������������������
আক্রান্ত ও উপসর্গে বরিশাল বিভাগে ৭ মৃত্যু
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় চার জন ও উপসর্গ নিয়ে তিন জন মারা গেছেন। একই সময়ে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৮০ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় শেখ মুজিব মেডিকেলে আরও ৫ মৃত্যু
শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে তিন জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, একই সময় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮০ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৩৪০ জনে। আর এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৩৮০ জন, এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২৯ হাজার ৬৬৩ জন।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় আরও ১২ মৃত্যু, শনাক্ত ৪১৪
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে নয়জন ও করোনা ওয়ার্ডে আট জন ভর্তি হয়েছেন।
করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ১৩৮ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৫৪ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ৮৪ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
বরিশালে ২ মামলা, প্রধান আসামি মেয়র
বরিশাল সদরে ইউএনওর বাসায় হামলার ঘটনায় ইউএনও ও পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে। এছাড়া মামলাগুলোতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৯৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম।
সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে গুলি করার অপরাধে পুলিশের দায়ের করা মামলার বাদী হয়েছেন উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল মল্লিক। অপর মামলার বাদী বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: বরিশালে নামছে ১০ প্লাটুন বিজিবি
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহম্মেদ মান্না, বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত, আতিকুল্লাহ মুনিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব হোসেন খান, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা অনিক সেরনিয়াবাত, রইজ আহম্মেদ মান্না প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ১১টার পর বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমানের বাসভবনে হামলার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে আনসার সদস্যদের গুলি ও পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও’র ওপর হামলা: আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদকসহ আটক ১৩
বরিশালে ইউএনও’র বাসায় হামলার ঘটনায় দুই মামলা
ভোলায় নসিমনচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মালবাহী নসিমন চাপায় মো. সোহেল (১৮) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের দালাল বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহেল ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের গোলকপুর গ্রামের মো. মহিউদ্দিনের ছেলে ও ঢাকার আশুলিয়া এলাকার একটি বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, করোনার কারণে সে গত কয়েক মাস ধরে বাড়িতে অবস্থান করছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে লালমোহনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে বোরহানউদ্দিনের দালাল বাজার এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী নসিমনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নসিমন চাপায় সোহেল গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে নেয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল আমিন নিহতের ঘটনা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, নিহতের লাশ ভোলা সদর হাসপাতালে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাক চাপায় বিমান বাহিনীর ১ সদস্যের মৃত্যু
জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৬৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
বরিশালে নামছে ১০ প্লাটুন বিজিবি
বরিশালে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ১০ প্লাটুন বিজিবি ও ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছেন জেলা প্রশাসক।
বৃহস্পতিবার বিকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা জানান জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার। তিনি বলেন, খুব দ্রুত বরিশালে বিজিবি আসবে এবং তাদের মোতায়ন করা হবে। আশপাশের জেলা থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এরা সকলেই উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়োজিত হবেন।
বরিশালে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ কর দেয়া হয়েছিল, সড়কের উপর বাস আড়াআড়ি করে রেখে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। লঞ্চ চলাচলও একইভাবে বন্ধ ছিল। এই অবস্থায় দুর্ভোগে পরেন সাধারণ মানুষ। সাত ঘন্টা পর বাস ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে বুধবার রাতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ব্যানার অপসারণে নামে কর্মীরা। সদর উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে গেলে ইউএনও এর বাসভবনের সামনে নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে তর্কাতর্কি হয়। পরিস্থিতি খারাপ হলে গুলি করে নিরাপত্তারক্ষীরা। এই ঘটনায় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ অর্ধশত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আহত হয়।
আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় এবং দুর্ঘটনা এড়াতে বিজিবি মোতায়নের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও’র বাসায় হামলার ঘটনায় দুই মামলা
বরিশালে ইউএনও’র ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ ৫
বরিশালে ইউএনও’র বাসায় হামলার ঘটনায় দুই মামলা
বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বুধবার রাতের ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবু ও রুপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ শাহারিয়ার বাবুসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, দুটি মামলার মধ্যে একটির বাদী বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনিবুর রহমান এবং অপরটির বাদী পুলিশ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মামলায় তার বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর পুলিশের দায়ের করা মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর আক্রমণ, জনগণকে লাঞ্চিত, ভাঙচুর করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দুটি মামলায় ৩০-৪০ জনের মতো নামধারী এবং কয়েকশত অজ্ঞাত আসামি রয়েছে।
এদিকে বেলা পৌনে ১২ টার দিকে নগরের কালিবাড়ি রোডস্থ মেয়রের বাসভবন হঠাৎ করেই ঘিরে ফেলে র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা। এসময় সেখানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন এবং মেয়রের বাসার ভেতরে নেতাকর্মীরা যেতে চাইলে তাতেও পুলিশ বাধ সাধে। তবে কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চলে আসে।
ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল রাতের ঘটনার সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের কেউ কেউ ওখানে অবস্থান করছিল। তবে সেখানে গিয়ে সেরকম কাউকে পাওয়া যায়নি এবং কাউকে সেখান থেকে আটকও করা হয়নি।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও’র ওপর হামলা: আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদকসহ আটক ১৩
বরিশালে ইউএনও’র ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ ৫
বরিশালে ইউএনও’র ওপর হামলা: আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদকসহ আটক ১৩
বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও’র বাসভনে হামলার ঘটনায় এ পযর্ন্ত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ১৩ নেতা কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ১৩ জনকে আটক করেছি।
থানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ, ছাত্রলীগের সহসভাপতি অলিউল্লাহ অলি, ৬ ওয়ার্ড আওামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৩ জন।
এদিকে, হামলাকারী অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ১১টার পর বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমানের ওপর হামলার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে আনসার সদস্যদের গুলি ও পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও’র ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ ৫
চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ
বরিশালে ইউএনও’র ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ ৫
বরিশাল সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে ইউএনও’র ওপর হামলার চেষ্টাকালে আনসার সদস্যদের গুলি ও পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হবার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানান।
বুধবার রাত ১১টার পর বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমানের ওপর হামলার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে ৩ পুলিশ ও ২ আনসার সদস্য রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা কর্মীদের সংঘর্ষবরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, ‘বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গনে রাতে ব্যানার খুলতে যায় নগর ভবনের কর্মচারীরা। এসময় বাসভবন থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ড থেকে ব্যানার খোলার কারণ জানা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সাথে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের কথাকাটাকাটি হয়।’উপজেলা কমপ্লেক্সে ইউএনও’র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন আনসার সদস্য জানান, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ব্যানার খোলার কথা বলে কম্পাউন্ডে ঢোকা ২৫ থেকে ৩০ জন ইউএনও স্যারের বাসভবনে ঢুকে তাকে ঘিরে ফেলে। তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে আনসারদের সাথে হাতাহাতির একপর্যায়ে হামলা চালানো হলে আনসার সদস্যরা গুলি ছোড়ে। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়।
আরও পড়ুনঃ সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আনসার সদস্য নিহত
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ নগর পরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর গুলির খবর শুনে আরও নেতাকর্মীরা জড়ো হয় সেখানে। তাদের নিয়ে মেয়র উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকতে গেলে দ্বিতীয় দফায় ভেতর থেকে গুলি ছোড়ে আনসার সদস্যরা। গুলির মুখে ভেতরে ঢুকতে না পেরে কমপ্লেক্সের বাইরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অবস্থান নেন মেয়র সাদিক। ছাত্রলীগ কর্মীরা এসময় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধসহ একটি বাস ভাঙচুর করে। পরে মেয়র ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।উপজেলা কমপ্লেক্সে এসব ঘটনা চলার মধ্যেই সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পৌছায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। বাস ভাংচুরসহ সড়ক অবরোধ ঠেকাতে গেলে তাদের সাথে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ আহত হয় প্রায় ৩০ জন। এক পর্যায়ে পিছু হটে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা। পরে রাত তিনটার দিকে অবরোধ তুলে নিলে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।গুলিবিদ্ধ আহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা শাহরিয়ার বাবু, হারুন অর রশিদ ও তানভীর নামে তিনজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থায় অবনতি হলে তানভীরকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনঃ বোয়ালমারীতে আ’লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত এক
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ৮ থেকে ১০টি মোটর সাইকেলে করে ১৫ থেকে ২০ জন আমার উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে ঢুকে ঘোরাফেরা করছিল। আমি তাদেরকে এখানে আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা জোর করে আমার ঘরে ঢুকে পড়ে। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল রাজীব নামে এক ছাত্রলীগ নেতা।’
রাত সাড়ে ৩ টায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ তার বাসভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বিসিসির কর্মীরা সেখানে তাদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন। অথচ তাদের ওপর ন্যাক্কারজনক ভাবে গুলি চালানো হয়েছে। ঘটনা সর্ম্পকে জানতে আমি সেখানে গেলে আমার ওপর গুলি চালানো হয়। আমার বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। বিচার চাই। এভাবে তো দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।’
এক অসহায় বৃদ্ধ বাবার সংবাদ সম্মেলন!
ছেলের নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পেতে অবশেষে সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করলেন এক অসহায় বৃদ্ধ বাবা।
বুধবার দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী সদর উপজেলার চরকাউয়ার নয়ানী গ্রামের বাসিন্দা মো. আনসার আলী এই হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
লিখিত বক্তব্যে মো. আনসার আলী জানান, তার মেজ ছেলে আবুল কাশেম নান্নু কয়েকবারে তার প্রায় ১০ লাখ টাকার গাছ ও বাঁশ বিক্রি করে। আর এ কাজে তিনি যতবার বাধা দিয়েছেন ততবারই মারধর করেছে। এ নিয়ে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি নিজেদের বাড়িতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক হয়। তবে ওই সালিশের রায় মেজ ছেলে নান্নু মেনে নেয়নি।
মো. আনসার আলী বলেন, এরপর ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি টাকা চেয়ে না পেয়ে নান্নু আমাকে বেদম মারধর করে এবং জোর করে বাছুরসহ একটি গরু নিয়ে যায়। তখন আমি বাদী হয়ে একই সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করি। জামিনে ছাড়া পেয়ে আমাকে আদালত চত্বরেই হুমকি দেয় সে। তখন আমি কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ছেলের হাতে বাবা খুন
তিনি বলেন, আমার দায়ের করা মামলায় সাক্ষী দেয়ায় দেলোয়ার মুন্সী নামে একজনকে মারধরও করে কাশেম। পরে ২০১৭ সালের ১ জুন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতেও একটি মামলা করি।
আনসার আলী বলেন, জাল দলিল দিয়ে নান্নু আমার কিছু জমি জোর করে চাষাবাদ করছে এবং জমিও দখল করতে চায়। চাষাবাদে বাধা দিলে আমাকে বসতঘর থেকে নামিয়ে দেয়। তখন থেকে আমার বড় ছেলে আলাউদ্দিন বাবুলের ঘরে থাকি। ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাল দলিলের জোরে নান্নু লোকজন নিয়ে আমার ২৮৪ শতাংশ জমির ধান ও একটি রেন্ট্রি গাছ জোর করে কেটে নেয়।
তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে গত ৫ বছর আমার সাথে ঝামেলা করে আসছে আবুল কাশেম নান্নু। আমি জীবিত থাকা অবস্থায় আমার জমির জাল দলিল তৈরি করে আমার জমি আত্মসাৎ করার পায়তারা করে আসছে।
আনসার আলী আরও বলেন, আমার স্ত্রী দুলুফা বেগম ২০১৫ সালে মারা যাওয়ার পর আবুল কাশেম নান্নু দাবি করে যে তার মা তাকে দলিল মূলে প্রায় ৫ একর জমি দিয়ে গেছে। কিন্তু আমি আমার স্ত্রীকে কোন দলিল দেইনি। আর নান্নু যে জাল দলিল তৈরি করেছে তার বড় প্রমাণ হলো, আমি দুলুফা বেগমকে ১৯৬৭ সালে ১৪ মার্চ বিয়ে করি। তবে বিয়ের ৬ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৬১ সালের ২০ এপ্রিল সেই স্ত্রীকে কিভাবে জমি দিলাম।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ছেলের হাতে মা খুন
বৃদ্ধ বলেন, এছাড়া আরও প্রায় দেড় একরের মতো জমি আমার মা কুলছুম বিবি দলিল মূলে দিয়েছে বলে নান্নু দাবি করছে। কিন্তু তার কাগজও আজ অব্দি দেখাতে পারেনি। নান্নু জোর করে কিছু জমি চাষাবাদ করছে এবং আরও অন্য জমি দখল করতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি যে কোন সময় মারা যেতে পারি। আমি অনেক ঋণগ্রস্ত ছিলাম, যেই অর্থ আমার বড় ছেলে আলাউদ্দিন বাবুল পরিশোধ করার পাশাপাশি জরিপ কাজের খরচসহ বহু ব্যয় বহন করেছে। সেজন্য আমি তাকে আড়াই একর জমি দিয়েছি। আবার মেজ ছেলে নান্নুর লাখ লাখ টাকা দেনা হলে ১১৭ শতাংশ জমি বিক্রি করে তা মিটিয়েছি এবং বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমা থেকেও মুক্ত করেছি।
আনসার আলী আরও বলেন, সবশেষ চলতি বছরের ১ জানুয়ারি আমার তিন একর জমির ধান কেটে নিয়ে যায় নান্নু ও তার লোকজন। ওইসময় বাধা দিলে নান্নু ও তার ছেলে এমরান ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আমাকে আহত করে। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই ঘটনায় আমার বড় ছেলে বাবুল বাদী হয়ে নান্নুসহ ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ‘ছেলের’ হাতে বাবা খুন
করোনা ও উপসর্গে নতুন ৮ জনসহ বরিশালে মৃত্যু ৬০৬
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় ছয় জন ও উপসর্গ নিয়ে দুই জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২৫৫ জন।
মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে দুই জন এবং করোনা ওয়ার্ডে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০৬ জনে।
আরও পড়ুন: করোনা: রামেক হাসপাতালে ১০ মৃত্যু
একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৫ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৫৯৭ জনে। এই সময় ১ হাজার ৯৬ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ২৬ হাজার ২৪২ জন।
এদিকে, শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৫ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ১৭০ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৬২ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১০৮ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: প্রধান শিক্ষক এখন চায়ের দোকানদার
করোনায় বরিশাল বিভাগে ৮ মৃত্যু
বরিশাল বিভাগে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় পাঁচজন ও উপসর্গ নিয়ে তিনজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: করোনা: ঠাকুরগাঁওয়ে আক্রান্ত ১২, মৃত্যু ২
একই সময়ে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৮৭ জন। আর এ সময়ের মধ্যে শনাক্তের প্রায় পাঁচগুণ, ৮৮০ জন সুস্থ হয়েছেন
আরও পড়ুন: করোনায় সিকৃবি কর্মকর্তা রথীন্দ্র মল্লিকের মৃত্যু
সোমবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে তিনজন ও করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০০ জনে।