খুলনা
চলে গেলেন ইতিহাসবিদ বজলুল করিম
ইতিহাসবিদ ও খুলনার সরকারি বিএল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. বজলুল করিম আর নেই। শুক্রবার সকাল ৭ টায় দৌলতপুরের পাবলা ২নং ক্রস রোডে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
গুণী এই শিক্ষাবিদ এ অঞ্চলের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও বি. করিম স্যার নামেই সর্বাধিক পরিচিত। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রজলাল কলেজের ইতিহাসসহ বহু গ্রন্থের রচয়িতা ও সম্পাদনার সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তাফা
অধ্যাপক মো. বজলুল করিম ১৯৩৮ সালের ১১ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর মহকুমার করিমপুর থানা চেচানিয়া দেওয়ানের পাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা রফিজ উদ্দিন বিশ্বাস ছিলেন রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা এবং মা বিধুজান নেছা (নক্সীকাঁথা শিল্পী) গৃহিনী। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৫৯ সালে এমএ (দর্শন) ডিগ্রি লাভ করেন। ময়মনসিংহ, মাদারিপুর নাজিমউদ্দিন কলেজ ও পরবর্তীতে খুলনা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়ে এবং ১৯৬২ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত সরকারি বিএল কলেজে দর্শন বিভাগে অধ্যাপনা করেন তিনি।
অধ্যাপনার সুবাদে সাবেক ইউওটিসি’র সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট থেকে ক্রমান্বয়ে বিএনসিসি’র মেজর পদ মর্যাদা লাভ করেন। অবসর নিয়েই বসে থাকেন নি তিনি। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত খুলনা জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ক্যাম্পাসের বাসে বাড়ি ফিরছে ইবি শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাসের বাসে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মেসে আটকে পড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার সকাল ৬টায় লকডাউনে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বাস।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বাড়ি ফিরবে ইবি শিক্ষার্থীরা
বাসগুলোর মধ্যে তিনটি ঢাকা এবং দু’টি বাস খুলনা বিভাগে যাবে বলে জানিয়েছেন ইবির পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেনন, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা ভেবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা উদ্যোগটি গ্রহণ করেছি। কোনও সমস্যা যেন না হয় সেজন্যে গাড়ির চালক ও তার সহযোগীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এছাড়াও আগামী ১৮ তারিখ শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফায় আরও ছয়টি বাস দিবে প্রশাসন। ওইদিন তিনটি করে বাস রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ শুরু
এর আগে, গত ৭ জুলাই আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে বিভাগীয় শহরে পৌঁছানোর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের তালিকার ভিত্তিতে পরিকল্পনা করার নির্দেশনা দেন।
কাঁঠাল পাড়াকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ায় বৃদ্ধ নিহত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গাছের কাঁঠাল পাড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ইসলাম আলী (৬২) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের বেগুনবাড়িয়া গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটের গোয়াইনঘাটে প্রতিপক্ষের হামলায় এক বৃদ্ধ নিহত, আটক ৩
পুলিশ ও হোগলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী জানান, বেগুনবাড়িয়া গ্রামের ইসলাম আলীর নাতি তার ছেলের প্রতিপক্ষ গাজীউর রহমান গাজুর গাছ থেকে একটি কাঁঠাল পাড়েন। এ নিয়ে ইসলাম ও গাজুর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে গাজু ক্ষুব্ধ হয়ে ইসলামের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যন। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং নিহত ইসলাম আলীর লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধ নিহত
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, বর্তমানে এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কাঁঠাল পাড়াকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
খুলনার চার হাসপাতালে আরও ১৯ মৃত্যু
খুলনার চার হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৫ জন এবং উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ করোনা: কুমিল্লায় ১৬ জনের মৃত্যু
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ১২ জন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজন, আবু নাসের হাসপাতালে চারজন এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় করোনাতে আরও ১৪ মৃত্যু
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৫ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১৩৪ জন, ইয়ালো জোনে ২১ জন, এইচডিইউতে ২০ এবং আইসিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন।
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় ৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৮৬
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনার ফুলতলার তাছপুরের আবুল হাসান (৫০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৮ জন। এর মধ্যে ৩৪ জন পুরুষ ও ৩৪ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১২ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন।
আরও পড়ুনঃ বরিশালে একদিনে শনাক্ত ৫০০, মৃত্যু ১৩
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।
কুষ্টিয়ায় লাশ আটকে রেখে টাকা দাবি, মর্গের সামনে বাবার আহাজারি
কুষ্টিয়ায় ১০ হাজার টাকা দাবিতে দরিদ্র এক ভ্যানচালকের ১৩ বছর বয়সী ছেলের লাশ দিনভর হাসপাতালের মর্গে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ছেলের লাশের অপেক্ষায় দিনভর মর্গের সামনে বসেছিল হতদরিদ্র বাবা।
মঙ্গলবার বিকালে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে।
পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের সহযোগিতায় মোটা অংকের টাকা দাবি করেন হাসপাতালের মর্গের ডোম লক্ষণ ও হীরা লাল।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় কলেজশিক্ষকসহ নিহত ৩
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের গাছিরদিয়া গ্রামের টলটলিপাড়ার হতদরিদ্র ভ্যানচালক কমল প্রমানিকের ১৩ বছর বয়সী ছেলে শান্ত কয়েক বছর মাদরাসায় পড়াশোনা করেছে। অভাব-অনটনের সংসারে পড়াশোনা ছেড়ে বর্তমানে সে কৃষি কাজ করত। সোমবার সন্ধ্যায় মায়ের ওপর অভিমান করে নিজ বাড়িতে কীটনাশক পান করে শান্ত। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পরিবারের লোকজন তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত পৌনে ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক শান্তকে মৃত ঘোষণা করেন। তাৎক্ষণিক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে লাশ মর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে লাশ কাটা ঘরের (মর্গের) সামনে বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েন ভ্যানচালক কমল প্রমানিক। বারবার ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলতে থাকেন, ঘরের মধ্যে ডেকে নিয়ে ওরা আমার ছেলের মরদেহ দেখিয়ে বলে, বুকের অর্ধেক কাটলে ৫ হাজার, পুরো কাটলে ১০ হাজার আর কপাল কাটতে আরও ছয় হাজার টাকা দেয়া লাগবে। তা না হলে লাশ কাটা হবে না। ওদের বারবার বলেছি আমি গরিব মানুষ, আমার এতো টাকা নেই। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার চোখের সামনে ছেলের মরদেহ গরুর চামড়া ছিলার মতো ছিলতে থাকে।
তিনি বলেন, পুলিশের সামনে ডোমরা যখন টাকা দাবি করেন, তখন পুলিশ বলছে, তারা কি এসব বোঝে, তুমি এইটুকু কাটবা, এইটুকু কাটবা দেখাচ্ছ, তারা তো ওই সব বোঝে না। যে যেমন লোক, তার সাথে সে রকম করো।
আমি পুলিশ ভাইকে বারবার অনুরোধ করে বলেছি, ভাই আমি গরিব মানুষ। আমি ভ্যান চালিয়ে খাই। আমার টাকা দেয়ার মতো কোনো অবস্থা নাই। উল্টো পুলিশ আমাকে বলছে, এসব কথা এখানে চলবে না। ভাই আমার দেয়ার মতো কোনো ক্ষমতা নেই। আমার সহযোগিতা করার মতো লোকও নেই। আমার পাশে এসে দাঁড়াবে এমন একটা লোকও আমার নেই। ওরা আমার কোনো কথাই শোনেনি,’ বলেন প্রমানিক।
তিনি বলেন, ‘ডোমরা টাকা ছাড়া আমার ছেলেকে দেবে না। আমি এখন টাকা কোথায় পাব। ১০ হাজার টাকা দিয়ে লাশ নিয়ে যেতে বলছে। আমার কাছে তো টাকা নেই। ভাইগো আমার ১০ হাজার টাকা দেয়ার কোনো পরিবেশ নেই।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনায় মোট মৃত্যু ৩৫৯
ভ্যানচালক কমল প্রমানিকের অভিযোগ, রাতে লাশ মর্গে ঢোকানোর সাথে সাথে লাশ পাহারা দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা দাবি করে দুইজন ডোম। আমি গরিব মানুষ, আমি টাকা কোথায় পাব, একথা বলতেই আমার ওপর রেগে উঠে। পরে আমার ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা ধার করে ওদের দিয়ে রাতে বাড়ি চলে যাই। সকালে আসার সাথে সাতে আবার ৭০০ টাকা, পরে আরও ১০০ টাকা নেয়। দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকেও বিভিন্ন খরচের কথা বলে আমার কাছ থেকে এক হাজার ৫৫০ টাকা নিয়ে নেয়।
শান্তর চাচা মামুন বলেন, সংবাদ শুনে দুপুরে আমি হাসপাতালের মর্গের সামনে এসে দেখতে পাই দুই ডোম ও একজন পুলিশ সদস্য এক টেবিলে বসে সিগারেট খাচ্ছেন। পাশে শান্তর আব্বা দাঁড়িয়ে টাকা নিয়ে কথা বলছেন। এসময় আমি মোবাইলে ভিডিও করার চেষ্টা করলে তারা টের পেয়ে যায়। পরে আমাকে ভিডিও করতে দেয়নি। বিষয়টি জানতে পেরে বিকালে সাংবাদিকরা মর্গের সামনে উপস্থিত হলে দুই ডোম তাড়াহুড়া করে লাশ একটি অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে দেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসপাতালের মর্গে কর্তব্যরত পুলিশ কনেস্টবল হাবিব জানান, তার সামনেই ডোমরা টাকা দাবি করেছে। আমি তাদের কোনো কিছু বলিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতালের মর্গের ডোম লক্ষণ জানান, তাদের কাছে কোনো টাকা দাবি করা হয়নি। তারা ইচ্ছে করে লাশ ফেলে রেখেছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ আসলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কুষ্টিয়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় কলেজশিক্ষকসহ নিহত ৩
কুষ্টিয়ায় বুধবার সকাল ও মঙ্গলবার রাতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজশিক্ষকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, মিরপুর উপজেলার খয়েরপুর বাজারপাড়া এলাকার মৃত ফজলুল হকের ছেলে ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শফিউল আজম (৪৮), চরপাড়া এলাকার আব্দুল গনি মন্ডলের ছেলে শিক্ষক শফিউলের মামাতো ভাই এনামুল ইসলাম (৫২) এবং কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মৃত ইয়াকুব আলী বিশ্বাসের ছেলে নাসির উদ্দিন বিশ্বাস (৫৫)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চাচা-ভাতিজা নিহত
কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক জানান, বুধবার সকাল ৭টার দিকে দুজন মোটরসাইকেল আরোহী ঝিনাইদহ থেকে কুষ্টিয়ায় আসছিলেন। পথে মধুপুর কলার হাটের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি রডবোঝাই লং ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের চালক এনামুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় শফিউল আজমকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
নিহত শিক্ষক শফিউলের ভাইরা স্বপন জানান, মাকে দেখার জন্য শফিউল তার মামাতো ভাই এনামুলের সাথে সাতক্ষীরা থেকে কুষ্টিয়ার আমলার খয়েরপুরে আসছিলেন।
এদিকে, কুমারখালী উপজেলার মাছুদ রুমি সেতুর উপরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নাসির উদ্দিন বিশ্বাস নামে এক বালু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নাসির উদ্দিন বিশ্বাস মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে কুষ্টিয়ায় আসছিলেন। এসময় অজ্ঞাতনামা একটি পরিবহন তাকে পেছন দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতের লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।।
৫ মাস বেতন বন্ধের প্রতিবাদে কেসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বিক্ষোভ
দীর্ঘ পাঁচ মাস বেতন বন্ধ থাকায় খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) বহিরাগত পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে প্রায় শতাধিক শ্রমিক এ বিক্ষোভ করেন। এর আগে তারা সংস্থার পাওয়ার হাউজ মোড়স্থ গেরেজের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।
‘আমাদের দাবি না মানলে পরিচ্ছন্ন কাজ বন্ধ থাকবে, আমাদের দাবি মেনে নিন পাঁচ মাসের বেতন দিন এই স্লোগানে বিক্ষোভ করেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা জানান, ১২০ জন বহিরাগত শ্রমিক ৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে ক্ষুব্ধ এসব কর্মীরা কেসিসির তেলের ট্যাংক গ্যারেজের সামনে মঙ্গলবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবারও তারা বিক্ষোভে নামেন।
আরও পড়ুন: যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দিদের বিক্ষোভ, ভাঙচুর
শ্রমিক কর্মী রাকিব বলেন, করোনার মধ্যেও স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সিটি করপোরেশনের বর্জ্য পরিষ্কার করছি। অথচ পাঁচ মাস বেতন পাচ্ছি না। বর্জ্য অপসারণের সময় গ্লাভস, মাস্ক, বুটজুতা, হেলমেট ব্যবহার করার কথা থাকলেও আমাদের কিছুই নেই। শুনেছি আমাদের জন্য এগুলো বরাদ্দ হয়েছিল কিন্তু আমরা পাইনি। বর্তমানে বেতন না পেয়ে অনেক মানবেতর জীবন যাপন করছি। মুদি দোকানিরা আর বাকি দিতে চান না। বাড়িওয়ালারাও বাসা থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন।
আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে কেসিসির আউট সোর্সিং-এর চাকরিতে যোগদান করেন। কয়েক মাস সঠিকভাবে বেতন পেলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চলতি জুলাই মাস (পাঁচ মাস) পর্যন্ত বেতন পাননি। বার বার কর্মীদের সুপারভাইজার হাফিজুল ইসলামের কাছে বেতনের জন্য ধরনা দিয়েও বেতন পাননি। শ্রমিকরা খুব অসহায় অবস্থায় আছেন। একে লকডাউন, সেই সাথে সামনে ঈদ। এই সময় টাকা না পেলে তারা না খেয়ে মরবে।
শ্রমিকদের সুপারভাইজার হাফিজুল ইসলাম জানান, বহিরাগত শ্রমিক পরিচ্ছন্ন কর্মীরা পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। শ্রমিকদের হাজিরা সংক্রান্ত একটি জটিলতার কারণে মেয়র মহোদয় তদন্ত কমিটি করেছিলেন। তদন্তের রিপোর্ট তৈরি করে মেয়রের কাছে দেয়া হয়েছে। দেয়ার পরের দিন তিনি অসুস্থ হয়ে ঢাকায় চলে যান। মেয়র খুলনায় আসলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
তদন্তে কেন এত দীর্ঘ সময় লাগলো তার সদুত্তর দিতে পারেননি হাফিজুল ইসলাম
খুলনায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ১২ মৃত্যু
খুলনার তিন হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১২ জনের প্রাণহানী হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৯ জন ও উপসর্গ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতদের মধ্যে খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে পাঁচ জন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চার ও গাজী মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিন জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় করোনা শনাক্তের হার ৪৮.০৭ শতাংশ, মৃত্যু ৮
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া উপসর্গে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ জন।
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪৪ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ছয় জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ছয় জন। এই হাসপাতারে কারও মৃত্যু হয়নি।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তামানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ জন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনায় মোট মৃত্যু ৩৫৯
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১২ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন।
করোনা: খুলনার চার হাসপাতালে ১৯ মৃত্যু
খুলনার চার হাসপাতালে আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ১০ জন ও উপসর্গ নিয়ে পাঁচ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কৃর্তপক্ষ।
সোমবার (১২ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলনার (১৩ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১০ জন, জেনারেল হাসপাতালের চার, আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এক ও গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১৯ মৃত্যু
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় পাঁচ জন ও উপসর্গ নিয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন- নগরীর সোনাডাঙ্গার আফজাল হোসেন (৫০), দৌলতপুরের সামাদ মোল্লা (৭৫), ফুলবাড়ীগেটের গাজী সামসুর রহমান (৮৪), ১নং কাস্টমঘাটের সুমি (২২) এবং বাগেরহাটের বিষ্ণুপুরের সামসুন্নেছা (৪৭)। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে পাঁচ জন মারা গেছেন।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৫ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১৩০ জন, ইয়ালো জোনে ২৫, আইসিইউতে ২০। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪৩ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪২ জন।
আরও পড়ুন: খুলনায় করোনা ও উপসর্গে ১৭ মৃত্যু
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীর সোনাডাঙ্গার আলমগীর মল্লিক (৬৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ছয় জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ছয় জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতীর কালাম সরদার (৭৮), একই এলাকার সিংহেরটর এলাকার তাসলিমা (৪৫), ডুমুরিয়ার সৈয়দ মুজিবুর রহমান (৮০) ও একই উপজেলার ঘোনাবান্ধা এলাকার চিত্তরঞ্জন মন্ডল (৮০)। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৬ জন। এর মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ ও ৪১ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১২ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আট জন।
আরও পড়ুন: করোনা: খুলনার তিন হাসপাতালে ১৪ মৃত্যু
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- বাগরেহাটের দশানী গ্রামের হোসনেয়ারা আলম (৭২), নগরীর দারোগাপাড়া এলাকার শেখ নজরুল ইসলাম (৬১), রূপসার নতুন বাজার এলাকার আলেয়া বেগম (৫০) ও শিরোমণি এলাকার শেখ নুরুল হক (৭৮)।
খুলনায় দুস্থদের মাঝে সেনাপ্রধানের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
খুলনায় পাঁচ হাজার দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে তিনি এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
এ সময় সেনাপ্রধান করোনার এই সংকটময় অবস্থায় সবাইকে সরকারের বিধিনিষেধ যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জেনারেল র্যাংক ব্যাজ পরলেন নতুন সেনাপ্রধান
খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করার পর সেনা প্রধান মহানগরীর শিববাড়ী মোড়ে সেনাবাহিনীর টহল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে খুলনা সার্কিট হাউজে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় সেনাপ্রধানের সাথে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. নুরুল আনোয়ার, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞাসহসহ স্থানীয় অসামরিক প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৪ জুন দায়িত্ব গ্রহনের পর খুলনা অঞ্চলে নবনিযুক্ত সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের প্রথম সফর এটি।
আরও পড়ুন: নতুন সেনাপ্রধান শফিউদ্দিন আহমেদ
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর সদস্যরা খুলনা ও ঢাকা বিভাগের ১১টি জেলায় সাধারণ জনগণের মাঝে কোভিড প্রটোকল নিশ্চিতকল্পে নিয়মিত টহল ও লকডাউন সম্পর্কিত নির্দেশাবলী যখাযথভাবে প্রয়োগে অসামিরিক প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন কাযক্রম পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে ৫৫ পদাতিক ডিভিশন পাঁচটি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ত্রাণ বিতরণ করেছে।