সিলেট
সিলেটে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটের গোয়াইনঘাটে এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) উপজেলার লাবু গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত জোসনা বেগম (১৮) উপজেলার সদর ইউনিয়নের লাবু গ্রামের কৃষক নুরুল হকের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে জোসনা পরিবারের সবার সঙ্গে নাস্তা করে। পরে সকাল ১০টায় জোসনা তার মাকে ঘুমানোর কথা বলে বসতঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়।
পরবর্তীতে দুপুর অনুমান ১২টার দিকে জোসনার মা তাকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। জোসনার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি চিৎকার করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৩৮ ঘন্টা পর মাঝির লাশ উদ্ধার
তারপর পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজনের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে জোসনাকে ওড়না দিয়ে বসতঘরের বাঁশের ধরনার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল জানান, খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জোসনার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার
চুয়েট গেটের সামনে থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু
সিলেটের গোয়াইনঘাটে অটোরিকশা দুর্ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে জাফলং চা-বাগান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফসা আক্তার (৭) উপজেলার নলজুরি আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে এবং স্থানীয় গুচ্ছগ্রাম বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: বীরগঞ্জে পুকুরের পানিতে পড়ে ৭ বছরের শিশুর মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে জাফলং থেকে রাধানগর যাওয়ার পথে জাফলং চা-বাগান এলাকায় অটো দুর্ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে স্থানীয়রা গুরুতর আহত হাফসাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল বলেন, আমরা ঘটনা শুনেছি। আমাদের কাছে কেউ এখনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু হার ১৭ শতাংশ বেড়েছে: এসসিআরএফ
কুড়িগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সিলেটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার
সিলেটের বিয়ানীবাজারে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১২ জুলাই) ভোরের দিকে উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাহমিদা আক্তার একই উপজেলার বৈরাগীবাজারের কইরবন্দ এলাকার দবির উদ্দিনের ছেলে আবিদুর রহমানকে বিয়ে করে।
নিহতের বাবা ও ভাই অভিযোগ করেন, ‘স্বামীর বাড়ির লোকজন দীর্ঘদিন থেকে ফাহমিদাকে মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। রাতেও ফোন দিয়ে ঝগড়ার কথা জানিয়েছিল সে। ফাহমিদা আত্মহত্যা করতে পারে না। এটি আত্মহত্যা নয়।’
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফাহমিদার শ্বশুর দবির মিয়া বলেন, ভোরে ছেলেকে ঘর থেকে বের করে ফাহমিদা দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায় সে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় আছে।
এদিকে এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ করে থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা জমির উদ্দিন। এতে ফাহমিদার স্বামী আবিদুর রহমান, শ্বশুর দবির উদ্দিন এবং শাশুড়ি লিপি বেগমকে আসামি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী আবিদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক স্থানে দু’টি ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
টানা দু'দিন সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ রাখার পর এবার পুরো সিলেটে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
এতে বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস-মিনিবাসসহ সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
সিলেট-তামাবিল সড়কে নির্বিঘ্নে বাস চলাচল এবং জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এ কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, এই দুই দাবিতে গত দু’দিন ধরে সিলেট-তামাবিল সড়কে আমাদের কর্মবিরতি চলছে।
কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবার ভোর থেকে পুরো সিলেট জেলায় পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে সকল পরিবহন সংগঠন। তাই বুধবার থেকে সিলেটের কোনো রাস্তায় কোনো ধরনের গাড়ি চলবে না।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুলাই শুক্রবার রাতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকায় বাস ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহত্তর জৈন্তার ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটির ডাকে এক সভায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাসের অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাই ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধের দাবি জানানো হয়।
এরপর ৮ জুলাই শনিবার জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে চলাচলকারী বাসের চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করেন।
এসময় তারা লাইসেন্সবিহীন চালকদের গাড়ি আটকে দেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ৯ জুলাই রবিবার রাতে সিলট-তামাবিল সড়কে ধর্মঘটের ডাক দেয় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
সোমবার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু হয়। এতে দু’দিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই সড়কের যাত্রীরা। দুদিন ওই সড়কে ধর্মঘট পালনের পর এবার পুরো জেলায় পরিবহন চলাচল বন্ধের ডাক দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সোমবার রাতে বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগনা সালিশ কমিটি ফের বৈঠকে বসে। এতে ১৭ পরগনার কাছে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম ও বাস মালিক সমিতিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করা হয়। ক্ষমা চাওয়ার আগ পর্যন্ত উত্তর সিলেটে তামাবিল, সিলেট-কানাইঘাট, সিলেট-গোয়াইনঘাট সড়কে বাস চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলেও একমত হয় নেতারা। এছাড়া, মালিক সমিতি নিজেই গাড়ি বন্ধ করেছে তাই ক্ষমা চাওয়ার পর পুনরায় বাস চালাতে চাইলে ১৭ পরগনার অনুমতি নিয়েই বাস চালাতে হবে বলেও ঐক্যমত হন তারা।
বাস ব্যতীত সকল গাড়ি চলাচল করবে। যদি চলাচলে কেউ বাধা প্রদান করে তাহলে ১৭ পরগনার আপামর জনাতা তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়া হয় বৈঠক থেকে।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ জানান, সোমবার ১৭ পরগনার বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার আমাদের পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ২৯ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সুনামগঞ্জে ৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট
সুনামগঞ্জে মসজিদে দানের একটি কাঁঠাল নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ৩
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে মসজিদে দান করা একটি কাঠাল নিলামে তোলা এবং দাম হাঁকানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টায় উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাজ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
নিহতরা হলেন- মো. বাবুল মিয়া (৫৮)। তিনি ইউনিয়নের হাসনাবাজ গ্রামের মৃত ছুফি মিয়ার ছেলে। একই গ্রামের অঞ্জাতের ছেলে নুরুল ইসলাম (৪২) এবং হাসনাবাজ গ্রামের আব্দুল বাছিতের ছেলে মো. শাহজাহান (৩৬)।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, হাসনাবাজ গ্রামের মসজিদে এক ব্যক্তি একটি কাঁঠাল দান করেন। মসজিদে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এই কাঁঠালটি নিলামে তোলা হয়। নিলামে অংশগ্রহণকারী দ্বীন ইসলামের লোকজন দামের কথা শুনা যাচ্ছে না বলে জানান। এ সময় একই গ্রামের সুনু মিয়া ও জুনাব আলী বলেন, সবাই শুনলেও তোমরা কেন শুনতে পাওনা। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এরই জেরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এতে দ্বীন ইসলামের পক্ষের বাবুল মিয়া ও নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় অপর পক্ষের মো. শাহজাহান মিয়াকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহজনক তিনজনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে কিশোর নিহত
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, আরসা কমান্ডার নিহত
সিলেটে ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে কিশোর নিহত
সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কে ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরেকজন আহত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
সোমবার (১০ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে বিয়ানীবাজার উপজেলার কাকরদিয়া বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে কাভার্ডভ্যান-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
নিহত জাবের আহমদ (১৬) শেওলা ইউনিয়নের নেরাউদি গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে। সে কাকরদিয়া তেরাদল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। আর আহত আরিফুল ইসলাম দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, বিপরীতগামী মালবাহী ট্রাকের সামনের অংশের সঙ্গে সরাসরি ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়েন মোটরসাইকেল আরোহী দুইজন। এ সময় ঘটনাস্থলেই জাবেরের মৃত্যু হয়।
আর আহত আরিফুলকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল এবং ট্রাক জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: গোবিন্দগঞ্জে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত, আহত ১০
সিলেটে বাসের সঙ্গে থ্রি-হুইলারের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
কোম্পানীগঞ্জে নৌকাডুবি: নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ভোলাগঞ্জ ধলাই নদীতে পাথরবোঝাই নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া শ্রমিক নিহত অফিক মিয়ার (৪৩) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার ভোলাগঞ্জ রেলওয়ে বাংকারের মসজিদের পূর্ব দিকে নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের মৃত মইবুর রহমানের ছেলে অফিক মিয়া।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৬ মাস বয়সী অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার
কোম্পানীগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহফুজুর রহমান বলেন, অফিকের পরিবারের লোকজন লাশ শনাক্ত করেছেন। লাশটি উদ্ধার করে ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আনা হয়েছে।
পুলশি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে টহলরত পুলিশের অগোচরে ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্টে ১২৫১ পিলারের পাশে চিপ স্টোন বা গুঁড়া পাথর তুলতে যান অফিক মিয়াসহ ৪ শ্রমকি। পাথর ভর্তি করার পর নদীতে প্রবল স্রোত থাকার কারণে এবং তাড়াহুড়া করতে গিয়ে ১২৫১ পিলারের পাশেই নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় নৌকায় রফিক, সফিক ও জজ মিয়া নামে আরও তিন শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠে। কিন্তু অফিক নিখোঁজ ছিলেন। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জাফলংয়ের পিয়াইন নদীতে নিখোঁজের ২দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
সিলেটের জাফলংয়ে পিয়াইন নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজের দুই দিন স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে নদীর জিরো পয়েন্টে এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আল ওয়াজ আরশ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই গ্রামের পুলিশ পরিদর্শক (ট্রাফিক) জাহিদুল হোসেনের ছেলে এবং রাজধানরি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা শিক্ষকের মত্যু
জানা যায়, আরশ তার বাবা, মা ও ছোটভাইয়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা থেকে জাফলংয়ে বেড়াতে যায়। এরপর বাবা-ছেলে মিলে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট নদীতে গোসল করতে নামেন। সাঁতার না জানায় বাবা ও ছেলে ডুবতে থাকে, স্থানীয়রা এসময় জাহিদুল হোসেনকে উদ্ধার করতে পারলেও ছেলে আরশ তলিয়ে যায়।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু, আহত ১
কিশোরগঞ্জে ‘অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে’ গ্যারেজ মালিকের মৃত্যু
জাফলংয়ে সাঁতার কাটতে গিয়ে স্কুলছাত্র নিখোঁজ
সিলেটের জাফলংয়ে পিয়াইন নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে এক স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পিয়াইন নদীর জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ আল-ওয়াজ আরশ (১৫) কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার শিদলাই গ্রামের জাহেদুল হোসেনের ছেলে এবং ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে নদীতে গোসল করতে নেমে ২ মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরশ তার বাবা, মা ও ছোটভাই মিলে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা থেকে জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন। বাবা-ছেলে মিলে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট নদীতে গোসল করতে নামেন।
সাঁতার না জানায় এক পর্যায়ে বাবা ও ছেলে স্রোতের টানে পানিতে ডুবে যাচ্ছেন দেখে লোকজন বাবাকে উদ্ধার করতে পারলেও মুহুর্তে প্রবল স্রোতের টানে ছেলে আরশ তলিয়ে যায়।
স্থানীয় এক নৌকাচালক বলেন, পিয়াইন নদীতে স্রোতে পর্যটক তলিয়ে যাচ্ছে দেখে আমরা নৌকা নিয়ে এগিয়ে যাই। বাবাকে উদ্ধার করতে পেরেছি। কিন্তু ছেলেকে আমরা খুঁজে পাইনি। এছাড়া রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আরশের হদিস পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্তও আরশের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার সন্ধানে প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে।
এ ব্যাপারে জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. রতন শেখ বলেন, উদ্ধার অভিযান চলছে।
পুলিশ, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: সিলেটের সাদাপাথরে নিখোঁজের ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের সাদাপাথরে নিখোঁজের ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
সুনামগঞ্জে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল না থাকায় কমছে নদ-নদীর পানি
সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল না থাকায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের পানি কমা অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে, পানি কমায় এবং জেলায় বন্যার আশঙ্কা না থাকায় জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে হাওরে ডুবে ৩ ভাইবোনের মৃত্যু
বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের নিশ্চন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আবুল কালাম বলেন, গত কয়েকটা দিন গরু, বাছুর, ধান নিয়ে বিপদেই পড়েছিলাম। মঙ্গলবার থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হলে পানি নেমে যাবে।
বংশীকুন্ডা বাজরের ব্যবসায়ী এবিএম জুয়েল তালুকদার বলেন, বাজারে বন্যার পানি না উঠলেও ব্যবসায়ীদের মনে আতঙ্ক ছিলো। যদিও বর্ষা মৌসুমে এরকম অবস্থা আমাদের নিত্যসঙ্গী। তবে বন্যা হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের নদীগুলো খনন করতে হবে।
শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের ছাতকে পানি কমে বিপদ সীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমার পানি।
সুনামগঞ্জ পয়েন্টে শূন্য দশমিক বিপদ সীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে সুরমা নদীর প্রবাহিত হচ্ছে।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) শীতেষ চন্দ্র সরকার জানান, পানি কমা আমাদের জন্য স্বস্তির বিষয়। তবে বন্যা পরিস্থিতি হলে তা মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জে বন্যার আশংকা নেই। গেল ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ও মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে খুবই কম বৃষ্টি হয়েছে।
এতে নদীর পানি কমছে। বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে কমছে নদীর পানি, স্বস্তিতে হাওরবাসী
সুনামগঞ্জে বন্যায় ১০ গ্রাম প্লাবিত, বৃষ্টি অব্যাহত