খুলনা
ডুমুরিয়ায় তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ২
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই ডুমুরিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন ডুমুরিয়া উপজেলার চাকুন্দিয়া গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে রায়হান গাজী (২৩) এবং চুকনগর গ্রামের (সাবেক নরনিয়া গ্রামের) আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে আসাবুর রহমান আশিক গাজী (২৩)।
আরও পড়ুন: গোসল করতে গিয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার, যুবক গ্রেপ্তার
মামলার বিবরণে জানা যায়, বুধবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ভুক্তভোগী চুকনগর বাজারের গোলাম রোডে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে পরিচিত এক ব্যক্তির সাথে কথা বলছিলেন। এ সময় আসামিরা তাদেরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় নরনিয়া গ্রামের মৃত নজির উদ্দীন গাজীর ছেলে ইউসুফ হারুন গাজীর ধানের চাতালের দোচালা একটি টিনের ঘরে। পরিচিত ব্যক্তিকে আটকে রেখে ভিকটিমকে অন্য ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। এ সময় ভুক্তভোগী তরুণী রাতেই ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে ঘটনার বিবরণ দিলে ওই রাতেই ডুমুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম আসামিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
এ ব্যাপারে আসামি আশিকের বাবা আব্দুল হামিদ গাজী বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু আসলে কি হয়েছে তা আমি জানি না।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে নার্সের মামলা
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপপরিদর্শক (এসআই) ইমদাদুল হককে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
খুলনার ১০ জেলায় করোনায় মৃত্যু ৬০০ ছাড়াল
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মৃতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে।
খুলনা শহরের অসহায় পথবাসী নারীদের মানবেতর জীবন
খুলনা শহরের অসহায় পথবাসী নারীরা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের সহায়তা বা অন্য কোন সাহায্য মেলেনি তাদের ভাগ্যে। রাস্তায় রাস্তায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খুলনাভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপ, পেজে এসব গৃহহীন মানুষের দুর্দশার বিষয় তুলে ধরতে দেখা গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের কার্যকরী সাহায্য পায়নি তারা।
আরও পড়ুন: খুলনায় বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের নারী শ্রমিকদের মানবেতর জীবন
রূপসা ঘাট এলাকার এটলাস সী ফুডের সামনের ফুটপাতে রোদের মধ্যে কোমরের ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন ভানু বেগম। গত পাঁচ বছর থেকে শহরের বিভিন্ন ফুটপাতেই থাকেন তিনি। স্বামী-সন্তান, পরিবার সবই ছিল, এখন কিছুই নেই তার। পাঁচটা বস্তা, একটি প্লাস্টিকের ড্রাম, একটা বালতি আর একটা ছেড়া তোষক নিয়েই তার রাস্তার সংসার।
আরও পড়ুন: করোনা: ঝিনাইদহে বন্ধ পার্ক কর্মীদের মানবেতর জীবন
তিনি জানান, ছোট বেলায় ফুপুর সাথে বরিশাল থেকে খুলনায় এসেছিলেন। বিয়ের পরে গর্ভবতী অবস্থায় তার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর চাকরি করতেন এটলাস সী ফুড কোম্পানিতে। ফাতেমা নামের একটি মেয়েও ছিল তার। গত পাঁচ বছর আগে মেয়েকে হারিয়েছেন। তারপর থেকে ফুটপাতে থাকেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, রাস্তায় রাত কাটাতেও নানা সমস্যায় পড়তে হয় তাকে। আগে থাকতেন টুটপাড়া কবর খানার মোড়ে। সেখানে একজন নাইটগার্ড রাতে নিপীড়ন করতো তাকে। আর এখন রূপসা সন্ধ্যা বাজারের কয়েকজন নাইটগার্ড ও বখাটেরা বিরক্ত করে। সোমবার রাতে তাদের কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় মারধর করেছে তাকে।
আরেকজন মহিলা এক বছর থেকে সন্তান নিয়ে থাকছেন খুলনা জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী রেঞ্জ অফিসের সামনের ফুটপাতে। সকাল থেকে শিশু সন্তানটিকে খুঁজে পাচ্ছেন না। সন্তান হারিয়ে রাস্তার পাশে লাঠি হাতে পাগলের প্রলাপ বকছেন তিনি। এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মানবেতর জীবন: বিচারের জন্য নিরলস লড়াই
রেঞ্জ অফিসের অপর পাশে আতিক এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ইমারুল ইসলাস জানান, গত এক বছর থেকে সাত বছরের মেয়ে নিয়ে এখানে আছে মহিলাটি। রোদ, শীত, ঝড়, বৃষ্টিতে বাচ্চা নিয়ে রাস্তাতেই থাকেন। মানুষের দেয়া খাবারে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে মহিলাটির।
রাস্তায় দিনযাপন করা এসব মানুষগুলোর সরকারি সহায়তা পাওয়া সম্ভব কি না, এ বিষয়ে জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খাঁন মোতাহার হোসেন বলেন, ‘পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে সমাজ সেবা অফিসের সহায়তার সুযোগ নেই। ভবঘুরে হলে ময়মনসিংহ ভবঘুরে পুনর্বাসন সেন্টারে পাঠানো সম্ভব। তবে তারা বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী হলে আবেদন করলে ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।’
খুলনায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ধর্ষণের শিকার সেই নারীর আত্মহত্যার চেষ্টা
খুলনা পিটিআই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ধর্ষণের শিকার সেই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
ভারতকে ৪ ট্রাক করোনা প্রতিষেধক ওষুধ ও ইনজেকশন উপহার দিল বাংলাদেশ
দ্বিতীয় চালানে করোনা প্রতিরোধী ইনজেকশন, ক্যাপসুল, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ ১৮ প্রকারের ওষুধ বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে করোনা চিকিৎসার এসব ওষুধ ও ইনজেকশন পাঠিয়েছে।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে মঙ্গলবার বিকালে এই শুভেচ্ছা উপহার হস্তান্তর করা হয়েছে।
কোলকাতাস্থ বাংলাদেশী উপ হাইকমিশনার তৌফিক হাসান এসব করোনার ওষুধ ও ইনজেকশন গ্রহন করে ভারতীয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কাছে হস্থান্তর করেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে ফিরলেন আরও ১০৫ জন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, ৪টি ট্রাকে প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের করোনা প্রতিরোধী ইনজেকশন, ক্যাপসুল, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ ১৮ ধরনের ওষুধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরকে ঘিরে সক্রিয় শক্তিশালী চোরাচালান সিন্ডিকেট
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রবি ইন্টারন্যাশনালের সত্বাধিকারী রবিউল ইসলাম রবি জানান, কাস্টমস ও বন্দরে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৪ ট্রাক করোনা প্রতিরোধী ইনজেকশন, ক্যাপসুল, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ ১৮ প্রকারের ওষুধ ভারতীয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদে ৩ দিন বেনাপোলে আমাদনি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, বিকাল ৩টার দিকে কাস্টমস এর সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৪ ট্রাক করোনা প্রতিষেধক ওষুধ ও ইনজেকশন হস্থান্তর করা হয়েছে। কোলকাতস্থ বাংলাদেশী উপ হাইকমিশনার এসব উপহার সামগ্রী গ্রহন করেছেন।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ৬ মে ১০ হাজার পিস করোনা প্রতিষেধক ইনজেকশন ভারতকে উপহার দেয় বাংলাদেশ।
ভারত থেকে ফিরলেন আরও অর্ধশত বাংলাদেশী, এক নারীর করোনা শনাক্ত
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে আটকে পড়া আরও অর্ধশত বাংলাদেশী নারী-পুরুষ। ভারত ফেরত এক নারীর করোনা শনাক্ত।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এ সীমান্ত পথ দিয়ে তারা দেশে প্রবেশ করেন।
দর্শনা চেকপোস্টে পৌঁছালে তাদের হেলথ স্ক্রিনিং ও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। ভারত থেকে দেশে ফেরতদের মধ্যে একজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ১৪ দিন পর ফেরার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
দর্শনা ইমিগ্রেশন সূত্র জানিয়েছে, ভারতের কোলকাতাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ৫০ জন নারী-পুরুষ দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় এই চেকপোষ্ট দিয়ে ১১ জন দেশে ফেরেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত বাড়ছে
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. অমিত কুমার বিশ্বাস জানান, ভারত ফেরতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষায় চার সদস্যের একটি মেডিকেল টিম কাজ করছে। ফিরে আসা সবাইকে হেলথ স্ক্রিনিংয়ের পর এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে এক নারীর নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: করোনায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৫ মৃত্যু, শনাক্ত ৬.৬৯ শতাংশ
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনিরা পারভীন জানান, সকল প্রক্রিয়া শেষে চেকপোস্ট থেকে তাদের নির্ধারিত পরিবহনযোগে (মাইক্রোবাস) চুয়াডাঙ্গা শহরের ভিমরুল্লা এলাকার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) ভবনে নেয়া হয়েছে। সেখানে তাদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলত কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আর করোনা শনাক্ত ওই নারীকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে। সেখানে তাকে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
খুলনায় কোয়ারেন্টিনে তরুণী ধর্ষণের দায়ে এএসআই গ্রেপ্তার
খুলনা মহানগরীতে ভারত ফেরত কোয়ারেন্টিনে থাকা এক তরুণীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার খুলনা সদর থানায় ওই তরুণী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মো: আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রেমিকাকে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা, ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
তিনি বলেন, তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর এএসআই মোখলেছকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মোখলেছুর রহমান কেএমপির কোর্ট এএসআই হিসেবে কর্মরত। তিনি খুলনার পিটিআই কোয়ারেন্টিন সেন্টারে গত ০১ মে থেকে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
সূত্র জানায়, ওই তরুণী গত ৪ মে ভারত থেকে এসে খুলনা পিটিআই সেন্টারে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। কোয়ারেন্টিন চলাকালীন এএসআই মোখলেছুর রহমানের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে গত ১৪ মে মোখলেছুর রহমান তাকে ধর্ষণ করে।
খুলনা-যশোর মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
খুলনা-যশোর মহাসড়কে ট্রাক-মাহেন্দ্র মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদার এলাকায় এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ছয় জন।
নিহত রিন্টু (৩৮) যশোরের কোতয়ালী থানার শেখবাটি গ্রামের মতিয়ারের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় সংসদ সদস্যসহ আহত ২
আহতরা হলেন, আ. রহমান (৩০), জামাল (৩৫), তাসনিম (০৭), খোকন (৩৫), ফয়সাল (৩০) ও মামুন (৩০)।
পুলিশ জানায়, খুলনা অভিমুখী মাহেন্দ্রার সাথে বিপরীতমুখী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাহেন্দ্র যাত্রীসহ সাত জন গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে রিন্টু নামে একজন মারা যায়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহতাব উদ্দীন জানান, ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাহেন্দ্রাকে ধাক্কা দেয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরবর্তীতে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের সহায়তায় আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খুলনায় করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু
খুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। খুমেক পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় একদিনে আরও ৩১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।
রবিবার খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলেন- খুলনার রূপসার মো. বাদশা মিয়া (৫৫) এবং গোপালগঞ্জের মোকছেদপুরের মো. বিশনু খা (৫৫)। এ নিয়ে খুলনা করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।এদিকে খুলনা করোনা হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৬ জন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খুলনা মেডিকেল কলেজ পিসিআর মেশিনে ৯৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে ৮০ জন খুলনা মহানগরী ও জেলার। এরমধ্যে ৩১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার ২৯ জন, বাগেরহাট ১ জন ও যশোর জেলার ১ জন রয়েছে।
খুলনা করোনা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুর সোয়া ১২টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রূপসার মিল্কি দেয়াড়া এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে বাদশা মিয়া (৫৫) মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ২৪ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হন।
এর ৯ ঘণ্টা আগে রবিবার ভোররাত ৩টা ১০ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিশনু খা (৫৫) নামে আরেক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জের মোকছেদপুর এলাকার মৃত. নকুল খার ছেলে। গত ১১ মে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনা করোনা হাসপাতালে বর্তমানে ৬৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। রেডজোনে ৩৯ জন এবং ইয়োলো জোনে ২৪ জন। এরমধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৬ জন।
খুলনায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গৃহবধূর মৃত্যু
খুলনা মহানগরীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার দুপুরে মহানগরীর ইকবালনগরে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শ্রাবনী বেগম (৪০) ওই এলাকার রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভবনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ ৫
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত ফায়ার ফাইটার আবু সাইদ জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
ফায়ার সার্ভিসের টুটপাড়া স্টেশনের ইনচার্জ মুজিবুর রহমান জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর ইকবালনগর এলাকায় কেডিএ এভিনিউয়ে করিমাবাদ সি কলোনির একটি চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লাগে। খবর পেয়ে টুটুপাড়া ফায়ার স্টেশনের তিনটি ও নূরনগর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় গৃহবধূ শ্রাবনী অগ্নিদগ্ধ হন। এ ছাড়া কিছু আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। ঘটনার সময় নিহতের স্বামী শহিদুল ইসলাম বাসায় ছিলেন না। ফায়ার সার্ভিস গৃহবধূ শ্রাবনীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চট্টগ্রামে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল সূত্র জানায়, গৃহবধূ শ্রাবনী নিজ বাসায় রান্না করার সময় গ্যাসের সিলিন্ডার লিক থাকার কারণে আগুন ধরে যায়। এ সময় শ্রাবনীর শরীরের বিভিন্ন অংশ আগুনে পুড়ে যায়। পরে তার আত্মীয়-স্বজন তাকে টুটপাড়া ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় দুপুর ১টা ২০ মিনিটে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শ্রাবনীকে দুপুর দেড়টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
বর্তমানে লাশ খুমেক হাসপাতালের লাশ ঘরে রয়েছে।