%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA-%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF
টাঙ্গাইলে ১০ টাকায় গাছ বিক্রি
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলে ১০ টাকায় গাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন ও যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন।
রবিবার (৪মে) সকালে শহরের নিরালা মোড়ে অবস্থিত শহীদ মিনার চত্বরে শতাধিক বৃক্ষপ্রেমী ১০ টাকায় গাছ বিক্রি শুরু করা হয়।
পরিবেশ রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
সেগুন, আকাশমনি, আমলকি, হরতকি, বহেরা, বাসক, শতমূলী, কাঁঠাল, পেয়ারা, জলপাই, কদবেল, আতা, চালতা, লটকন, ড্রাগন ফলসহ ২৪ প্রজাতির দেড় শতাধিক গাছ ১০ টাকা করে বিক্রি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ের ৩০ গাছ বিক্রি
১০ টাকায় গাছ কিনতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থী জান্নাতুর রহমান বলেন, ‘আমি পেয়ারা গাছ কিনেছি, এত কম দামে গাছ পাবো ভাবিনি।’
গৃহিনী রোকেয়া সুলতানা বলেন,‘মাত্র একটি গাছ কিনতে পেরেছি, আরও কেনার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আয়োজকরা জানিয়েছেন একজন একটির বেশি গাছ কিনতে পারবেন না।’
শিক্ষার্থী রাইয়ান সম্রাট বলেন, ‘ড্রাগন ফল গাছ মাত্র ১০ টাকায় কিনতে পেরেছি, এমন আয়োজন নিয়মিত হওয়া উচিত।’
সংগঠনের উপদেষ্টা সংস্কৃতিকর্মী সাম্য রহমান বলেন, ‘আমরা যে পরিমাণ গাছ কাটছি তার অর্ধেক গাছও রোপণ হচ্ছে না। মানুষের মাঝে পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে আমাদের এ আয়োজন। পরবর্তীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বল্পমূল্যে গাছ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
১০ টাকায় গাছ কর্মসূচির উদ্যোক্তা মুঈদ হাসান তড়িৎ জানান,‘এ আয়োজনে দেড় শতাধিক ফলজ,বনজ ও ঔষধি গাছ স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। প্লাস্টিক দূষণ রোধ ও পরিবেশ রক্ষায় বেশি বেশি গাছ রোপণে জনগণ ও শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতেই আমাদের এ উদ্যোগ।’
তিনি আরও জানান,‘অন্তত মাসে একবার আমরা ১০ টাকায় গাছ বিক্রি করবো। বিত্তবানেরা এগিয়ে এলে আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন করতে চাই আমরা।’
এ সময় কর্মসূচিতে সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মির্জা তৌহিদুল ইসলাম সুলভ, সমন্বয়কারী রাদিত আহমেদ, সামি খান, আহসান খান মিলন, রকিবুল রায়হান ও সামিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাছ কাটার প্রতিবাদ: পুলিশের বাধায় পণ্ড হলো নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি
কুড়িগ্রামে গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা অনুষ্ঠিত
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দেড়শো’ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে শতশত পূণ্যার্থীর ঢল নেমেছিল। প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা মেলায় আসেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্বধনীরাম ও শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের সোনাইকাজী এলাকার শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর দক্ষিণ তীরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, দেড়শো বছর আগে মেলার নামে মৃত শরৎ চন্দ্র রায় এক একর জমি দান করেন। শুরুতে নিজস্ব জমিতে পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হতো। পরে ধরলা নদীর ভাঙ্গন ও গতিপথ বারবার পরিবর্তন হওয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে উপজেলার দুই স্থানে প্রতিবছরই গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলায় এসে ধরলা নদীতে স্নান অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ছিল- দা, বটি, কাঠারি ও সব ধরনের হাতিয়ারসহ গৃহকর্মে ব্যবহৃত জিনিসপত্র। এছাড়াও উড়ুন, গাইন, লাঙ্গল, জোয়াল, ঝাপি, ডালি, কুলা, ডুলি, ঝাড়ু, হাতপাখাসহ সস্তায় কৃষি কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও মৃৎপাত্রের বিভিন্ন বাহারি তৈজষপত্র, বর্ষার বিভিন্ন ফল, বড়মাছের শুঁটকিসহ বিভিন্ন জাতের বড় মাছ, বাতাসা, মুড়ি, মিষ্টি-জিলাপি, বেলুনসহ শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী।
মেলায় আগত পুরোহিত বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, প্রতি বছর মহা দশমীতে এখানে গঙ্গা স্নান সেরে পূণ্যার্থীরা পাপ মুক্ত হন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ৩ দিনব্যাপী শিবচতুর্দশী মেলা শুরু আজ
ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ও মহিষের ১০ গাড়িতে করে বরযাত্রা!
মোটরগাড়ি কিংবা হেলিকপ্টারে নয়, এবার বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া গরু ও মহিষের ১০ টি গাড়িতে করে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে গেলেন নিরব নামে এক যুবক। আর এ বিয়ে দেখতে ভিড় জমান শত শত নারী-পুরুষ।
শুক্রবার (২৭ মে) বিকালে এমনই এক ব্যতিক্রম বিয়ের আয়োজন করা হয় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে।
স্থানীয়রা জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার খামার নারায়ণপুর গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে নিরব হোসেন সাব্বিরের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় পাশের দুর্গাপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামে মেয়ে ইসরাত জাহান এশা আকতারের।
নিরবের বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলে বরবেশে গরুর গাড়িতে করে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে বিয়ে করতে যাবে। ছেলের বউও আসবে গরু গাড়িতেই।
বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে গরু ও মহিষের ১০ গাড়ি সংগ্রহ করে নিরবের বাবা। আর এই গরু-মহিষের গাড়িতে করে বরযাত্রী নিয়ে বরবেশে কনের বাড়িতে বিয়ে করতে যান নিরব।
গ্রাম বাংলার হরিয়ে যাওয়া টাপুর যুক্ত গরু-মহিষের গাড়ি দেখতে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় জমান বর ও কনের বাড়িতে। রাস্তায় অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে গরু-মহিষের গাড়িতে বরযাত্রার দৃশ্য অবলোকন করেন। ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন অনেকেই।
এমন আয়োজনে খুশি বর-কনের পরিবারসহ এলাকাবাসী। গ্রাম বাংলার এ পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ৯ লাখ টাকা মোহরানায় ব্যাঙের বিয়ে!
জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস নিয়ে চলচ্চিত্রকার অনার্য মুর্শিদের বই
কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ সংগীতের দল বিটিএসের আদ্যোপান্ত নিয়ে ‘বিটিএস: সিউল টু সোল’- শিরোনামে নিবন্ধধর্মী একটি বই লিখেছেন চলচ্চিত্রকার অনার্য মুর্শিদ। শুক্রবার (১৯ মে) থেকে বইটি বাজারে পাওয়া যাবে।
বিটিএসের সাত তারকার জীবনবৃত্তান্ত, বিটিএসের সংকট-সংগ্রাম, শো, অ্যালবাম এবং পুরস্কারেরও একটি তালিকা রয়েছে এই বইতে।
কোরিয়ার ‘কালচারাল ওয়েভ’ এবং সফট পাওয়ার চর্চা বিষয়েও একটি গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধও প্রকাশিত হয়েছে এই বইয়ে।
বইয়ের লেখক অনার্য মুর্শিদ বলেন, আমি একজন বাংলাদেশি বিটিএস ভক্তের সাংস্কৃতিক সংকটকে কেন্দ্র করে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করছি। চলচ্চিত্রটির প্রি-প্রোডাকশন করতে গিয়ে কে-পপ বিষয়ে একটি বইয়ের খুব প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। এর মধ্যে প্রকাশক একদিন বললেন যে তিনিও এই ধরনের কিছু কালচারল ডিপ্লোমেটিক বই প্রকাশ করতে চান। ইতোপূর্বে তার প্রকাশনী এই ধরনের বই প্রকাশও করেছে। আমি আশা করি দীর্ঘদিন থেকে কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের যে সাংস্কৃতিক সেতু নির্মাণ হচ্ছে সেখানেও বইটি একটি ভূমিকা পালন করবে। বইটির মাধ্যমে প্রবীণরাও এই প্রজন্মকে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পাবেন।
প্রায় দেড়শ পৃষ্ঠার পেপার ব্যাকের এই বইটি প্রকাশ করেছে উজান। প্রচ্ছদ করছেন লায়লা ফেরদৌসী। মুদ্রিত মূল্য রাখা হয়েছে ৩৫০ টাকা। ৩০% কমিশনে বইটি বিক্রি করছে বিটিএস আর্মি পেইজ (FB/BTSARMYFILM)।
এছাড়াও উজানের পেইজ, রকমারিসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিবঙ্গের বিটিএস ভক্তরা বইটি ‘তবুও প্রয়াস’, ‘লালন’ ও ‘চন্ডাল বুকস’ থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: প্রথম সোলো অ্যালবাম 'ইন্ডিগো' নিয়ে আসছে বিটিএসের আরএম
কে-পপ আইডল ভি’র জন্মদিন: ঢাকা থেকে নিউইয়র্কের আর্মিরা কিভাবে তার জন্মদিন উদযাপন করছে
ঠাকুরগাঁওয়ে ৯ লাখ টাকা মোহরানায় ব্যাঙের বিয়ে!
বৃষ্টির দেখা নেই, তাই বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে। বরের নাম মেঘ, আর কনের নাম বৃষ্টি। দুজনে মিলে মেঘবৃষ্টি। বিয়ে উপলক্ষে মেঘবৃষ্টির গায়ে জড়ানো হয় নানা রঙিন কাপড়।
বুধবার (১০ মে) রাতে ছিলো মেঘবৃষ্টির বিয়ে, আর আজ বৃহস্পতিবার ছিলো বৌভাত।
রঙিন কাপড়ে জড়ানো ক্ষুদ্রাকার এ বর কনেকে দেখতে ভিড় জমায় হাজারো উৎসুক মানুষ। তাদের যেন আগ্রহের শেষ নেই। আর হবেই বা না কেন। এ তো ব্যাঙের বিয়ে। তাও আবার বিশাল অংকের মোহরানা।
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে ৯ লাখ ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ইসলাম ধর্মের রীতিনীতি মেনেই বুধবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে মেঘ-বৃষ্টি নামে দুই ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হয়েছে অতিথিদের।
দেশের উত্তরের জেলা এই ঠাকুরগাঁও। তবে এবার এ জেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে তাপমাত্রা, নেই বৃষ্টি। চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ। পুড়ছে চারদিক। নাভিশ্বাস উঠেছে জন জীবনে । খরা ও দাবদাহে ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হবে-সেই বিশ্বাস থেকেই এ বিয়ের আয়োজন।
মেঘ নামের বর ব্যাঙের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় পীরগঞ্জ উপজেলার ভাকুড়া খালপাড়ার আনিসুরের বাড়িতে, আর কনে হিসেবে বৃষ্টি ব্যাঙের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান হয় নারায়ণপুর গ্রামের আমজাদ আলীর বাড়িতে। শাড়ি, কাপড় দিয়ে সাজানো হয় বর-কনেকে। টিপ পরানো হয় ও আলতা দিয়েও সাজানো হয় কনে ব্যাঙ বৃষ্টিকে। বিকালে গায়ে হলুদের পর্ব শেষ করে সন্ধ্যায় ভাকুড়া খালপাড়া থেকে অনুষ্ঠানিক ভাবে বরযাত্রী নিয়ে নারায়ণপুরে কনে বৃষ্টির বাড়িতে আসে বর পক্ষ। খাওয়া-দাওয়া শেষে দেনমোহর ধার্য করে বর ও কনেকে ইজাব-কবুল করান কাজল আহাম্মেদ। সম্পন্ন করা হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। ব্যাঙের এ বিয়ে দেখতে ঢল নামে নারী পুরুষের।
কুয়াকাটায় বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে 'গুরুপূজা' অনুষ্ঠিত
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ' বুদ্ধ পূর্ণিমা' উপলক্ষে ‘উপকূলের অলংকার’ খ্যাত রাখাইন সম্প্রদায় পালন করেছে 'গুরুপূজা '। শুক্রবার (৫ মে) দিনব্যাপী কুয়াকাটা সংলগ্ন লতাচাপলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এ পূজা।
অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন এলাকার দুই শতাধিক রাখাইন অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া রাখাইনরা জানান, তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ' বুদ্ধ পূর্ণিমা' উপলক্ষে ধর্মীয় নিয়ম-নীতি অনুযায়ী নানা অনুষ্ঠান পালন করেছেন তারা।
এছাড়া গুরুপূজা উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রাখাইনদের মাঝে খাবার ও বিভিন্ন প্রকারের পিঠা বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত হচ্ছে আজ
ঐতিহাসিক মে দিবস আজ
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় মে দিবস পালিত হচ্ছে। মে দিবস, আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস নামেও পরিচিত।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে শ্রমঘণ্টা কমিয়ে দৈনিক আট ঘণ্টা করার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে রাস্তায় নেমে আসা শ্রমিকদের ঐতিহাসিক আন্দোলনের স্মরণে প্রতি বছর মে দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস পালন করা হয়।
মে দিবস বাংলাদেশে সরকারি ছুটির দিন।
এ বছর বাংলাদেশে দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’।
রেডিও ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
১৮৮৬ সালের ১ মে দৈনিক ১২ ঘণ্টার পরিবর্তে আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে শ্রমিকরা ফুঁসে ওঠেন। হে মার্কেটের কাছে তাদের বিক্ষোভে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে ১০ শ্রমিক নিহত হন। উত্তাল সেই আন্দোলনের মুখে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে দিতে বাধ্য হয় এবং বিশ্বব্যাপী দৈনিক আট ঘণ্টা শ্রমঘণ্টা চালু করা হয়।
১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রমিক সমাবেশে ১ মে’কে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরের বছর থেকে বিশ্বব্যাপী এ দিনটি পালিত হচ্ছে।
ঐতিহাসিক মে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের শিল্প ও বাণিজ্যের অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, শ্রমিকদের একাগ্রতা এবং শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক।
তিনি বলেন, শ্রমিক ও মালিকদের ইতিবাচক অংশগ্রহণের মাধ্যমে শ্রমখাতে স্থিতিশীলতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়বে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি সংশ্লিষ্ট সকলেই তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এবং তাদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় নিজ নিজ ভূমিকা পালন করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক ও মালিকরা একে অপরের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিতপ্রাণ হবেন। শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্নের একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলব।’
বিশেষ অনুরোধে ১ দিনের জন্য হজ রেজিস্ট্রেশন সার্ভার খুলেছে সরকার
হজযাত্রী ও হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) বিশেষ অনুরোধে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ নিবন্ধনের জন্য একদিনের জন্য সার্ভার খুলেছে।
যারা এই বছর হজে যাওয়ার জন্য তাদের নিবন্ধন সম্পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা এই সুযোগ নিতে পারবেন।
গত ২০ এপ্রিল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনের ক্রমিক নম্বর আজকের জন্য খোলা হয়েছে এবং উভয় ব্যবস্থাপনাই হজযাত্রীদের জন্য একটি নতুন প্রাক-নিবন্ধন সুবিধা তৈরি করার সুযোগ পেয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন কোটা পূরণ হলে সার্ভারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
এটি শেষ সময় হবে এবং নিবন্ধনের জন্য কোন এক্সটেনশন হবে না।
গত ৩০ মার্চ, সরকার নিবন্ধন কোটা পূরণের লক্ষ্যে হজের নিবন্ধনের সময়সীমা ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
৯ জানুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে হজ নিয়ে একটি চুক্তি সই করে সরকার।
আরও পড়ুন: হজ নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত
চুক্তি অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন।
এর মধ্যে ৯ হাজার ৯৩৫ এবং ১০ লাখ ৮ হাজার ৩৫১ জন হজযাত্রী ইতোমধ্যেই যথাক্রমে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন।
এ বছর ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি হজযাত্রী জেদ্দা বিমানবন্দর দিয়ে যাবেন এবং বাকি ৩০ শতাংশ মদিনা বিমানবন্দর দিয়ে যাবেন।
এদিকে, সৌদি আরব বিশ্বব্যাপী ইচ্ছুক হজযাত্রীদের জন্য একটি সার্ভিস চার্জ কমানোয় সরকার সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমিয়েছে।
১১ হাজার ৭২৫ টাকা বাদ দিয়ে এ বছর হজ করতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনকারীদের প্রত্যেককে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা দিতে হবে।
এছাড়া যারা প্রাইভেট ব্যবস্থাপনায় যাবেন তাদের প্রত্যেককে ১১ হাজার ৭২৫ টাকা বাদ দিয়ে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৩০ মার্চ পর্যন্ত বাড়ল
হজ প্যাকেজের খরচ কমল ১১,৭২৫ টাকা
জব্বারের বলি খেলায় চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শাহজালাল
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলায় কক্সবাজারের চকরিয়ার তরিকুল ইসলাম জীবন বলীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা জিতেছেন কুমিল্লার শাহজালাল বলী। মাত্র ১ মিনিটের লড়াইয়ে শাহ জালালের কাছে হার মানেন জীবন বলী।
গত এই খেলায় শাহজালাল বলীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন তরিকুল ইসলাম জীবন বলী। এবার প্রতিশোধ নিলেন শাহজালাল। তিনি পেশায় একজন ফল বিক্রেতা।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে অনুষ্ঠিত বলীখেলার ১১৪তম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয় গতবারের শাহজালাল ২০২২ সালে রানারআপ হলেও ২০১৮ ও ১৯ সালে দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।
এর আগে আজকের খেলায় প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় গতবারের চ্যাম্পিয়ন চকরিয়ার তরিকুর ইসলাম জীবন ও খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমা। প্রায় ১১ মিনিট ৩৬ লড়াইয়ে জীবন বলীর কাছে পরাজিত হয় সৃজন বলীকে।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আনোয়ারার আব্দুন নুরের মুখোমুখি হয় গতবারের রানার্সআপ কুমিল্লার শাহ জালাল বলী। দুই জনের এ লাড়াই চলে মাত্র ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ড। এতে শাহজালাল বলীর কাছে পরাজিত হয় আব্দুন নুর বলী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা শুরু
চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা শুরু
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের লালদীঘির মাঠে ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলার (কুস্তি প্রতিযোগিতা) ১১৪ তম আসর বসেছে আজ (মঙ্গলবার)।
এ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা রকম পণ্যের পসরা নিয়ে এসেছেন ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা।
মেলায় মাটির তৈরি তৈজসপত্র, বাঁশের ও বেতের আসবাবপত্র, গাছের চারা, ফুলের ঝাড়, হাতপাখা, মুড়ি-মুড়কি, পাটি, দা, বটি, ছুরিসহ নানা ধরনের গৃহস্থালী ও লোকজ বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে বিক্রি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বলীখেলা তথা কুস্তি প্রতিযোগিতায় আংশ নিবে সারা দেশের শতাধিক কুস্তিগীর। লালদীঘি ময়দানে ইতোমধ্যে বলীখেলার জন্য বালু দিয়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'এসো হে বৈশাখ': বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ স্বাগত জানাচ্ছে বাংলাদেশ