%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
চট্টগ্রাম কারাগারে হাসিনার সাজা ভোগ করছেন হাছিনা
নামের একাংশ মিল থাকায় প্রকৃত আসামি হাসিনার পরিবর্তে দেড় বছর ধরে সাজা ভোগ করছেন নিরাপরাধ এক হাছিনা।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার একটি মাদক মামলায় ৬ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ হয়েছিল টেকনাফের হাসিনা আক্তারের। নামের একাংশের সাথে মিল থাকায় তার জায়গায় প্রায় দেড় বছর ধরে সেই সাজা খাটছেন হাছিনা বেগম।
আদালতের নির্দেশে পুলিশের অনুসন্ধান প্রতিবেদনেও এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।
বিষয়টি রবিবার (২ মে) চট্টগ্রাম ৪র্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁইয়ার আদালতের নজরে আনেন তরুণ আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নৌকা ডুবির ঘটনায় ৪ জনের লাশ উদ্ধার
এই অসংগতি ধরা পড়লে আদালত আগামীকাল ৪ মে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা রেজিস্টারে মূল আসামির সাথে সাজা ভোগকারীর ছবি মিল-অমিল তুলে ধরে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন কারা কর্তৃপক্ষকে।
আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, কারাগারে থাকা হাছিনা বেগমের অপরাধীর তালিকায় নাম নেই। অতীতে অপরাধের সাথেও কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। তবুও তিনি জেল খাটছেন। অপরাধ একটাই, সাজাপ্রাপ্ত আসামির নামের প্রথম অংশ ও স্বামীর নামের একাংশের সাথে মিল রয়েছে।
তবে অপরাধীর নামের সাথে মিল থাকলেও বাবা-মায়ের নামের সাথে অমিল রয়েছে। কারাগারে থাকা হাছিনা বেগমের বাড়ি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরী পাড়ার হোসন বর বাড়ি। তিনি হামিদ হোছনের স্ত্রী।
আর সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাসিনা আক্তার একই এলাকার ইসমাইল হাজি বাড়ির হামিদ হোসেনের স্ত্রী।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা ও পরবর্তীতে দায়রা মামলা দায়ের হয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাসিনা আক্তার ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে কারাগারে যান। একই বছর ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে জামিনে বেরিয়ে পলাতক হন।
২০১৯ সালের ১ জুলাই পলাতক থাকা আসামিদের অনুপস্থিতিতে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর ৫ম আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এক রায়ে হাসিনা আক্তারকে ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
পরবর্তীতে টেকনাফ থানা পুলিশ ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর টেকনাফের চৌধুরী পাড়ার হোসেন বর বাড়ি থেকে নামের সাথে সাজাপ্রাপ্ত আসামির নামের একাংশের মিল থাকায় হাছিনা বেগমকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকে কারাগারে হাসিনা আক্তারের সাজা ভোগ করছেন নিরীহ হাছিনা বেগম।
বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে আদালত টেকনাফ থানাকে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের চাহিত সেই অনুসন্ধান প্রতিবেদন রবিবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
আদালতে হাছিনা বেগমের প্রতিবেদন দেয়া টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো: খোরশেদ আলম জানান, বর্তমানে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে থাকা হাছিনা বেগম পূর্বে গ্রেফতার হওয়া হাসিনা আক্তার এক নয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান কারাগারে থাকা হাছিনা বেগমের স্বামী পালাতক থাকায় পূর্ণাঙ্গভাবে তদন্ত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫ মে থেকে গণপরিবহন চলাচলের ঘোষণা
এদিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, প্রকৃত আসামি হাসিনা আক্তার মামলার সাজা হওয়ার আগে ২০১৭ থেকে প্রায় ৯ মাস কারাগারে ছিলেন। সাজা হওয়ার পর ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে হাছিনা বেগম কারাগারে আসেন। কারা রেজিস্ট্রারে থাকা দুজনের ছবির মিল নেই। মূল আসামি হাসিনা আক্তারের ছোট একটা ছেলে ও একটা মেয়ে ছিল কারাগারে থাকার সময়।
হাছিনা বেগমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, হাছিনা বেগম মামলার প্রকৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামি নয় বলে টেকনাফ থানার প্রতিবেদন দিয়েছে। হাছিনা বেগমকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দেয়ার আবেদন করা হয়েছে। আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়েছেন এবং আগামী ৪ মের মধ্যে কারা রেজিস্টার পরীক্ষা করে হাছিনা বেগমের বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য জেল সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
চমেক ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে কর্মবিরতির চারদিন পর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চমেক হাসপাতাল পরিচালকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চমেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির বলেন, চমেক হাসাপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে চলমান এই কর্মবিরতি তুলে নেয়া হয়েছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সব দাবি মেনে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চমেকে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ: ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত
তিনি জানান, তাদের অনেকগুলো দাবির মধ্যে একটি দাবি ছিল- বহিরাগতদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এজন্য তারা তিন দিনের সময় দিয়েছে। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে, আশা করা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুতই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবেন।
ইন্টার্ন ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ডা. তাজওয়ার রহমান বলেন, ‘আমরা আপাতত কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তিন দিনের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে পুনরায় কর্মবিরতিতে যাব।’
এ সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহানা আখতার, পুলিশের ৫ কর্মকর্তা, চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে চমেক ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে দুজন ইন্টার্ন ডাক্তারসহ পাঁচজন আহত হন। এরমধ্যে চমেকের ৫৭তম ব্যাচের ইন্টার্ন ডাক্তার ও বর্তমান সভাপতি হাবিবুর রহমানও ছিলেন। এর জের ধরে গত বুধবার থেকে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
চট্টগ্রামে ৫ মে থেকে গণপরিবহন চলাচলের ঘোষণা
আগামী ৪ মে এর মধ্যে সরকারি সিদ্ধান্ত না এলেও ৫ মে থেকে গণপরিবহন চলাচল করা হবে বলে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহনের মালিক-শ্রমিকেরা।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের স্টেশন রোডে বিআরটিসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সড়ক পরিবাহন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে গণপরিবহন চালুর অনুমতি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পরিবহন মালিকদের ব্যাংক ও কিস্তির সুদ মওকুফসহ ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ।
আরও পড়ুন: লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালুর দাবি পরিবহন মালিক সমিতির
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনে বিপর্যয়ের চিত্র তুলে ধরে গত এক বছরের ব্যাংকের ঋণ কিস্তির সুদের টাকা মওকুফসহ হয়রানি ও পুলিশের মামলা বন্ধ, গাড়ির ডকুমেন্ট হালনাগাদের সময় বৃদ্ধির দাবি করা হয়।
পরিবহন নেতারা অভিযোগ করেন, লকডাউনে শুধু গণপরিবহন বন্ধ রেখে কলকারখানা, শপিংমলসহ সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গণপরিবহন বন্ধ রেখে মোটরসাইকেল, ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সে পুলিশের সামনে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তা ভাবনা করছে: কাদের
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, গণপরিবহন রাস্তায় নামলে সরকারকে বছরে ২৩ হাজার ১০০ টাকা অগ্রিম ট্যাক্স দিতে হয়। বর্তমানে লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ করছেন। দৈনিক ৫ কোটি টাকার আয় থেকে শ্রমিকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনে খাদ্যসামগ্রী পেল কর্মহীন ১২০০ পরিবহন শ্রমিক
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি মো. মূছা, সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতের বিরুদ্ধে সাংসদ মোকতাদিরের মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক উল্লাহসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দেড়শ জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি জমা দেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষে তার আইনজীবী ও শহর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মো. মামুন মামলাটি সদর থানায় দাখিল করেন।
মামলার উল্লেখিত প্রধান দুই আসামি ছাড়াও ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন মাওলানা আশরাফুল হোসেন তপু, বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা আলী আজম, মাওলানা এরশাদ উল্লাহ, মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী, মাওলানা নোমান আল হাবিব, মমিনুল হাসান তাজ, সুলেমান মোল্লা, মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা আব্দুল হাকিম, মাওলানা মনজুরুল হক ও খালেদ মোশাররফ। এছাড়া আরও অজ্ঞাত এক থেকে দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
মামলার বিবরণীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকীয় তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নেতাকর্মীরা। তারা তাণ্ডব চালিয়ে বৈধ সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করে। এরই অংশ হিসেবে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গান পাউডার ও বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভয়াবহ ক্ষতি সাধন করেন। এর আগে হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক উল্লাহ সহ অন্যান্য আসামিদের নির্দেশে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, আইডি ও নিউজ পোর্টালে সাইবার সন্ত্রাস সংগঠিত করে রাষ্ট্রদ্রোহীতামূলক বিদ্বেষ ও ঘৃনামূলক স্ট্যাটাস প্রদান করে জনসাধারনের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এর মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি ঘটে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
শুধু তাই নয়, মামলার এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা উপস্থিত থেকে ইলেকট্রনিক্স বিন্যাসের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা তথ্য সংগ্রহ করে তাদের বক্তব্য জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার নিজস্ব ফেসবুক পেজে প্রচার করে। এরই এক পর্যায়ে গত ৩১ মার্চ আসামিরা তাদের ব্যবহৃত ফেসবুক পেজ জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া এর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য প্রদান করে বাদী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি ঘটনার দায়ভার তার উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।
আসামিদের এরূপ বক্তব্য তাদের ডিজিটাল বিন্যাসের মাধ্যমে জাতীয় ও স্থানীয় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া প্রকাশ ও প্রচার করেন তারা। ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুসলিম জনসাধারণের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ সৃষ্টি করে। এতে আইনশৃংখলার চরম অবনতি হয়। পাশাপাশি সমগ্র দেশে ও বহির্বিশ্বে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে আমি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও প্রপাগান্ডা চালায়। যাহা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর ধারায় অপরাধ সংগঠিত করে। বিষয়টি আমাকে সাক্ষিরা অবগত করলে ঘটনার দ্বিতীয় দিন ২৭ মার্চ ঘটনাস্থলে আমি উক্ত বক্তব্য দেখে স্ক্রিনশট নিয়ে হার্ডকপি সংগ্রহ করি। এসব স্ক্রিনশট মামলায় যুক্ত করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘মামলাটি জমা নেয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ১১ জন গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নতুন করে ইসলামী আন্দোলনের নেতাসহ আরও ১১ হেফাজত কর্মী সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইস উদ্দিন জানান, শুক্রবার ও শনিবার দিনগত রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, হেফাজতে ইসলামের আহ্বানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্ররা গত ২৭ মার্চ জেলা সদরে রাধিকা বাজারে মিছিল এবং রাস্তায় গাছের গুড়ি ও টায়ারে আগুন জালিয়ে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনায় জড়িত ইসলামি আন্দোলন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার মহিলা ও পরিবার কল্যান সম্পাদক, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির মাওলানা নিয়াজুল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
পুলিশ ঘটনার সময় ধারণ করা স্থির চিত্র এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্তদেরকে সনাক্ত করছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
পুলিশ সূত্র জানায়, হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সর্বমোট ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪ টি ও সরাইল থানায় ২ টি সহ সর্বমোট ৫৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়। এসকল মামলায় এ পর্যন্ত ৪০৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফেনীতে ‘ছেলের’ হাতে বাবা খুন
ফেনীর সদর উপজেলার পূর্ব দেবীপুর গ্রামে শনিবার পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলের মারধরে এক ব্যক্তি খুন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত মো: সাইদুল হক (৮০) ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ছেলের হাতে মা হত্যার অভিযোগ
নিহতের পারিবারের বরাত দিয়ে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, সাইফুল (৩৫) শনিবার ইফতারের আগে পারিবারিক কলহের জের ধরে তার বাবার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সাইফুল বাঁশের লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করলে সাইদুল ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আরও পড়ুন : মাগুরায় ভাইয়ের হাতে পুলিশের এসআই খুন
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও স্ত্রী নাসিমা আক্তারসহ বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় অভিযুক্ত সাইফুলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ৬ হেফাজত কর্মী গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত তাণ্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয় হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
এর মধ্যে গত ২৭ মার্চ হরতাল সমর্থনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাধীন রাধিকা বাজারে মিছিল ও রাস্তায় গাছের গুড়ি ও টায়ারে জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনায় জড়িত ইসলামী আন্দোলন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির মাওলানা নিয়াজুল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হেফাজতের তাণ্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯, আশুগঞ্জ থানায় চার ও সরাইল থানায় দুটিসহ মোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের জেলা সহকারী প্রচার সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার ১০
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় চাকরিচ্যুত কর্মচারীর ছুরিকাঘাতে কর্মকর্তা খুন
কুমিল্লা ইপিজেডের একটি জুতা ফ্যাক্টরির চাকরিচ্যুত কর্মচারীর ছুরিকাঘাতে প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার বিকালে ইপিজেড গেট সংলগ্ন রোসা ও স্বপ্ন সুপার শপের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল বাশার সুমন (৩২) সদর দক্ষিণ উপজেলার মান্দারী গ্রামের আবদুল মমিন মাস্টারের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ছেলের হাতে মা হত্যার অভিযোগ
সহকারী পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার পাল জানান, বিকাল সাড়ে ৪টায় ইপিজেডের জিং চ্যাং সু ফ্যাক্টরির মানব সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা সুমন কাজ শেষে তার অপর সহকর্মীসহ একটি মোটরসাইকেলযোগে ইপিজেডের গেট পার হবার পর সদ্য চাকরিচ্যুত তিন শ্রমিক মোটরসাইকেল আটকায়। এ সময় তারা তাদের চাকরিচ্যুত করা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুমনের পায়ে উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সন্ধ্যা ৬টায় তিনি মারা যান। অতিরিক্তর রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।
তিনি জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়েছে। এ ব্যাপারে সদর দক্ষিণ থানায় মামলা হয়েছে।
হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও ৫ জন গ্রেপ্তার
হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের তাণ্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৫ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
হেফাজতের তাণ্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪ টি ও সরাইল থানায় দুটি সহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৯২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রামে থানার সামনে সৎ ভাইকে জবাই করে হত্যা
চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানার সামনে ১০০ গজের মধ্যে সৎ ভাইকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত মো. কায়সার (৪৫) একই এলাকার বাসিন্দা ও সাবেক রেলওয়ে কর্মচারী মৃত জমির আহমদের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কায়সারের মৃত্যু হয়। এর আগে রাত ১১টার দিকে দুই পরিবারের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সৎ ভাই সাজ্জাদ হোসেন ও তার সহযোগীরা বাড়ীর কাছে কায়সারকে ছুরিকাঘাত ও গলায় ছুরি চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর পরই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বৃদ্ধ মাতব্বরকে কুপিয়ে ‘হত্যা’
নিহত কায়সারের পরিবারের সদস্যরা জানান, সাজ্জাদ হোসেন যুবলীগের নাম ব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। এর আগে ২৭ মার্চ আমাদের অপর ভাই মাইনুদ্দিন উজ্জলকে ছুরিকাঘাত করেছে।
এদিকে ঘটনার পরপরই পাহাড়তলী থানা পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: রংপুরে মেয়েকে জবাই করে হত্যা, মায়ের স্বীকারোক্তি
এ ব্যাপারে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম হোসেন বলেন, পারিবারিক জায়গা সম্পদ নিয়ে সৎ ভাই বোনদের বিরোধের কারণে দুই পরিবারে ঝগড়ার মধ্যে বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে সৎ ভাই খুন হয়েছে। দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে থানায় বৈঠক বসে মিমাংসার চেষ্টা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় দিনেদুপুরে ঘরে ঢুকে বন্ধুকে জবাই করে হত্যা!
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরপরই বড় পরিবারের ৩ ভাইকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলা প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।