ঢাকা
রাজধানীতে গায়ে আগুন দিয়ে রিকশাচালকের আত্মহত্যা!
পারিবারিক কলহের জের ধরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী রিকশাচালক শ্যামল চন্দ্র বর্মন (৩৩) মারা গেছেন। রবিবার ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত শ্যামল চন্দ্র বর্মন রাজধানীর হাজারীবাগ থানার বউ বাজার এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: গলায় ফাঁস দিয়ে চাঁদপুরে শিশুর আত্মহত্যা!
থানার উপ-পরিদর্শক শেখ সজীব জানান, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বাড়িতে তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর শ্যামল তার শরীরে আগুন দেয় এবং গুরুতর আহত হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু শেখ জানান, তাকে দ্রুত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে তার মৃত্যু হয়।তিনি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উলিপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
পাউরুটির সঙ্গে শিশুপুত্রকে বিষ খাইয়ে মায়ের আত্মহত্যা!
মিরপুরে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সেলাই মেশিন দিলো পাথওয়ে
ট্রান্সজেন্ডারদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ১০টি সেলাই মেশিন বিতরণ করেছে বেসরকারি সংস্থা পাথওয়ে।শনিবার বিকালে রাজধানীর মিরপুরে পাথওয়ের প্রধান কার্যালয়ে ১০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মধ্যে ১০টি মেশিন বিতরণ করে সংগঠনটি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদের নির্বাহী সম্পাদক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ পরিষদের উপ-পরিচালক ভবেন্দ্র নাথ বাড়ই ও নোয়াখালী সাংবাদিক ফোরাম-এনজেএফ ঢাকার সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার এস এম ফয়েজ।
অনুষ্ঠানে বক্তৃব্যে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন জীবন যাপনের জন্য চাঁদাবাজি নয়, স্থায়ী কর্মসংস্থান প্রয়োজন। তাদের মূলধারায় আনতে সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় তারা জীবিকা নির্বাহের জন্য চাঁদাবাজি বা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছে। পাথওয়ে তৃতীয় লিঙ্গকে অপরাধ থেকে কর্মসংস্থানে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে।’ তিনি পাথওয়েকে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশ্বাস দেন।
জসিম উদ্দিন বলেন, পৃথক লিঙ্গ পরিচয়ের কারণে হিজড়ারা মূলধারার জনগোষ্ঠী থেকে আলাদা জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। তারা পরিবারের একটি সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা নিজেদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তাছাড়া পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া ছাড়াও পারিবারিক সম্পত্তিতে তাদের কোনো অংশ দেয়া হয় না।
পাথওয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহিন বলেন, ‘তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের মানুষ সমাজের সকল ক্ষেত্রে সর্বদা অবজ্ঞা ও অবহেলা এবং বিভিন্ন রকমের অপমানের শিকার হয়। তারা খুবই অসহায়। তাই তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে সবসময় তাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, তারা আমাদের সন্তানের মতো। তাই তাদের দূরে ঠেলে না দিয়ে আমাদের অন্য শিশুদের মতো বড় করা উচিত। তাদের কর্মক্ষেত্রে সুযোগ দিতে হবে। তবেই একদিন এই অবহেলিত গোষ্ঠী ধীরে ধীরে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসবে। জৈবিক চাহিদার বাইরে, ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের সব ধরনের ক্ষমতা আছে। কিন্তু তারা কেন পিছিয়ে?, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘মিরপুরে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের জীবনযাপন দেখে আমার খুব খারাপ লাগছে। আমি যখন তাদের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করি, তারা তাদের জীবনের অজানা গল্পগুলো আমার সঙ্গে শেয়ার করতে চায় না।তারা বলছে এভাবে আর বাঁচতে চান না? নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান তারা। এমনি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা। তাই তাদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে পাথওয়ে বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের একজন সদস্য তাদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা তুলে ধরেন।
মামলার চাপ কমাতে এডিআর পদ্ধতির প্রয়োগ বাড়াতে হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিভিন্ন কারণে দেশের প্রচলিত আদালতগুলোতে মামলাজট তৈরি হয়েছে। এসব আদালতে মামলার চাপ কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির প্রয়োগ বাড়াতে হবে এবং দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে এ সেবা প্রদান করতে হবে।
শনিবার রাজধানীর লা মেরিডিয়েন হোটেলে ‘ডিসকাশন অন মিটিং দ্যা নিডস অভ জাস্টিস সিকারস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে জনগণকে ব্যাপকভাবে সচেতন করতে হবে। এডিআর পদ্ধতির সফল প্রয়োগ আনুষ্ঠানিক মামলার বোঝা কমিয়ে সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষার ক্ষেত্রেও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম লক্ষ্য ছিল শোষণমুক্ত সমাজ এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। তিনি ১৯৭২ সালে জাতিকে যে সংবিধান উপহার দেন তাতে জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ বা ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য সমান অধিকার, ন্যায়বিচারের প্রবেশাধিকার এবং মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। তাই বাংলাদেশ সরকার সকল নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সাংবিধানিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: আইন বলে দিবে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না: আইনমন্ত্রী
এছাড়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সকল মানুষের জন্য সময়োপযোগী এবং মানসম্পন্ন বিচার সেবা প্রদানে বিচার বিভাগকে সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে। পাশাপাশি আইনগত সহায়তা প্রদান আইন এবং প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে আইনগত সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে।
আনিসুল হক বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ও জনগণের ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার অক্ষুণ্ণ রাখতে সরকার সর্বতভাবে চেষ্টা করেছে। সেসময় জনগণের ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে সরকার সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকেই প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় দ্রুততম সময়ে আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করা হয় এবং পরবর্তীতে তা আইনে পরিণত করা হয়। এই আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থার প্রবর্তন হয় এবং এর মাধ্যমে জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার চালু রাখা সম্ভব হয়।
ভরা করোনার সময় কারাগারে অতিরিক্ত ভিড় কমাতে এই আদালত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভার্চুয়াল আদালত প্রবর্তন বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তাছাড়া লকডাউনের সময় অনলাইনে ২৪ ঘন্টা সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছিল৷ লিগ্যাল এইড অফিসগুলোর হটলাইন খোলা রাখা হয়েছিল।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় ইউএসএআইডির প্রমোটিং পিস অ্যান্ড জাস্টিস (পিপিজে) অ্যাকটিভিটির উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় ২০টি জেলার জেলা ও দায়রা জজ এবং লিগ্যাল এইড অফিসাররা অংশগ্রহণ করেন। সভার মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রম আরও জোরদারকরণে নিজ নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে মতামত তুলে ধরেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে সভায় ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন পরিচালক ক্যাথরিন ডি. স্টিভেনস, ইউএসএআইডি প্রমোটিং পিস অ্যান্ড জাস্টিসের চিফ অব পার্টি হেদার গোল্ডস্মিথ, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. শেখ গোলাম মাহবুব প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
খেলাপি ঋণ এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায় সরকার: আইনমন্ত্রী
অতি উৎসাহী পুলিশ ও আ.লীগ ‘ক্যাডারদের’ তালিকা করতে বললেন বিএনপি নেতা খসরু
বিএনপি’র সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী তার দলের নেতাকর্মীদের বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারী এবং কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টিকারী ‘অতিউৎসাহী’ পুলিশ সদস্য ও ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডারদের’ তালিকা তৈরি করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, পুলিশ সদস্যরা বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরি করছে। আমি আমাদের নেতাকর্মীদের বলতে চাই যে গতকাল (বুধবার) আওয়ামী ক্যাডারদের যারা বাধা সৃষ্টি করেছে, আপনাদের ওপর হামলা করেছে, আহত করেছে এবং ভাঙচুর করেছে তাদের তালিকা তৈরি করুন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সমাবেশ: বিএনপির নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলা, আহত ৩০
বৃহস্পতিবার নগর বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান, দেশের আইন ও পুলিশের নিয়ম লঙ্ঘন করে অন্যায়ভাবে কাজ করা অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যদের তালিকা তৈরি করুন।’
খসরু অভিযোগ করেন, বুধবার বন্দরনগরীতে বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে আওয়ামী ও যুবলীগের ‘ক্যাডাররা’ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
এছাড়া সমাবেশের আগের দিন পুলিশের কিছু অতি উৎসাহী সদস্য বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে অন্তত ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী ক্যাডার বাহিনী নগরীর বিভিন্ন স্থানে ও প্রবেশপথে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের যানবাহন অবরোধ করে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে তারা শ্মশান করে দিয়েছে: চট্টগ্রামে মির্জা ফখরুল
চট্টগ্রামে বিএনপির মহাসমাবেশ বুধবার, আওয়ামী লীগের হুঁশিয়ারি
প্রতিটি থানায় সাইবার ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন,দেশে ডিজিটাল অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি থানায় একটি করে সাইবার ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস উপলক্ষে রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি ভবনে ‘সাইবার সুরক্ষা কী, কেন এবং কীভাবে’-শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন,একসময়ে ফিজিক্যাল অপরাধের জন্য যে ব্যবস্থা নিতে হতো, এখন ডিজিটাল ব্যবস্থার জন্য তার চেয়ে বেশি ব্যবস্থা নিতে হবে। কেবল মাত্র ডিএমপিতে একটি সাইবার ইউনিট দিয়ে পুরো দেশের ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলা করতে পারবেন না। আর ডিজিটাল অপরাধ শুধু ঢাকাভিত্তিক নয়। ডিজিটাল অপরাধ এখন ১৫ কোটি পৌঁছে গেছে, সেই পর্যায়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন,এক সময় ফোন নম্বর ট্র্যাক করে ফোনের মালিক কোন বাড়িতে,কোথায় আছে,এটি হয়তো ঢাকাকেন্দ্রিক কিছু পুলিশ অফিসার ব্যবহার করতেন। এখন সারাদেশেই অপরাধী ধরার জন্য এটি একটি ভালো টুল।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের পুলিশ ও বিচার বিভাগ উভয়ের জন্যই এটি (সাইবার ক্রাইম ইউনিট) দরকার। কারণ,সারাদেশে ডিজিটাল অপরাধ হবে আর কেবল বিভাগে ট্রাইব্যুনাল করে তার বিচার করবো,এটি যথাযথ না। প্রত্যেক থানায় আমি মনে করি সাইবার ক্রাইম ইউনিট করুক বা ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিট করুক। একটা ইউনিট থাকতে হবে। ওখানে দুজন করে অফিসারকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে রাখা দরকার।’
ডিজিটাল অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন,আজকে যে সব অপরাধ নিয়ে চিন্তা করতে হয় ২০ বছর আগে সেগুলোর অস্তিত্ব ছিল না।
তিনি বলেন, এখন এই অপরাধের পরিধি যুদ্ধ-বিগ্রহ পর্যন্ত পৌঁছেছে। তার মানে যুদ্ধের একটি হাতিয়ার হয়ে গেছে ডিজিটালি অপরাধ করা। এক দেশ অস্ত্র দিয়ে যেমন হামলা করে তেমনি করে ডিজিটাল অস্ত্র দিয়ে হামলা করে তাকে বিপর্স্ত করার চেষ্টা করে। আমরা যতো ডিজিটাল হবো ডিজিটাল অপরাধের মাত্র ততো বাড়বে। ততো ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মানুষ ডিজিটাল অপরাধ সম্পর্কে জানে না বলে ক্ষতির পরিমাণটা বেশি হয়ে যায়। ডিজিটাল অপরাধ রোধ করার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি লাগবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর কনটেন্ট অপসারণে নির্ভরতা কাটাতে চেষ্টা চলছে জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা শত অনুরোধ করলে একটিও এন্টারটেইন করতো না। এখন ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শতভাগ পর্যন্ত হয়েছে।
ডিজিটালাইজেশন যে পরিমাণে বাড়ছে সচেতনতাও প্রচুর বাড়ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে যাতে পুরো মাস সচেতনতা কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারি সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালক (অপারেশন) তারেক এম বরকতউল্লাহ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভূইয়া, সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ বক্তব্য দেন।
সাইবার নিরাপত্তা ও বিটিআরসির কার্যক্রম বিষয়ে বক্তব্য দেন কমিশনের সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।
আরও পড়ুন: ডিজিটাইজেসন বা পদ্ধতিগত রূপান্তরের ফলে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য’ দূর হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার
পৃথিবী হবে ডাটা নির্ভর: মোস্তাফা জব্বার
প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সব দুর্যোগ কাটিয়ে বাংলাদেশ তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ প্রতিরোধী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে নিজের অবস্থান করে নিয়েছে। আমরা দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম…আমাদের এটি বজায় রাখতে হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন দিবস ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন:অভিন্ন নদীর পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করুন, দুর্যোগ এড়ান: ফারাক্কা কমিটি
এসময় তিনি ২৫টি জেলায় ত্রাণ গুদাম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র, ৮০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৫০টি মুজিব কিল্লা বা বন্যার সময় জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্য নির্মিত স্থাপনা উদ্বোধন করেন।
১৯৯১ সালের ঘূর্ণিড়ে বিএনপির দায়িত্বহীনতার সমালোচনা করে, ভবিষ্যতে যাতে বিএনপির মতো শক্তি আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য দেশের জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন,তার দল যখন সংসদে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপি সরকারের গাফিলতির কথা তুলে ধরেছিল, তখন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দাবি করেছিলেন যে চট্টগ্রাম অঞ্চলে যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল তাতে খুব বেশি মানুষ মারা যায়নি।
শেখ হাসিনা বলেন,এ ধরনের মন্তব্য করে বিএনপি তাদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ এড়াতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১৯৯০ সালের শেষ দিকে এইচএম এরশাদের পতনের পর একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি দেশের ক্ষমতায় আসে এবং খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হন।
১৯৯১ সালের এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আনুমানিক এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল এবং প্রায় এক কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। সামগ্রিক সম্পত্তির আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল বিলিয়ন ডলারে।
বিশেষজ্ঞরা জানান যে এটি এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে মারাত্মক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে একটি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের সাফল্য ও পদক্ষেপের প্রতি আলোকপাত করে তিনি বলেন,বাঙালি জাতিকে কেউ আর অবমূল্যায়ন করতে পারবে না।
তিনি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধী দল বিএনপি ও তার মিত্রদের রাজনৈতিক সহিংসতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগই নয়, বাংলাদেশ অগ্নিসংযোগের মতো মানবসৃষ্ট দুর্যোগেরও সম্মুখীন হয়।’
তিনি বলেন, দেশকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোনো কিছুই বাধা দিতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন,‘আমরা সব ধরণের দুর্যোগ মোকাবিলা করে আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাব – হোক সেটা প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ডিজাইন করেছে এবং এটি বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, যে কোনো পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় তার সরকার সব সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সতর্ক থাকে। ‘রাস্তা,সেতু ও স্কুল নির্মাণের সময় আমরা বৃষ্টির পানি বা বন্যার পানির চ্যানেল করার প্রক্রিয়াটি অন্তর্ভুক্ত করা বিষয়েও সজাগ থাকি।’
তিনি আরও বলেন, পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে সরকার খাল-বিল ও অন্যান্য জলাশয় পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি নদীগুলো ড্রেজিং করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নদীভাঙন রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন,সরকার দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস,প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়া ও পুনরুদ্ধার ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫) প্রণয়ন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সারাদেশে মোট চার হাজার ২০০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৪২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৬৬টি ত্রাণ গোডাউন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করেছে তার সরকার।
এছাড়া সরকার প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ, অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী হওয়ার মতো কার্বন নিঃসরণ করে না বাংলাদেশ, তবুও আমাদের দেশটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
তিনি বলেন,উন্নত দেশগুলো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে জলবায়ু তহবিল প্রদানে অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে দুর্ভাগ্যজনক যে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো তাদের (উন্নত দেশের) প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খুব কমই তহবিল পায়।
আসলে আমাদের নিজেদের ব্যবস্থা নিজেদেরই করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষা করতে উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ এলাকা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
দেশে ‘দুর্যোগের জন্য প্রাথমিক সতর্কতা, সবার জন্য পদক্ষেপ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন দিবস-২০২২ উদযাপিত হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান।
অনুষ্ঠানে সাইক্লোন প্রিপারেডনেস প্রোগ্রামের (সিপিপি) আওতায় দুইজন সেরা স্বেচ্ছাসেবক- লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার জয়শ্রী রানী দাস এবং ভোলার লালমোহনের মো. জসিম উদ্দিনকে পুরস্কৃত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ডা. এনামুর রহমান তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
ভবিষ্যতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক আয় বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সামনের কঠিন দিনগুলো মোকাবিলা করার জন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি শুরু
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, এবারের বিশ্ব ইজতেমা দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের ১৩ থেকে ১৫ তারিখ হবে ইজতেমার প্রথমধাপ এবং ২০ থেকে ২২ তারিখ হবে দ্বিতীয়ধাপ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ ও আইন শৃঙ্খলা সভা শেষে মন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, দুই গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জুবায়ের গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা ১৩-১৫ জানুয়ারি এবং অন্য গ্রুপের ইজতেমা ২০-২২ জানুয়ারি হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘গত দুইবছর ইজতেমা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালের ইজতেমা সংক্ষিপ্ত আকারে করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইজতেমা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে বিরোধ ছিল এবং তা চলছে। আমি দলগুলোর কাছ থেকে পরামর্শ চেয়েছি। আমি তাদের আগের বারের মতো সাজানোর প্রস্তাব দিয়েছি এবং তারা মেনে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে র্যাবের সংস্কার শুরু হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরাও মাদক সাপ্লাই করেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে সাইবার নিরাপত্তা অন্তর্ভুক্তির দাবি টেলিযোগমন্ত্রীর
প্রাথমিক বিদ্যালযয়ের পাঠ্যক্রমে ‘সাইবার নিরাপত্তা’ বিষয়টিকে অন্তর্ভূক্তির দাবি জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বৃহস্পতিবার বিটিআরসি সম্মেলন কেন্দ্রে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘নিরাপদ ইন্টারনেট যুব কর্মশালা ২০২২’- ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এখন যুদ্ধের হাতিয়ার হয়ে গেছে ডিজিটাল ডিভাইস। তাই ডিজিটাল সংযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এছাড়া ডিজিটাল অপরাধ ঠেকাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি দরকার। মাথা ব্যথা হলেই মাথা কেটে ফেলবো না। ওষুধ খেতে হবে। সেক্ষেত্রে সচেতনতা প্রধান হাতিয়ার।
আরও পড়ুন: আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
ডিজিটাল অপরাধের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অপরাধের চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বেশি গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক থানায় একটি সাইবার বা ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিট করা দরকার। সেখানে কর্মরতদের ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কেপিআই’ এর মতো ‘সিআইএ’ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
ডিজিটাল রূপান্তরে সমস্যার চেয়ে সুবিধাই বেশি এমন ইঙ্গিত করে মোস্তাফা জব্বার বলেন,‘ই-নথি’ আমাদের দেশে বিপ্লব ঘটিয়েছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি’র সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।
এসময় আলোচনায় অংশ নেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভূঁইয়া, সাবাইর সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (ডিএসএ) পরিচালক তারেক বরকতুল্লাহ,পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ডিজিটাইজেসন বা পদ্ধতিগত রূপান্তরের ফলে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য’ দূর হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার
পৃথিবী হবে ডাটা নির্ভর: মোস্তাফা জব্বার
কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার দায় সরকার নেবে না: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আগামী নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল অংশ না নিলে সরকার তাদের দায় নিতে পারবে না। একই সঙ্গে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন উপসচিব ওয়েন্ডি শেরম্যানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার সাম্প্রতিক বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (নির্বাচনে অংশ না নেয়া রাজনৈতিক দলসমূহের) দায়িত্ব নেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি তাকে(শেরম্যান) নির্বাচন কমিশন গঠন, সার্চ কমিটি এবং রাষ্ট্রপতির সংলাপের বিষয়েও জানিয়েছেন। যাতে (রাষ্ট্রপতির সংলাপে) কিছু রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি।
এসময় চট্টগ্রামে এক রাজনৈতিক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
এক প্রশ্নোত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতীতেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ছিল, আগামী নির্বাচনও গ্রহণযোগ্য হবে।
আরও পড়ুন: তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে আবারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বকশীবাজারে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় যুবক নিহত
রাজধানীর বকশীবাজার এলাকায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মো. আরিফ (৩০)।
আরও পড়ুন: ট্রাকের ধাক্কায় কেসিসির টোল আদায়কারী নিহত
পথচারী বাপ্পি নামের এক শিক্ষার্থী জানান,তিনি ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। বকশীবাজার মোড়ে ভর্তা বাড়ি হোটেলের সামনের রাস্তায় ওই যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। সেখানে টোকাই ছাড়া আর কেউ ছিল না। ওই টোকাই বলছিলেন একটি কাভার্ডভ্যান তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেছে। তখন আমি দুই থানায় ফোন করি,কেউ আসনি। পরে একটি রিকশায় করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়ে দিয়ে চলে যাই। সকালে সংবাদ পেয়েছি লোকটি মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, আহত অবস্থায় লোকটি বলেছিলেন,তার নাম আরিফ, তার কেউ নেই।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
বরিশালে জেলেদের হামলায় পুলিশসহ আহত ২০