বরিশাল
ক্লাস ফাঁকি দিয়ে টিকটক: বরিশালে স্কুল থেকে ছাড়পত্র পেল ৩ ছাত্রী
বরিশালে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে টিকটক করায় তিন ছাত্রীকে ছাড়পত্র দিয়েছে হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা সবাই নবম শ্রেণির ছাত্রী, তবে তাদের নাম প্রকাশ হয়নি।
সোমবার (২১ আগস্ট) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম ফখরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশ বাহিনী নিয়ে অবমাননাকর টিকটক করায় যুবক আটক
তিনি বলেন, নবম শ্রেণির ওই তিনছাত্রী স্কুলড্রেস পড়া অবস্থায় ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ছেলে বন্ধুদের নিয়ে নৌকায় ঘুরে বেড়াত। টিকটকে ব্যস্ত থাকতো। এছাড়া শ্রেণি শিক্ষকদের দেয়া মতামতে তাদের ক্লাস পারর্ফমেন্সও ন্যূনতম ছিল না। আমরা তাদের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও পেয়েছি। সেগুলো তাদের অভিভাবকদের সামনে উত্থাপন করি এবং ছাড়পত্র দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: টিকটক-লাইকি ভিডিওর ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা
প্রধান শিক্ষক এসএম ফখরুজ্জামান বলেন, আমাদের কঠোর হতে হয়েছে কারণ তাদের নিয়ম মেনে না চলার প্রভাব হয়তো বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ওপর পড়তে পারে। তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে, ভিডিও বানাচ্ছে-এসব অন্য শিক্ষার্থীরা দেখলে তারাও ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এমন কাজ করতে চাইবে। তখন বিদ্যালয়ের নিয়মানুবর্তিতা লঙ্ঘিত হবে। এজন্য এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
বরিশালে শোক সভায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
বরিশালে জাতীয় শোক দিবস ও একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। রবিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নগরীর ২১নং ওয়ার্ডের অক্সফোর্ড মিশন রোডে এই ঘটনা ঘটে।
তবে ছাত্রলীগের এই অপ্রীতিকর ঘটনার খবর জানা নেই বলে দাবি করেছেন মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শোক দিবস ও একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা এবং দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় টোল প্লাজায় হামলা: ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি গঠন
অনুষ্ঠানের শুরুতে সামনে দাঁড়ানো নিয়ে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরোধ বাঁধে। এই সময় উপস্থিত নেতারা তাদের শান্ত করে। এরপর অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করা সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ আবারও হামলায় জড়িয়ে পড়ে এবং চেয়ার ভাঙচুরও করে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্না বলেন, ‘অনুষ্ঠান শেষে আমরা সবাই বেরিয়ে এসেছি। যতসময় অনুষ্ঠান হয়েছে ততক্ষণে কোন ঘটনা ঘটেনি। আমরা বেরিয়ে আসার পরে কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই।
আরও পড়ুন: চমেকে জোনায়েদ সাকির ওপর ছাত্রলীগের হামলা
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো ধরনের মারামারির খবর জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বঙ্গোপসাগরে ভোলার ৬ ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ৫৯ জেলে উদ্ধার
তীব্র ঝড়ো আবহাওয়ায় গভীর সাগরে ডুবে যাওয়া ভোলার ছয়টি ট্রলারের নিখোঁজ ৬০ জেলের মধ্যে রবিবার ৫৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব কুমার বলেন, লালমোহন উপজেলার চতলা গ্রামের আবুল কালাম নামের এক জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ছয়টি ট্রলার ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো হলো- এফভি লামিয়া, মজিবুল শেখের ট্রলার, সাইফুল মাঝির ট্রলার, জাকির মাঝির ট্রলার, নিজামুদ্দিন মাঝির ট্রলার ও নূরুদ্দিন মাঝির ট্রলার।
ইউএনও আরও বলেন, ডুবে যাওয়া ফারুক মাঝির মালিকানাধীন ট্রলার থেকে চার জেলেকে ভারতীয় নৌবাহিনী উদ্ধার করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছেন।
তিনি বলেন, অন্যান্য নিখোঁজদের সুন্দরবন ও হাতিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ইউএনও বলেন, উদ্ধার হওয়া জেলেরা রবিবার অন্য একটি ট্রলারে করে ভোলায় ফিরছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগর থেকে ১৩ জেলে উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারডুবি: ১৭ জেলে উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে আটকা পড়া ৭ জেলে উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারডুবি: ১৭ জেলে উদ্ধার
ঝড়ের কবলে পড়ে ভোলার লালমোহন উপজেলার ৬০ জন জেলেসহ মাছ ধরার চারটি ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও ১৭ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকালে উদ্ধার হওয়া ওই জেলেদের চালনাবয়া এলাকা থেকে অন্য একটি ট্রলার ‘এফবি সাগরকন্যা’ মহিপুরে নিয়ে আসে। তবে এখনও ৩০ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
জানা যায়, উদ্ধার হওয়া এই ১৭ জেলেই কক্সবাজারের ‘এফবি আমজাদ’ নামক ট্রলারের। বঙ্গোপসাগরের চালনার বয়া এলাকা থেকে ঢেউয়ের তোড়ে তাদের ট্রলারের তলা ফেটে তারা ডুবে যায়।
এর আগে শুক্রবার রাতে বঙ্গোপসাগরে কক্সবাজার ফিশিং গ্রাউন্ড পয়েন্টে ৬০ জন জেলেসহ চারটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। এসময় ১৩ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগর উত্তাল: নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরছেন জেলেরা
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লালমোহন বাতির খাল এলাকার হারুন অর রশিদ ফারুকে এফভি লামিয়া, লর্ডহার্ডিঞ্জ বুড়িরধোন এলাকার নূরুউদ্দিন মাঝির ট্রলার ও গাইট্টা এলাকার নাজিম উদ্দিন মাঝির ট্রলারসহ আরও একটি ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
লালমোহনে উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা তানভির আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারে ৬০জন মাঝি-মাল্লা ছিলেন। এদের মধ্যে ১৩ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পরে খবর নিয়ে উদ্ধার হওয়া জেলেদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান চলছে।
ডুবে যাওয়া বাতির খাল এলাকার এফভি লামিয়া নামের একটি ট্রলারের মালিক হারুন অর রশিদ ফারুক জানান, গত ১৭ আগস্ট দুপুরে বাতিরখাল ঘাট থেকে ১৩ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে গভীর সমুদ্রে যায় তার ট্রলার। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে বোটটি হঠাৎ গভীর সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। জেলেদের সন্ধান না পেলেও শনিবার সকালে সুন্দরবন এলাকা থেকে ফোনে জানতে পারেন, অন্য দুটি বোটে আট জন জেলে উদ্ধার হয়েছে। তারা সুন্দরবন এলাকায় আছে। বাকী পাঁচজনের এখনও কোন সন্ধান পাননি বলে জানান এই ট্রলার মালিক।
তার ট্রলারের নিখোঁজ জেলেরা হলেন- আব্দুল মোতালেব, আবুল কালাম, আরিফ, নিরব ও মাকসুদ।
অপর দিকে লালমোহনের লর্ডহার্ডিঞ্জ এলাকার বাকি তিনটি ডুবে যাওয়া ট্রলারের পাঁচজন উদ্ধার হওয়ার পর নোয়াখালীর হাতিয়ায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
ঝালকাঠিতে এসির বিষাক্ত গ্যাসে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
ঝালকাঠির রাজাপুরে এসি থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের ছেলেসহ আহত হয়েছেন আরও তিনজন। শনিবার সকালে উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের চান্দের বাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মো. ফোরকান হাওলাদার (৫৫) ও তার স্ত্রী মাহিনুর বেগম (৪৫)।
দুর্ঘটনায় আহত ফোরকানের ছেলে মাঈনুল, নিহতের ভাইয়ের বউ মাহফুজা আক্তার ও ভাইজি সারা মনিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাতুরিয়ার আমতলা বাজারের ব্যবসায়ী ফোরকান হাওলাদার জেনারেটর চালিয়ে বাড়ির একটি কক্ষে এসি চালু করেন। এরপর স্ত্রী মাহিনুর বেগম, ছেলে মাইনুল ইসলাম, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মাহফুজা বেগম ও ভাইয়ের মেয়ে সারামণি ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে এসিতে বিকট শব্দ হয়। এরপরই ওই কক্ষে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই কক্ষে ঘুমিয়ে থাকা পাঁচজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বড়ভাই সেলিম হাওলাদার বেলা ১১টার দিকে অন্য লোকজনের সহযোগিতায় গেটের তালা ভেঙে বিষাক্ত কক্ষ থেকে তাদের উদ্ধার করেন। এর মধ্যে ব্যবসায়ী ফোরকান হাওলাদার ও তাঁর স্ত্রী মাহিনুর বেগমকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আহতদের অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, জেনারেটর দিয়ে এসি চালানোর কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০
অভিনেত্রী শাওনের বাসায় এসি বিস্ফোরণ থেকে আগুন
গাজীপুরে এসি বিস্ফোরণে আহত ৪
ঝড়ের কবলে লঞ্চ, ৭০ যাত্রী উদ্ধার
বৈরি আবহাওয়ার কবলে আটকে পড়া ঢাকাগামী এম ভি আল-ওয়ালিদ-৯ লঞ্চের ৭০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কে এম শাফিউল কিঞ্জল।
কোস্টগার্ড জানায়, শুক্রবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে এম ভি আল-ওয়ালিদ-৯ লঞ্চটি ৬০ থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। রাতে সোয়া ১২ টার দিকে লঞ্চটি মেহেন্দিগঞ্জের কালিগঞ্জ উলানিয়া লঞ্চঘাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়ে। এসময় লঞ্চটি কালিগঞ্জ উলানিয়া লঞ্চঘাটের পল্টুন সংলগ্ন ব্লকের ওপর উঠে যায়।
বিষয়টি কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অধীনস্থ কালীগঞ্জ স্টেশনের সদস্যরা অবগত হয় এবং দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় লঞ্চের ৬০-৭০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
আরও খবর: বরিশালে পানিতে ডুবে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
বরিশাল লঞ্চঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে অন্তত ১৬০ জেলেসহ ১১টি মাছধরার ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও ৩৪ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে এই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-এফবি রফিক মিঝি ট্রলার মালিক রফিক মিঝি (৬০) এবং মোহাম্মদ (৩) ট্রলারের জেলে বাবুল (৩৫)।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো মধ্যে এমবি মা-মনি (৩), এফবি সাইফুল, এফবি আল মামুন, এফবি কুলসুম, এফবি রফিক মিঝি, এফবি নুরবানু ও এফবি মায়ের দোয়া রয়েছে। এছাড়া নামবিহীন ভোলার চরফ্যাশনের একটি, গলাচিপার পানপট্রির একটি, কলাপাড়ার লালুয়ার একটি ও বরগুনার নাপিতা এলাকার একটি রয়েছে।
আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগর উত্তাল: নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরছেন জেলেরা
মহিপুর আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা জানান, নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন ও আলীপুর মৎস্য বন্দর এলাকায়।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, সাগরের অস্বাভাবিক ঢেউ এবং ঝড়ের কবলে পরে তাদের ট্রলারগুলো ডুবে যায়। এসময় পাশে থাকা অন্য ট্রলারের মাধ্যমে অন্তত ১২৬ জেলে উদ্ধার হলেও ৩৪ জেলে নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে নিখোঁজ ১৪ জেলে এফবি কুলসুম ট্রলারে ছিল। আর ১৮ জেলে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের এবং এফবি রফিক মিঝি ট্রলার ও মোহাম্মদ (৩) ট্রলারের একজন করে রয়েছে।
উদ্ধারকৃত জেলেরা কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাপাতাল ও মহিপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
নিজামপুর কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার সেলিম মন্ডল জানান, সাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। আমাদের টহল টিম সাগরে রয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
‘টবগী-১’ খনন শুরু, গ্যাস সংকট কাটাতে সহায়তার আশা
দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের উন্নয়ন কূপ ‘টবগী-১’ খনন শুরু করেছে পেট্রোবাংলা।
নুতন এ কূপ খননের মাধ্যমে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্যাস সংকট কাটাতে সহায়তার আশা পেট্রোবাংলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স)।
রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গ্যাস জায়ান্ট গ্যাজপ্রমকে ‘টবগী-০১’ কূপ খননের জন্য ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বাপেক্স অস্থির বৈশ্বিক তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) বাজারে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারের উদ্যোগের একটি অংশ হিসেবে গ্যাজপ্রমকে নিয়োগ করেছে।
শুক্রবার সকালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নে নতুন এ কূপ খনন কাজের উদ্বোধন করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুবর হোসেন। এসময় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
খনন কাজ উদ্বোধনের পর পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জানান, দেশীয় গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ কূপটি তিন হাজার ৫০০ মিটার পর্যন্ত গভীরে খনন করা হবে। আজকে যে খনন কাজ শুরু হলো তা থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করেন তিনি। যা গ্যাস সংকট পূরণে সহায়তা করবে।
বাপেক্সের ব্যববস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এ কূপ খনন তার মধ্যে অন্যতম। খনন কাজের মধ্যদিয়ে গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর প্রক্রিয়া আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
আরও পড়ুন: কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্র: ১০ মে থেকে আসবে ১৭-১৯ এমএমসিএফডি গ্যাস
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, বাপেক্সে নকশা ও লোকেশন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার গ্যাজপ্রম কূপ খনন কাজ পরিচালনা করছে। শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে এর আগে চারটি কূপ ও শাজবাজপুর ইস্ট নামের আরও একটি কূপ খননের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ‘টবগী-০১’ ষষ্ঠ কূপ।
এছাড়াও এর আগে ভোলা সদর উপজেলায় ভোলা নর্থ নামের আরেকটি কূপ খনন করা হয়েছে। এরপর সদর উপজেলার ইলিশা এলাকাসহ আরও দুটি কূপ খনন করা হবে বলে বাপেক্স এমডি জানিয়েছেন। এর মধ্যে শাহবাজপুরের চারটি কূপ থেকে ভোলার বিদ্যুৎ প্লান্ট ও তিন হাজার গ্রাহককে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। শাহবাজপুর ও ভোলা নর্থ কূপে দেড় টিসিএফ গ্যাস মজুদ আছে যা আরও বাড়বে বলে আশা বাপেক্সের।
আরও পড়ুন: বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে পুনরায় পূর্ণ উৎপাদন শুরু
বরগুনায় ছাত্রলীগকে লাঠিপেটা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী প্রত্যাহার
বরগুনায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ করা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে ও তদন্তের স্বার্থে মহরম আলীকে বরিশালে আমার কার্যালয়ে নিযুক্ত করা হয়েছে।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, বরগুনার ঘটনা দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। ওই ঘটনায় পুলিশের পেশাদারিত্ব কতটা ছিল, ঘটনাস্থলে কি কি হয়েছে সব কিছুই তদন্ত করা হবে। ছাত্রলীগের দুটি ধারার এক পক্ষ পুলিশের প্রশংসা করেছে, আরেক পক্ষ সমালোচনা করছে। তবে পুলিশ তার নিরপেক্ষ অবস্থান থেকেই সবকিছুর তদন্ত করবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এসময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ নিয়ে বরগুনা সদর আসনের সাংসদ ধীরেন্দ্রদেবনাথ শম্ভুর সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর কথা কাটাকাটি হয়। সাংসদের সামনেই মারধর ও লাঠিপেটা করা হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।
আরও পড়ুন: শিক্ষক লাঞ্ছিত: নড়াইল থানার ওসি প্রত্যাহার
সাংবাদিক হেনস্তা: চট্টগ্রামে হাইওয়ে পুলিশের এএসআইসহ ৫ পুলিশ প্রত্যাহার
বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাস চালকের সহকারীর মৃত্যু
বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল মসজিদের সামনে রবিবার বিকালে এক বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২৫ বছর বয়সী চালকের সহকারীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত সজল ফকির মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পূর্ব মাইঝপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর ফকিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
বরিশাল বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে পানি জমে সাকুরা পরিবহনের একটি বাস আটকে যায়। তখন হাইড্রোলিক জ্যাক দিয়ে বাস উঠানোর চেষ্টা করে বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে সজল অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
ওসি জানান, লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে অপমৃত্যুর মামলা করা হবে।