প্রযুক্তির-খবর
চলতি বছর প্রিমিয়াম সেগমেন্টে আলোড়ন তুলবে রিয়েলমি
দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি, ২০২১ সালে বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং চলতি বছর এর জিটি সিরিজের ফোনের সাথে প্রিমিয়াম ও হাই-এন্ড স্মার্টফোন বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলতে যাচ্ছে।
নতুন বছর আগমনের সঙ্গে সঙ্গে রিয়েলমি এর ব্যবহারকারীদের জন্য আরও উদ্ভাবনী স্মার্টফোন নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই উপলক্ষে, রিয়েলমি’র প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও স্কাই লি গত বছর রিয়েলমি’র অর্জিত মাইলফলকসমূহ এবং নতুন বছরে এই স্মার্টফোন নির্মাণকারীর পরিকল্পনা বর্ণনা করে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন।
গত বছরের আগস্টে, সবচেয়ে কম সময়ে সারা বিশ্বে ১০ কোটি স্মার্টফোন শিপমেন্টের মাধ্যমে দ্রুততম স্মার্টফোন ব্র্যান্ডে পরিণত হয় রিয়েলমি। এই রেকর্ডভাঙা অর্জনের পর, রিয়েলমি’র বার্ষিক স্মার্টফোন বিক্রির পরিমাণ ছয় কোটি ইউনিটের রেকর্ড ছোঁয়, যা আগের বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি।
ইতোমধ্যে ২১টি ভিন্ন ভিন্ন বাজারে শীর্ষ পাঁচ ব্র্যান্ডের তালিকায় থাকা রিয়েলমি গত বছরের তৃতীয় পাক্ষিকে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ৫জি অ্যান্ড্রয়েড ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে।
স্কাই লি বলেন, “প্রতিষ্ঠানের আরঅ্যান্ডডি রিসোর্সের ৭০ শতাংশ হাই-এন্ড প্রযুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার সাথে আমরা প্রিমিয়াম বিভাগে প্রবেশের জন্য প্রযুক্তি এবং ডিজাইনে আরও বেশি উদ্ভাবনের চেষ্টা করবো।”
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক বাজারে জিটি ২ সিরিজ নিয়ে আসছে রিয়েলমি, উন্মোচিত হলো ডিজাইন
২০২১ রিয়েলমি’র জন্য একটি সাফল্যমণ্ডিত বছর ছিলো। কারণ, গত বছর রিয়েলমি বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক বিক্রিত ব্র্যান্ডে পরিণত হয়। বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ব্ল্যাক ফ্রাইডে, ১১.১১ এবং দিওয়ালি উৎসবের মতো ক্যাম্পেইনে রিয়েলমি বিভিন্ন রেকর্ড গড়েছে এবং সর্বাধিক বিক্রিত পণ্যের তালিকার শীর্ষে জায়গা দখল করেছে।
বছরের সেরা ফ্ল্যাগশিপ ফোন রিয়েলমি জিটি নিও ২ বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেল ক্যাম্পেইন দারাজের ১১.১১ সেলে ‘টপ ১ বেস্ট সেলিং ৫জি স্মার্টফোন’ এর স্বীকৃতি অর্জন করে। ভারতে, ফ্লিপকার্ট প্ল্যাটফর্মে ৪০ শতাংশের অধিক বিক্রয়ের সঙ্গে এই প্ল্যাটফর্মেও রিয়েলমি শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের জায়গা দখল করে।
এছাড়া, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়াতে দারাজের মতো স্থানীয় প্ল্যাটফর্মে রিয়েলমি টপ ১ সর্বাধিক বিক্রিত স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
উল্লেখ্য, রিয়েলমি আগামী তিন বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ৫জি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে ৫জি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। এ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সাথে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের জন্য আরও অনেক এআইওটি পণ্য বাজারে নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: দারাজের ১২.১২ ক্যাম্পেইনে রিয়েলমি’র নতুন মাইলফলক
বিশ্বের প্রথম তিনটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নিয়ে রিয়েলমির জিটি ২ সিরিজে উন্মোচন
৬ জানুয়ারি থেকে ঢাকায় স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা
নতুন বছরের শুরুতেই হতে যাচ্ছে স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা। থাকছে ফাইভজি প্রযুক্তি নিয়ে চমক। ৬ জানুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হবে ‘স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো ২০২২’ নামের এ মেলা। তিন দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
করোনা পরিস্থিতির কারণে ২ বছর বিরতির পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের সাড়া জাগানো এ মেলা। স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট নিয়ে দেশে এটিই সবচেয়ে বড় আয়োজন।
সম্মেলনে আয়োজক প্রতিষ্ঠান মেকার কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ খান, টেলিটকের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার মো. আবু হাসান মাসুদ, স্যামসাং মোবাইলের হেড অফ প্রোডাক্ট প্ল্যানিং ফজলুল মুসাইর চৌধুরি, ট্রানশন বাংলাদেশের হেড অফ মার্কেটিং মো. আসাদুজ্জামান, অপ্পো বাংলাদেশের হেড অফ মার্কেটিং মিস্টার লিউ ফ্যাং, ভিভো বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ম্যানেজার তানজিব আহম্মেদ, রিয়েলমি বাংলাদেশের হেড অফ সেলস মুজাহিদুল ইসলাম, ডিএক্স গ্রুপের হেড অফ রিটেইল অপারেশনস জে এম হাসান সাইফ এবং হুয়াওয়ে টেকনলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অফ পাবলিক অ্যাফেয়ার্স এন্ড কমিউনিকেশন মিস্টার ইউওয়াইং উপস্থিত ছিলেন।
মেকার কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ খান জানান, মেলায় দর্শকরা ঢুকতে পারবেন বিনামূল্যে। তবে মাস্ক না পড়া অবস্থায় কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রবেশদ্বারে তাপমাত্রা মেপে তা গ্রহণযোগ্য হলেই প্রবেশ করা যাবে মেলায়।
আরও পড়ুন: মার্চে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তাফা জব্বার
টেলিটকের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার মো. আবু হাসান মাসুদ বলেন, এই মেলায় সবার আগ্রহ থাকবে ফাইভজি অভিজ্ঞতা নেয়া। যেহেতু ফাইভজি দেশে এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে এবং সাধারণ মানুষের কাছে ওভাবে পৌঁছায়নি। টেলিটকের এখন মাত্র ৬টি ফাইভজি বিটিএস চালু হয়েছে যেখানে খুব সীমিত পর্যায়ে ফাইভজি অভিজ্ঞতার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই মেলার মাধ্যমে অনেক বেশি সংখ্যক সাধারণ মানুষকে ফাইভজি অভিজ্ঞতা দেয়া যাবে’।
হুয়াওয়ে টেকনলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অফ পাবলিক অ্যাফেয়ার্স এন্ড কমিউনিকেশন মিস্টার ইউওয়াইং বলেন, ২০২১ সাল ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য মাইলফলক।
স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রমে অবদান রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশে ২২ বছর ধরে কাজ করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এর সকল অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যেতে চায় হুয়াওয়ে টেকনোলজিস।
স্যামসাং মোবাইলের হেড অফ প্রোডাক্ট প্ল্যানিং ফজলুল মুসাইর চৌধুরী বলেন, মেলায় স্যামসাংয়ের পক্ষ থেকে ক্রেতাদের জন্য মূল্যছাড়সহ নানা আকর্ষণীয় উপহার থাকছে। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ অফার থাকছে। এছাড়া নতুন বছরের প্রথম হ্যান্ডসেট উম্মোচন করা হবে এই মেলায়।
‘স্যামসাংয়ের ফাইভজি হ্যান্ডসেটেও ফাইভজি অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা’ উল্লেখ করেন তিনি।
ট্রানশন বাংলাদেশের হেড অফ মার্কেটিং মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নতুন বছর ২০২২ সাল শুরু হচ্ছে স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলার মতো দারুণ একটি আয়োজন দিয়ে। গ্রাহক অভিজ্ঞতা, প্রোডাক্ট উম্মাচনসহ সবকিছু মিলিয়ে এই মেলা অংশগ্রহণকারী ব্র্র্যান্ডগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
‘চমকপ্রদ নানা অফার নিয়ে মেলায় আসছে টেকনো’ বলেন তিনি।
অপ্পো বাংলাদেশের হেড অফ মার্কেটিং মিস্টার লিউ ফ্যাং বলেন, মেলায় নতুন বছরে অনেক চমক নিয়ে থাকবে অপো।
আরও পড়ুন: ‘ও ফ্যান’ ফেস্টিভ্যালের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা, যাচ্ছেন দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টে
ভিভো বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ম্যানেজার তানজিব আহম্মেদ বলেন, বরাবরের মতো মেলায় তাদের বিশেষ অফার থাকছে। মেলায় এসে ক্রেতারা যে ছাড় বা উপহার পাবেন তা বাজারে পাওয়া যাবে না।
রিয়েলমি বাংলাদেশের হেড অফ সেলস মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, রিয়েলমি তরুণদের ব্র্যান্ড। মেলায় রিয়েলমির ফাইভজি হ্যান্ডসেটে দর্শনার্থীরা ফাইভজি অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।
ডিএক্স গ্রুপের হেড অফ রিটেইল অপারেশনস জে এম হাসান সাইফ বলেন, তারা শাওমি ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেট আনছেন মেলায়। ক্রেতাদের জন্য শাওমির ফাইভজি হ্যান্ডসেটে তারা ছাড় ও বিশেষ উপহারও রাখছেন। এছাড়া তারা ক্যাশব্যাকও দেবেন।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সবসময়ের মতো এবারও দেশের স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারকারীদের সর্বশেষ মডেলের স্মার্টফোন ও ট্যাব পরখ করে দেখার সুযোগ থাকছে এই মেলায়। স্যামসাং, অপ্পো, রিয়েলমি, শাওমি, টেকনো, ভিভো, ওয়ালটন, ওয়ান প্লাসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়া যাবে এখানে। এছাড়া স্মার্টফোনের জন্য আনুষঙ্গিক গ্যাজেট ও এক্সেসরিজ নিয়ে থাকবে বেশ কয়েকটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন।
মেলায় প্রথমবারের মতো থাকছে ৫জি এক্সপিরিয়েন্স জোন। মোবাইল অপারেটর টেলিটকের পরিচালনায় ও হুয়াওয়ে টেকনলজিস বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় এই জোনে এসে দর্শকরা সরাসরি ৫জি অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।
এবারের মেলার পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে মোবাইল ব্যান্ড স্যামসাং, অপো, ভিভো, রিয়েলমি, টেকনো ও ডিএক্স। মেলার টেকনলজি পার্টনার হুয়াওয়ে। লজিস্টিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে ই-কুরিয়ার।
প্রদর্শনীর সব আপডেট ও খবর মেলার অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ (www.facebook.com/STExpo/) এবং দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক শীর্ষ নিউজ পোর্টাল টেকশহরডটকমে (techshohor.com) পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক বাজারে জিটি ২ সিরিজ নিয়ে আসছে রিয়েলমি, উন্মোচিত হলো ডিজাইন
মার্চে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তাফা জব্বার
আগামী মার্চের মধ্যে দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য ফাইভ-জি অপরিহার্য।’
বুধবার ঢাকায় এক হোটেলে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ণেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিতএকসেস টু মিনিংফুল কানেক্টিভিটি অ্যান্ড সোস্যাল ইনক্লিউশন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২: মোস্তাফা জব্বার
সচেতনতা ও প্রযুক্তি দিয়ে ডিজিটাল নিরপত্তার হুমকি মোকাবিলা করতে হবে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘যত বেশি ডিজিটাল তত বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকি।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব পৃথিবীতে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উদ্দেশ্য এবং আমাদের উদ্দেশ্য এক নয়।’
দেশে ডিজিটাল ডিভাইড নিরসনে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ইন্টারনেটের একদেশ এক রেট একটি বিপ্লবের নাম। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করা কোন নাগরিককেও ইন্টারনেট অধিকার থেকে যেমন বঞ্চিত করা যাবে না তেমনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য আলাদা কোন রেটও গ্রহণযোগ্য নয়। এই লক্ষ্যে আমরা দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের দোড়গোড়ায় উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিয়েছি। কোভিডকালে দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ এলাকায় ৪-জি নেটওয়ার্ক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষাকে সভ্যতার বিবর্তনের সাথে তাল মেলাতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বিআইজিএফ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নির্ধারণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক মো. নাসিম পারভেজ, বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, সাউথ এশিয়া আর্টিকেল ১৯’র আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল, বিএনএনআরসি রিসার্স ফেলো এএইচএম বজলুর রহমান, বিআইজিএফ সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হক অনু, সাংবাদিক রাশেদ মেহেদি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিশ্বের প্রথম তিনটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নিয়ে রিয়েলমির জিটি ২ সিরিজে উন্মোচন
সম্প্রতি বিশ্বের প্রথম তিনটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নিয়ে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি জিটি ২ সিরিজে উন্মোচন করেছে।
সোমবার রিয়েলমির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিয়েলমি’র প্রথম ও প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ ফোন জিটি টু সিরিজের এই তিনটি অনন্য প্রযুক্তিগত সংযোজন হল–বায়ো-পলিমার উপাদানে তৈরি ব্যাক কভার, ১৫০ ডিগ্রি আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা ও রিয়েলমি’র ইনোভেশন ফরওয়ার্ড কমিউনিকেশন।
প্রযুক্তি ও নকশার বিষয়ে নিজেদের নিরলস উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাই মূলত রিয়েলমি’র দ্রুত প্রবৃদ্ধির মূল ভিত্তি। রিয়েলমি জিটি টু প্রো মূলত কাগজ দ্বারা অনুপ্রাণিত হ্যান্ডসেট, যেটির নকশার পেছনে পরিমিতিবোধ এবং দীর্ঘস্থায়িত্বের বৈশিষ্ট্যকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। খ্যাতনামা জাপানি ডিজাইনার নাওতো ফুকাসাওয়ার তৈরি, ‘পেপার টেক মাস্টার ডিজাইন’ রিয়েলমি জিটি টু প্রো সেটটিকে জৈব-ভিত্তিক উপকরণ দিয়ে ডিজাইন করা বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোনে পরিণত করেছে।
আরও পড়ুন: রিয়েলমির বর্ষ সেরা ক্যাম্পেইন শুরু, ১ লাখ টাকা জিতে নেয়ার সুযোগ
সেই সঙ্গে জিটি টু প্রো’র ব্যাক কভারে একটি বায়ো-পলিমার উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, যা পরিবেশ-বান্ধব। এর এসএবিআইসি জৈব-ভিত্তিক উপাদানটি যে শুধুমাত্র আইএসসিসি ইন্টারন্যাশনাল সাস্টেইনেবিলিটি অ্যান্ড কার্বন সার্টিফিকেশনই অর্জন করেছে তা নয়, বরং বিভিন্ন পরিবেশগত মানদণ্ড ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার, যেমন আরইএসিএইচ, আরওএইচএস এবং ইপিইএটি স্বীকৃতিও লাভ করেছে। এছাড়াও, এই মডেলটির বক্সের জন্য রিয়েলমি’র নতুন ডিজাইনটি ব্যবহৃত প্লাস্টিকের সামগ্রিক অনুপাতকে পূর্ববর্তী প্রজন্মের ২১ দশমিক সাত শতাংশ থেকে তিন শতাংশে কমিয়ে এনেছে।
ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে প্রায়ই আল্ট্রা-ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল লেন্স ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি ক্যামেরাকে তুলনামূলকভাবে বিস্তৃত পরিসরে ছবি ধারণ করার সক্ষমতা দেয়। রিয়েলমি জিটি টু প্রো ১৫০ ডিগ্রি আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা নিয়ে আসা বাজারের প্রথম স্মার্টফোন, যা একটি ফোনের ফিল্ড অব ভিউকে প্রাইমারি ক্যামেরার ৮৪ ডিগ্রি ফিল্ডের তুলনায় ২৭৮ শতাংশ প্রসারিত করে।
এছাড়া, বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন হিসেবে রিয়েলমি জিটি ২ প্রো’তে রয়েছে ‘ফিশআই মোড’। এই মোড স্ট্রং পার্সপেক্টিভ বা আল্ট্রা-লং ডেপথ অব ফিল্ড ইফেক্ট তৈরি করতে পারে। বৃহত্তর ফিল্ড অব ভিউ’র সংযোজনে ধারণকৃত গোটা ছবিটি হয়ে ওঠে আরও বেশি আকর্ষণীয়।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে এলো ফ্ল্যাগশিপ রিয়েলমি জিটি নিও ২
অ্যান্টেনা অ্যারে ম্যাট্রিক্স সিস্টেম সম্বলিত রিয়েলমি জিটি টু প্রো’তে রয়েছে তিনটি অনন্য প্রযুক্তিগত সুবিধা–বিশ্বের প্রথম আল্ট্রা-ওয়াইড-ব্যান্ড অ্যান্টেনা সুইচিং টেকনোলজি (হাইপারস্মার্ট), ওয়াই-ফাই এনহ্যান্সার ও ৩৬০ ডিগ্রি নিয়ার-ফিল্ড কম্যুনিকেশন (এনএফসি)।
রিয়েলমি’র হাইপারস্মার্ট অ্যান্টেনা স্যুইচিং প্রযুক্তিটি ১২টি র্যাপ-অ্যারাউন্ড অ্যান্টেনার মাধ্যমে ডিজাইন করা হয়েছে, যা ফোনের চারপাশ জুড়ে কার্যকর থাকে এবং একই সিগন্যাল স্ট্রেংথের মাধ্যমে প্রায় সব দিকে মূলধারার প্রায় সকল ব্যান্ডকে সমর্থন করে। এর প্রতিসম ওয়াই-ফাই অ্যান্টেনাটি ফোনের চারপাশে উন্নত সিগন্যাল স্ট্রেংথ নিশ্চিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। রিয়েলমি জিটি টু প্রো শীর্ষ দু’টি সেলুলার অ্যান্টেনাকে একটি এনএফসি সিগন্যাল ট্রান্সসিভার ফাংশনের মাধ্যমে একীভূত করে, যার ফলে সেন্সিং এরিয়া ৫০০ শতাংশ এবং সেন্সিং ডিসট্যান্স ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে স্বাধীনতার বীরদের খোঁজে অপো
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে সারা দেশ। আর এরই অংশ হিসেবে অপো বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ব্যুরো বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে ‘বীরের গল্প’ (স্টোরিজ অব হিরোজ) শিরোনামে উদ্ভাবনী ক্যাম্পেইন চালু করেছে।
আগামী ১২ ডিসেম্বর ক্যাম্পেইন শুরু হয়ে চলবে আগমী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
শনিবার অপোর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও আধুনিক বাংলাদেশের বিনির্মাণে নব্য এই যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানাতেই অপোর এই উদ্যোগ। এই সময়ে আর অপো ব্যবহারকারীরা ক্যামেরার মাধ্যমে আশেপাশের মানুষের জীবন যুদ্ধের কথা অথাৎ আসল যোদ্ধাদের গল্প ছবিতে তুলে ধরতে পারবেন।
আরও পড়ুন: দেশে অপোর রেনো ৬ বিক্রি শুরু
অপো মনে করে, চারপাশে এমন সব মানুষ আছেন যারা পাদপ্রদীপের নিচে। কিন্তু সমাজের জন্য তারা অনবরত অবদান রেখে যাচ্ছেন। অথচ অনেক সময়ই আমরা তাদের যথার্থ প্রাপ্য দিতে পারি না। আপনি যদি এসব মানুষের সন্ধান পান তাহলে এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে পুরস্কৃত হতে পারেন। এজন্য আপনাকে ছবির সাথে গল্পটি লিখে অপো বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে শেয়ার দিতে হবে। ব্যক্তি হতে পারে আপনার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিচিতজন অথবা যেকেউ। মানুষের পাঠানো দারুণ সব বাছাইকৃত ছবি নিয়ে তৈরি করা হবে অপো গ্যালারি। এটি হবে অনেকটা ভার্চুয়াল আর্ট কালেকশনের মতো। আপনি চাইলে সাধারণ হ্যাশট্যাগের দিয়ে নিজের একটি গল্প বানাতে পারেন।
সব ছবি থেকে বিচারক প্যানেল সেরা তিনটি ছবি থেকে তিনটি জীবনের গল্প বাছাই করা হবে। পরবর্তীতে তাদের পাশে দাঁড়াবে অপো ও ব্যুরো বাংলাদেশ। এসব মানুষের জীবনকে একটু সহজ করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে এই দুই সংগঠন। আর যার হাত ধরে এসব সংগ্রামরত জীবনের গল্প উঠে আসলো তাদের জন্য পুরস্কার হিসেবে থাকবে সম্প্রতি বাজারে আসা ফ্লাগশিপ রেনো ৬ অথবা আইওটি পণ্য।
আরও পড়ুন: উন্নত ৫জি অভিজ্ঞতা দিতে একসাথে কাজ করবে অপো-এরিকসন
এর আগে অপো, ব্যুরো বাংলাদেশ ও প্রীত রেজার মতো নামকরা একদল ফটোগ্রাফার ও ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে নিয়ে একই ধরনের কাজ করে মানুষকে উৎসাহিত করেছেন। তারা অপো রেনো ৬ এর বোকেহ ফ্লেয়ার পোর্ট্রটে দিয়ে ছবি তুলে সবাইকে ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান। এরপর সব অপো ভক্তদের জন্য উন্মক্ত করে দেয়া হয়।
রিয়েলমির বর্ষ সেরা ক্যাম্পেইন শুরু, ১ লাখ টাকা জিতে নেয়ার সুযোগ
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমির ‘মেগা অফারে লাখপতি’ স্লোগানে সাত দিনব্যাপী বর্ষ সেরা ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। ৭ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান ক্যাম্পেইনে রিয়েলমি স্মার্টফোন কিনলে থাকছে এক লাখ টাকা জিতে নেয়ার সুযোগ।
মঙ্গলবার রিয়েলমির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক লাখ টাকা জিতে নেয়ার পাশাপাশি থাকছে অফিশিয়াল রিয়েলমি স্মার্টফোন কিনে রিয়েলমি বুক স্লিম, প্যাড, কক্সবাজারে কাপল ট্যুর, রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন, রিয়েলমি ৮ ফাইভজি, রিয়েলমি ৮, রিয়েলমি ওয়াচ ২, ব্যান্ড ২, বাডস এয়ার ২, ফ্যাশন ব্র্যান্ড ভাউচার, রিয়েলমি বাডস ২ নিও, রিয়েলমি স্পোর্টস ওয়াটার বোতল, রিয়েলমিমিয়াও কি রিং, ৫০০ ও ১০০ টাকার ক্যাশব্যাক, নেটফ্লিক্স সাবসক্রিপশন, ফ্রি ইন্টারনেট ডেটা বান্ডল জিতে নেয়ার সুযোগ।
আরও পড়ুন: গ্লোবালি লঞ্চ হচ্ছে বছরের সবচেয়ে প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ রিয়েলমি জিটি ২ প্রো
এসব উপহার পেতে হলে ৭ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ক্রেতাদের প্রথমে স্মার্টফোন কিনতে হবে। এরপর ক্রয় করা ফোনের আইএমইআই ব্যবহার করে অনলাইন পোর্টালে তথ্য দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গিফট দেখতে পাবেন এবং গিফটের এস এম এস পাবেন।
এর পাশাপাশি, থাকছে আরও পুরষ্কার জেতার সুযোগ। এর জন্য পুরষ্কার জয়ের পর উক্ত শপে বিজয়ী ক্রেতা সেলফি তুলবেন এবং #realmeYearEndOffer এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবেন। সেখান থেকে লটারির মাধ্যমে ভাগ্যবানদের ক্যাম্পেইন শেষে অতিরিক্ত পুরষ্কার হিসেবে রিয়েলমি এআইওটি দেয়া হবে।
আরও বিস্তারিত জানতে কল করুন- ০৯৬-১০৫৫৫৫৫৫
আরও পড়ুন: বিক্রির নতুন রেকর্ড গড়ল রিয়েলমি সি২৫ওয়াই
দেশে অপোর রেনো ৬ বিক্রি শুরু
সারাদেশে আজ মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) থেকে অপো রেনো ৬ স্মার্টফোন বিক্রি শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে ‘ফার্স্ট সেলস’ বা প্রথম বিক্রয় উদযাপন করেছে অপো।
রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে অনুষ্ঠিত ফার্স্ট সেলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অপোর ব্র্যান্ড ম্যানেজার লিউ ফ্যাং, মিডিয়া ও ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যানেজার মুস্তাকিম বিল্লাহ সাদ, কেওএল ম্যানেজার জাফরুল আবেদিন রকি, অপোর কান্ট্রি পিআর ও কমিউনিকেশন ম্যানেজার তাসকিন আল আনাস, ন্যাশনাল ট্রেইনিং ম্যানেজার কাজী আশিক আরাফাত সহ অপোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে এলো অপোর রেনো ৬
রেনো ৬ ফোনটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফিচার হচ্ছে সিনেম্যাটিক বোকেহ ফ্লেয়ার পোর্ট্রটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবির ব্যবহারসহ এতে ৬৪ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ ও এআই হাইলাইট ভিডিও রাখা হয়েছে। বাধাহীন শক্তিশালী পারফরমেন্স দিতে ফোনটিতে আছে ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম।
আর সহজে সবখানে যাতে ফোনটি তালুবন্দি করা যায় সেভাবেই ফোনটির ডিজাইন করা হয়েছে। ফোনটির পুরুত্ব ৭.৮ মিলিমিটার ও ওজন মাত্র ১৭৩ গ্রাম। রেনো সিরিজের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সুপার স্লিম ডিজাইনের সাথে আছে রেনো গ্লো ইফেক্ট। আছে ফ্রিঙ্গারপ্রিন্ট ও স্ক্যাচ প্রতিরোধক ফিচার। এর ৯০ হার্জ রিফ্রেশ হার যেকোন পরিস্থিতিতে বাধাহীনভাবে ফোন চালাতে সাহায্য করবে। কোথাও আটকাবে না। ৪ হাজার ৩১০ এমএএইচ ব্যাটারির সাথে আছে ৫০ ওয়াটের ফ্লাশ চার্জ। অপো ল্যাব টেস্টে এটা প্রমাণিত যে, ফ্লাশ চার্জ থাকার কারণে মাত্র ৪৮ মিনিটে ফোনটি শতভাগ ফুল চার্জ হবে।
আরও পড়ুন: আসছে অপোর রেনো সিরিজের নতুন ফোন, থাকছে সিনেম্যাটিক বোকেহ ফ্লেয়ার
এছাড়া, ফোন গরম হওয়া আজকাল সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেনো ৬ ফোনের গরম হওয়া ঠেকাতে আছে মাল্টি কুলিং সিস্টেম রাখা হয়েছে। ফলে দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারেও রেনো ৬ গরম হবে না। র্যাম এক্সপ্যানশেন প্রযুক্তি সম্বলিত রেনো ৬ দুটি কালারে পাওয়া যাচ্ছে। অরোরা ও স্টেলার ব্লাক কালারের ফোনটির দাম পড়বে ৩২,৯৯০ টাকা।
দেশের বাজারে এলো অপোর রেনো ৬
গ্রাহকের চাহিদার কথা বিবেচনা করে দেশের বাজারে অপো নিয়ে এলো স্মার্টফোন রেনো-৬। বৃহস্পতিবার এক অনলাইন ইভেন্টের মাধ্যমে ফোনটি উন্মোচন করা হয়।
অপো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেনো ৬ ফোনটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফিচার হচ্ছে সিনেম্যাটিক বোকেহ ফ্লেয়ার পোর্ট্রটে। সো। শুধু ফটোগ্রাফি নয়, ইউটিউবসহ নানা মাধ্যমে ব্যবহারের জন্য যারা ভিডিও করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য রাখা হয়েছে ৬৪ মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ ও এআই হাইলাইট ভিডিও। এর ৪৪ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা একদম প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতা দিবে।
ফোনটিতে রাখা হয়েছে ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম। যারা বড় স্টোরেজ ব্যবহার করে অভ্যস্ত তাদের ৫জিবি পর্যন্ত র্যাম বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: আসছে অপোর রেনো সিরিজের নতুন ফোন, থাকছে সিনেম্যাটিক বোকেহ ফ্লেয়ার
আর সহজে সবখানে যাতে ফোনটি তালুবন্দি করা যায় সেভাবেই ফোনটির ডিজাইন করা হয়েছে। কারণ ফোনটির পুরুত্ব ৭.৮ মিলিমিটার ও ওজন মাত্র ১৭৩ গ্রাম। রেনো সিরিজের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সুপার স্লিম ডিজাইনের সাথে আছে রেনো গ্লো ইফেক্ট। আছে ফ্রিঙ্গারপ্রিন্ট ও স্ক্যাচ প্রতিরোধক ফিচার। এর ৯০ হার্জ রিফ্রেশ হার যেকোন পরিস্থিতিতে বাঁধাহীনভাবে ফোন চালাতে সাহায্য করবে। ৪ হাজার ৩১০ এমএএইচ ব্যাটারির সাথে আছে ৫০ ওয়াটের ফ্লাশ চার্জ। ফ্লাশ চার্জ থাকার কারণে মাত্র ৪৮ মিনিটে ফোনটি শতভাগ ফুল চার্জ হবে।
এর অন্যান্য আরো ফিচারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সুপার পাওয়ার সেভিং মোড। ফোনে মাত্র ৫ শতাংশ চার্জ থাকলেও কাজ চালিয়ে নেয়া যাবে। রাতের জন্য আছে সুপার নাইটটাইম স্ট্যান্ডবাই ফিচার। ফিচারটি কালারওএস অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে মানুষের বেডটাইম রুটিন ঠিক রাখে। সুপার নাইটটাম ফিচারের কারণে সারারাত মাত্র ৩ শতাংশ চার্জ শেষ হয়।
তাছাড়া, রেনো ৬ ফোনের গরম হওয়া ঠেকাতে আছে মাল্টি কুলিং সিস্টেম। ফলে দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারেও এই ফোন গরম হবে না।
আরও পড়ুন: অপো ও রয়্যাল কলেজ অব আর্টের অভিনব প্রদর্শনী
ফোনটির দাম ধরা হয়েছে মাত্র ৩২, হাজার ৯৯০ টাকা। বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব আউটলেট ও অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে। ফোনটির প্রি-অর্ডার চলবে ৪-১০ নভেম্বর। মাত্র ২ হাজার টাকা প্রি-অর্ডার করলে আকর্ষণীয় অফার ও পুরস্কার রয়েছে। পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে ফ্রি ব্লটুথ স্পিকার, ১২ জিবি পর্যন্ত ডাটা বান্ডেল অফার এবং তিন মাসের জন্য ওয়ান-টাইম স্ক্রিন রিপ্লেসমেন্ট কার্ড সুবিধা। গ্রাহকরা প্রি-বুকিংয়ে ১৫ শতাংশ এক্সটা এক্সচেঞ্জ অফার পাবেন। ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এই এক্সচেঞ্জ অফার চলবে।
ইন্টারব্র্যান্ডের বেস্ট গ্লোবাল ব্র্যান্ডস তালিকার শীর্ষ পাঁচে স্যামসাং
গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি ও ৭৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্র্যান্ড ভ্যালুর সাথে ইন্টারব্র্যান্ডের ১০০ বেস্ট গ্লোবাল ব্র্যান্ডস’র তালিকার পঞ্চম স্থান দখল করেছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস।
বুধবার প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি লক্ষণীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বৈশ্বিক মহামারির আগের অবস্থানে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছে এবং চলতি বছর এর ২০ শতাংশ ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এ বছরের শীর্ষ ১০০ ব্র্যান্ডের মধ্যে ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধির গড় হারের দ্বিগুণ।
আরও পড়ুন: স্যামসাং ঈদুল আজহার বিশেষ ক্যাম্পেইন বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
২০১৩ সাল থেকে সবচেয়ে বেশি ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধির সাথে গত বছর প্রথমবারের মতো শীর্ষ পাঁচে নাম লেখায় স্যামসাং। এ বছর টানা দ্বিতীয়বারের মতো শীর্ষ পাঁচে থাকার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে স্যামসাং।
ইন্টারব্র্যান্ডের মতে, স্যামসাংয়ের প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ক্রেতা-কেন্দ্রিক ব্যবস্থাপনা মডেলে রূপান্তর। গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা এবং মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দিতে নিবেদিত নতুন একটি সিএক্স (গ্রাহক অভিজ্ঞতা) টিম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এটি তুলে ধরা হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এর ধারাবাহিক প্রচেষ্টা। এর মধ্যে রয়েছে স্যামসাংয়ের সিএসআর’র অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ক্যাম্পেইন, ‘টুগেদার ফর টুমরো! এনাবলিং পিপল’; সাস্টেইনেবিলিটি প্রচারে প্রতিষ্ঠানটির নানাবিধ উদ্যোগ। যেমন: টিভির জন্য ইকো-প্যাকেজিং ব্যবহার এবং গ্যালাক্সি আপসাইক্লিং পোগ্রাম। গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ৩, নিও কিউএলইডি ও হোম অ্যাপ্ল্যায়েন্সের বিস্পোক লাইনআপ সহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী পণ্য বাজারে আনা। মেমোরি বাজারের এক নম্বরে শক্ত অবস্থানের মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতে শীর্ষে থাকা ও উদ্ভাবনী সিস্টেম এলএসআই পণ্য উন্মোচন। ধারাবাহিক বিনিয়োগের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ফাইভজি, অটোমোটিভ এবং রোবোটিকসের মতো উন্নত প্রযুক্তির বিকাশে নেতৃত্ব দেয়া।
আরও পড়ুন: ঈদে স্যামসাংয়ের ‘বিগ অফার ঈদ জমবে এবার’
স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের সিএমও ওয়াইএইচ লি বলেন, ‘গত বছর সারাবিশ্বের অসংখ্য ব্র্যান্ডের মাঝে স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের শীর্ষ পাঁচে অবস্থান এবং তারপরে এই বছর স্যামসাংয়ের দুই ডিজিটের প্রবৃদ্ধি অর্জন অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। ২০১৩ সাল থেকে এটি স্যামসাংয়ের সর্বোচ্চ ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি।’
তিনি বলেন, ‘ক্রেতাদের কথা শোনার লক্ষ্যে আমরা আমাদের ক্রেতা-কেন্দ্রিক ব্যবস্থাপনা মডেল ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে আমরা যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি তা আমরা এভাবেই ফিরিয়ে দিবো।’
অপো ও রয়্যাল কলেজ অব আর্টের অভিনব প্রদর্শনী
ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অপো ও লন্ডনের রয়্যাল কলেজ অব আর্ট একসাথে পথচলার তিন বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে কলেজ শিক্ষার্থীদের নিয়ে সম্প্রতি লন্ডন ডিজাইন ফেস্টিভ্যালে বেশকিছু উদ্ভাবনী স্টুডিও প্রজেক্ট প্রদর্শন করেছে।
সোমবার অপোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
‘দ্য নিউ এক্সটাঅর্ডিনারি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত ১৮ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর লন্ডনে এই ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় কাজ করছে অপো
ইভেন্টে স্নাতক শিক্ষার্থীরা তাদের নানাবিধ সৃজনশীল কাজ তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য প্রজেক্টের মধ্যে রয়েছে আরনাউ ডোনেট ডাচ, মারকো দা ও ইলাদা কাল প্রেজেন্ট সি-আর্থ। সি-আর্থ হচ্ছে এমন একটি প্রজেক্ট যা স্থানীয়ভাবে বিজ্ঞানী ও নীতিনির্ধারকদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পর্যবেক্ষণে সাহায্য করবে। থ্রি ডুডল নামের প্রজেক্টটি শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক প্লাটফর্ম এবং অরা প্রজেক্টটি যারা নিয়মিত যোগ ব্যয়াম করেন তারা এই ডিভাইসের মাধ্যমে সাহায্য পাবেন।
আরও পড়ুন: উন্নত ৫জি অভিজ্ঞতা দিতে একসাথে কাজ করবে অপো-এরিকসন
এ বিষয়ে অপো লন্ডন ডিজাইন সেন্টারের প্রধান জিনটং ঝু বলেন, ‘এই প্রোগামের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে মেধাবী ও রোমাঞ্চপ্রিয় তরুণদের সাথে সাক্ষাৎ ও কাজের সুযোগ পাই। আমরা চাই এই তরুণরা প্রশ্ন করুক কিভাবে আমরা করোনা পরবর্তী সময়ে অপ্রত্যাশিত বৈশ্বিক পরিবেশে কাজ করছি।’