ঢাকা
সালথার আকাশে উড়লো বাহারি রঙের ঘুড়ি
আবহমান গ্রাম-বাংলা থেকে হারাতে বসেছে সেই চিরচেনা ঘুড়ি উৎসব। তাই এই হারানো ঐতিহ্যকে ফেরাতে ও বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ফরিদপুরে সালথায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ঘুড়ি উৎসব।
‘ঘুড়ি উৎসবের আনন্দে এবার মেতে উঠবে সবাই’- এ স্লোগানকে ধারণ করে সালথা উপজেলা প্রশাসন এ ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করে।
আষাঢ়ের বাদল দিনের বৃষ্টি উপেক্ষা করে শতশত দর্শনার্থী এ উৎসবে অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকাল ৪টায় সালথা উপজেলা প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) আসনের সংসদ সদস্য কৃষি গবেষক শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন শাহিনের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর সহধর্মিণী শাহনাজ খুশি, সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: সালাহউদ্দিন আইয়ূবী, সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শেখ সাদিক, সালথা উপজেলা আ'লীগের সাধারণ ফারুক উজ্জামান ফকির মিয়া, সালথা উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মো: সেলিম মোল্লা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগম প্রমুখ।
এ উৎসবে শতাধিক ঘুড়ি উড়ানো হয়েছে আকাশে। শতাধিক প্রতিযোগী বিভিন্ন আকার, আকৃতি ও রং-বেরঙের ঘুড়ি নিয়ে অংশ নেন। নানা আকৃতির ঘুড়ির মধ্যে ছিল মাছ, ঈগল, প্রজাপতি, লেজযুক্ত ঘুড়ি প্রভৃতি। উৎসব দেখতে শত শত মানুষের ঢল নামে।
গাজীপুরে ছুরিকাঘাতে ফল ব্যবসায়ী নিহত
গাজীপুরে ছুরিকাঘাতে এক ফল ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৪ জুলাই) ভোরের দিকে গাজীপুর মহানগরীর হানকাটা এলাকার ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোমেন মিয়ার বাড়ি জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ছাতিয়ানী গ্রামে।
আরও পড়ুন: না.গঞ্জে ক্রেনের তার ছিঁড়ে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত
স্থানীয়রা জানান, তিনি শুক্রবার ভোরে অটোরিকশা যোগে জেলা শহরের চান্দনা চৌরাস্তায় আসছিলেন ফল কেনার উদ্দেশ্যে। মহানগরীর হানকাটা ব্রিজের কাছে পৌঁছালে ৫ জন যুবক এসে পথরোধ করেন।
এ সময় তারা টাকা দাবি করে। মোমেন মিয়া তাতে বাধা দিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে, তদন্ত করে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ নিহত ২
নাটোরে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কা, নৌবাহিনীর সদস্য নিহত
ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ২৩ প্রতিষ্ঠানকে ৩.৬৬ লাখ টাকা জরিমানা
এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২৩ প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ছাড়া এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে করপোরেশনের আওতাধীন ৭৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস, সচিবালয়, মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার, কবরস্থান, বাজার প্রভৃতি স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কলাবাগান, লেক সার্কাস, মতিঝিল, ফকিরাপুল, লালবাগ, ইমামগঞ্জ, চম্পাতলী, ওয়ারী, খিলগাঁও, মান্দা ও ডেমরা এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে মোট ২৯৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয় এবং ২৩টি বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা ডিএনসিসির
ডিএনসিসির মশকবিরোধী অভিযান: দ্বিতীয় দিনে ৬ লাখ টাকার বেশি জরিমানা আদায়
বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ে মাঝি নিখোঁজ
ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের আগানগর খেয়াঘাট থেকে নৌকা নিয়ে মিটফোর্ড ঘাটে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ আব্দুর রশিদ (৬৫) পিরোজপুরের নেছারাবাদ থানার সোহাগদল এলাকার আবুল বাশারের ছেলে।
কেরাণীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জামান জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় দুজন নারী ও একজন পুরুষকে পার করার সময় মাঝ নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী নৌপুলিশকে খবর দেয়।
বরিশুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। সকাল ১১টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ৬ ঘন্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ মাঝির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল শুক্রবার সকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান চালাবে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা নদী থেকে স্কুল শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গা নদী থেকে অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গা থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় যুবকের লাশ উদ্ধার
না.গঞ্জে ক্রেনের তার ছিঁড়ে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত
নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় ভবনে মালামাল তোলার সময় ক্রেনের তার ছিঁড়ে পড়ে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- শহীদ (৩০) ও তোবারক (৫০)।
শহীদ সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার চানপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে। তিনি চেন কপার হিসেবে কাজ করতেন এবং স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে থাকতেন। নিহত তোবারকও একই এলাকায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মাদক ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ১৪
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকাল থেকে জালকুড়ি এলাকায় মালামাল তোলার কাজ করছিলেন শহীদ ও তোবারক। ক্রেন দিয়ে ভবনের নিচ থেকে তৃতীয় তলায় মালামাল তোলা হচ্ছিল। মালামালের সঙ্গে ক্রেনের ওপর দাঁড়িয়েছিলেন তারা।
দুপুর ১২টায় মালামাল তৃতীয় তলায় তোলার পর হঠাৎ ক্রেনের তার ছিঁড়ে গেলে মালামালসহ তারা নিচে পড়ে যান। এতে মালামালের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তোবারক। আর গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. মাসুদ মিয়া জানান, শহীদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে অটোরিকশা চার্জ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
নারায়ণগঞ্জে দুর্ঘটনাবশত পুলিশের বন্দুকের গুলিতে যুবক আহত
কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৩৮ ঘন্টা পর মাঝির লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ইটনার ধনু নদীতে নিখোঁজের ৩৮ ঘন্টা পর এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় বলদা ফেরিঘাটের পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকে তার হাওরে ভাসমান লাশ উদ্ধার হয়।
নিহত মুসলিম মিয়া (৫০) সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মনডাল মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে সুনামগঞ্জ থেকে পাথরবোঝাই একটি বাল্কহেড (স্টিলের নৌকা) ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার তারা বাজার যাওয়ার পথে ইটনার বলদা ফেরিঘাট এলাকায় ধনু নদীর পাড়ে আটকে পড়ে। পরে, বাল্কহেডটি ছাড়ানোর সময় হঠাৎ বৈঠার আঘাতে মাঝি মুসলিম মিয়া পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন। সেই রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে ইটনা ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার সারাদিন ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিটের ডুবরিরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে রাত সাড়ে ৮টায় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেন। পরে বুধবার আবারো অভিযান শুরু করলে হাওরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় মুসলিম মাঝির লাশ উদ্ধার হয়।
ইটনা ফায়ার সার্ভিসের অধিনায়ক মো. নাসির উদ্দীন বলেন, নিহত মুসলিম মিয়ার লাশ দুইদিনের অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর পুলিশের কাছে মুসলিম মিয়ার লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান বিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চুয়েট গেটের সামনে থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার
কোম্পানীগঞ্জে নৌকাডুবি: নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, জনগণ সচেতন হলে এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ১১টায় পশ্চিম ধানমন্ডির মধুবাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় মশকনিধন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৬ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, একটি উৎস থেকেই কিন্তু পুরো এলাকার সবার জন্য জনস্বাস্থ্যের হুমকি তৈরি করতে পারে। একটি পাত্রে জমে থাকা পানির ভেতর প্রচুর পরিমাণে লার্ভা ও মশা হওয়া সম্ভব। তাই প্রথমত আমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, পানি জমে লার্ভা বিস্তারের সুযোগ তৈরি হয় এ ধরনের কোথাও কোনো পরিত্যক্ত পাত্র বা সামগ্রী রাখা যাবে না। নিজেদের আঙ্গিনা, নিজেদের স্থান, নিজেদের স্থাপণা আমরা যদি পরিষ্কার রাখতে পারি; তাহলে আমরা অবশ্যই এডিস মশা ও ডেঙ্গুকে প্রতিরোধ করতে পারব।
মেয়র বলেন, একশ’ শতাংশ নির্মূল করতে পারবো এটা আমরা বলি না, কিন্তু জনগণ সচেতন হলে আমরা এটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।
এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে গৃহিত ও চলমান কার্যক্রম উল্লেখ করে মেয়র বলেন, যেটি আমাদের এখন সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে তা হলো এডিস মশার বিস্তার।
তিনি বলেন, এ বিস্তাররোধ করার জন্য এ মৌসুমে আমাদের চলমান অভিযান, সেই অভিযানের কার্যক্রম আজ আমি নিজেই সশরীরে তদারকি করছি। আজকে মধুবাজার এলাকায় আমাদের মশককর্মীরা এবং আমাদের কর্মকর্তারা ২৬টি ভবন পরিদর্শন করেছেন। আমি নিজে গিয়েও কয়েকটি পরিদর্শন করেছি।
তিনি বলেন, একটু উন্মুক্ত জমি, সেখানে ভাড়াটিয়া কিছু ব্যক্তি থাকেন। সে জায়গায় তাদের একটি মাটির পাত্রে আমরা পানি ও লার্ভা পেয়েছি। তাদের সচেতন করার জন্য আমরা কথা বলেছি এবং সেটা আমরা ধ্বংস করেছি, নির্মূল করেছি।
এভাবেই আমরা চেষ্টা করছি যেখানেই লার্ভা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে, পানি জমে থাকার শঙ্কা রয়েছে, সেসব জায়গা আমরা ধ্বংস করছি, নির্মূল করছি। লার্ভিসাইডিং করছি এবং বিকালে আবার ফগিং করা হচ্ছে। যাতে করে উন্মুক্ত মশাগুলো নিধন করা যেতে পারে। এভাবেই ডিএসসিসি এলাকার ৭৫টি ওয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা হচ্ছে।
শুধু চিরুনি অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে নয়, সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারে মন্তব্য করে তাপস বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছি।
মেয়র বলেন, আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। আমরা এ পর্যন্ত (১৮ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত) দুই হাজার ১৩৩টি স্থাপনা, হোল্ডিং, বাসা-বাড়িতে আমাদের কর্মীরা গিয়েছেন (ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে)।
তিনি বলেন, এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩৮টি জায়গায় আমরা লার্ভা পেয়েছি। এ পরিসংখ্যান দিয়ে কোনোভাবেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নির্ণয় করা যাবে না। কারণ একটি জায়গায় যে পরিমাণ লার্ভা হতে পারে বা হওয়ার শঙ্কা থাকে সেটাই কিন্তু পুরো এলাকায় অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট।
তিনি আরও বলেন, সুতরাং আমরা চাইব, সবাই যেন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে। আমাদের যেসব বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেসব বিদ্যালয় রয়েছে, স্থাপনা রয়েছে, তাদের স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষ একটু দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে, আমরা সবাই মিলে এ ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রতিরোধ করতে পারব।
ডিএসসিসি মেয়র শুধু বাড়িই নয় বাড়ির চারপাশে কোথাও পানি জমে লার্ভা সৃষ্টি হয় এমন কিছু না রাখতে এবং প্রতিদিনকার জমা পানি প্রতিদিন ফেলে দিতে ঢাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
গাজীপুর হকার্স মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৩৩টি দোকান পুড়ে ছাই
গাজীপুরের কোনাবাড়ির বিসিক এলাকায় ৩৩ টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাতে বিসিক সংলগ্ন হকার্স মার্কেটের পেছন দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, খবর পেয়ে জয়দেবপুর, কাশিমপুর ডিবিএল ও কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে বাস দুর্ঘটনার পর আগুন লেগে নিহত ২৫
তিনি বলেন, এসময় আগুনে মার্কেটের ৩৩টি দোকানের মালামাল পুড়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।
তবে তদন্ত ছাড়া আগুনের সঠিক কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করা যাবে না বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: খুলনার সোনাডাঙায় কাগজের গোডাউনে আগুন ১ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে
মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের বর্জ্যের স্তূপে লাগা আগুন ৮ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর চকবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
রাজধানীর চকবাজারের রহমতগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কাভার্ডভ্যানের চালকের সহকারীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত বিপ্লব নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা গ্রামের শাহজাহান এর ছেলে। চালকের বাড়িও একই এলাকায়।
অজ্ঞান অবস্থায় কাভার্ডভ্যানের চালক একরামুল হক সুমন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত পৌনে ৩টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা শিক্ষকের মত্যু
সুমন বলেন যে তারা প্লাস্টিকের দানা বোঝাই করে রহমতগঞ্জের ডালপট্টিতে তা নামিয়ে বের হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। সেখানে আরও অনেক গাড়ির কারণে ওই এলাকায় জট লেগে যায়। সেজন্য তিনি তার সহকারী বিপ্লবকে রেখে সামনের দিকে যান।
তিনি আরও বলেন যে পরে এসে দেখতে পান বৈদুতিক তার কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে লেগে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে ছিল। তিনি দ্রুত সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান।
চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শংকর রায় সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাত ২টার দিকে পণ্য খালাস করতে ভ্যান থেকে বের হওয়ার সময় বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে এসে বিপ্লব অজ্ঞান হয়ে যান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত পৌনে ৩টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
লাশটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে, জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দম্পতির মৃত্যু
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৬ মামলায় ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) করপোরেশনের আওতাধীন ধানমন্ডি ১৫/এ, দেওয়ানবাগ, মায়াকানন, নবাবগঞ্জ, জিন্দাবাহার প্রথম লেন, বংশাল, অভয় দাস লেন, আর কে মিশন রোড, মান্ডা, উত্তর যাত্রাবাড়ী ও দক্ষিণ ধনিয়া এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়।
ধানমন্ডির ১৫/এ এলাকায় আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক এবং ধনিয়া এলাকায় বিশ্বাস বিল্ডার্স নির্মিত নির্মাণাধীন ভবনসহ মোট ১৬টি স্থাপনাকে জরিমানা করা হয়েছে।
১ নং অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মঞ্জুরুল হক ধানমন্ডি ১৫/এ এলাকায় ৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: নগর পরিবহনে ১০০ ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক নির্মিত একটি নির্মাণাধীন ভবনসহ পাঁচটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পান তিনি।
আদালত এ সময় আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহবুবকে একটি মামলায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। বাকি চার স্থাপনায় চার মামলায় আরও ৫২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
সবমিলিয়ে অঞ্চল-১ এ পরিচালিত আদালত পাঁচ মামলায় এক লাখ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
২ নং অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম আর সেলিম শাহনেওয়াজ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মায়াকানন এলাকায় ২৫টি এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ানবাগ এলাকায় ১৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনও স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
এছাড়া ২ নম্বর অঞ্চলের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মায়াকানন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ২৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। তিনি একটি স্থাপনায় ওয়াসার মিটারের নিচে মশার লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবাবগঞ্জ এলাকায় ১৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
আদালত এ সময় দুইটি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ৯০ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানার আদালত বংশালের জিন্দাবাহার প্রথম লেনে ১৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন।
তিনি দুইটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ছয় হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ অভয়দাস লেন ও আর কে মিশন রোড এলাকায় ২২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। দুইটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন তিনি।
সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের মান্ডা এলাকায় ৩০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক মামলায় তিন হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
৯ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক মামলায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন তিনি।
১০ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ধনিয়া এলাকায় ২৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় বিশ্বাস বিল্ডার্সের নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া আরেকটি ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আজকের অভিযানে সর্বমোট ২৬৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৬টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৬ মামলায় সর্বমোট ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
৬ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি