%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
জিম্মি জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত করতে সরকারের প্রচেষ্টার অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা এবং একই সঙ্গে জাহাজটিকেও উদ্ধার করা। আমি শুধু বলতে চাই, আমরা অনেক এগিয়েছি।’
আরও পড়ুন: নাবিক ও জিম্মি জাহাজ মুক্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, তারা যোগাযোগ রক্ষা করছেন এবং ক্রুদের উদ্ধারে বহুমুখী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জাহাজে খাদ্য সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনায় অতীতে কখনও খাদ্য সংকট দেখা দেয়নি। আশা করছি এ ক্ষেত্রেও তা হবে না।’
বাংলাদেশি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে জিম্মি করার ৯ দিন পর সোমালি জলদস্যুরা মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আরও পড়ুন: জাহাজ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করাই লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্বিপক্ষীয় সর্ম্পকের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসা ডোনাল্ড লু’র
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সর্ম্পকের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে ডোনাল্ড লু এ কথা বলেন।
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি আমেরিকানদের কথা উল্লেখ করে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেন, ‘তাদের শক্তি ও অসাধারণ কঠোর পরিশ্রম আমাদের দুটি মহান জাতির মধ্যে সর্ম্পকের ভিত্তি তৈরি করেছে। বাংলাদেশি আমেরিকানরা দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তার জন্য আমরা গর্বিত।’
ডোনাল্ড লু বাংলাদেশি আমেরিকান উদ্যোক্তাদের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা তাদের অনন্য উদ্ভাবনী শক্তি ও ধারণার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেছেন।
‘শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ, জয় বাংলা’ বলে বক্তব্য শেষ করেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোহাম্মদ ইমরান তার স্বাগত বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান: অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। দুই দেশের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বিরাজ করছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, সবার সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য একটি মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে দুই দেশ তাদের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী ও এগিয়ে নিতে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করতে সক্ষম হবে।’
মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলায়’ রূপান্তরিত করার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্য যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নে আমরা সকল বন্ধু রাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করি।’
পরে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত যৌথভাবে অতিথিদের উপস্থিতিতে কেক কাটেন। এর আগে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্যে দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অ্যাম্বাসেডর রেবেকা গঞ্জালেস, ডিরেক্টর, ফরেন মিশন অফিস, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, স্টেট ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মার্কিন সরকার, ইউএসএআইডি, ইউএসটিআর, এনডিআই, আইআরআই ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত: ব্লিঙ্কেন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বিশ্বব্যাংকের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া থেকে নির্বাচিত স্টেট সিনেটর বাংলাদেশি আমেরিকান সাদ্দাম সেলিম এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস দিনব্যাপী এক কর্মসূচির আয়োজন করে। যার মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনা সভা ও বিশেষ প্রার্থনা।
সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন এবং কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।
পরে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন দূতাবাসের দিনব্যাপী কর্মসূচির দুই পর্ব পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন
জনশক্তি, জ্বালানি ও বিনিয়োগে সহযোগিতা জোরদারে কাতারের আমিরের সফর: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আগামী মাসে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নির্ধারিত বাংলাদেশ সফরে জনশক্তি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় উভয় দেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২ দেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যেগুলো সফরকালে সই করা হবে।
আগামী ২১-২২ এপ্রিল ২ দিনের এই সফর হতে পারে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমিরের বৈঠকের পর যেসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হবে, সেগুলো নিয়ে দুই পক্ষ এখন কাজ করছে।
সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছে।
গত বছরের মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলো বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি-৫) সাইডলাইনে আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি জ্বালানি চাহিদা মেটাতে কাতারের কাছে জ্বালানি বিশেষ করে এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের পর ১৯৭৪ সালের ৪ মার্চ কাতার বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দোহায় বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক মিশন চালু করে। ১৯৮২ সালে ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলে দেশটি।
বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা; অভিন্ন মূল্যবোধ, ধর্মীয় ভিত্তি, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন: শ্রমবাজার ইস্যুতে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সারা পৃথিবীতে গাজায় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয় আর বিএনপি-জামায়াত এই হত্যার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। তারা ইসরাইলের দোসরে পরিণত হয়েছে, এদের চিহ্নিত করতে হবে।
বুধবার(২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে একটি হোটেলে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজায় ৩২ হাজারেরও বেশি মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী। লন্ডন, ওয়াশিংটন, সিডনিসহ বিশ্বের বহু জায়গায় এমনকি ইসরায়েলের তেল আবিবেও মানুষ এই হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। অথচ ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করে নাই, কোনো বৃহৎ শক্তি নাখোশ হতে পারে এই ভয়ে। অর্থাৎ তারা আজ ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা মানব সভ্যতার কলঙ্কজনক অধ্যায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী হাছান বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভেবেছিল একটি বড় দেশ তাদের ফিডার খাওয়াতে খাওয়াতে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু তা হয়নি। ইসরায়েলি সেনাদের অনুকরণে তারা ঢাকায় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর এখন তারা হাঁটে। হেঁটে হেঁটে লিফলেট বিতরণ করে। এটা তারা করুক, কিন্তু আগের মতো আগুনসন্ত্রাস যেন না করতে যায়, তাহলে জনগণ তাদের উচিত শিক্ষা দেবে।
এ সময় ইসলামের কল্যাণে সরকারের অবদান তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ইসলাম ও আলেম সমাজের কল্যাণে যা করেছেন অন্য কোনো সরকার তা করেনি। কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতিদান, প্রতিটি উপজেলায় মনোরম মসজিদ, শিক্ষকসহ মক্তব, আলেমদের সম্মান প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান এএএম একরামুল হক ও অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, যুগ্ম মহাসচিব মোশাররফ হোসেন হেলালী এবং স ম হামেদ হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মারুফ আজহারী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপি জনগণের নয়, বিদেশিদের সহযোগিতা চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান: অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী
অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাট থিসেলওয়েট বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃতি প্রদান এবং ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী গফহুইটলামের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দু’দেশের দৃঢ় সম্পর্কের সূচনা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় হায়াত হোটেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
সফল জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
অস্ট্রেলিয়া বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
হাইকমিশনের পাঠানো সংবাদ এ সময় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব আরও ব্যাপক পরিসরে বাড়বে বলে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অদম্য নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ এবং বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতিসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও উদার সংস্কৃতির বিষয় উল্লেখ করেন।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল এমপি এন্ড্রু চার্লটন, অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি সরকারের ছায়া মাল্টিকালচারাল মন্ত্রী পিটার কেইন, চিফ অব প্রটোকলসহ পররাষ্ট্র ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার রয়েল মিলিটারি ব্যান্ডের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেক কাটা ও সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং উন্নয়ন অভিযাত্রার ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
এর আগে গতকাল সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
এছাড়া যারা মুক্তি সংগ্রামে অবদান রেখেছেন ও মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের জন্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
আজ পদ্মা সেতু ও আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন ভুটানের রাজা
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক আজ পদ্মা সেতু পরিদর্শন করবেন।
পদ্মা সেতু পরিদর্শন শেষে রাজা জিগমে বিকালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন এবং সেখানকার অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা প্রত্যক্ষ করবেন।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে তার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন রাজাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা
সেখানে ভিডিও প্রেজেন্টেশন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর তিনি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের নির্মাণ এলাকা পরিদর্শন করবেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজা কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
ভুটানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জেলিফু থেকে ১৯০ কিলোমিটার দূরে কুরিগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দেওয়ায় দেশটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ভুটান ও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা
দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশ আশা প্রকাশ করেছে, অর্থনৈতিক অঞ্চলটি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে 'নতুন দিগন্ত' যোগ করবে এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বৃহত্তর সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে।
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে রাজা সোনাহাট স্থলবন্দরে যাবেন। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে আসামের গোলকগঞ্জের উদ্দেশে বাংলাদেশ ভূখণ্ড ত্যাগ করবেন ভুটানের রাজা।
সেখানে তাকে বিদায় জানাবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার শ্রদ্ধা
ডেনমার্কে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দ-উদ্দীপনার সঙ্গে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে ডেনমার্কে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এ. কে. এম. শহীদুল করিম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
দূতাবাসের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দূতাবাস মিলনায়তনে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
এ দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দূতাবাস স্থানীয় হুয়ন ইভেন্ট সেন্টারে এই দিবস উপলক্ষ্যে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আগত অতিথিদের মধ্যে ডেনমার্কস্থ প্রবাসী বাংলাদেশি, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত শুভেচ্ছা বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তার নের্তৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে যে সব শহীদ দেশের জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন তাদের আত্নত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা তার দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের দিয়ে গেছেন রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তি। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার একটি জ্ঞান নির্ভর ও ডিজিটাল মধ্যম আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়াও দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সমস্যা মোকাবিলাসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অন্যতম অংশীদার। প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিরা বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে।
পরিশেষে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উন্নত, সমৃদ্ধিশালী ও কল্যাণকর রাষ্ট্রগঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে এবং বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে উদাত্ত আহ্বান জানান।
পরিশেষে ইফতার পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার শ্রদ্ধা
ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।
দূতাবাসের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়ামের সভাপতিত্বে একটি বিশেষ আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করা হয়। এরপর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
আলোচনা সভায় বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা পর্বে বক্তারা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার বিভিন্ন পর্যায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম, পরবর্তীকালে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতাত্তোর দেশ পুনর্গঠন ও জাতির সেবায় বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং আত্মত্যাগ সম্পর্কে সারগর্ভ আলোচনা করেন।
তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশর উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন ও দেশের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার শ্রদ্ধা
তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতা বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য, প্রজ্ঞাবান ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। পাশাপাশি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রবাসীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মবলিদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির সম্মানে ইফতার মাহফিল ও নৈশভোজ আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্যে দিয়ে লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন গতকাল মঙ্গলবার স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করেছে।
হাইকমিশনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিনটি উপলক্ষে হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে আয়োজিত এক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ ২৪ বছরের নির্ভীক, আপোষহীন ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব ছাড়া বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বিশ্বে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতো না।’
হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতার আদর্শই অনুসরণ করে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলছেন।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
এপ্রসঙ্গে তিনি বিগত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ দারিদ্র্যবিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে সেসব বিশেষভাবে উল্লেখ করেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
হাইকমশিনার ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে যুক্তরাজ্যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সফর এবং ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক বৈঠকই বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করে আগামীতে এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও গভীর হবে বলে দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।
বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক ও আবদুল আহাদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা
অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার অতিথি ও মিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযোদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সকালে হাইকমিশনার দূতাবাসে কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের র্কমসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মীত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস পালিত
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বর্বরোচিত গণহত্যাকে স্মরণ করে আজ (সোমবার) ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে।
১৯৭১ সালের ঐদিন কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে দূতাবাস বিস্তারিত কর্মসূচির আয়োজন করে। দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম ও মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান।
এরপর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর গণহত্যা ও নৃশংসতার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন এবং দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ‘একাত্তরের গণহত্যা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারের আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় যোগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূত সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে আরিফা রহমান রুমা। তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ও পরবর্তী ৯ মাসে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বর্বরোচিত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। কর্মসূচী পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন।