রাজশাহী
নববর্ষ ও ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী
নববর্ষ ও ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী খট খট শব্দে কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে। ব্যস্ত সময় পার করছে তাঁত শ্রমিকেরা। দিনরাত তাঁতের মাকুর শব্দে মুখরিত তাঁত এলাকা।
বর্তমানে বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছেন তাঁতমালিকরা।
জানা যায়, পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার আগে থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থানে তাঁত কারখানায় তৈরি হচ্ছে বেনারসি, সিল্ক, রেশমী, কটন, জামদানি ও কাতান শাড়ি।
এতে আধুনিক ও শৈল্পিক কারুকার্যে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বাহারি নকশা এবং বিভিন্ন সাইজের গামছা ও লুঙ্গিও তৈরি হচ্ছে।
বিশেষ করে জেলার তাঁত সমৃদ্ধ বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তাঁতপল্লীতে বাহারী নকশার শাড়ি তৈরি জমে উঠেছে।
এছাড়া বৈশাখের আবহে শাড়িতে ঢাক-ঢোল ও ইলিশসহ বিভিন্ন রকমের দৃষ্টিকাড়া ছবি ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাসব্যাপী তাঁত-বস্ত্র ও ক্ষুদ্র শিল্প মেলা শুরু
তবে স্থানীয় তাঁত মালিকেরা বলছেন, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন কাপড়ের বাজার তেমন জমে ওঠেনি। এমনকি উৎপাদন খরচের সঙ্গে বাজারজাত করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। রং ও সুতার বাজার নিয়ন্ত্রণ করলে জেলার ঐতিহ্যবাহী এই তাঁতশিল্প ঘুরে দাঁড়াবে।
এদিকে এ জেলায় তাঁতের সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ।
প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ, ঈদ, পূজা-পার্বণে কাপড়ের চাহিদা বাড়ে। এ কারণে তাঁতপল্লীতে কাজের চাপ বেড়ে যায়। কিন্তু বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হলেও তাঁত পল্লীগুলো কর্মমুখর হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যেই ফরিয়া ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে।
এনায়েতপুরের শাড়ি তৈরির অনেক ব্যবসায়ী জানান, শাড়ি তৈরির জন্য নরসিংদীর বাবুরহাট থেকে গজ হিসেবে সাদা কাপড় কিনে আনা হয়। পরে ওই কাপড়ে প্রিন্টিংয়ের কাজ করে বাজারে তোলা হয়।
তাঁত শ্রমিকেরা বলেন, ঈদ ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে বাড়তি আয় করার জন্য দিনরাত কাজ করছেন। এজন্য দিনপ্রতি নির্ধারিত পারিশ্রমিকও পেয়ে থাকি এবং এ পারিশ্রমিক এখন বাড়তি আয় বলেও দাবি করেন।
বৈশাখের শাড়ি ও তাঁত ব্যবসায়ীরা বলেন, মার্চ মাসের শুরু থেকে পহেলা বৈশাখের আগের রাত পর্যন্ত চলে প্রিন্টিংয়ের কাজ। ঢাকার গাউছিয়া, ইসলামপুর, টাঙ্গাইলের করটিয়া, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী ও পাবনার আতাইকুলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা এসে কারখানা থেকে শাড়ি নিয়ে যায়।
বর্তমানে বাজারে বৈশাখী শাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শ্রমিকদের বেতন, রং ও অন্যান্য খরচ শেষে শাড়িপ্রতি তিন থেকে চার হাজার টাকা লাভ হয়ে থাকে।
তাঁত মালিকরা বলছেন, বর্তমানে করোনা না থাকায় আবারো তাঁতের কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। তবে দীর্ঘদিন লোকসানের মুখে থাকায় আর্থিক সংকটে পড়েছে অধিকাংশ তাঁত মালিক।
এদিকে পহেলা বৈশাখ ও ঈদ উপলক্ষে নতুন করে কাজ শুরু করলেও রং-সুতা সহ সব উপকরণের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাওয়ারলুম ও হ্যান্ডলুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জানান, জেলায় পাওয়ারলুম ও হ্যান্ডলুম রয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ। আর এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক।
সরকার কৃষি উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি দিলেও বস্ত্র শিল্পে ভর্তুকির এখনও কোনো ব্যবস্থা নেই। এজন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।
আরও পড়ুন: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি’: মন্ত্রী
সিরাজগঞ্জে বন্যায় তাঁত শিল্পে ব্যাপক ক্ষতি
জয়পুরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ২
জয়পুরহাটের পৃথক দুটি স্থানে আন্তঃনগর একই ট্রেনে কাটা পড়ে এক বৃদ্ধাসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে সদর উপজেলার তেঘর এবং পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা রেললাইনের ওপর এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহত দুর্গা রানী (৭১) জয়পুরহাট পৌর শহরের চিত্রা পাড়া মহল্লার বাসিন্দা। তবে পাঁচবিবির বাগজানাতে মারা যাওয়া ব্যক্তির (৪৬)পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা এলাকায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, জয়পুরহাট সদরের তেঘর এলাকায় দুর্গা রানী নামে এক বৃদ্ধা ওই একই ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন জানান, খবর পেয়ে সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু
গোপালগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় স্কুলশিক্ষক নিহত
মিরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অজ্ঞাত বৃদ্ধা নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের বারঘরিয়া চামাগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃদ্ধা রাস্তা পার হওয়ার সময় বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক তাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
পরে আহত অবস্থায় তাকে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক ফরহাদ আকিদ রেহমান জানান, হাসপাতালে আসার আগেই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। লাশ হাসপাতালেই রাখা আছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দীন জানান, নিহত বৃদ্ধার পরিচয় শনাক্ত ও ঘাতক ট্রাক আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রাকের ধাক্কায় পুলিশ সদস্য নিহত
নাটোরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার শলোইপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রিপা খাতুন(২৭) ওই গ্রামের কবীর উদ্দিনের স্ত্রী।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বাগাতিপাড়া উপজেলার শলোইপাড়া গ্রামের কবীর উদ্দিনের পরকীয়ায় বাধা দিয়ে আসছিল রিপা খাতুন। এ নিয়ে বিরোধে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তঃসত্ত্বা রিপাকে পিটিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় কবীর। প্রতিবেশিরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমডির গাড়িচালক হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয়।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম।
এদিকে এ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে নিহতের পরিবার।
রিপার সংসারে ১১ ও পাঁচ বছরের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে বলে জানায় তার পরিবার।
আরও পড়ুন: খুলনা আ. লীগ নেতা হত্যা: ৩১ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১০ বছরের আটকাদেশ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ২০১৬ সালে শিশু ধর্ষণ মামলার রায়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং শিশু আইনে একজনকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সোহাগ (২৯) ও সাগর (২৭)। এদের দুইজনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করে ভুক্তভোগীকে প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আটকাদেশ প্রাপ্তের নাম রনি।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় খুনের ১৫ বছর পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান, ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার ঢুলিয়া গ্রামে জলসার মেলা থেকে ১০ বছরের শিশুকণ্যাকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী বিলের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে সোহাগ, সাগর ও রনি নামে তিনজন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত ও প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক সোহগ ও সাগরকে যাবজ্জীবন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপর আসামি রনিকে শিশু আইনে ১০ বছরের আটকাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে কিশোর গ্যাংয়ের ককটেল বিস্ফোরণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে আতঙ্ক ছড়াতে পরপর আটটি ককটেল নিক্ষেপ করেছে কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা। এ সময় চারটি ককটেল বিস্ফোরণ হলেও মাঝ রাস্তায় অবিস্ফোরিত থাকে আরও চারটি তাজা ককটেল।
রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা শহরের নিমতলা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, কোনোরকম পূর্ব উত্তেজনা ছাড়াই হঠাৎ করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের ম্যাথরপাড়ার দিক থেকে ১০ থেকে ১২ জন কিশোর দলবেঁধে নিমতলা মোড় এলাকায় এসেই ককটেলগুলো নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।
এরপর পরই আরামবাগ মোড়ে ইটপাটকেল ছুঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে ককটেলগুলো উদ্ধার করে যায়।
চাঁপাইনবাবাগঞ্জ সদর থানর পরিদর্শক(এসআই) আফজাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে চারটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু, সংখ্যা বেড়ে ২৫
যুক্তরাষ্ট্রে চকলেট কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ২, নিখোঁজ ৯
পাবনায় পাগলা কুকুড়ের কামড়ে শিশুসহ আহত শতাধিক, ভ্যাকসিন সংকট
পাবনার সাঁথিয়ায় মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে পাগলা (ক্ষ্যাপা) কুকুরের কামড়ে প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। শনিবার(২৫মার্চ) সকাল ৮টা থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত সাঁথিয়া পৌরসদরের পিপুলিয়া, নওয়ানী, ফকিরপাড়া, কালাইচাড়া ও পূর্বভাবানীপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কুকুরের কামড়ে আহতদের মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী রয়েছে। এছাড়া গরু ছাগলকেও কুকুর কামড় দিয়েছে। আহতদেরকে সাঁথিয়া হাসপাতালে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৮টার দিকে একটি কুকুর এসে শিশু,বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী,গরু-ছাগলসহ যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই কামড় দিয়েছে। এইভাবে ওই কুকুর বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক মানুষ ও বেশকিছু গরুছাগলকে কামড়িয়ে আহত করে। এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের ভিড়ে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে চিকিৎসকদের।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সংকটে চাঁদপুরে করোনার ২য় ডোজ দেয়া স্থগিত
এদিকে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের দপ্তরে কুকুর কামড়েরর কোনো ভ্যাকসিন নেই।
জানা গেছে, রোগীদের একটা আইজি ভ্যাকসিন হাসপাতাল থেকে দেয়া হয়েছে। অন্যটা র্যাবিস ভিসি রোগীদের স্বজনেরা বাজার থেকে কিনে চিকিৎসা নিচ্ছে।
হঠাৎ করে কুকুড়ের কামড়ে অনেক রোগী আহত হওয়ায় ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। বর্তমানে বাজারেও ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য পাবনা জেলা সদর থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাঁথিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ রকম ঘটনা সচারাচর হয় না। বিষয়টা হঠাৎ করে হওয়ায় আমাদের একটু বেগ পেতে হয়েছে। উপজেলা পরিষদের অনুদানের টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনে আমরা সবাইকে চিকিৎসা দিয়েছি। শুধু একজন রোগীকে আমরা ভর্তি করেছি। বাকিদেরকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন জানান, ভ্যাকসিন কেনার জন্য উপজেলা পরিষদের রোগীকল্যাণ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে রোগীদের সেবা দিতে। কেউ যেন সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সংকটের মাঝেই ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতির অবনতি
বগুড়ায় মাদরাসার দেয়াল ধসে নৈশপ্রহরী নিহত, আহত ৩
বগুড়া সদরে মাদরাসার সীমানা প্রাচীর ধসে এক নৈশপ্রহরী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে শহরের চকফরিদ এলাকার জামিল মাদরাসায় (কওমী)এই ঘটনা ঘটে।এ সময় দুই শিশু ও এক নারী আহত হয়েছেন।
নিহত আয়নুল হক (৫৫) সিরাজগঞ্জ সদরের চরনান্দিনা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রায় এক মাস ধরে জামিল মাদরাসায় নৈশপ্রহরীর পদে চাকরি করছিলেন।
আহতরা হলেন-সদরের মাটিডালী এলাকার বাসিন্দা ও মাদরাসার শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোছা. মুক্তা (৩৫),শিবগঞ্জের চণ্ডিহারা এলাকার মো. হামিম (১২) এবং কাহালুর মো. মেফতাজুল (৫)। এই দুই শিশু জামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, মাদরাসার দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের এই সীমানা প্রাচীরটি কয়েক মাস ধরে হেলে পড়েছিল। ধসে পড়া সীমানা প্রাচীরের পাশে মাদরাসার রান্নাঘর। এখানে ছোট একটি ছোট (পকেট) গেট আছে। এ পথে মাদরাসার স্টাফ ও নারী অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৩, আহত ৪
মাদরাসার বাবুর্চি মো. বেলাল জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য রান্নার কাজ চলছিল। আর প্রহরী আয়নুল পকেটে গেটের ওখানে ছিলেন। এমন সময় বিকট শব্দ শুনে তারা ছুটে গিয়ে দেখেন দেয়াল ধসে পড়েছে। পরে কাছে গেলে আয়নুলকে দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে থাকতে দেখেন। দেয়াল ধসে এক শিক্ষার্থীর মা ও দুজন ছাত্র আহত হয়। আহতদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বগুড়া সদর থানার ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আব্দুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জামিল মাদরাসার দেয়াল ধসে তিন জন আহত হন। তাদের ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বগুড়া সদর থানার বনানী ফাঁড়ির এসআই সাজ্জাদুল হক বলেন, আয়নুল হক এর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের কথা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বাসচাপায় শিশুসহ ৫ জন নিহত
বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ঘুমন্ত ২ ভাইয়ের মৃত্যু
নাটোরে কুলিকে গুলি করে হত্যা
নাটোর সদরে এক কুলিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার হয়বতপুরে হয়বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ফরহাদ খন্দকার (৩২) ওই একই উপজেলার বাসিন্দা।
রাজশাহী থেকে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর লাশ উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম।
পরিদর্শক জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরহাদকে বাড়ির সামনের হয়বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে অজ্ঞাত দুবৃত্তরা গুলি করে পালিয়ে যায়। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় স্ত্রী লুৎফুন্নাহার স্বামীকে খুঁজতে বের হয়ে স্কুলের শহীদ মিনারের পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করে।
রাতে স্কুলের শহীদ মিনারের পাশে মাদক সেবীদের আড্ডা বসে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে রাজিব হত্যা: ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরে জমি নিয়ে বিরোধ: প্রতিপক্ষের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
নাটোরের লালপুরে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের আঘাতে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বড়বড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আছিয়া বেগম (৭০) ওই গ্রামের সাফায়েত উল্লার স্ত্রী।
লালপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জালাল উদ্দিন জানায়, সকালে জমিজমা নিয়ে উপজেলার বড়বড়িয়া গ্রামের সাফায়েত উল্লার ছেলে রায়হানের সঙ্গে প্রতিবেশি আব্দুল মান্নানের হাতাহাতি শুরু হয়। খবর পেয়ে ছেলেকে উদ্ধারের জন্য আছিয়া বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে থামানোর চেষ্টা করেন।
তিনি আরও বলেন, এ সময় প্রতিপক্ষের ধাক্কায় সে মাটিতে পড়ে অচেতন হয়ে যায়। দ্রুত আছিয়া বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ: ফুফাতো ভাইয়ের হাতে মামাতো ভাই খুন, আটক ৫
জমি নিয়ে বিরোধ: মুন্সীগঞ্জে টেঁটাবিদ্ধ যুবক নিহত, আহত ১১