খুলনা
বাল্যবিয়ে: বাগেরহাটে কাজী ও ২ অভিভাবকের ৬ মাসের কারাদণ্ড
বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকায় বাল্যবিয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিবাহ নিবন্ধক কাজী এবং ছেলে ও মেয়ের দুই অভিভাবককে ছয়মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম নাগেরবাজার এলাকার ওই কাজী অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে ওই তিনজনকে ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকার বিবাহ নিবন্ধক কাজী আতাউল বারী ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বাবা সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের কবির সরদার এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের বাবা গোবরদিয়া এলাকার সজিব হাওলাদার।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম জানান, নাগেরবাজার বিবাহ নিবন্ধক কাজী অফিসে বাল্যবিবাহ দেয়া হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, কাজী আতাউল বারী এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৭ বছর বয়সের এক মেয়ে ও ২০ বছর বয়সী এক ছেলের বিয়ে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিয়ে
তিনি জানান, বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ এর আওতায় কাজী আতাউল বারী এবং ছেলে ও মেয়ের ওই দুই অভিভাবককে ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তিনজনকে এদিন রাতেই বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিচারক আরও জানান, আইন অমান্য করে বিবাহ নিবন্ধক কাজী আতাউল বারী দীর্ঘদিন ধরে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে ও মেয়েদের বিয়ে দিয়ে আসছেন। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে ও মেয়েদের জন্ম তারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সাদা কাগজে লিপিবদ্ধ করে কাজী তাদের বিবাহ সম্পাদন করেন। পরে কাগপত্র অনুসারে তাদের বয়স পূর্ণ হলে রেজিস্ট্রারভুক্ত করা। অভিযান চলাকালে এমন প্রমাণ মিলেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলামের তথ্য মতে, গত এক বছরে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ না দেয়ার জন্য নানা ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কেউ আইন অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বাগেরহাট জেলায় বিভিন্ন সময় বাল্যবিবাহ হয়ে আসছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা খবর পেলেই ছুটে গিয়ে বাল্যবিয়ে ভেঙ্গে দিচ্ছেন। এর পরেও থেমে নেই বাল্যবিয়ে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যক্রমে বাল্যবিয়ের কুফল অন্তর্ভূক্ত করা হবে
বাল্যবিয়ে পড়াতে গিয়ে কাজীর জেল, বরের জরিমানা
খুলনায় নারী নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
খুলনার কয়রা উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ৩৫ বছর বয়সী এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের চারদিন পর শনিবার এ মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএসএম দোহা জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আরাফাত হোসেন ও সাইদুর রহমান।
ওসি বলেন, ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নারী নির্যাতন মামলায় কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আব্দুল খালেক গাজী, আকফর হোসেন গাজী, নুর আলম, শফিকুল ইসলাম গাজী, রফিকুল ইসলাম গাজী, লিয়াকত গাজী, সালাউদ্দিন গাজী, খোকন গাজী, নাসরিন সুলতানা, সাবিনা আক্তার, আব্দুল মালেক গাজী ও আফসার গাজী।
জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ভুক্তভোগীর বাবা এবং তাদের প্রতিবেশীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ১১ জুলাই হিংসাত্মক রূপ নেয়। পরে প্রতিবেশী ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগী শামীমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করলে শামীমা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
জরুরি হটলাইন ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। কিন্তু অভিযুক্তরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। শামীমা বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতন বন্ধে আইনের পাশাপাশি প্রয়োজন সচেতনতা: আইনমন্ত্রী
বাগেরহাটে পুকুরে ডুবে একই পরিবারের ২ শিশুর মৃত্যু
বাগেরহাটের মোংলায় পুকুরে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাববুনিয়া এলাকার তেলিখালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো-একই গ্রামের দেলোয়ার শেখের ছেলে মো. জীম (৫) এবং লাভলু শেখের মেয়ে বৃষ্টি (৪)।
আরও পড়ুন: মহানন্দায় ডুবে কিশোরের মৃত্যু
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল থেকে জীম ও বৃষ্টি বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। এক পর্যায়ে তাদের দুজনকে না পাওয়ায় খোঁজাখুঁজির পর পুকুর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশু দুটির লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
খুলনায় জেল-ইনজেক্টেড চিংড়ি জব্দ, আটক ১৮
খুলনা থেকে দুই হাজার কেজি জেল-ইনজেক্টেড চিংড়িসহ ১৮ জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার রাতে হরিণটানা থানার কৈয়া বাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
আসামিরা মাছের ওজন বাড়ানোর জন্য জেল ইনজেকট করে চিংড়ির একটি বড় চালান নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে খুলনায় যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে ২-৩টি গাড়ি আটক করে তাদের আটক করে।
আটক ব্যক্তিদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বন্যা: নেত্রকোণায় মাছ চাষিদের সাড়ে ১১ কোটি টাকার ক্ষতি
ঈদের ছুটি শেষে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর বুধবার সকাল থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। এর ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে।
এর আগে গত ৮ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত টানা পাঁচদিন ঈদের ছুটিতে বন্দরের সকল ধরনের আমাদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিলো। তবে, এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করেছেন।
ভোমরা স্থলবন্দর সি অ্যান্ড এফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাকসুদ খান জানান, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট কার্গো অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যৌথ আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে গত ৮ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত টানা পাঁচদিন দুই দেশের বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ছুটি শেষে আবারও দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়েছে।
ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার আমীর মামুন জানান, টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর আবারও বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দর দিয়ে প্রায় তিনশ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ পণ্যবাহী ট্রাক এই বন্দরে প্রবেশ করে।
ভোমরা স্থলবন্দর থেকে প্রতিদিন বাংলাদেশ সরকারের দুই কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয় বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
ঈদ: সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
খুলনায় ঈদ জামাতে জাতির সমৃদ্ধি কামনা
যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারা দেশের মতো খুলনায় পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে রবিবার সূর্যোদয়ের সাথে সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপ বাংলা ও আরবীতে ঈদ মোবারক খচিত ব্যানারে সজ্জিত করা হয়।
মহানগরী খুলনায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে সকাল ৮টায়। জামাতে ইমামতি করেন খুলনা টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহম্মদ সালেহ।
জামাতে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন।
নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে মুসল্লিরা পরস্পর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নিউমার্কেট সংলগ্ন বায়তুন-নুর-জামে মসজিদ, ডাকবাংলা জামে মসজিদ ও ময়লাপোতা বায়তুল আমান জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও নগরীর সোনাডাঙ্গা হাফিজনগর জামে মসজিদ, খুলনা জিলা স্কুল জামে মসজিদ, কাস্টমঘাট জামে মসজিদ, ইসলামাবাদ ঈদগাহ ময়দান, খালিশপুর ঈদগাহ ময়দান, পিটিআই জামে মসজিদ, কেডিএ নিরালা জামে মসজিদ, সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসা, দারুল উলুম মাদ্রাসা, আন্তজেলা বাস টার্মিনাল মসজিদ, শিপইয়ার্ড, লবনচরা, চাঁনমারী, রূপসা, টুটপাড়া, মিয়াপাড়া, শেখপাড়া, বসুপাড়া, জোড়াগেট সিএন্ডবি কলোনী মসজিদ, বয়রা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন, খালিশপুর ক্রিসেন্ট জুট মিলস, বিএল কলেজ, দেয়ানা ঈদগাহ, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা, খানজাহান নগর খালাসী মাদ্রাসা ঈদগাহ এবং দৌলতপুরসহ নগরীর বিভিন্ন মসজিদ ও ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
পড়ুন: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে
বাগেরহাটে জমে উঠেছে পশুর হাট
বাগেরহাটে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে পশু বেচা-কেনা। হাটে দেশি-বিদেশি জাতের বিভিন্ন সাইজের গরুর সরবারহের ঘাটতি নেই। তেমনি ক্রেতারও কমতি নেই। তবে হাটে দেশি জাতের গরুর চাহিদা বেশি।
ক্রেতারা বলছেন, গেল বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম অনেক চড়া।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জেলায় এ বছর ৫০ হাজার গরু এবং ৭০ হাজার ছাগল ও বেড়া প্রস্তুত রয়েছে।
বাগেরহাটের ফকিরহাটের বেতাগা পশুর হাট শুক্রবার সকাল থেকে জমে উঠেছে। দেশি-বিদেশি জাতের বিভিন্ন সাইজের কয়েক হাজার গরু আনা হয়েছে হাটে। দুর-দুরান্ত থেকে ক্রেতা আসছে হাটে। গভীর রাত পর্যন্ত এই হাটে গরু কেনা-বেচা চলবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লাহাট কামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে দেখা গেছে বিশাল গরুর হাট। ট্রাক এবং পিকআপ থেকে গরু নামানো হচ্ছে হাটে। মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হওয়ায় আশে পাশে ফাঁকা জায়গায় খুটি গেড়ে গরু রাখা হয়েছে। ক্রেতারা এসে নানাভাবে গরু দেখার পর বিক্রেতাদের সাথে দরকষাকষি করছেন। চাহিদা মতো মূল্য না পাওয়ায় অনেকই গরু বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।
ফয়লাহাটের এক প্রাশে গিয়ে দেখা গেলো, অস্টেলিয়ান হলেস্টিয়ান জাতের সাদা রঙের একটি গরু দেখতে ভিড় জমিয়েছে ক্রেতা এবং উৎসুক জনতা। ওই গরুটি হাটের সব চেয়ে বড় সাইজের বলে দাবি খামারীর। ওই গরুটির দাম হাকানো হয়েছে পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটে ২২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম
হলেস্টিয়ান জাতের ওই গরুর খামারি খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের নিয়ামুল ইসলাম জানান, গত তিন বছর ধরে সে ব্যবসার জন্য বাড়িতে গরুর খামার গড়ে তুলেছে। তার খামারে ছোট-বড় মিলে মোট আটটি গরু রয়েছে। খামারের সব চেয়ে বড় দু’টি গরু বিক্রির জন্য হাটে তুলেছে। এর মধ্যে সাদা রঙের উপর হালকা কালোছোপ দেয়া গরুটি তার খামারের সব চেয়ে বড়। আর কালো রঙে গরুটির তার চেয়ে একটু ছোট। বড় গরুটির ওজন হবে ১৪ মণ। বিক্রির জন্য পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা দাম হাকিয়েছে। ক্রেতারা সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। আর কালো রঙের গরুটির ওজন হবে ১২ মণ। দাম হাকিয়েছে চার লাখ ৫০ হাজার টাকা।
খামারি নিয়ামুল ইসলামের তথ্যমতে, তার খামারে হলেস্টিয়ান জাতের সাদা রঙের ওই গরুটি তিন বছর ২ মাস আগে জন্ম নিয়েছে। সে গরুটিকে লালন পালন করে বড় করে তুলেছে। প্রতিদিন ওই গরুটির খাবারের জন্য তার ব্যয় হচ্ছে এক হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ওই খামারী তার গরু দু’টি বিক্রি করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন।
দেলোয়ার হোসেন, কালাম শেখ, আরিফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন খামারী ও গরু ব্যবসায়ী জানান, বছরজুড়ে তারা গরুর খাবার হিসেবে খড়, ভুট্টারগুড়া, ভুসি,সরিষার খৈল,তুলার খৈল, সয়াবিনের খৈল দিয়ে থাকে। গো খাদ্যোর মূলো বেড়ে যাওয়ায় গরুর মূল্যে বেড়ে গেছে। যে মূল্যে গরু বিক্রির টার্গেট নিয়েছে তার কমে বিক্রি করলে তাদের লোকসান গুনতে হবে।
ক্রেতা রামপাল উপজেলার সোলাকুড়া গ্রামের রাসেল গাজী জানান, দুপুর থেকে সে হাটে ঘুরে ঘুরে গরু দেখছে। হাটে গরুর আমদানি থাকলেও দাম অনেক। গত বছরের চেয়ে এ বছর গরুর দাম অনেক চড়া। বিগত বছর সে যে সাইজের গরু এক লাখ টাকায় ক্রয় করেছে এ বছর ওই সাইজের গরুর দাম এক লাখ ৩০ হাজার টাকার উপরে। দাম বেশি হওয়ায় রাসেল গাজীর মতো অনেক ক্রেতা বাজেট করে গরুর হাটে এসে হিমশিম খাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশু কেনাবেচায় ডিজিটাল হাট চালু
ফয়লাহাটের ইজারাদার গাজী আক্তারুজ্জামান জানান, হাটে ছয় থেকে সাত হাজার গরু উঠেছে। ছাগলও আছে কয়েক হাজার। বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোরসহ বিভিন্ন জেলার খামারি এবং ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে এসেছে হাটে। গভীর রাত পর্যন্ত চলবে হাট। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের সুবিধার্থে হাটে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। সরকারি নিয়ম মেনে খাজনা নেয়া হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান জানান, জেলায় এ বছর ঈদুল আজহা সামনে রেখে ৫০ হাজার গরু এবং ৭০ হাজার ছাগল ও বেড়া প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে জেলায় ৩৮ থেকে ৪০ হাজার গরু এবং ১৫ থেকে ২০ হাজার ছাগল ও বেড়ার চাহিদা রয়েছে। লাভবান হতে খামার এবং পারিবারিক পর্যায়ে মানুষ গরু লালন পালন করছে। হাটগুলোতে ভ্যাটেনারী মেডিকেল টিম কাজ করছে। হাটের পাশাপাশি অনলাইনেও গরু বিক্রি হচ্ছে।
গরুর দাম যাতে কম হয় এজন্য দানাদার খাবারের পরিবর্তে ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, জেলায় স্থায়ী ১৩টি এবং অস্থায়ী পাঁচটি মিলে মোট ১৮টি গরুর হাট বসেছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হাটে প্রবেশ এবং বাইর হওয়ার জন্য আলদা পথ রাখতে বলা হয়েছে।
এছাড়া জাল টাকা রোধে আইনশৃ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। সরকার নির্ধারিত হারে ইজারা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাস্তায় পশুর হাট নয়
নাটোরে বাবার হাসুয়ার কোপে ছেলের মৃত্যু
নাটোরের লালপুরে পারিবারিক কলহের জেরে বাবার হাসুয়ার আঘাতে ছেলে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার ময়না গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল হাকিম (৪২) অভিযুক্ত আজিজুর রহমান খলিফার বড় ছেলে।
পুলিশ জানায়, বিকাল সোয়া ৩টার দিকে অভিযুক্ত আজিজুর রহমান খলিফার সঙ্গে তার স্ত্রীর পারিবারিক বিষয়ে ঝগড়া বাঁধে। এ সময় তাদের বড় ছেলে আব্দুল হাকিম মায়ের পক্ষ নিয়ে ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করলে বাবা আজিজুর রহমান ক্ষুব্ধ হয়ে ছেলে আব্দুল হাকিমের গলায় হাসুয়া দিয়ে কোপ দেয়। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্র্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক পিতাকে ধরতে গ্রামবাসীর সহায়তায় অভিযান চালনো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
রাজশাহীতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ৫ দিন পর সাংবাদিকের লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে জেলার কুমারখালী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের তেবাড়িয়া এলাকায় গোলাম কিবরিয়া ব্রিজের (নির্মাণাধীন) গড়াই নদী থেকে পুলিশ তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের ছোট ভাই মাহবুব রহমান ও কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার সাংবাদিক রুবেলের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত রুবেল (৩১) কুষ্টিয়া জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও স্থানীয় দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি রুবেল ঠিকাদারি এবং কুষ্টিয়া শহরের পৌর বাজারে পৈত্রিক কাঁচামালের আড়ত দেখাশোনা করতেন। তিনি কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এ ব্লক এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক ফজলে এলাহীর প্রতি যাতে অন্যায় না হয়, দেখবেন তথ্যমন্ত্রী
জানা গেছে, গত পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন রুবেল। গত ৩ জুলাই হাসিবুর রহমান রুবেল রাত ৯ টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের সিঙ্গার মোড়ে তার পত্রিকা অফিসে থাকা অবস্থায় মোবাইলে একটি কল এলে তিনি অফিস পিয়নকে বাইরে থেকে আসছি বলে বের হন। এরপর থেকে তার সবগুলো মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই কুষ্টিয়া মডেল থানার জিডি করেন তার ছোট ভাই মাহবুব।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ব্রিজের নিচে নদীতে লাশ ভেসে ওঠে। পরনের জামা-কাপড়, মানিব্যাগে থাকা পরিচয়পত্র দেখে তার পরিবারের লোকজন সাংবাদিক রুবেলের লাশ বলে শনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে এ ঘটনায় কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন জেলার সাংবাদিকরা। কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু সাংবাদিক রুবেলের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের তিন মামলার কার্যক্রম স্থগিত
বরিশালে সাংবাদিককে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে আটক ১
নড়াইলে অধ্যক্ষ হেনস্তা: ১ শিক্ষক ও কলেজ পরিচালনা পরিষদকে শোকজ
নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হেনস্তার ঘটনায় কলেজের এক শিক্ষক এবং কলেজ পরিচালনা পরিষদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মো. রহমাতুল্লাহ রনির ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (জনসংযোগ দপ্তর) পরিচালক মো. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৯তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঘটনার দিন নেতিবাচক ভূমিকা রাখায় মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারি অধ্যাপক আক্তার হোসেন টিংকু এবং এ ঘটনায় নির্লিপ্ততার জন্য কলেজ পরিচালনা পরিষদকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে শিক্ষককে হেনস্তা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না-সে মর্মে দ্রুত সময়ের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া অধ্যক্ষ হেনস্তার ঘটনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৮ জুন তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং তদন্ত কমিটি সিন্ডিকেট সভায় ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন বিএল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শরীফ আতিকুজ্জমান।
এ প্রসঙ্গে মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক আক্তার হোসেন টিংকু বলেন, শোকজের বিষয়টি শুনেছি। এখনও কোন চিঠি পাইনি।
তিনি আরও বলেন, চিঠি পেলে অবশ্যই দ্রুত সময়ের মধ্যে জবাব দেব।
মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্তী বলেন, শোকজের বিষয়টি শুনেছি, তবে এখনও কোনো কাগজপত্র পাইনি। চিঠি পেলে জবাব দেয়া হবে।
অধ্যক্ষ হেনস্তার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুর রহমান বলেন, শাওন, মনিরুল, রিমন ও রনির তিনদিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়েছে। পরে তাদের হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া নূর নবীর তিন দিনের রিমান্ড শুরু হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত এ রিমান্ড চলবে।
জানা গেছে, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাময়িক বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে কলেজছাত্র রাহুল দেব রায়ের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত ১৮ জুন দিনভর নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও সহিংসতা চলে। ওইদিন বিকালে পুলিশের পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। ওইসময় কতিপয় ব্যক্তি এসে অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। গুজব ছড়ায়, নূপুর শর্মার ছবি পোস্ট করা ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত রাহুলকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। সে এখন হাজতে। এছাড়া অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের মামলায় ১৭০-১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক লাঞ্ছিত: নড়াইল থানার ওসি প্রত্যাহার
নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত: আ’লীগ নেতাকে অব্যাহতি