সিলেট
১৩ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের আওতাধীন রাদগাঁওয়ে তেলবাহী ট্রেনের লাইনচ্যুত ওয়াগন দু’টি উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে ১৩ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে ঢাকা-চট্টগামের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে বাহুবল উপজেলার রাদগাও এলাকায় সিলেটগামী তেলবাহী ট্রেনের দু’টি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। এতে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটায় আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন আসে। দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা উদ্ধার কাজ পরিচালনার পর স্বাভাবিক হয় রেল যোগাযোগ।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৯ টায় বগিগুলো উদ্ধারের পর দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার আবুল খায়ের চৌধুরী বলেন, বুধবার (দিবাগত) রাত আড়াইটা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত টানা ১৩ ঘণ্টা উদ্ধার কাজ করা হয়েছে।
এখন সিলেটের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঝড়ে রেললাইনে ভেঙে পড়ল গাছ, ঢাকা থেকে চট্টগাম-সিলেটগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ
সিলেটে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি রাত ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ট্রেনের তাপানুকূল চেয়ার (খ) বগিতে আগুন লাগে। সেখানে অন্তত ২৩টি সিট আগুনে পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে দুর্বৃত্তদের ট্রেন লাইনচ্যুতির চেষ্টা নস্যাৎ করল পুলিশ
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আমাদের লোকজন ও দমকল কর্মীরা আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে বড় কোনো দুর্ঘটনা থেকে ট্রেনটি রক্ষা পায়। ’
আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা যা দেখলাম, তাতে অবশ্যই নাশকতা। যারাই এটা করেছে অবরোধের নামে নাশকতা করছে। তারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ রেলের ক্ষতি করছে, জনগণকে হয়রানি করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদেরকে ধরে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’
আরও পড়ুন: জামালপুরে ট্রেনের বগি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা
ঝড়ে রেললাইনে ভেঙে পড়ল গাছ, ঢাকা থেকে চট্টগাম-সিলেটগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ
হবিগঞ্জে তেলবাহী ট্রেনের দু’টি বগি লাইনচ্যুত
হবিগঞ্জে তেলবাহী ট্রেনের দু’টি বগির লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) রাত প্রায় ৮টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার রাউতগাঁও এলাকায় সিলেটগামী তেলবাহী ট্রেনের দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের মাস্টার আবুল খায়ের চৌধুরী ও পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মীর সাব্বির আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারের জন্য রিলিফ ট্রেন আখাউড়া থেকে আনা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে ট্রেন লাইনচ্যুতির খবরে যাত্রীদের মাঝে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষামান যাত্রীরা নানাভাবে ট্রেনের খবর সংগ্রহ করছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন লাইনচ্যুত: তদন্ত কমিটি গঠন
নারায়ণগঞ্জে দুর্বৃত্তদের ট্রেন লাইনচ্যুতির চেষ্টা নস্যাৎ করল পুলিশ
সিলেটে ছাত্রলীগকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
সিলেট নগরীর বালুচরে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের বালুচরের টিভি গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্রলীগকর্মী আরিফ নগরীর টিবি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে এবং ছাত্রলীগ সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী।
আরও পড়ুন: নাটোরের লালপুরে আ. লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নগরীর বালুচরে ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপের মধ্যে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আরিফকে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে নিহত আরিফকে দেখতে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ।
ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, নিহত আরিফ সিলেট সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। চার-পাঁচ দিন আগে আরিফের উপর হামলা করেছিল এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সোমবার বিকালে আরিফ হামলার ঘটনায় নগরীর শাহপরান থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। সেখান থেকে ফেরার সময় তার উপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ কর্মসূচি দেবে বলে জানান নাজমুল ইসলাম।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ বলেন, নগরের বালুচর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একজন রাত দেড়টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
মা ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা: প্রধান আসামি জহিরুল গ্রেপ্তার
হরতালের দ্বিতীয় দিন: সিলেটে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই সিলেট নগরীতে একটি ট্রাক ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে যুবদল কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে নগরীর উপশহর পয়েন্টে হরতাল সমর্থনে কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিল বের করে যুবদল।
আরও পড়ুন: হরতালের দ্বিতীয় দিন: সারাদেশে র্যাবের ৪২৫টি দল মোতায়েন
তবে, পুলিশ বলছে কোনো গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে তাদের জানা নেই। পিকেটিংয়ের চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপশহর পয়েন্টে কয়েকটি মোটরসাইকেলে হেলমেটধারী যুবদলের কয়েকজন সড়ক অবরোধ করে একটি ট্রাক ও অটোরিকশা ভাঙচুর করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে ৪/৫ মিনিটের মধ্যে পুলিশ আসার আগেই সটকে পড়ে যুবদলের নেতা-কর্মীরা।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত সুমন কুমার চৌধুরী বলেন, উপশহর পয়েন্টে দুর্বৃত্তরা পিকেটিংয়ের চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
এদিকে, টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন সোমবার সিলেটে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে। সকাল থেকে সিলেট নগরীতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা ছিল অনেক কম।
সকাল সাড়ে সাতটায় নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায় যুবদল বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে সোমবার দুপুর ১২টায় নগরের মিরবক্সটুলায় মিছিল সমাবেশ করেছে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা।
সিলেটে নিখোঁজের ৮ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রাম এলাকায় নিখোঁজের আট দিন পর ধানখেত থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার ৩ নম্বর কাজলসার ইউনিয়নের আটগ্রাম এলাকার কাজিরপাতন গ্রামের পার্শ্ববর্তী ধানখেত থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পিটার হাসকে হত্যার হুমকি: ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ
আব্দুল হামিদ স্থানীয় কাজিরপাতন গ্রামের মরহুম মুজম্মিল আলীর ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আব্দুল হামিদ আট দিন আগে ১১ নভেম্বর বাড়ি থেকে মাগরিবের নামাজ পড়তে হয়ে নিখোঁজ হন। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে জকিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
পরে রবিবার দুপুরে নিখোঁজ আব্দুল হামিদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী ধানখেতে একটি লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ জানান, পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। লাশটি অর্ধগলিত থাকায় আঘাতের চিহ্ন আছে কি না শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ২
১০৩ বার পেছালো সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
‘লাগাতার হরতাল ও অবরোধে সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে’
সাম্প্রতিক দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ।
বিবৃতিতে লাগাতার হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি দেশের দিনমজুর ও গরীব পরিবারগুলোর বেঁচে থাকার অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি আহ্বানকারীদের এ বিষয়টি আমলে নেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
গতকাল শনিবার (১৮ নভেম্বর) মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ প্যানেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: গবেষণায় ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৪ গবেষক
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ কে সামনে রেখে বিভিন্ন দাবিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার প্রশ্নে জনস্বীকৃত প্রধান বিরোধী দল ও তার সমমনা দলগুলো বিভিন্ন রকম আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। সাংবিধানিক কাঠামো অনুযায়ী ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ছোট-বড় সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল, ইতিবাচক ভূমিকা অনস্বীকার্য।
এতে আরও বলা হয়, ‘দেশের আপামর জনসাধারণ একটি অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমূখর পরিবেশে নির্বাচন দেখতে চায়। আমরা বৈধ সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন: জলজ খাদ্য, সম্পদ ও সম্প্রদায়ের কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিরূপণে শাবিপ্রবির গবেষণা বিশ্বে মডেল
প্রত্যেকটি স্বাধীন রাষ্ট্রের নির্বাচনই তার নিজের সাংবিধানিক কাঠামো ও রীতিনীতির আওতায় হওয়াই প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে তারা বলেন, উল্লেখিত নির্বাচন ইস্যুতে বিশ্বের অতীব প্রভাবশালী রাষ্ট্র ও তার প্রতিনিধি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে সরাসরি অনধিকার চর্চা করছেন এবং তাদের এহেন আচরণ নির্বাচন বিরোধী মহলকে উস্কে দিচ্ছে। কূটনৈতিক শিষ্ঠাচার বহিঃর্ভূত এ জাতীয় আচরণ থেকে সংশ্লিষ্টদের সরে আসার আহ্বান জানান তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারা মনে করেন- গণতান্ত্রিকভাবে মত প্রকাশে বা দাবি আদায়ে কর্মসূচি পালনের গ্রহণযোগ্য অনেক পন্থা আছে। জনসমাবেশ, হরতাল বা অবরোধের নামে যাত্রীবাহী বা মালবাহী গাড়িতে বা কলকারখানা বা অন্যান্য স্থাপনায় অগ্নিসন্ত্রাস মানবিক সমাজে গ্রহণযোগ্য পন্থা হিসেবে কোনোভাবেই বিবেচিত হতে পারে না।
২৮ অক্টোবর বিরোধী দল ও তার সমমনা দলগুলোর মহাসমাবেশের ক্ষেত্র থেকে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর দায়িত্বপালনরত একজন সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভাঙচুর ও অগ্নিসন্ত্রাস চালানো, প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনে হামলা, জাতীয় গণমাধ্যম কর্মীদের পিটিয়ে আহত করার দুর্বৃত্তায়নের তীব্র নিন্দা জানান তারা। একইসঙ্গে এ জাতীয় ঘটনায় দোষী সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
জৈন্তাপুরে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
সিলেটের জৈন্তাপুরে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হন আরও একজন।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের কাটাগাঙ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়ার ৩ নম্বর রোড এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে বাদশা মিয়া (৬০) এবং তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৫০)। তারা উভয়ই সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
আহত সিএনজি অটোরিকশা চালক একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান (২৫)।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাস-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ১৫
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে জাফলং থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী যাত্রীবাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা জাফলংগামী সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এ সময় স্থানীয়রা আহত অটোরিকশা চালক ও যাত্রীদের উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক রোকেয়া বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত রোকেয়ার স্বামী বাদশা মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তামাবিল হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ দুটি গাড়ি জব্দ করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহত
বিএনপি-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া: পুলিশের ফাঁকা গুলি, আটক ৩
সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক আগমূহূর্তে সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় মশাল মিছিল বের করেছেন বিএনপি সর্মথকরা।
এসময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে উত্তেজনা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, নারীর মৃত্যু
এসময় বিএনপি কর্মীরা সড়কে মশাল ফেলে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। পরে তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় আতংকে দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার কথা। তার প্রায় আধঘণ্টা আগে নগরের বারুতখানা এলাকা থেকে মশাল মিছিল বের করেন বিএনপির কর্মী সমর্থকরা। মিছিলটি জিন্দাবাজারের দিকে আসার পর পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এসময় মশাল দিয়ে সড়কেই আগুন ধরিয়ে দেন বিএনপি কর্মীরা।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটাতে একদল লোক মশাল মিছিল বের করে আংতকের সৃষ্টি করে। পুলিশ জানমালের নিরাপত্তায় তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির মিছিল থেকে একজনকে ও পরে সন্দেহভাজন আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইবির নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ-বিএনপি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বিএনপি নেতা আটক
বিয়ানীবাজার-১ গ্যাসক্ষেত্র থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু
বিয়ানীবাজার-১ গ্যাসক্ষেত্রের একটি কূপ ওয়ার্কওভার (পুনঃখনন) কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যদিয়ে উৎপাদনে যায় দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকা গ্যাস কূপটি।
মঙ্গলবার(১৪ নভেম্বর) সকালে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের আওতায় পরিচালিত এই প্রকল্প গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে দেখে এখন আর কেউ বলতে পারবে না এদেশ দরিদ্র দেশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ, হাত পেতে চলার দেশ। আমরা এখন একটা মর্যাদাসম্পন্ন দেশে পরিণত হয়েছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বনানী এলাকায় ২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, কূপটি উৎপাদন শুরু করায় জাতীয় গ্রিডে বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড থেকে দৈনিক ৮-৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের মহা ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সচিব) প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন জানান, সিলেট-৮, বিয়ানীবাজার-১ ও কৈলাশটিলা ৭নং কূপ ওয়ার্কওভার করে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এই তিনটি কূপ থেকে জাতীয় গ্রীডে প্রায় ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারছি।
তিনি আরও বলেন, দেশে গ্যাস সরবরাহ সংকট কাটাতে নতুন কূপ খনন, উৎপাদনে থাকা কূপের সংস্কার এবং পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখননের উদ্যোগ নেয় পেট্রোবাংলা। এরই আওতায় বিয়ানীবাজার-১ কূপটির ওয়ার্কওভারের কাজ শুরু হয়। পরে বাপেক্সের ওই কূপে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুদ পায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর যেসব এলাকায় বৃহস্পতিবার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
এসজিএফসিএল সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপটি চার দশক আগের। ১৯৮১ সালে এ গ্যাস ফিল্ডে কূপ খনন শুরু হয়। এরপর গ্যাস ফিল্ডটি থেকে গ্যাস তোলা শুরু হয় ১৯৯১ সালে। ২০১৪ সালে কূপটির সরবরাহ কমলে একপর্যায়ে গ্যাস উত্তোলনও বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে কূপটি পুনরায় উৎপাদনে এলেও ওই বছরের শেষ নাগাদ তা আবারো বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০১৭ সাল থেকে কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।
পেট্রোবাংলার গ্যাস মজুদের তথ্য অনুযায়ী, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডে ৯২ বিসিএফ (ডিসেম্বর-২০২১ পর্যন্ত) গ্যাস মজুদ রয়েছে। গ্যাসক্ষেত্রটিতে ২০৩ বিসিএফ গ্যাসের মজুদ আবিষ্কার হলেও এখন পর্যন্ত কূপটি থেকে ১১১ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে।
পেট্রোবাংলা ২০২২-২৩ অর্থবছরের মধ্যে মোট ১৬টি কূপ খনন, উন্নয়ন ও সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছিল। এর মধ্যে বিয়ানীবাজার-১ কূপটিও ছিল।
এ কূপ থেকে দৈনিক পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করা হয়েছিল যদিও এখন তা বেড়ে প্রায় ৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে বলে জানান পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বনানীতে বুধবার ফের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ