চট্টগ্রাম
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
কুমিল্লার হোমনায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুল শিক্ষক নিহত এবং এক নারী আহত হয়েছেন। রবিবার দুপুরে হোমনা কৃষি ইনস্টিটিউটের নিকটে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মাওলা হোসেন (৩৩) উপজেলার ঘনিয়ারচর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং ঘনিয়ারচর গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
আহত দিপালী বেগম (৪৫) উপজেলার বাগমারা গ্রামের বাবুল মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার দুপুরে হোমনা কৃষি ইনস্টিটিউটের নিকটে কুমিল্লাগামী একতা সার্ভিসের একটি বাস গৌরীপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজি অটোরিকসাকে মুখোমুখি চাপা দিলে শিক্ষক মো. মাওলা ও দিপালী বেগম আহত হন।
মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত শিক্ষক এবং হাত, পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত আহত নারীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিক্ষক মাওলাকে ঢাকায় রেফার এবং আহত দিপালী বেগমকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাসরিন সুলতানা সুমি বলেন, শিক্ষক মাওলা হোসেন মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। আশঙ্কাজনক আবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আহত নারী দিপালী বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞাতনামা বাসটি শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: উলিপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলা করতে এসে অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝির ওপর হামলা করতে এসে অন্যান্যদের প্রতিরোধে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শনিবার রাতে ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় রমিদা বেগম নামে এক রোহিঙ্গা নারী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ৮ এপিবিএনের কমান্ডিং অফিসার আমির জাফর বলেন, ১৩ নম্বর ক্যাম্পের জি-১ ব্লকের সাব-মাঝি সৈয়দ হোসেনের ওপর হামলা করতে আসে ২৫/৩০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সৈয়দ হোসেনের মা রমিদা বেগম গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করে। এতে অজ্ঞাত ওই সন্ত্রাসী নিহত হয়। তার লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
আরও পড়ুন: টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে আরসার গোলাগুলি, নিহত ২
কক্সবাজারে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে দস্যুদের গুলিতে ৪ বনকর্মী আহত
কক্সবাজারে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে দস্যুদের গুলিতে চার বনকর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার (৬ মে) রাত ৮টার দিকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী রির্জাভ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- গোলাম জিলানী মিয়াজী, সূর্য কুমার সিংহ, শাহিদুল মোস্তফা, রহিম উদ্দিন। আহতরা সবাই মালুমঘাট বন বিভাগের গার্ড সদস্য।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে র্যাবের বিশেষ অভিযান
তিনি জানান, একদল সশস্ত্র দস্যু মালুমঘাট বনবিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কাঠ ও ঘর নির্মান করছিল। সংবাদ পেয়ে মালুমঘাট বনবিটের একদল বনকর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ সময় সশস্ত্র দস্যুরা বনকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কর্মীদের এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। বনকর্মীরাও পাল্টা গুলি চালায়। বনদস্যুদের গুলিতে চারজন বনকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে বনবিভাগ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাতিয়ায় দুই দস্যু গ্রুপের গোলাগুলি, অস্ত্রসহ আটক ৫
উখিয়ায় ১২০ কোটি টাকা মূল্যের ‘আইস’ জব্দ, আটক ৪: র্যাব
কক্সবাজারের উখিয়া পালংখালী সীমান্ত থেকে ২৪ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) এর একটি চালান জব্দের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় চারজনকে আটক করা হয়।
র্যাবের দাবি, এটি দেশে জব্দ হওয়া মাদকটির সর্বোচ্চ চালান।
শনিবার (৬ মে) রাত ৯টার দিকে উখিয়া পালংখালী সীমান্তে অভিযান চালিয়ে আইসের চালানটি জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ক্রিস্টাল মেথসহ বাসচালক-হেলপার আটক
তিনি বলেন, র্যাবের অভিযানে কক্সবাজারের পালংখালী সীমান্ত থেকে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৪ কেজি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে উদ্ধার হাওয়া আইসের মূল গডফাদারকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রবিবার (৭ মে) কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর কার্যলয়ে বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্রিস্টাল মেথের চালান জব্দ: বিজিবি
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলে সংখ্যালঘুরা নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে: রানা দাশগুপ্ত
আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নের জন্যে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।
তিনি বলেছেন, ‘অন্যথায় আগামী সংসদ নির্বাচনে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুরা সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে।’
শনিবার (৬ মে) চট্টগ্রাম সংগঠনের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রকৌশলী পরিমল কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে নগরীর মোমিন রোডস্থ মৈত্রী ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের মোট ১৩টি জেলা ও মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
সভায় অ্যাডভোকেট দাশগুপ্ত সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিচালিত মানবাধিকার আন্দোলনের এক পর্যায়ে সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ওপরে আমরা শেষ ভরসা রাখতে চাই। তিনি তার নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলো অচিরেই বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করি।’
অ্যাডভোকেট দাশগুপ্ত ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ভোটারদের অবজ্ঞা, অবহেলা ও উপেক্ষা না করার জন্য সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কোনো চাপে নেওয়া হয়নি: সিইসি
রাখাইন রাজ্য পরিদর্শন করেছে প্রতিনিধি দল, রোহিঙ্গাদের দাবি নাগরিকত্ব
রোহিঙ্গাদের ২০ সদস্যসহ ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল শুক্রবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে বাংলাদেশে ফিরেছেন।
প্রতিনিধি দল ফিরে আসার পর কক্সবাজারের টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটে ব্রিফিংয়ে দুই রোহিঙ্গা নেতা বক্তব্য দেন।
এরপর প্রতিনিধি দলের প্রধান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার বাংলাদেশের কাছে একমাত্র সমাধান হচ্ছে প্রত্যাবাসন। সে নিরিখে মিয়ানমারের কাছে বাংলাদেশের প্রস্তাব ছিল- যারা প্রত্যাবাসিত হবে সে সকল রোহিঙ্গাদের যাতে তাদের অ্যারেঞ্জমেন্ট দেখানো হয়। সে নিরিখে আমরা এটির নাম দিয়েছিলাম ‘গো অ্যান্ড ভিজিট’।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। আমরা ২০ জন রোহিঙ্গা নিয়ে মিয়ানমারের মংডুর আশেপাশে যেখানে তাদের জন্য যেসব অ্যারেঞ্জমেন্ট করা হয়েছে সেগুলো ঘুরে দেখার পর আজকে আমরা ফেরত আসলাম। প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারের সদিচ্ছা দেখেছি। আমরা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির 'নীরব সাক্ষী' জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ: রাষ্ট্রদূত মুহিত
কমিশনার বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরাও ছিলেন। মূলত তাদের জন্যই এই আয়োজন। তারা প্রত্যাবাসিত হবে, তাদেরকে স্বচক্ষে তা দেখানো হয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ব্রিফ করেছে, বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ফিরে দেখিয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এখানে আসবে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আরও কথা বলবে। সবকিছু করা হয়েছে তাদের কনফিডেন্স বৃদ্ধির জন্য, তাদের আশ্বস্ত করার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল আসার পর প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মংডু শহরে প্রচুর রোহিঙ্গা আছে। আমি যতটুকু তথ্য নিলাম সেখানে প্রায় ৮০ শতাংশ রোহিঙ্গা ব্যবসা করছে। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না, এমনটাই জানিয়েছে।’
শুক্রবার যে প্রতিনিধি দলটি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুতকৃত ১৫টি গ্রাম ও সেখানে নির্মিত অন্যান্য অবকাঠামোগুলো পরিদর্শনে গেছেন ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন মো. মিজানুর রহমান। তিনি ছাড়াও প্রতিনিধি দলে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার-২ (অতিরিক্ত সচিব) মোহা. খালিদ হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব বিশ্বজিৎ দেবনাথসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য আরও সমর্থন বাড়ান: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
২০ সদস্যের রোহিঙ্গা দলে তিনজন রোহিঙ্গা নারীও ছিলেন। ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল মিয়ানমার রাখাইন রাজ্য পরিদর্শন শেষে বিকাল ৫ টা ৫০ মিনিটে টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি ঘাটে পৌঁছান। এর আগে তারা একই দিন সকাল ১০টায় মিয়ানমারের উদ্দেশে টেকনাফ ছাড়েন।
প্রতিনিধি দলের রোহিঙ্গা সদস্য ও ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘অনেক বছর পর আমাদের দেশ মিয়ানমার দেখার সুযোগ হয়েছে। আমরা মিয়ানমার গেছি, আমাদেরকে ক্যাম্পগুলো দেখিয়েছে। আমরা জানতে চাইলাম, ক্যাম্প কেন, কার জন্য? তারা বলেছে, আপনাদের জন্য। আমরা বলেছি, আমরা যদি সিকিউরিটি না পাই, নাগরিকত্ব কার্ড না পাই তাহলে কি হবে। তখন তারা জানিয়েছে, এনভিসি কার্ড নিতে হবে। আমরা বলেছি এনভিসি কার্ড অতিথিদের জন্য, আমরা এনভিসি কার্ড নেওয়া মানে আমরাও অতিথি বা মেহমানের মতো। এক্ষেত্রে আমরা কোনো জমির মালিক হতে পারব না, নাগরিকত্ব পাব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দাবি করেছি, আমাদের গ্রামে আমাদের ভিটা-জমি ফিরিয়ে দিতে, তখন আমরা নিজেদের টাকায় ঘর তৈরি করে থাকব। আমাদের শেষ কথা হয়েছে যে আমাদের নিরাপত্তা, নাগরিকত্ব, ভিটে-মাটি না দিলে আমরা মিয়ানমার ফিরে যাব না।’
প্রতিনিধি দলের সদস্য ও ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা সুফিয়ান বলেন, ‘সেখানে গিয়ে আমরা আমাদের দাবি দিয়েছি। আমাদের নাগরিকত্ব দাবি করেছি, ভিটামাটি দাবি করেছি, সেগুলো ফেরত দিলে আমরা যাব, সেটা জানিয়ে এসেছি। আমাদের গ্রামের জায়গাগুলো ঘুরে দেখেছি, কিন্তু সেখানে যাওয়ার মতো এখনও সুযোগ দেখছি না দাবি আদায়ের আগে। আমরা এখানে (বাংলাদেশে) থেকেই ওই দাবি আদায় করে তারপর মিয়ানমার ফিরতে চাই।’
উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশ থেকে আট লাখের বেশি রোহিঙ্গার একটি তালিকা পাঠানো হয় মিয়ানমারের কাছে। ওই তালিকা থেকে ফেরত নিতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রথম দফায় প্রায় এক হাজার ১৪০ জনকে নির্ধারণ করে দেশটি। সেখান থেকে ৪২৯ জনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল মিয়ানমার। পরে গত ১৫ মার্চ ১৯ সদস্যদের একটি টেকনিক্যাল টিম বাংলাদেশের টেকনাফে এসে ১৭৭ রোহিঙ্গা পরিবারের ৪৮০ জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মিয়ানমারে ফিরে যায়।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবাসন ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখাইনের উদ্দেশে রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল
সন্দ্বীপে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৫ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড এর শেখ মাহারুপ গোমস্তার পূর্ব বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হল ওই বাড়ির মোহাম্মদ মিলাদের ছেলে নাইম (৭) ও তার বোনের মেয়ে মাহিরা (৮)।
মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম এ ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরে এক নম্বর ওয়ার্ডে দুটি বাচ্চা পুকুরে পড়ে মারা গেছে শুনেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আকরাম জানান, সকালের দিকে শেখ মাহারুপ গোমস্তার পূর্ব বাড়ির দুই শিশু খেলতে গিয়ে বাড়ির পুকুরে পড়ে নিখোঁজ হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে পুকুর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করে।
তিনি আরও জানান, নিহতদের মধ্যে এক শিশু নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে মামাতো ফুফাতো ভাই-বোন খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: যশোরে ভৈরব নদীতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
তেঁতুলিয়া নদীতে ট্রলারডুবে নিহত ১, নিখোঁজ ৪
গাজীপুরে রিসোর্টের পুকুরে ডুবে ২ ছাত্রের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে মসজিদে সংঘর্ষ, নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জুমার নামাজে লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে কিল-ঘুষিতে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় পৌর এলাকার আলমনগরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সিজল মিয়া (৫০) ওই এলাকার মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, একই এলাকার শাহ আলম ও সিজল মিয়ার মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় কিল-ঘুষিতে সিজল মিয়া আহত হলে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় নুরে আলম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাহত এসআই বিপদমুক্ত নয়: চিকিৎসক
চট্টগ্রামে মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু হত্যা, গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁওয়ের পশ্চিম মোহরা এলাকা থেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করা এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার প্রতিবেশি দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার ভোরে পার্শ্ববর্তী গোলাপের দোকান মাজার গেইটে নির্মাধীন ভবনের রুমের মাটি খুঁড়ে শিশুটির লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. শফিউল ইসলাম রহিম (১১) ওই এলাকার সেলিম উদ্দীনের ছেলে। সে পশ্চিম মোহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
আরও পড়ুন: ঘোড়াঘাটে চুরির অপরাধে কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলেন- চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই সড়কর চাঁন মিয়া ফকিরের বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. আজম খান (৩২) এবং পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে মুজিবুর দৌলা হৃদয় (২৮)।
পুলিশ জানিয়েছে, ৫০ হাজার টাকার জন্য শিশুটিকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। আজম খানকে নগরীর হালিশহর এলাকা থেকে এবং তার সহযোগী মুজিবুর দৌলা হৃদয়কে বাকলিয়ার বলীরহাট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে শিশুটির প্রতিবেশি আজম খান ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের জন্য শিশুটিকে অপহরণ করে এবং ওইদিনই শিশুটিকে নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়। আজম খান আমাদের কাছে স্বীকার করেছে সে এক মাস আগে থেকে অপহরণের পরিকল্পনা করেছে। শুধু কি টাকার জন্য শিশুটিকে হত্যা করেছে নাকি অন্য কোনো মোটিভ আছে তা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ এপ্রিল বিকালে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ওই শিশু। নিখোঁজের পর ইন্টারনেট ব্যবহার করে ওইদিনই ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি।
এ ঘটনায় শিশুর বাবা চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত প্রতিবেশি আজমকে শনাক্ত করা হয়। ওই দিনই নিখোঁজ শিশু ও আজমকে একসঙ্গে দেখা যায়। বুধবার আজমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আজম খান শিশু শফিউলকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তার দেখানো তথ্যমতে বৃহস্পতিবার ভোরে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে আজমের বন্ধু মুজিবুর দৌলা হৃদয় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভাইকে হত্যা: ৩০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
পলাশবাড়ি পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার
অপরাধীরা ভালো পথে আসতে চাইলে সুযোগ দেওয়া হবে: আইজিপি
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিচালক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে যে জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে, এর আলোকে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, যদি কোনো অপরাধী ভালো পথে ফেরত আসতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই সুযোগ দেওয়া হবে। এ কারণে আমরা দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা করতে পেরেছেন।
এছাড়া যেসব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের মধ্যে কেউ কি অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে কিনা আমরা তাদের প্রতি দৃষ্টি রেখেছি।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: আইজিপি
বুধবার (৩ মে) বিকাল ৩টার দিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ কার্যালয় প্রাঙ্গনের সাংবাদিকদের এক প্রেসব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন।
এসময় কক্সবাজার পুলিশ সুপার ছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন’র তিন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজিরা উপস্থিত ছিলেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প সহ দেশে নানা অপরাধ বিষয়ে আইজিপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সারাদেশে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে সব আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। সকলে মিলে দেশে ভাল কাজগুলো করছি।
তিনি আরও বলেন, অপরাধ যেখানে সংগঠিত হচ্ছে সেখানে পুলিশ পৌছে যাচ্ছে। অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না। যে যত বড় অপরাধী হউক না কেন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের বিভিন্ন কৌশলে প্রথমে অপরাধীদের তালিকা করি। যদি ওই অপরাধের প্রমাণ মেলে তাদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
এছাড়া কোন ঘটনা যদি সংঘটিত হলে কাউকে আমরা ছাড় দিচ্ছি না।
তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যে আইনশৃঙ্খলার স্বাভাবিক গতি ভঙ্গ করার চেষ্টা করবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভাসমান ট্রলার থেকে ১০ জনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আইজিপি বলেন, মহেশখালী ট্রলারের যে ১০ জনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেটা যাই হোক না কেন ১০টি প্রাণহানি তো হয়েছে। ঘটনাটি আমি শুনার পর আমি ডিআইজিকে দ্রুত তদন্ত করতে বলেছি। এবং সিআইডি টিম পাঠিয়েছি।
এই ঘটনায় সকল ডিপার্টমেন্ট গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আসামি ধরা পরছে। তারা ১৪৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। আমরা আশা করছি এই তদন্তে ভালো কিছু আসবে।
সম্প্রতি সময়ে টেকনাফ অপহরণের বিষয়ে আইজিপি বলেন, কোন ঘটনা ঘটলে সেটা আমরা কাজ করছি। এই ঘটনায় তদন্তে আমাদের বেশ সফলতাও এসেছে। এই ঘটনা গুলো যারা ঘটাচ্ছেন তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এই ঘটনায় যে জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য সবাইকে অনুরোধ করবো, প্রয়োজনে জরুরি সেবা ৯৯৯ মাধ্যমে আমাদের জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটালে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি
সিটি নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চ্যালেঞ্জ নেই: সিলেটে আইজিপি