���������������
হবিগঞ্জ পাচারের সময় ভিজিডির ৩ হাজার কেজি চাল উদ্ধার, আটক ১
সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জে পাচারের সময় ভিজিডির ৩ হাজার ১০০ কেজি চাল উদ্ধার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আজমিরিগঞ্জ-কাকাইলছেও সড়কের নিগমানন্দ আশ্রম রোডে চাল পাচারের সময় একটি গাড়িসহ চালকে আটক করা হয়েছে।
একটি পিকআপে ভিজিডির চাল পাচার হচ্ছে দেখে স্থানীয় জনতা গাড়িটি আটক করে। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ইউএনও, খাদ্য কর্মকর্তা ও পুলিশ এসে জানতে পারেন ওই পিকআপটি কাকাইলছেও এলাকা থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৬২ বস্তা চাল বিক্রির জন্য হবিগঞ্জে যাচ্ছিল। সরকারি চাল যাতে ধরা না পড়ে এর আগে বস্তা পরিবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মানব পাচারের অভিযোগে ২ তরুণ আটক
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক পিকআপ চালক জাবের মিয়াকে (৩০) এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে।
আটক জাবের মিয়া জানান, চালের মালিক উপজেলার শিবপাশা গ্রামের মোশাহিদ মিয়া। এ সময় চালের মালিকর মোবাইলে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি ঘটনাস্থলে আসেননি।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান খান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আটক চাল কাকাইলছেও ইউনিয়ন থেকেই আনা হয়েছে। তাই এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দেয়ার জন্য ওই ইউনিয়ন পরিষদ সচিবকে বলা হয়েছে। তার রিপোর্ট পাওয়ার পর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কোহেলিকা সরকারকে দিয়ে তদন্ত করা হবে।
অভিযাগ আছে, মোশাহিদসহ একটি চক্র বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নিকট থেকে সরকারি চাল কিনে বস্তা বদল করে হবিগঞ্জে নিয়ে বিক্রি করে। বছর খানেক আগেও মোশাহিদ মিয়া ১২০ বস্তা সরকারি চাল পাঁচারের সময় ধরা পড়ে জেল খাটে।
উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৩২৯ জন দুঃস্থ ও অসহায় নারী পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি ‘পুষ্টিচাল’ চাল দেয়ার কর্মসূচী চলছে। এর মধ্যে কাকাইলছেও ইউনিয়নে ৬৪৪ জন দুঃস্থ নারী রয়েছেন। এসব পরিবার ২ বছর পর্যন্ত চাল পাওয়ার কথা। স্থানীয় ইউনিয়ন অফিসে তা বিতরণ করা হয়। ৩০ কেজি চালের বস্তায় ৩০০ গ্রাম ভিটামিন মেশানো থাকে। যা পুষ্টিচাল হিসেবে পরিচিত। আটক ৩ হাজার ১০০ কেজি চাল ‘পুষ্টিচাল’ বলে নিশ্চিত হয়েছেন কর্মকর্তারা।
জব্দ হওয়া চালের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে দায়িত্ব দেয়া হয়।
সিলেটে কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সিলেটসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন।
আট দিনের লকডাউনের প্রথম দিন বুধবার ভোর থেকে সিলেট নগরীর সকল প্রবেশপথ ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চৌকি বসিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহল দিচ্ছে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ফলে নগরীর রাস্তাঘাট যানবাহন ও জনশূণ্য রয়েছে। ওষুধের দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের দোকানপাট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
সকালে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অতি প্রয়োজনে যারা মোটরসাইকেল, রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশায় বের হচ্ছেন তারা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ছেন। ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছে পুলিশ। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হয়েছেন মনে করলে পুলিশ যানবাহন থেকে নামিয়ে দিচ্ছে যাত্রীদেরকে। সংশ্লিষ্ট যানবাহনের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, পাঠানটুলা, জিন্দাবাজার, শিবগঞ্জ, টিলাগড়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বল্প সংখ্যক মোটর সাইকেল চলাচল করছে। বেশিরভাগ মোটর সাইকেল লকডাউনের আওতামুক্ত জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কর্মীদের। এছাড়া অনলাইনে পুলিশের মুভমেন্ট পাস নিয়েও কেউ কেউ মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছেন।
লকডাউনের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও ফার্মেসি ছাড়া বাকি সব ধরণের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও ফার্মেসিতেও ক্রেতাদের ভিড় নেই।
এ সময় মাঠে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, করোনা থেকে সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। সাধারণ মানুষ যাতে লকডাউনে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হয় সে ব্যাপারে কঠোর ভাবে সতর্ক রয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু; প্রজ্ঞাপন জারি
তারা জানান, সিলেট নগরীতে জরুরি সেবার আওতাভুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করছে না। সাধারণ মানুষজনও রাস্তায় নেই। আন্তজেলা সড়ক-মহাসড়কেও কোনো যানবাহন চলছে না। লকডাউন অমান্য করে এখন পর্যন্ত কাউকে বাসার বাইরে বের হতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ৮টি বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলবে: রেলপথ মন্ত্রী
এদিকে, শহরের বাইরে বিভিন্ন উপজেলাতেও কঠোরভাবে লকডাউন মানছে সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: লকডাউন: স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সকল প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ
হবিগঞ্জে ‘গণপিটুনিতে’২ ডাকাত নিহত
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় ‘গণপিটুনিতে ’দুই সন্দেভাজন ডাকাত নিহত হয়েছে।
তারা হলেন- বাহ্মণবাড়িয়া জেলার ধরমন্ডল গ্রামের আব্দুল হামিদ (৪২) ও হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পুরাইকলা গ্রামের হুমায়ুন মিয়া (৪০)।
উপজেলার গুনিপুর গ্রামে শনিবার রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গণপিটুনীতে সন্দেহভাজন দুই চোরের মৃত্যু
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি, তদন্ত) মহিউদ্দিন সুমন জানান, ৯-১০জনের একদল ডাকাত ওই গ্রামের জনৈক জালাল মিয়ার বাড়িতে ডাকাতি করার চেষ্টা করেছিল। গৃহকর্তা মোবাইলে এলাকার কয়েক জনকে খবর দেন। খবর পেয়ে গ্রামবাসী ডাকাতদের গিরে ধরে করে। অন্যরা পালিয়ে গেলেও উক্ত দুজন ধরা পড়ে। এ সময় উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণকারীকে গণপিটুনী
পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণকারীকে গণপিটুনী
সিলেটের সকল থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে নিরাপত্তা জোরদার
সিলেট জেলার সকল থানা, ফাঁড়ি ও স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বসানো হয়েছে এলএমজি পোস্ট। সেই সাথে ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিটি থানায় ৩০ থেকে ৫০ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
যে কোন ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনারোধে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গেল কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তারা। ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পদ নষ্ট করেছে।
এই অবস্থায় সিলেট মহানগর পুলিশের আওতাধীন ৬ থানা, সবক’টি ফাঁড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ সকল স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি স্থাপনায় বালু ও মাটি দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এলএমজি পোস্ট। প্রতিটি পোস্টে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান, এসএমপির সকল থানা, ফাঁড়ি ও স্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি স্থাপনায় এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে। ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত থেকে এই পোস্টগুলো বসানোর কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে সকল স্থাপনায় এলএমজি পোস্ট বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
তিনি জানান, শুধু থানা ও ফাঁড়ি নয়, সরকারি সব স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়তি ফোর্স তৈরি রাখা হয়েছে। কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোর হাতে তা দমন করা হবে।
এদিকে সিলেট জেলার ১১ থানাতেও এলএমজি পোস্ট বসানোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই সব থানায় এলএমজি সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় প্রতিটি থানায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।’
হবিগঞ্জে রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্টে অগ্নিকাণ্ড
হবিগঞ্জের বাহুবলে রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্টে এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে এই আগুনের সূত্রপাত হয় এবং দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্ল্যান্টের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নিয়ন্ত্রনে রেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হলে হবিগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার থেকে দমকল বাহিনীর ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: গাজীপুর টেক্সটাইল কারখানায় আগুন
প্লান্টের জেনারেল ম্যানেজার রওনকুল ইসলাম জানান, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয় তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় ঝুটের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড
হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক শিমুল মো. রাফি জানান, খবর পেয়ে হবিগঞ্জের দুটি ইউনিটসহ ৬টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ধারণা করা হচ্ছে প্ল্যান্টের বার্ণফিড থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা তালুকদার জানান, অগ্নিকাণ্ডে বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি। মূলত এ প্ল্যান্টের বর্জ্যেও মধ্যে আগিুনের সূত্রপাত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে শিশুসহ ৭ জনের মৃত্যু
উল্লেখ্য, এ প্ল্যান্টে জেলার বিবিয়ানা ও রশিদপুর গ্যাস ক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত কনডেনসেট পরিশোধন করা হয়ে থাকে।
জমি নিয়ে বিরোধে দক্ষিণ সুনামগঞ্জে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের ডুংরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের ওসমান মিয়ার ছেলে চাচা আব্দুল তাহিদ (৬২) ও একই এলাকার রাফিদ মিয়ার ছেলে ভাতিজা রিপন মিয়া (৪২)।
আরও পড়ুন: মাগুরায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে আহত ১২
এ ঘটনায় গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে কৃষক খুন
পুলিশ জানায়, ডুংরিয়া গ্রামে জমিজমা নিয়ে আব্দুল তাহিদের সাথে তার ভাই রাফিদ মিয়ার ছেলে রিপন মিয়ার বিরোধ ছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে চাচা-ভাতিজার পরিবারের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মারামারি শুরু হয়। এ সময় গুরুতর আহত আব্দুল তাহিদ ও রিপন মিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে জমি সংক্রান্ত বিরোধে নিহত ১
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তাদীর আহমদ জানান, দুই পরিবারের স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়ায় গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সম্পদ নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে চাচা ভাতিজাকে ও ভাতিজার আঘাতে চাচার মৃত্যু ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধে নিহত ১
বিয়ানীবাজারে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, আটক ২
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
তারা হলেন উপজেলার বাহাদুরপুর দক্ষিণ ঠিকরপাড়া গ্রামের মৃত ছাইদ আলীর ছেলে ফয়ছল আহমদ পেটলা ও উত্তর গাঙ্গপার এলাকার মৃত আব্দুর খালিকের ছেলে মিশুক আহমদ।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার লাউতা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার তাদের বিরুদ্ধে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ঘরের বারান্দায় নলকূপ থেকে পানি নিতে বের হলে ১২ বছর বয়সী ওই শিশুকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পাশের একটি নির্জন জায়গায় অভিযুক্ত দুই ধর্ষক পালাক্রমে ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা ধর্ষকদের আটক করে রাখেন। পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান, অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে আটক করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দেশের ধর্ষণ পরিস্থিতি
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস্) সম্প্রতি জানিয়েছে, সদ্য সমাপ্ত হওয়া বছরে সারাদেশে ১২ জন গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এছাড়া ২০২০ সালে মোট ৪৪ জন গৃহকর্মী নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনকে হত্যা এবং ১২ জনের রহস্যজনক মৃত্য, ধর্ষণের শিকার ১২ জন, শারীরিক আঘাত ও নিপীড়নের শিকার ১২ জন এবং নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চারজন আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে করোনাকালে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও শিশুদের জনসমাগমের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ে ৭১৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
গত ৯ জানুয়ারি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০২০’ শিরোনামে এ চিত্র তুলে ধরে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)।
শিশু অধিকার বিষয়ক সংবাদের আধেয় বিশ্লেষণ করে প্রাপ্ত তথ্য থেকে সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করেন এমজেএফের শিশু সুরক্ষা বিভাগের সমন্বয়ক রাফেজা শাহীন।
পাঁচটি জাতীয় বাংলা দৈনিক এবং তিনটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত শিশু অধিকার বিষয়ক সংবাদ পর্যালোচনা অনুযায়ী, গত বছর ৭১৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনাকালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬২৬ শিশু এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৩৭ শিশুকে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, সদস্য সমাপ্ত ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৭৫ নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ২০৮ জনকে গণধর্ষণ করা হয়। এর মধ্যে ধর্ষণের পরে ৪৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং অন্য ১২ জন আত্মহত্যা করেছে।
এছাড়াও, মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনটি বলছে যে ১৬১ জন নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১২ জন আত্মহত্যা করেছেন।
আসক আরও বলছে, যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় তিনজন নারী ও নয়জন পুরুষকে হত্যা করা হয়। এছাড়া ৬২৭টি শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং ২০ জন ছেলেকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে এবং ২১ জন নারী অ্যাসিড আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গত ১৭ নভেম্বর জাতীয় সংসদে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০২০’ পাস হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর ৯ (১) ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এখন ওই ধারায় ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে।
এর আগে, দেশে সম্প্রতি ধর্ষণের ক্রমবর্ধমান ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদের অধিবেশন না থাকায় গত ১৩ অক্টোবর ঘৃণ্য এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে এ সংক্রান্ত আইনের (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন) একটি সংশোধনী প্রস্তাব অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছিল।
বিশেষ করে সিলেট এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবির মধ্যেই সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছিল।
সাম্প্রদায়িক হামলা: শাল্লার ওসি সাময়িক বরখাস্ত, দিরাই থানার ওসিকে বদলি
সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাওয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পুলিশ হেড কোয়ার্টার।
মঙ্গলবার রাতে শাল্লা থানার ওসিকে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি নিকটবর্তী দিরাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ আশরাফুল ইসলামকেও স্থান ত্যাগ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাকে দিরাই থেকে সরিয়ে মৌলভীবাজারে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাল্লার হামলায় সরকারি দলের লোক জড়িত: ডা. জাফরুল্লাহ
এর আগে গত ৩ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের বিশেষ তদন্ত দল ঘটনাস্থলে আরও তথ্য জানার জন্য তৎপরতা চালায়।
এসময় তদন্তে বিস্তর জেনে রিপোর্ট জমা দেয়া হলে পুলিশ সদর দপ্তর সার্বিক বিশ্লেষণ শেষে ব্যবস্থা নেয়।
সদর দপ্তরের নির্দেশনার খবরের পাশাপাশি সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিতিতে একটি ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এই মাহফিলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা মামুনুল হক। এরপর শাল্লা উপজেলার নোয়াগাওয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী ঝুমন দাশ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে আল্লামা মামুনুল হককে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও ব্যাঙ্গাত্মক স্ট্যাটাস দেয়। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ঝুমন দাশকে আটক করলেও ধর্মীয় উসকানি দিয়ে লাঠিসোটা হাতে পরদিন নোয়াগাওয়ে হামলা চালায় শতাধিক মানুষ। এসময় ভাঙচুর করা হয় অর্ধশত বাড়িঘর।
ক্ষতিগ্রস্থরা জানিয়েছিলেন হামলাকারীরা মামুনুল হকের অনুসারী। তবে এই ঘটনাচক্রে নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ উঠে স্থানীয় স্বাধীন মেম্বারের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্বাধীন মেম্বার ও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া ঝুমনের মধ্যে বিল নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ ছিল, আর এই সুযোগটি স্বাধীন মেম্বার কাজে লাগিয়ে ঝুমনকে “শিক্ষা” দিতে ধর্মীয় উসকানি দিয়েছিলেন। ঘটনার পর ২টি আলাদা মামলায় ১৫শ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় ৩৩ জনকে। বিষয়টি বর্তমানে বিচারাধীন।
আরও পড়ুন: শাল্লার ঘটনায় ৫ দিনের রিমান্ডে স্বাধীন
মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে সিলেটে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
লকডাউনে মার্কেট ও শপিংমল বন্ধের প্রতিবাদে সিলেটের একাধিক স্থানে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় সড়কে দাঁড়িয়ে সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ শুকরিয়া মার্কেটের সামনে থেকে ‘সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীবৃন্দ’র ব্যানারে মিছিল বের করেন ব্যবসায়ীরা।
এ সময় মিছিল নিয়ে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে মানববন্ধন করেন তারা। এরপর ব্যবসায়ীরা মিছিল নিয়ে জিন্দাবাজার পয়েন্টে এসে সমাবেশ করেন।
আরও পড়ুন: দোকান খোলা রাখার দাবিতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। করোনার কারণে লকডাউন থাকায় গেল বছরও ঈদে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করা থেকে বঞ্চিত হন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন দিলে শতভাগ লকডাউন দিতে হবে। কোনো কোনো খাত ছাড় দিয়ে কোনো কোনোটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাটা অন্যায়। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলা রাখতে পারলে নিজেদের খাবার দাবারের সংস্থান হবে, কর্মচারীরা বেতন পাবেন।
তারা বলেন, সারাবছর ব্যবসায়ীরা এই সময়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ঈদের সময় ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেন। তিন ধাপে ব্যবসা ভেদে এ সময় কেনাবেচা হয়। রোজার আগের ১৫ দিন, রোজার প্রথম ১৫ দিন ও শেষ ১৫ দিন। এ সময়ে এসে দোকানপাট বন্ধ হওয়া মানে পথে বসে যাওয়া।
আরও পড়ুন: নড়াইলে বাজারে লকডাউনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
বিক্ষোভকারীদের দাবি, যেভাবে বিশেষ বিবেচনায় শিল্প-কারখানা চালু রাখা হয়েছে, সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার সুযোগ দেয়া হোক। তারা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যবসা করতে চান এবং অনতিবিলম্বে সরকার কর্তৃক ঘোষিত লকডাউন প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে প্রায় একবছর তারা ব্যবসা করা থেকে বিরত থাকেন। এখন আবার লকডাউন দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলে ব্যবসায়ীদের পথে বসতে হবে। পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান তারা।
সমাবেশে ব্যবসায়ী নেতা ফুয়াদ বিন রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, আজির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন চৌধুরী মাখন ও আবদুল আহাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সোমবার সকাল ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত পর্যন্ত চলাচল ও কাজে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময় শুধু জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সবকিছু বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো পালিত হচ্ছে লকডাউন।
সিলেটে যুবক খুন, গ্রেপ্তার ২
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার লাউয়াই এলাকায় রবিবার রাতে ফরিদুল ইসলাম ম্যাজিক (২৬) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে সিলেট মহানগর পুলিশের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, লাউয়াই এলাকার কাশবন আইসক্রিম ফ্যাক্টরি সামনে চারজন রিকশা চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু করে। এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। এ সময় ফরিদুল ইসলাম ম্যাজিককে বেধড়ক মারতে শুরু করেন তারা।
পরে তারা গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদুল ইসলামকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার ফরিদুল ইসলামের অধিক রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত জিয়ারুল (২৫) ও অন্য জায়গা হতে বুলবুল ইসলাম (৩০) নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এই খুনের ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।