বৈদেশিক-সম্পর্ক
বাংলাদেশ থেকে ঋণ নেওয়া ২০০ মিলিয়নের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলার শোধ করেছে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকটের সময় বাংলাদেশের থেকে নেওয়া ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে শ্রীলঙ্কা।
সোমবার (২১ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণের মধ্যে আমরা প্রথম কিস্তিতে ৫০ মিলিয়ন ডলার ফেরত পেয়েছি। এই মাসের শেষের দিকে তাদের আরেকটি কিস্তি দেওয়ার কথা। আমরা আশা করছি তারা এই বছরের মধ্যে পুরো ঋণ পরিশোধ করবে।’
শ্রীলঙ্কা ২০২১ সালে কারেন্সি সোয়াপ সিস্টেমের অধীনে তিন মাসের মধ্যে পরিশোধের শর্তে ঋণ নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
কিন্তু তারা সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় এবং দ্বীপরাষ্ট্রটি অভ্যন্তরীণ আর্থিক অস্থিরতার মধ্যে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার কারণে ঋণ পরিশোধের সময় বাড়াতে চায়। বাংলাদেশ কয়েক দফা সময়সীমা বাড়িয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট প্রথম ধাপে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। এরপর সেই বছরের ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং নভেম্বরে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়া হয়।
চুক্তি অনুযায়ী গত বছরের আগস্ট, অক্টোবর ও নভেম্বরের মধ্যে সুদসহ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয় দেশটি।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের ওপর বলপ্রয়োগ না করতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের মিত্র দিনেশ গুণবর্ধন
যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ পলকের
যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণও জানান মন্ত্রী।
শনিবার (১৯ আগস্ট) ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে হোটেল তাজ ওয়েস্ট এন্ডে বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশসমূহের ফোরাম জি-২০ সম্মেলন শেষে যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিমন্ত্রী পল স্কুলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পলক।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা বিনির্মাণে দুই দেশ একসাথে কাজ করতে পলকের আহ্বান
এসময় তারা দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্যাশলেস ইকোনমি, স্টার্টআপ বিনিময়, বিটুবি ম্যাচমেকিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সবার উপকারে আসে এমন একটি ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো চিহ্নিত করার জন্য তারা একমত পোষণ করেন তারা।
এ ছাড়া সিঙ্গাপুরের যোগাযোগ ও তথ্যমন্ত্রী জোসেফাইন টিও, নেদারল্যান্ডের ইন্টেরিয়র অ্যান্ড কিংডম বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি আলেকজান্দ্রা কার্লা ভ্যান হাফেলেন, ইউএনডিপি-এর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল উলরিকা মোদেরসহ জি-২০ এবং অতিথি দেশসমূহের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক পৃথক সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, জি-২০ হচ্ছে বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর ফোরাম। ১৯টি দেশ এবং ইইউ নিয়ে গঠিত ফোরামটি বৈশ্বিক অর্থনীতির পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি প্রশমন এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের মতো বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম এটি।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে পারস্পরিক সহযোগিতার আহ্বান পলকের
পলকের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ভারতের মতো পরিপক্ক সরকার আঞ্চলিক স্বার্থে কিছু বলতেই পারে: মোমেন
ভারত সরকারকে ‘অত্যন্ত পরিপক্ক’ হিসেবে বর্ণনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নয়াদিল্লি তাদের নিজেদের এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে কিছু বলতেই পারে। যদি এ বিষয়ে তারা কিছু বলেন, তবে এটি অবশ্যই এই অঞ্চলের জন্য উপকারী হবে।
মোমেন বলেন, ভারত একটি অত্যন্ত শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ এবং সেদেশের সরকার অত্যন্ত পরিপক্ক। তারা (ভারত) তাদের জন্য যা ভালো মনে করে তাই করে। এ বিষয়ে আমাদের মন্তব্য করার কোনো কারণ নেই। কারণ আমরা বিশ্বাস করি তাদের একটি পরিপক্ক সরকার ব্যবস্থা রয়েছে।
রবিবার (২০ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনন্দবাজার পত্রিকা ও ডয়চে ভেলে বাংলার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের ব্যাপারে সাংবাদিকরা তার মন্তব্য জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে, হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে তা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের এবং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক নয়।
বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমেরিকার বর্তমান ভূমিকায় ভারত খুশি নয় এবং এই বার্তা ওয়াশিংটনকেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রটি জানিয়েছে।
দুটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরপরই সরকার ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকে তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এবং সেখানে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে আগামী মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাইডলাইনে বেশ কয়েকটি বৈঠকের ব্যবস্থা করব। শেষ মুহূর্তে এ ধরনের বৈঠক চূড়ান্ত হয় । এ কারণে এগুলো এখনো চূড়ান্ত রূপ পায়নি। এ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
আরও পড়ুন: কোনো দেশ কি বন্দিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায়: মোমেন
এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সরকার দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত উভয় দেশেই বেশ কয়েকটি বৈঠক করার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা সীমিত সময় থাকব, যেগুলো সম্ভব আমরা সেসব বৈঠক (সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে) করার চেষ্টা করব এবং বাকিগুলো নয়াদিল্লিতে হতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রায় ২২টি দেশ ব্রিকসের সদস্য হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। পাঁচটি মূল সদস্য দেশ নতুন সদস্যদের নেওয়ার ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন এবং ঐকমত্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
মোমেন বলেন, আমরা জানি না কবে নতুন সদস্যরা যোগ দেবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণ করবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে তারা ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অবস্থান করবেন।
নাম উল্লেখ না করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোদি জোহানেসবার্গে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে ১৮তম জি-২০ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নাগরিক সমাজের মধ্যে সারা বছর ধরে অনুষ্ঠিত সব জি-২০ প্রক্রিয়া ও বৈঠকের সমাপ্তি হবে।
নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তিতে জি-২০ নেতরা একটি ঘোষণা দেবেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পর্যায়ের এবং ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের প্রধান আলোচিত বিষয় এবং সেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর নেতাদের প্রতিশ্রুতিগুলো উল্লেখ করা হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এর আগে বলেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য নয়াদিল্লি জোহানেসবার্গের চেয়ে ভালো হবে। বৈঠকের বিষয়ে ইতোমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নির্ভর করছে সদস্যদের উপর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
কোনো দেশ কি বন্দিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায়: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য’ কোনো দেশ বন্দিদের বিদেশে পাঠানোর কোনো তথ্য তার কাছে নেই।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে রবিবার (২০ আগস্ট)সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মাউই দাবানলে প্রাণহানিতে দুঃখ প্রকাশ করে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সংবাদ সম্মেলনে মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দেশে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।’
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাবিদকে পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘কোনো দেশ কি বন্দিদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায়? আমি জানি না কোনো দেশ তাদের বন্দিদের ‘ভালো’ চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায় কি না। যদি কোনো দেশ করে, আমাদের জানান। এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বলেছেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অগ্রগতির প্রশংসায় মার্কিন কংগ্রেসম্যান অ্যান্ড্রু
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান অ্যান্ড্রু গারবারিনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন।
শুক্রবার রাতে (১৮ আগস্ট) নিউইয়র্কে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ১৪ বছরে দেশের অগ্রগতি ও সাফল্য দেখেছে এ জাতি।
তিনি আরও জানান, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে যোগ্য করে গড়ে তুলেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্যও কাজ করেছে।
কংগ্রেসম্যান আরও বলেন, ‘আমি মনে করি অর্থনীতি, জ্বালানি খাত ও অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের উন্নতি এবং সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় এর ভূমিকা অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিদেশি শক্তি: প্রধানমন্ত্রী
বিজ্ঞান-প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠন করবে জাতিসংঘ
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভারত-বাংলাদেশের বিশেষ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে: হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশের জাতি গঠন ও স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কারণ দুই দেশ তাদের জনগণের জন্য উজ্জ্বল ও আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে একসঙ্গে কাজ করছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি’র (বিআইএফএস) মাধ্যমে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন হাইকমিশনার।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির পক্ষ থেকে হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আরও পড়ুন: জাহাজের শুভেচ্ছা সফর ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক: প্রণয় ভার্মা
সেপ্টেম্বরে ভারতের সহায়তাপুষ্ট ৩ মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন: হাইকমিশনার
বাংলাদেশ ও ভারতের মুদ্রায় বাণিজ্য লেনদেন রিজার্ভের ওপর চাপ কমাবে: হাইকমিশনার
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন: সাইডলাইন বৈঠকে বসতে পারেন শেখ হাসিনা-মোদি
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের মাঝে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আফ্রিকার দেশটিতে চলতি সপ্তাহে সফরে যাচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই নেতা।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে নেতারা ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ সফর করবেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি জোহানেসবার্গে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। তবে কাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তা স্পষ্ট করেননি।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে ব্রিকস সম্মেলন-২০২৩: মডার্ন ডিপ্লোমেসি
এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে ১৮তম জি-২০ ভুক্ত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের মধ্যে চলতি বছরের জি-২০’র সব কার্যক্রম ও বৈঠকের সমাপ্তি হবে।
নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তিতে জি-২০ নেতরা একটি ঘোষণা দেবেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পর্যায়ের এবং ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের প্রধান আলোচিত বিষয় এবং সেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর নেতাদের প্রতিশ্রুতিগুলো উল্লেখ করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলন ২০২৩: নতুন সদস্য হচ্ছে কোন কোন দেশ সেদিকেই সবার নজর
এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য জোহানেসবার্গের চেয়ে নয়াদিল্লি ভালো হবে। বৈঠকের বিষয়ে ইতোমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে।
মোমেন আরও বলেন, আফ্রিকা একটি ‘উদীয়মান রাষ্ট্র’ এবং বাংলাদেশ এ মহাদেশের দেশগুলোর সঙ্গে আরও শক্তিশালী সংযোগ স্থাপন করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ততটা শক্তিশালী নয়। আমরা সেখানে দু’টি মিশন খুলেছি। প্রধানমন্ত্রী তাদের নির্দেশনা দেবেন (বৃহত্তর প্রচেষ্টা করার জন্য)।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সাইডলাইন বৈঠক এখনো নিশ্চিত হয়নি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
২০১৯ সালের পর এটিই হবে প্রথম সশরীরে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন। গ্রুপের গৃহীত উদ্যোগগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করার এবং ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার সুযোগ দেবে এই শীর্ষ সম্মেলন ।
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পরে আয়োজিত একটি বিশেষ ইভেন্ট ‘ব্রিকস – আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস ডায়ালগ’-এ অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এতে দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত অন্যান্য দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
বেলজিয়ামে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশের ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে ব্রাসেলসে এই কার্যক্রম চালু করা হলো।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেন। ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক ই-পাসপোর্টের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার।’
তিনি বলেন, ‘যুগের চাহিদা ও উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় অবস্থান ও মর্যাদা সুসংহত করার লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও চালুর উদ্যোগ নেয়। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দরে ই-গেইট স্থাপন করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। এমনকি স্বল্পসংখ্যক উন্নত দেশে এটি স্থাপিত হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হলো।’
আরও পড়ুন: লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে চালু হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘বতর্মানে দেশের ৬৪টি জেলার ৭২টি অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আজকে ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে বেলজিয়ামে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে। শিগগিরই দেশের ৮০টি মিশনে এর কার্যকারিতা শুরু হবে। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা দ্রুত ই-ভিসা কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’
অনুষ্ঠানে বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ডেপুটি ডিরেক্টর এবং বেলজিয়ামে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির বেশ কয়েকজন সদস্য বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাহবুব হাসান সালেহ্, বাংলাদেশ দূতাবাস বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ সাহানারা খাতুন এবং বেলজিয়ামে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে চালু হলো ই-পাসপোর্ট
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা
‘হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে’ মার্কিন পদক্ষেপ দ. এশিয়ার জন্য ইতিবাচক নয়: ওয়াশিংটনকে দিল্লি
শেখ হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে তা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের এবং দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক নয় বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে ভারত।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অজ্ঞাত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানিয়েছে, বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমেরিকার বর্তমান ভূমিকায় ভারত খুশি নয় এবং এই বার্তা ওয়াশিংটনকেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের মতো ভারতও ঢাকায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।
আর তিন সপ্তাহ পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
তার আগে ভারতের এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে বলে আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাউথ ব্লক (ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান) মনে করে, জামায়াতে ইসলামীকে 'রাজনৈতিক ছাড়' দেওয়া হলে অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা মৌলবাদের দখলে চলে যাবে। উদার পরিবেশ যেটুকু রয়েছে, তা-ও আর থাকবে না।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার নিয়ে অত্যন্ত সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে হস্তান্তর করা: শাহরিয়ার
নয়াদিল্লি মনে করে বাংলাদেশে হাসিনার সরকার দুর্বল হলে তা ভারত বা আমেরিকার জন্য ভালো হবে না।
কূটনৈতিক সূত্রের মতে, নয়াদিল্লি একাধিক স্তরের বৈঠকে বাইডেন প্রশাসনকে এ তথ্য জানিয়েছে।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত অঞ্চল একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। তালেবান এখন আফগানিস্তানের ক্ষমতার শীর্ষে।
মনে করা হচ্ছে, আফগানিস্তানের নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুদের কথা বিবেচনা না করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে চুক্তি করেছিল এবং এখন যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে কাবুলের পাশাপাশি ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশী সম্পর্কে আমেরিকার নীতিও নয়াদিল্লির জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘতম স্থল সীমান্ত রয়েছে। ফলে সে দেশের যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি ভারতেও প্রভাব ফেলে।
সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লি বাইডেন প্রশাসনকে জানিয়েছে, জামায়াতকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হলে ভারতের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বাড়তে পারে এবং বাংলাদেশে চীনের প্রভাব অনেক বেড়ে যাবে; যা ওয়াশিংটনের কাম্য নয়।
মনে করা হচ্ছে, আমেরিকা জামায়াতকে বরাবর একটি রাজনৈতিক ইসলামিক সংগঠন হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াতকে মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে তুলনা করে আমেরিকা। কিন্তু বাস্তবে, জামায়াত যে উগ্র মৌলবাদী সংগঠন এবং পাকিস্তানের হাতে তামাক খায়, এ বিষয়ে নয়াদিল্লি নিঃসন্দেহ।
বাইডেন প্রশাসন শুধু বাংলাদেশের জন্য পৃথক ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। ওই সূত্রের উল্লেখ করে আনন্দবাজার জানায়, নয়াদিল্লি এটাকে মোটেও ন্যায়সঙ্গত মনে করে না।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে গ্রহণ করতে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের পরামর্শকে না বলেছে বাংলাদেশ: মোমেন
নতুন এই ভিসা নীতির ফলে যারা বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা করবে, তারা আমেরিকায় প্রবেশের অধিকার পাবে না।
কূটনৈতিক শিবির মনে করে, আমেরিকার প্রশাসন সরাসরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাতেই নিজের দেশের আইন প্রয়োগ করে সে দেশের জন্য পৃথক ভিসা নীতি গ্রহণ প্রণয়ন করেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লি সফর করে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
সেখানে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার ক্ষেত্রে বিএনপি-জামায়াত জোট বিপজ্জনক বলেও বার্তা দিয়েছেন তারা।
প্রতিনিধিদলের নেতা কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে একটি ইতিবাচক বৈঠক করেছেন।
ওই বৈঠকের পরপরই তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতকে বলেছি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা উভয় রাষ্ট্রের জন্যই জরুরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে বাংলাদেশের মাটিকে ভারতবিরোধী কার্যকলাপে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: ভারতের ভবিষ্যৎ ও নিরাপত্তা বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত: জ্যেষ্ঠ এমইএ কর্মকর্তা
মাউই দাবানলে প্রাণহানিতে দুঃখ প্রকাশ করে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে ভয়াবহ দাবানলে প্রাণহানি ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান স্থানীয় সময় বুধবার(১৬ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-এর নিকট এই চিঠি হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘গোপন তথ্য’ কারা ফাঁস করেছে তা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি: মোমেন
চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আমি আপনার প্রতি, ও আপনার মাধ্যমে নিহত ও আহতদের পরিবার এবং এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমাদের গভীর শোক ও আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আমরা আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা এবং নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
তিনি বলেন মাউয়ের এই মর্মান্তিক ঘটনা আমাদেরকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহতা এবং এই ধরনের দুর্যোগের সময় দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঝুঁকি হ্রাসের গুরুত্ব মনে করিয়ে দেয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ আপনার এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের পাশে আছি। আপনাদের এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে সমর্থন ও সংহতি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির হাজার বছরের ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে: মোমেন