আফ্রিকা
প্রবল বৃষ্টিতে ব্রাজিলে ৩৬ জনের মৃত্যু
প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ব্রাজিলের উত্তর সাও পাওলো রাজ্যে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা বলেছেন, প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সাও পাওলো রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাও সেবাস্তিয়াও শহরে ৩৫ জন মারা গেছেন এবং পাশ্ববর্তী উবাতুবাতে ৭ বছর বয়সী একটি মেয়েশিশু মারা গেছে।
সাও সেবাস্তিয়াও, উবাতুবা, ইলহাবেলা ও বার্টিওগার শহরগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকার কার্নিভাল উৎসব বাতিল করা হয়েছে।
কারণ উদ্ধারকারী দলগুলো ধ্বংসস্তূপে নিখোঁজ, আহত ও মৃতদের খোঁজে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
সাও সেবাস্তিয়াওর মেয়র ফেলিপ অগাস্টো বলেছেন, ‘আমাদের উদ্ধারকারী দলগুলো বেশ কয়েকটি স্থানে পৌঁছাতে পারছে না। সবমিলিয়ে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, কয়েক ডজন লোক নিখোঁজ রয়েছে এবং ভূমিধসের কারণে শহরের কমপক্ষে ৫০টি বাড়ি ধসে পড়েছে।
অগাস্টো সোশ্যাল মিডিয়ায় তার শহরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের বেশ কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এক টুইটে বলেছেন, সোমবার তিনি দুর্ঘটনাকবলিত অঞ্চলটি পরিদর্শন করবেন।
সাও পাওলো রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত একদিনে ৬০০ মিলিমিটার (২৩.৬ ইঞ্চি) ছাড়িয়ে গেছে।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, শুধুমাত্র বার্টিওগাতেই ৬৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গভর্নর টারসিসিও দে ফ্রেইতাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি সেনাবাহিনীর কাছে সাহায্যের অনুরোধ করেছেন। তারা এই অঞ্চলে দুটি বিমান এবং উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে।
টিভি ফুটেজে দেখা গেছে বাড়িগুলো ডুবে গেছে এবং শুধু সেগুলোর ছাদ দেখা যাচ্ছে। বাসিন্দারা জিনিসপত্র এবং মানুষদের উঁচু স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছোট নৌকা ব্যবহার করছেন।
বন্দরনগরী সান্তোসের সঙ্গে রিও ডি জেনিরোকে সংযোগকারী একটি রাস্তা ভূমিধস ও বন্যার পানিতে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বড় শহরগুলোর পার্টি থেকে নিরিবিলি কাটাতে পছন্দ করেন, এমন ধনী পর্যটকরা কার্নিভালে সাও পাওলো রাজ্যের উত্তর উপকূলে প্রতিবছরই বেড়াতে যান।
বুরকিনা ফাসোতে চরমপন্থীদের হাত থেকে ৬৬ নারী-শিশু মুক্ত
বুরকিনা ফাসোর উত্তর সাহেল অঞ্চলে চলতি মাসের শুরুতে খাবার সংগ্রহ করার সময় ইসলামী উগ্রপন্থীদের হাতে অপহৃত ৬৬ নারী ও শিশুকে মুক্ত করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
জাতীয় সম্প্রচারকারী আরটিবি জানিয়েছে যে সশস্ত্র বাহিনী দেশটির উত্তরাঞ্চলের কেন্দ্রে একটি সামরিক অভিযানের সময় জিম্মিদের সনাক্ত করেছে। দলটিতে ৩৯ জন নারী ও চারটি শিশু রয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার রাজধানীতে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১০০
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ১২ ও ১৩ জানুয়ারি তারা সৌম প্রদেশের আরবিন্দা শহরের কাছে বন্য ফল সংগ্রহের জন্য গ্রামাঞ্চলে থাকাকালীন ইসলামী চরমপন্থীদের দ্বারা অপহরণের শিকার হন।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, চরমপন্থীরা পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির আশেপাশের শহরগুলোকে ঘিরে রেখেছে, মানুষের চলাচল এবং পণ্যগুলোর অবাধ সরবরাহে বাধা দিচ্ছে। আরবিন্দা শহরটি বছরের পর বছর ধরে জিহাদি অবরোধের মধ্যে রয়েছে। নারীরা চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে আক্রমণের জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত জিহাদি সহিংসতা বুর্কিনা ফাসোকে গ্রাস করেছে, হাজার হাজার হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে এবং পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে প্রায় দু্ই মিলিয়ন লোককে বাস্তুচ্যুত করেছে। যুদ্ধ থামাতে ধারাবাহিক সরকারের ব্যর্থতা ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে এবং ২০২২ সালে দু’বার সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে।
নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেপ্টেম্বরে যে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করে, তারা এখনও সহিংসতা থামাতে লড়াই করছে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় ৭ বন্দুকধারী নিহত
নাইজেরিয়ায় ৭ বন্দুকধারী নিহত
নাইজেরিয়ার কেন্দ্রীয় রাজ্য নাইজারে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কমপক্ষে সাত জন বন্দুকধারী নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের রাজধানী মিন্নায় দেশটির স্থানীয় পুলিশ প্রধান ওগুন্ডেল আয়োদেজি সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানান,‘আমরা কুম্বাশি গ্রামে দস্যুদের পরিকল্পিত আক্রমণের বিষয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন পেয়েছি। এজন্য তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আমাদের কর্মীদের একত্রিত করেছি।’
তিনি বলেন, সামরিকভাবে দক্ষ পুলিশের সদস্য ও স্থানীয় বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদল গ্রামের কাছাকাছি গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে ও কয়েকজন বন্দুকধারী গুলিতে আহত হয়ে পালিয়ে যায়।
আয়োদেজি আরও জানান, দুই শিকারি আহত হলে তাদের চিকিৎসার দিতে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য,নাইজেরিয়ার কিছু অংশে সশস্ত্র হামলা একটি সাধারণ নিরাপত্তা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে মৃত্যু ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় ৭ বন্দুকধারী নিহত
মিশরের নীল ডেল্টায় খালে বাস পড়ে ২১ জনের মৃত্যু
ভিক্টোরিয়া হ্রদে ৪৩ জন যাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত
মিশরের নীল ডেল্টায় খালে বাস পড়ে ২১ জনের মৃত্যু
মিশরের নীল নদের ডেল্টা অঞ্চলে খালে বাস পড়ে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে।
শনিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ড. শেরিফ মাকেন বলেছেন, নিহতদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী কায়রো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) উত্তর-পূর্বে দাকাহলিয়া প্রদেশে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। অন্যান্য আহত যাত্রীদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
প্রদেশটির পুলিশের তদন্ত বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার মো. মোহাম্মদ আবদেল হাদি বলেন, চালক হয়তো গাড়ির স্টিয়ারিং-এর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল।
দেশটির পরিবহন নিরাপত্তার রেকর্ড খারাপ হওয়ায় মারাত্মক ট্রাফিক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর মিশরে হাজার হাজার প্রাণ ঝরে যায়। বেশিরভাগ সংঘর্ষ এবং দুর্ঘটনা ঘটে খারাপ রাস্তা বা ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ এবং দ্রুতগতির কারণে।
জুলাই মাসে, দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ মিনিয়ায় একটি হাইওয়েতে একটি যাত্রীবাহী বাস একটি পার্ক করা ট্রেলার ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ২৩ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, অক্টোবরে ডাকাহলিয়ায় একটি ট্রাক একটি মিনিবাসকে ধাক্কা দেয়। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
রোহিঙ্গা নির্যাতন: আন্তর্জাতিক আদালতে মিশরের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
ভিক্টোরিয়া হ্রদে ৪৩ জন যাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত
তানজানিয়ার ভিক্টোরিয়া হ্রদে রবিবার সকালে ৪৩ জন যাত্রী নিয়ে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ডুবে গেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপকূলীয় শহর দার এস সালাম থেকে প্রিসিসন এয়ারের ফ্লাইটে থাকা ৪৩ জনের মধ্যে ২৬ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
প্রিসিসন এয়ার তানজানিয়ার একটি এয়ারলাইন কোম্পানি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সুদানে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১৭
স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিমানটির বেশিরভাগ অংশই হ্রদে ডুবে গেছে।
কাগেরা প্রদেশের পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম এমওয়াম্পাগালে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বেশ কয়েকজনকে বাঁচাতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘যখন বিমানটি হ্রদের প্রায় ১০০ মিটার (৩২৮ ফুট) ওপর দিয়ে যাচ্ছিল, তখন এটি খারাপ আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়। সে সময় বৃষ্টি হচ্ছিল এবং বিমানটি পানিতে তলিয়ে যায়। ’
এমওয়াম্পাঝালে আরও বলেন, তবে এখন সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে।
আরও পড়ুন: কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১৫
নেপালে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৩
খরায় কেনিয়ায় কয়েকশ’ হাতি ও জেব্রার মৃত্যু
কেনিয়ার ভয়াবহ খরা চলছে। চলতি বছর পূর্ব আফ্রিকার বেশিরভাগ অঞ্চল গত কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ খরার মুখে পড়েছে। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে হাতি ও জেব্রার মতো কয়েকশ’ বন্যপ্রাণী মারা গেছে।
শুক্রবার কেনিয়ার বন্যপ্রাণী পরিষেবা এবং অন্যান্য সংস্থা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নজিরবিহীন খরায় কেনিয়ায় ২০৫টি হাতিসহ বহু বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত হাতি ছাড়াও, ৫১২টি নু-হরিণ, ৩৮১টি জেব্রা, ১২টি জিরাফ ও ৫১টি মহিষসহ আরও অনেক বণ্যপ্রাণী মারা গেছে।
কেনিয়ার কিছু অংশে গত দুই বছরে অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের সঙ্গে পরপর চারবার খরা হয়েছে। যা গবাদি পশু সহ মানুষ ও প্রাণীদের জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।এর সঙ্গে পানির ঘাটতির বন্যপ্রাণীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার রাজধানীতে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১০০
প্রতিবেদন লেখকদের মতে, দেশটির পর্যটক আকর্ষণের কিছু জাতীয় উদ্যানেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে-আম্বোসেলি,সাভো ও লাইকিপিয়া-সাম্বুরু অঞ্চল।
জানা গেছে,সেখানে বন্য প্রাণীদের ওপর খরার প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সরকারের উদ্দেশে বন্যপ্রাণীদের জন্য জরুরি বায়বীয় আদমশুমারির আহ্বান জানিয়েছে।
অ্যালিফ্যান্ট প্রতিবেশি কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক জিম জাস্টাস নাইমু’র মতে,বিশেষজ্ঞরা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে দ্রুত পানি ও লবণ ছড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।
উদাহরণস্বরূপ, হাতিরা প্রতিদিন ২৪০ লিটার (৬৩.৪০ গ্যালন) পানি পান করে।
এছাড়া গ্রেভির জেব্রার জন্য বিশেষজ্ঞরা খড়ের ব্যবস্থা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: চাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ৬০
প্রবল বর্ষণে নাইজারে ১৭৯ জন নিহত
সোমালিয়ার রাজধানীতে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১০০
সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দেশটির রাজধানীর একটি ব্যস্ত সড়কের মোড়ে দুটি গাড়ি বোমা হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে এবং নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ বিস্ফোরণস্থলে এক বিবৃতিতে রবিবার ভোরে সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় ৩০০ জন আহত হয়েছেন।
২০১৭ সালের অক্টোবরে একই স্থানে একটি ট্রাক বোমা হামলায় ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর এটি ছিল সোমালিয়ায় সবচেয়ে মারাত্মক হামলা।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার রাজধানীতে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৩০
সোমালিয়ার সরকার আল-কায়েদা অনুষঙ্গী আল-শাবাব চরমপন্থী গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে, যারা প্রায়ই রাজধানীকে লক্ষ্য করে থাকে। যখন বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষ নিহত হয় তখন গোষ্ঠীটি দায় স্বীকার করে না।
এই বছর নির্বাচিত সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশটি আল-শাবাবের সঙ্গে যুদ্ধে রয়েছে এবং ‘আমরা জয়লাভ করছি’। সরকার মিলিশিয়া গ্রুপের সঙ্গে দেশের বড় অংশ দখলকারী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে এক নতুন অভিযানে নিযুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৭৩
সোমালিয়ায় প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮
সোমালিয়ার রাজধানীতে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৩০
সোমালিয়ার রাজধানীতে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিসের কাছে সড়কের ব্যস্ত মোড়ে শনিবার দুটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরিত হলে শিশুসহ বহুসংখ্যক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। বিষয়টি দেশটির জাতীয় পুলিশ জানিয়েছে।
একজন হাসপাতাল কর্মী অন্তত ৩০টি মরদেহ গুনেছেন বলে জানান। তিনি আশঙ্কা করছেন যে এই সংখ্যা আরও বেশি হবে।
রাজধানী মোগাদিশুতে এই বিস্ফোরণ এমন এক দিনে ঘটে যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলায় সম্প্রসারিত প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করছিলেন। আল-কায়েদা অনুষঙ্গী আল-শাবাব দলটি প্রায়শই রাজধানীকে লক্ষ্য করে থাকে। একই স্থানে আরেকটি বড় বিস্ফোরণে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পাঁচ বছর পর ঘটনাটি ঘটেছে।
তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় কেউ নেয়নি। ২০১৭ সালের ওই বিস্ফোরণের মতো আল-শাবাব খুব কমই বড় সংখ্যক বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার হামলার দাবি করে থাকে। তবে প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ এই হামলাকে নিষ্ঠুর ও কাপুরুষোচিত বলে অভিহিত করে আল-শাবাবকে দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার রাজধানীতে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১০০
মদিনা হাসপাতালে এক স্বেচ্ছাসেবক হাসান ওসমান বলেন, ‘হাসপাতালে আনা অন্তত ৩০ জন মৃত ব্যক্তির মধ্যে বেশিরভাগই নারী৷ এটা আমি নিজের চোখে দেখেছি।’
হাসপাতাল ও অন্য স্থানে, উন্মত্ত আত্মীয়রা প্লাস্টিকের ব্যাগে (লাশ রাখার ব্যাগ) বারবার উঁকি দিয়ে প্রিয়জনকে খুঁজতে দেখা গেছে।
আমিন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে যে তারা অন্তত ৩৫ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়েছেন।
অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের পরিচালক আবদুলকাদির আদান এক টুইটে বলেন যে প্রথম বিস্ফোরণে যখন একটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে যায় তখন দ্বিতীয় বিস্ফোরণে ওই গাড়িটি হামলার শিকার হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদিরাজাক হাসান বলেন, ‘দ্বিতীয় বিস্ফোরণের সময় আমি ১০০ মিটার দূরে ছিলাম। মৃত্যুর (সংখ্যা) কারণে আমি মাটিতে মৃতদেহ গুণতে করতে পারিনি।’
আরও পড়ুন: সোমালিয়ায় হোটেলে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বেড়ে ২০
তিনি আরও বলেন, প্রথম বিস্ফোরণটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়ালে আঘাত হানে। যেখানে সড়কে নানা বিক্রেতা ও মানি চেঞ্জারদের অবস্থান।
ঘটনাস্থলে থাকা একজন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) সাংবাদিক জানান, দুপুরের খাবারের সময় একটি ব্যস্ত রেস্তোরাঁর সামনে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণে অনেক রেস্তোরাঁ ও হোটেল এলাকায় টুক-টুক ও অন্যান্য যানবাহন ধ্বংসের শিকার হয়। তিনি বেশ কয়েকটি মৃতদেহ দেখেন এবং বলেন যে তাদের গণপরিবহনে ভ্রমণকারী বেসামরিক মানুষ বলে মনে হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ায় প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছে বিস্ফোরণে নিহত ৮
চাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ৬০
চাদের নিরাপত্তা বাহিনী দেশটির দুটি বড় শহরে বৃহস্পতিবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালালে অন্তত ৬০ জন নিহত হয়। বিষয়টি সরকারের এক মুখপাত্র ও মর্গের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
মধ্য আফ্রিকার দেশটিতে অন্তর্বর্তী নেতা মহামত ইদ্রিস দেবির ক্ষমতার দুই বছরের মেয়াদ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ফলে সৃষ্ট এই সহিংসতার পরে কর্তৃপক্ষ কারফিউ জারি করে।
চাদ সরকারের মুখপাত্র আজিজ মহামত সালেহ বলেন, রাজধানী এনজামেনায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই সংখ্যা ৪০ হবে।
শহরের মর্গের একজন কর্মকর্তা জানান, চাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাউন্ডুতে আরও ৩২ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন। বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা বলেন, ৬০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় কারফিউ উপেক্ষা করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত
অন্যান্য বিক্ষোভ দেশটির ডোবা ও সারাহ শহরে সংঘটিত হয়।
তিন দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার পর দেবির বাবার হত্যাকাণ্ডের পর তিনি গত বছর দায়িত্ব নেন। সেসময় থেকে এটিই হচ্ছে বড় আকারের মারাত্মক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ।
কর্মকর্তারা বলেন, প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস দেবি ইতনো ২০২১ সালের এপ্রিলে দেশটির উত্তরাঞ্চলে যুদ্ধক্ষেত্রে চাদ সেনাদের সঙ্গে দেখা করার সময় বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হন।
এনজামেনার প্রধান হাসপাতালে, বন্দুকের গুলিতে আহত অনেক ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিতে হিমিশিম খেয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানন, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে লিবার্টি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাদের ওপর নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কাজাখস্তানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৬৪
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও বলেন, বিক্ষোভকারীরা এনজামেনার রাজধানী জুড়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত ৩ টার দিকে জড়ো হতে থাকে। পুলিশ ভিড় লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়লেও বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে আসতে থাকে এবং তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তখনই নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়, বিক্ষোভকারীরা কাঁদানে গ্যাসের মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদের জড়ো করতে লড়াই করে।
নিহতদের মধ্যে একজন চাদ সাংবাদিক নার্সিস ওরেজে আছেন। যিনি সিইএফওড রেডিওতে কাজ করতেন এবং এক বুলেট আঘাতে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত ১, আহত ১৩
প্রবল বর্ষণে নাইজারে ১৭৯ জন নিহত
নাইজারে চলতি বছরের জুন থেকে হওয়া প্রবল বর্ষণে মোট ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দেশটির জেনারেল ডিরেক্টরেট অব সিভিল ডিফেন্স এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, সাধারণ নাগরিকদের বাড়িঘর ডুবে যাওয়া বা ভেঙে পড়ার কারণে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, এ অঞ্চলের অধিকাংশের বাড়ি মাটি দিয়ে তৈরি।
আরও পড়ুন: বন্যায় চীনে লোহার খনিতে ১৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১
দেশটির মানবিক সেবা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে জিন্ডার এলাকার অ্যাঙ্গুয়াল জুলুর জনগণের জন্য ১৮৫ ব্যাগ চাল, ১৮৫ ব্যাগ ভুট্টা এবং ১৬৬ ব্যাগ মটরশুটির দানা খাদ্য সহায়তা দিয়েছে।
২০২১ সালে গ্রীষ্মকালীন বৃষ্টিপাতে নাইজারে কমপক্ষে ৭৭ জনের মৃত্যু হয় এবং কমপক্ষে দুই লাখ ৫০ হাজার ৩৩১ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১২শ’ ছাড়িয়েছে
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় নিহত ৯