প্রযুক্তির-খবর
দৈনন্দিন প্রযুক্তির কাজকে সহজ করবে ৫ 'লাইফ হ্যাক'
প্রযুক্তি যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকে সহজ করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এও ঠিক যে প্রাযুক্তিক নানা সুযোগ-সুবিধার কারণে প্রতিযোগিতাও বেড়েছে বহুগুণে, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে। এই সুযোগ-সুবিধাগুলো ব্যবহার করে যারা অল্প সময়ে অন্যদের আগেই কাজ শেষ করেন তাদেরকে বলা হয় 'স্মার্ট'।
শুধু বাহবা পাওয়ার জন্য নয়, কর্মদক্ষতা বাড়াতে ও যেকোনো কাজ সহজে করতে জানতে হবে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার। যাকে বলা হয় 'লাইফ হ্যাক'। আজকের আয়োজনে থাকছে সেরকম ৫ লাইফ হ্যাক।
অতিথিদের জন্য ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড
শহরাঞ্চলের অধিকাংশ ঘরেই ব্রডব্যান্ড সংযোগ রয়েছে। তাই বন্ধু বা অতিথি যে-ই আসুক, তাদের প্রথম আবদার থাকে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড। আপনি হয়তো কোনো কাজে ব্যস্ত, তাই পাসওয়ার্ড মুঠোফোনে নিজে থেকে দিতে পারছেন না। আবার পাসওয়ার্ড না বললে মনখারাপ করারও একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। এর সহজ সমাধান পাওয়া যাবে কিউআইএফআই ডট অর্গ-এ (qifi.org)। এই ওয়েব ঠিকানায় প্রবেশ করে রাউটারের নেটওয়ার্ক নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে 'জেনারেট' বাটনে চাপলেই পাওয়া যাবে একটি কিউআর কোড। যা প্রিন্ট করে দেয়ালে লাগিয়ে দেয়া যেতে পারে। পরবর্তীতে যার পাসওয়ার্ড প্রয়োজন হবে তিনি শুধু কোডটি স্ক্যান করবেন।
আরও পড়ুন: কীভাবে চাকরির ইন্টারভিউতে সফল হবেন: গুরুত্বপূর্ণ ১০টি টিপস
টাইপের পরিবর্তে মুখে বলে বাঁচানো যাবে সময়
মুঠোফোন ও কম্পিউটার মিলিয়ে প্রতিদিন যে কত শত শব্দ টাইপ করতে হয় তার ইয়ত্তা নেই। হাতকে কিছুটা আরাম দিতে মুখে উচ্চারণ করেও টাইপের কাজ করা সম্ভব। এই সুবিধা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও গুগল ডকস উভয় সফটওয়্যারেই আছে।
ওয়ার্ডে সুবিধাটি পাওয়া যাবে 'ডিকটেশন' অপশনে। ডিকটেশন টুলবার হোম মেন্যুতে অথবা কি-বোর্ডের উইন্ডোজ ও এইচ কি (Win + H) চেপেও পাওয়া যাবে।
গুগল ডকসে 'টুলস' মেন্যুতে রয়েছে ভয়েস টাইপিং অপশন। ওয়ার্ড ও ডকস উভয়ক্ষেত্রে মাইক্রোফোনের আইকন থাকবে। আইকনটি চাপলেই আপনার কথাগুলো লেখায় পরিণত হবে। বিরামচিহ্ন দেয়ার সময় তুলনামূলক স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করতে হয়।
গুনগুন করে খুঁজুন পছন্দের গান
ঘরে ফিরছেন। রাস্তায় একটি গানের কিছু অংশ শুনে বেশ ভালো লাগল। কিন্তু গানের নাম জানেন না। সুর মনে আছে। সেটিই যেন সারাক্ষণ মাথায় বাজছে। না শোনা পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছেন না। এর সমাধান আছে মিডোমি (midomi.com) নামের ওয়েবসাইটে। সাইটটিতে যেয়ে বৃত্তাকার একটি আইকন পাওয়া যাবে। যা নির্বাচন করলেই চালু হবে। এখন আপনাকে শুধু ওই গানের সুর মাইক্রোফোনে গুনগুন করতে হবে। এটুকুই। আপনার গুনগুন থেকেই সম্ভাব্য ফলাফল দেখাবে। গুনগুন করা হলে আবারও আইকনটি চেপে বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
৬ কি-বোর্ড শর্টকাট বাঁচাবে সময়
Win + D: একাধিক অ্যাপলিকেশন বা উইন্ডো কেটে বা মিনিমাইজ করে ডেস্কটপে যাওয়া বেশ বিরক্তি কর। উইন্ডোজ ও ডি চাপলেই নিমিষেই চলে যাবে ডেস্কটপে।
Spacebar: কোনোকিছু ব্রাউজ করার সময় স্পেসবার চেপে নিচের দিকে স্ক্রল করা যাবে।
Shift + Spacebar: একইভাবে এই দুইটি কি চেপে উপরের দিকে স্ক্রল করা যাবে।
Win + Left/Right Arrow: একাধিক উইন্ডোতে কাজ করার সময় বারবার কারসন না নাড়িয়ে কি-বোর্ডের উইন্ডোজ ও লেফট/রাইট কি চেপে পাশাপাশি উইন্ডো নির্বাচন করা যাবে।
Alt + Tab: অল্ট কি চেপে ধরে ট্যাব কি তে চাপলে খোলা একাধিক উইন্ডোতে সহজেই যাওয়া যাবে।
Win + L: গোপনীয়তা রক্ষার জন্য অনেক সময় দ্রুত স্ক্রিন লক করার প্রয়োজন হতে পারে। কি-বোর্ড থেকে এই দুইটি কি চাপলে সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিন লক হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
ব্রাউজারের ট্যাবেই দেখা যাবে টাইমার
কাজের গতি বজায় রাখতে টাইমারকে অনেক সময় তুলনা করা হয় কোচের সঙ্গে। কিন্তু কম্পিউটারে কাজ করার সময় ঘটে বিপত্তি। ব্রাউজারে কাজ করার সময় বারবার উইন্ডো পরিবর্তন করে দেখে আসতে হয় টাইমার। কাজটিকে সহজ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে ই.জিজি টাইমার (e.ggtimer.com)।
ওয়েবসাইটটিতে গেলেই পছন্দমতো সময় বেঁছে নেয়া যাবে। পাশেই থাকা 'স্টার্ট' বাটনে চাপলেই শুরু হয়ে যাবে সময় গণনা। ট্যাব না খুলেও দেখা যাবে টাইমার।
নেটফ্লিক্স পাসওয়ার্ড শেয়ারিং অবৈধ হতে পারে: যুক্তরাজ্য সরকার
যুক্তরাজ্যের একটি সরকারি সংস্থা নেটফ্লিক্সের মতো অনলাইন স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলোর পাসওয়ার্ড শেয়ার করা আইনের বিরুদ্ধে বলে উল্লেখ করেছে।
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অফিস (আইপিও) মঙ্গলবার বলেছে যে এধরনের অনুশীলন কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে।
যুক্তরাজ্যে যারা একসঙ্গে থাকেন না তাদের স্ট্রিমিং পরিষেবার পাসওয়ার্ড শেয়ার করা খুব সাধারণ বিষয়। যদিও এটি সাধারণত পরিষেবা চুক্তির শর্তের বিরুদ্ধে।
এক্ষেত্রে যে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে এমন ইঙ্গিত নেটফ্লিক্স কখনো দেয়নি।
আরও পড়ুন: মেরিলিন মনরোর মোহময়তায় দর্শককে ভাসাবে নেটফ্লিক্সের ‘ব্লনডি’!
আইপিও সরকারি ওয়েবসাইটে তাদের নির্দেশিকাতে পাসওয়ার্ড শেয়ার করার বিষয়টি সরিয়ে দিয়েছে। একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে পাসওয়ার্ড শেয়ার করার বিষয়ে আইনি অবস্থান পরিবর্তন হয়নি এবং আইপিও-এর নির্দেশিকারও একই অবস্থা। যেখানে বলা হয়েছে যে পাসওয়ার্ড শেয়ার করা মূলত একটি অপরাধ।
যেখানে আরও বলা হয়, ‘ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনে বিভিন্ন বিধান রয়েছে, যা পাসওয়ার্ড শেয়ার করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনো ব্যবহারকারীকে অর্থ প্রদান ছাড়াই কপিরাইট-সুরক্ষিত কাজে প্রবেশাধিকার দেয়া। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে এই বিধানগুলোর মধ্যে চুক্তির শর্তাদি লঙ্ঘন, জালিয়াতি বা সেকেন্ডারি কপিরাইট লঙ্ঘন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। যেখানে দেওয়ানি আইনে এই বিধানগুলো দেয়া আছে। যা প্রয়োজনে আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি পরিষেবা প্রদানকারীর ওপর নির্ভর করবে।"’
আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সের পর্দায় বলিউডে বাঁধনের প্রথম ঝলক
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি উল্লেখ করেছে, যুক্তরাজ্যের প্রথম সারির স্ট্রিমিং পরিষেবাদানকারীরা তা করবে এমন ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যায়নি।
নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, তারা অন্যদের অ্যাকাউন্ট ধার করা লোকেদের জন্য তাদের নিজস্ব সেট আপ করা, তাদের প্রোফাইল একটি নতুন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা এবং সেইসঙ্গে পরিবার বা বন্ধুদের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের জন্য সাব-অ্যাকাউন্ট তৈরি করা সহজ করতে চেয়েছিল। ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে এই বৈশিষ্ট্যগুলো আরও বিস্তৃতভাবে চালু করা শুরু হবে বলে তারা জানায়।
আরও পড়ুন: স্কুইড গেম: বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা নেটফ্লিক্স অরিজিনাল কোরিয়ান ওয়েব সিরিজ
টিকটকে পরীক্ষামূলক ল্যান্ডস্কেপ ভিডিও মোড চালু
ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ‘টিকটক’ বিশ্বজুড়ে নির্বাচিত কিছু ব্যবহারকারীর সঙ্গে তাদের নতুন একটি ল্যান্ডস্কেপ মোড পরীক্ষা শুরু করেছে।
কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন যে এই ফিচারটি ইউটিউবের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী ভিডিও প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সাহায্য করবে।
পোর্ট্রেট মোডে ধারণ করা ভাইরাল ভিডিওগুলো টিকটককে বিশ্বের দ্রুত জনপ্রিয় হওয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপে পরিণত করেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকির অভিযোগে এটি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
'তরুণ জনসংখ্যা'
এ বছর টিকটক জানিয়েছে, তারা ১০ মিনিট পর্যন্ত লম্বা ভিডিও ধারণের ব্যবস্থা করবে।
চীনা মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটিতে আগে কেবল তিন মিনিট বা তার চেয়ে কম সময়ের দৈর্ঘ্যের ভিডিও করা যেত।
আলব্রাইট স্টোনব্রিজ গ্রুপ কনসালটেন্সির একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ পল ট্রায়োলো বিবিসিকে বলেন, ‘টিকটক বেশ কিছুদিন ধরে ইউটিউবের মতো হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ সংস্করণের ১০ মিনিটের ভিডিওগুলো তরুণদের কাছে জনপ্রিয়তায় ইউটিউবকে ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত বিনোদন হবে ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক
৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে নিজের উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে অপারেটরদের সহায়তা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হুয়াওয়ের সিএসডি ফোরাম ২০২২ -এ আলোচনায় এই বিষয়টি উঠে আসে। হুয়াওয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একাধিক দেশের মন্ত্রী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বৈশ্বিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এই ফোরামে হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় হুয়াওয়ে ওয়্যারলেস সল্যুশনের প্রেসিডেন্ট কাও মিং হুয়াওয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের সঙ্গে প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
৫০ কোটি মানুষ যেন ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা উপভোগ করতে পারেন এবং পাঁচ লাখ মানুষ অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন, এজন্য ২০২৫ সালের মধ্যে উন্নত আইসিটি অবকাঠামো তৈরির অন্যতম লক্ষ্য অর্জনে হুয়াওয়ে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করছে।
লিয়াং হুয়া তার মূল বক্তব্যে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
ডিজিটাল আর্থিক সেবা সাফল্যের ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে, বাংলাদেশে একটি মোবাইল ই-ওয়ালেট পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে বিকাশ এবং হুয়াওয়ের অংশীদারিত্ব এবং কীভাবে এই পরিষেবাটি বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সক্ষম করে তুলবে সে বিষয়টি লিয়াং উপস্থিত সবার সামনে তুলে ধরেন।
আলোচনায় লিয়াং বলেন, ‘মোবাইল ইন্টারনেট যুগ থেকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট যুগে ধীরে-ধীরে প্রবেশ করছি। এই যুগে সবকিছু পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং সহজ যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কানেক্টিভিটি শুধুমাত্র ডিজিটাল অর্থনীতির ভিত্তি নয় বরং এটি প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার।’
আরও পড়ুন: দেশের ক্লাউড খাতের বিকাশে হুয়াওয়ে ও রেডডট ডিজিটাল
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়গুলোকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য আমরা দু’টি ক্ষেত্রে এ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। প্রথমত, আমরা ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি এবং ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে ডিজিটাল পরিসরের উপযোগী দক্ষ প্রতিভা বিকাশে কাজ করছি। দ্বিতীয়ত, শক্তিশালী ডিজিটালএবং বাস্তব অর্থনীতির জন্য ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।’
এ লক্ষ্যে, হুয়াওয়ে ২০টি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশে (চীন ও ভারত ছাড়া) প্রায় ১ দশমিক ১ বিলিয়নমানুষ এবং ২৯৩ মিলিয়ন বাড়িতে কানেক্টিভিটি সেবা প্রদান করেছে। হুয়াওয়ে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সুদৃঢ় ট্র্যাক রেকর্ড বজায় রেখেছে।
২০২১ সালে হুয়াওয়ে এ অঞ্চলে তিন লাখেরও বেশি বেস স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণে করেছে, যা ফোরজি নেটওয়ার্ক কভারেজ জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছানোর বিষয়টিকে তরান্বিত করেছে। ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ডাউনলোডের হার এখন এ অঞ্চলে প্রতি সেকেন্ডে ১১০ মেগাবিট, যা আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশে ইনফো সরকার প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের অবকাঠামো নেটওয়ার্ক নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে হুয়াওয়ে। বর্ষাকালে ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও, হুয়াওয়ের ডেলিভারি কর্মীরা সাবট্রপিক্যাল ফরেস্ট, জলাভূমি, জলাবনসহ সরকারি প্রকল্পের অবকাঠামো নেটওয়ার্ককে ২ হাজার ৬০০ গ্রামীণ জনপদে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। যা দেশের মোট ৬০ শতাংশ এলাকায় ছড়িয়ে গেছে। এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী অনেক বাংলাদেশিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের জাতীয় ডিজিটাল সংযোগ প্রকল্পেও অংশগ্রহণ করবে, যেখানে সরকার, শিক্ষা ও আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বই মেলার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ক্লাউড সার্ভিস দিচ্ছে হুয়াওয়ে
অনলাইন শিক্ষার প্রসারে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার আশা হুয়াওয়ের সিইও
ভবিষ্যত বিনোদন হবে ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন,ভবিষ্যত বিনোদন হবে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর।
তিনি বলেন, নতুন নতুন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ডিজিটাল বাংলাদেশের ফসল। সংযুক্ত ও স্বয়ংক্রিয় প্লাটফর্মগুলো হবে বিনোদনের অন্যতম বাহন এবং এগলো বিনোদন খাতকে নিয়ে যাবে নতুন দিগন্তে।
সোমবার তেজগাঁওয়ে নিজস্ব ভবনে ‘কাজী মিডিয়া লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান দীপ্ত টিভি’র ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘দীপ্ত প্লে’- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৩ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ভীষণ যদি না দিতেন এবং সজীব ওয়াজেদ জয় দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে তা বস্তবায়ন না করতেন; তাহলে আজ বাংলাদেশে ইন্টারনেট নির্ভর ওটিটি প্লাটফর্মের সুযোগ আমরা পেতাম না।
আরও পড়ুন: মাইক্রোসফটের উদ্ভাবন কার্যক্রম পরিদর্শন প্রতিমন্ত্রী পলকের
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর এ ধরণের উদ্যোগ দেশের স্বনির্ভরতা অর্জনের স্বাক্ষর বহন করে। এতে ফেসবুক ও নেটফ্লিক্স এর মাধ্যমে যে বিপুল অংকের অর্থ দেশের বাইরে যাচ্ছে তা বাঁচবে। অপসংস্কৃতি থেকেও তরুণদের রক্ষা করা যাবে।
কাজী মিডিয়ার ‘দীপ্ত প্লে’ সব বয়সী দর্শকদের উপযোগী কন্টেন্ট তৈরি করে ওটিটি হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নিতে সক্ষম হবে বলেও আশাবাদ বচ্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন-বিকাশ এর প্রতিষ্ঠাতা কামাল কাদির, দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহিদুল হাসান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়াদ আহমেদ চৌধুরী, পরিচালক কাজী জাহিন হাসান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়াদ চৌধুরী এবং জনাব মাজহার চৌধুরী , প্রধান নির্বাহী মিডিয়াকম লিমিটেড এবং এশিয়াটিক মাইনডশেয়ার অজয় কুমার কুণ্ডু।
উল্লেখ্য, গুগল প্লে থেকে DeeptoPlay অ্যাপ ডাউনলোড করে মোবাইল ফোন বা স্মার্ট টিভিতে দেখা যাবে দীপ্ত প্লে। একই সঙ্গে www.deeptoplay.com ভিজিট করেও ‘দীপ্ত প্লে'র সঙ্গে যুক্ত হওয়া সম্ভব। দেশে ও দেশের বাইরে থাকা সব বয়সী দর্শক খুব সহজেই যুক্ত হতে পারবেন ‘দীপ্ত প্লে'র সঙ্গে। উপভোগ করতে পারবেন দেশি বিনোদন।
প্রসঙ্গত, দীপ্ত টিভির দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক এবং ডাবিং সিরিয়ালগুলো দর্শক এই প্ল্যাটফর্মে দেখতে পাবেন যখন- তখন, ইচ্ছেমতন সময়ে। অ্যানিমেশন ফিল্ম, ডকুমেন্টারিসহ নানা ধরনের টিভি শো। প্রায় ১০০০ এর ওপর কন্টেন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করা দীপ্ত প্লেতে দর্শকের সময় ফুরিয়ে যাবে, কিন্তু কন্টেন্ট ফুরাবে না; এখানে প্রতিদিনই যুক্ত হতে থাকবে নতুন নতুন কন্টেন্ট। মাসিক ও বাৎসরিক সাবক্রিপশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানগুলো টিভি'র আগেই উপভোগ করার সুযোগ পাবেন দর্শকরা।
আরও পড়ুন: সাইবার যুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাজিত করার আহ্বান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের
প্রতিবন্ধী ও চাকরিদাতাদের সেতুবন্ধনে কাজ করবে ‘ইমপোরিয়া’: প্রতিমন্ত্রী পলক
তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক
শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক আগামীতে তথ্য প্রযুক্তিখাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বক্তারা।
রবিবার তথ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে 'চতুর্থ শিল্প বিপ্লবঃ বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের প্রস্তুতি ও চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন, তথ্য প্রযুক্তিখাতে নতুন নতুন ব্যবসায়িক ধারণা নিয়ে নবীন উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে এখাতে সৃষ্ট সুযোগের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে বাংলাদেশ দ্রুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোন আসক্তি দূর করতে গুগলের নতুন ৩ অ্যাপ
কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য অধিদপ্তরের ইনোভেশন টিম লিডার ও সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আবদুল জলিল।
তথ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র তথ্য অফিসার এ. এইচ. এম. মাসুম বিল্লাহর সঞ্চালনায় কর্মশালায় শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের মহাব্যবস্থাপক মেজর অবসরপ্রাপ্ত এম ইউ সিকদার, আইটি ইঞ্জিনিয়ার শুকলাল কুমার, কেনার হাটের কো-ফাউন্ডার মো. নাহিদুল ইসলাম, টেকনোসফট গ্লোবাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজালাল, শিখো টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মোঃ বেনজির আলম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আবদুল জলিল বলেন, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক দেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির সূতিকাগার। দেশ-বিদেশের আইটি শিল্প উদ্যোক্তারা এখানে নতুন বিনিয়োগের চিন্তা নিয়ে এগিয়ে আসবেন।
এ পার্ক রাজধানী ঢাকার বাইরে যশোরে আইটি খাতে বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। এই সফটওয়্যার পার্কের সুবিধা নিয়ে স্টার্ট আপের মাধ্যমে নতুন নতুন আইডিয়া বেরিয়ে আসবে। এখান থেকেই সফল নতুন ব্যবসার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
তিনি ই-কমার্স প্লাটফর্মে যশোরের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্য বিপণনের জন্য উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: নীরব ঘাতক স্মার্টফোন!
পার্কের মহাব্যবস্থাপক মেজর অবসরপ্রাপ্ত এম ইউ সিকদার বলেন, সরকার যশোরকে দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পাশাপাশি আইটিখাতে উদ্যোক্তা তৈরিতে এই বিশেষায়িত পার্ক স্থাপন করেছে।
বর্তমানে এ পার্কে ৫৪ জন বিনিয়োগকারী রয়েছেন। তারা মূলত সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, স্টার্ট আপ ডেভেলপমেন্ট, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং, কল সেন্টার খাতে বিনিয়োগ করেছেন বলে তিনি জানান।
কর্মশালায় উদ্যোক্তারা জানান, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে উদ্যোক্তারা কম খরচে নিজেদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন। এখানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে। ফলে বড় বড় আইটি প্রতিষ্ঠান এই পার্কে বিশাল পরিসরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আইটিখাতের স্টার্ট-আপদের সম্পূর্ণ বিনা খরচে অফিস পরিচালনার সহায়তা দেয়ায় তারা সরকারের প্রশংসা করেন।
তারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য সহজ শর্তে ফাইন্যান্সিং সুবিধা প্রদান এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে অভিজ্ঞতার শর্ত শিথিল করার পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, যশোর শহরের নাজির শঙ্করপুর এলাকায় ৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ একর জমির ওপর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করা হয়। কর্মশালা শেষে তথ্য অধিদপ্তরের ইনোভেশন টিমের সদস্যরা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের স্মার্টফোন আসক্তি দূর করতে সফটওয়্যার আনছে অ্যাপল
অ্যামেকা: বিশ্বের সর্বাধুনিক মানবিক রোবট
মহাকাশ থেকে শুরু করে বাড়ির আঙ্গিনা, সবখানেই এক অনুগত সহকারী হিসেবে আবির্ভাব ঘটছে স্বয়ংক্রিয় যান্ত্রিক কাঠামো বা রোবটের। এর সঙ্গে মানুষের মতো অবয়ব ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আসফালনে মানুষের পাশাপাশি দ্বিতীয় স্বতন্ত্র সভ্যতার প্রবেশদ্বারে পৌঁছেছে রোবট। সম্প্রতি বিশ্বের সর্বাধুনিক হিউম্যানয়েড রোবট অ্যামেকা যেন ঠিক তারই প্রতিধ্বনি বয়ে বেড়াচ্ছে। ২০৩০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে শতকরা ৩০ ভাগ কাজ রোবটের দখলে চলে যাওয়ার এ যেন প্রথম পদক্ষেপ। চলুন, প্রযুক্তি জগতের এই অভাবনীয় সাফল্যের ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
অত্যাধুনিক হিউম্যানয়েড রোবট অ্যামেকা কি কি করতে পারে
অ্যামেকার কার্যকলাপের মধ্যে যেটি সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে তা হল তার মুখের অভিব্যক্তি। মুচকি হাসির সময় সে চমৎকার ভাবে চারপাশ তাকাতে পারে। তার অবাক হয়ে তাকানো, নাক আঁচড়ানো, এমনকি দর্শকের সঙ্গে মজা করার বিষয়টি অভূতপূর্ব। অবশ্য একদম মানুষের মতো মুখভঙ্গি দেখে অনেকের পিলে চমকে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: টেসলার রোবট ‘অপটিমাস’ দেখালেন ইলন মাস্ক
অ্যামেকার প্রতিটি চোখে একটি করে ক্যামেরা আছে। এগুলো দিয়ে সে সামনের মানুষদের শনাক্ত করতে ও তাদের মুখ স্পষ্টভাবে ট্র্যাক করতে পারে। আচরণগত অভিব্যক্তি প্রকাশের সময় সে তার কাঁধ নাড়িয়ে মাথার পাশ পর্যন্ত নিজের হাত ওঠাতে পারে। যে কোনো বস্তু শনাক্ত করার সময় অ্যামেকার গতিবিধি অন্য যেকোনো রোবটের চেয়ে বেশ প্রাণবন্ত।
যুক্তরাজ্যের গবেষকদের একটি দল সম্প্রতি অ্যামেকার সিস্টেমে চ্যাটবট আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেছে। ফলে অ্যামেকা মানুষের কাছ থেকে কোনো ইনপুট ছাড়াই স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে। তবে এখন পর্যন্ত অ্যামেকার নীচের অর্ধাংশ অকার্যকর থাকায় সে হাঁটতে পারছে না।
আধুনিক হিউম্যানয়েড রোবট অ্যামেকার নির্মাতা
অ্যামেকার নেপথ্যে আছে ইঞ্জিনিয়ার্ড আর্টস নামের যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় একটি ডিজাইনার এবং মানবাকৃতির বিনোদন রোবট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান৷ রোবটের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্যে ব্রিটিশ কোম্পানিটি যাত্রা শুরু করেছিলো ২০০৫ সালে। তারপর থেকে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা মানবাকৃতির রোবটের বিকাশ নিয়ে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্যান্সার খুঁজতে দেহের ভিতর সাঁতার কাটবে রোবট
২০১৬ সালে উদ্ভাবিত বিখ্যাত সোফিয়া রোবটে ব্যবহৃত প্রযুক্তির অনেকটাই ব্যবহার করা হয়েছে এই অ্যামেকাতে। ইঞ্জিনিয়ার্ড আর্টস অ্যামেকাকে ভবিষ্যত মানবাকৃতির রোবটের জন্য একটি অগ্রগামী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রদর্শন করছে, যার ওপর ভিত্তি করে অজস্র বিকাশ ঘটানো যাবে রোবটিক্সে।
তাদের প্রস্তুতকৃত অন্যান্য রোবটগুলোর মধ্যে আছে মেস্মার, রোবোথেস্পিয়ান ও কুইন। এছাড়া গ্রাহকদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে কাস্টমাইজ রোবট তৈরির লক্ষ্যেও তারা কাজ করছে।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে শাওমি নিয়ে এসেছে বড় পর্দার টিভি
জমে উঠেছে কাতার বিশ্বকাপ-২০২২। একটার পর ঘটনা আর অঘটনের স্বাক্ষী হচ্ছে বিশ্ববাসী। সবাই যার যার মতো করে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার নিয়ে বিশ্বকাপের এ উত্তেজনা উপভোগ করছেন। কেউ ঘরে বসে আবার কেউ বাইরে বড় পর্দায় ফিফা বিশ্বকাপ দেখছেন। বিশ্বকাপের মতো বড় আসর বড় পর্দায় দেখার মজাই আলাদা। তাইতো শেষ মুহুর্তে অনেকেই এখন বড় পর্দার স্মার্ট টিভি কেনার দিকে ঝুঁকছেন। এদের কথা চিন্তা করেই বাংলাদেশের বাজারে এসেছে শাওমির সর্বশেষ প্রযুক্তির স্মার্ট টিভি।
শাওমির অনুমোদিত পরিবেশক আমায়া নিয়ে এসেছে তিনটি মডেলের এ২ টিভি সিরিজ। শাওমি টিভি সিরিজের আকর্ষণীয় দিকগুলো হচ্ছে:
আরও পড়ুন: গুগল-মাইক্রোসফটের মুনাফায় মন্থর গতি
টিভি কেনার আগে আমাদের প্রথমেই মাথায় আসে টিভির সাইজের কথা। বেডরুমের দেয়ালের সাইজের সঙ্গে মিল রেখে অনেকেই টিভি কিনে থাকেন। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এখনকার স্মার্ট টিভিগুলো সাধারণত ৩২, ৪৩, ৫৫, ৬৫, ৭৫ ইঞ্চি এমন সাইজের হয়ে থাকে। শাওমির এ২ সিরিজের তিনটি টিভি ৩২, ৪৩ এবং ৫৫ ইঞ্চি সাইজের। এ তিনটি সাইজ সময়োপযোগী। সবস্থানেই সুন্দরভাবে ফিটিং করা যাবে।
স্মার্ট টিভির ক্ষেত্রে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রেজ্যুলেশন। এখনকার স্মার্ট টিভিগুলো সাধারণত ১০৮০পি, ৪কে ও ৮কে রেজ্যুলেশনের হয়ে থাকে। এরমধ্যে ৪কে টিভি বহুল ব্যবহৃত ও জনপ্রিয়। শাওমির এ২ সিরিজের ৪৩ এবং ৫৫ ইঞ্চি টিভি ৪কে রেজ্যুলেশনের। সুতরাং পিকচার কোয়ালিটি নিয়ে কোন বাড়তি চিন্তা করতে হবে না।
টিভি দেখার ক্ষেত্রে সাউন্ড বা অডিও কোয়ালিটি অবশ্যই ভালো হওয়া চাই। ভালো সাউন্ড সুবিধার জন্য শাওমি টিভিতে ১০ ওয়াট স্পিকার সুবিধার সঙ্গে ডলবি অডিও এনহেন্সমেন্টে সুবিধা থাকছে। পাশাপাশি টিভি সিরিজটি এইডডিআর ১০ ও ডলবি ভিশন কনটেন্টস সাপোর্ট করবে। সবগুলো মডেলের টিভি মেটাল চেসিস ও বেজেল-লেস স্ক্রিনের।
আজকাল স্মার্ট টিভি হওয়ায় সবাই টিভিতে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে চান। এ২ টিভি সিরিজ অ্যান্ড্রয়েড টিভি হওয়ায় এর সব মডেলেই ইন্টারনেট সংযোগ ও গুগল প্লে অ্যাকসেস সুবিধা থাকবে। ফলে ব্যবহারকারী তার সুবিধামতো অতিরিক্ত অ্যাপস ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। থাকবে স্মার্ট বিল্ট ইন গুগল এ্যাসিসটেন্ট ও শাওমি হোম অ্যাপ। এর মাধ্যমে সকল শাওমি স্মার্ট হোম প্রোডাক্টস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। নেটফ্লিক্স, প্রাইম ভিডিও এবং ইউটিউব প্রি-ইনস্টল থাকবে।
ভাবছেন কিভাবে টিভির সঙ্গে অন্যান্য ডিভাইস কানেকশন দিবেন। এ২ সিরিজের টিভিগুলোতে দুর্দান্ত কানেক্টিভিটির জন্য ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, তিনটি এইচডিএমআই ২.০ পোর্টস, দুটি ইউএসবি ২.০ টাইপ এ পোর্টস, একটি আরজে-৪৫ ইথারনেট জ্যাক, একটি ৩.৫ মিলিমিটার অডিও জ্যাক এবং বেশ কিছু কম্পোজিট জ্যাক রয়েছে। সুতরাং সব ধরনের কানেকটিভির জন্য কোন চিন্তা করতে হবে না।
দাম: ৫৫ ইঞ্চির এ২ সিরিজের দাম পড়বে ৬৫,৯৯০ টাকা, ৪৩ ইঞ্চির দাম পড়বে ৪২,৯৯০ টাকা, এবং ৩২ ইঞ্চির দাম পড়বে ২৫,৯৯০ টাকা। শাওমির অনুমোদিত পরিবেশন আমায়া ছাড়া অনলাইন প্লাটফর্ম দারাজে পাওয়া যাচ্ছে সিরিজের টিভিগুলো।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে এলো দুর্দান্ত পারফরমেন্স ও সেরা দামের রিয়েলমি সি৩০
শিগগিরই দেশের বাজারে আসছে সাকিবের এক্সক্লুসিভ এস#৭৫ রঙ সম্বলিত অপো এফ২১এস প্রো
গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ব্যাকবোন তৈরিতে কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বুধবার রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের আয়োজনে ইউএভি (আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকল) ও এ সম্পর্কিত সফটওয়্যার সমাধানগুলোর ওপর 'বাংলাদেশ-কোরিয়া ড্রোন রোড শো ২০২২' শীর্ষক অর্ধ দিবসের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোরিয়ার প্রাইভেট সেক্টর আমাদের দেশে খুব ভালোভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা প্রদান করতেও প্রস্তুত রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই কোরিয়ার সঙ্গে একটি সুন্দর সম্পর্ক বিদ্যমান। গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি লাভ করেছে। আরএমজি সেক্টরে ৪০ বছর আগে কোরিয়ার সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করি। আরএমজি সেক্টর বর্তমানে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশ।
পলক বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের এই লক্ষ্য অর্জনে বন্ধু দেশ হিসেবে পাশে রয়েছে বলে তিনি ধন্যবাদ প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন যে এ ধরনের রোড শো আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্টার্টআপ, উদ্ভাবক, বিজনেস প্রতিষ্ঠানসহ পুরো আইসিটি খাতের জন্যে একটি নতুন সম্ভাবনা ও সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-কোরিয়া আগামী দিনে জিটুজি, জিটুবি ও বিটুবি ম্যাচমেকিং -এর মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রযুক্তি উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩শ’ স্কুলে কুমন শিক্ষাক্রম চালু করা হবে: পলক
তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ স্টার্টআপ, উদ্ভাবক ও নতুন সম্ভাবনাময়ী উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। এই রোড শো আমাদের প্রযুক্তি খাতের স্টার্টআপ ও উদ্ভাবকদের উৎসাহিত করবে এবং তাদের জন্যে খুবই সহায়ক হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন যে বাংলাদেশ প্রযুক্তি খাতে খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আগামীতেও এ ধরনের কোলাবরেশন এবং এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিতে আগ্রহী।
প্রতিমন্ত্রী ড্রোন প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করার মাধ্যমে দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করে বলেন যে পানি দূষণ রোধে ড্রোন টেকনোলজি ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও, তিনি ছাত্র-ছাত্রীসহ তরুণদের ড্রোন টেকনোলজি সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহ দেন।
অনুষ্ঠানের বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমরা ড্রোন প্রযুক্তি বিষয়ক এ ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী রোড শো আয়োজন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি বলেন, বিশ্বে ড্রোন প্রযুক্তির মার্কেট খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা ব্যক্ত করে বলেন বাংলাদেশ-কোরিয়া যৌথভাবে ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশের ড্রোন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কোরিয়া-বাংলাদেশ পার্টনারশিপের মাধ্যমে এ প্রযুক্তি উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রোডশোর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশের সরকার পক্ষ থেকে উপস্থাপনাসহ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের পণ্য-নির্দিষ্ট উপস্থাপনাগুলোর একটি সিরিজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর ফলে তারা এই ক্ষেত্রে কীভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং কোরিয়া যে সমাধানগুলো অফার করতে পারে তার কিছু ব্যাখ্যা করা হয় অনুষ্ঠানে। সম্মেলনে কোরিয়ার ছয়টি প্রতিষ্ঠান তাদের ড্রোন ও জিআইএস বিষয়ক পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিক ফিদা এ খান, কে-বিডি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইয়ং ওহ রিউ সহ আরও অনেকে।
এছাড়া ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং কোরিয়া ইনস্টিটিউট অব এভিয়েশন সেফটি টেকনোলজি, কোরিয়ান ইউএভি প্রযুক্তি কোম্পানি এবং স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহন করেন।
আরও পড়ুন: আইসিটি হচ্ছে অক্সিজেনের মতো: পলক
বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে খুলনা
আইসিটি হচ্ছে অক্সিজেনের মতো: পলক
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আইসিটি হচ্ছে অক্সিজেনের মতো। কোথাও আমরা ভুমিকা পালন করছি বাস্তবায়নকারী হিসেবে, কোথাও পরামর্শক হিসেবে আবার কোথাও সহায়ক হিসেবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার গুলশানে দি ওয়েস্টিন হোটেলে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো (বিএমইটি) কর্তৃক আয়োজিত “ডিজিটালাইজেশন অব বিএমইটি সার্ভিসের লঞ্চিং সিরেমনি” অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ আমাদের শিখিয়েছেন কাজগুলো করতে হবে আইসোলেটেড ওয়েতে নয় বরং হোল অব গভর্নমেন্ট অ্যাপ্রোচ নিয়ে, কোলাবোরেশন এবং কো-অর্ডিনেশন মাইন্ডসেট নিয়ে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন সরকার ব্যবসা করবে না, কিন্তু ব্যবসা করার ক্ষেত্র তৈরি করে দেবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান কাজ করলে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বর্তমানে আমরা যে নিজেদের শক্তিশালী মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ হিসেবে পরিচয় দিতে পারছি তার মূল তিনটি শক্তি হলো- কৃষি, পোষাক ও প্রবাসী। এই কৃষি, পোশাক ও প্রবাসী এই তিনটি সেক্টর হচ্ছে আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড।
আরও পড়ুন: ৩শ’ স্কুলে কুমন শিক্ষাক্রম চালু করা হবে: পলক
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, একদিকে প্রবাসী ভাই-বোনেরা আমাদের প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। অপর দিকে পোশাকশিল্প থেকে ভাইবোন ৩০-৩৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানী আয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে। কৃষিতে সাড়ে তিন কোটি শ্রমিক আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। সেকারনে আমরা স্যালুট জানাই আমাদের এক কোটি ২০ লক্ষ ভাই বোনদের যাদের রক্ত, ঘাম ও শ্রমের মধ্য দিয়ে আমাদের বেতন ভাতা হয়, রাস্তাঘাট হয়, আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ মৌলিক চাহিদাগুলোর মূল যোগান দেয় আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা।
তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে তারাও স্মার্ট প্রসেস ব্যবহার করছে। যারা বেশি করে ডেটা প্রডিউস করছে এবং ডেটা এনালাইসিস করতে পারছে তাদের যে সম্পদ তৈরি হচ্ছে তা ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক সম্পদ তেল, সোনা বা হীরার থেকেও বেশি মুল্যবান হয়ে যাবে। এবং তার বড় প্রমান আজকের ডিজিটালাইজেশন অফ বিএমইটি সার্ভিস ‘প্রবাসী’ অ্যাপ।
তিনি আরও বলেন, যদি আমাদের এই মধ্যম আয়ের দেশ থেকে জ্ঞান ভিত্তিক উদ্ভাবনী অর্থনীতির দিকে যেতে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হয় তবে প্রযুক্তিকে আমাদের পোশাক শিল্পে ব্যবহার করতে হবে, প্রবাসী কর্মসংস্থানে ব্যবহার করতে হবে এবং আমাদের কৃষিতেও ব্যবহার করতে হবে। তবেই আমরা একটা স্মার্ট ইকোনমির দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।
আরও পড়ুন: ইন্টারেক্টিভ গেমিং প্ল্যাটফর্ম ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ উদ্বোধন করলেন পলক
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি।
তিনি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে উভয়পক্ষের সমান দায়িত্ব ও অংশীদারিত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, যখনই আমরা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের কথা বলি, সেটাকে অংশীদারত্বই হতে হয়। সরকার সুযোগ দেয় কারণ তার সেবাটি প্রয়োজন। ইতোমধ্যে অংশীদারিত্বের ফলাফলও পাওয়া যাচ্ছে যার একটি উদাহরণ হল বিএমইটি ডাটাবেজ।
তিনি বলেন, যে বিএমইটির একার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন যে আমার কাজ কর্মীদের বিদেশ পাঠানো। এখন আর এনালগ পদ্ধতিতে পাঠানো যাবে না, ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠাতে হবে। এছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠানোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে কর্মীদের যেন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে না হয়। কর্মীকে বিদেশ পাঠানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে হবে। ডিজিটালাইজেশন আমাদের তাতে সহায়তা করবে এবং বিদেশে কর্মী পাঠানোর ধাপ কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, এনডিসি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা)-এর সভাপতি মোহাম্মাদ আবুল বাশার।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহের প্রতিনিধিগণ, জনপ্রতিনিধিসহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম ক্যাশ-লেস ক্যাম্পাস হবে হাজী দানেশ: পলক