���������������-������������������������
রাঙ্গামাটিতে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপিত
দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে রাঙ্গামাটির বৌদ্ধ বিহার ও শাখা বন বিহারগুলোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শনিবার (২৮ অক্টোবর) উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা।
বৌদ্ধ ধর্মীয় ভিক্ষুরা তিন মাসের বর্ষাবাসের শেষ দিনটিতে প্রবারণা পূর্ণিমা হিসেবে উদযাপন করে।
প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের অনুষ্ঠান। এরপর থেকে দীর্ঘ একমাস ধরে আয়োজন চলে প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দান উৎসবের।
প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সকালে রাঙ্গামাটির বৃহত্তর রাজবন বিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বিভিন্ন দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রবারণা পুর্ণিমায় রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে পূর্ণার্থীর ঢল নামে।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভোরে রাঙ্গামাটির রাজ বন বিহার প্রাঙ্গণে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের পিণ্ডদান ও প্রাতঃরাশ, মঙ্গল সূত্র পাঠ, বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশিল প্রার্থনা, মহাসংঘ দান, প্রদীপ পূজা, হাজার বাতি দান, ফানুস দানসহ বিভিন্ন দান অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে প্রবারণা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমায় রাজনৈতিক কর্মসূচিমুক্ত রাখার দাবি বৌদ্ধ সমাজের
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে স্বধর্ম প্রাণ দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন, রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও শ্রদ্ধেয় ভন্তের প্রধান শিষ্য প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।
এ সময় হাজার হাজার পূর্ণার্থী সাধু সাধু ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার প্রাঙ্গণ।
রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ানের সভাপতিত্বে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমাসহ অন্য নেতারা।
সন্ধ্যায় হাজার বাতি প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উত্তোলনের মধ্যদিয়ে প্রবারণা পূর্ণিমা শেষ হবে।
উল্লেখ্য, আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব পালন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে দিনটি পালন করে আসছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব উদযাপিত
প্রবারণা পূর্ণিমা: পাহাড়ে সম্প্রীতির কল্প জাহাজ ভাসলো
খাতা থেকে বাড়ির দেয়াল সবখানেই আঁকাআঁকি করতাম: কনক চাঁপা চাকমা
চলতি বছর শিল্পকলায় অবদানের জন্য একুশে পদক পেয়েছেন চিত্রশিল্পী কনক চাঁপা চাকমা। পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষে সম্প্রতি গ্যালারি কসমসের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। তার আঁকা কয়েকটি চিত্রকর্ম নিয়ে একটি প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয় গ্যালারি কসমসে। সেখানে ইউএনবিকে সাক্ষাৎকার দেন এই শিল্পী।
সাক্ষাৎকারটি ইউএনবির পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
ইউএনবি: এর আগে দেশে-বিদেশে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু এবার মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় একুশে পদক পেয়েছেন। এই অনুভূতি কেমন?
কনক চাঁপা চাকমা: এটা বিশাল একটা ব্যাপার। এটার জন্য আমার সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে দায়িত্ব আছে তা আরও বেড়ে গেছে।
ইউএনবি: কাপড়ে মায়ের করা নকশা দেখেই উদ্বুদ্ধ হওয়া। কিন্তু বুনন শিল্পে না গিয়ে রঙ-তুলি বেছে নেওয়ার পেছনে কি কোনো বিশেষ কারণ ছিল?
কনক চাঁপা চাকমা: মাকে দেখেছি ভেজিটেবল ডাই করতে। হলুদ, খয়ের, গাছের বাকল, গাছের পাতা থেকে রং করতেন। এগুলো আমার চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। হয়তো ছোটবেলায় আমার মনের মধ্যে প্রথিত হয়েছিল এসব রং, ভালোবাসা, অনুপ্রেরণা। সেই ভালো লাগার বহিপ্রকাশ দরকার। তারপর আমি ছবি আঁকা শুরু করলাম। হোম ওয়ার্কের খাতা থেকে বাড়ির দেয়াল সবখানেই আঁকাআঁকি করতাম। স্কুল জীবন শেষে বুঝতে পারলাম ভালোলাগা, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার এটায় জায়গা। এরপর আমি বাবা-মাকে বলি আমি শিল্পী হব। এভাবেই পথ চলা শুরু।
আরও পড়ুন: একুশে পদক ২০২৩ বিজয়ী কনক চাঁপাকে গ্যালারি কসমসের সংবর্ধনা
একুশে পদক ২০২৩ বিজয়ী কনক চাঁপাকে গ্যালারি কসমসের সংবর্ধনা
২০২৩ সালের একুশে পদক বিজয়ী ও বিশিষ্ট শিল্পী কনক চাঁপা চাকমাকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে বাংলাদেশের শিল্প ও শিল্পীদের সমর্থনকারী প্ল্যাটফর্ম গ্যালারি কসমস।
ঢাকার বারিধারার গার্ডেন গ্যালারিতে গ্যালারি কসমস আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গ্যালারি কসমসের পরিচালক তেহমিনা এনায়েতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পপতি ও শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক অঞ্জন চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী-শিক্ষাবিদ জামাল উদ্দিন আহমেদ, কসমস ফাউন্ডেশনের পরিচালক দিলশাদ রহমানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গামাটির দুর্গম পার্বত্য এলাকা তবলছড়িতে জন্ম নেওয়া কনক চাঁপা ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে মাস্টার্স অব ফাইন আর্টস ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন, যেখানে তিনি মিড-আমেরিকা আর্টস অ্যালায়েন্স ফেলোশিপ লাভ করেন।
আরও পড়ুন: এসএম সুলতানের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকলায় আয়োজন
ডিগ্রী শেষ করে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন, তার শৈল্পিক যাত্রা অব্যাহত রাখেন এবং দেশের সমসাময়িক শিল্পপটের অন্যতম সফল শিল্পী হয়ে ওঠেন।
অনুষ্ঠানে গ্যালারি কসমসের পরিচালক তেহমিনা এনায়েত বলেন, ‘শিল্প আমাদের আবেগ, চিন্তাভাবনা, অনুপ্রেরণা ও আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ। শিল্পের এই দর্শনগুলো কনক চাঁপা চাকমার কাজের মাধ্যমে আরও জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে ওঠে, যিনি আমার বোনের মতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘কনক চাঁপাকে আজ বাংলাদেশের অন্যতম বিশিষ্ট শিল্পী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তার শিল্প বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তার অনেক চিত্রকর্ম চাকমা সম্প্রদায়ের প্রাণবন্ত জীবনকে প্রতিফলিত করে।’
তেহমিনা বলেন, ‘আধা-বাস্তববাদী এবং বিমূর্ত শৈল্পিক শৈলীর সংমিশ্রণে, কনক তার সম্প্রদায়ের জীবনকে চিত্রিত করেছেন, বিশেষত নারীদের; এবং অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার জয়ের মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন- একজন শিল্পী এখনো একই সময়ে সামাজিকভাবে সচেতন ও ব্যাপকভাবে সফল হতে পারেন।’
আরও পড়ুন: শরৎ নাচে শুভ্র কাশে
কাল থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী লালন সাঁই’র তিরোধান উৎসব সাধুর হাট
বাউল সম্রাট মরমী সাধক লালন শাহের ১৩৩ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) থেকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় লালনের আখড়া বাড়িতে তিন দিনের সাধুর হাট বসছে। অর্থাৎ, শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা ও লালন মেলা।
এ উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় সাঁইজির আখড়াবাড়ি বাউল-সাধু আর ভক্তদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও লালন একাডেমির আয়োজনে ১৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হয়ে একটানা ১৯ অক্টোবর (বৃহম্পতিবার) পর্যন্ত তিরোধান অনুষ্ঠান চলবে।
‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’- এই অমর বাণীকে ধারণ করে সত্য সু-পথের সন্ধানে মানবতার দিক্ষা নিতে ইতোমধ্যেই আত্মার টানে দেশ-বিদেশের হাজারো সাধুগুরু ও ভক্ত দলে দলে এসে আসন পেতে বসেছেন লালন সাঁইজির আখড়ায়। মূল উৎসব শুরু হওয়ার সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই আখড়ায় আসা বাউল সাধকরা মাজারের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে গেয়ে চলেছেন সাঁইজির আধ্যাত্মিক মর্মবাণী ও ভেদ তথ্যের গান। সাধু-ভক্তদের পদচারণায় জমজমাট এখন লালন শাহের আখড়া বাড়ি। কুষ্টিয়া পরিণত হয়েছে উৎসবের শহরে।
আখড়া বাড়িতে মঞ্চ ও লালন মেলার স্টল নির্মাণ ও মাজার ধোয়া মোছার কাজ শেষ করা হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগে।
এদিকে, সোমবার বেলা ১২ টায় লালন একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি এহেতেশাম রেজা।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই সকল অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে লালন একাডেমি। এ ছাড়া এই উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এ আয়োজনকে ঘিরে ছেঁউড়িয়ায় মরা কালিগঙ্গা নদী তীরের লালন আখড়া বাড়িতে এখন সাজ-সাজ রব। আখড়াবাড়িতে রং করা, ধোয়া-মোছা এবং ভরাটকৃত কালী নদীর বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে আলোচনা সভা ও সংগীতের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে মঞ্চ। দেশের প্রতন্ত অঞ্চল থেকে আসা দোকানিরা হরেক রকমের পণ্য নিয়ে মেলার পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
গত বছরের তুলনায় এবার আগে থেকেই সাধু-গুরুদের ভিড় বেড়েছে। লালন একাডেমির নির্ধারিত স্থানে তারা ছোট দলে ভাগ হয়ে দরদ ভরা গলায় গেয়ে চলেছেন লালনের গান। আবার কেউ বা মেতে উঠেছেন গুরুবাদি বাউল ধর্মের নিগূঢ় তত্ত্ব কথার আলোচনায়। এসেছেন দেশ বিদেশের নানা বয়সী দর্শনার্থীরাও।
আরও পড়ুন: কাল থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী লালন সাঁই’র তিরোধান উৎসব
নওগাঁয় শাস্ত্রীয় ও আদিবাসী নৃত্য উৎসব
নাচের শুদ্ধ সংস্কৃতি ও শ্রদ্ধাচার চর্চায় নওগাঁয় অনুষ্ঠিত হয়েছে শাস্ত্রীয় ও আদিবাসী নৃত্য উৎসব।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাতে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে স্থানীয় নৃত্য সংগঠন ত্রিতালের আয়োজনে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন নওগাঁ, বগুড়া ও ঢাকার নৃত্য শিল্পীরা।
এ সময় শাস্ত্রীয় ও আদিবাসী আঙ্গিকের নৃত্যের তালে তালে মুখরিত হয়ে ওঠে অডিটোরিয়াম। দর্শনার্থীরা আনন্দ-উল্লাসের সঙ্গে বর্ণিল এই নৃত্য উৎসব উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে নওগাঁর সাংস্কৃতিক সংগঠন ত্রিশূলের পরিবেশনায় আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য দর্শকদের আরও বেশি আনন্দ দেয়।
এর আগে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানো ছাড়া বাংলাদেশ থেকে মৌলবাদ ঠেকানো যাবে না। কারণ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড মানুষকে উদার করে তোলে। আর যারা সংস্কৃতি চর্চা করে না তাদের মধ্যে সংকীর্ণতা কাজ করে।
আরও পড়ুন: নওগাঁর সাপাহারে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা
তিনি আরও বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত না থাকার কারণে যুব সম্প্রদায় মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় বেশি বেশি সংস্কৃতি চর্চা করা।
প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় সাংস্কৃতিক দলগুলোর সারাদেশে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
নওগাঁ ড্যাফোডিলস জুনিয়র হাইস্কুলের অধ্যক্ষ মাহবুব আলম ছানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফৌজিয়া হাবিব খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম রবীন শীষ, জেলা কালচারাল অফিসার তাইফুর রহমান, স্থানীয় সামাজিক সংগঠন একুশে পরিষদের সভাপতি ডিএম আব্দুল বারী, দেশবরেণ্য নৃত্য সংগঠক হাসিব পান্না, নওগাঁর সাংস্কৃতিক সংগঠন ত্রিশূলের প্রতিষ্ঠাতা তৃণা মজুমদার, কেয়া আরহাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়লা আরজুমান ও নওগাঁ জেলার মানবাধিকারের সাধারণ সম্পাদক রোটোরিয়ান চন্দন দেব।
আরও পড়ুন: শুটিংয়ে ফিরলেন পরীমণি
নওগাঁর সাপাহারে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা
নওগাঁর সাপাহারের জবই বিলে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) নৌকাবাইচ দেখতে বিলের দুই পাড়ে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। থেমে থেমে হর্ষধ্বনিতে মুখরিত নদীপারের চারপাশ।
বইঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দ আর মাঝি-মাল্লাদের কণ্ঠে কোরাস শোনা যায় ‘হেইও রে, হেইও’।
আর এভাবেই একেকটি নৌকা ছুটে চললে হর্ষধ্বনি দিয়ে দলগুলোকে উৎসাহিত করতে থাকেন দর্শকরা। এ সময় পুরো এলাকা মুখর হয়ে ওঠে।
এভাবেই বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকালে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবই বিলে হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।
স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন এই নৌকা বাইচের আয়োজন করেন। এতে অংশ নেন নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আশেপাশের ছোট-বড় মিলে প্রায় ৮টি নৌকা।
আরও পড়ুন: ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ দেখতে মধুমতির পাড়ে হাজারো মানুষের ঢল
শরৎ নাচে শুভ্র কাশে
অবগুণ্ঠন খুলেছে মাসখানেক আগে। এখন পুরোনো হওয়া গ্রামীণ বধূর মতোই মাথার আঁচল লুটোপুটি খাচ্ছে ধরিত্রির বুকে। খোঁপা থেকে যেমন করে বাসি ফুল ঝরে যায়, তেমনি শীষ থেকে ঝরতে শুরু করেছে শরৎকন্যা কাশের তুলো।
একদিকে শরতের বিদায়ী ঘণ্টা অন্যদিকে কার্তিকের আগমনী ঘণ্টা। তবে বাঙালির আনন্দঘণ্টা বাজে বছরজুড়েই। পার্বণের সংখ্যা এখন আর হাতে গুণে বলা যায় না ১৩টি। প্রকৃতির পরতে পরতে রয়েছে পার্বণের ঘণঘটা।
তেমনই কাশফুল ফুটলেই এক উৎসবে মেতে উঠে বাঙালি। রাজধানীর আফতাবনগরে গিয়ে দেখা গেল সেই উৎসবের ছটা।
অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া অর্পা ও কলেজ পড়ুয়া সামিয়া নতুন শাড়ি-গয়না কিনেছে কাশবন ভ্রমণ উপলক্ষে। সেজেগুজে কাশবনের বিভিন্ন স্থানে তাদের ছবি তুলতে দেখা গেল।
অর্পা জানায়, কাশফুল ফোটা মানেই একটি উৎসব। পাল্টে যায় প্রকৃতির রূপ। প্রকৃতির কাছে যেতে ভালো লাগে, মনটা ভালো হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: এ বছর সারাদেশে ৫০ লাখ চারা বিতরণ করবে ‘বনায়ন’
এসএম সুলতানের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকলায় আয়োজন
বিশ্ববরেণ্য শিল্পী এসএম সুলতানের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর)।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সোমবার (৯ অক্টোবর) ও মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) চিত্রকর্ম প্রদর্শনী, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবনে এসএম সুলতানের প্রতিকৃতির অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধন করা হবে সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকাল ৪টায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
আরও পড়ুন: তুর্কি দূতাবাস-গ্যালারি কসমস আয়োজিত 'স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন’
শিল্পী এসএম সুলতানের চিত্রকর্ম ও শিশুস্বর্গের শিশুদের আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে প্রদর্শনী শুরু হবে বিকাল সোয়া ৪টায় এবং বিকাল সাড়ে ৪টায় শুরু হবে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আয়োজনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে শিল্পী এসএম সুলতানের জন্মস্থান নড়াইলে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৯টা এসএম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালায় নড়াইলের স্থানীয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আর্টক্যাম্পের আয়োজন করা হবে এবং সকাল ১০টায় শিশুস্বর্গের শিশুদের লেখা চিঠি প্রদর্শনী ও পাপেট শো প্রদর্শনী হবে।
বিকাল ৩টায় নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তথ্যচিত্র ‘আদম সুরত’ প্রদর্শিত হবে। বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে পালাগানের আসর।
আরও পড়ুন: শুটিংয়ে ফিরলেন পরীমণি
তুর্কি দূতাবাস-গ্যালারি কসমস আয়োজিত 'স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন’
বাংলাদেশের স্বনামধন্য কয়েকজন শিল্পীর শিল্পকর্ম নিয়ে 'স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন'-শীর্ষক এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে যৌথভাবে গ্যালারি কসমস ও ঢাকায় অবস্থিত তুর্কি দূতাবাস।
শনিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর বারিধারা কূটনৈতিক অঞ্চলে তুর্কি দূতাবাসে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
আটজন বাংলাদেশি শিল্পী এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। সেখানে আটজন শিল্পীর প্রত্যেকের বিভিন্ন মাধ্যমে তৈরি তিনটি অনন্য কাজ প্রদর্শন করা হয়েছে। শিল্পীরা হলেন- আবদুস শাকুর শাহ, কনক চাঁপা চাকমা, মোহাম্মদ ইকবাল, আনিসুজ্জামান আনিস, অনুকূল মজুমদার, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, আজমীর হোসেন ও সৌরভ চৌধুরী।
প্রদর্শনীতে এই শিল্পীদের মোট ২৪টি শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছে।
দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনসহ দেশ-বিদেশের শিল্প অনুরাগী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন কসমস ফাউন্ডেশনের পরিচালক দিলশাদ রহমান।
এই উদ্যোগের প্রশংসা করে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বলেন, ‘গ্যালারি কসমস আয়োজিত ‘স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন’- শিল্প প্রদর্শনীতে আমি আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাতে চাই। এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা আমাদের জন্য আনন্দের। কসমস গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাসুদ খান এবং কসমস ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর মিসেস দিলশাদ রহমানকে ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের সহযোগিতার প্রস্তাবের জন্য।’
আরও পড়ুন: গ্যালারি কসমসে শুরু হলো আর্টক্যাম্প ‘স্প্লেন্ডার্স অব বাংলাদেশ’
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী
বাংলাদেশের আকাশে আজ কোথাও পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে। সে হিসেবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
আরও পড়ুন: আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী
সভায় জানানো হয়, আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা পাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায় নি। ফলে আগামীকাল শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পবিত্র সফর মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. বশিরুল আলম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক মহা. আসাদুর রহমান, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি ২০ অক্টোবর
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বঙ্গভবনে মিলাদ মাহফিল