খুলনা
খুলনায় করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬৮
খুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সাথে নতুন করে আরও ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র এই সব তথ্য জানিয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে শনিবার রোগী ভর্তি ছিল ৬৬ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ছয় জন। করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: একদিনে খুলনায় করোনায় ৪ জনের মৃত্যু
মৃতদের মধ্যে মহানগরীর খালিশপুরের আলমনগর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফের স্ত্রী আছিয়া খাতুন (৭৫)। তিনি শনিবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে খুমেকের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর হরিণটানা থানাধীন জিরো পয়েন্ট এলাকার বাসিন্দা মৃত নোয়াব আলীর ছেলে রেজাউল করীম (৬৫) মারা যান। তিনি ১ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনা বিষয়ে সচেতনতা ও টিকাদানে সহায়তা করবে ফেসবুক
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনার ১৯৮ জনের নমুনা ছিল। এদের মধ্যে খুলনার ৫৩ জন, বাগেরহাটের সাত, যশোরের তিন, সাতক্ষীরার চার, বরিশাল ও নড়াইলের একজন করে ও ঢাকার দুইজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় চলছে কঠোর লকডাউন
গত ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতে অনুপ্রবেশের সময় মহেশপুর সীমান্তে দালালসহ আটক ৯
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় এক দালালসহ ৯ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
শনিবারে ভোরে খোশালপুর সীমান্তের একটি কলা বাগানের মধ্যে থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক দালাল মো. কদম আলী মন্ডল (২৫) বাংলাদেশি নাগরিক।
আরও পড়ুন:বিজিবির সাথে এবার টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধ’, নিহত ‘মাদক কারবারি’
এছাড়া আটকদের মধ্যে ৩ জন পরুষ, ৩ নারী ও ২ শিশু রয়েছে। তাদের বাড়ি বাগেরহাট, নড়াইল ও ঝিনাইদহ জেলায়।
ঝিনাইদহ বিজিবি-৫৮ ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান জানান, শনিবার ভোরে সীমান্তের একটি কলা বাগানের মধ্যে থেকে শিশুসহ আটজনকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারে সহায়তাকারী দালাল মো. কদম আলী মন্ডলকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘মানব পাচারকারী চক্রের’ ৩ সদস্য গ্রেপ্তার, ৩ রোহিঙ্গা উদ্ধার
পরে তাদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট অধ্যাদেশ আইনে মামলা করে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মানব পাচারকারী চক্রের’ ৩ সদস্য গ্রেপ্তার, ৩ রোহিঙ্গা উদ্ধার
কৃষকের ধান কেটে দিল নওগাঁর যুবলীগ নেতা-কর্মীরা
নওগাঁয় চলতি মৌসুমের বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। লকডাউনের কারণে কিছুটা শ্রমিক সংকটে পড়ায় কৃষকদের পাকা ধান কেটে দিল জেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
শনিবার সকাল ১০টায় সদর উপজেলার শিমুলিয়া এলাকায় নজরুল ইসলাম নামে ওই কৃষকের ১ বিঘা জমির পাকা ধান কেটে বাড়ির পৌঁছে দেয় যুবলীগের ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী।
আরও পড়ুন: যশোরাঞ্চলে বোরো ধানের মিষ্টি গন্ধে মাতোয়ারা কৃষক-কৃষাণি
কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস ও লকডাউনের কারনে ধান কাটার শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। বেশি দাম দিয়ে শ্রমিকও নিতে পারছি না। ফলে মাঠের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছিলাম না। খবর পেয়ে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আমার ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে আগাম জাতের বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করলেন কৃষিমন্ত্রী
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার রায় বলেন, লকডাউনের কারণে জেলায় কিছুটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিক না পাওয়ায় তার জমির ধান কাটতে পারছিলেন না। আমরা খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার জমির ধান সকলে মিলে কেটে দিয়েছি।
আগামীতেও কৃষকের পাশে থেকে তাদের জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাওরে ৯৯ ও সারা দেশে ৩৯ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ
আরও পড়ুন: হাওরে ধান কাটার পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
আখ খেতে নিয়ে শিশু ধর্ষণ, বাগেরহাটে ২ কিশোর গ্রেপ্তার
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় আখ খেতে নিয়ে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে উপজেলার চরবানিয়ারি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিত শিশুর বাবা বাদী হয়ে ওই দুজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: আটক ৫
গ্রেপ্তাররা হলেন-চিতলমারী উপজেলার চর শৈলাদহ আদর্শ গ্রামের সুজন খানের ছেলে জাকির খান (১৬) ও একই এলাকার হায়দার শেখের ছেলে শামীম শেখ (১৭)।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে খেলার কথা বলে বাড়ির পাশের আখ খেতে নিয়ে ওই দুই কিশোর শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে তার বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত দুই কিশোরকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। পরবর্তীতে তারা শিশুটির বাবার হাত-পা ধরে ক্ষমা চেয়ে চলে যায়। পরে অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার বাবা।
আরও পড়ুন: যশোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক
ওসি জানান, শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।
মাগুরায় সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ
সরকার গৃহীত ৪০ দিন কর্মসূচির প্রকল্প বাস্তবায়নে মাগুরার সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
কর্মসংস্থান কর্মসূচীর (ইজিপিপি) আওতায় অতিদরিদ্রের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচীর প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কাজ করে সফল হলেও মাগুরার সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নে অনিয়মের কারণে নষ্ট হচ্ছে বর্তমান এ সরকারের ভাবমূর্তি। পাশাপাশি এই কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার অতিদরিদ্র মানুষও।
আরও পড়ুন: অনিয়মের অভিযোগে কুষ্টিয়ায় ব্রিজ নির্মাণ বন্ধ
সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সপ্তাহ থেকে ইউনিয়নে ৪০ দিনের এই কর্মসূচীর কাজ শুরু হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটি সাইটে ৩৫ থেকে ৪০ জন অতিদরিদ্র লোক নিয়োগ করার কথা থাকলেও কাজের পিআইসিরা সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০ জন লোক দিয়ে কোন মতে দায়সারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মাঝে আবার কোন কোন দিন মোটেও কোন শ্রমিকই থাকেনা সাইটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা ইউএনবিকে জানান, মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামুড়া ইউনিয়নে দুর্নীতিবাজ কিছু জনপ্রতিনিধিদের পকেট ভারী করতে চলছে এসব অনিয়ম।
তিনি জানান, হতদরিদ্র শ্রমিকরা ২০০ টাকা মাথাপিছু কাজ করে তাও আবার ঠিকমত কাজের টাকা না পেয়ে কেউ ধার করে সংসারের ভরণপোষণ চালায়৷ আবার কেউ কেউ অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করে।
এসব বিষয় নিয়ে কর্মসূচীর কাজের এক সরদাররের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, যত দেরিতে টাকা ওঠায় ততো মেম্বার চেয়ারম্যানদের লাভ হয়। কারণ শুনেছি একবার টাকা উঠালে কাজের ট্যাগ অফিসারসহ অনেক অফিসারকে এই টাকার ভাগ দিতে হয়৷ তাই ৪০ দিনে দুইবার উঠালে তাদের লাভ বেশি হয়। এ জন্য খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কষ্ট পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুরমা নদীর প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ
গত কয়েক দিন ধরে এ প্রতিবেদক সরেজমিনে গেলে এসব অনিয়মের খবরে অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়৷
এ বিষয়ে কাজের পিআইসি কনক বালা, ইমরোজ ও বাবুল হোসেন মোল্যাসহ আরও কয়েকজন মেম্বারদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ধান কাটা লেগেছে তাই কাজের মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না৷ এভাবেই কাজ চলবে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিলের প্রণোদনার টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
প্রত্যেকটি সাইটের কাজের সরদাররা জানান, প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ জন শ্রমিক থাকার কথা কিন্তু বর্তমানে ধান কাটা লেগেছে বলে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সুফিয়ান ও (ট্যাক) অফিসার উপজেলা শিক্ষা অফিসার বজেন্দ্র নাথ আলাপকালে বলেন, আমরা কাজে শ্রমিক বাড়ানোর কথা বলেছি কিন্তু কাজের সভাপতিরা বাড়াচ্ছেন না৷ বিষয়টি পিআইও মহোদয়কে বলেছি, তিনি বলেছেন সাইটে যে কয়জন শ্রমিক কাজ করবে সেই কয়জনের বিল দেয়া হবে৷
করোনা: খুলনা বিভাগে আক্রান্ত ৩০ হাজারের বেশি, মৃত্যু ৫৪২
খুলনায় বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা। বিভাগে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। একই সাথে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪২ জনে।
এ অবস্থায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৩০ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১৫৬ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ হাজার ৮৪৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৬৩ জন।
বিভাগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭১৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ হজার ৫৩৯ জন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না: মন্ত্রী
এছাড়া বাগেরহাটে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৮৯ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩১ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ১৭১ জন। সাতক্ষীরায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৪৫ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ১৬৪ জন।
যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৯ জন। মারা গেছেন ৬৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫ হজার ১৬৯ জন। নড়াইলে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৫০ জন। মারা গেছেন ২২ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৬৫৫ জন।
মাগুরায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৯৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৯৪ জন। ঝিনাইদহে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৯৩ জন। মারা গেছেন ৫০ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হজার ৪৪৯ জন।
আরও পড়ুন: লকডাউনে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তার দাবি অটোরিকশা, হালকা যানবাহনের কর্মীদের
কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫২১ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪ হজার ১৮২ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৩৬ জন। মারা গেছেন ৪৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৬৬৬ জন।
সর্বনিম্মে রয়েছে মেহেরপুর। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭৫৭ জন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, করোনায় সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চললে সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা কমবে বলে তিনি আশাবাদী।
করোনা: খুলনায় আরও তিন জনের মৃত্যু
খুলনায় ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনায় আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। একই সাথে খুমেকের পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় ৬৯ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।
খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিট সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারহানা দিলরুবা (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তিনি নড়াইল সদরের ধাওয়া খালি এলাকার বাসিন্দা শাহিনুর ইসলামের স্ত্রী। ৬ এপ্রিল তিনি খুমেকের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: কোভিড ভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জলিলুর রহমান (৮১) নামে একজন মারা যান। তিনি খুলনার খালিশপুর থানাধীন হাউজিং বাজার এলাকার মৃত মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে। ১৯ এপ্রিল তিনি মেডিকেলে করোনা ইউনিটে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: করোনা: খুলনায় একদিনে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৮১
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পুষ্পপল কুমার চক্রবর্তী (৫৩)। তিনি বাগেরহাট ফকিরহাটের মূলঘর এলাকার চিত্তরঞ্জন কুমার চক্রবর্তীর ছেলে।
এ নিয়ে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত খুলনার করোনা ডেডিকেটেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১৬ জনের মৃত্যু হলো।
আরও পড়ুন: ভারতে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের নতুন রেকর্ড
খুমেক হাসপাতালের করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসাবিষয়ক কমিটির সমন্বয়কারী এবং খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৩৭৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৬৯ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার ৬২ জন। এছাড়া বাগেরহাটের ৪ জন, সাতক্ষীরার ১ জন, ঢাকার ১ জন ও মাগুরার ১ জন রয়েছেন।
যশোরে হকার্স মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড, ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি
যশোরের টাউন হল মাঠ সংলগ্ন জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে (হকার্স মার্কেট) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৫টি কাপড়ের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে জানা গেছে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি তারিক হাসান বিপুল সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলামের উদ্ধিৃতি দিয়ে বলেন, মার্কেটের পূর্বপাশের কালু মিয়া, শাহিন, পলাশ, মকবুল, গফুর, বাবু, আমির হোসেনের দোকানসহ ১৫টি দোকানের মালামাল সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দোকানিরা নতুন কাপড় তুলেছিলেন। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক কামলউদ্দিন ভুইয়া বলেন, খবর পেয়ে আমাদের চারটি টিম ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত পৌনে ১টার দিকে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: আগুনে পুড়ে ছাই ২০ বিঘা জমির পান বরজ
তিনি বলেন, কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত তা এখনো সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে মার্কেটের পেছনে জেলা পরিষদের পাশ থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট কিংবা অন্য কোন কারণে আগুণ লাগতে পারে।
কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলেও তিনি জানান।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশের একাধিক টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এনটিভির সাংবাদিক আবু তৈয়ব গ্রেপ্তার
এনটিভির খুলনা ব্যুরো প্রধান আবু তৈয়বকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা থানা পুলিশ নগরীর নূর নগর এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক আনাস মারা গেছেন
এর আগে মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে খুলনা সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক সাংবাদিক আবু তৈয়বের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ সালের ২৫ (২)/২৯/(১) ৩১ (২) ধারায় খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে সাংবাদিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম সাংবাদিক আবু তৈয়বের গ্রেপ্তারের সংবাদ নিশ্চিত করে জানান, খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচারের কারণে মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাংবাদিক আবু তৈয়বকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ ফটোসাংবাদিক কাজল বেনাপোল থেকে উদ্ধার
ধর্ষণের পর নগ্ন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল, চুয়াডাঙ্গায় ৬ কিশোর আটক
চুয়াডাঙ্গা শহরের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর নগ্ন ছবি তুলে অর্থ দাবির অভিযোগে ছয় কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
শহরের কেদারগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকা থেকে সোমবার রাতে তাদেরকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় রাতে ৩টার দিকে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আটকরা হলো- শহরের কেদারগঞ্জের মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে জোবায়ের হোসেন জীম (১৮), মুন্সিপাড়ার কেতাব আলীর ছেলে মেহেদী হাসান রাকিব (১৭), পলাশপাড়ার আনোয়ারের ছেলে রায়হান রাজ (১৬), কেদারগঞ্জের আশরাফুল ইসলামের ছেলে ইমরান খান (১৬), জীবননগর বাসষ্ট্যান্ড পাড়ার মৃত আবু হোসেনের ছেলে সিমরান শেখ (১৬) ও কেদারগঞ্জের মুনছুর আলীর ছেলে মারুফ হাসান আপন (১৬)।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: আটক ৫মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রায় ৮ মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে শহরের স্কুলপড়ুয়া এক কিশোরীর (১৪) সাথে জিমের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২৫ মার্চ জিমসহ আরও বেশ কয়েকজন ওই স্কুলছাত্রীকে মহিলা কলেজপাড়ার একটি বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় জীম ওই কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনায় বাকি আসামিরা জিমকে সহযোগিতা করে। এরপর থেকেই ধারনকৃত ওইসব অশালীন ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেখিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করে চক্রটি।
পুলিশ জানায়, ছবি ও ভিডিও প্রকাশরে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী মেয়েটির কাছে চাঁদা দাবি করতো চক্রটি। ভয় পেয়ে ওই স্কুলছাত্রী তাদের দাবি মতো টাকা ও স্বর্ণালংকার দিতে বাধ্য হয়। এরই মধ্যে নগদ ১৬ হাজার টাকা ও বেশ কিছু স্বর্ণালংকারও চক্রটির হাতে তুলে দেয় ওই কিশোরী। সোমবার আবারও ২৫ হাজার টাকা দাবি করে অভিযুক্তরা। এর পর কোন উপায় না পেয়ে স্কুলছাত্রী পুরো বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরে পরিবারের সদস্যরা পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চারিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় বিয়ের আশ্বাসে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, ইমাম গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, প্রাথমিক তদন্তে আটকদের ব্যাপারে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ, পর্ণোগ্রাফি ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ওসি জানান, অভিযুক্তদের মোবাইলফোন থেকে ধারণ করা নগ্ন ছবি ও ভিডিও জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, আটক