���������������������
দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে মূল আলোচনা শুরু
উন্নয়নশীল বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশের নেতারা দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে বুধবার তাদের মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। যদিও এর একদিন আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এটিকে পশ্চিমা বিরোধী বলে যে আভাস দিয়েছিলেন, কর্মকর্তারা তা এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত উদীয়মান অর্থনীতির গ্রুপ ব্রিকসের সম্প্রসারণ ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। ব্রিকস গঠনের পর পেরিয়ে গেছে এক দশকেরও বেশি সময়।
কর্মকর্তারা বলছেন, ২০টিরও বেশি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এই গ্রুপে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে সৌদি আরব সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দেশ।
কোভিড-১৯ মহামারির পর সশরীরে গ্রুপের বৈঠকের জন্য প্রথমবারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ ব্লকের চার নেতা জোহানেসবার্গে রয়েছেন। ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।এ কারণে তিনি সশরীরে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না। তবে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকছেন।
মঙ্গলবার শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে প্রচারিত রাশিয়ান নেতার পূর্বে ধারণ করা ১৭ মিনিটের ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের শাস্তি হিসেবে রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পশ্চিমাদের তিরস্কার করেন।
তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেনকে তার কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো থেকে শস্য বহনের অনুমতি দেওয়ার একটি সমালোচনামূলক চুক্তি গত মাসে থামিয়েছিল রাশিয়া। তবে রাশিয়ার শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সেটি পুনঃস্থাপন করা হবে না।
জোহানেসবার্গে তিন দিনের চলমান আলোচনায় ব্রিকস কর্মকর্তারা রাশিয়া ও চীনের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে যেন গ্রুপটি পশ্চিমা বিরোধী না হয় সে পরামর্শ দিয়েছিলেন। পুতিন তার ভাষণে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক বিষয়কে সম্মেলনের কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছিলেন।
চীনের প্রধান নেতা শির বক্তব্য পাঠ করেন দেশটির একজন মন্ত্রী। এতে মার্কিন-চীন অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বের দিকে ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া ‘নতুন শীতল যুদ্ধ’ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে এতে।
আরও পড়ুন: ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে এজেন্ডাগুলোর অগ্রগতির আশা করছে রাশিয়া ও চীন
কর্মকর্তারা বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বুধবার শীর্ষ সম্মেলনের মূল পর্বের আলোচনার আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে জোহানেসবার্গের সাবারবানে নৈশভোজে আলোচনা শুরু করেছেন। রাশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এ ছাড়া পুতিনও সেই নৈশভোজে আলোচনায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
ব্রিকস সম্প্রসারণের পদক্ষেপকে পাঁচজন নেতাই নীতিগতভাবে সমর্থন করেছেন। যদিও নতুন সদস্যদের যোগদানের জন্য কী কী শর্ত পূরণ করতে হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
ব্রিকস একটি ঐকমত্যের সংস্থা এবং পাঁচটি সদস্য দেশকে যেকোনো সম্প্রসারণের আগে অবশ্যই একমত হতে হবে।
সদস্যদের অসম অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রাধিকার এবং চীন ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে এই ব্লক কখনো কখনো কোনো নীতিগতভাবে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।
সম্প্রসারণের পাশাপাশি, ব্রিকস সদস্যদের একটি বিস্তৃত অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণের কথাও রয়েছে, যার মাধ্যমে ব্লক মার্কিন ডলারভিত্তিক বাণিজ্য থেকে বেরিয়ে আসতে চায়।
বিশ্বের প্রভাবশালী মুদ্রা থেকে বেরিয়ে আসার যে ঘোষণা গ্রুপটি দিয়েছে, তাতে রাতারাতি ডলারের পতন ঘটাবে না। এ ছাড়া ঘোষণাটি বাস্তবায়নের জন্য এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট চুক্তি করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে হাসিনা-মোদির সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ফেডারেল রিজার্ভের গবেষকদের গণনা অনুসারে, ১৯৯৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডলারে বাণিজ্য হয়েছে আমেরিকায় ৯৬ শতাংশ এবং এশিয়ায় ৭৪ শতাংশ এশিয়ায়। ইউরোপের বাইরে অন্য সব জায়গায় ৭৯ শতাংশ বাণিজ্য ডলারে করা হয়, যা ডলারকে বিশ্বের প্রধান মুদ্রার মর্যাদা দেয়।
এখনো প্রভাবশালী এ ডলার উন্নয়নশীল বিশ্বের যন্ত্রণা হয়ে রয়েছে। বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলের অনেকের অভিযোগ, জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্বার্থ দেখে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন ও রাশিয়া তাদের নিজস্ব এজেন্ডাগুলোর সুবিধা নিতে পেরে বেশি খুশি। কিন্তু তারা এটাও লক্ষ্য করে যে ২০টিরও বেশি উন্নয়নশীল দেশ ব্রিকসে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে এবং অন্তত আরও ২০টি আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
চায়না গ্লোবাল সাউথ প্রকল্পের কোবাস ভ্যান স্ট্যাডেন বলেন ‘ব্রিকস ব্লকের অর্জন যাই হোক না কেন, এর অস্তিত্ব ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির সারিতে যোগদানের চেষ্টা করা বর্তমান বৈশ্বিক ব্যবস্থায় দক্ষিণাঞ্চলের অসন্তোষকে তুলে ধরে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই অসন্তুষ্টি তাদের চীনের চারপাশে জড়ো হওয়ার কারণ হবে কি না তা একটি ভিন্ন বিষয়।‘
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
লিবিয়ায় আধা সামরিক দুই বাহিনীর সংঘর্ষে ২৭ জন নিহত
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে প্রতিদ্বন্দ্বী আধা সামরিক দুই বাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) এই সংঘর্ষ হয় বলে সেখানকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এই সংঘষের কারণে সেখানকার বাসিন্দারা ঘর থেকে বের হতে পারেনি।
ত্রিপোলির এক কর্মকর্তা জানান, চলতি বছরে ত্রিপোলিতে এটিই সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ হয়েছে। কেঁপে উঠেছে ত্রিপোলি। সেখানে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। তবে তারা ওই দুই বাহিনীর সদস্য না কি বেসামরিক লোক তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার গভীর রাতে ৪৪৪ ব্রিগেড এবং স্পেশাল ডিটারেন্স ফোর্সের মিলিশিয়াদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মঙ্গলবার সকালে ৪৪৪ ব্রিগেডের একজন সিনিয়র কমান্ডার মাহমুদ হামজাকে ত্রিপোলির একটি বিমানবন্দরে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের সসস্যরা আটক করার পর থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, এই সংঘর্ষে ১০০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। জরুরি সেবা দিতে লিবিয়ার ইমার্জেন্সি মেডিসিন অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কঙ্গোতে ভূমি অধিকার ও কর নিয়ে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত ১০
নিহতদের মধ্যে কতজন আধাসামরিক দুই বাহিনীর সদস্য আর কতজন বেসামরিক লোক তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে স্থানীয় রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষের সময় অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবাদানকারীদের প্রাথমিকভাবে শহরের দক্ষিণে এবং যেসব এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে সেসব এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দিতে উভয় পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।একই সঙ্গে কাছের হাসপাতালগুলোতে রক্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনুরোধও জানায়।
এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির একটি সংগঠন ওপিএসজিগ্রুপ জানায়, সংঘর্ষের কারণে সোমবার গভীর রাতে ত্রিপোলি থেকে বিপুল সংখ্যক উড়োজাহাজ বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো নিকটবর্তী শহর মিসরাতাতে অবতরণ করেছে।
লিবিয়ায় প্রায় এক দশকের গৃহযুদ্ধের পর কয়েক মাস তুলনামূলক শান্তির পর এই সংঘর্ষ হলো। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শসস্ত্র বাহিনী রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ত্রিপোলিতে সহিংসতার বেশ কয়েকটি ঘটনার জন্ম দিয়েছে দীর্ঘস্থায়ী এ বিভাজন। যদিও বেশিরভাগই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে লিবিয়ায় জাতিসংঘের মিশন বলেছে, তারা নিরাপত্তা লঙ্ঘন ও সাময়িক প্রশমনের ঘটনা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে এবং চলমান সংঘর্ষের অবিলম্বে সমাপ্তির আহ্বানও জানিয়েছে।
মঙ্গলবার পৃথক বিবৃতিতে লিবিয়ার উভয় পক্ষ ষংঘর্ষের নিন্দা জানায়। পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজিতে অবস্থিত হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস সহিংসতার জন্য তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ত্রিপোলি-ভিত্তিক সরকারকে দায়ী করেছে।
লিবিয়ায় অবস্থিত মার্কিন ও ব্রিটিশ দূতাবাস সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। লিবিয়ায় সাম্প্রতিক স্থিতিশীলতা এবং নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে তাদের অর্জন ধরে রাখতে সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
তেল সমৃদ্ধ দেশটি ২০১৪ সাল থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে প্রশাসনিকভাবে বিভক্ত হয়েছে। প্রতিটি অংশে সুসংগঠিত শসস্ত্র বাহিনী রয়েছে এবং বিভিন্ন বিদেশি সরকার তাদের সমর্থন করেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে কারাগারে দাঙ্গায় নিহত ৫
কঙ্গোতে ভূমি অধিকার ও কর নিয়ে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত ১০
ভূমি অধিকার ও কর নিয়ে আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বন্দুকধারী ও অস্ত্র সজ্জিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী কমপক্ষে ১০ জনকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
সহিংসতার ঘটনাটি একটি গভীরতর সঙ্কটের সর্বশেষ চিত্র। যা বিরাট মধ্য আফ্রিকান দেশটির অপর প্রান্তে সংঘাতে ছেয়ে গেছে।
প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র অ্যাডেলার্ড এনকিসির জানিয়েছে, শুক্রবার রাজধানী কিনশাসা থেকে ২৩০ মাইল (৩৭০ কিলোমিটার) দক্ষিণে ইপঙ্গি গ্রামে মোবন্ডো নামে পরিচিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী বেসামরিক লোকদের উপর হামলা করে এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
এনকিসি বলেন, মিলিশিয়া সদস্যরা বেশ কিছু লোককে বেঁধে অপহরণ করেছিল, বিশেষ করে যারা ঝোপের মধ্যে পালিয়েছিল। প্রাদেশিক সরকার ওই এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল: ইরাকের নাদিয়া মুরাদ ও কঙ্গোর ডেনিস মুকওয়েজ
২০২২ সালের জুন মাসে কঙ্গোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জমির অধিকার এবং প্রথাগত ট্যাক্স নিয়ে এই অঞ্চলের প্রাচীনতম বাসিন্দা টেক এবং এবং সম্প্রতি কঙ্গো নদীর কাছে বসতি স্থাপনকারী ইয়াকা সহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর কৃষকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
মুখপাত্র এনকিসি জানায়, ইয়াকা-সংখ্যাগরিষ্ঠ মোবন্ডো মিলিশিয়ার একজন নেতাকে কাছের একটি শহরে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেওয়ার পরে শুক্রবারের এই সহিংসতা শুরু হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, টেকে এবং ইয়াকা সম্প্রদায়ের মধ্যে ট্যাক্স বৃদ্ধি এবং চাষের জমিতে অধিকার নিয়ে মতবিরোধের মধ্যে ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে সহিংসতার একটি চক্রের মধ্যে সর্বশেষ ঘটনা এটি। এই সহিংসতা গুলোতে কমপক্ষে ৩০০ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কঙ্গোয় জাতিসংঘের ২ বিশেষজ্ঞ হত্যা মামলায় ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড
একটি আঞ্চলিক নাগরিক সমাজ সংস্থার ভাইস-প্রেসিডেন্ট সিম্ফোরিয়েন কোয়েঙ্গো, দক্ষিণ-পশ্চিম কঙ্গোতে মারাত্মক উত্তেজনা কমানোর জন্য মোবন্ডো মিলিশিয়া ও সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মতে, সারা দেশে একটি পুরনো বৃহত্তর পরিসরের সংঘাতে ২০২২ সালেই কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কঙ্গোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে (রুয়ান্ডা এবং উগান্ডার সীমান্তের কাছাকাছি ) ১২০টিরও বেশি সশস্ত্র গোষ্ঠী মূল্যবান খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এবং তাদের কিছু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর ঘন ঘন গণহত্যার কারণে বেসামরিক লোকজন দেশত্যাগ শুরু করে। যার ফলে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, যৌন সহিংসতা এবং রোগের বিস্তার ঘটে।
আরও পড়ুন: কঙ্গোতে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৫, আহত ৫০
ব্রাজিলে কারাগারে দাঙ্গায় নিহত ৫
ব্রাজিলের একর রাজ্যের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কারাগারে দাঙ্গায় পাঁচ বন্দি নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) কারা সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বুধবার সকালে রিও ব্রাঙ্কো শহরের অ্যান্টোনিও আমারো আলভেস কারাগারে এই দাঙ্গা বাধে।
একর স্টেট সেক্রেটারিয়েট অব জাস্টিস অ্যান্ড পাবলিক সিকিউরিটির তথ্য অনুসারে, ১৩ জন বন্দি পালানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কারাগারের বাইরে রক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে যায় তারা। এরপরই দাঙ্গা শুরু হয়।
পালানোর চেষ্টাকারীরা তখন দুই রক্ষীকে জিম্মি করে। একজন রক্ষী পালাতে সক্ষম হয়, অন্যজনকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বন্দিরা আটকে রাখে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর বাড়িতে পুলিশের অভিযান
বেসামরিক পুলিশ নিহতদের লাশ শনাক্ত করেছে, তবে তাদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
পুলিশ কারাগারের ভেতর থেকে ১৫টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে এবং অস্ত্রগুলো কীভাবে কারাগারের ভেতর পাচার করা হয়েছিল তা তদন্ত করছে।
১৫ বছর আগে নির্মিত আন্তোনিও আমারো আলভেস কারাগারটি ওই রাজ্যের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কারাগার হিসেবে পরিচিত। সেখানে প্রায় ৯৯ জন বন্দি ছিল, তারা সবাই অপরাধী সংগঠনের নেতা।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে ডে কেয়ার সেন্টারে ৪ শিশুকে হত্যা, আহত ৩
ব্রাজিলে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৪ জন নিহত
উগান্ডায় স্কুলে বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত ৪১
উগান্ডার পশ্চিমাঞ্চলের কাসেস জেলায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সন্দেহভাজন বিদ্রোহীদের হামলায় ৩৮ জন শিক্ষার্থীসহ ৪১ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার স্থানীয় মেয়র এ তথ্য জানিয়েছেন।
এমপন্ডওয়ে-লুবিরিহা মেয়র সেলভেস্ট মাপোজে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন, হতাহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী, একজন প্রহরী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের দুই সদস্য রয়েছে।
মাপোজ বলেন, বিদ্রোহীরা একটি ছাত্রাবাসে আগুন দেওয়ায় কিছু শিক্ষার্থী মারাত্মক দগ্ধ হয়েছিল, অন্যদেরকে গুলি করা হয়েছিল বা কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।
পুলিশ বলেছে যে অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সের (এডিএফ) বিদ্রোহীরা কঙ্গো সীমান্ত থেকে ২ কিলোমিটার দূরের শহর এমপন্ডওয়ের লুবিরিহা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে।
পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘একটি ছাত্রাবাসে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং একটি খাবারের দোকান লুট করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৫টি লাশ স্কুল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং বেভেরা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আরও আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
পুলিশ জানিয়েছে, উগান্ডার সেনারা কঙ্গোর ভিরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে হামলাকারীদের ট্র্যাক করেছে।
সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে উগান্ডার সেন্যরা কঙ্গোর অভ্যন্তরে ‘অপহৃতদের উদ্ধার করতে শত্রুদের তাড়া করছে।’
কাসেসে উগান্ডার প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধিত্বকারী একজন কর্মকর্তা জো ওয়ালুসিম্বি ফোনে এপিকে বলেছেন, কয়েকজন ব্যক্তি এমনভাবে পুড়ে গেছে যে ‘পরিচয় চেনা যাচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: কঙ্গোতে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৫, আহত ৫০
একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা এবং ওই অঞ্চলের একজন প্রাক্তন আইনপ্রণেতা উইনি কিজা টুইটারে এক পোস্টে ‘কাপুরুষোচিত এই হামলার’ নিন্দা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘স্কুলে হামলা অগ্রহণযোগ্য এবং এটি শিশু অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন।’
তিনি আরও বলেন, স্কুলগুলো সর্বদা ‘প্রতিটি ছাত্রের জন্য একটি নিরাপদ স্থান’ হওয়া উচিত।
এডিএফ-এর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পূর্ব কঙ্গোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে অনেক হামলা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
এডিএফ দীর্ঘদিন ধরে উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওওয়েরি মুসেভেনির শাসনের বিরোধিতা করেছে, মার্কিন নিরাপত্তা মিত্র হিসেবে যিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন।
উগান্ডার কিছু মুসলমান ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে গ্রুপটি প্রতিষ্ঠা করে। তাদের অভিযোগ ছিল সরকার মুসেভেনির প্রকৃত নীতি থেকে দূরে সরে গেছে।
সেই সময় থেকে প্রায়ই বিদ্রোহীরা উগান্ডার গ্রামগুলোর পাশাপাশি রাজধানীতে মারাত্মক হামলা চালায়। ১৯৯৮ সালে উগান্ডার একটি শহরে এক হামলায় ৮০ জন শিক্ষার্থী নিহত হন।
ক্রমে গোষ্ঠীটি ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
গত মার্চ মাসে সন্দেহভাজন এডিএফ চরমপন্থীদের হামলায় কঙ্গোতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছিল।
কয়েক বছর ধরে উগান্ডার কর্তৃপক্ষ দেশের ভূখণ্ডের বাইরেও এডিএফ জঙ্গিদের খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
২০২১ সালে উগান্ডা এই গ্রুপটির বিরুদ্ধে কঙ্গোতে যৌথ বিমান এবং কামান হামলা শুরু করে।
আরও পড়ুন: কঙ্গোতে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১৬
কঙ্গোয় নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ ৩৬
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে নৌকাডুবিতে নিহত ১০৩
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে নৌকা ডুবে শিশুসহ অন্তত ১০৩ জন নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
পুলিশের মুখপাত্র ওকাসানমি অজয়ি জানান, কোয়ারা রাজ্যের রাজধানী ইলোরিন থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে পাতেগি জেলার নাইজার নদীতে সোমবার ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে থাকা কয়েক ডজন লোককে এখনও স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ খুঁজছে।
এ পর্যন্ত ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের শঙ্খ নদীতে নৌকাডুবি: নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
স্থানীয় প্রধান আব্দুল গণ লুকপাদা বলেছেন, যারা ডুবে মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগই বেশ কয়েকটি গ্রামের আত্মীয় স্বজন। সবাই একসঙ্গে বিয়েতে অংশ নিয়েছিলেন এবং গভীর রাতে পার্টি করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তারা মোটরসাইকেলে করে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কিন্তু বৃষ্টির কারণে সড়ক প্লাবিত হওয়ায় স্থানীয়ভাবে তৈরি নৌকায় করে রওনা দিতে হয়েছিল।
লুকপাদা বলেন, ‘নৌকাটিতে সক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ উঠেছিল, মোটামুটি ৩০০ জনের কাছাকাছি। তাদের নৌকা গন্তব্যে যাওয়ার সময় একটি গুঁড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেলে নৌকা ভেঙ্গে দুই ভাগ হয়ে যায়।’
উসমান ইব্রাহিম নামের এক বাসিন্দা বলেন, প্রতিবেশি নাইজার রাজ্যের এগবোটি গ্রামে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। দুর্ঘটনাটি রাত ৩টার দিকে ঘটায় এ সম্পর্কে অনেক পরে মানুষ জানতে পারে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে নৌকাডুবিতে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু
উদ্ধারের প্রাথমিক প্রচেষ্টা ধীর ও খুব কঠিন ছিল উল্লেখ করে লুকপাদা বলেন, আশেপাশের গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং প্রথমে প্রায় ৫০ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
নাইজেরিয়ার অন্যতম বড় এই নদীতে সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা এখনও আরও লাশের জন্য অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।
পুলিশের মুখপাত্র অজয়ি বলেন, উদ্ধার কার্যক্রম বুধবার রাত পর্যন্ত চালানো হতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ নৌ-দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ফেরির ধাক্কায় নৌকাডুবি, জেলে নিখোঁজ
সোমালিয়ায় হোটেলে হামলা চালিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(ডব্লিউএইচও) সোমালিয়ার মোগাদিসুর আবদিয়াজিজ জেলায় অবস্থিত পার্ল বিচ হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ হামলার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে।
গত ৯ জুনের হামলায় বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার জাতীয় স্টাফ সদস্যসহ ১৬ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জনেরও বেশি মানুষ।
‘আমরা এই নির্মম হামলায় প্রাণহানির মর্মান্তিক হতাহত দেখে আতঙ্কিত। এর মধ্যে ডব্লিউএইচও জাতীয় নারী কর্মী সদস্য নাসরা হাসানের মৃত্যুও রয়েছে। ২৭ বছর বয়সী নাসরা দেশটির জুবাল্যান্ডে খরা জরুরি প্রতিক্রিয়া ক্রিয়াকলাপকে সহযোগিতার জন্য সোমালিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি অফিসে যোগদান করেছিলেন।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরের ডব্লিউএইচও আঞ্চলিক পরিচালকডা. আহমেদ আল-মান্ধারি বলেছেন, তিনি তার সহকর্মীদের মধ্যে তার উৎসর্গ, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং প্রতিশ্রুতির জন্য পরিচিত ছিলেন। আমরা নাসরা ও হামলার সময় অন্য যারা মারা গেছে তাদের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতিও প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার রাজধানীতে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১০০
সোমালিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. মালিক মামুনুর বলেছেন, ‘আমরা একটি হোটেলে এই জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানাই যা আমাদের একজন প্রিয় সহকর্মী নাসরার মূল্যবান জীবনসহ অনেক প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আমরা নিরীহ বেসামরিক এবং মানবিক সহায়তা কর্মীদের ওপর সমস্ত হামলার নিন্দা জানাই এবং এই হামলায় নিহত সকলের সদস্য পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা জানাই।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সোমালিয়ায় স্বাস্থ্য সংরক্ষণ এবং জরুরি পরিস্থিতিতে সহযোগিতা দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
চলমান জীবন রক্ষাকারী সহযোগিতা কার্যক্রম নিশ্চিত করার জন্য ডব্লিউএইচও তার কর্মীদের নিরাপদ এবং নিরাপত্তাকে এখন প্রধান বিষয় হিসেবে নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নেতৃত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পানিতে ডুবে মৃত্যুহার কমাতে রেজ্যুলেশন
নামিবিয়ায় বিষাক্ত পোরিজ খেয়ে একই পরিবারের ১৩ সদস্যের মৃত্যু
নামিবিয়ায় পোরিজ খাওয়ার পর একই পরিবারের ১৩ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের ধারণা বাড়িতে তৈরি অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় মাদকযুক্ত পদার্থের সঙ্গে মেশানো হলে এটি বিষাক্ত হয়ে ওঠে।
নামিবিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন জানিয়েছে, হাসপাতালে আরও চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নামিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এনবিসি জানিয়েছে, ঘরে তৈরি বিয়ারের সঙ্গে পলল মিশ্রিত করার পর ‘দূষিত বা বিষাক্ত’ পোরিজ কমপক্ষে ২০ জন লোক খেয়েছিল।
এনবিসি জানিয়েছে, আক্রান্তদের বয়স দুই থেকে ৩৩ বছর।
দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কাভাঙ্গো পূর্বাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ‘বিষাক্ত মদ’ পানে ৩ জনের মৃত্যু, অসুস্থ ৫
বিহারে বিষাক্ত মদ খেয়ে ২০ জনের মৃত্যু, বেশ কয়েকজন অসুস্থ
প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করল সুদানের সামরিক প্রধান
সুদানের সামরিক প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক বাহিনীর অন্তর্গত সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সম্পদ সমৃদ্ধ দেশের নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ের সর্বশেষ পদক্ষেপ এটি।
সুদান জুড়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে দুই পক্ষের যুদ্ধ সমস্যাগ্রস্ত দেশটিকে সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সুনা জানিয়েছে, রবিবার জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহানের জারি করা ডিক্রিটি সুদানের ব্যাংকগুলোতে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টগুলোর পাশাপাশি গ্রুপের সমস্ত কোম্পানির অ্যাকাউন্টগুলোকে লক্ষ্য করবে।
আরএসএফ-এর ওপর নিষেধাজ্ঞার তাৎক্ষণিক প্রভাব কী হবে এবং বুরহানের আদেশ কীভাবে কার্যকর করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। গত এক দশকে, আধাসামরিক বাহিনী ধীরে ধীরে সুদানের আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সোনার মজুদ অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রচুর সম্পদ সংগ্রহ করেছে।
রবিবার সুদানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের স্থলাভিষিক্ত হন বুরহান। সোমবার তিনি দেশটির পুলিশ প্রধানকে অপসারণ করেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করেন। বুরহান তার পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত বলেননি।
এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে বুরহানের নেতৃত্বে সুদানের সেনাবাহিনী এবং মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে আরএসএফ, একটি ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়ায়, যা হাজার হাজার মানুষকে প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
আরও পড়ুন: সুদানফেরতদের পুনর্বাসনে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের
সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে বিশৃঙ্খলা দেশটির বেশিরভাগ অংশে ছড়িয়েছে। রাজধানী খার্তুম শহুরে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে এবং পশ্চিম দারফুর অঞ্চল মারাত্মক উপজাতীয় সংঘর্ষে কাঁপছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সহিংসতায় অনেক বেসামরিক নাগরিকসহ ৬০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।
বেসামরিক হতাহতের সন্ধানকারী একটি দলসুদান ডক্টরস সিন্ডিকেট বলেছে,পশ্চিম দারফুর প্রদেশের রাজধানী জেনিনাতে দুই দিনের লড়াইয়ের শুরুতেই গত সপ্তাহে বহু লোক নিহত হয়েছে। এতে বলা হয়, শুক্রবার যখন আরএসএফ যোদ্ধারা এবং মিলিশিয়ারা শহরে প্রবেশ করে এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী ও বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তখন লড়াই শুরু হয়।
এদিকে, সোমবার খার্তুমের দক্ষিণাঞ্চলের একটি এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় যখন অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, খার্তুমের ঠিক পূর্বে অবস্থিত পূর্ব নীল এলাকার একটি হাসপাতালে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো আরএসএফের বিরুদ্ধে বেসামরিক লোকদের লুটপাট ও হামলার অভিযোগ করেছে এবং সামরিক বাহিনী নির্বিচারে আবাসিক এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে উভয় পক্ষ বেশ কয়েকটি সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল, কিন্তু সবগুলো ভঙ্গ করা হয়েছিল। উভয়ই একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কঠোর অভিযোগ করেছে।
জরুরি আইনজীবী, মানবাধিকার মামলার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধকারী একটি সুদানী আইনী গোষ্ঠী, বলেছেন যে খার্তুমের দ্বৈত শহর ওমদ্রুমানে একটি নারী বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলাকারী সশস্ত্র ব্যক্তিরা রবিবার দুই নারীকে ধর্ষণ করেছে।
আইনজীবীদের মতে, আহফাদ ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের একটি ছাত্রাবাসের ভেতরে হামলাটি হয়েছিল, যেটি আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। কথিত যৌন নিপীড়নের ঘটনাগুলোতে আধাসামরিক বাহিনী জড়িত মধ্যে এই খবর আসে।
গত বৃহস্পতিবার, সামরিক বাহিনী এবং আরএসএফ সৌদি শহর জেদ্দায় একটি চুক্তি সই করেছে, যেখানে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ পথের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে এবং পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে মানবিক কার্যক্রমের জন্য সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা-সৌদি আরব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে - বৃহস্পতিবারের চুক্তিকে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পরিণত করার প্রয়াস চলছে৷
আরও পড়ুন: সুদান থেকে ৫৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে
রুয়ান্ডায় ভারী বর্ষণে বন্যায় নিহত ১২৯
মুষলধারে বৃষ্টির কারণে পশ্চিম ও উত্তর রুয়ান্ডায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে অন্তত ১২৯ জন নিহত হয়েছেন বলে একটি পাবলিক ব্রডকাস্টার জানিয়েছে।
রুয়ান্ডা ব্রডকাস্টিং এজেন্সি বুধবার জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
সরকার সমর্থিত নিউ টাইমস পত্রিকা উল্লেখ করেছে, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোর উপলব্ধ রেকর্ড অনুসারে, এটি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দেশটিতে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ দুর্যোগজনিত মৃত্যুর সংখ্যা হতে পারে।’
রুয়ান্ডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের গভর্নর ফ্রাঁসোয়া হাবিতেগেকো সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার রাত ও বুধবার সকালে প্রবল বৃষ্টিপাতের পর আরও হতাহতের সন্ধান চলছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার বন্যায় নিহত ৫, বাস্তুচ্যুত ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে
গত সপ্তাহে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়, যার ফলে বন্যা ও ভূমিধসের ফলে সারা দেশে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেসে যায় এবং কিছু রাস্তা দুর্গম হয়ে পড়ে।
রুয়ান্ডা আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করেছে যে আরও বৃষ্টিপাত আসছে।
সরকার অতীতে জলাভূমি এবং অন্যান্য বিপজ্জনক অঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দাদের স্থানান্তরিত হতে বলেছে।
পশ্চিম ও উত্তর প্রদেশ এবং রাজধানী কিগালি বিশেষত পাহাড়ি এলাকা, যা বর্ষাকালে ভূমিধসের ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।ি
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২