������������
তাহসান-তিশা জুটির ওয়েবফিল্ম ‘মানি মেশিন’
বহুল প্রতীক্ষিত ওয়েব ফিল্ম ‘মানি মেশিন’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে ৪ জুন (শনিবার) রাত ৮টায় আরটিভিপ্লাসে। বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড এর ব্যানারে সৈয়দ আশিক রহমানের প্রযোজনায় মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ-এর গল্প ও পরিচালনায় মানি মেশিন এর শুটিং শেষ হয় গত বছরের শেষ দিকে। চিত্রনাট্য লিখেছেন মারুফ রহমান।‘মানি মেশিন’-এ অভিনয় করেছেন- তাহসান খান, তানজিন তিশা, শতাব্দী ওয়াদুদ, মুনিরা আক্তার মিঠু, ফজলুল বাশার, মিলি বাশার প্রমুখ।
ওয়েবফিল্ম মানি মেশিন এর প্রযোজক ও আরটিভি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান ইউএনবিকে বলেন, ‘ওয়েবফিল্মটি দর্শকরা ভালোভাবে গ্রহণ করবে আশা করি। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ কাজটি খুব যত্ম নিয়ে কাজটি করেছেন। তাহসান ও তিশাসহ অভিনয়শিল্পীরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজটি করেছেন।’অন্যদিকে,পরিচালক মুহম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ বলেন, ‘চেষ্টা করেছি ভিন্নভাবে নির্মাণ করার। অনেকদিন ধরেই মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে সময় নির্ধারণ হলো। তাহসান-তিশা জুটি ছোটপর্দায় বেশ জনপ্রিয়। আশা করি ওয়েবফিল্মেও দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করবেন।’
আরও পড়ুন: সিয়াম আহমেদ এবার বলিউডে
সেরা অভিনেত্রী হিসেবে কলকাতায় সম্মাননা পেলেন জয়া আহসান
তারকাদের স্মৃতিতে ‘মা’
মায়ের জন্য ভালোবাসা প্রকাশকে কোনো দিবসের গণ্ডিতে রাখা যায় না। তবুও একটি বিশেষ দিন সেই ভালোবাসা প্রকাশের মুহূর্তকে আরও আনন্দে ভরিয়ে দেয়। সেটি আন্তর্জাতিক মা দিবস। আর সেই বিশেষ দিনটি আজ। বিশেষ এই দিনে শোবিজ তারকাদের কয়েকজন জানালেন তাদের মাকে নিয়ে অনুভূতির কথা।
বিদ্যা সিনহা মিম
আমার জীবনে মায়ের গুরুত্ব আলাদাভাবে আমি বোঝাতে পারব না। পুরো আমিটা ঘিরেই মা। মা আমার সঙ্গে থাকা মানেই যে কোন কাজের সাহস পাওয়া। তার জন্যই আজকের যা অর্জন। মা আমার সঙ্গে থেকে আমাকে সহযোগিতা করেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন। মাকে ভালোবাসি।
আরও পড়ুন: মা দিবস উপলক্ষে নতুন গান প্রকাশ করল ‘দূরবীন’
এবার ঈদে আফরান নিশোর যে নাটকগুলো আসছে
আফরান নিশোর ঈদ নাটক মানেই এখন দারুণ কিছু চমকের অপেক্ষা। ছোট পর্দার এই অভিনেতা ক্রমশ বৈচিত্র্যপূর্ণ ভূমিকায় নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করে চলেছেন। কোন উপলক্ষ্য ছাড়াই আধুনিক রোমান্টিক নাটকের ভক্তরা মুখিয়ে থাকেন নিশোর কণ্ঠে ভালবাসার সংলাপ শোনার জন্য। আর ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে টিভি পর্দায় তার অদ্ভূত আবির্ভাব ভক্তদের তার নতুন নতুন পারদর্শিতার কথা জানান দিয়ে যায়। এখন নাট্যপাড়ার শীর্ষস্থানীয় নায়কদের মধ্যে তিনি অন্যতম। চলুন, দেখে নেয়া যাক এবারের ঈদে নিশোর কী কী নাটক থাকছে।
আফরান নিশোর যে নাটকগুলো ঈদ-উল-ফিতর ২০২২ এ মুক্তির অপেক্ষায়
হেল্প মি । সহশিল্পী- মেহজাবিন
মানুষের মাঝে ভালো ও খারাপের চিরায়ত ভিন্নতার এক অভূতপূর্ব দৃষ্টিভঙ্গির গল্প শোনাতে যাচ্ছে এই নাটকটি। গল্প ও চিত্রনাট্যসহ এর নির্দেশনায় আছেন এ সময়ের ব্যস্ততম নাট্য নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। গত বছরের ন্যায় এবারো নিশো-মেহজাবিনের ভক্তদের জন্য এক দারুণ চমক দিতে যাচ্ছে এই রহস্য গল্পের নাটকটি। নাটকটিতে আরও দেখা যাবে কাজী আসিফ রহমান, আরমান বিন মাহমুদ ও লামিমা লামকে।
পড়ুন: ঈদুল ফিতরের নাটক ২০২২: ছোট পর্দার যে তারকারা দর্শকনন্দিত হবার অপেক্ষায়
নিশো এখানে দেখা যাবে হোটেল বয়ের চরিত্রে। সেই হোটেলে অতিথি হিসেবে উঠবেন মেহজাবিন ও আসিফ। তাদের ভেতর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা মনোমালিন্যগুলো চূড়ান্ত পর্যায়ে রূপ নিবে এক ভয়াবহ গোলক ধাঁধায়। এ অবস্থায় কে ভালো আর কে খারাপ তা নিয়ে দারুণ এক দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে যাবেন দর্শকরা।
নাটকটির ট্রেইলারেই অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফির কাজ দেখা গেছে, যার দায়িত্বে ছিলেন রাজু রাজ। রঙ, অ্যানিমেশন ও শব্দ বিন্যাসসহ নাটকটির যাবতীয় সম্পাদনা করেছেন আরিফিন সরকার। সঙ্গীত সংযোজনে কাজ করেছেন আহমেদ সৌরেন। মাসুদুল হাসান প্রযোজিত এই নাটকটি দেখার জন্য দর্শকদের চোখ রাখতে হবে ধ্রুব টিভির ইউটিউব চ্যানেলে।
দি কিডন্যাপার । সহশিল্পী- সাবিলা নূর
গত বছরে শ্যুটিং শেষ হওয়ার পর থেকেই হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে এই নাটকটি নিয়ে। সিনেমার আদলে গড়া পোস্টারটি রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জুড়ে। চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বপ্ন ছুঁতেই অনেকটা নিজেকে নিরীক্ষার জন্যই নাটকটি বানিয়েছেন তরুণ নাট্য নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। গল্প ও চিত্রনাট্যও অমিই লিখেছেন।
আরও পড়ুন: ঈদুল ফিতরের সিনেমা ২০২২: বড় পর্দার আয়োজন
অন্যদিকে নিশোর বিচিত্র অভিনয় বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করছেন তার ভক্তরা। তাছাড়া পোস্টারে সাবিলা নূরের অপহৃত হওয়া ভীত সন্ত্রস্ত চেহারাও নাটকটার প্রতি সবার কৌতূহল বাড়িয়েছে। এই জনপ্রিয় জুটি ছাড়াও নাটকটিতে থাকছেন শাহীদ আলী, ফখরুল বাশার মাসুম, খন্দকার লেলিন এবং মিরাক্কেল খ্যাত পাভেল।
নাটকে প্রথমে দেখা যাবে নিশো সাবিলাকে অপহরণ করে জঙ্গলে নিয়ে যাচ্ছেন। এক পর্যায়ে গহীন জঙ্গলে নিশোর কাছ থেকে অন্য একটি দল অপহরণ করে নিয়ে যাবে সাবিলাকে। এ রকম অপহরণের খেলায় সাবিলার ভাগ্য নিয়ে কৌতূহলীদের জন্য নাটকটির শেষে অপেক্ষা করছে দারুণ এক টুইস্ট।
অমির সাথে নাটকটির সহযোগী পরিচালনায় কাজ করেছেন কাবিলা-খ্যাত উদীয়মান তারকা জিয়াউল হক পলাশ। চিত্রগ্রহণে ছিলেন রাজু রাজ এবং সঙ্গীত আয়োজন করেছেন আহমেদ সৌরেন। রঙ, অ্যানিমেশন ও সাউন্ড ডিজাইনসহ নাটকটির সামগ্রিক সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন আরিফান সরকার। সর্বোপরি, সুলতান এন্টারটেইনমেন্ট-এর ব্যানারে নাটকটির প্রযোজনা করেছেন তানভীর মাহমুদ। সুলতান এন্টারটেইনমেন্টের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলেই দর্শকরা নাটকটি উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: জয়া আক্তারের দি আর্চিস : অমিতাভের নাতি, শ্রীদেবী কন্যা, শাহরুখ কন্যা আসছেন রুপালি পর্দায়
টু বাই টু লাভ । সহশিল্পী- মেহজাবিন
এমন অদ্ভূত নামের নেপথ্যে আছে টু বাই টু সাইজের ছবি। আমেরিকায় বোনের সাথে দেখা করতে যাবার জন্য ভিসা সংক্রান্ত কাজে ছবি তোলার জন্য এক স্টুডিওতে যান আফরান নিশো। আর তার ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা হাতে চলে আসেন মেহজাবিন। এভাবেই শুরু হওয়া পরিচয়টা ধীরে ধীরে পরিণয়ে রূপ নেয়। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, তাদের মধ্যে আলাপের মাধ্যম থাকে টু বাই টু সাইজের রঙ-বেরঙের চিরকুট।
এমনি এক মিষ্টি-মধুর গল্প রচনা করেছেন রুম্মান রশীদ খান। আর এই গল্পকেই নাটকে রূপ দিয়েছেন নাট্য নির্দেশক রুবেল হাসান। নজরকাড়া দৃশ্য ধারণ করে নাটকটিকে পরিবেশনযোগ্য করে তুলেছেন চিত্রগ্রাহক কামরুল ইসলাম শুভ। রোমান্টিক নাটকটির প্রযোজনায় ছিলো জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা। ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত ১০টা ২০ মিনিটে মাছরাঙার পর্দায় দেখা যাবে নাটকটি।
রুমমেট । সহশিল্পী- সাবিলা নূর
এবারের ঈদে নিশো-সাবিলা জুটির আরও একটি প্রতীক্ষিত নাটক রুমমেট। নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল-এর গল্প ভাবনা নিয়ে নাটকটি রচনা করেছেন দেশের প্রখ্যাত চিত্রনাট্যকার মেজবাহ উদ্দিন সুমন।
আরও পড়ুন: ঈদে ‘ইত্যাদি’তে দর্শকের মুখোমুখি অপূর্ব-পূর্ণিমা
চিরকুট মিতালীতে পরিচয় হলেও মেয়েটির কোন দিন দেখা হয়নি নিলয় ছেলেটির সঙ্গে। আবার রুমমেট থাকা সত্ত্বেও ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে যানা হয়নি এই তার সেই পত্রবন্ধু। এমনি অগোচরে থেকে যাওয়া ভালবাসা এবং তীক্ততা ও মিষ্টতায় ভরপুর জীবনের গল্প নিয়ে রুমমেট নাটক।
পরিচালনাসহ নঈম ইমতিয়াজ নিজেই নাটকটির একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও নাটকটির অন্যান্য ভূমিকায় দেখা যাবে মাজনুন মিজান, ফারজানা চুমকি, গোলাম রব্বানী ও ডিকন নুরকে। চিত্রগ্রহণে ছিলেন নাঈম ফুয়াদ এবং নাট্য সম্পাদনার কাজ করেছেন রাশেদ রাব্বী।
ভাঙা পুতুল । সহশিল্পী- তাসনিয়া ফারিন
এ সময়ের উদীয়মান তারকা ও মেধাবী অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন এই ঈদ নাটকটিতে নিশোর সাথে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন। এখানে তাকে দেখা যাবে একজন চিকিৎসকের গর্ভবতী স্ত্রীর চরিত্রে। চিকিৎসকের ভূমিকায় থাকা নিশো দায়িত্ব পড়ে জরুরি ভিত্তিতে এক বাচ্চা মেয়ের চিকিৎসা করার। কিন্তু পুলিশি ঝামেলার সাথে সম্পৃক্ত থাকা এই রোগীর সাথে জড়িয়ে পড়তেই বেরিয়ে আসে এক ভয়ঙ্কর সত্য।
আরও পড়ুন: কেজিএফ চ্যাপ্টার ২: মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ব্যয়বহুল কন্নড় চলচ্চিত্রের বাজিমাত
এ রকম জীবনমুখী কাহিনী নিয়ে গল্প বানিয়েছেন ডা. জাহান সুলতানা। আর এই রচনার নাটকে রূপান্তর ঘটিয়েছেন ছোট পর্দার দর্শকনন্দিত পরিচালক শিহাব শাহীন। নিশো-ফারিন ছাড়াও এখানে অভিনয় করেছেন খালেকুজ্জামান, শম্পা নিজাম ও নিরুপমা নির্ঝর। থ্রিলারধর্মী নাটকটির ফটোগ্রাফিতে কাজ করেছেন নাঈম ফুয়াদ এবং বর্ণ বিন্যাস ও সম্পাদনায় ছিলেন রমজান আলী। আর প্রযোজক হিসেবে ছিলেন আকবর হায়দার মুন্না।
প্রায়শ্চিত্ত । সহশিল্পী- নিশাত প্রিয়ম
তথাকথিত মূলধারার বাইরে বাস্তব জীবনের শৈল্পিক উপস্থাপনে দক্ষ কারিগর ভিকি জাহেদ-এর সাথে নিশোর এবারের কাজ- প্রায়শ্চিত্ত। সমাজের চিরাচরিত একটি সমস্যা নিয়ে নির্মিত নাটকটির কাহিনী ক্রমশ পরিণত হয়েছে টান টান উত্তেজনার এক থ্রিলারে। অনেক কষ্টের ফসল হিসেবে এক সময় প্রচুর ঐশ্বর্যের অধিকারী হওয়ার পরেও নাটকটির মূল চরিত্রের জীবন এক ভয়ানক দিকে মোড় নেয়।
গল্পটি নেয়া হয়েছে ওবায়েদ হক-এর একটি ছোট গল্প থেকে।
আরও পড়ুন: ঈদের বিশেষ ‘ছায়াছন্দ’ উপস্থাপনায় এইচ এম রানা
সহশিল্পী নিশাত প্রিয়ম ছাড়াও এখানে আরও দেখা যাবে ফারুক আহমেদ এবং আদনান চৌধুরীকে। নাটকটির সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে ছিলেন জাহিদ হোসেন। শব্দ সংযোজন, অ্যানিমেশন ও রঙ বিন্যাসসহ সামগ্রিক সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন অর্ণব হাসনাত। মুশফিকুর রহমান মঞ্জু প্রযোজিত এই নাটকটি স্ট্রিমিং হবে ঈদের দ্বিতীয় দিন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে।
শেষাংশ
আফরান নিশোর অভিনীত নাটকগুলো নিঃসন্দেহে বাংলা নাট্য জগতে অভাবনীয় পরিবর্তনের হাতাছানি দেয়। অভিনয়ে বৈচিত্রতা একদিকে যেমন সব ধরনের দর্শকদের মনে সপ্রতিভ অবস্থান তৈরি করে, তেমনি শিল্পচর্চায়ও এনে দেয় ব্যাপক দখল। ফলে শুধু একজন তারকারই নয়, আবির্ভাব হয় একজন শক্তিমান অভিনয় শিল্পীর। অভিনয় জগতে সবার প্রিয় আফরান নিশোর কাজগুলো তাকে সেদিকেই ধাবিত করছে। আসে করা যায় ২০২২ সালের ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে নির্মিত আফরান নিশোর নাটকগুলো দর্শকদের ঈদের আনন্দ বহুগুন বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে প্রিমিয়ার হচ্ছে ‘রিকশা গার্ল’ সিনেমার
মনোজ ও ফারিয়ার ‘লাভ জার্নি’
ঈদুল ফিতরের বিশেষ আয়োজনে এবার থাকছে মনোজ প্রামানিক ও শবনম ফারিয়া জুটির নাটক ‘লাভ জার্নি’। সেজান নূরের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন দীপু হাজরা। ঈদের দ্বিতীয় দিন একুশে টেলিভিশনে রাত ৮টার সময় নাটকটি প্রচারিত হবে।
নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন সাইফ খান, নওশীন মেঘলা, অর্নব চৌধুরী, ঊর্মিলা তালুকদার, আবিসা জাহান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ঈদে ‘ইত্যাদি’তে দর্শকের মুখোমুখি অপূর্ব-পূর্ণিমা
‘লাভ জার্নি’ প্রসঙ্গে পরিচালক দীপু হাজরা বলেন, ‘ঈদের নাটক নিয়ে একটু ভিন্নভাবে ভাবতে হয়। সেই জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি নাটকটি নির্মাণ করতে। ঈদের ছুটিতে নাটকটি দর্শকরা উপভোগ করবে আশা করি। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।’
ঈদে ‘ইত্যাদি’তে দর্শকের মুখোমুখি অপূর্ব-পূর্ণিমা
প্রতি বছর ঈদেই টিভি দর্শকদের জন্য বাড়তি আনন্দ নিয়ে আসে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’। আর এবারের ঈদে ইত্যাদিতে দর্শকদের মুখোমুখি হতে দেখা যাবে ছোট পর্দার অভিনয় তারকা অপূর্ব ও চিত্রনায়িকা পূর্ণিমাকে।
ইত্যাদির নিয়মিত পর্বে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে দর্শক নির্বাচন করা হলেও ঈদের ইত্যাদিতে দর্শক নির্বাচন করা হয় বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে। এবারেও একটি ব্যতিক্রমী উপকরণ দিয়ে দর্শক পর্বের জন্য ৬ জন দর্শককে বাছাই করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রয়োজনে মাত্র ১৫ সেকেন্ডের জন্য লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে এই উপকরণ তৈরি করা হয়। হাজার হাজার দর্শক যখন এই উপকরণগুলো ওপরে তুলে ধরেন তখন এক অসাধারণ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এরপর নির্বাচিত ভাগ্যবান ছয় জন দর্শককে নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। আর এই পর্বেই দর্শকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছিলেন দর্শকপ্রিয় অভিনয় তারকা অপূর্ব ও চিত্র নায়িকা পূর্ণিমা। অভিনেতা-অভিনেত্রী না হয়েও অপূর্ব ও পূর্ণিমার সঙ্গে দর্শকদের তাৎক্ষণিক অংশগ্রহণে অভিনয়-নৃত্য-গান স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকরা উপভোগ করেন এবং করতালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ইত্যাদির দেশের গানে ৫ সংগীত তারকা
‘ইত্যাদি’র প্রতিটি বিষয়েই খুঁজে পাওয়া যায় সমসাময়িক প্রসঙ্গ, সমাজের অসংগতির বিরুদ্ধে তীব্র ব্যঙ্গ বিদ্রুপের কষাঘাত। সেটা গান, অভিনয়, নৃত্য-সব কিছুতেই ফুটিয়ে তোলা হয়। ঈদ ইত্যাদিতে পরিবেশিত দলীয় সঙ্গীতও তেমনি একটি পর্ব।
সমাজের নানান অনিয়ম-অসংগতি দেখে অনেকেরই দুঃচিন্তা হয়, ক্ষোভ জন্মায়, এই বিষয়ের ওপরেই তৈরি করা হয়েছে এবারের দলীয় সঙ্গীত। প্রতিবারই ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে এসব সঙ্গীতে ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে বিভিন্ন তারকা শিল্পীদের অংশগ্রহণ থাকে। এবার এই পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটি সিয়াম আহমেদ ও পূজা চেরী। তার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত নৃত্যশিল্পী ও অভিনয় শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: ঈদে মুক্তির মিছিলে ৪ সিনেমা, হল মালিকদের সংশয়
ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’ একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে ঈদের পরদিন রাত ০৮টার বাংলা সংবাদের পর।
১৮ বছরে পা দিলো শিশুদের প্রিয় সিসিমপুর
প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের শেখাকে আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য করার লক্ষ্য নিয়ে ‘সিসিমপুর’ নামে যে কার্যক্রমটির প্রচার শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে, তা ১৭ পেরিয়ে পা রাখছে ১৮তম বছরে।
সিসিমপুরের প্রথম প্রচারের দিন হিসেবে প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল তারিখটিকে ‘সিসিমপুর দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়।
সিসিমপুর তার টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও মুদ্রিত বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে শিশুকে বর্ণ চেনা, শব্দ থেকে বর্ণ চিহ্নিত করা, বর্ণ দিয়ে শব্দ মেলানো, শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করতে সাহায্য করে। চারপাশের পরিবেশ থেকে উপকরণ খুঁজে নিয়ে সেগুলোর মাধ্যমে বর্ণ ও শব্দ চিনতে সাহায্য করে। যেমন: ঘর, কলা, আম, টেবিল, ঘড়ি, গরু, গাছ, পাতা, কলম, বই ইত্যাদি শিশুর পরিচিতি বিভিন্ন শব্দ কোন বর্ণ দিয়ে শুরু হয়, তা খেলার ছলে শেখানো হয়।
সিসিমপুরের চরিত্রগুলোর মাধ্যমে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান থেকে বিভিন্ন আকার-আকৃতির নাম, রঙের নাম ইত্যাদি শেখানো হয়।
আরও পড়ুন: শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিতে সিসিমপুরের নতুন প্রকল্প
বাংলাভাষার শুদ্ধ উচ্চারণের বিষয়টিকে সিসিমপুর সবসময়ই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে। আর তাই সিসিমপুরের মাপেট, মানবচরিত্র, এমনকি অ্যানিমেশন সব ধরনের টেলিভিশন পর্বে চরিত্র অনুযায়ী প্রত্যেকের শুদ্ধ উচ্চারণকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়। যাতে শিশুরা এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রমিত বাংলা শোনার ও চর্চা করার সুযোগ পায়।
আবার একইসঙ্গে বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা, ঐতিহ্য আর জীবনযাপনকেও তুলে ধরা হয়। যাতে করে শিশুরা সমানভাবে আঞ্চলিক ভাষা-সংস্কৃতি এবং ভিন্ন ভাষা-সংস্কৃতির মানুষের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হয়।
বর্তমানে সিসিমপুরের ১৪তম সিজনের প্রচার চলছে।
জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটি দুরন্ত, মাছরাঙা এবং বিটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে। তবে শুরু থেকেই বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিগত ১৭ বছর বিরতিহীনভাবে সিসিমপুর সম্প্রচার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যা বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং সিসিমপুরের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফল। তিনটি টেলিভিশনের মাধ্যমে সারা দেশের প্রায় এক কোটি দর্শক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছেন।
প্রতি বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় শিশুদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের বিষয়ে পরিণত হয়েছে সিসিমপুর। মেলায় প্রতি শুক্র-শনি আর ছুটির দিনগুলোতে ইকরি, হালুম, টুকটুকি আর শিকুর সঙ্গে মজার সময় কাটাতে শিশুদের ঢল নামে। যা ইতোমধ্যেই অমর একুশে গ্রন্থমেলার অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। করোনাকালীন সময় পেরিয়ে এবারের বইমেলাতেও সিসিমপুর শিশুচত্বরে দেখা গেছে সেই একই চিত্র।
আরও পড়ুন: কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসে মনোনয়ন পেলো সিসিমপুর
সিসিমপুরের ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ১৭ বছর ধরে শিশুতোষ এই অনুষ্ঠানটি নির্মিত হচ্ছে তিন থেকে আট বছর বয়সী শিশুর প্রারম্ভিক শিক্ষার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে। সেইসঙ্গে সিসিমপুরের লক্ষ্য শিশুর পিতা-মাতা, যত্নকারী এবং শিক্ষকরাও। আনন্দ আর খেলার ছলে সিসিমপুর ভূমিকা রেখে চলেছে শিশুর সামগ্রিক বিকাশে। ভাষা-বর্ণ; গণিত; পরিবেশ; সুষম ও পুষ্টিকর খাবার; স্বাস্থ্যসুরক্ষার মতো মৌলিক বিষয়গুলো ছাড়াও সিসিমপুর জেন্ডার সমতা; সামাজিক মূল্যবোধ; নিরাপদে খেলাধুলা করা, দুর্যোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্যকর অভ্যাসচর্চা; ভূমিকম্প; রাস্তা পারাপার ও পানিডুবি-বিষয়ক নিরাপত্তা; বিভিন্ন আঘাত প্রতিরোধে সচেতনতা; সঞ্চয় করা, পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ইত্যাদি নানা বিষয় শিশুদের শিখতে সাহায্য করেছে সিসিমপুর। পাশাপাশি পারস্পরিক শ্রদ্ধা, মমত্ববোধ, অভিন্নত্ব ও বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাসহ দেশের সকল মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে সিসিমপুর।
সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ তার সব কার্যক্রমই সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে যৌথভাবে পরিচালনা করে থাকে।
গত ১৭ বছরে সিসিমপুর বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে। ইউএসএআইডির অর্থায়নে সিসিমপুরের পথচলা শুরু এবং ইউএসএআইডি-র এই সহায়তা অদ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে। নিউইয়র্কভিত্তিক সিসেমি স্ট্রিট নামক শিক্ষামূলক টেলিভিশন-ধারাবাহিকের সহপ্রযোজনা সিসিমপুরের কার্যক্রম বাংলাদেশে পরিচালনা করছে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: শিল্পী সংঘের সদস্যদের সেবা প্রদান করবে ১১ প্রতিষ্ঠান
৪ বছর পর ঈদে সালাউদ্দিন লাভলু ও মাসুম রেজার নাটক
এক সময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘রঙের মানুষ’। নাট্যকার মাসুম রেজার লেখায় যেটি পরিচালনা করেছিলেন সালাউদ্দিন লাভলু। পরবর্তীতে এই নাট্যকার-নির্মাতা জুটির একাধিক নাটকের পাশাপাশি সিনেমাও মুক্তি পেয়েছে।
তবে গত চার বছর একসঙ্গে পাওয়া যায়নি সালাউদ্দিন লাভলু ও মাসুম রেজাকে। সেই বিরতি ভাঙছে এবারের রোজার ঈদে। ‘ঝড়ে বক পড়ে’ শিরোনামে ৬ পর্বের ঈদ ধারাবাহিক নাটক নিয়ে আসছে এই জুটি।
নতুন এই নাটকটি প্রসঙ্গে মাসুম রেজা বলেন, লাভলু হঠাৎ ফোন দিয়ে বললো, বন্ধু ঈদের নাটক লিখে দিতে হবে। তার কথায় আমিও ঈদের ৬ পর্বের ধারাবাহিক নাটক লিখলাম। হিসেব করে দেখলাম প্রায় চার বছর হয়ে গেছে লাভলুর সঙ্গে কাজ করিনি। তাই কোনো কিছু না ভেবেই বললাম আচ্ছা লিখব।’
অন্যদিকে সালাউদ্দিন লাভলু জানান, নাটকটির শুটিং এখনও চলছে। ঢাকার বাইরে কাজ হচ্ছে। গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত নাটকটি একটি বেসরকারি টেলিভিশেনের জন্য নির্মিত হচ্ছে।
নাটকটির গল্পে দেখা যাবে, গ্রামের এক জ্যোতিষ বাড়ির ঘটনা। মূল জ্যোতিষ মারা যাওয়ার পর বাড়ির বড় ছেলে পেয়েছে অলৌকিক শক্তি। সে যা বলে তাই ঘটে। অন্যদিকে একই বাড়ির ছোট ছেলে ভালোবাসে এই গ্রামের মেয়ে হিমিকে। কিন্তু হিমি এতে রাজি নয়। আর এই ঘটনা থেকে শুরু হয় জ্যোতিষ বিদ্যার জটিল সমীকরণ।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ নাটক ‘নিহত নক্ষত্র’
ওয়েব দুনিয়ায় আফসানা মিমির অভিষেক
শিল্পী সংঘের সদস্যদের সেবা প্রদান করবে ১১ প্রতিষ্ঠান
সম্প্রতি নতুন কমিটি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে অভিনয় শিল্পী সংঘ। এবারের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান। তাদের নেতৃত্বে সংগঠনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২ এপ্রিল) শিল্পী সংঘের কার্যালয়ে ১১টি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে সংগঠনটি।
চুক্তি অনুযায়ী, অভিনয় শিল্পী সংঘের সদস্যদের প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ সুবিধা প্রদান করবে। যেই তালিকায় রয়েছে বিশ্বরঙ, ইউনিভার্সাল হাসপাতাল, ওয়াটারফল রেস্টুরেন্ট এন্ড কমিউনিটি সেন্টার বাংলামোটর ও বনানী শাখা, সিয়েলো রুফটপ বাড্ডা, বনানী ও পরীবাগ শাখা, ওমেন্স ক্লাব মেকওভার স্যালুন এন্ড লেজার, চেজ মটরস, কাচ্চিভাই, অন্যরকম, পিজ্জু, লেক ভিউ ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্টরস চেম্বার, থাইরো কেয়ার।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম, সাধারণ সম্পাদক রওনক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজনীন হাসান চুমকি, জামিল হোসেন, প্রচার সম্পাদক প্রাণ রায়, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, অনুষ্ঠান সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু, কার্যনির্বাহী সদস্য শামস সুমনসহ অনেকে।
নাসিম বলেন, ‘শিল্পীদের জন্য যা কিছু ভালো সেই উদ্যোগ বিভিন্ন সময় নিয়েছে আমাদের সংগঠন। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন আরও একটি সুবিধা যোগ হচ্ছে। আমাদের কমিটির মেয়াদকালে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি এতে উপকৃত হবেন।’
আরও পড়ুন: অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি নাসিম, সম্পাদক রওনক
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন সায়মন
ওয়েব দুনিয়ায় আফসানা মিমির অভিষেক
ফ্যামিলি ড্রামা ও থ্রিলার ঘরানার গল্প নিয়ে তৈরি রিহান রহমান পরিচালিত চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘নিখোঁজ’। ছয় পর্বের তারকাবহুল এ সিরিজে বহুদিন পর আফসানা মিমিকে আবারও পর্দায় দেখা যাবে। সেই সঙ্গে অভিনেত্রী ও পরিচালক আফসানা মিমির ওয়েব দুনিয়ায় অভিষেক হবে।
‘নিখোঁজ’ সিরিজে আরও অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, ইন্তেখাব দিনার, অর্চিতা স্পর্শিয়া, শ্যামল মাওলা, খায়রুল বাসার, শিল্পী সরকার অপু, দীপান্বিতা মার্টিন, মাসুম রেজওয়ানসহ অনেকে।
আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘বই পড়ি জীবন গড়ি’
আগামী ১৭ মার্চ রাত ৮টা থেকে চরকির পর্দায় সিরিজ ‘নিখোঁজ’দেখা যাবে। পরিচালক রিহান রহমান এর আগে ওয়েব ফিকশন, টিভিসি তৈরি করলেও ‘নিখোঁজ’ চরকির জন্য বানানো তার প্রথম সিরিজ।
তিনি বলেন, ‘চরকিতে কাজ করে আমার অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি একটা ভিন্ন গল্প বলার চেষ্টা করেছি। একটা নতুন ধরনের গল্প দর্শকদের উপহার দিতে চেয়েছি।'
সিরিজের মাধ্যমে অনেক গুণী অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছেন রিহান। এই প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, ‘এই সিরিজে একসঙ্গে এতগুলো গুনী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করে আমার সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। এখানে গুনী অভিনেত্রী আফসানা মিমি থেকে শুরু করে তরুণ অভিনেতা মাসুম রেজওয়ান রয়েছে তাই অভিজ্ঞতাটাও ভিন্ন বলা যায়। আশা করি দর্শকদের আমাদের এই ভিন্ন গল্প বলার চেষ্টাটা ভালো লাগবে।’
চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘এই বছরে চরকির প্রথম সিরিজ শাটিকাপ যেমন আওয়াজ তুলেছিল আশা করছি দ্বিতীয় সিরিজ নিখোঁজ দেখেও মানুষ কথা বলবে। নিখোঁজ-এর গল্পই হিরো; আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: বিজ্ঞাপন দিয়ে কাজে ফিরলেন মৌসুমী
একটি ছিমছাম ছুটির দিনে ফারুক আহমেদ তার পরিবারের সঙ্গে দুপুরে খেতে বসেছেন। ঠিক তখন ঘটে এমন এক ঘটনা যা তাদের জীবনকে একদম পাল্টে দেয়। একদল অচেনা লোক পুলিশের পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে ফারুক আহমেদকে ধরে নিয়ে যায়। এতে পুরো পরিবার ও প্রতিবেশীরা হতবাক হয়ে যায়।
এই ঘটনার পর ফারুক সাহেবের মেয়ে সাফিয়া তার নিখোঁজ বাবাকে খুঁজতে থাকে। দিন যায়, সপ্তাহ, মাস, বছর যায়। নিখোঁজ ফারুক আহমেদ কে কী তার সন্তানেরা খুঁজে পাবে? এভাবে এগিয়ে যায় ওয়েব সিরিজের গল্প।
ইভ্যালির প্রতারণার মামলা: তাহসান খানের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
ইভ্যালির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় হাইকোর্টে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন গায়ক- অভিনেতা তাহসান খান।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আগাম জামিনের আবেদন জানালে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। তাহাসান খান ই-ভ্যালির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
তার জামিন আবেদনের শুনানিকালে আদালত বলেন, সেলিব্রেটিদের দায়িত্ব অনেক বেশি। তাদের দেখে সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ইভ্যালিতে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা গচ্চা গেছে। এ কারণে বিজ্ঞাপনের মডেল বা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে সেলিব্রিটিদের আরও সতর্ক হতে হবে।
আদালতে তাহসান খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহিউদ্দিন দেওয়ান। এর আগে বুধবার এ মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন অভিনেতা-গায়ক তাহসান খান।
একই মামলায় হাইকোর্ট গত ১৩ ডিসেম্বর অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার হতে পারেন তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া
ইভ্যালির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় এই মামলাটি করেন। মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইভ্যালির শুভেচ্ছাদূত ছিলেন তাহসান খান। মিথিলা ছিলেন ইভ্যালির ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইলের শুভেচ্ছাদূত। আর শবনম ফারিয়া ছিলেন ইভ্যালির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা। তাদের উপস্থিতি এবং বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তায় আস্থা রেখেই বিনিয়োগ করেন বলে দাবি করেন মামলার বাদী সাদ স্যাম রহমান। তারা প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করতে সহায়তা করেছে। আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ তিন লাখ ১৮ হাজার। যা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির প্রতারণা: আগাম জামিন চেয়ে আবেদন মিথিলা ও শবনম ফারিয়ার
ইভ্যালির প্রতারণা: মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন