������������������
বরিশালে ডেঙ্গুতে ৫ মৃত্যু, শনাক্ত ৩০৭
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪ নারীসহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে নতুন করে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০৭ জন।
বুধবার (১১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরিশালের উপ-পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ১৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৫৫৫
মারা যাওয়ারা হলেন- বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার উজ্জলা বেগম , বরগুনা সদর উপজেলার এমদাদুল হক, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার আলো বেগম, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার কুলসুম ও পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার লাবনী আক্তার।
এদের মধ্যে তিন জন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, একজন পিরোজপুর সদর হাসপাতালে এবং একজন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বরিশালের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ২৭ হাজার ৯৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৬ হাজার ৮৬১ জন। বিভাগে এখন পর্যন্ত ১২৩ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে বরিশালের দুই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৮৯ জন, ভোলা সদর হাসপাতালে ৯ জন, বরগুনা সদর হাসপাতালে ৫ জন, পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ১২ জন ও পটুয়াখালীর দুই হাসপাতালে ৭ জন ও ঝালকাঠি হাসপাতালে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে সর্বোচ্চ ১০৩ জন, পটুয়াখালীতে ৫৯ জন, পিরোজপুরে ৬৪ জন, ভোলায় ১৮ জন, বরগুনায় ৫৩ জন ও ঝালকাঠিতে ১০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
বুধবার সকাল পর্যন্ত ছয় জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ৯৯১ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৬৬০
ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৭৪২
বরগুনার বজ্রপাতে নদীতে ছিটকে পড়া জেলের লাশ উদ্ধার
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় বজ্রপাতে ট্রলার থেকে ছিটকে বিষখালী নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া জেলের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে বিষখালী ও বলেশ্বর নদের মোহনাসংলগ্ন লালদিয়ার চর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ফিরোজুজ্জামান জানি।
আরও পড়ুন: নাটোরের গুরুদাসপুরে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার
নিহত আউয়াল (৩৮) পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামের আব্দুল হামিদ হাওলাদারের ছেলে।
জানা যায়, শনিবার নদীর লালদিয়া চর থেকে দক্ষিণে একটি ট্রলারে মাছ ধরছিলেন আউয়াল, জাহাঙ্গীর মাঝি, শাকিল ও রনি। সে সময় বজ্রপাত হলে ট্রলার থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে যায় আউয়াল। বাকি তিনজন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কয়েকঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে তারা আউয়ালকে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি।
কোস্ট গার্ডের কমান্ডার ফিরোজুজ্জামান জানান, খবর পাওয়ার পর থেকে আউয়ালকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানে রবিবার তার লাশ উদ্ধার হয়। আহত তিন জেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: আরও ২ জনের লাশ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৩
শেবাচিম হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম
একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলেন ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের গৃহবধূ মুক্তা আক্তার পুতুল।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দেন মুক্তা আক্তার পুতুল।
আরও পড়ুন: বরিশালে ভুল চিকিৎসায় সংকটাপন্ন প্রসূতি
তিনি ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের বাসিন্দা ও বাহরাইন প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী।
এর আগে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৭টায় তিনি প্রসব বেদনা শুরু হলে শেবাচিম হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
চার নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে - সায়েম, সালিম, আলিম ও আয়শা।
এদিকে মা সুস্থ থাকলেও নবজাতকদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য নিউনেটাল ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শহিন বলেন, চারটি বাচ্চারই ওজন কম। অর্থাৎ ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় স্বাভাবিক একটি শিশুর শরীরে যে ওজন থাকার কথা, তা কারোরই নেই। তাই চারটি শিশুকেই হাসপাতালের নিউনেটাল ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। এখনও কোনো শিশু শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।
শেবাচিম হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম আর তালুকদার মুজিব জানিয়েছেন, তবে শিশুদের শারীরিক গঠন ও বাহ্যিক সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে ঘর আলো করে চার সন্তান জন্ম নেওয়ায় তাদের স্বজনেরা সবাই খুশি।
সন্তানদের নানী মায়া বেগম জানান, ১০ বছর আগে তার মেয়ে মুক্তার বিয়ে হয়েছে। গেল রমজানে দেশে থাকলেও বর্তমানে মুক্তার স্বামী সিদ্দিকুর রহমান বাহারাইন আছেন। তাদের সংসারে ৬-৭ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম!
কুমিল্লায় একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম!
হাঁটু পানিতে ভাসছে বরিশাল নগরী
টানা বর্ষণে বরিশাল নগরীর জনগুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ সড়কে হাঁটুপানি জমে যাওয়ায় জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।
চলতি মাসের সাত দিন টানা বর্ষণের পর শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালের দুই ঘণ্টার অতি ভারী বৃষ্টিপাতে নগরীর প্রধান সড়কসহ অলিগলিও পানির নিচে রয়েছে। ভোগান্তি এড়াতে কর্মজীবী ও জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাইরে বের হননি।
এছাড়া, নগরীর নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ টিনের ঘর, অর্ধপাকা ও পাকা ভবনের নিচতলা পানিতে তলিয়ে থাকায় দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ সড়ক প্লাবিত হয়েছে। নগরীর বটতলা থেকে হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা সড়ক, বটতলা আদম আলী হাজির গলি, অক্সফোর্ড মিশন রোড, করিম কুটির, কলেজ এভিনিউ, গোরস্থান রোড, বগুড়া রোড, বিএম স্কুল সড়ক, রূপাতলী হাউজিং, ধান গবেষণা সড়কের খ্রিস্টান কলোনি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা কলোনি, পার্শ্ববর্তী শেবাচিম হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির স্টাফ কোয়ার্টার, কালুশাহ সড়ক, কাজিপাড়া এবং কাউনিয়া এলাকার বেশ কিছু সড়ক পানিতে ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে সিলেটে বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে
এ ছাড়া, বগুড়া রোড, বটতলা, কলেজ এভিনিউ ও গোরস্থান রোড এলাকার সড়কগুলোতে হাঁটুপানি বিরাজ করছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, চলতি মাসের সাত দিন টানা বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বজ্রসহ অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই দুই ঘণ্টায় ৪৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
চলতি মাসে বরিশালে স্বাভাবিক ১৭৬ মিলিমিটারের স্থলে আবহাওয়া বিভাগ থেকে ১৬০-২১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ১ অক্টোবর সকাল থেকে ৭ অক্টোবর দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবলভাবে মৌসুমি বায়ু এখনও সক্রিয় থাকার কারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কোথাও কোথাও হালকা থেকে ভারী বা ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে আবারও বাড়ছে যমুনার পানি, বন্যার আশঙ্কা
সিরাজগঞ্জে যমুনায় বাড়ছে পানি, বন্যার আশঙ্কা
বরিশালে দুর্গাপূজায় ৩৬টি পূজামণ্ডপ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ: বিএমপি কমিশনার
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, বিএমপি এলাকায় এবার চারটি পূজা মণ্ডপ বেড়ে ৮৭টি হয়েছে। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পূজা মণ্ডপ ৩৬টি ও ঝুঁকিপূর্ণ ৩৭টি।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে মহানগর ও সদর উপজেলার পূজা মণ্ডপ কমিটির নেতাদের নিয়ে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় পুলিশ কমিশনার জানান, চারটি পূজা মণ্ডপে বিরোধ রয়েছে। যা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বিসর্জন দিতে হবে, আতশবাজি নিষিদ্ধ, আনসার থাকবে মন্দিরভেদে ৪, ৬ ও ৮ জন, সিসি ক্যামেরা আছে ৪৯টি পূজা মণ্ডপে এবং যে পূজা মণ্ডপগুলোর সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সামর্থ্য নেই তাদের সহায়তা করবে পুলিশ।
তিনি বলেন, এবারের পূজায় সর্বজনীন ৭৮ ও ব্যক্তিগত ৯টি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক থাকবে ৮৪১ জন। এছাড়া, পূজা মণ্ডপকেন্দ্রিক সম্প্রীতি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, পূজাকে ঘিরে মাদক নিয়ন্ত্রণে শুধু পুলিশ নয়, সকলকে শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে। কারো উপর দোষারপ না করে সম্মিলিতভাবে মাদক প্রতিরোধে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস আইজিপি’র
বরিশাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বরিশালে সবসময় সম্প্রীতি ছিল। এই সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সম্প্রীতি কমিটি গঠনের মাধ্যমে পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
সামনে নির্বাচন থাকায় সবাইকে সতর্ক হয়ে পূজা উদযাপনের আহ্বান জানান বক্তারা।
সভায় বিএমপি উপকমিশনার আলী আশরাফ ভূঁঞা, নজরুল ইসলাম, জাকির হোসেন মজুমদার, র্যাব ৮ এর উপপরিচালক মেজর জাহাঙ্গীর আলম, বিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুল করিম, মহিউদ্দিন মানিক, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক খান আলতাফ হোসেন ভুলু, সচেতন নাগরিক কমিটি বরিশালের সাবেক সভাপতি শাহ সাজেদা, বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল দুলাল, বরিশাল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মানিক মুখার্জী কুডু, মহানগরের সাবেক সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র দে নারু, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তমাল মালাকারসহ বরিশাল মহানগর ও সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় কোনো ত্রুটি নেই: র্যাব মহাপরিচালক
শনিবার মহা ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা
ঝালকাঠিতে খাল থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠির নলছিটিতে খালের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা (৭৫) এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভরতকাঠি গ্রামের বুড়িরহাট ট্রলারঘাট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে বুড়িরহাট ট্রলারঘাটের সেনের খালের কাল ভার্টের নিচে অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তির ভাসমান লাশ দেখে নলছিটি থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, সকালে স্থানীয়রা খালে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নলছিটি থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রংপুরে শ্বশুড়বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
তিস্তায় নিখোঁজের ১৬ ঘন্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার
বরিশালে ভুল চিকিৎসায় সংকটাপন্ন প্রসূতি
বরিশালে অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির পেটে গজ কাপড় রেখে সেলাই করার অভিযোগ পাওয় গেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ১৭ দিন পরে দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করে ওই প্রসূতির পেট থেকে তা বের করা হয়।
বরিশালের বানারীপাড়ার হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে। ভুল চিকিৎসার শিকার ওই নারী বর্তমানে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: বরিশালে আরও ৩ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু, শনাক্ত ৩৩৯
ঘটনার শিকার নারীর স্বজনরা জানান, ভূমিষ্ঠ হওয়া কন্যা সন্তান সুস্থ থাকলেও ভুল চিকিৎসার শিকার নারী শঙ্কামুক্ত হননি।
রোগীর বোন ইসরাত জাহান বলেন, বানারীপাড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের বাড়ি। বোন শিল্পী আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে উপজেলা সদরের হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালে কনসালটেন্ট ডা. মো. লুৎফুল আজিজের অধীনে তাকে ভর্তি করা হয়। স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত না পেরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিজারিয়ান অপারেশন করলে তার কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।
ইসরাত জাহান বলেন, অপারেশনের পর থেকে চার দিন রোগীর প্রস্রাব ও পায়খানা বন্ধ থাকে। আমরা টেনশন করছিলাম। বিষয়টি জটিল দেখে হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ওখানে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করাই। কিন্তু আমাদের কিছুই জানাননি। অথচ আমার বোন দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করাই। এখানে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান- আমার বোনের পেটের মধ্যে গজ রেখে দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের ছাড়পত্র দিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করান।
তিনি বলেন, ঝুঁকি বুঝে আমরা সিনিয়র এক চিকিৎসকের রেফারেন্সে ২৯ সেপ্টেম্বর ওই হাসপাতালেই অপারেশন করাই। প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় অপারেশন করে বোনের পেটের মধ্য থেকে দুই হাত লম্বা গজ বের করা হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আর দুই তিন দিন এইভাবে থাকলে আমার বোন মারা যেতেন। আমি চাই হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ভুল চিকিৎসা যিনি দিয়েছেন সেই ডাক্তারের শাস্তি দেওয়া হোক। তাদের অপচিকিৎসায় আমার বোন আজ মৃত্যুপথযাত্রী।
অভিযোগের বিষয়ে হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালের মালিক অর্পন বলেন, আমি বানারীপাড়াতে নেই। তবে এমন একটি ঘটনা শুনেছি আমার হাসপাতালে ঘটেছে। বিস্তারিত কিছুই জানি না। বিস্তারিত জেনে বলতে পারব আসলে কী ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু
বরিশালে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু
ভোলার ইলিশায় নদী তীরের সিসি ব্লক ধ্বসে বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
ভোলার ইলিশায় এলাকায় তীর সংরক্ষণের সিসি ব্লক ধ্বসে লাইজু নামে এক বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও শিশুসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরের দিকে উত্তাল মেঘনা নদীর ঢেউ আর তীব্র স্রোতের আঘাতে ইলিশার লঞ্চঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সাভারে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ করে ইলিশা লঞ্চঘাটসংলগ্ন মাছঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে সিসি ব্লক ধ্বসে যায়। এ সময় ব্লকের উপরে থাকা বাকপ্রতিবন্ধী নারী লাইজু বেগম ও এক শিশুসহ অন্তত ৫ জন নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করলে ঘটনা স্থলে লাইজু বেগমের মৃত্যু হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ইলিশায় সিসি ব্লক ধ্বসে কয়েকজন নদীতে পড়ে গেছে। এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সবজি ব্যবসায়ীর মৃত্যু
দক্ষিণাঞ্চলের ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
বর্ষাকাল ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আটটি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।
রবিবার (১ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১৯টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। রবিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে, দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যায় কোনো প্রভাব পড়েনি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপরে, কুড়িগ্রামে বন্যার আশঙ্কা
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু
বরিশালে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় পিকআপ ভ্যানের চালকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সকালে নবগ্রাম রোডের উত্তর কড়াপুরের যাত্রাবাড়ী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত পিকআপ ভ্যানের চালক মিজান হাওলাদার (৪৮) নগরীর নবগ্রাম রোডের বিনয় বাজার এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
কাউনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পিকআপ বোঝাই করে সবজি নিয়ে বরিশালের দিকে যাছিলেন মিজান।
তিনি আরও বলেন, পিকআপটি উত্তর কড়াপুর এলাকা অতিক্রমকালে একটি কুকুর গাড়ির সামনে পড়ে। তখন চালক মিজান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা দিলে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার আদালতে আত্মসমর্পণ, কারাগারে প্রেরণ
পত্নীতলায় ট্রাকের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত