বৈদেশিক-সম্পর্ক
কোর্ট মার্শালের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দেওয়া প্রথম ভারতীয় কমান্ডার মারা গেছেন
কোর্ট মার্শালের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দেওয়া প্রথম ভারতীয় কমান্ডার কিংবদন্তি ও খ্যাতিমান ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কর্মকর্তা মেজর পরিমল কুমার ঘোষ মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ৮৪ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভারতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তার মেয়ে আগমনি ঘোষ বলেন, ‘আমার বাবা পরিমল কুমার ঘোষ একজন আনসাং হিরো। সেনাবাহিনী, বিএসএফ এবং ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা আরঅ্যান্ডএডাব্লিউ-এ তার কর্মজীবন নিখুঁত পেশাদারিত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংবেদনশীল প্রকৃতির কারণে তার চাকরি জীবনে এটা অজানা থেকে যায়। তিনি বাংলাদেশের জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের হয়ে লড়াই করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: ফুটবল কিংবদন্তি পেলে ৮২ বছর বয়সে মারা গেছেন
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্র্যাকডাউন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তারের সময় মেজর পি কে ঘোষ ত্রিপুরার সাব্রুম অঞ্চলে ৯২তম বিএসএফ ব্যাটালিয়নের এফ কোম্পানির কমান্ডিং করছিলেন। তখন তিনি সমরেন্দ্রগঞ্জের আমলিঘাটের চারটি সীমান্ত ফাঁড়ির দায়িত্বে ছিলেন।
‘ফার্স্ট ক্রসিং ওভার অ্যান্ড ফরমেশন অব ফার্স্ট মুক্তিবাহিনী বাই বিএসএফ’- শিরোনামের অধীনে ‘বর্ডারম্যান ২০২১’- নিবন্ধে তার গল্পটি ইকোনমিক টাইমস বিশদভাবে প্রকাশ করেছেন।
সেখানে বলা হয়েছে, একদল বাঙালি তার কাছে এসে পাক সেনাদের বর্বরতার কথা বর্ণনা করে সাহায্য চাইলে তিনি সিনিয়রদের না জানিয়ে এমনকি কোর্ট মার্শালের ঝুঁকি নিয়ে সীমানা অতিক্রম করেছিলেন।
নিবন্ধে আরও তুলে ধরা হয়, ‘বাঙালিরা তার কাছে এসে বলেন যে পাক সেনারা গ্রামবাসীদের ওপর অমানবিক অত্যাচার করছে। বিশেষ করে নারীদের টার্গেট করে নির্যাতন করা হচ্ছে। এ বর্বরতা থেকে পরিত্রাণের জন্য তার কাছে সাহায্য চাইলে তিনি সহানুভূতি দেখিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের এ অভিযোগ জানানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন।’
তাদের কথায় তিনি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর 'প্রফেসর আলী' ছদ্মনাম ধারণ করে তাদের সঙ্গে গিয়েছিলেন। এ সময় গ্রামবাসীরা তাদের নেতা অধ্যাপক মজুমদারের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়ে এসে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে থাকে।
তখন নুরুদ্দিনের অধীনে ৬ ইপিআর সেনাদের নিয়ে মুক্তিবাহিনীর ১ম গ্রুপ গঠন করা হয়। ঘটনাস্থলেই তাদের অনুপ্রেরণামূলক কথা বলে শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সুভাপুর ব্রিজের উত্তর প্রান্তে তিনজনের দলে মোতায়েন করে পাক সৈন্যদের প্রবেশ ঠেকানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: প্রখ্যাত ভাস্কর শামীম শিকদার মারা গেছেন
পরিমল কুমার ঘোষ এ ঘটনা প্রসঙ্গে এক বর্ণনায় বলেন, ‘২৭ মার্চ ১৯৭১ সকালে সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে ঘোষ শ্রীনগরে আমার কাছে আসেন এবং আমার বিশেষ এসআইটিআরইপি এর জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানান। আমি খুব দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম। কিন্তু একজন অনুগত সৈনিক হিসেবে ২৬ মার্চ সুভাপুরে আমার ক্রসিংয়ের খবর প্রকাশ হয়ে যায়। হঠাৎ করে সিওর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেল।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি কাউকে না বলে বর্ডার ক্রস করায় আমার ওপর রেগে গেলেন। চিৎকার করে বললেন, আপনি আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার হওয়ার সাহস কিভাবে করলেন? এ জন্য আপনি হয়তো কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হতে পারেন। তিনি অনেক রাগারাগি করে চলে গেলেন। আমি ক্ষণিকের জন্য মন খারাপ করলেও মনের অজান্তে এক মোলায়েম সুখ অনুভব করতে শুরু করলাম। কারণ সীমান্তের ওপারে নিরস্ত্র, নিরপরাধ নাগরিকদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।’
পরিমল কুমার ঘোষের মৃত্যুকে একজন ‘কিংবদন্তি প্রয়াণ’ হিসেবে অভিহিত করে সুরেশ দত্ত (প্রাক্তন আইজি বিএসএফ) বলেন, ‘ঘোষ দাদা আগরতলায় বিএসএফ জি শাখায় আমার পূর্বসূরি ছিলেন। তিনি পেশাদারিত্বের মান অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যা অনুকরণ করা সহজ নয়।’
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী গোলাম মোস্তফা মারা গেছেন
শামীম আহসান মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পরবর্তী হাইকমিশনার নিযুক্ত
ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসানকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পরবর্তী হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তিনি এই পদে রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সারওয়ারের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন।
রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের ১১তম ব্যাচে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি ১৯৯৩ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন এবং তখন থেকেই দেশে ও বিদেশে ব্যাপকভাবে কাজ করেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন
তার বর্ণাঢ্য কূটনৈতিক কর্মজীবনে, তার বর্তমান দায়িত্ব ছাড়াও, তিনি নাইজেরিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি কুয়েত, দোহা, নাইরোবি, রোম এবং ওয়াশিংটন ডিসির মতো বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন দায়িত্বও পালন করেছেন।
পিরোজপুরে জন্ম নেওয়া রাষ্ট্রদূত আহসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএসএস এবং এমএসএস করেছেন।
এছাড়াও তিনি দেশে ও বিদেশে বেশ কিছু পেশাগত প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে রাষ্ট্রদূত আহসান বিবাহিত এবং একটি কন্যা সন্তানের জনক।
আরও পড়ুন: লুৎফর রহমান ভিয়েতনামে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত
লুৎফর রহমান ভিয়েতনামে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত
ভিয়েতনামে মো. লুৎফর রহমানকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তিনি এই পদে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
কূটনীতিক মো. লুৎফর রহমান বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের ১৭তম ব্যাচে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন।
১৯৯৮ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগদান করে তিনি এখন টরন্টোতে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরের সম্পর্কে বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম যা করেছে
এর আগে তিনি মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তার কূটনৈতিক কর্মজীবনে তিনি হ্যানয়, করাচি, রিয়াদ এবং রাবাতে বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে জন্ম নেওয়া লুৎফর রহমান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
আরও পড়ুন: ভ্যাটিকানের পোপের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, আগামী সপ্তাহে উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফরে পারস্পরিক স্বার্থের অন্যান্য বিষয় ছাড়াও বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আলোচনায় আসতে পারে।
তিনি বলেন, ‘অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। নির্বাচনী বিষয়গুলো অন্যতম ইস্যু হিসেবে আলোচনায় আসতে পারে। আমরা এটি উড়িয়ে দিচ্ছি না।’
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মানবাধিকার, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, বাণিজ্য, শ্রমসহ পারস্পরিক স্বার্থের অন্যান্য বিষয় আলোচনায় আসবে।
বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার বিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ১১ থেকে ১৪ জুলাই সফরকালে মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর জন্য মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর উপ-সহকারী প্রশাসক, ইউএসএআইডি অঞ্জলি কৌর প্রতিনিধিদলে থাকবেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সৌরভ কুমার
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জেয়া তুলনামূলকভাবে একজন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা এবং তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা বেশ প্রশস্ত।
মোমেন বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দল শুধু নির্বাচনী ইস্যুতে আলোচনা করতে আসছে এমন কোনো তথ্য তার কাছে নেই, তবে এটা দুই দেশের বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা।
ঢাকা সাম্প্রতিক অতীতে ওয়াশিংটন থেকে একাধিক সফরের সাক্ষী ছিল, যার মধ্যে ২০২২ সালের ১৯ থেকে ২৩ মার্চ রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের একটি সফর অন্তর্ভুক্ত।
চলতি বছরের শুরুতে ডোনাল্ড লুও বাংলাদেশ সফর করেন। লু সাম্প্রতিক অতীতে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ নীতি নির্ধারণে ব্যাপকভাবে জড়িত।
২৫ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করার পর লু এই পদক্ষেপের জনসম্মুখে আসেন। বাংলাদেশি গণমাধ্যমে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা করেন যে এটি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে।
আরও পড়ুন: ইইউ’র নির্বাচন অনুসন্ধানী মিশন বাংলাদেশ সফরে আসছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এদিকে মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, উজরা জেয়ার নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধি দলের এই সফর মূলত দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার এবং জোরদার করার প্রচেষ্টা। যোগাযোগ আরও।
মার্কিন প্রতিনিধিদল বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের ব্যস্ততার পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবে।
জেয়া গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে, সার্বজনীন মানবাধিকারের অগ্রগতি, উদ্বাস্তু ও মানবিক ত্রাণকে সমর্থন, আইনের শাসন ও মাদকবিরোধী সহযোগিতা, দুর্নীতি ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়াই, সশস্ত্র সংঘাত প্রতিরোধ এবং মানব পাচার নির্মূলে বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিকের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার হতে চায় কানাডা
ইন্দো-প্যাসিফিকের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার হতে চায় কানাডা
বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস বলেছেন, তার দেশের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল স্বীকার করে যে বিশ্বের ভবিষ্যত পরস্পরের সঙ্গে জড়িত।
তিনি ‘কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি: এ নিউ হরাইজন অব অপারচুনিটি’- শীর্ষক সমসাময়িক ইস্যুতে বিআইপিএসএস এবং কানাডিয়ান হাইকমিশন যৌথভাবে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে হাইকমিশনার নিকোলস ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের তাৎপর্য তুলে ধরেন, যেখানে বিশ্বের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী জিডিপির অর্ধেক অর্জনের সম্ভাবনা নিয়ে বসবাস করে।
কানাডিয়ান দূত বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল কানাডার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক নীতি।’
তিনি উল্লেখ করেছেন যে ‘পিস এন্ড সিকিউরিটি’ শিরোনামের প্রথম স্তম্ভে কানাডার উদ্দেশ্য অবাধ, উন্মুক্ত, ও অন্তর্ভুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক।
আরও পড়ুন: কানাডার সংসদে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিল পাশ
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও কানাডা উভয়ই ২০২৫ সালের মধ্যে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা অর্জনের জন্য শান্তিরক্ষাকারী দেশগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, কানাডিয়ান কৌশলের অন্যান্য প্রধান স্তম্ভগুলো হলো- অর্থনৈতিক বন্ধন, সবুজ ভবিষ্যত এবং জনগণের মধ্যে বন্ধন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস) এর প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ক্রমবর্ধমানভাবে সংযুক্ত বিশ্বে যেখানে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের জন্য সমষ্টিগত প্রচেষ্টার প্রয়োজন, কানাডা তখন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের গুরুত্ব স্বীকার করেছে এবং এরসঙ্গে জড়িত থাকার জন্য একটি ব্যাপক কৌশল তৈরি করেছে’।
আজ ঢাকায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকের সঞ্চালনাকালে মেজর জেনারেল (অব.) এএনএম মুনিরুজ্জামান।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে আফ্রিকার পূর্ব উপকূল থেকে আমেরিকার পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, গতিশীল সংস্কৃতি এবং উদীয়মান ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের আবাসস্থল।
তিনি বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বিশ্ব বাণিজ্য, উদ্ভাবন ও সহযোগিতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। এর মূল অংশে কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলটি নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি থেকে শুরু করে কূটনীতি পর্যন্ত ৩টি বিস্তৃত স্তম্ভের ওপর নির্মিত।’
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ৪০টি দেশের অর্থনীতি, ৪ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ এবং আনুমানিক ৪৭ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড রয়েছে।
আরও পড়ুন: কানাডায় বাংলাদেশ হেরিটেজ সোসাইটি অব আলবার্টার স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, কানাডা একটি শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল চায়, যেখানে ইরান ও সৌদি আরব ছাড়া ৪০টি দেশ আছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে আন্তর্জাতিক অঙ্গন এবং ভূ-রাজনীতিতে জাতীয় স্বার্থ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, মূল্যবোধ যাই হোক না কেন।
ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসি বলেন, কানাডা অবশেষে তার অস্পষ্ট অবস্থান থেকে সরে এসেছে এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তার স্পষ্ট অবস্থান চিহ্নিত করেছে।
তিনি বলেন, কানাডা একটি দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত একটি আখ্যান অনুসরণ করে না, বরং কানাডার নিজস্ব বর্ণনা রয়েছে।
বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র রয়েছে বলে তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আলোচনাকারীরা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি মূল বিষয় তুলে ধরেন।
উদাহরণস্বরূপ, গঠনবাদ ও কানাডার প্রকাশিত ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের সঙ্গে এর প্রাসঙ্গিকতা।
এগুলো ছাড়াও নিরাপত্তা, কৌশল ও বহুপক্ষীয়তার অন্যান্য বিষয়গুলোও বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা, প্রতিরক্ষা কর্মী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, পণ্ডিত ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে কৃষি সহযোগিতা চায় কানাডা: সফররত মন্ত্রী
ইইউ’র নির্বাচন অনুসন্ধানী মিশন বাংলাদেশ সফরে আসছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন অনুসন্ধানী মিশন আগামী ৮ থেকে ২৩ জুলাই বাংলাদেশ সফর করবে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মিশনটি মূল নিবার্চন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিক্স ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়াদি মূল্যায়ণ করবে।
আরও পড়ুন: আমরা এখানে মধ্যস্থতা ও রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে আসিনি: ইইউ রাষ্ট্রদূত
ইইউ-এর এই অনুসন্ধানী মিশনটি সফরকালে সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে ইচ্ছুক বলে ঢাকাস্থ ইইউ ডেলিগেশন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সবুজ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের যাত্রায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে পেরে গর্বিত: ইইউ
নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে এ সফর অনুষ্ঠিত হওয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তেমন কিছু করণীয় নেই বলেও ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, অনুসন্ধানী মিশন হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে পূর্ণাঙ্গ নিবার্চন পর্যবেক্ষণ মিশন (ইওএম) প্রেরণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে ফখরুল
ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সৌরভ কুমার
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) সৌরভ কুমার বাংলাদেশ সফর করছেন।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বিমসটেক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) এ টি এম রকিবুল হক সচিব সৌরভ কুমারকে ঢাকায় স্বাগত জানান।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফর
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলা ঢাকায়
উন্নত বন্যা ব্যবস্থাপনা: বাংলাদেশের নদী ড্রেজিংয়ে সহায়তার প্রস্তাব চীনের
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও উন্নত ব্যবস্থাপনায় তাদের সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিক নদীগুলোর ড্রেজিংয়ে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।
বুধবার রাষ্ট্রদূত ইয়াও (৫ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মতবিনিময়কালে বিদ্যমান বর্ষা এবং দেশের সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতির উপর এর প্রভাব, বিশেষ করে আকস্মিক বন্যার ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন মানবিক কারণে বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন সহজতর করার প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করেন।
তারা বিভিন্ন বহুপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক ফোরামে চলমান দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা পর্যালোচনা করেন।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বাড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে: এফএফডব্লিউসি
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বৈশ্বিক দক্ষিণের বৃহত্তর সম্মিলিত স্বার্থে 'দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা' আরও জোরদারে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক বাংলাদেশে প্রবর্তিত কমিউনিটি ক্লিনিকসহ উদ্ভাবনী পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেন, যা এখন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ জনগণের কল্যাণে চীনের অনেক ব্যবহারিক, সহজ ও কার্যকর উদ্ভাবন প্রয়োগ করতে পারে।
চীনা রাষ্ট্রদূত চীনের সহায়তায় বাংলাদেশে পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে চীনকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তি ও দক্ষতা হস্তান্তরের সুবিধার্থে বাংলাদেশে চীনের বৃহত্তর বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেন।
মোমেন দু'দেশের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা হ্রাসে উদ্যোগ গ্রহণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত চীনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালে রাষ্ট্রদূত তাকে ধন্যবাদ জানান এবং তা আমলে নেন।
আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত: বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র
ঢাকায় ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু গ্রিসের
ভ্রমণ, কর্মসংস্থান, পারিবারিক পুনর্মিলন, শিক্ষার্থী এবং ডিজিটাল যাযাবর (নোম্যাড) এর মতো সব ধরনের ভিসা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের নাগরিকরা এখন ঢাকায় নতুন চালু হওয়া গ্রিসের ভিসা আবেদন কেন্দ্র থেকে আবেদন করতে পারবেন।
গ্রিসে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের ভিসার আবেদন জমা দিতে আর নয়াদিল্লি যেতে হবে না।
গ্রিসের কূটনৈতিক ও কনস্যুলার কর্তৃপক্ষের একচেটিয়া বহিরাগত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রিস ভিসা ওয়ার্ল্ড সেন্টার (জিভিসিডব্লিউ) ভিএফএস গ্লোবালের সঙ্গে অংশীদারিত্বে সকল ভিসা ক্যাটাগরির আবেদন গ্রহণের জন্য ঢাকায় একটি ডেডিকেটেড সেন্টার চালু করেছে।
ভিসা আবেদনকারীদের তাদের আবেদন জমা দিতে এবং তাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করতে বোরাক মেহনুর (৮ম তলা), ৫১/বি, কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের ভিএফএস গ্লোবাল জয়েন্ট ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে (জেভিএসি) যাওয়ার আগে অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে জিভিডব্লিউসি ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসার আবেদন করার জন্য দালালের দ্বারস্থ হওয়ার প্রয়োজন নেই: দূতাবাস
ভিএফএস গ্লোবালের চিফ অপারেটিং অফিসার (দক্ষিণ এশিয়া) প্রবুদ্ধ সেন বলেন, ‘যারা কাজ, শিক্ষা, ব্যবসা ও অবসর সময় কাটানোর জন্য গ্রিস ভ্রমণে আগ্রহী, নতুন কেন্দ্রটি বাংলাদেশের জনগণকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করবে। এই উন্নয়ন জিভিডব্লিউসি’র সঙ্গে আমাদের বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের আরেকটি অধ্যায়, যার সঙ্গে আমরা ২০১৮ সাল থেকে কাজ করছি।’
অত্যাধুনিক নতুন ভিএসি নিয়মিত আবেদনকারীদের জন্য ডেডিকেটেড সাবমিশন কাউন্টারের পাশাপাশি নির্বিঘ্ন ভিসা অভিজ্ঞতা খুঁজছেন এমন ভ্রমণকারীদের জন্য ঐচ্ছিক প্রিমিয়াম লাউঞ্জ পরিষেবা দিয়ে সজ্জিত থাকবে।
জিভিসিডাব্লু বিশ্বের ১৮টি দেশ ও ৮২ টি শহরে কাজ করে। এর অপারেশনাল সক্ষমতা এবং অংশীদারদের মূল্যবান অবদানের ওপর ভিত্তি করে, বিশেষত হেলেনিক টেলিকমিউনিকেশন অর্গানাইজেশন (ওটিই), ইউরোপের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা এবং ভিএফএস গ্লোবাল, জিভিসিডাব্লু প্রতিদিন হাজার হাজার ভিসা আবেদনকারীকে সেবা দিচ্ছে।
জিভিসিডব্লিউ'র ৮২টি ভিএসি এবং এর অত্যাধুনিক অনলাইন ভিসা অ্যাপ্লিকেশন প্রযুক্তি রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রায় ৩০০ ভিসা হ্যান্ডলিং কর্মীর নিরন্তর প্রচেষ্টা আরও দক্ষ কর্মপ্রবাহের অনুমতি দেয় এবং সংশ্লিষ্ট গ্রিক কনস্যুলেটের কাজের চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে, যার ফলে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজতর হয়েছে।
প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার গ্রিস ভিসা আবেদন গ্রহণের সঙ্গে দেশটি বাংলাদেশের জন্য একটি উদীয়মান গন্তব্যস্থল।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী ভিসার আবেদন নেয়া শুরু করছে মার্কিন দূতাবাস
১৯৭১ সালের নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে বললেন সালমান এফ রহমান
সম্পর্ক উন্নয়নে ১৯৭১ সালে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
পবিত্র হজ পালনের সময় সৌদি আরবের মদিনায় বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভির সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তাকে এ কথা বলেন সালমান এফ রহমান।
সোমবার (৩ জুলাই) এক টুইটে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সঙ্গে মসজিদে নববীতে একটি আনন্দঘন সাক্ষাৎ হয়েছে। আমার ১২ বছর বয়সে আমাদের শেষ দেখা হয়েছিল। এই সাক্ষাতে শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।’
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর আহ্বান সালমান এফ রহমানের
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি তাকে বলেছি, দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি করতে ১৯৭১ সালে যা ঘটেছিল তার জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার প্রয়োজন। আমরা পবিত্র নগরীতে মুসলিম উম্মাহ’র কল্যাণ কামনা করেছি।’
অন্য এক টুইটে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তার মক্কা, মিনা ও মদিনায় ‘ভালো আলাপ’ হয়েছে।’
টুইটে সালমান এফ রহমানকে বাল্যবন্ধু হিসেবে অভিহিত করে আরিফ আলভি বলেন, ‘দুই বন্ধুর এই সাক্ষাৎ হয়েছে ৬০ বছর পর।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্তরা শনিবার থেকে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন: সালমান এফ রহমান