরিবেশ’ এবং ‘ভীতি প্রদর্শনের পরিবেশ’ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বিশাল কৌশলগত গুরুত্বের তুলনায় কানাডার স্বার্থ ফিকে: বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি
'ফাইভ আইজ' দেশগুলোর গোয়েন্দা তথ্য কানাডাকে শিখ হত্যার সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করতে সাহায্য করেছে: মার্কিন কূটনীতিক
দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর কারাগারের পরিবর্তে গৃহবন্দী হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুইজ্জু জয়ী হওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করে কারাগারে বন্দী মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে রবিবার গৃহবন্দী হিসেবে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ইয়ামিন ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঘুষ ও অর্থ পাচারের দায়ে কারাভোগ করছেন। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জের অনুরোধে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ তাকে বদলির আদেশ দিয়েছেন।
নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু ১৭ নভেম্বর শপথ নেবেন।
দেশটির নির্বাচন কমিশন শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল রবিবার (১ অক্টোবর) প্রকাশ করেছে। এতে মুইজ্জু পেয়েছেন ৫৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ ভোট এবং সোলিহ পেয়েছেন ৪৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ ভোট। এর আগে সেপ্টেম্বরের শুরুতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে আটজন প্রার্থীর কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচনটিকে একটি ভার্চুয়াল গণভোট বলে মনে করা হয়েছিল। একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব-পশ্চিম শিপিং রুট বরাবর কৌশলগতভাবে অবস্থিত ভারত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ দেশ হিসেবে এর উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে আঞ্চলিক শক্তি চীন বা ভারত।
চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত মুইজ্জু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সৈন্য সরিয়ে নেবেন এবং দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখবেন।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা
মালদ্বীপের অনেক নাগরিককে আশ্রয় দেওয়া ভারত মনে করে যে দেশটি তার প্রভাবের অঞ্চলে অবস্থিত। ইয়ামিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মালদ্বীপকে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে চীন। এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপ জুড়ে বাণিজ্য এবং চীনের প্রভাব সম্প্রসারণের জন্য রেলপথ, বন্দর এবং মহাসড়ক নির্মাণের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চীন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুইজ্জুকে নির্বাচনে জয়লাভ করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি বলেন, 'ভারত-মালদ্বীপ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের সামগ্রিক সহযোগিতা বাড়াতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্রও মুইজ্জুকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী বিরোধী দলীয় প্রার্থী মোহামেদ মুইজ্জু: স্থানীয় গণমাধ্যম
দিল্লিতে 'কূটনৈতিক সহায়তার অভাবে' আফগান দূতাবাস বন্ধ
আফগান দূতাবাস জানিয়েছে, ভারতে কূটনৈতিক সমর্থনের অভাব এবং কাবুলে একটি স্বীকৃত সরকারের অনুপস্থিতির কারণে রবিবার থেকে নয়া দিল্লিতে এটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, তবে আফগান নাগরিকদের জরুরি কনস্যুলার সেবা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের জন্য উপলব্ধ কর্মী এবং সংস্থান উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, এতে কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।’
২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলকারী তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। দুই বছর আগে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগে কাবুল থেকে তাদের নিজস্ব কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে এখন আর কূটনৈতিক উপস্থিতি নেই।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৬ জন আহত
নয়া দিল্লিতে আফগান দূতাবাসটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির পূর্ববর্তী সরকারের নিযুক্ত কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি, তবে গত সপ্তাহে এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, আফগান রাষ্ট্রদূত বেশ কয়েক মাস আগে ভারত ত্যাগ করেছেন এবং অন্যান্য আফগান কূটনীতিকরা আশ্রয় পাওয়ার পরে তৃতীয় কোনো দেশে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।
ভারত বলেছে, তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা জাতিসংঘের নেতৃত্ব অনুসরণ করবে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভয়াবহ পঙ্গপালের বিষয়ে সতর্কতা জারি জাতিসংঘের
আফগান দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ভারত সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চেয়েছিল যাতে ভারতে বসবাসকারী, কাজ করা, পড়াশোনা করা ও ব্যবসা করা আফগানদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভারতে নিবন্ধিত প্রায় ৪০ হাজার শরণার্থীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশই আফগান। তবে এই পরিসংখ্যানে যারা জাতিসংঘে নিবন্ধিত নন তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
গত বছর ভারত আফগানিস্তানে গম, ওষুধ, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং শীতবস্ত্রসহ ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছিল।
গত বছরের জুনে কাবুলে তাদের দূতাবাসে কর্মকর্তাদের একটি দল পাঠিয়েছিল ভারত।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা বন্ধে বিশ্ব নীরব: প্রধানমন্ত্রী