���������������������������������
গাজায় 'অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের' আহ্বান ইইউ'র
অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সীমান্ত ক্রসিংয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং একটি ডেডিকেটেড সামুদ্রিক রুটের মাধ্যমে এই করিডোর প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয় যাতে মানবিক সহায়তা নিরাপদে গাজার জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেপ বোরেল ফন্টেলেস এই আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, 'গাজায় গভীর মানবিক সংকট নিয়ে ইইউ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক অংশীদার, জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবে। যাতে টেকসই সহায়তা প্রদান এবং খাদ্য, পানি, চিকিৎসা সেবা, জ্বালানি ও আশ্রয়ের সুযোগ সহজতর হয়।
আরও পড়ুন: বিমানে করে গাজার হাসপাতালে চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে জর্ডান
২৬ অক্টোবরের ইউরোপীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, ইইউ আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনানুযায়ী নিজেকে রক্ষা করার ইসরায়েলের অধিকারের উপর পুনরায় জোর দেয়। গাজায় যুদ্ধ বিরতি সহ মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আহ্বানও জানান ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যাতে, দ্রুত, নিরাপদ এবং বাধাহীন মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে আমরা প্যারিসে অনুষ্ঠিত ৯ নভেম্বরের মানবিক সম্মেলনের ফলাফলকে স্বাগত জানাই।
সব জিম্মিকে অবিলম্বে ও নিঃশর্তমুক্ত করার জন্য হামাসের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে ইইউ। আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটিকে (আইসিআরসি) জিম্মিদের প্রবেশাধিকার দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: গাজার পরিস্থিতি 'মুক্ত পৃথিবীর' নেতাদের সহায়তায় জাতিগত নির্মূলের ক্লাসিক উদাহরণ
জর্ডান-সিরিয়া অঞ্চলে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প
জিএফজেড জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস বলেছে, বৃহস্পতিবার জিএমটি (গ্রিনিচ মান সময়) সময় ০২৩২ এ জর্ডান-সিরিয়া অঞ্চলে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল প্রাথমিকভাবে ৩৬ দশমিক ৫৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৩৬ দশমিক ৩০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে ছিল বলে নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: নেপালের রাজধানীর নিকটবর্তী জেলায় ৩টি ভূমিকম্প
নেপালের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ১২৮
সম্ভাব্য ব্যাপক অনুপ্রবেশের আগে গাজায় স্থল অভিযান ইসরায়েলি সেনাদের
গাজায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিধ্বংসী বিমান হামলার পর স্থলভাগে প্রত্যাশিত ব্যাপক আক্রমণের আগে ‘যুদ্ধক্ষেত্র প্রস্তুত করতে’ ইসরায়েলি সৈন্য ও ট্যাংকগুলো বৃহস্পতিবার রাতে গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাসের বিরুদ্ধে একটি স্বল্পমাত্রার অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গাজা উপত্যকায় জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করার পর এই অভিযান চালানো হয়। এতে তারা গাজা উপত্যকায় ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাপক হারে কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
চলতি মাসের শুরুতে (৭ অক্টোবর) দক্ষিণ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হামাসের হামলার পর গাজাকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল।
গাজার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জাম কমে যাওয়ার কারণে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসাকর্মীরা। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শ্রমিকরা শহরের ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে বের করে আনছে শিশুসহ নিহত ও আহত অনেক বেসামরিক নাগরিকদের।
আরও পড়ুন: গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যা আগের দিন নিহত ৭০৪ জনের চেয়ে বেশি। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) স্বাধীনভাবে মৃতের সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি এবং বেসামরিক ও যোদ্ধাদের আলাদা করে হিসাব করে না মন্ত্রণালয়।
হামাসের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের হামলায় হামাসের সদস্য নিহত হয়েছে এবং হামাসের সামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে অবিরত রকেট হামলা চালিয়ে আসছে।
সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাতভর অভিযানের সময় সৈন্যরা হামাসের যোদ্ধা, সামরিক অবকাঠামো এবং ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কয়েক দশক ধরে চলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মধ্যে গাজায় মৃতের সংখ্যা নজিরবিহীন হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে আগের চারটি যুদ্ধে টিকে থাকা হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে ইসরায়েল যদি প্রত্যাশিত স্থল আক্রমণ শুরু করে, তাহলে আরও বড় সংখ্যায় প্রাণহানি ঘটতে পারে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই সংখ্যার মধ্যে গত সপ্তাহে একটি হাসপাতালে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
ইসরায়েলি সরকারের মতে, এই লড়াইয়ে ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই হামাসের প্রথম হামলায় নিহত বেসামরিক নাগরিক। হামাস গাজায় প্রায় ২২২ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে রেখেছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জ্বালানি সরবরাহ হ্রাসের বিষয়ে সতর্ক করেছে যে মানবিক সংকট দ্রুত আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
গাজার জনগণ খাদ্য, পানি ও ওষুধও সংকটে ভুগছে। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে, যাদের প্রায় অর্ধেকই জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েল মিশর থেকে অল্প সংখ্যক ট্রাকে সাহায্য নিয়ে প্রবেশ করতে দিয়েছে, কিন্তু জেনারেটরের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়া-অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলা, গাজায় পৌঁছেছে ত্রাণের দ্বিতীয় বহর
সিরিয়া-অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলা, গাজায় পৌঁছেছে ত্রাণের দ্বিতীয় বহর
ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য নির্ধারিত দ্বিতীয় ত্রাণবাহী ট্রাকের বহর রবিবার গাজায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে সিরিয়া ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। লেবাননের হিজবুল্লাহ সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সতর্ক করে দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বলেছেন, যদি তারা নিজেদের যুদ্ধ শুরু করে, তাহলে ‘আমরা তাকে এমন এক বাহিনী দিয়ে পঙ্গু করে দেব, যা তারা কখনো কল্পনাও করতে পারে না।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সম্প্রদায়ের ওপর হামাসের ভয়াবহ আক্রমণের পর কয়েক দিন ধরেই গাজায় স্থল আক্রমণ শুরু করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ইসরায়েল। গাজা সীমান্তে ট্যাঙ্ক ও সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে, কমান্ড অতিক্রম করার অপেক্ষায়।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে সৈন্যদের ঝুঁকি কমাতে গাজার লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো গাজা, সিরিয়ার দুটি বিমানবন্দর এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি মসজিদে হামলা চালানোর পর যুদ্ধের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে গুলি বিনিময় করেছে এবং পশ্চিম তীরে উত্তেজনা বাড়ছে। ইসরায়েলি বাহিনী শরণার্থী শিবিরে সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করেছে এবং সম্প্রতি দুটি বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উত্তর ইসরায়েলের সৈন্যদের উদ্দেশে বলেছেন, হিজবুল্লাহ যদি যুদ্ধ শুরু করে, ‘তাহলে তারা জীবনের একটি ভুল করবে। আমরা এটিকে এমন একটি শক্তি দিয়ে পঙ্গু করে দেব যা তারা কল্পনাও করতে পারে না, এবং লেবানন রাষ্ট্রের পরিণতি হবে বিধ্বস্ত।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে মার্কিনিরা হামলার শিকার হলে জবাব দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন-অস্টিনের হুঁশিয়ারি
অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, তারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করেছে এবং একটি ট্যাংক ও দুটি বুলডোজার ধ্বংস করেছে।
গত রবিবার রাতে হাগারি ঘোষণা করেন, ৭ অক্টোবরের হামলায় অপহৃত ২০০ জনেরও বেশি জিম্মিকে উদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গাজার অভ্যন্তরে একটি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এক সৈন্য নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েল সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করার পর শনিবার ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রাথমিক চিকিৎসা চালান নিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে।
রবিবার রাতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে তারা গাজায় দ্বিতীয় দফায় সহায়তার অনুমতি দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের বেসামরিক বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থা সিওজিএটি জানিয়েছে, এই সহায়তার মধ্যে পানি, খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি রয়েছে এবং গাজায় আনার আগে ইসরায়েল সবকিছু পরিদর্শন করেছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ১৪টি ট্রাক আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তবে, ইসরায়েল গাজায় কোনো ধরনের জ্বালানি প্রবেশ করতে দেয়নি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুতে সংসদে শোকপ্রস্তাব গৃহীত
গাজায় 'মানবিক বিরতির' আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের ব্যর্থতায় ফ্রান্সের দুঃখ প্রকাশ
নিরাপত্তা পরিষদে ব্রাজিলের আনা খসড়া প্রস্তাবের ব্যর্থতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস বলেছে, ফ্রান্স খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। এটি কাউন্সিলকে সাধারণ নীতির কাছাকাছি আনতে পারে এবং এটি ১২টি দেশের সমর্থন পেয়েছিল।
এই খসড়াটিতে দ্ব্যর্থহীনভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের ‘সন্ত্রাসী হামলার’ নিন্দা; জিম্মিদের মুক্তির দাবি; আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, মানবিক বিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বেসামরিক জনগণের মৌলিক পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে গাজায় জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) এবং মানবিক সংস্থাগুলোর পূর্ণ, নিরাপদ ও বাধাহীন মানবিক প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: মিশরকে গাজায় সীমিত মানবিক সহায়তা সরবরাহের অনুমতি ইসরায়েলের
খসড়া প্রস্তাবে নিরাপদ ও স্বীকৃত সীমানার মধ্যে পাশাপাশি বসবাসকারী দু’টি রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির কথাও স্মরণ করা হয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা রোধে প্রচেষ্টা বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
ব্রাজিলকে তার উদ্যোগ ও সমন্বয়কারী ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে ফ্রান্স। মানবিক জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় এবং আঞ্চলিক সংঘাত এড়ানোর জন্য ফ্রান্স এর অংশীদারদের সঙ্গে সংঘবদ্ধ থাকবে।
ফ্রান্স ইতোমধ্যে গাজার জনগণের জন্য অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা হিসেবে ১০ মিলিয়ন ইউরো সংগ্রহ করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের শরণার্থীদের একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি।
মঙ্গলবার (১৭অক্টোবর) হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। ইসরায়েলের উচ্ছেদের আদেশের পর গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি বাড়িটিতে আশ্রয় নিয়েছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৮০৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১০ হাজার ৮৫০ জন আহত হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের নারী ও শিশু হত্যার নিন্দা ঢাকার
মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দ্বারা ধ্বংস হওয়া তাদের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নীচে এক হাজর ২০০ বেশি ফিলিস্তিনি আটকা পড়েছে এবং ফিলিস্তিনি উপকূলীয় অবরুদ্ধ এলাকাটিতে ২০০ বেশি শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
হামাসের সদস্যরা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সামরিক অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু করে ও শহরগুলোতে আকস্মিক অভিযান চালায়। এর জবাবে গাজায় ব্যাপক ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরু হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্দেশে গাজার বাসিন্দাদের উত্তর থেকে দক্ষিণে স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক।
কয়েক দিনের বিমান হামলার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা সিটি ও এর আশেপাশের ফিলিস্তিনিদের ওই অঞ্চলের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উল্লেখ করে গুতরেস বলেন, ‘খাবার, পানি বা বাসস্থান নেই- অবরুদ্ধ করে রাখা এমন অঞ্চলে ঘনবসতিপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রের ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করা অত্যন্ত বিপজ্জন এবং কিছু ক্ষেত্রে অসম্ভবও।’
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের হাসপাতালগুলো ইতোমধ্যে পূর্ণ হয়েছে এবং উত্তরাঞ্চল থেকে যাওয়া হাজার হাজার নতুন রোগী গ্রহণ করতে পারবে না। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে। মর্গগুলো উপচে পড়ছে; দায়িত্ব পালনকালে ১১ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩৪টি হামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গাজার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং বিদ্যুৎ পাম্প ও ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ না থাকায় পুরো এলাকা পানি সংকটের সম্মুখীন হয়েছে।
গুতেরেস বলেন, গাজার পরিস্থিতি একটি বিপজ্জনক নতুন নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
তিনি বলেন, শনিবার ইসরায়েলে হামাসের ভয়াবহ আকস্মিক হামলায় এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়েছে এবং গাজায় ইসরায়েলের তীব্র বোমা বর্ষণে ইতিমধ্যে এক হাজার ৮০০ জন নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়েছেন।
গুতেরেস গাজায় অবিলম্বে মানবিক প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়েছেন যাতে জ্বালানি, খাদ্য এবং পানি সংকটে থাকা লোকদের সরবরাহ করা যায়। তিনি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও মানবাধিকার আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার আহ্বান জানান। অবিলম্বে গাজায় জিম্মিদের মুক্তিরও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হামাসকে 'ধ্বংস' করার অঙ্গীকার নেতানিয়াহুর : গাজা আক্রমণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে
গুতেরেস বলেন, ‘এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের জন্য সব পক্ষ এবং তাদের ওপর যাদের প্রভাব রয়েছে, তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করা জরুরি।’
জাতিসংঘ মহাসচিব মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতের কারণে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধেও সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সহিংসতাকে উস্কে দেয় এমন অমানবিক ভাষা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি সকল নেতাদেরকে ইহুদিবিদ্বেষ, মুসলিমবিদ্বেষ গোঁড়ামি এবং সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মৃত্যু ও ধ্বংসের এই অন্তহীন চক্রের স্থায়ী সমাধান খুঁজতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একত্রিত হওয়ার এখনই সময়।’
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
ইসরায়েলের স্থল হামলার হুমকিতে অনেক ফিলিস্তিনি গাজার উত্তরাঞ্চল ছেড়েছে
ক্ষমতাসীন হামাস সশস্ত্র গোষ্ঠীর আকস্মিক হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সম্ভাব্য স্থল আক্রমণের আগে অবরুদ্ধ গাজার ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এরপর অনেক ফিলিস্তিনি শুক্রবার গাজার উত্তরাঞ্চল ছেড়ে গেছেন।
জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গাজার জনবহুল জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেককে সরিয়ে নেওয়া কঠিন হবে এবং ইসরায়েলকে এই নজিরবিহীন নির্দেশনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। সারাদিন ধরে ওই এলাকায় বিমান হামলা চালানো হলে গাড়ি, ট্রাক ও গাধার গাড়িতে করে পরিবারগুলো গাজা শহরের বাইরে একটি প্রধান সড়কে নেমে আসে।
আরও পড়ুন: হামাসকে 'ধ্বংস' করার অঙ্গীকার নেতানিয়াহুর : গাজা আক্রমণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে
হামাসের গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিমানগুলো দক্ষিণাঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা গাড়িগুলোতে হামলা চালিয়ে ৭০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের সৈন্যরা হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গাজায় অস্থায়ী অভিযান চালিয়েছে এবং প্রায় এক সপ্তাহ আগে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় অপহৃত প্রায় ১৫০ জনের সন্ধান পেয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা সিটির আশেপাশে হামাসের আন্ডারগ্রাউন্ড আস্তানালক্ষ্য করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। কিন্তু ফিলিস্তিনি ও কিছু মিশরীয় কর্মকর্তা আশঙ্কা করছেন যে, ইসরায়েল শেষ পর্যন্ত মিশরের সঙ্গে দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে গাজার জনগণকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
হামাস জনগণকে সরে যাওয়ার আদেশ উপেক্ষা করতে বলেছে এবং গাজার পরিবারগুলো কোথাও কোনও নিরাপদ জায়গা না থাকায় চলে যাওয়া বা থাকার সিদ্ধান্ত হিসাবে দেখেছিল। হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা রোগীদের ছেড়ে যেতে পারবেন না।
গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলি অবিরাম হামলায় গাজার আশেপাশের বিশাল এলাকা নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। এতে গাজায় দুর্ভোগ বেড়ে গেছে, যা খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং কার্যত বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
গাজা সিটিতে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের মুখপাত্র নেবাল ফারসাখ বলেন,‘খাবারের কথা ভুলে যান, বিদ্যুতের কথা ভুলে যান, জ্বালানির কথা ভুলে যান- আপনি এটি করতে পারবেন কিনা, এখন একমাত্র উদ্বেগ হচ্ছে আপনি বেঁচে থাকবেন কিনা।’ এসময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানিয়েছে, গাজার এক সপ্তাহের যুদ্ধে প্রায় এক হাজার ৯০০ মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকেরও বেশির বয়স ১৮ বছরের কম অথবা নারী।
ইসরায়েলি সরকার জানিয়েছে, গত শনিবার হামাসের হামলায় এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং প্রায় দেড় হাজার হামাস সদস্য মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: হামাসের আকস্মিক হামলা-ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়ায় নিহত ১০০০ ছাড়িয়েছে
হামাসকে 'ধ্বংস' করার অঙ্গীকার নেতানিয়াহুর : গাজা আক্রমণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে
গাজা উপত্যকায় প্রত্যাশিত স্থল আক্রমণের জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত করার সময় হামাসকে ধ্বংস করার অঙ্গীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহু শুক্রবার(১৩ অক্টোবর) রাতে জাতীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এই হুমকি দেন।
গত শনিবার হামাস জঙ্গিরা নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলা চালিয়ে নৃশংস তাণ্ডবে এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে হত্যা করার পর থেকে গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল গাজার অর্ধেক জনসংখ্যাকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
নেতানিয়াহু বলেন, 'এটা শুরু মাত্র। 'আমরা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে এই যুদ্ধের অবসান ঘটাব'
‘আমরা হামাসকে ধ্বংস করব’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অভিযানের জন্য ইসরায়েলের প্রতি ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন রয়েছে।
আরও পড়ুন: হামাসের আকস্মিক হামলা-ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়ায় নিহত ১০০০ ছাড়িয়েছে
সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ও উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা’র খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সানা জানিয়েছে,ওই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের ফিলিস্তিন বিরোধী নীতিকে 'টাইম বোমা' আখ্যা দিয়েছে আরব লীগ
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালানোর পর সিরিয়ায় প্রথমবারের মতো হামলা চালালো ইসরায়েল।
এই অঞ্চলের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সিরিয়া সফরের একদিন আগে এই বিমান হামলা চালালো ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: হামাসের আকস্মিক হামলা-ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়ায় নিহত ১০০০ ছাড়িয়েছে
লেবাননের হিজবুল্লাহসহ তেহরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছে ইরান থেকে অস্ত্রের চালান ঠেকাতে সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরগুলোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
সিরিয়ার ১২ বছর ধরে চলা সংঘাতে ইরান সমর্থিত হাজার হাজার যোদ্ধা যোগ দিয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর পক্ষে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করছে।
ইসরায়েল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দামেস্ক ও আলেপ্পো বিমানবন্দরে হামলাসহ সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকার অভ্যন্তরের লক্ষ্যবস্তুতে শত শত হামলা চালিয়েছে। তবে এসব হামলা ও অভিযানের বিষয়ে খুব কমই স্বীকার করে বা আলোচনা করে দেশটি।
আরও পড়ুন: কঠোর লড়াইয়ের পর ইসরায়েলি সৈন্যরা খুঁজে পান ধ্বংসস্তূপ ও শিশু হত্যার চিহ্ন