শিল্প-সংস্কৃতি
কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ফেস্টিভ্যাল আগ্রহী গল্পকারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে
প্রথমবারের মতো কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ফেস্টিভ্যাল (সিডিএসটিএফ) এর প্রথম পর্বে ‘মানুষের দ্বারা মানুষের বাস্তব গল্প’ স্লোগানকে সামনে রেখে পোর্টেবল ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে গল্প বলার শিল্পকে প্রচার ও উদযাপন করতে সারাদেশের সম্ভাব্য গল্পকারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) এর সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগের (জেএমসি) নির্ধারিত একটি ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট হতে উৎসবের প্রথম পর্বটি আগামী বছরের ১০-১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজকদের মতে, আগ্রহী গল্পকাররা এই উৎসবে সাংবাদিকতার গল্প, ছোট গল্প এবং ডকুমেন্টারি সহ বিভিন্ন ধারার গল্প জমা দিতে পারেন। অংশগ্রহণকারীরা তাদের গল্প পাঠাতে পারবেন এবং বিনামূল্যে অংশ নিতে পারবেন উৎসবে।
ডিজিটাল গল্প বলার উৎসবের মাধ্যমে সমাজে পিছিয়ে পড়া আগ্রহী গল্পকাররা বা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এবং মূলধারার মিডিয়ায় যারা গল্প প্রকাশের সুযোগ পান না, তারা তাদের ছোটগল্প তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।
আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে স্মার্টফোনের মাধ্যমে ডিজিটাল গল্প তৈরিতে তরুণদের উৎসাহিত করাই এই উৎসবের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: ইয়ুথ গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে শিল্প-সংস্কৃতির ১৪ প্লাটফর্ম
গল্পকাররা চারটি ভিন্ন বিভাগে তাদের গল্প জমা দিতে পারেন: স্বাধীন বিভাগ, ডিআইইউ সেরা কমিউনিটি ডিজিটাল গল্প বিভাগ, এক মিনিটের বিভাগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগ। বাছাই করা গল্পগুলো উৎসবে প্রদর্শিত হবে এবং সেরা গল্পগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে।
উৎসব সম্পর্কে ডিআইইউ বিভাগের সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান আফতাব হোসেন বলেন, ‘এই উৎসবের প্রধান লক্ষ্য হলো আমাদের নাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং সকল প্রেক্ষাপটের মানুষের গল্প উপস্থাপন করা যাতে আমরা সম্মিলিতভাবে একটি মহান সমাজ গঠনে অবদান রাখতে পারি।’
জেএমসির সহযোগী অধ্যাপক এবং উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা ড. আব্দুল কাবিল খান বলেন, ‘বাংলাদেশে কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরিটেলিং’ ধারণাটি তুলনামূলকভাবে নতুন। আমাদের সম্প্রদায়ের জীবনের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত গল্প সম্বলিত সংক্ষিপ্ত চাক্ষুষ গল্পগুলো ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি করা যেতে পারে। আমরা আশা করি উৎসবের মাধ্যমে অনাবিষ্কৃত গল্পকারদের গল্পগুলোর জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করব।’
উৎসব সংক্রান্ত বিস্তারিত জানা যাবে উৎসবের ফেসবুক পেজে, https://www.facebook.com/CDSTF2023/
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পুষ্টিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন
বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস রবিবার
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার শপথ নিয়ে আগামীকাল ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে জাতি।
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর দমন-পীড়নের পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
ত্রিশ লাখ শহীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও দুই লাখ নারীর সম্মানে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ অর্জিত হয় তার লালিত স্বাধীনতা।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু সব সময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। বর্তমান সরকার তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, দারিদ্র্য বিমোচন, গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। দারিদ্র্য হ্রাসের পাশাপাশি মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্ণফুলী টানেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজও সুষ্ঠুভাবে চলছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ অর্জিত হবে। বাংলাদেশ একটি উন্নত-ধনী-স্মার্ট দেশে পরিণত হবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, “আমাদের ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছি। আমরা একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করেছি। শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা পদ্মা নির্মাণ করেছি। নিজস্ব অর্থায়নে সেতু ও মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছি।এছাড়া জাতির পিতার খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছি। আসুন বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলি। জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, এটাই হোক স্বাধীনতা দিবসে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।”
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বন্দুকের স্যালুট ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে সরকারি ছুটি শুরু হবে।
সূর্যোদয়ের সময় সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সব ভবন ও স্থাপনা আলোকিত করা হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস: মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতীয় দৈনিকগুলো, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি রেডিও স্টেশন ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শিশুদের জন্য সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।
মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সম্মাননা দেয়া হবে। বাংলাদেশ ডাকঘর বিভাগ দিবসটি উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করবে।
এদিকে দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল করবে।
হাসপাতাল, জেল, শিশু নিবাস, বৃদ্ধাশ্রম, ডে কেয়ার সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মানের খাবার বিতরণ করা হবে।
শিশু উদ্যান ও জাদুঘরগুলো সারাদিন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুরূপ কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে অ্যাডভান্সড রিসার্চ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকীতে দেশের গবেষণা ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করল অ্যাডভান্সড রিসার্চ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (এআরএফবি)।
গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই গবেষণা সংস্থার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবে এই অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট গবেষক, চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও এআরএফবির আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।
সেদিন জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে নানা বয়সী শিশুরাও অংশ নেয়। পরে আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে এআরএফবির ১৯ সদস্যের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার
এআরএফবির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) মো. ফসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা পদকে ভূষিত চিকিৎসক এআরএফবির সহ-সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা বেগম, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. জহিরুল হক, এআরএফবির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক-গবেষক ড. জহির বিশ্বাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ওয়াই এম বেলালুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. লতিফুল বারী, দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ নাদিম, কারিতাস বাংলাদেশের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিভাগের প্রধান ড. থিওফিল নকরেক, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লি. এর সাবেক ডিজিএম সেলিনা বানু, চিত্রশিল্পী দেলোয়ার হোসেন, মেটাডোর গ্রুপের কোম্পানি সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন ও সংগীত গবেষক ড. এবিএম রেজাউল রিপন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পদক পাওয়ায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা বেগম, পদোন্নতিতে অতিরিক্ত আইজিপি ওয়াই এম বেলালুর রহমান এবং আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষায় সুযোগ পাওয়ায় আনিকা সুবাহ্ আহমেদকে সন্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।
বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার
দেশে আগামীকাল শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
এ উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটির দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হবে।
বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
কারাগারে থেকে এবং কারাগারের বাইরেও বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যখন ভাষা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়, তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন পালন করছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব বড় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব।
বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ৯মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
বঙ্গবন্ধু যখন সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন পরাজিত ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র তাকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে।
দিবসটি পালনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সকাল ৭টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এ সময় তিনি গার্ড অব অনার প্রদান করবেন এবং দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার পালিত হবে বঙ্গবন্ধুর ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’
সারাদেশে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় মঙ্গলবার দেশজুড়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হচ্ছে।
২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেসকো) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রের সামনে যে যুগান্তকারী ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন।
লক্ষাধিক স্বাধীনতাকামী জনতার সামনে বঙ্গবন্ধু তার ১৯ মিনিটের অসামান্য ভাষণে শোষক পাকিস্তান সরকারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিশাল জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ মঙ্গলবার
তার এই ভাষণকে প্রায়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ঐতিহাসিক গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, যেহেতু আমরা রক্ত দিতে শিখেছি, আমরা আরও রক্ত দেব। ইনশাআল্লাহ, এদেশের মানুষকে মুক্ত করেই ছাড়ব…ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলব। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে (শত্রু) মোকাবিলা কর।
সেদিন বঙ্গবন্ধুর দেয়া সেই ভাষণ জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করেছিল, যা সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও স্টেশন ও জাতীয় দৈনিকগুলোতে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মরণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা ২০২০ সালের ৭ই অক্টোবর ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’-এর পরিবর্তে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু আমাদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। একটি ভাষণ কীভাবে সমগ্র জাতিকে জাগিয়ে তুলতে পারে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি আজ বাঙালি জাতির জন্য সম্মান ও গৌরবের স্মারক। আমি বিশ্বাস করি 'জয় বাংলা' স্লোগান এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে অনুপ্রাণিত করবে।
আরও পড়ুন: সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা ৭ মার্চের ভাষণে শতাধিক ভুল: তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে
ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রাজধানীতে পুষ্টিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন
বাংলাদেশের মা, কিশোর ও শিশুদের পুষ্টির অবস্থার উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে পুষ্টি শাসন এবং অপুষ্টির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা প্রকল্প। এই প্রকল্পকে দৃশ্যমানভাবে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড আয়োজিত একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
রাজধানীর কলা কেন্দ্রে ‘পুষ্টি চিত্র: সমন্বিত অংশগ্রহণেই পরিবর্তন’ শীর্ষক এই প্রদর্শনী শুরু হয় ২ মার্চ। যা চলবে ৬ মার্চ পর্যন্ত। প্রদর্শিত হবে প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
প্রদর্শনীতে উপকূলীয় বাংলাদেশের বাগেরহাটের কমিউনিটির পরিবর্তনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। ছবিগুলো স্থানীয় জনগণের অভিজ্ঞতাকে প্রতিফলিত করে যারা তাদের পুষ্টি এবং খাদ্য সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। শ্রোতারা তাদের পরিবর্তনের যাত্রা সম্পর্কে জানতে এবং তাদের নিজস্ব খাদ্য পছন্দ ও সম্পর্কিত আচরণের জন্য অনুপ্রেরণা পেতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'প্রত্যাশা: অভিবাসীদের আশা' শুরু মঙ্গলবার
ছবি ও গল্পগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনের প্রভাব উপস্থাপন করে ও স্থানীয় পুষ্টি প্রকল্পের প্রভাবকে তুলে ধরে এবং প্রাসঙ্গিক অভিনেতাদের সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে নীতি রক্ষণাবেক্ষণে অবদান রাখে।
রাজধানীতে পুষ্টিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
কবি সম্পদ বড়ুয়ার কাব্যগ্রন্থ ‘মৌনতার কোলাহল’ প্রকাশ
রোমান্টিক কবি সম্পদ বড়ুয়ার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মৌনতার কোলাহল' । জীবনের সকল অভিজ্ঞতা কবি পরম মমতায় নিজের ঝুলিতে তুলে নিয়ে নাটাই সুতোর মতো একটু একটু করে ছেড়ে দেন কল্পনার সীমাহীন আকাশে যেখানে ডানা মেলে উড়ছে কবিতার বাঁধনছেড়া ঘুড়ি। উপমা-উৎপ্রেক্ষা, অনুপ্রাস আর শব্দের দ্যোতনায় এ কাব্যগ্রন্থে ফুটে উঠেছে কবিতার শত শত ফুল ।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়ার কবিতার বই 'মৌনতার কোলাহল' প্রকাশিত হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি । বইটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনী সংস্থা অন্যপ্রকাশ। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
বইটিতে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, প্রেম বিরহ, করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৭০টি কবিতা রয়েছে।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বইটির লেখক সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, অন্যপ্রকাশ এর প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম এবং পরিচালক আব্দুল্লাহ নাসের উপস্থিত ছিলেন।
সম্পদ বড়ুয়া কবি, অনুবাদক, গল্পকার। জন্ম চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার হাইদচকিয়া গ্রামে। পেশায় সরকারি কর্মজীবী। বর্তমানে সরকারের সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন । চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকারের বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক ফিন্যান্সে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন । কলেজজীবনে ছড়া, গল্প, কবিতা লেখার মাধ্যমে লেখালেখি শুরু। সেই সময় থেকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তার প্রচুর ছড়া, গল্প, কবিতা, অনুবাদকর্ম । মূলত কবিতাই তার প্রধান আরাধ্য।
প্রকাশিত গ্রন্থ : আলবার্তো মোরাভিয়ার গল্প (জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ, ২০০৩), বার্ট্রান্ড রাসেল-আত্মকথা-১ম খণ্ড (সাহিত্যিকা, ২০০৪) আফ্রিকার প্রাণীদের গল্প (বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, ২০১৫, পুনর্মুদ্রণ ২০২২), গল্প দেশে দেশে (হাক্কানী পাবলিশার্স, ২০১৫), কত দেশ কত গল্প (বেঙ্গল পাবলিশার্স, ২০১৮), কাজুও ইশিগুরোর গল্প (অন্যপ্রকাশ, ২০২০)।
নতুন ৩০টি বই প্রকাশ করল স্পর্শ ব্রেইল ফাউন্ডেশন
‘মানুষ দৃষ্টিহীন বলেই অন্ধ নয়, মানুষ মূলত প্রজ্ঞাহীন বলেই অন্ধ’-এই স্লোগানে ১৫ বছর আগে স্পর্শ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়। আর প্রায় এক যুগ ধরে একুশে বইমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এই ফাউন্ডেশনের স্টল রয়েছে। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে দৃষ্টিজয়ীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের গল্প ও উপন্যাসের বই।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্পর্শ ব্রেইল ফাউন্ডেশন থেকে নতুন ৩০টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের তথ্যকেন্দ্রের সামনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, লেখক ও অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম, লেখক ফরিদ আহমেদ দুলাল, সিসিমপুরের মহাব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম, স্পর্শ ফাউন্ডেশনের প্রধান উদ্যোক্তা নাজিয়া জেবিন।
এছাড়া এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন বয়স ও পেশার দৃষ্টিহীন মানুষ। আনুষ্ঠানিকভাবে বিকালে তাদের হাতে বই তুলে দিয়েছে স্পর্শ ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: ৫০টি ভাষায় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের বই প্রকাশ করল বেলারুশ
পবিত্র শবে মেরাজ আজ
যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে দেশে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে।
সারা পৃথিবীর মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানরা পরম করুণাময় আল্লাহর রহমত কামনা করেন এবং সারাদেশের মসজিদ ও বাড়িতে বাড়িতে প্রার্থনা করবেন।
নবী মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে দিনের সম্মানে প্রতি বছর ২৬ রজব রাতে মুসলমানরা শবে মেরাজ উদযাপন করেন।
ইসলাম ধর্ম অনুসারে, ‘বুরাক’ নামক এক বিশেষ বাহনে করে মহানবী (সা.) মসজিদ আল-হারাম থেকে মসজিদ আল-আকসায় ভ্রমণ করেন। সেখান থেকে তিনি বেহেশত ও দোযখ পরিদর্শন করেন। সে রাতে আল্লাহ নবীকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: পবিত্র শবে মেরাজ ১৮ ফেব্রুয়ারি
পবিত্র শবে কদর পালিত
সারাদেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে কদর
ইয়ুথ গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে শিল্প-সংস্কৃতির ১৪ প্লাটফর্ম
শিল্প-সংস্কৃতির ১৪ প্লাটফর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশের অন্যতম বড় যুব সংগঠন ইয়ুথ গ্লোবাল ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মাদানি এভিনিউ সংলগ্ন ‘ইচ্ছে বাড়ি’তে শিল্পী-কলাকুশলীদের নিয়ে আয়োজিত ‘আসুন আলাপ করিয়ে দেই’ শিরোনামে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন ইয়ুথ গ্লোবালের চেয়ারম্যান ড. সীমা হামিদ।
গুরুকুল অনলাইন লার্নিং নেটওয়ার্কের তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠা শিল্প-সংস্কৃতিবিষয়ক ১৪টি প্লাটফর্ম হচ্ছে- সেতার গুরুকুল, বেহালা গুরুকুল, বাঁশি গুরুকুল, আমার রবীন্দ্রনাথ, আমার নজরুল, অভিনয় গুরুকুল, চলচ্চিত্র গুরুকুল, ফাইন আর্টস গুরুকুল, বাচিকশিল্প গুরুকুল, নৃত্য গুরুকুল, তবলা গুরুকুল, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গুরুকুল, লোকগান গুরুকুল, সঙ্গীত গুরুকুল।
প্লাটফর্মগুলো বর্তমানে শিল্প-সংস্কৃতির ১৪টি বিশেষায়িত শাখা নিয়ে কাজ করছে।
আয়োজকরা জানান, ইয়ুথ গ্লোবাল ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিটি প্লাটফরম থেকে বছরে একজন শিক্ষার্থী বা গবেষককে এগিয়ে দিতে বৃত্তি দেয়া হবে। এছাড়া ইয়ুথ গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতি বছর ওই ১৪টি প্লাটফর্ম থেকে প্রতিটি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হবে।
ড. সীমা হামিদ জানান, এই প্লাটফর্মগুলো জন্য তার ফাউন্ডেশন এক্সেলেটর হিসেবে কাজ করবে। এগুলো এতদিন এসব বিষয়ের শিক্ষা নিয়ে কাজ করছিল। তার ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় শিক্ষার পাশাপাশি তারা শিল্পগুলোর ভিত্তি মজবুত করা ও সম্প্রসারণের কাজ করবে।
তিনি বলেন, ‘এসব প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে যারা যথাযথ মেধা ও আগ্রহের পরিচয় দিতে পারবেন, তাদের মধ্য থেকে একজনকে প্রতি বছর আমরা স্কলারশিপের আওতায় নিয়ে আসব। অর্থাৎ মোট ১৪টি স্কলারশিপ আমরা দেব। স্কলারশিপ হতে পারে দেশে-বিদেশে অধিকতর তালিমের জন্য, হতে পারে নিবেদিত হয়ে রেয়াজ করার জন্য। আবার ওই বিষয়ে গবেষণার জন্যও হতে পারে।’
ড. সীমা হামিদ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, গুণী মানুষদের সম্মান জানানোর মাধ্যমে আরও গুণী মানুষ তৈরিতে উৎসাহ দেয়া যায়। ফলে আমরা তাদের সম্মাননাও দেব।’