������������
সাতক্ষীরা থেকে যশোর বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার শাটল সার্ভিস
সাতক্ষীরা থেকে যশোর বিমানবন্দরে এসি মাইক্রোবাস সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) থেকে প্রতিদিন দু’বার এই মাইক্রো বাস সার্ভিস চলবে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এয়ারলাইন্সটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ও বিকাল সোয়া ৪টায় সাতক্ষীরার ভারতীয় ভিসা সেন্টার থেকে যশোর বিমানবন্দরের উদ্দেশে মাইক্রো বাস ছেড়ে যাবে।
মাইক্রো বাস সেবা গ্রহণকারীদের যথাক্রমে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-১২৪ ও বিএস-১৩২ যশোর–ঢাকা ফ্লাইটে ভ্রমণ করার সুযোগ থাকছে।
আরও পড়ুন: যাত্রী রেখে ফ্লাইট, ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগ
একইভাবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-১২৩ ও বিএস-১৩১ ঢাকা থেকে যশোর ফ্লাইটের যাত্রীরা যশোর বিমানবন্দরে অবতরণের পর সাতক্ষীরায় যাতায়াত করতে পারবে।
সাতক্ষীরা থেকে যশোরে যাতায়াতের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিজনের জন্য ৩৫০টাকা।
সাতক্ষীরা-যশোর-সাতক্ষীরা রুটে শাটল সার্ভিসের সেবা পেতে যোগাযোগ করুন- ০১৭০১২১০৮৭০।
আরও পড়ুন: ইউএস বাংলার ঢাকা-দোহা ফ্লাইট পুনরায় শুরু হচ্ছে ৩১ আগস্ট
ভালবাসা দিবসের মানে বদলে গেল পঙ্গু মিজানের জীবনে
ভালবাসা দিবসে জীবিকার্জনের জন্য দোকান ঘর উপহার পেয়ে ভালবাসার মানেটাই বদলে গেল সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করা মিজানের। তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ফরিদপুরের সেচ্ছাসেবী সংগঠন 'আমরা করবো জয়'। সংগঠনটি জীবিকা অর্জনের জন্য মিজানের বাড়ির সামনে একটি মুদি দোকান তৈরি করে দিয়েছে।
সোমবার রাতে দোকান উদ্বোধন করে পুনরায় সংসারের হাল ধরতে পেরে খুশি মিজান।
মিজান তালুকদার (৩২) ফরিদপুর শহরের উত্তর আলীপুর এলাকার রেজাউল করিম তালুকদারের বড় ছেলে । মিজান দুই সন্তানের জনক। পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন। ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে সংসারের খরচ সংকুলান করতে না পেরে একদিন মিনি পিক আপের হেলপারি কাজে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: হাত-পা বিহীন এসএসসি পরীক্ষার্থী সালাহ উদ্দিনের স্বপ্ন বড়
গেল বছর ২ অক্টোবর ছিল তার হেলপারি কাজের প্রথম দিন। সন্ধ্যায় ফরিদপুরের কানাইপুর বাজার থেকে মিনি পিকআপে পান লোড করে রওনা দেন যশোরের উদ্দেশ্যে।
রাত ২টার দিকে যশোরের চৌরাশ এলাকায় কাভার্ডভ্যানের সাথে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন পিকআপের চালক মো. সোহেলসহ মিজান। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন উইনিট, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা নেন। অবশেষে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয় করার পরও বাম পা কেটে ফেলতে হয় তার। শুরু হয় তার পঙ্গু জীবন। সোহেলের কোমরের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার তিনি এখনও পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।।
ত্বকী হত্যা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য পত্রিকা কার্যালয়ে হামলা!
নারায়ণগঞ্জে দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকা কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আলোচিত ত্বকী হত্যা মামলায় খসড়া অভিযোগপত্রের ওপর সংবাদ প্রকাশের জেরে আজমেরী ওসমানের অনুসারীরা অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়ে এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শহরের চাষাঢ়া প্রেসিডেন্ট রোড এলাকায় সিরাজ ম্যানশনের চারতলায় অবস্থিত পত্রিকা কার্যালয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
পত্রিকাটির সংবাদকর্মীরা অভিযোগ করেন, সাংবাদিক ও স্টাফদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হত্যার হুমকি দেয়। প্রায় ১৫ মিনিট অফিসে হৈ চৈয়ের পর তারা সেখানে থাকা সিসিটিভির ডিভাইস নিয়ে যায় ও সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে।
ওই সময় কার্যালয়ে পত্রিকার চার সংবাদকর্মী বসা ছিলেন।
কার্যালয়ের প্রহরী হাফিজউদ্দিন জানান, হঠাৎ করে শতাধিক লোকজন উপরে উঠতে চায়। আমি তখন বাধা দিতে গেলে আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে সবাই উপরে উঠে। আমি একা সবার সঙ্গে পারছিলাম না।
অফিসে থাকা সময়ের নারায়ণগঞ্জের স্টাফ রিপোর্টার আরিফ হোসাইন কনক বলেন, ‘বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে অফিসের নিচে শতাধিক মটরসাইকেল অবস্থান করে। পরে মটরসাইকেল থেকে শতাধিক লোকজন সিড়ি বেয়ে উপরে ওঠে। অফিসে ঢুকেই আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে। তারা গত শুক্রবার দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকার লিড নিউজ ‘যা ছিল খসড়া চার্জশীটে’ সংবাদটি কেন প্রকাশ হয়েছে তার কৈফিয়ত জানতে চান। তারা বলতে থাকেন, ‘তোরা আজমেরী ওসমানের বিরুদ্ধে নিউজ করস। কালকের মধ্যে পত্রিকায় এর জন্য ক্ষমা না চাইলে পত্রিকা অফিস জ্বালিয়ে দিব ও সম্পাদককে গুলি করে মেরে ফেলবো।’
আরও পড়ুন: ওসমান পরিবার ‘খুনি’ পরিবার: আইভী
তারা প্রায় ১৫ মিনিট অফিসে অবস্থান করে হুমকি দিতে দিতে চলে যায়। যাওয়ার সময়ে তারা অফিসে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দেয়। সেই সঙ্গে অফিসে থাকা সিসি ক্যামেরার ডিভিআর ডিভাইস খুলে নিয়ে গেছে। এছাড়া একটি পিসির হার্ডডিস্কও খুলে নিয়ে গেছে। ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে।
এদিকে ভিডিও ফুটেজ দেখে ওই হামলায় নাসির, আক্তার নূর, সুমন, সানি, ইসমাইল, আন্নান, কাজল, রুবেল, সিনাফি, রবিন, মনির, লক্ষণ, কৃষ্ণা, রাতুল প্রমুখকে চিহ্নিত করা গেছে। তাদের মধ্যে নাসির ও আক্তার নূর এর আগে একাধিকবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য গ্রেপ্তার হয়েছিল। সে এখন আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেই পরিচিত।
এছাড়া অপর একটি ফুটেজে দেখা গেছে, অফিসে হামলার আগে শতাধিক লোকজন মটরসাইকেলে করে শহর মহড়া দেয়। ওই মহড়া শেষ করেই সময়ের নারায়ণগঞ্জ অফিসে হামলা করে।
এ ব্যাপারে সময়ের নারায়ণগঞ্জের প্রকাশক ও সম্পাদক জাবেদ আহমেদ জুয়েল বলেন, সম্প্রতি ত্বকী হত্যা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। ১১ ফেব্রুয়ারি র্যাবের প্রকাশিত একটি খসড়া চার্জশীট নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। মূলত সেই খসড়া চার্জশীট র্যাব প্রকাশ করে এবং ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি গণমাধ্যম কর্মীদের সরবরাহ করে। সেটাই হুবহু তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে আমাদের নিজেদের মনগড়া বক্তব্য নাই। কিন্তু তারা যেভাবে অফিসে হানা দিয়েছে সেটা ন্যাক্কারজনক। তারা অফিসের সিসি ক্যামেরার ডিভিআর মেশিন ও একটি পিসির হার্ডডিস্ক নিয়ে গেছে। ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে।
পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, বিষয়টা সম্পর্কে আমি অবগত। পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ, অফিসের লোকজনদের সঙ্গে থাকা ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ত্বকী হত্যা: প্রতিবাদ ও বিচারহীনতার ১০০ মাস
ফরিদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে বণিক সমিতির নির্বাচন
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফরিদপুরের সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ী কেন্দ্র কানাইপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে।
স্থানীয় একটি হাইস্কুলে রবিবার সকাল ৯টা থেকে এই ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে, গত ০৩ ফেব্রুয়ারি ওই নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
প্রশাসনের দেয়া নির্বাচন স্থগিতাদেশে বলা হয়, সেখানে উল্লেখ করেন, ফরিদপুরে করোনা ভাইরাস উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ‘কানাইপুর বাজার বণিক সমিতির’ নির্বাচনে ব্যাপক জনসমাগম ঘটবে, যা করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে। বিষয়টি বিবেচনা করে জনস্বাথে নির্বাচনটিকে স্থগিতের জন্য বলা হলো।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
সরকারি এই আদেশের পরেও বণিক সমিতির নির্বাচন কমিশন সেটিকে তোয়াক্কা না করেই নির্বাচন পরিচালনা অব্যাহত রাখে ।
নির্বাচন প্রসঙ্গে সভাপতি প্রার্থি শেখ আকতার বলেন, সরকারি আদেশের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমিসহ কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি, কিন্তু নির্বাচন কমিশন তো ঠিকই নির্বাচন পরিচালনা করছে, তাহলে আমাদের কি অপরাধ ছিল।
এ বিষয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকতারা নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থী ও নির্বাচন কমিশনকে ডেকে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আবারও জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন বন্ধের আহ্বান জানান।
কানাইপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন পরিচালনা বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জুলফিকার আলী মিনু মোল্লা বলেন, গত ১২ জানুয়ারি এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। বাজারের এক হাজার ১৭২ জন ব্যবসায়ী এখানে ভোটার রয়েছে। এছাড়াও তিন জন সভাপতি ও তিন জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিসহ মোট ৯ পদে প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ১০
সরকারি আদেশের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রশাসন থেকে আমাদের নিষেধ করা হয়েছিল, কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় নির্বাচন না করলে আমাদের টিকে থাকা কঠিন তাই নির্বাচন পরিচালনা করছি।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) দীপক কুমার রায় বলেন, সরকারি আদেশ অমান্য করায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: নারায়ণগঞ্জে মির্জা ফখরুলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত। নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাউসার আহমেদের আদালত গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলাটি গ্রহণ করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর জয়বাংলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আকরাম হোসেন বাদল বাদী হয়ে মুখ্য বিচারিক হাকিম শামসাদ বেগমের আদালতে মামলার গ্রহণের আবেদন করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে। তার সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ইশরাক হোসেন, চাকরিচ্যুত মেজর দেলোয়ার হোসেন, নুরুল হক নুরু, মেজর (অব.) শহীদুল ইসলাম খান, মো. নূরে ইলিয়াস রিপন, এম রহমান মাসুম, আতিকুর রহমান সবুজ, জাহাঙ্গীর আলম, রেজাউল করিম, ইলিয়াস মোল্লা, জাকির হোসেন, শেখ মো. তিতুমীর আকাশ ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট নূরুল হুদা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপি নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। বিষয়টি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মেনে নিতে পারি না।’
আরও পড়ুন: ভাস্কর্য বিরোধিতা: খালেদা, তারেক, ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলা
বরিশালে বিএনপি নেতা আলালের বিরুদ্ধে মামলা
পুলিশের অর্থায়নে ঘরের সঙ্গে জীবিকার পথও পেলেন অসহায় মাহফুজা
জেলা পুলিশের নিজস্ব অর্থায়নে ঘর পেয়েছেন ফরিদপুর শহরের চুনাঘাটা এলাকার অসহায় মাহফুজা বেগম (৪৮)। পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য তাকে একটি মুদি দোকানও করে দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বৃদ্ধা মাহফুজা বেগমের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান।
জানা যায়, দরিদ্র মাহফুজা বেগমের স্বামী আবুল কালাম দীর্ঘদিন আগে মারা গেছেন। শেখ মারুফ নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে তার। ছেলেটির পায়ে সমস্যা থাকায় কোনো কাজ করতে পারেন না।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে ঘর পেল সুনামগঞ্জের ৩০টি গৃহহীন পরিবার
স্বামীর রেখে যাওয়া মাত্র তিন শতাংশ জমির ওপর একটি ছাপড়া ঘরে বসবাস করতেন মাহফুজা বেগম। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়। এই খবর পেয়ে মাহফুজা বেগম পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে তার দুরাবস্থার কথা জানালে তিনি তার থাকার জন্য একটি ঘর ও জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি মুদি দোকান করে দিয়েছেন।
ঘর পেয়ে খুশি বৃদ্ধা মাহফুজা বেগম বলেন, এখন আর বৃষ্টির দিনে ঘর দিয়ে পানি পড়বে না। শীতেও কষ্ট হবে না। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ভালোভাবে জীবনের বাকি দিনগুলো পার করতে পারবো।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পেলেন মাগুরার মেরিনা
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, অসহায় মানুষের পাশে সব সময় দাঁড়িয়েছে জেলা পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় অসহায় বৃদ্ধা মাহফুজা বেগমকে একটি ঘর ও মুদি দোকান করে দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও অসহায় মানুষের পাশে থাকবে জেলা পুলিশ।
মানিকগঞ্জে বাসচাপায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ৩
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে যাত্রীবাহী বাসচাপায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালকসহ দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার মহাদেবপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- হরিরামপুর উপজেলার বড় হাপানিয়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম এবং একই গ্রামের ইনতাজ খাঁর ছেলে আব্দুর রহমান। অটো রিকশার চালক আব্দুর রাজ্জাক একই গ্রামের আব্দুল মোতালেব মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: পাবনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রিয়াদ মাহমুদ জানান, বরঙ্গাইল হাট থেকে পেঁয়াজ বিক্রি শেষে অটোরিকশাযোগে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন জাহিদুল ও আব্দুর রহমান। পথিমধ্যে তাদের অটোরিকশাটি মহাদেবপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসলে পাটুরিয়াগামী একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই দুই যাত্রী নিহত হন। এই ঘটনায় অটোরিকশার চালক গুরুতরভাবে আহত হন। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে স্থানীয় উথলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় যাবার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
তিনি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসটি জব্দ করা হলেও এর চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে।
ফরিদপুরে হাসপাতাল থেকে দালালচক্রের ৬ সদস্য আটক
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল এলাকা থেকে দালাল, প্রতারক ও চাঁদাবাজ চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ডিবি পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০ বছর ধরে পলাতক ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার
আটকরা হলেন, শেখ রিপন (৩৮), মোসা. ঝর্ণা বেগম (৪০), মোসা. লিপি আলী (৩০), মোসা. চম্পা আক্তার (২০), মোসা. বিনা আক্তার (৩০) ও মোসা. হেলেনা বেগম (৪৫)। তাদের বাড়ি ফরিদপুরে বিভিন্ন এলাকায়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের কর্মরত বিভিন্ন ইউনিটের স্টাফরা তাদের হাসপাতালে আসা রোগীদের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে তাদের এই কাজে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে। এছাড়া তারা নিজেদের হাসপাতালের স্টাফ বা মাস্টার রোলে চাকরি করে বলে দাপটের সঙ্গে পরিচয় দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের নারী হত্যা মামলায় দম্পতি গ্রেপ্তার
আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
গোয়ালন্দে যুবকের লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজ বাড়ি থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দৌলতদিয়ার শাহদৎ মেম্বার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত জাকির শেখ (৩৩) ওই এলাকার ইউসুফ শেখের ছেলে ও পেশায় পরিবহন শ্রমিক।
নিহতের স্ত্রী মাহফুজা খাতুন জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর তার স্বামী বাড়ি থেকে বের হলে তিনি পাশেই তার বাবার বাড়ি গিয়ে থাকতেন। রাত ২টা-৩টার দিকে বা কোনো কোনোদিন ভোররাতে বাড়ি ফেরার সময় ফোন দিলে স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফিরে আসতেন। কিন্তু বুধবার রাতে কখন বাড়ি ফিরেছে জানতে পারিনি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র নিহত, নারীর লাশ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে ঝাড়ু দিয়ে ঘরের দরজা খুলে দেখেন স্বামী ঘরের মেঝেতে উপুর হয়ে পড়ে আছেন। মেঝেতে রক্ত পড়ে আছে। মুখের সামনের দুটি দাত ভাঙা এবং বুকে ও হাতে রক্ত জমাট বাধা অবস্থায় আছে। তার চিৎকারে দেবর দাউদ ও পাশের ঘর থেকে শ্বাশুরি আসেন। ঘরের ভেতর বিদ্যুতের সুইচ বোর্ড খোলা ছিল।
মাহফুজার অভিযোগ, জাকির মাঝেমধ্যে এলাকার কিছু বখাটে নেশাগ্রস্ত বন্ধুদের বাড়ি এনে আড্ডা দিতেন। তিনি নেশার সঙ্গে জড়িত।
এই কারণে স্বামীকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে ফেলে রেখেছে বলে দাবি করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে চালককে ছুরিকাঘাত করে টমটম ছিনতাই
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন নাকি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না। আমরা সব বিষয় মাথায় নিয়ে কাজ করছি। সকল আলামত সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তবে হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকলে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
গাজীপুর সাফারি পার্কে ৯ জেব্রার মৃত্যু, বৈঠকে বিশেষজ্ঞ টিম
গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে গত ২ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ২২ দিনের ব্যবধানে নয় জেব্রার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে মঙ্গলবার সাফারি পার্কে বৈঠকে বসেছেন বিশেষজ্ঞ দল।
এ বিষয়ে সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক মো. জাহিদুল কবির জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়া, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণসহ নানা কারণে জেব্রাগুলোর মৃত্যু হতে পারে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সকালে পার্কে বৈঠকে বসেছেন বিশেষজ্ঞ দল। বৈঠক শেষ হলে এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য পাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: জেব্রা দম্পতির ঘরে এলো ‘চমক’
তিনি জানান, জেব্রারা দল বেঁধে চলে। মৃত্যুর আগ থেকে এদের মধ্যে কোন রোগের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎ তারা দল থেকে আলাদা হয়ে মাটিতে পড়ে যায়, সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্ট এবং পেট ফুলে গিয়ে মুখ দিয়ে ফেনা বেরুতে থাকে। একসময় মারা যাচ্ছে। করোনা সন্দেহে পিসিআর ল্যাবে মৃত জেব্রাগুলোর নমুনা পাঠিয়ে পরীক্ষা করে নেগেটিভ এসেছে। এছাড়াও খাবারে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হতে পারে এমন সন্দেহে খাবারগুলোও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। মৃত জেব্রাগুলোর ফুসফুস, লিভারসহ পেটে থাকা অর্ধগলিত খাবারগুলোর পরীক্ষা করা হয়েছে, যার রিপোর্ট চলে এসেছে। তবে জেব্রাগুলো যে খাবার খাচ্ছে তা পার্কে থাকা অন্যান্য প্রাণীগুলোও খাচ্ছে। খাদ্যে বিষয়ক্রিয়ায় মৃত্যু হলে অন্যান্য প্রাণীগুলোরও মৃত্যু হতে পারতো। কিন্তু তা হয়নি। খাদ্যে বিষক্রিয়া জনিত মৃত্যুর প্রমাণ মিলেনি।