শিল্প-ও-সংস্কৃতি
১৬ দিনের প্রচারণা: বৃহত্তর ঢাকার জোন্টা ক্লাবের রাজধানীতে বৃক্ষরোপণ ও রিকশা র্যালির আয়োজন
লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে চলমান ‘১৬ দিনের প্রচারণা’ অভিযানের অংশ হিসেবে, জোনটা ক্লাব অব গ্রেটার ঢাকা সোমবার রাজধানীর বারিধারায় কয়েকটি কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এসব কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বারিধারা লেক পার্কে বৃক্ষরোপণ এবং এরপরে এক বিশেষ রিকশা র্যালির আয়োজন।
নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে একতা প্রকাশ করে কমলা রঙের পোশাক পরা স্থানীয় রিকশাচালকদের পাশাপাশি বৃহত্তর ঢাকার জোন্টা ক্লাবের নির্বাহী ও সদস্যরাও এই কার্যক্রমে যোগ দেন।
টাঙ্গাইলে ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন
‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’-স্লোগানে চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটি টাঙ্গাইল-এর উদ্যোগে ও চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ টাঙ্গাইল পর্ব।
সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসব উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন।
বরেণ্য অতিথি হিসেবে অনলাইনে যোগ দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা তানভীর হোসেন প্রবাল, রিয়াজুল রিজু, ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশের উৎসব পরিচালক শাহরিয়ার আল মামুন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার এরশাদ হাসান।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সংস্কৃতিকর্মী সাম্য রহমানের সভাপতিত্বে চিলড্রেন’স্ ফিল্ম সোসাইটি টাঙ্গাইলের সভাপতি ও টাঙ্গাইল উৎসবের পরিচালক মুঈদ হাসান তড়িৎ, আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হাসান বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: লা গ্যালারিতে অভিজিৎ চৌধুরীর একক চিত্র প্রদর্শনী
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সকাল ১১টায় প্রদর্শিত হয় বাংলাদেশি চলচ্চিত্র কাঁঠাল, ৪৫ মিনিট; শহরটা ঢাকা, ১১ মিনিট; অশ্লেশা, ৬ মিনিট; ফ্রেমড মেমোরিস, মালেশিয়া, ৭ মিনিট। দুপুর ২টায় পাঠশালা, ভারত, ১৯ মিনিট ; ফাইন্ডারস অফ দ্যা লস্ট ইয়ট, ফিনল্যান্ড, ৮৬ মিনিট । বিকাল ৫টায় দীপু নাম্বার টু, বাংলাদেশ, ১৫৪ মিনিট প্রদর্শিত হয়।
উৎসবে আগামী ২৫ নভেম্বর সিনেম্যাটোগ্রাফি বিষয়ে নির্মাতা এনামুল হাসান ও এ্যানিমেশন বিষয়ে এ্যানিমেশন নির্মাতা শাহরিয়ার আল মামুন কর্মশালা পরিচালনা করবেন। আগামী ২৬ নভেম্বর মোবাইল চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে কর্মশালা পরিচালনা করবেন নির্মাতা রাকা নোশীন নাওয়ার। একই দিন বিকাল ৫টায় উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
তিনদিনব্যাপী এ চলচ্চিত্র উৎসবে ১৪টি দেশের ২০টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর ২টা এবং বিকাল ৫টায় প্রদর্শনী রয়েছে। উৎসবের সকল প্রদর্শনী অভিভাবক, শিশু-কিশোরসহ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
২৫ নভেম্বর, ২০২২ শুক্রবার সকাল ১১টায় প্রদর্শিত হবে দি রিপাবলিক অফ চিলড্রেন, পোল্যান্ড, ৭২ মিনিট; মেসি, ইরান, ১৪ মিনিট। দুপুর ২টায় সুমো কিড, রাশিয়া, ৮৮ মিনিট; ক্রিপি, জার্মানি, ৫ মিনিট; থ্যাংক ইউ ফর ইয়র টিথ, রোমানিয়া, ২ মিনিট। বিকাল ৫টায় আমার বন্ধু রাশেদ,বাংলাদেশ, ৯৬ মিনিট। ২৬ নভেম্বর, ২০২২ শনিবার সকাল ১১টায় প্রদর্শিত হবে জিম বাটন এন্ড দি ওয়াইন্ড ১৩, জার্মানি, ১০৯ মিনিট;
সুমন'স ওডিশি-ভস্ট ইং, ফ্রান্স,২৬ মিনিট। দুপুর ২টায় নেইবোরস,সুইজারল্যান্ড, ৯০ মিনিট ; মেও অর নেভার, ইউকে, ১০ মিনিট ; মাই গ্যান্ডমা মাটিলডি, মেক্সিকো, ১০ মিনিট; মুন ল্যান্ডিং, কোস্টারিকা, ৬ মিনিট । সন্ধ্যা ৬টায় তারে জামিন পার, ভারত, ১৬৪ মিনিট।
উৎসবের সহ-আয়োজক জেলা শিল্পকলা একাডেমি টাঙ্গাইল। এছাড়া উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বুরো বাংলাদেশ, মেলো, সময় টিভি, ডুগডুগি মিডিয়া, শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন ও স্পটলাইট।
উল্লেখ্য যে গত মার্চ মাসজুড়ে ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগে চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত হয় ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ। ঢাকা উৎসবে ৩৮টি দেশের ১১৭টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুন: জাবির নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আফসার আহমদের ৬৩তম জন্মজয়ন্তী
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মায়েস্ট্রাস’ কর্মসূচি আয়োজিত
লা গ্যালারিতে অভিজিৎ চৌধুরীর একক চিত্র প্রদর্শনী
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে শুরু হলো শিল্পী অভিজিৎ চৌধুরীর ১৫তম একক চিত্রপ্রদর্শনী।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ‘নন হায়ারার্কিক্যাল অর্ডার অব ফর্মস’ শিরোনামে এই প্রদর্শনী উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এছাড়াও ছিলেন খ্যাতনামা অভিনেতা আফজাল হোসেন ও জাহিদ হাসান।
অভিজিৎ চৌধুরী বাংলাদেশের একজন প্রকৃষ্ট ও প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী হিসেবে পরিচিত। তিনি তার শিল্প অনুভূতির দ্বারা প্রকৃতির সব ধরনের উপাদান সযত্ন ও প্রতীতির সঙ্গে গ্রহণ করে তার চিত্রকলায় সেগুলিকে অভিরূপ উপায়ে ফুটিয়ে তোলেন।
আরও পড়ুন: কাল থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী লালন সাঁই’র তিরোধান উৎসব
রাঙামাটিতে শেষ হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দানোৎসব
শান্তি ও মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে লাখো পূর্ণার্থীর শ্রদ্ধা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যের মধ্যদিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দান উদযাপিত হলো। শুক্রবার দুপুরে রাঙামাটির রাজবন বিহারে চীবর উৎসর্গের মধ্যদিয়ে শেষ হলো ৪৯তম কঠিন চীবর দানোৎসব।
এদিন দুপুরে বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে ২৪ ঘন্টায় তৈরীকৃত চীবর রাঙামাটি মহাপরিনির্বাণ প্রাপ্ত বনভন্তের শীর্ষ রাঙামাটি রাজবন বিহারের ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরের হাতে চীবর উৎসর্গ করেন রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।
চীর উৎসর্গের সময় ভক্তদের সাধু,সাধু,সাধু কন্ঠধ্বনিতে রাজবন বিহারের সমগ্র আশেপাশে এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
বিহার প্রাঙ্গণে আগত লাখো লাখো পুর্ণার্থীর সামনে রাঙামাটি রাজবন বিহারের প্রধান মহাপরিনির্বাণ প্রাপ্ত শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভন্তের অমৃত কথা অডিও উপস্থাপন করা হয়। পরে আগত দায়ক দায়িকার উদ্দেশ্যে স্বধর্ম দেশনা দেন রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। এসময় তিনি কৌশল কর্ম, সৎ চেতনা ও সৎ জীবন নিয়ে জীবনযাপন করার জন্য হিতোপোদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দিলেন প্রধানমন্ত্রী
চীবর দান উৎসবে রাঙামাটির সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জাহাঙ্গীর আলম, রাঙামাটি পৌর মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধুরী, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, বিএনপির নেতা দীপন তালুকদার, রাজবন বিহারের কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমিয় খীসাসহ দেশি-বিদেশি পূর্ণার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
কাল থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী লালন সাঁই’র তিরোধান উৎসব
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ায় শুরু হচ্ছে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁই’র ১৩২তম তিরোধান উৎসব। সোমবার থেকে শুরু হয়ে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলবে।
ওই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রধান অতিথি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন।
তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে থাকছে লালনের কর্মময় জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান। লালন একাডেমির শিল্পীবৃন্দসহ কলকাতার লালন শিল্পীরাও অনুষ্ঠান সঙ্গীত পরিবেশন করবেন।
টাকা কীভাবে এলো? মানব সভ্যতায় টাকার ইতিহাস
হোক সেটা জীবনের মৌলিক চাহিদা, অথবা দীর্ঘদিন ধরে লালন করা স্বপ্ন; দুটোর যে কোনটি পূরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় বস্তু কোনটি? হাজারো তর্ক-বিতর্কের পর দিন শেষে যে উত্তরটির দিকে পাল্লাটা বেশি ভারী হয়, তা হচ্ছে-টাকা। মনস্তাত্ত্বিক দিক দিয়ে ভাবলেও চূড়ান্ত গন্তব্যটি টাকার দিকেই নির্দেশ করে। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মীদের সঙ্গে যেকোনো কাজে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা, বহুদিন ধরে সুপ্ত থাকা প্রতিভাকে বিকশিত করা এবং প্রকৃতির বিস্ময়কে খুব কাছ থেকে পরখ করা; এ সবকিছুর জন্য দরকার আর্থিক স্থিতিশীলতার সমর্থন। আর সেই স্থিতিশীলতা অর্জনের লক্ষ্যে টাকার পেছনে মানুষের নিরন্তর ছুটে চলা আবহমান কাল ধরেই। কিন্তু এর শুরুটা কোথায়? কীভাবে এলো টাকা? ঘুরে দেখা যাক, টাকার ঐতিহাসিক সময়রেখাটা।
প্রাগৈতিহাসিক লেনদেন ও টাকার ধারণা
পৃথিবীতে মুদ্রা ধারণা আসার আগে প্রচলন ছিল বিনিময় প্রথার। এক পণ্য বা সেবার বিনিময়ে আরেকটি পণ্য বা সেবা। ৯ হাজার থেকে ৬ হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দে গবাদি পশু পালন এবং ফসলের চাষকে কেন্দ্র করে গৃহস্থালি পশু-পাখি এবং উদ্ভিদজাত পণ্য বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখানে সমস্যা ছিল- কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ফসল ফলার জন্য অপেক্ষা করতে হতো। অর্থাৎ কৃষকদের যেকোনো কিছু কেনার প্রয়োজন হলে, তাদের তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করার কোনো উপায় ছিল না। এ সময়ই উদ্ভব হয় বাকিতে কোনো কিছু নেয়া বা ঋণের ধারণার। ফলশ্রুতিতে প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়- লিখিত বিবরণী বা প্রমাণপত্রের।
এখানে কৃষকটির সঙ্গে যিনি বিনিময় করবেন তিনিও ভুগতে থাকেন অবিশ্বাসের দোলাচলে। সব মিলিয়ে বিনিময়ের জন্য সঠিক লোক খুঁজে পাওয়া ছিল একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। আর এই সমস্যাটি সমাধানের জন্যই একটি নিরপেক্ষ তৃতীয় বিনিময় মাধ্যম তৈরির প্রবণতা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক ৭ শহর ভ্রমণ
প্রথম কবে টাকা ব্যবহার করা হয়
তৃতীয় নিরপেক্ষ মাধ্যমটি এমন একটি বস্তু হবে, যার সাপেক্ষে অনায়াসেই লেনদেন করা যাবে পণ্য ও পরিষেবাটি। এই ধারণার আঙ্গিকে সর্বপ্রথম তিন হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দে একটি বিনিময় পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মেসোপটেমিয়ার শহরগুলোতে। তারা উদ্ভাবন করেছিল গচ্ছিত সম্পদ থেকে ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা। কৃষকরা তাদের শস্য মন্দিরে জমা করতো আর সেই জমার রেকর্ড থাকতো মাটির তৈরি এক ট্যাবলেটে। জমা করার সময় কৃষককে দেয়া হতো মাটির তৈরি টোকেন, যেটি রশিদের কাজ করতো। এটি দিয়ে তারা তাদের ঋণগুলো পরিশোধ করতো। এখান থেকেই সৃষ্টি হয় প্রতিনিধি মুদ্রার ধারণা।
পরবর্তীতে এই মেসোপটেমিয়ানরাই উদ্ভাবন করে ইতিহাসের প্রথম মুদ্রা-শেকেল। সময়টি ছিল আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে। রৌপ্য দিয়ে তৈরি শেকেল দিয়ে মূলত ওজনের ভিত্তিতে লেনদেন করা হতো। এর ওজন ছিল প্রায় ১১ গ্রাম, যা নামমাত্র পরিমাণ বার্লির ওজনের সমতুল্য ছিল।
প্রথম ধাতব মুদ্রা এবং স্বর্ণমুদ্রার প্রচলন
প্রায় ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চীনের ঝাউ রাজবংশের শাসনামলে ব্রোঞ্জের তৈরি মুদ্রার প্রচলন হয়। এর আগে অবশ্য কাউরি বা ঝিনুকের খোল দিয়ে মুদ্রা বানানো হতো। এগুলো প্রকৃতিতে খুব সহজলভ্য ছিল বিধায় বিকল্প হিসেবে ব্রোঞ্জে খোদাই করা মুদ্রার ব্যবহার শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের ২ প্রকল্প
খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীর কাছাকাছি সময়ে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার লিডিয়া রাজ্যে উদ্ভাবিত হয়েছিল ডিস্ক-আকৃতির, স্বর্ণ, রৌপ্য বা ব্রোঞ্জ নির্মিত মুদ্রা। নকল থেকে আসল মুদ্রা আলাদা করতে এগুলোর উভয় পাশে খোদাই করা হতো দেবতাদের বা সে সময়কার রাজাদের প্রতিকৃতি। পরবর্তী শতাব্দীতে এগুলো গ্রিস অব্দি ছড়িয়ে পড়ে। এই মুদ্রা থেকেই বর্তমান সময়ের সমস্ত আধুনিক মুদ্রা এসেছে।
স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা ব্যাপকতা লাভ করে ৬৫০ থেকে ৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে। এ সময় খোদাইকৃত মুদ্রা দিয়ে সেনাবাহিনীর পারিশ্রমিক দেয়া হতো। মুদ্রা হিসেবে স্বর্ণ প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায় ৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আধুনিক তুরস্কের প্রাচীন রাজ্য লিডিয়ায়। ইলেক্ট্রাম নামে পরিচিত রূপা ও সোনার একটি সংকর ধাতু ব্যবহার করা হতো মুদ্রাটি তৈরি করতে।
প্রথম কাগজের নোট
কাগজের মুদ্রা সর্বপ্রথম তৈরি করা হয় ৭০০ থেকে ৮০০ খ্রিস্টাব্দে চীনে। তৎকালিন চীনে কাগুজে মুদ্রা তৈরির কারখানাও ছিল। এই মুদ্রা বেশি দিন লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে বিরাজ করতে পারেনি। ১৪৫৫ সালের পরেই বন্ধ হয়ে যায় এই টাকার ব্যবহার। ১৫ শতকের মাঝামাঝি সময়ে চীন আবার তার ধাতব মুদ্রায় ফিরে যায় এবং পরবর্তীতে আবার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই মুদ্রা।
আরও পড়ুন: বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস: রূপরেখায় অপশক্তির অবসান কামনায় শান্তি মিছিল
ব্যাংকিং ব্যবস্থার সূত্রপাত
মধ্যযুগে রেনেসাঁর একদম শুরুর দিকে ইতালির বিভিন্ন ধনী শহরগুলোতে অভিজাত সূচনা ঘটে ব্যাংকিং ব্যবস্থার। ইংরেজি ব্যাংক শব্দটি নেয়া হয়েছে ফরাসি শব্দ ব্যাংকু থেকে, যেটি এসেছে মূলত রোমান শব্দ ব্যাংকা থেকে, যার অর্থ টেবিল। এই ব্যাংকা শব্দটির উদ্ভূত আবার প্রাচীন জার্মান ব্যাংক থেকে, যার মানে বেঞ্চ বা কাউন্টার। রেনেসাঁর সময় ফ্লোরেনটাইন ব্যাংকারদের বেঞ্চগুলো অস্থায়ী ডেস্ক বা বিনিময় কাউন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
১৪ শতকের দিকে ফ্লোরেন্স জুড়ে ব্যাঙ্কিংয়ে আধিপত্য বিস্তার করে বার্দি এবং পেরুজি নামক রাজকীয় পরিবার দুটি। পরবর্তীতে ইউরোপের অন্যান্য জায়গাগুলোতেও তাদের একাধিক শাখা স্থাপিত হতে থাকে। এ সময় ব্যাপক হারে জনসাধারণকে ঋণ দেয়া এবং তাদের কাছ থেকে আমানত গ্রহণের কার্যক্রমগুলো ঘটতে থাকে। অবশ্য রোমান সাম্রাজ্য পতনের মধ্যে দিয়ে পুরো ব্যবস্থাটিই ধ্বংস হয়ে যায়।
আদর্শ স্বর্ণমান কেন্দ্রিক লেনদেন
১৮১৬ সালে স্বর্ণকে ইংল্যান্ডে আদর্শ মূল্যমান করা হয়; শুরু হয় গোল্ড স্ট্যান্ডার্ডের যুগ। এর অর্থ হলো প্রতিটি ব্যাংক নোট একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই শুধুমাত্র সীমিত সংখ্যক ব্যাঙ্কনোট মুদ্রণ করা যাবে। এই নিয়মটি পূর্বে যাবতীয় অস্থিতিশীল মুদ্রা ব্যবস্থার বিড়ম্বনার অবসান ঘটিয়েছিলো। ১৯০০ সাল নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড আইনের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। ২০ শতক জুড়ে প্রধান পরাশক্তি দেশগুলোর মধ্যে ঘন ঘন যুদ্ধের ফলে এই ব্যবস্থার অবনতি ঘটে। শেষ পর্যন্ত ১৯৩১ সালে যুক্তরাজ্য এবং ১৯৭১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড পরিত্যাগ করে।
আরও পড়ুন: মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ কেন জরুরি?
বাংলা টাকার আবির্ভাব
বাংলাদেশের বাংলা টাকার ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। এর উৎপত্তি হয়েছে ১৪ শতাব্দীতে। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, ইউরোপ থেকে এশিয়ার বাণিজ্য পথ বিখ্যাত সিল্ক রোডের লেনদেনকৃত এক প্রসিদ্ধ মুদ্রা ছিল এই টাকা। শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ট্যাঙ্কহ থেকে।
সুলতানি টাঙ্কা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ১৩২৯ সালে দিল্লি সালতানাতের সম্রাট মুহাম্মদ বিন তুঘলকের সময়। চীনের মঙ্গোল এবং পারস্যদের মুদ্রার আদলে তৈরি করা এই টাঙ্কা ব্যবহৃত হতো প্রতিনিধিত্বমূলক মুদ্রা হিসেবে। তামা ও পিতলের তৈরি এই মুদ্রার মূল্য সাম্রাজ্যের কোষাগারে স্বর্ণ ও রৌপ্য মজুদের সঙ্গে বিনিময় করা হতো। তুঘলগ রাজবংশের পতনের অনেক পরেও মুঘল সাম্রাজ্যের শুরুর দিকে কিছু অঞ্চলে প্রচলিত ছিল টাঙ্কা। বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা ১৩৩৮ সালে রৌপ্য টাকার জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করেছিলেন। বাংলার সুলতানদের জন্য এই মুদ্রা ছিল সার্বভৌমত্বের প্রতীক।
১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানি রুপিতে উর্দু এবং বাংলায় দ্বিভাষিক শিলালিপি ছিল এবং একে রুপি ও টাকা উভয় নামেই ডাকা হতো। এটি ছিল বাংলা টাকার প্রথম কাগুজে সংস্করণ। বাংলা ভাষা আন্দোলন পূর্ব পাকিস্তানে টাকার স্বীকৃতি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৭২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে টাকাকে বাংলাদেশের মুদ্রা হিসেবে চালু করে।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখ: বাংলা নববর্ষের উৎপত্তি এবং ইতিহাস
শেষাংশ
টাকা কীভাবে এলো? শুধু এর উত্তরই নয়। টাকার ইতিহাস করচা কালক্রমে টাকার বিস্ময়কর রুপ বদলটাকেও স্পষ্টভাবে উন্মোচিত করেছে। যে রূপ বদল এখনো থেমে নেই। প্রযুক্তির উৎকর্ষে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড যেকোনো লেনদেনকে আগের চেয়ে আরও সহজ করে তুলেছে। একই সঙ্গে বাড়াচ্ছে গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা। মোবাইল অ্যাপগুলোর কারণে ক্যাশ ছাড়াই লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব। এমনকি আগামী প্রজন্মের লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে চলে এসেছে ডিজিটাল মুদ্রা। সুতরাং বর্তমানের কাগজে নোটগুলোকে যাদুঘরে রাখার দিন আর বেশি দূরে নয়।
কক্সবাজারে প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব উদযাপিত
কক্সবাজারে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় কল্প জাহাজ ভাসা উৎসবের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে প্রবারণা পূর্ণিমা। এই উৎসবকে ঘিরে রামুর বাঁকখালী ও সমুদ্রসৈকতে সম্প্রীতির সেতুবন্ধন তৈরি রবিবার শুরু হওয়া উৎসব সোমবার কল্প জাহাজ ভাসানোর মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে।
এদিন বিকালে শহরের বৌদ্ধ মন্দিরস্থ ক্যাংপাড়াবাসী ও বড়বাজার রাখাইন সংঘের উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন কল্প জাহাজ নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: প্রবারণা পূর্ণিমা: পাহাড়ে সম্প্রীতির কল্প জাহাজ ভাসলো
শোভাযাত্রায় রঙ-বেরঙের পোশাক পরিধান করে শতশত রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেয়। এসময় কল্প জাহাজ নিয়ে ঢাক-ডোল ও বাজনা বাজিয়ে নেচে গেয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠে সবাই। এছাড়া জাহাজভাসা উৎসবের ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজনও আনন্দে শামিল হন। এ যেন এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।
জাবির নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আফসার আহমদের ৬৩তম জন্মজয়ন্তী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নাট্যকার আফসার আহমদের ৬৩তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে আয়োজনে এই জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ‘আঁরা রোহিঙ্গা’ বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ বলেন, অধ্যাপক আফসার আহমদের জীবন ও কর্মগুলোকে তুলে ধরার জন্য আমাদের এই আয়োজন। শুধু এখানেই নয়, গ্রামেও তার লেখা নাটক, কবিতা নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। এ সব আয়োজনের মাধ্যমে দিয়ে আমরা দেশীয় সংস্কৃতিকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাই।
আরও পড়ুন: দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে মাগুরায়
অধ্যাপক ড. আফসার আহমদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৫৯ সালে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার উত্তর জামশা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমে তিনি জাবির বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীকালে নাট্যকার ড. সেলিম আল দীনের সঙ্গে জাবিতে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন।
আরও পড়ুন: আজ মহালয়া, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের আমেজ
তিনি একাধারে উক্ত বিভাগের সভাপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন, প্রক্টর, সিনেট-সিন্ডিকেটের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আফসার আহমেদ একাধারে কবি, নাট্যকার, অনুবাদক, গবেষক ও সাহিত্য সমালোচক। তিনি ২০২১ সালের ৯ অক্টোবর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মায়েস্ট্রাস’ কর্মসূচি আয়োজিত
গ্রামীণ পর্যায়ে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গত ৫০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থা ব্র্যাক। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রিসার্চ অ্যান্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’-এ আয়োজিত হয় ‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মায়েস্ট্রাস’ কর্মসূচি।
‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মাইস্ট্রস’ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য ‘লিঙ্গ সমতা’। যেটি জাতিসংঘের বৈশ্বিক উন্নয়ন লক্ষ্যের (সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস) ৫ম লক্ষ্য। বাংলাদেশি নারীদের কার্যকরী কর্মদক্ষতা এবং উন্নয়ন অর্জন আরও একধাপ এগিয়ে নেয়াই ছিল ‘উদ্যোমী আমি' কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য।
নারী উদ্যোক্তারা যেন নিজেদের কর্মদক্ষতার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে নিজের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষমতা অর্জন করতে পারে- এটিও আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: তিন দিনব্যাপী শিশুদের আন্তজার্তিক শিল্প প্রদর্শিনী শুরু
অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তদের ব্যবসায়িক উদ্যোগের ‘পিচিং সেশন’ এবং বিচারকদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে। ৩১ জন উদ্যোক্তার মধ্যে ২৪ জন উত্তীর্ণ হওয়া উদ্যোক্তা এই পিচিং সেশনটিতে নিজেদের উদ্যোগকে উপস্থাপন করার সুযোগ পান উদ্যোক্তারা। প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে বেলা ১১টায় শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ব্র্যাক বিজনেস স্কুল (বিবিএস) এর ডিন অধ্যাপক ড. স্যাঙ হুন লি, প্রফেসর অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজিবুল হক, সেন্টার ফর এন্টারপপ্রেনাশিপ ডেভেলপমেন্ট (সিইডি) এর পরিচালক আফসানা চৌধুরী, ড. রাফিউল আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নাসীমা আক্তার নিশা।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত ৯২ শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিল কাতার চ্যারিটি
সর্বশেষে বিজয়ী উদ্যোক্তা লাবনী আক্তার নিজের আনন্দ প্রকাশ করে বলেন,‘প্রথম সেশনেই আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি যে এখানে নতুন কিছু পেতে যাচ্ছি। যতগুলো ট্রেনিং প্রোগ্রাম আমি করেছি লোকাল ও ইন্টারন্যাশনাল; উদ্যমী আমি কেন যেন বাকিদের থেকে আলাদা লেগেছে।’
মূল অনুষ্ঠান শেষে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আতিফ হক বলেন, ‘উদ্যমী আমি নারীর ক্ষমতায়নের জন্য যে উদ্যোগটি নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। ব্র্যাকের এই উদ্যোগ নারীদের জন্য সময়োপযোগী এবং আমার বিশ্বাস এই অনুষ্ঠান সকল অংশগ্রহণকারীদের জন্য কোনো না কোনোভাবে উন্নতি আনবে।’
বর্ণিল এই আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল সময় টিভি ও ইউএনবি। প্রিন্ট মিডিয়া স্পনসর ছিলো ইত্তেফাক এবং অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে ছিল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বিজনেস ক্লাব (বিজবি)।
আরও পড়ুন: ‘সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ পেলেন বিশ্বজয়ী নাজমুন নাহার
আজ মহালয়া, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের আমেজ
সারাদেশ জুড়ে হিন্দুরা আজ মহালয়া উদযাপন করছে। বিভিন্ন মণ্ডপে পূজা ও ভক্তির মাধ্যমে রবিবার ভোরে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা।
হিন্দু ধর্মমতে, দুর্গাপূজা শুরুর সাত দিন পূর্বে দুর্গা দেবীর আনুষ্ঠানিক প্রার্থনা হিসেবে মহালয়া বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: শিকদারবাড়ির দুর্গোৎসব এ বছরও বড় পরিসরে হচ্ছে না
আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর দিনে দুর্গাপূজা শুরু হবে। এবার দেবী দুর্গা মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে হাতি (গজ) চড়ে পৃথিবীতে (মর্ত্যলোকে) আসবেন।
মহালয়া উপলক্ষে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ভোর ৬টা থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে মাগুরায়
এই দিনটিতে হিন্দুরা মৃত পূর্বপুরুষদের পূজা করে এবং তাদের নামে ব্রাহ্মণদের পোশাক, খাবার ও মিষ্টি উপহার দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
এ বছর সারাদেশে মোট ৩২ হাজার ১৬৮টি পূজামণ্ডপ হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, আসন্ন দুর্গাপূজায় দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পূজা মণ্ডপে স্থায়ীভাবে আনসার সদস্যরা পাহারায় থাকবেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ৪১ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু
তিনি আরও বলেন, আমরা এসব পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পূজামণ্ডপের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী, এটা পুলিশ হতে পারে, হতে পারে আনসার, যেখানে যেটা প্রয়োজন সেখানে সেইভাবে ব্যবস্থা করা হবে।