������������������������������-���������
ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
জনাকীর্ণ শহর ঢাকায় সাঁড়াশির মতো ছড়ানো সরকারি ও বেসরকারি পরিবহনের রুটগুলো। বাসা থেকে বের হওয়ার পর মেলে না গন্তব্যের কাঙ্ক্ষিত পরিবহনটি। বিশেষ করে মেগাসিটির অধিবাসীদের বিরাট অংশকেই যাত্রার জন্য নির্ভর করতে হয় বাসের ওপর। নগরীজুড়ে বিভিন্ন রুটে বাসের চলাচল থাকলেও জ্যাম এড়িয়ে সময়মতো সঠিক বাসটি খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। কোন বাস কোথায় যাচ্ছে এবং একই গন্তব্যে যাওয়ার বিকল্প পথে কোন বাসটি আছে; এগুলো আগে থেকে জানা সম্ভব হলে অনেকটাই দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়া যায়। আর এই ধকলটিই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে এখন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কে।
যে মোবাইল অ্যাপগুলোতে জানা যাবে ঢাকার বাসরুট
বাস রুট: ঢাকা সিটি
১১ এমবি’র (মেগাবাইট) এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি একদমই নতুন। ২০২৩-এর ৩ অক্টোবর সমস্ত বাসের গমন পথের তালিকা ও গুগল ম্যাপের ইন্টিগ্রেশনসহ এটি গুগল প্লে স্টোরে উন্মুক্ত হয়। পিওরসফট সল্যুশন নির্মিত পরিষেবাটির সর্বশেষ হালনাগাদ হয় ১৬ অক্টোবর।
এতে আছে যাত্রা শুরুর স্থান ও গন্তব্য নির্বাচনের সুবিধা। এ সময় যাত্রী তার বর্তমান অবস্থানের কাছাকাছি স্টেশনগুলোও দেখে নিতে পারেন। ফলে স্টেশনের নাম জানা না থাকলেও কাছাকাছি যে কোনো অবস্থান থেকে তার কাঙ্ক্ষিত বাসটি ধরতে পারবেন।
গুগল ম্যাপে সরাসরি পাওয়া যায় সকল স্টেশন এবং বাস চলাচলের তথ্য। এগুলো বাংলা ও ইংরেজিতে দেখার পাশাপাশি আছে ইন্টারফেসের মুড পরিবর্তনের উপায়।
অ্যাপের এই ১.১.১ ভার্সনটি অ্যান্ড্রয়েড ৫ ও তার উপরের সব স্তরে ব্যবহার করা যাবে।
গত দুই মাসের মধ্যে অ্যাপটি ৫ হাজারেরও অধিক বার ডাউনলোড করা হয়েছে। ৫৪টি রিভিউ থেকে এখন পর্যন্ত অ্যাপটির অর্জিত তারকা পয়েন্ট ৪.৪।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে দেশে সর্বপ্রথম তারবিহীন চার্জিং বৈদ্যুতিক যান উদ্ভাবন
ঢাকা সিটি বাস রুট
২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল চালু করা এই অ্যাপের বিশেষ দিক হলো এর সাবলিল সার্চ অপশন। অর্থাৎ এখানে সীমিত অপশন থেকে নির্বাচনের সীমাবদ্ধতা নেই।
তবে ৪.২ এমবি সাইজের অ্যাপটির অতিরিক্ত গুণগত মানগুলোও বেশ আকর্ষণীয়। এগুলো হলো- ঢাকার দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাওয়ার পথ এবং আইনি সহায়তাসহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবার ফোন নম্বর। এছাড়াও শহরের কোন মার্কেট কবে বন্ধ থাকে তা এখানে তালিকাবদ্ধও করা আছে।
২০২৩ এর ২৮ নভেম্বর হালনাগাদ করা অ্যাপটির বর্তমান সংস্করণ ১৫। অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ ও তারও বেশি অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারযোগ্য অ্যাপটি ইতোমধ্যে ৫০ হাজারেরও অধিক সংখ্যকবার ডাউনলোড করা হয়েছে। সেভেনটি ওয়ান ল্যাব নির্মিত অ্যাপটি ২৭০টি রিভিউ থেকে রেটিং পেয়েছে ৩.৭।
আরও পড়ুন: ছাড়ে রিয়েলমি ডিসপ্লে পরিবর্তন করার সুযোগ
ঢাকা বাস রুট
কোডারকো নির্মিত এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে আসে ২০২৩ এর ২৪ আগস্ট। শহরের লোকাল বাসগুলোর পাশাপাশি সিটিং বা কাউন্টার বাসগুলোর তালিকা থাকায় এটি একটি নির্ভরযোগ্য তথ্যভান্ডারে পরিণত হয়েছে।
৫.৮ এমবির এই অ্যাপে রয়েছে বাস কোম্পানি ও বিভিন্ন স্থানের নাম দিয়ে রুট দেখার সুবিধা। ২০২৩ এর ২৭ নভেম্বর সর্বশেষ আপডেট হওয়ার পর থেকে এর ২.২ সংস্করণটি চালু রয়েছে। এরই মধ্যে অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ১ হাজারেরও বেশিবার এবং ৩৬টি রিভিউ থেকে রেটিং পেয়েছে ৪.৩। অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হবে অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ এবং তার উপরের স্তরের অপারেটিং সিস্টেম।
আরও পড়ুন: অ্যাপেল আইফোন ১৫ রিভিউ: নতুন কী থাকছে?
ঢাকা সিটি বাস রুটস
নাম অনেকটা একই হলেও এনকোসিঙ্কের এই অ্যাপটি বেশ বড় এবং সেই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট কিছু সুবিধা সম্বলিত। ১৪ এমবির এই অ্যাপে রয়েছে ১৫৬-এরও বেশি বাস, ২৮৭-এরও বেশি রুট তালিকা। এরই সঙ্গে কার্যকরি সার্চ অপশন আর বাসের ছবিগুলো ব্যবহারকারীদের কাছে আলাদাভাবে এর গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে।
২০২৩-এর ২৬ মে থেকে চালু হওয়ার পর অ্যাপটির শেষ আপডেট দেয়া হয় ২৬ আগস্ট। এর মাঝেই ১১.০.০ সংস্করণটির ডাউনলোড সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে। ন্যূনতম অ্যান্ড্রয়েড ৫ থাকলেই যে কোনো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী নির্দ্বিধায় অ্যাপটি চালাতে পারবেন। ১৫টি রিভিউ থেকে অ্যাপটির অর্জিত তারকা পয়েন্ট ৩.৫।
বিডি বাস রুট
৬.১ এমবির এই অ্যাপটিতে ব্যবহারকারিরা পাচ্ছেন ১৫০-এর অধিক বাসের গমন পথ দেখার সুবিধা। ১০ হাজারের অধিক ডাউনলোড সংখ্যার নেপথ্যে রয়েছে এর সহজবোধ্য ইন্টারফেস। পরিবহনগুলোর ছবি থাকার কারণে ঢাকা শহরে একদম নবাগতরাও এর মাধ্যমে পেয়ে যান সরাসরি বাস চেনার অভিজ্ঞতা।
নিউএইজডেভস বিডি বাস রুট অ্যাপ প্রকাশ করে ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর। ২৭ জন রিভিউদাতার কাছ থেকে ৩.৬ তারকা রেটিং প্রাপ্ত এই অ্যাপটি ২০২৩-এর ৬ নভেম্বরে সর্বশেষ হালনাগাদ হয়। অতঃপর এটি উন্নীত হয় ১.১.২ সংস্করণে। কমপক্ষে অ্যান্ড্রয়েড ৫ থাকলে নিরবচ্ছিন্নভাবে চালানো যাবে এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির অ্যাপে মিলবে দাফন ও পুরোনো কবরের তথ্য
কোন বাস কোথায় যায় (ঢাকা সিটি)
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে গুগল প্লে স্টোরে আসা অ্যাপটির আরেক নাম বাসরুট ইনফো (ঢাকা সিটি)। ৬.২ এমবি সাইজের এই অ্যাপের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ডিজিটাল অ্যাপস। প্রত্যেকটি বাস কোম্পানির জন্য এখানে মিলবে স্বতন্ত্র রোডম্যাপ।
এর বিশেষ দিক হচ্ছে এটি পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার ভিত্তিতে যে কোনো দূরত্বের ন্যায্য ভাড়া বলে দিতে পারে। এর জন্য এটি সরাসরি সংযুক্ত হয় ‘ভাড়া কত? বাস ভাড়ার তালিকা’ নামক অ্যাপের সঙ্গে, যেটি মূলত গ্লোবাল ডিজিটাল অ্যাপেরই আরেকটি ডিজিটাল পরিষেবা।
২৮ জন রিভিউদাতাদের কাছ থেকে ৩.৬ তারকা রেটিং প্রাপ্ত এই অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ৫ হাজারেরও অধিক সংখ্যকবার। সর্বশেষ ২০২৩ এর ১৪ আগস্ট আপডেটের পর এর বর্তমান ভার্সন ২.২। অ্যাপটি চালানোর জন্য স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম কমপক্ষে অ্যান্ড্রয়েড ৫ থাকতে হবে।
শেষাংশ
ঢাকার বাসরুট জানার এই প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোর মধ্যে রেটিংয়ের দিক থেকে এগিয়ে আছে পিওরসফৎ সল্যুশনের পরিষেবাটি। তবে সেভেনটি ওয়ান ল্যাবের অ্যাপটি তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় ধরে গ্রহণযোগ্যতা ধরে রেখেছে। নতুনগুলোর মধ্যে ব্যবহারযোগ্যতায় কোডারকো’র বাস গমন পথের তথ্যভান্ডারটি এগিয়ে। এখানে প্রতিযোগিতায় বেশ পিছিয়ে থাকছে নিউএইজডেভসের অ্যাপটি।
বেশি স্টোরেজ ক্ষমতা এনকোসিঙ্কের সেবার জন্য একটি বড় অসুবিধা হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে। তবে ভাড়ার তথ্য জানার ফিচারের জন্য সবগুলোকে ছাপিয়ে যেতে পারে ‘কোন বাস কোথায় যায়’ অ্যাপটি।
সর্বোপরি, ঢাকার বাসরুট খোঁজার মোবাইল অ্যাপগুলো সামগ্রিকভাবে পরিবহন ব্যবস্থার ডিজিটালকরণের অভিমুখে এক বিশাল পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: দৈনন্দিন প্রযুক্তির কাজকে সহজ করবে ৫ 'লাইফ হ্যাক'
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের সেবা এখন মাইগভে
ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে চালু করা মাইগভ প্ল্যাটফর্মে এবার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের ৪টি ডিজিটাইজড সেবা চালু হয়েছে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজনে এবং এসপায়ার টু ইনোভেটের (এটুআই) কারিগরি সহায়তা সেবাগুলোকে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট সেবাসমূহ মাইগভ প্ল্যাটফর্মে উন্মুক্তকরণ’ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ডিজিটাইজড সেবাগুলোর উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নূরুন নাহার হেনার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআইয়ের যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোল্লা মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ১৪৬ সেবা এখন পাওয়া যাবে মাইগভে
মাইগভে চালু হওয়া জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের ৪ সেবা হলো- গণমাধ্যমবিষয়ক প্রশিক্ষণ, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণার্থীদের সনদ প্রদান, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের স্থাপনা ভাড়ার আবেদন এবং অনলাইন রেজিস্টেশনের জন্য আবেদন।
হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘সরকার নাগরিকদের ঝামেলামুক্ত সেবা প্রদান করতে চায়। এজন্য দরকার একটা সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম। এ উদ্দেশ্যে এটুআইয়ের সহযোগিতায় সরকার মাইগভ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৭টি দপ্তর/সংস্থার ডিজিটাইজেশনের আওতায় নেওয়ার কার্যক্রম চলমান। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের ৪টি নাগরিক সেবাকে প্রথম পর্যায়ে নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সংস্থার সেবাগুলো শিগগিরই যুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে সেমিনার
সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমরা আমাদের সেবাগুলো শতভাগ ডিজিটাইজেশনের আওতায় নিতে চাই। আমাদের সেবাগুলোকে ক্যাশলেস ও পেপারলেস এবং আরও নাগরিকবান্ধব গড়তে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়নে অবদান রাখতে চাই।’
সভাপতি ও মহাপরিচালক নূরুন নাহার হেনা বলেন, ‘সেবাগ্রহীতা অফিসে না গিয়েও ডিজিটাল পদ্ধতিতে নাগরিকবান্ধব সেবা নিতে পারবেন। স্মার্ট বাংলাদেশে সেবা মিলবে কম সময়ে, কম খরচে আর কম যাতায়াতে।’
মাইগভে নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আবেদন দ্রুততম সময়ে এবং সর্বোচ্চমানের সেবা নিশ্চিতে সরকারি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান তিনি।
সমন্বিত সেবা প্রদান প্ল্যাটফর্ম (ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন) হিসেবে মাইগভে (mygov.bd) মন্ত্রণালয় ও দপ্তর বা সংস্থার বিদ্যমান ই-সেবার সিস্টেমগুলো ইন্টিগ্রেশনের সুযোগ রয়েছে। এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে নির্মিত মাইগভ প্ল্যাটফর্মে এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০০টি নাগরিক সেবাসহ প্রায় ১ হাজার ৯০০টি ডিজিটাইজড সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
বর্তমানে মাইগভে ৪০ লক্ষাধিক নিবন্ধিত গ্রাহক রয়েছেন। তাদের ২৭ লাখেরও বেশি সেবার আবেদনের মধ্যে ২৬ লাখের বেশি এরই মধ্যে নিষ্পন্নও করা হয়েছে। এ ছাড়া মাইগভে নাগরিক একবার তথ্য দিলে সেবা নিতে বারবার তথ্য দিতে হয় না। প্রতিবার আবেদনেই নাগরিকের প্রোফাইলে থাকা তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ'র সদস্যদের ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিলো জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট
স্মার্ট জীবনযাত্রার জন্য নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ও ডাকসেবা অপরিহার্য: পলক
পরিবর্তিত স্মার্ট জীবনযাত্রার জন্য নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেটসহ টেলিযোগাযোগ ও উন্নত ডাকসেবা অপরিহার্য বরে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে জলে, স্থলে-অন্তরীক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো তৈরি হয়েছে এবং ২ হাজারের বেশি সেবা ডিজিটাইজ হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতাকে খুঁজে না পাওয়ায় ক্রীড়াবিদ ভাই গ্রেপ্তার
তিনি আরও বলেন, অফিস ও অফিস ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজ হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেও মানুষ কাজ করতে পারছেন। তিনি মানুষের জীবনধারা সচল রাখতে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ যে কোনো পরিস্থিতে নিরবচ্ছিন্ন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে দেশ প্রেমের মহানব্রত নিয়ে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা, সততা ও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন ও কারিগরি শিক্ষা প্রসারে গৃহীত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন। ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বঙ্গবন্ধুর বপন করা বীজ অঙ্কুরিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে তা চারা গাছে পরিণত হয়।
২০০৮ সালে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরের বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর পেছনে থেকে যে মানুষটি কাজ করে গেছেন তিনি হলেন ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম থেকে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী সজীব ওয়াজেদ জয়। শেখ হাসিনা সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্বভার গ্রহণকালে বাংলাদেশের টেলিডেনসিটি ছিল ৩০ শতাংশ। বর্তমানে (আগস্ট -২০২৩ পর্যন্ত) এই হার শতকরা ১০৯ ভাগে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে যেখানে মোবাইল গ্রাহক ছিল ০৪ কোটি ৪৬ লাখ, বর্তমানে (আগস্ট -২০২৩ পর্যন্ত) তা ১৮ কোটি ৮৬ লাখ অতিক্রম করেছে।
এই সময়ে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল মাত্র ৪০ লাখ, বর্তমানে (আগস্ট-২০২৩ পর্যন্ত) এ সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ।
২০০৮ সালে ব্যান্ডউইদথের ব্যবহার যেখানে ছিল ৭ দশমিক ৫ জিবিপিএস বর্তমানে তা প্রায় ৫০০০ জিবিপিএস অতিক্রম করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুরু হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রা।
স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের সোপান।
তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পলক আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনার হাত ধরেই আসবে সেই রূপকথার মতো দেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।
২০২২ সালের ৭ এপ্রিল ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের তৃতীয় বৈঠকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নাম পরিবর্তন করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-করার সিদ্ধান্ত হয় বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু: পলক
২৮ অক্টোবর থেকে রাজনৈতিক সহিংসতা- নাশকতার অভিযোগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ৮২০
ছাড়ে রিয়েলমি ডিসপ্লে পরিবর্তন করার সুযোগ
ফ্যান ও ব্যবহারকারীদের জন্য ‘স্ক্রিন ডিসকাউন্ট’ অফার নিয়ে এলো তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি। অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার থেকে এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন তারা। এই অফারে বাছাই করা স্মার্টফোন মডেলের ডিসপ্লে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে থাকছে আকর্ষণীয় ছাড়।
ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোনের ডিসপ্লে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। দেশের যেকোনো জায়গার সার্ভিস সেন্টার থেকে এই অফার উপভোগ করতে পারবেন তারা।
তবে ক্রেতাদের প্রতি পরামর্শ, কোনো আউটলেটে যাওয়ার আগে সেখানে ওই নির্দিষ্ট মডেলের ডিসপ্লে রয়েছে কি না তা দেখে নিতে হবে।
আপনার নিকটস্থ রিয়েলমি সার্ভিস সেন্টারের লোকেশন এখান থেকে দেখুন- https://www.realme.com/bd/support/services
নিম্নোক্ত মডেলগুলোর জন্য এই অফার প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: সুপার-কোর টেলিফটো ইমেজিং সিস্টেমসহ জিটি৫ প্রো আনবে রিয়েলমি
মডেলগুলো হলো- রিয়েলমি ৯ প্রো ফাইভজি, রিয়েলমি ৯আই, রিয়েলমি সি৩৩, রিয়েলমি সি২১ওয়াই, রিয়েলমি সি২৫-ওয়াই, রিয়েলমি সি৩১, রিয়েলমি নারজো ৫০এ প্রাইম, রিয়েলমি সি৩৫, রিয়েলমি সি৩০, রিয়েলমি সি২৫এস, রিয়েলমি ৮ ফাইভজি, রিয়েলমি ৬আই, রিয়েলমি জিটি নিও২, রিয়েলমি সি২১, রিয়েলমি সি২০, রিয়েলমি নারজো ৫০, রিয়েলমি ৭আই, রিয়েলমি সি১৫ কোয়ালকম এডিশন, রিয়েলমি সি১৭, রিয়েলমি সি২৫, রিয়েলমি নারজো ৩০এ, রিয়েলমি সি৩০এস, রিয়েলমি নারজো ২০, রিয়েলমি সি১১, রিয়েলমি ৫আই, রিয়েলমি ৭ প্রো, রিয়েলমি ৮, রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন এবং রিয়েলমি সি৩।
উল্লেখ্য, এই অফারগুলো কেবল রিয়েলমি’র অফিসশিয়াল স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ব্যবহারকারীরা রিয়েলমি অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে ডিভাইস পাঠানোর ক্ষেত্রে রিয়েলমি অনুমোদিত কালেকশন পয়েন্ট ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।
একজন ক্রেতা এই ছাড় বেশ কয়েকবার গ্রহণ করার সুযোগ পাবেন, যা এই অফারটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তবে, সার্ভিসিংয়ের পর পরিবর্তন করা ভাঙা অংশগুলো ব্যবহারকারীরা ফেরত নিতে পারবেন না।
ফেসবুকে রিয়েলমি’র অফিসিয়াল আফটার-সেল সার্ভিস পেজ ‘রিয়েলমি সার্ভিস বিডি’ থেকে এই অফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
গত ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে এই অফার চলবে আগামী বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তাহলে আর দেরি কেন? এখনই আপনার নিকটস্থ আউটলেটে যান আর উপভোগ করুন আকর্ষণীয় অফার।
আরও পড়ুন: বাজারে রিয়েলমি’র সেগমেন্ট চ্যাম্পিয়ন সি৫৫ ফোন
দেশের বাজারে এলো দুর্দান্ত পারফরমেন্স ও সেরা দামের রিয়েলমি সি৩০
বৈশ্বিক রপ্তানি ২০ কোটি ছাড়িয়ে রিয়েলমি
আরও একটি মাইলফলক অর্জন করল তরুণদের পছন্দের ব্রান্ড রিয়েলমি! বিশ্বজুড়ে ২০ কোটিরও বেশি ডিভাইস বিক্রি করে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজার জয় করেছে দ্রুত বর্ধনশীল এ ব্র্যান্ডটি।
২০২১ সালে ১০ কোটি বিক্রির মাইলফলক অর্জন করার পর থেকেই সকল ক্ষেত্রে সেরা স্থান অর্জন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে রিয়েলমি।
সবচেয়ে দ্রুত ২০ কোটি বিক্রির এই মাইলফলক অর্জন করার ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে তরুণদের পছন্দের এই স্মার্টফোন ব্র্যান্ড।
২০১৮ সালের অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যাত্রা শুরু করে রিয়েলমি। বিশ্বব্যাপী তরুণদের জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রিয়েলমি টানা পাঁচ বছর ধরে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে বিক্রির ক্ষেত্রে বিশ্বের সেরা দশ ব্র্যান্ডের মাঝে স্থান ধরে রেখে বাজারের নেতৃস্থানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
পণ্য উদ্ভাবনের পাশাপাশি গ্রাহকদের চাহিদাকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত উল্লেখযোগ্য সব কৃতিত্ব অর্জন করে চলছে রিয়েলমি।
সম্প্রতি, প্রতিষ্ঠানটি একটি ‘সিম্পলি বেটার স্ট্র্যাটেজি’ চালু করেছে। যার মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি তাদের সকল পণ্যের প্রতিটি নতুন ভ্যারিয়েন্টে ‘লিপ-ফরোওয়ার্ড’ প্রযুক্তি নিশ্চিত করছে। এই স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে ডিজাইন, পারফরমেন্স ও অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে লিপ-ফরোওয়ার্ড প্রযুক্তি, ডিজাইন ও পারফরমেন্স অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে রিয়েলমি।
এছাড়াও, গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখে ডিসপ্লে, ফটোগ্রাফি, গেমিং ও চার্জিং -এর ক্ষেত্রে উদ্ভাবন আনতে রিয়েলমি গ্লোবাল ইন্সটিটিউট অব লিপ-ফরোওয়ার্ড টেকনলোজি চালু করেছে ব্র্যান্ডটি।
ব্যবসায়িক পরিস্থিতি কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হওয়া স্বত্বেও প্রতিযোগিতামূলক বাজার ও বাহ্যিক পরিবেশের চাপ মোকাবিলা করে গত দুই বছর যাবত একটি স্থিতিশীল বৃদ্ধি বজায় রেখেছে রিয়েলমি।
আরও পড়ুন: সুপার-কোর টেলিফটো ইমেজিং সিস্টেমসহ জিটি৫ প্রো আনবে রিয়েলমি
এই লিপ-ফরোয়ার্ড পণ্যগুলো ব্র্যান্ডটিকে বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলে একটি শক্তিশালী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেছে।
ফলে, এই উদীয়মান বাজারে একটি শীর্ষস্থানীয় অংশীদার হিসেবে পরিচিতি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে রিয়েলমি।
শুরু থেকেই তরুণদের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি গ্রাহকদের কাছাকাছি থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্র্যান্ড ও পণ্য ক্রমাগত উন্নত করছে রিয়েলমি।
ফলে, ব্যবহারকারীদের স্বীকৃতির মাধ্যমে একটি পারস্পরিক সাফল্য নিশ্চিত করছে তারা।
রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট খাতে ৪৭০ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২৪ সালে তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি আনতে কাজ করছে রিয়েলমি।
৩৩টিরও বেশি নেতৃস্থানীয় আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিকাশের লক্ষ্যে এগোচ্ছে তারা। ৪০০ শতাংশ গবেষণাকর্মী বৃদ্ধির মাধ্যমে গবেষণা ও প্রযুক্তি দলের সম্প্রসারণে কাজ করছে রিয়েলমি।
রিয়েলমি’র পঞ্চম-বার্ষিকীর খোলা চিঠিতে রিয়েলমি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও স্কাই লি বলেন, “স্মার্টফোন খাতে ‘এলিভেটর-স্টাইল’ বিকাশের যুগ এখন শেষ। ভবিষ্যৎ পদক্ষেপগুলো আরও চ্যালেঞ্জিং হলেও প্রতিটি পদক্ষেপ রিয়েলমিকে তার পরবর্তী গন্তব্যের কাছাকাছি নিয়ে যায়। নতুন মাইলফলকের দিকে এগোনোর পাশাপাশি রিয়েলমি এর লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে ক্রমাগত নতুন উচ্চতা অর্জনে কাজ করবে। এর পাশাপাশি, ব্যবহারকারীদের চাহিদা মাথায় রেখে তাদের বিকাশের লক্ষ্যে রিয়েলমির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে নিজেদেরকে নতুন মাত্রায় এগিয়ে নিতে কাজ করব আমরা।”
আরও পড়ুন: বাজারে রিয়েলমি’র সেগমেন্ট চ্যাম্পিয়ন সি৫৫ ফোন
দেশের বাজারে এলো দুর্দান্ত পারফরমেন্স ও সেরা দামের রিয়েলমি সি৩০
সুপার-কোর টেলিফটো ইমেজিং সিস্টেমসহ জিটি৫ প্রো আনবে রিয়েলমি
চীনের শেনঝেনে ‘নিউ গ্রাউন্ডব্রেকিং শিফট ইন টেলিফটো ইমেজিং’ শীর্ষক একটি সুপার-কোর ইমেজিং কমিউনিকেশন ইভেন্টের আয়োজন করেছে তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি।
কোয়ালকম ও আর্কসফটের মতো এই খাতের শীর্ষ অংশীদারদের সহযোগিতায় ব্র্যান্ডটি ইমেজ অ্যালগরিদম ও অপটিক্যাল হার্ডওয়্যার চিপ প্রসেসিং পাওয়ারে ইন-ডেপথ অপটিমাইজেশন পরিচালনা করেছে। ব্র্যান্ডটির পরবর্তী ফ্ল্যাগশিপ রিয়েলমি জিটি৫ প্রো’তে টেলিফটো ইমেজিংয়ের যুগান্তকারী পরিবর্তন হিসেবে সুপার-কোর টেলিফটো ইমেজিং সিস্টেম ব্যবহার করা হবে।
একটি ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরা ফোন কতোটা দুর্দান্ত তা নির্ভর করে এর শক্তিশালী কোরের ওপর। কোয়ালকমের সহযোগিতায় সুপার-কোর ইমেজিং হেটারোজিনিয়াস কম্পিউটিং ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে আসতে কোয়ালকমের সঙ্গে অংশীডারিত্ব করে রিয়েলমি, যার মাধ্যমে প্রধান ক্যামেরার ক্ষেত্রে ফ্ল্যাগশিপ চিপ ও টেলিফটো লেন্সের সর্বোচ্চ সক্ষমতা কাজে লাগানো সম্ভব হবে।
ইনোভেটিভ ইমেজিং টেকনোলজিতে রিয়েলমি জিটি৫ প্রো’কে সমৃদ্ধ করতে আর্কসফটের সহযোগিতায় অপ্টিমাইজড সুপার-লাইট টেলিফটো ইঞ্জিন নিয়ে আসে রিয়েলমি। আইএমএক্স ৮৯০ সুপার-লাইট পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্সের সর্বোচ্চ সক্ষমতা ব্যবহারে রিয়েলমি জিটি৫ প্রো ইমেজিংয়ের পুরো উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল আর্কসফট।
ফলে, প্রাণবন্ত এইচডিআর ইমেজ থেকে শুরু করে আলো-ছায়ার অনবদ্য টেক্সচার তৈরির মধ্য দিয়ে ব্যবহারকারীরা এখন আরও দুর্দান্ত ছবি তোলার অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।
রিয়েলমি’র ‘নো লিপ, নো লঞ্চ’- থিমকে সামনে রেখে নতুন ফ্ল্যাগশিপ জিপি৫ প্রো নিজেই ডুয়েল-ইঞ্জিন ফ্ল্যাগশিপ।
মোবাইল প্ল্যাটফর্মে স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ৩ ফিচার ব্যবহার করার পাশাপাশি, এখন পারফরমেন্স অভিজ্ঞতা আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে; একইসঙ্গে এতে ইন্ডাস্ট্রি-সেরা আইএমএক্স৮৯০ সুপার-লাইট পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যান বরখাস্ত
চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যান বরখাস্ত
চ্যাটজিপিটি’র প্রধান কোম্পানি ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যানের ওপর আস্থা হারিয়েছেন এর বোর্ড। বোর্ড মনে করছে, কোম্পানিকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে স্যামের ওপর থাকে তারা আস্থা হারিয়েছেন।
বোর্ড বলছে, ‘যোগাযোগের ক্ষেত্রে অল্টম্যান ধারাবাহিকভাবে খোলামেলা ছিলেন না। এতে তার দায়িত্ব পালনে ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হয়ে আসছিল।’
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটির বিকল্প 'ট্রুথজিপিটি' তৈরির পরিকল্পনা ইলন মাস্কের
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি উল্লেখ করে, প্রযুক্তি দুনিয়ায় উত্তেজনার ঢেউ সৃষ্টি করা চ্যাটজিপিটি তৈরির পেছনে রয়েছে ওপেনএআই। যা শুরু করতে বেশ অবদান রেখেছেন অল্টম্যান।
এক বিবৃতিতে কোম্পানিটির বোর্ড বলেছে, আল্টম্যানের অবদানের জন্য বোর্ড কৃতজ্ঞ থাকবে, তবে এর সদস্যরা বিশ্বাস করেন যে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন।
তারা বলেন, ‘ওপেনএআইয়ের নেতৃত্ব চালিয়ে যাওয়ার জন্য তার ক্ষমতার ওপর বোর্ডের আর আস্থা নেই।’
আরও পড়ুন: মাইক্রোসফট বিংয়ের নতুন সংস্করণে থাকছে চ্যাটজিপিটি প্রযুক্তি
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ১৪৬ সেবা এখন পাওয়া যাবে মাইগভে
ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে চালু করা মাইগভ র্যাপিড ডিজিটাইজেশন পদ্ধতির আওতায় এবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ১৪৬টি ডিজিটাইজড সেবা চালু হয়েছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং অ্যাসপায়ার টু ইনোভেটের (এটুআই) কারিগরি সহায়তা সেবাগুলোকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অবমুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সেবাসমূহ মাইগভ প্ল্যাটফর্মে উন্মুক্তকরণ’- বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ডিজিটাইজড সেবাগুলোর উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এটুআই-এর যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) জনাব মো. ছাইফুল ইসলাম।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন সাতটি দপ্তর/সংস্থা ডিজিটাইজেশনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১৪৬টি সেবা ডিজিটাইজড করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫টি সেবা অগ্রাধিকারভিত্তিতে নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
এরই মধ্যে মাইগভ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সেবায় ১৯২টি আবেদন পাওয়া গেছে এবং এর মধ্যে ৯১টি নিষ্পন্ন হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের সেবাগুলো শতভাগ ডিজিটাইজেশনের আওতায় নিতে চাই। আমাদের সেবাগুলোকে ক্যাশলেস ও পেপারলেস এবং আরও নাগরিকবান্ধব গড়তে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়নে অবদান রাখতে চাই।
আরও পড়ুন: পণ্য রপ্তানি শুরুর মাধ্যমে পাটখাত পুনরুজ্জীবিত হয়েছে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মাইগভের মাধ্যমে বস্ত্র ও পাট ব্যবসায়ীরা এখন সরকারি অফিসে না গিয়েও ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যবসায় সেবা নিতে পারবেন। স্মার্ট বাংলাদেশে সেবা মিলবে কম সময়ে, কম খরচে আর কম যাতায়াতে।’
মাইগভে নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আবেদন দ্রুততম সময়ে এবং সর্বোচ্চমানের সেবা নিশ্চিতে দপ্তর-সংস্থাদের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এটুআই-এর যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) জনাব মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, মাইগভ প্ল্যাটফর্মে অনলাইনেই রেজিস্ট্রেশন করা, সেবার আবেদন করা, পেমেন্ট করা, আবেদনের দাফতরিক প্রক্রিয়া করা এবং অনলাইনেই সেবাপ্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, মাইগভ তাই স্মার্ট সরকারের স্মার্ট সেবার প্ল্যাটফর্ম। এখন থেকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সেবাগুলো এই সমন্বিত সেবা প্ল্যাটফর্ম মাইগভে পাবেন নাগরিকরা। মন্ত্রণালয়ের সব সেবা ডিজিটাইজড করার ক্ষেত্রে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।
সমন্বিত সেবা প্রদান প্ল্যাটফর্ম (ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন) হিসেবে মাইগভে (www.mygov.bd) মন্ত্রণালয় ও দপ্তর বা সংস্থার বিদ্যমান ই-সেবার সিস্টেমগুলো ইন্টিগ্রেশনের সুযোগ রয়েছে। এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে নির্মিত মাইগভ প্ল্যাটফর্মে এ পর্যন্ত ১২০০টি নাগরিক সেবাসহ মোট এক হাজার ৮৯২টি ডিজিটাইজড সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
বর্তমানে মাইগভে ৪০ লক্ষাধিক নিবন্ধিত গ্রাহক রয়েছেন। তাদের ২৭ লাখেরও বেশি সেবার আবেদনের মধ্যে ২৬ লাখের বেশি এরই মধ্যে নিষ্পন্নও করা হয়েছে।
এ ছাড়া মাইগভে নাগরিক একবার তথ্য দিলে সেবা নিতে বারবার তথ্য দিতে হয় না। প্রতিবার আবেদনেই নাগরিকের প্রোফাইলে থাকা তথ্য অটো-ফিল হয়ে যায়। এতে সময়, ব্যয় ও যাতায়াত অনেক কমেছে। মাইগভে সেবা নিয়ে নাগরিক সন্তুষ্টি ও মতামত জানাতে পারছেন।
আরও পড়ুন: বস্ত্র দিবসে সম্মাননা পাচ্ছে ৭ সংগঠন
মাইগভ র্যাপিড ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন সাতটি দপ্তর ডিজিটাইজেশনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১৪৬টি সেবা ডিজিটাইজড করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫টি সেবা অগ্রাধিকারভিত্তিতে নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১৪৬টি সেবার গ্রাহকের আনুমানিক সংখ্যা ৪৮ হাজার।
জি-টু-বি সেবায় গ্রাহকদের অধিকাংশই প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্যোক্তারাও রয়েছেন।
অন্যদিকে, অভ্যন্তরীণ সেবার গ্রাহক সবাই সরকারি কর্মচারী।
মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেসব দপ্তর ও সংস্থার সেবা মাইগভে পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো হলো- পাট অধিদপ্তর, বস্ত্র অধিদপ্তর, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশন, জুট ডাইভার্সিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফের সঞ্চালনায় কর্মশালায় মাইগভের মাধ্যমে সেবাদানে দপ্তরের করণীয় বিষয়ক একটি উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের চিফ ইনোভেশন অফিসার (অতিরিক্ত সচিব) মো. তরিকুল আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাইগভ র্যাপিড ডিজিটাইজেশন পদ্ধতিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ডিজিটাইজড হওয়া সেবা বিষয়ে উপস্থাপনা প্রদান করেন এটুআইয়ের প্রজেক্ট অ্যানালিস্ট (উপসচিব) মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থাপ্রধান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ও ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এটুআই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিক সেবা সহজিকরণে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কারখানা নির্মাণে কোনো অনিয়ম চলবে না: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
বছরের প্রথম ৯ মাসে হুয়াওয়ের মুনাফা বেড়েছে ১৬ শতাংশ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ২০২৩ সালের প্রথম ৯মাসের ব্যবসায়িক ফলাফল ঘোষণা করেছে।
এই সময়ের মধ্যে হুয়াওয়ের আয়ের পরিমাণ ছিল ৪৫৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন চীনা ইউয়ান অর্থাৎ বাংলাদেশি প্রায় ছয় লাখ সাতাশি হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে দুই দশমিক চার শতাংশ বেশি। একই হিসাবে গত বছরের তুলনায় মুনাফা বেড়েছে ১৬ শতাংশ।
এ বিষয়ে হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু বলেন, ‘কোম্পানির পারফরম্যান্স আমাদের পূর্বানুমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের ওপর আস্থা রেখে সমর্থন জুগিয়ে চলার জন্য আমি আমাদের গ্রাহক ও সহযোগীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, আমরা গবেষণা ও উন্নয়নে (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) আরও বিনিয়োগ বাড়াব। যাতে আমাদের পণ্য ও পরিষেবাগুলোকে আরও বিস্তৃত করতে পারি এবং একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, বরাবরের মতো আমাদের লক্ষ্য হলো আমাদের গ্রাহক, সহযোগী ও সমাজের জন্য আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করা।’
আরও পড়ুন: আগামী বছরেই নেট ৫.৫জি চালু করতে যাচ্ছে হুয়াওয়ে
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের ৪ পুরস্কার অর্জন
৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
আগামী বছরেই নেট ৫.৫জি চালু করতে যাচ্ছে হুয়াওয়ে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ২০২৪ সালে নেট ৫.৫জি সল্যুশন্স চালু করার পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে। আল্ট্রা-ব্রডব্যান্ড অ্যাপ্লিকেশননির্ভর ৫.৫জি যুগে টেলিকম ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধিতে হুয়াওয়ের এই পরিকল্পনাটি সাহায্য করবে।
একটি পরিপূর্ণ নেট ৫.৫জি সল্যুশনস ১০ জিবিপিএস সংযোগ, অ্যাডাপ্টেবল আল্ট্রা-ব্রডব্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এবং স্বয়ংক্রিয় নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন নিশ্চিত করে। এর ফলে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার পরিধি ত্বরান্বিত হবে। হোম ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ব্রডব্যান্ডকে ১০ জিবিপিএসে আপগ্রেড করার পাশাপাশি আইপি ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্কটি একটি ৪০০জিই কনভার্জড মেট্রো নেটওয়ার্ক এবং ব্যাকবোন নেটওয়ার্কে রূপান্তরিত হবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের ৪ পুরস্কার অর্জন
এ বিষয়ে হুয়াওয়ের ডেটা কমিউনিকেশন প্রোডাক্ট লাইনের প্রেসিডেন্ট লিওন ওয়াং বলেন, “৫.৫জি এর যুগে ‘গ্লাস-ফ্রি থ্রিডি, হাউজ ওয়াইড ইন্টেলিজেন্স, আল্ট্রা-এইচডি ভিডিও কনফারেন্সিং এবং কম্পিউটিং সার্ভিসেস’- এর মতো নতুন আল্ট্রা ব্রডব্যান্ড অ্যাপ্লিকেশনগুলো একের পর এক আসতে থাকবে। এর ফলে হোম ব্রডব্যান্ড, মোবাইল ব্রডব্যান্ড, এন্টারপ্রাইজ ক্যাম্পাস এবং এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লাইনে ১০ জিবিপিএস গতি প্রয়োজন হবে। বিনিময়ে, এটি সরবরাহকারীদের জন্য নতুন ব্যবসায়ের সুযোগ তৈরি করবে। সর্বব্যাপী ১০ জিবিপিএস এর সংযোগ, ইলাস্টিক আল্ট্রা-ব্রডব্যান্ড পরিবহন এবং স্বায়ত্তশাসিত নেটওয়ার্ক সেল্ফ-অপ্টিমাইজেশনে সহযোগিতা করার মাধ্যমে নেট ৫.৫জি সরবরাহকারীদের জন্য নতুন ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির পথ খুলে দিবে।”
প্রতিষ্ঠানগুলো নেটওয়ার্ক স্লাইসিং’ এর মতো নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের আইপি ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্কগুলোকে আপগ্রেড করতে পারবে এবং নতুন-নতুন সেবা দিতে পারবে যেগুলোর ক্ষেত্রে ১০ জিবিপিএস-এর থেকেও বেশি গতি দরকার হয়। সপ্তম প্রজন্মের ওয়াই-ফাই ৭ হাই-ডেনসিটি সুবিধা, দারুণ ভিডিও অভিজ্ঞতা এবং ক্লাউডভিত্তিক ব্যবস্থাপনার মতো নতুন নতুন সক্ষমতা ব্যবহার করে সরবরাহকারীরা প্রাইভেট লাইনের শীর্ষে পৌঁছে ‘এন্টারপ্রাইজ ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক’ যুক্ত করতে সক্ষম হবে। ফলে, তারা ওয়ান-স্টপ পরিষেবা সরবরাহ করতে পারবে যাতে তারা এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের উচ্চ-মানের ১০ জিবিপিএস ওয়্যারলেস সংযোগ, ভিডিও পরিষেবা এবং ওঅ্যান্ডএম পরিষেবার অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: ৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
দেশের ক্লাউড খাতের বিকাশে হুয়াওয়ে ও রেডডট ডিজিটাল