%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
কুমারখালীতে আগুনে পুড়ল দিনমজুরের স্বপ্ন
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দিনমজুর আরমান আলীর (৪০) ২টি গরু ও ১টি ছাগল পুড়ে মারা গেছে। আরও একটি গরুর (গাভী) শরীরের প্রায় ৮০ ভাগ আগুনে ঝলসে গেছে। এছাড়াও ভস্মীভূত হয়েছে একটি গোয়ালঘর।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের জোতভালুকা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরমান ওই গ্রামের মৃত আইজদ্দিন মন্ডলের দিনমজুর ছেলে। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রমজানের কারণে তারাবির নামাজ পড়ে সবাই দ্রুত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রাত একটার দিকে শব্দ ও আলোয় ঘুম ভেঙে যায় আরমানের। পরে তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনে দগ্ধ ৩৫
এরপর তারা কলস, হাড়ি, পাতিল, বালতি, বদনায় পানি ঢেলে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আরমানের গোয়ালঘর, গোয়ালে থাকা ২টি গরু ও ১টি ছাগল পুড়ে মারা গেছে। আরও একটি গাভীর শরীরের প্রায় ৮০ ভাগ ঝলসে গেছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে সরেজমিনে এই প্রতিবেদক দেখতে পান, একটি গর্ভবতী গরুকে মশারির ভেতরে রাখা হয়েছে। গরুটির চোখ, মুখ ও কানসহ ৮০ ভাগ শরীর ঝলসে গেছে। গোয়ালঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। পোড়া গোয়ালঘরের ভেতরে মরা একটি গরু ও একটি ছাগল রয়েছে। পাশেই পড়ে আছে আরও একটি মরা গরু। বাতাসে পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে রয়েছে। আগুনে পোড়া বাড়িতে উৎসুক জনতা ভিড় করেছে। শোকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন দিনমজুর আরমান ও তার স্ত্রী নাছরিন খাতুন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে আগুনে ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে মো. আরমান আলী বলেন, 'হঠাৎ ঘুম ভাঙলে দেখি আমার সব শেষ। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তখন দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। মাত্র দুই ঘণ্টার আগুনে আমার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গরু, ছাগল ও গোয়ালঘরসহ আমার প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।'
প্রতিবেশী বিল্লাল শেখ জানান, তিনি রাত দেড়টার দিকে গিয়ে দেখেন আগুন। লোকজন কলস, বালতির পানি দিয়ে আগুন নেভাচ্ছেন। আনুমানিক রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে যোগাযোগ করা হলে তারা এই বিষয়ে কিছু না জানার কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল হক বলেন, ‘আগুন লাগার খবর শুনেছেন তিনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে পরে জানানো যাবে। লিখিত দরখাস্ত পেলে নিয়ম অনুযায়ী সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।’
আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে মাছ ধরার নৌকায় আগুনে দগ্ধ ৫
চুয়াডাঙ্গায় সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের উপর হামলা, ক্যামেরা ভাঙচুর
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) মেম্বার আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য আত্মসাতের অভিযোগ উঠলে এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় ৩ সাংবাদিক।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার হওয়া ৩ সাংবাদিক হলেন— মাইটিভি ও স্থানীয় দৈনিক সময়ের সমীকরণের প্রতিনিধি মিঠুন মাহমুদ (৩১), দৈনিক খোলা কাগজের প্রতিনিধি মো. আজিজুর রহমান ডাবলু (৩৫) ও গ্রামের কাগজের প্রতিনিধি মো. তুহিনুজ্জামান তুহিন।
এ ঘটনায় মিঠুন মাহমুদ বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪—৫ জনের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক লাঞ্ছনা: মোস্তাফিজুরের মনোনয়ন বাতিল দাবি বিএফইউজে-সিইউজের
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হয়। ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুর রশিদ ভুয়া নামে কার্ড তৈরি করে টিসিবির পণ্য আত্মসাৎ করেছেন বলে খবর পান সাংবাদিকরা।
বিকালে সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক মিঠুন মাহমুদ, আজিজুর রহমান ডাবুল ও তুহিনুজ্জামান তুহিন। এ সময় উক্ত মেম্বারের বাড়ির রান্নাঘরে টিসিবির ২ বস্তা চাল ও বেশ কয়েক বোতল তেল পাওয়া যায়।
বিষয়টি সম্পর্কে ইউপি মেম্বার আব্দুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি গালাগালি শুরু করে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন। পরে তার নেতৃত্বে তার ভাই তরিকুল ইসলাম তরি (৪৬), আব্দুর রশিদের ছেলে আমির হামজা অঙ্কন (২৫), মৃত মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে মো. হাসিবুর রহমান সুমনসহ (৩০) অজ্ঞাত আরও ৪—৫ জন সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় সংবাদ সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত ক্যামেরা, মাইক্রোফোন বুম ও মোবাইল ভাঙচুর করেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, ইউপি মেম্বার আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের রেকর্ড রয়েছে। গর্ভকালীন ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নাম করে ভুক্তভোগী অনেক নারীর কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে কার্ড বাণিজ্য করেছেন। তার কাছে নাগরিক সেবা নিতে গেলে তিনি টাকা দাবি করেন।
হামলার শিকার সাংবাদিক মিঠুন মাহমুদ বলেন, ‘গোপনে খবর পাই মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও মৃত ফকির চাঁদের ছেলে আব্দুর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে অন্য মানুষের ভুয়া নাম ব্যবহার করে টিসিবির কার্ড তৈরি করে টিসিবির পণ্য আত্মসাৎ করছেন। তিনি সম্প্রতি বেশ কয়েকজনের টিসিবির পণ্য তুলে বাড়ি নিয়ে গেছেন- এমন সংবাদ পেয়ে আমরা তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে গিয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ২ সাংবাদিকসহ গুলিবিদ্ধ ৫, আহত ২৫
তিনি আরও বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আব্দুর রশিদের স্ত্রী বলেন, তার স্বামী টিসিবির পণ্য তুলে এনে রান্নাঘরে রেখেছেন। আমরা রান্নাঘরে গিয়ে টিসিবির ২ বস্তা চাল আর বেশ কয়েক বোতল তেল দেখতে পাই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আব্দুর রশিদ ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগালি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার নেতৃত্বে ৭—৮ জন আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ। তিনি বলেন, ‘টিসিবির ডিলারদের কাছ থেকে অনেকজন তেল ও ডাল নিলেও চাল নেয়নি। আমি সেখান থেকে দুই বস্তা চাল কিনে এনেছিলাম এলাকার গরিব মানুষকে দেওয়ার জন্য। আমি বাইরে কাজে থাকায় চাল বিতরণ করতে দেরি হয়েছে। আমার বাড়িতে কোনো তেল ছিল না।’
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, ঘটনাটি তিনি এখনও শোনেননি। তিনি খোঁজখবর নিচ্ছেন।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখব। যদি মামলা নেওয়ার মতো হয়, তাহলে মামলা রেকর্ড করা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসিনা মমতাজ বলেন, ‘আমি বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম। এ বিষয়ে আমি খোঁজ নিচ্ছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
এদিকে, ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আর বাবু বলেন, ‘যারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়ে ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, মোবাইল ভাঙচুর করেছে, লাঞ্চিত করেছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। শুধু গ্রেপ্তার নয়, খুব দ্রুত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বরগুনায় সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় ৭ সহকর্মী কারাগারে
চুয়াডাঙ্গায় মায়ের জন্য মেসওয়াক আনতে গিয়ে প্রাণ গেল শিশুর
চুয়াডাঙ্গায় মায়ের জন্য মেসওয়াক আনতে গিয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যানের ধাক্কায় ৪ বছরের শিশু নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাউসপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু শাহীন (৪) উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের হাউসপুর গ্রামের দিনমজুর বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় প্রাণ গেল ভ্যানচালকের
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মায়ের ইফতারের আগে প্রতিবেশী চাচাতো বোনের সঙ্গে মেসওয়াক আনতে যায় শাহীন। তখন সে হাউসপুর-খাসকররা আঞ্চলিক সড়কে তার বাবা বিল্লালকে দেখতে পায়। বাবার দিকে ছুটে গেলে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা ব্যাটারিচালিত ভ্যানের ধাক্কায় শাহীন গুরুত্বর আহত হয়।
এ সময় তার বাবা ও স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন রাত ৮টায় সে মারা যায়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিদর্শক শেখ গণি মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাল বাঁচাতে গিয়ে লঞ্চে প্রোপেলারে কাটা পড়ে প্রাণ গেল জেলের
নওগাঁয় মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজশিক্ষার্থীর
মাগুরায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার কানুটিয়া ও চরপাড়া গ্রামে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকালে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- একই উপজেলার কানুটিয়া গ্রামের জামান মির্জার ছেলে তন্ময় মির্জা (২২) ও চরপাড়া গ্রামের আকুল শেখের ছেলে উমেদ আলী (২০)।
মাগুরার মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহানুল ইসলাম বলেন, বিকালে জমিতে কৃষিকাজ করার সময় আকস্মিকভাবে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে তন্ময় ও উমেদ আহত হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক উভয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
বরগুনার বজ্রপাতে নদীতে ছিটকে পড়া জেলের লাশ উদ্ধার
ভারত থেকে ৪ চালানে ১০০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি
রমজানে আলুর চাহিদা বাড়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আবারও ভারত থেকে আলু আমদানি করা হয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ১৩ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ৩২টি ট্রাকে ১ হাজার মেট্রিক টন আলু এসেছে।
আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস। আলুর চালান বন্দর থেকে খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন ট্রান্সমেরিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু, দাম নেমেছে ৩০ টাকায়
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ১৩ মার্চ ২০০, ১৪ মার্চ ২০০, ১৯ মার্চ ৩০০ ও ২৪ মার্চ রাতে আরও ৩০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়।
ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ বলেন, চারটি চালানে ভারতীয় ৩২টি ট্রাকে ১ হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। যার প্রতি মেট্রিক টন আলুর আমদানি খরচ পড়ছে ১৯৪ মার্কিন ডলার। শেষ চালানের আলু আজ বুধবার খালাস হওয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, আমদানি করা আলুর তিনটি চালানের ৭০০ মেট্রিক টন ইতোমধ্যে বন্দর থেকে ছাড়া হয়েছে। শেষ চালানের ৩০০ মেট্রিক টন বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমদানিকারক খালাসের অনুমতি চাইলে দ্রুত ছাড়ার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে দুই দিনে ৪০০ টন আলু আমদানি ইউএনবি নিউজ বেনাপোল
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি
মোংলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত
বাগেরহাটের মোংলায় সড়ক দুর্ঘটনায় হিমাদ্রি হিমু নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ঢালিরখন্ড এলাকায় মোটরসাইকেল ও টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হাতকড়াসহ ২ আসামির পলায়ন, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
নিহত হিমাদ্রি হিমু মোংলা পৌর শহরের মাকোরঢোন এলাকার গৌতম মল্লিকের ছেলে এবং গোপালগঞ্জ পলিটেকনিকের সপ্তম সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার মোটরসাইকেল ও টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে নিহত হন মোটরসাইকেল চালক হিমাদ্রি হিমু। এ সময় গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেল থাকা আরও একজন।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত ডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের সাজা বহাল
হোয়াটসঅ্যাপে আরও সহজে অডিও বার্তা যেভাবে পাঠাবেন
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক নিহত, আহত ২
মাগুরায় মোটরসাইকেল ও পিকাপের সঙ্গে সংঘর্ষে শাহজাদা জোয়ারদার নামে এক মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মহাসড়কের পাশে মুখে স্কচটেপ পেঁচানো লাশ উদ্ধার
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে লক্ষীকান্দর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, লক্ষীকান্দর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে মঙ্গলবার মোটরসাইকেল ও পিকাপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও দুইজন।
এ ব্যাপরে মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ চালকের মৃত্যু
নড়াইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রাজমিস্ত্রির মৃত্যু
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাচ্চু মোল্যা নামে এক রাজমিস্ত্রি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মাহাবুর শেখ নামে আরেক রাজমিস্ত্রি আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুরুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াগ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দিনমজুরের মৃত্যু
বাচ্চু শেখ কালিয়া পৌরসভার মির্জাপুর গ্রামের সাহেব আলী শেখের ছেলে এবং আহত মাহাবুর শেখ পৌরসভার বেন্দারচর গ্রামের মৃত সোনা শেখের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাচ্চু ও মাহাবুর পুরুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াগ্রামে নজির ফকিরের বাড়িতে কাজ করার সময় বাচ্চুর হাতে থাকা রড বিদ্যুতের তারের সঙ্গে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। আহত মাহাবুরকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাচ্চু নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ না করায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
খুলনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বউ-শাশুড়ির মৃত্যু
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ২ দিন
সোমবার ভারতের দোলযাত্রা ও মঙ্গলবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে দুই দিন।
তবে সোমবার ভারতের সরকারি ছুটি থাকায় আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস প্রক্রিয়াসহ পণ্য ওঠানামা এবং দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী ও বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা এই উৎসব ‘হোলি’ নামে পরিচিত। অশুভ শক্তির বিনাশ হিসেবে ‘হোলি উৎসব’ হয়। এই উৎসবের কারণে সোমবার আমদানি ও রপ্তানিসংক্রান্ত কাজকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঅ্যান্ডএফ মালিক, কর্মচারি, হ্যান্ডলিং শ্রমিক, ট্রাকচালকরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গেছেন। এ ছাড়া মঙ্গলবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দুই দেশের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে। বুধবার সকাল থেকে পুরোদমে আবারও চলবে কার্যক্রম।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘ভারতে হোলি উৎসব ও বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবসে ছুটি থাকায় সোমবার ও মঙ্গলবার বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে সোমবার বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দরে কার্যক্রম চলবে। পণ্য খালাস করতে আসা ভারতীয় খালি ট্রাকগুলো ওপারে ফেরত যেতে কোনো বাধা নেই। বুধবার সকাল থেকে এ বন্দর দিয়ে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, এ পথে সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের
ভুটানের বিনিয়োগকারীদের জন্য কুড়িগ্রামে ১৯০ একর জমি দেবে বাংলাদেশ, আলোচনা চলছে জলবিদ্যুৎ আমদানির
খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে রোগীরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত সেবা।
শনিবার (২৩ মার্চ) বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতি সোমবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোজার মধ্যে টানা ২ দিন কর্মবিরতি পালন করলে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. দিবাকর চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক ডা. আসাদুজ্জামান সাগর জানান, তাদের বেতন-ভাতা কাজের তুলনায় অনেক কম। গত বছর ইন্টার্ন চিকিৎসক ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষানবীশ চিকিৎসকরা তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। ওই সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেতন-ভাতা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষানবীশ চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হলেও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়নি। বেতন-ভাতা বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হোক।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে চিকিৎসা না পেয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের হাসপাতাল এলাকার বিভিন্ন স্থানে ভিড় করতে দেখা যায়। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি অনেক রোগীকে হাসপাতালের বেডে অসহায়ের মতো শুয়ে থাকতে দেখা গেছে।